আমরা আজ স্বাধীন; খুঁজে পেয়েছি সুন্দর সুফলা সোনার বাংলাদেশ।
আমাদের দেশ আজ স্বাধীন হয়েছে। আমরা আমাদের সন্তানদের,ছাত্রজনতা,বাংলার কৃষক ও রাখালের রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি আজকের বাংলাদেশ।আমরা শতভাগ কষ্টের পরেও পেয়েছি স্বাধীনতা”এই আনন্দ হাজারো ১৫ ই আগষ্ঠের কথা ভুলিয়ে দিতে পারবেনা কখনও স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীন বাঙালীদের।আমরা কখনোই আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সেই শোকের মাতবের পরেও যে স্বাধীনতা পেয়েছি সেই স্বাধীনতা ও শোক দুটোই সবসময় আমাদের হ্নদয়ের মাঝেই থাকবে অনন্তকাল।
আমার জন্ম ১৯৮০ সালের ২৮ ডিসেম্বর,বাবুগঞ্জ থানার রমজান,কাঠী গ্ৰামের সন্ধ্যা নদীর পাশেই রহিম গঞ্জ ইউনিয়নের পাশে ই অবস্তিত শহীদ ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এস এস সি পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করি।ঠিক সে সময় থেকেই আমি আমার দেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমি যে বিদ্যালয় থেকে এস এস সি পাশ করি সেই বিদ্যালয় ছিলো আমাদের দেশের জন্য যে সাতজন বীর মুক্তিযোদ্ধা বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি পেয়ে ছিলেন তাদের মধ্যে বীর শ্রেষ্ঠ মহীউদ্দীন জাহাঙ্গীর ছিলেন একজন।তাই হয়তো আমি আমার দেশের প্রতি, দেশের মানুষের জন্য ভালো বাসা একটু বেশি ই অনুভব করি। সবচেয়ে বড় কথা হলো যে আমাদের দেশ গড়ে তুলতে, দেশের ভাষাকে,পাকিস্তানি পাকহানাদার বাহিনীর কাজ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে এবং আমাদের কে দিয়েছেন মাটি ও এদেশের মানুষের মুখে সুখের হাসি ।সেই মা ও আমাদের মাতৃভাষা বাংলা ভাষা কে যিনি কঠোর সংগ্ৰামী হয়ে মৃত্যুর কথা না ভেবেই জেগে উঠেছিলেন শুধুমাত্র একটি সুন্দর ও সবুজ সোনার বাংলাকে এদেশের মানুষের কাছে ফিরিয়ে দিতেই।
বঙ্গবন্ধু পেরেছিলেন এবং তার কথা রেখেছেন এবং উপহার দিয়েছেন বাঙ্গালী জাতিকে সৌন্দর্য ঘেরা সবুজ সমারোহের এই লাল-সবুজের সোনার বাংলাদেশ ও আমাদের প্রিয় ও মাতৃভাষা বাংলা ভাষা কে।যার অবদান অন্য কেউ দিতে পারবেনা কখনোই।সেই বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে কিভাবে এই দেশের মানুষ ভুলে যাবে।অসম্ভব কেউ কখনোই ভুলে যেতে পারবেনা, যতদিন মানুষের মধ্যে একবিন্দু রক্ত থাকবে।কিইবা দোষ ছিল আমাদের মহান নেতর যার কারণে তাকে সহ তার পরিবারের সদস্যদের নিস্ব:সংশ ভাবে হত্যা করেছিল রঙ্গের বণ্যা বইয়ে দিয়েছিল ধানমন্ডির ৩২ বাড়িতে।রক্তের স্রোতে ভেসে গিয়েছিল সাড়া বাড়ি এমনকি শিশু রাসেল কে ছেড়ে দেয়নি হানাদার বাহিনীরা।সমস্ত বাড়ি গুলির শব্দে যেনো ভোরের ফজরের আযানের ধ্বনি শুনতে পাওয়া গিয়েছিল।নিমূল্য করে দিয়েছিলেন এদেশের কিছু নরপিশাচ সহ পাকহানাদার বাহিনীরা।দোষ যদি থেকেই থাকে তাহলে আমি বলবো, একটি কথা যেটা তিনি আমাদের কে এই বাংলাদেশের বুকে লাল-সবুজের পতাকা ও একটি চিরসবুজ সোনার বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন,তবে কি এটাই ছিলো কি মহান নেতার দোষ?
আমার ছোট এই প্রশ্নটি থাকবে এদেশের সকল মানুষের প্রতি।সকল বাঙ্গালীর প্রতি।আমাদের দেশের গরীব,অসহায় ও দুখিদের জন্য যে সুখের সময়ে সকলের পাশাপাশি দাড়িয়েছে এবং ভালো মন্দ খবর নিয়েছে।যে মহান নেতা পাশে থাকতেন সবসময় বাঙ্গালীর।এই কথা কখনোই কোনো বাঙ্গালী ভুলে থাকতে পারবেনা।আমরা এবং আমাদের সন্তানেরা সবসময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়েই এবং সেই রক্তাক্ত আগষ্টের কথা ও পাওয়া স্বাধীনতার কথা ভেবেই যেনো আমাদের দেশের সবাই মিলে মিশে সুন্দর ও সুখের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি।সবসময় আমাদের বুকের গভীরে রাখবো আমাদের জাতির জনকে।কবিদের সেই মন কেড়ে নেওয়া ভাষাকে মনে করে;
“তুমি আঁখিতে বিচরণ করিয়াছ,তোমার তুলনায় অন্য কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবেনা এই বাংলায় এবং আসবেনা কভূ ফিরে কোনো জনক ,কোনো দেশ দরদী এই বাংলাদেশের মাটিতে হে,জনক তুমি ১৮কোটি বাঙ্গালীর বুকের গভীরে যতদিন থাকবে পদ্ভা,মেঘনা ও যমুনা ততদিন থাকবে বঙ্গবন্ধু তোমার গড়ে তোলা এই সোনার বাংলাদেশ!! দ্বিতীয় কোনো মুজিব আসবেনা তবে আমরা চাইবো আমাদের জনকের মতোই এই স্বাধীন বাংলাদেশকে ভালোবাসা দিয়ে রাখতে, যেখানেই দেখবো অন্যায় অত্যাচার সেখানেই ছুটে যাবো অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে।তুমি বীর তুমি, বীর বাহাদুর, তুমিই শুধু ছিলে এই দেশ গরাইবার একমাত্র বাংলার কারিগর।যাকে বিশ্ববাসী চিনে থাকেন বাঙ্গালী জাতির জনক হিসেবে।।
আমি নিজের আঁখি ঢালিয়া,চাইয়া রইবো,ঐ ১৫ ই আগষ্ঠের পানে যদিও ফিরে পাবনা তোমায় তুমি তবুও রহিবে মিলে মিশে বাংলাদেশের প্রতি ক্ষনেক্ষনে।তপ্ত সুখে হাসিয়া বেড়াইতে যেন কাদিবেনা কারো হিয়া দেশ দিয়েছো আরো মাতৃভাষা বাংলা তুমি কভু মরিবেনা থাকিবে মনের মাঝেই,এই দেশের মাটিতে সবুজের সমারোহে রহিবে জাগ্ৰত হইয়া।তবুও হৃদয় মোর থাকে সবসময় আকুল হইয়া অগ্নিঝরা সেই আগষ্ঠের মাঝে যেনো অগ্নিশিখা হইয়া থাকবে বেঁচে যুগ যুগান্তর
(নবীন লেখক ও সাংবাদিক:-
-মোঃ ফিরোজ খান)