অপারেটিং সিস্টেম কি? সিঙ্গেল ও মাল্টি ইউজার অপরেটিং সিস্টেম বর্ণনা কর

৫ম অধ্যায়: কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেমের মৌলিক ধারণা

ক) অপারেটিং সিস্টেম কি?

উত্তর: অপারেটিং সিস্টেম বলতে কম্পিউটার প্রোগ্রামের এক্সিকিউশনকে নিয়ন্ত্রণ করে যে সফটওয়্যার তাকেই অপারেটিং সিস্টেম বলে। কম্পিউটারের মেশিনারিজ ভাষাকে আরও সহজতর ভাবে প্রোগ্রামের ইনপুট/ আউটপুট এক্সিকিউশনকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং যা সিডিউলিং, ডিবাগিং, ইনপুট/আউটপুট কন্ট্রোল, একাউন্টিং, কম্পাইলেশন, স্টোরেজ অ্যাসাইনমেন্ট, ডেটা ম্যানেজমেন্ট এবং আনুষঙ্গিক কাজ গুলো করে থাকে। তাই অপারেটিং সিস্টেম।

সহজ কথায় বলে গেলে “কোন সিস্টেম কে অপারেট করতে অন্য যে সিস্টেম ব্যবহার করা হয়, তা ই অপারেটিং সিস্টেম” অপারেটিং সিস্টেমের কাজ হল হার্ডওয়ার গুলোর সাথে একে অপরের যোগসুত্র তৈরি করা এবং এদের অপারেট করা । নিচে বেশ কিছু অপারেটিং সিস্টেমের নাম দেয়া হল…

অপারেটিং সিস্টেম নাম
উইনডোজ অপারেটিং সিস্টেম ( Windows 98, Windows xp, Vista, Windows 7,Windows 8, Windows 8.1, Windows 10 )
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম (Linux OS)
এন্ডয়েড অপারেটিং সিস্টেম (Android OS)
ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম (Mac OS)
হাইকু অপারেটিং সিস্টেম (Haiku OS)
রিয়েক্ট ওএস অপারেটিং সিস্টেম (React OS)
অ্যারোস অপারেটিং সিস্টেম (Aros OS)
ইনফার্নো অপারেটিং সিস্টেম (Infarno OS)


খ) মহামারি কালীন সময়ে বানিজ্যিক সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যেমে ব্যবসয়িক পরিচলনা করার সুবিধা বর্ণনা কর।

উত্তর:মহামারী কালীন সময়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা করা একটু কঠিন হয়ে পড়েছে

এ সময় যদি কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য বাণিজ্যিক সফটওয়্যারের ব্যবহার করা হয় তাহলে ব্যবসা পরিচালনা পদ্ধতি অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।  এবং ব্যবসা পরিচালনা করতে আমি একটা সুবিধা হবে।  মহামারী কালীন সময়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা করার জন্য বাণিজ্যিক সফটওয়্যার ব্যবহারের সুবিধাগুলো বর্ণনা করা হল:

  1. ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পদ্ধতি অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।
  2. তুলনামূলক কম সংখ্যক কর্মী ব্যবহার করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা যাবে।
  3. ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনায় নির্ভুলভাবে হিসাব নিকাশ করা যাবে।
  4.  অনেক কম সময়ে বড় বড় হিসাব নিকাশ নির্ভুলভাবে করা যাবে।
  5.  লাভ-লোকসানের হিসাব রাখা সহজ হবে।
  6.  বাণিজ্যিক  সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনায় আস্থা বাড়বে।
  7.  ব্যবসার বাৎসরিক হিসাব নিকাশ করা সহজ হবে।
  8. অন্য কোন স্থান হতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উপর তদারকি নিশ্চিত করা যাবে।
  9. ব্যবসার লাভ-লোকসানের হিসাব  বের করা সহজ হবে।
  10. সহজেই আয় ও ব্যয়ের হিসাব বের করা যাবে।
  11.  এবং দ্রুত সময়ে যেকোন তথ্য খুঁজে বের করা সহজ হবে।

গ) সিঙ্গেল ও মাল্টি ইউজার অপরেটিং সিস্টেম বর্ণনা কর।

উত্তর: সিঙ্গেল ইউজার অপারেটিং সিস্টেম :

যে অপারেটিং সিস্টেম একক ব্যবহারকারী বা এক টার্মিনালযুক্ত কম্পিউটার পরিচালনার জন্য ব্যবহূত হয় তাকে সিঙ্গেল ইউজার অপারেটিং সিস্টেম বলে। আই, বি, এম পিসি সাধারণ মাইক্রোকম্পিউটারে সিঙ্গেল ইউজার অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহূত হয়। উদাহরণ : DO5. BOS, TOS, WINDOWS 3। WINDOWS 45, WINDOWS ৪৪ ইত্যাদি।

মাল্টি ইউজার অপারেটিং সিস্টেম :

যে অপারেটিং সিস্টেম একাধিক ব্যবহারকারী এবং বহু টার্মিনালযুক্ত কম্পিউটার পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয় তাকে মান্টি ইউজার অপারেটিং সিস্টেম বলে। সুপার, মেইনফ্রেম, মিনি কম্পিউটারে, মাল্টি ইউজার অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ : UNIX. LINUX, UBUNTU, WINDOWS XP, WINDOWS VISTA, WINDOWS 7 ইত্যাদি।

H.S.C

Leave a Comment