১। প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মীকে কখন মানব সম্পদ হিসাবে ঘােষনা করা যাবে?
বিশ্লেষণ কর।
নির্দেশনাঃ
ক. কর্মী প্রশিক্ষণ ধারণা ব্যাখ্যা করবে।
খ, মানব সম্পদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করবে।
গ, মানব সম্পদ ঘােষনা করার স্বপক্ষে যুক্তি প্রদান করবে।
ঘ, উত্তরের স্বপক্ষে নিজস্ব মতামত প্রদান করবে।
উত্তর সমূহ:
ক. কর্মী প্রশিক্ষণ ধারণা ব্যাখ্যা করবে।
উত্তর :
প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মীকে তার বিভিন্ন কাজ সম্পাদন বিষয়ে শিক্ষণ দেয়াই হলো প্রশিক্ষণ। কর্মী নিয়োগ এবং সঠিক স্থানে তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার পরই আসে প্রশিক্ষণের বিষয়। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মী কার্য সম্পাদন বিষয়ে বাস্তব
জ্ঞান দক্ষতা, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞাতা অর্জন করতে পারে। কার্য সম্পাদনের সর্বশেষ কৌশল অর্জন করতে পারে। ফলে তার কাজটিও দক্ষতার সাথে করতে পারে। তাই প্রশিক্ষণের হলো কর্মীর সাফল্যের চাবিকাঠি। প্রশিক্ষণ সম্পর্কে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ বিভিন্ন সংজ্ঞা দিয়েছেন।
যথা ঃ
মাইক্যাল জে জুসিয়াস বলেন প্রশিক্ষণ হলো যেকোন প্রক্রিয়া, যা দ্বারা কর্মীর নির্দিষ্ট
কার্যসম্পাদন প্রবনতা, দক্ষতা এবং সামর্থ্য বৃদ্ধি পায়। ম্যাথস এবং জ্যাকসন হ এর মতে প্রশিক্ষণ হলো শিক্ষন প্রক্রিয়া যা দ্বারা লক্ষ অর্জনের সহায়ক
দক্ষতা, ধারণা, প্রবনতা এবং স্থান বৃদ্ধি পায়। গ্রে ডেসলার এর মতে প্রশিক্ষণ সেই পদ্ধতিকেই নির্দেশ করে যা দ্বারা নতুন এবং বর্তমান কর্মিরা তাদের কার্য সম্পাদনের প্রয়োজনীয় দক্ষতা প্রদান করে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
আর. ডব্লিউ. গ্রিফিন জ.ড. এৎড়ভভরহ কার্যগত বা কারিগরি কর্মীদের যে কাজের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে তারা সে কাজটি কিরুপে করবে এ সংক্রান্ত শিক্ষাই প্রশিক্ষণ।
মতে অনতিবিলম্বে কর্মির বর্তমান কার্য সম্পাদনের জন্য দক্ষতা ও সামর্থ্য বৃদ্দি
সংক্রান্ত সমসাময়িক যে প্রোগ্রাম, তাকেই প্রশিক্ষণ বলা হয়।
উপরের আলোচনার আলোকে আমরা বলতে পারি যে, প্রশিক্ষণ হলো একটি ধারাবাহিকত সামাজিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কর্মিদের কার্যসম্পাদন উপযোগী যোগ্যতা, দক্ষতা, সামর্থ্য ও প্রবনতা বৃদ্দির চেষ্টা করা হয়। ফলে কর্মীদের পেশাগত যোগ্যতা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা বৃদ্দি পায় এবং প্রতিষ্ঠানের পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ অর্জন নিশ্চিত হয়।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
খ, মানব সম্পদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করবে।
উত্তর :
প্রত্যেকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য মানব সম্পদ/ জনশক্তি পরিকল্পনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনশক্তি প্রতিষ্ঠানের জড় উপাদান গুলোকে কাজে লাগিয়ে সক্রিয় করে তোলে।
প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করে প্রতিষ্ঠানকে টিকিয়ে রাখার জন্য জন সম্পদের বিকল্প নেই। জনশক্তি পরিকল্পনা একদিকে যেমন বর্তমান কর্মীর প্রয়োজনীয়তা নিরুপন করে তেমনি ভবিষ্যতের জন্য কর্মীর প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। জনশক্তি পরিকল্পনার গুরুত্ব নিুে ব্যাখ্যা করা হলো
১. মানব সম্পদের কাম্য ব্যবহার জনশক্তি পরিকল্পনার প্রধান উদ্দেশ্য হলো জনশক্তির সুষ্ঠু ও কাম্য ব্যবহার নিশ্চিত করা। এর মাধ্যমে কর্মরত কর্মীর যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতা অনুযায়ী সঠিক কাজে সঠিক কর্মী নিয়োগ করা যায়। ফলে কর্মীদের কার্য সন্তুষ্টি বৃদ্ধি পায় এবং উৎপাদনও বাড়ে।
২. জনশক্তির প্রকৃতি জনশক্তি প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। কর্মরত কর্মীদের আচার ব্যবহারের তারতম্য হেতু জনশক্তি পরিকল্পনার দরকার হয়। কর্মরত কর্মীর সাধারণত চারটি বৈশিষ্ট্য আছে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
যেমন- (১) উন্নত ধরনের নৈপূন্যতার জন্য একজন কর্মীর প্রয়োজন হয়
(২) দীর্ঘ সময় একটি নির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের জন্য স্বাভাবিক ভাবেই কর্মীর উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
(৩) কর্মীর মানসিক তৃপ্তি ও উৎপাদনকে প্রভাবিত করে এবং
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
(৪) প্রতিষ্ঠানের সামগ্রীক পরিবেশের উপর কর্মীর দক্ষতা নির্ভরশীল। জনশক্তি পরিকল্পনার মাধ্যমে কর্মীর এসব বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়।
৩. দক্ষ জনশক্তি সরবরাহ : দক্ষ জনশক্তির উপর প্রতিষ্ঠানের সফলতা নির্ভরশীল। প্রতিষ্ঠানের কাজে ব্যবহৃত অন্যসব উপকরণেগুলোর কাম্য ব্যবহার নিশ্চিত করে এক দল দক্ষ কর্মীবাহিনী।
দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মী সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করতে পারে। ফলে সব ধরনের অপচয় হ্রাস পায়। তাই জনশক্তি পরিকল্পনার দ্বারা সঠিক সময়ে সঠিক কর্মী সরবরাহ ও সংগ্রহ করা যায়।
৪. প্রযুক্তিগত পরিবর্তন ঃ প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তনের ফলে আমাদের চারপাশও হচ্ছে পরিবর্তীত। শিল্প প্রতিষ্ঠানের উন্নতির সাথে সাথে উৎপাদন পদ্ধতিরও পরিবর্তন হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে শিল্প প্রতিষ্ঠানে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মীর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। তাই জরুরী যে কোন পরিবর্তীত অবস্থার মোকাবেলা করতে সুষ্ঠ জনশক্তি পরিকল্পনা অতীব জরুরী।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
৫. কর্মী সংগ্রহ ব্যয় অপরিকল্পিতভাবে কর্মী সংগ্রহ করলে ব্যয় বৃদ্ধি পায়। সে জন্য জনশক্তি পরিকল্পনা করা হয়। জনশক্তি পরিকল্পনায় কর্মীদের সংখ্যা, দক্ষতা ও যোগ্যতা পরীক্ষাসহ কর্মী সংগ্রহ সংক্রান্ত সকল বিষয় থাকে পূর্ব নির্ধারিত ও পরিকল্পিত। ফলে কর্মী সংগ্রহের সময় কোন অসুবিধা হয় না। এতে কর্মী সংগ্রহ ব্যয় হ্রাস পায়।
৬. কৌশলগত পরিকল্পনা বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে রণচাতুর্য্যপূর্ণ পরিকল্পনার আশ্রয় নিতে হয়। কারবারী পরিবেশ বিশ্লেষণ পূর্বক নিজেদের শক্তি ও দূর্বলতা নিশ্চিত করে শক্তি বৃদ্ধি ও দূর্বলতা দূর করতে জনশক্তি পরিকল্পনা বিভিন্নমূখী কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে।
৭. শ্রম ঘূর্ণায়মানতা হ্রাস ঃ এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে কর্মস্থল বদলানোর অথবা প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করার প্রবণতাকে শ্রম ঘূর্ণায়মানতা বলে। প্রথমত স্বেচ্ছামূলক- যেমন বিবাহ, অধিক সুযোগ সুবিধার জন্য চাকুরি পরিবর্তন, অগ্রীম অবসর গ্রহণ ইত্যাদি এবং দ্বিতীয়ত কর্মচারী ছাটাই, অবসর গ্রহণ, মৃত্যু ইত্যাদি বাধ্যতামূলক কারণ। শ্রম ঘূর্ণায়মানতা এক ধরনের অপচয় বিধায়, সুষ্ঠু জনশক্তি পরিকল্পনার দ্বারা শ্রমিক কর্মীদের প্রতিষ্ঠান ত্যাগের প্রবণতা কমানো যায়।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
৮. কর্মীদের স্থান পরিবর্তন ঃ বিভিন্ন কারণে শ্রমিক কর্মীরা একস্থান থেকে অন্য স্থানে কর্মসংস্থানের জন্য যায়। একই দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন জেলায় অথবা একই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শাখায় কর্মীদের কার্য পরিবর্তন করতে দেখা যায়। এই ধরনের পরিবর্তন অস্বাভাবিক ও অপরিকল্পিত হলে একটি অফিসে কর্মীর সংখ্যা অস্বাভাবিক হ্রাস-বৃদ্ধি পেতে পারে, যা প্রতিষ্ঠানের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। জনশক্তি পরিকল্পনার মাধ্যমে এ ধরনের অসুবিধা দূর করা যায়।
৯. কাম্য তদারকি প্রতিষ্ঠানের সামগ্রীক কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পদিত হচ্ছে কিনা তা সঠিকভাবে তদারক করতে হয়। এজন্য তদারকী স্তর সহনীয় মাত্রার সংখ্যা দ্বারা নির্ধারণ করা হয়, যা সুষ্ঠুভাবে কর্মীদের তত্তাবধান করা সম্ভব। জনশক্তি পরিকল্পনার দ্বারা কম্য তদারকী ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব।
১০. শিল্প সম্পর্ক উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা ও কর্মী এবং কর্মী ও কর্মীর মধ্যকার আশু কার্য সম্পর্ককে শিল্প সম্পর্ক বলে। এই সম্পর্ক যত মধুর হয় শিল্প উৎপাদন তত বৃদ্ধি পায়। সুতরাং প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে একটি সুন্দর শিল্প সম্পর্ক মালিক-শ্রমিক উভয়ের কাম্য। তাই শিল্প সম্পর্ক উন্নয়নে মানব সম্পদ পরিকল্পনার গুরুত্ব অত্যাধিক।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
১১. প্রশিক্ষণ স্তর নির্বাচন ঃ এটি প্রশিক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। প্রশিক্ষণ স্তর নির্ধারিত না থাকলে কাকে কোন প্রশিক্ষণ দিতে হবে তা জানা যায় না। তাই শ্রশিক্ষণের সঠিক স্তর নির্বাচন করা মানব সম্পদ পরিকল্পনার অন্যতম উদ্দেশ্য।
১২. কর্মী উন্নয়ন ঃ কর্মরত কর্মীদের উন্নয়নের জন্য মানব সম্পদ পরিকল্পনা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। প্রতিষ্ঠানের চাহিদা ও সামর্থ্য অনুযায়ী মানব সম্পদ পরিকল্পনা বিভাগ এ সংক্রান্ত কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে।
১৩. সার্বিক কল্যাণ ঃ মানব সম্পদ বিভাগ প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কল্যাণের জন্য যথাযথ কর্মসূচি প্রণয়ন করে থাকে। কর্মীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য উপাদান কার্যকরী হয়, যার দায়িত্বে থাকে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ। সুতরাং এ
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
গ, মানব সম্পদ ঘােষনা করার স্বপক্ষে যুক্তি প্রদান করবে।
উত্তর :
উন্নয়ন বলতে কী বুঝায় এ প্রশ্নের জবাব দেবার একটি উপায় হচ্ছে উন্নত এবং অনুন্নত বিশ্বের দেশগুলোর একটি তুলনামূলক চিত্র উপস্থাপন করা। সাধারণভাবে অনুন্নত দেশগুলোর জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশের মধ্যে আয় এত কম যে জীবনের আবশ্যিক প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো যেমন খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান এর সংস্থান করাই তাদের জন্য কষ্টকর।
শিক্ষার প্রসার কম, পুষ্টি ও চিকিৎসার অভাবে বেশিরভাগ লোকই বিভিন্ন ধরনের রোগে ভোগেন। অস্বাস্থ্যকর আবাসান, অপর্যাপ্ত ব্যবস্থা এ সবই হচ্ছে অনুন্নত দেশের সার্বিক চিত্র। অপরদিকে, উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই যে, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির লোকদের মধ্যে আয়ের বৈষম্য থাকলেও জনসংখ্যার বিরাট অংশই খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের ন্যূনতম মান বজায় রাখতে পারে। সব লোকেরই নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে, পুষ্টির মান ভাল হওয়ায় জনগণ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী।
রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, গ্যাস, টেলিফোন-এসব অবকাঠামোর অবস্থা ভাল। উপরের তুলনামূলক আলোচনা থেকে উন্নয়ন সম্পর্কে মোটামোটি একটি ধারণা বা চিত্র পাওয়া যাচ্ছে, সেটি হচ্ছেউন্নয়ন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে একটি দেশের মানুষ তাদের জীবনের ন্যূনতম প্রয়োজন (অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান) মেটানোর সাথে সাথে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মানও বাড়াতে পারেন। ব্যক্তি জীবনের পাশাপাশি দেশের সার্বিক অবকাঠামোর (যেমন- রাস্তাঘাট, আবাসন, বিদ্যুৎ, টেলিযোগাযোগ) উন্নয়ন ঘটে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
উন্নয়নের একটি গ্রহণীয় সংজ্ঞা নির্ধারণ খুবই কঠিন। কারণ এক এক তাত্ত্বিক এক এক ধরনের সংজ্ঞা দিয়েছেন। যেমন- অর্থনীতিবিদরা সব সময়ই উন্নয়নের সংজ্ঞার মধ্যে অর্থনীতিকে টেনে এনেছেন। সমাজবিজ্ঞানীরা উন্নয়নের সংজ্ঞার মধ্যে সমাজের উন্নয়নকে জোর দিয়েছেন। মনোবিজ্ঞানীরা উন্নয়নের সংজ্ঞার মধ্যে মানুষের মনমানসিকতার উন্নয়নকে জোর দিয়েছেন। প্রযুক্তিবিদ ও বিজ্ঞানীরা উন্নয়নের সংজ্ঞার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসারের ওপর জোর দিয়েছেন।
নৃ-বিজ্ঞানীরা উন্নয়নের সংজ্ঞার মধ্যে সমাজ ও সংস্কৃতির উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়েছেন। ফলে দেখা যায়, কেউই উন্নয়নের সর্বজনীন ও গ্রহণীয় সংজ্ঞা দিতে পারেননি। প্রত্যেকেই একটি নির্দিষ্ট সমাজ বা দেশের প্রেক্ষাপটে উন্নয়নের সংজ্ঞা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। এখন দেখা যাক বিভিন্ন তাত্ত্বিকের দৃষ্টিভঙ্গির পরিপ্রেক্ষিতে উন্নয়নের অতীত ও বর্তমানের সংজ্ঞা, যা উন্নয়নের গ্রহণীয় সংজ্ঞা সম্পর্কিত ধারণাকে আরো স্পষ্ট করবে।
অর্থনীতিবিদরা উন্নয়নের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেন, উন্নয়ন হলো কোনো দেশ বা সমাজে যদি মুক্ত অর্থনীতির কাঠামো বিরাজমান থাকে তবেই ওই দেশের উন্নয়ন সম্ভব। কারণ তারা মনে করেন, এ অবস্থা সমাজ বা দেশে বিরাজমান থাকলে ব্যক্তিস্বার্থ উন্নয়নে সবাই আগ্রহী হবেন।
আর এ জন্য সমষ্টিগত স্বার্থের উন্নয়ন তথা জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব হয়ে উঠবে। মার্কসবাদীরা বলেন, উন্নয়নের ক্ষেত্রে পুঁজিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর উপনিবেশবাদ দূর করতে পারলে এবং সুষম বণ্টন করতে পারলে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক যে পরিবর্তন সংঘটিত হবে তা-ই উন্নয়ন।
পশ্চিমা দেশগুলোর পুঁজিবাদী বাজারব্যবস্থা পুনর্গঠন করে সমাজতন্ত্রের দিকে অগ্রসর হলেই উন্নয়ন সম্ভব। আবার পুঁজিবাদীরা বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিই হলো উন্নয়ন, যেখানে ব্যক্তিকেন্দ্রিকতার স্থান এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যক্তিমালিকানায় রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের ব্যাপক পরিবর্তন আনয়ন করে উন্নয়ন করার কথা বলা হয়েছে। উন্নয়নের এসব সংজ্ঞা তাত্ত্বিকদের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণরূপে গ্রহণযোগ্য নয়। লব্ধ ও অর্জিত অভিজ্ঞতা থেকে উন্নয়নের গ্রহণীয় সংজ্ঞা হতে পারে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
‘উন্নয়ন’ শব্দের অর্থ হলো উন্নতি হতে যাচ্ছে এমন অর্থাৎ উন্নয়ন হলো পরিবর্তনের একটি প্রক্রিয়া, যা বস্তুগত ও মানসিক উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কোনো সমাজ বা দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, মানসিক, চিন্তাগত ও সাংস্কৃতিক অবস্থা ইত্যাদির পরিবর্তন (উন্নতি) হওয়াই হলো উন্নয়ন। এসব বিষয়ের সুসংগঠিত কাঠামো গঠনপূর্বক উৎপাদনমুখী প্রযুক্তি ব্যবহার, শ্রম, মেধা ও পুঁজির সঠিক প্রয়োগসম্বলিত ব্যবস্থা থেকে প্রাপ্ত সুফল সমাজ বা দেশের জনগণের চিন্তা-চেতনায় যৌক্তিকভাবে নিবেদন করলে জনগণের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক যে উন্নতি সাধন হয় তা-ই হলো উন্নয়ন।
অর্থাৎ উন্নয়ন শুধু পরিমাণগত, পরিমাপগত ও সাংখ্যিক উন্নতি নয় বিষয়ও উন্নয়ন প্রত্যেয়টির সঙ্গে সম্পৃ ক্ত। অতএব আমরা বলতে পারি উন্নয়ন হলো কোনো সমাজ বা দেশের নাগরিকদের জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত সামগ্রিক বিষয়ের উন্নতি সাধন, যেখানে সব বিষয় সমান গুরুত্ব পায়।
সম্পদ
সাধারণত সম্পদ বলতে টাকাপয়সা, ধন-দৌলত প্রভৃতিকে বোঝায়। কিন্তু সম্পদ শব্দটি বিশেষ অর্থে ব্যবহৃত হয়। অর্থনীতিতে সম্পদ হলো, যা কিছু মানুষের অভাব পূরণ করে ও যার জোগান অপ্রতুল।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
এ অর্থে সকল প্রকার অর্থনৈতিক দ্রব্যকেই সম্পদ বলা যায়। তবে সম্পদ হতে হলে অবশ্যই বিনিময়মূল্য থাকতে হবে। অর্থাৎ অর্থের বিনিময়ে কেনাবেচা করা যায় এমন বস্তুগত ও অবস্তুগত দ্রব্যকে সম্পদ বলে। সুতরাং যেসব দ্রব্যের উপযোগ রয়েছে, জোগান চাহিদার তুলনায় সীমাবদ্ধ যা হস্তান্তরযোগ্য এবং বাহ্যিক সত্তার অধিকারী, তাকেই অর্থনীতিতে সম্পদ বলা হয়।
মানব সম্পদ উন্নয়ন
মানব সম্পদ উন্নয়ন কথাটির মানে কি তা আগে আলোচনা করা দরকার। হাংগেরির বুদাপেষ্টের এক সম্মেলনে বলা হয় যে, আধুনিক অর্থে মানব সম্পদ উন্নয়ন হল মানুষের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ, অর্থাৎ উৎপাদন কর্মে প্রয়োজনীয় উপকরণ হিসেবে মানুষের কারিগরি দক্ষতা বা ব্যবহারের উপযোগিতা বৃদ্ধিকরণ।
শিক্ষা ও উন্নয়ন
শিক্ষা এমন এক মাধ্যম যার সাহায্যে মানব সম্পদের উন্নয়ন ঘটে। এ কারণেই শিক্ষাকে জাতীয় উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি বলা হয়েছে। শিক্ষা মানুষের জ্ঞান-অভ্যাস,আচরণ ও মূল্যবোধকে প্রভাবান্বিত করে। শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষতা অর্জিত হয়।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল তিনটি- যার একটি হল মানুষের দৈহিক ও মানসিক দক্ষতা বৃদ্ধি, ব্যক্তির ভিতর মানবীয় গুণাবলীর বিকাশ ও চরিত্র গঠন এবং সার্বজনীন ও শাশ্বত একটি প্রেরণার উৎস হিসেবে গ্রহণ করে।
শিক্ষা ছাড়া একটি জাতি কখনও দাড়াতে পারবে না। শিক্ষা একদিকে যেমন মানুষের জ্ঞানের ভাণ্ডারকে পরিপূর্ণ করে, অন্যদিকে অর্থনৈতিক দৈন্য এড়াতেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। শ্রমের বর্ধিত উৎপাদনশীলতা, ভূমি ও অন্যান্য বস্তুগত সম্পদের কার্যকর ব্যবহার এবং আর্থসামাজিক ক্ষমতায়নে শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে থাকে। তাছাড়া শিক্ষাগত অর্জনকে গতিশীল সামাজিক সচলতার শক্তিশালী উপকরণ হিসেবেও দেখা যেতে পারে। একে সামাজিক মই -ই বলা চলে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
শিক্ষা উন্নয়নের একটি মুখ্য হাতিয়ার। এ কথা ঠিক যে, সবার জন্য গুণগত মানের শিক্ষা, বৈষম্যহীন ও বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে যেকোনো জাতির উন্নয়ন হবেই। বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে একটি দেশে জাতীয় আয় দ্রুত বৃদ্ধি পায়, দারিদ্র্য বিমোচন হয় তথা উন্নয়ন সহজতর হয়।
শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, ভূমি ও অন্যান্য বৈষয়িক সম্পদের অধিকতর কার্যকর ব্যবহার, প্রযুক্তি ও দক্ষতা ভিত্তিক পণ্যের অধিক রপ্তানি বাড়াতে সাহায্য করে। শিক্ষা ও দারিদ্র্যের মধ্যে নেতিবাচক সম্পর্ক রয়েছে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
একটি দেশে বা পরিবারে শিক্ষিত লোকের সংখ্যা বাড়লে সেই দেশ বা পরিবারের দৈন্য কমে। দারিদ্র্য রেখার উপরিভাগ প্রশস্ত হয়। সামাজিক পরিবর্তনে শিক্ষার ইতিবাচক ভূমিকা আখেরে অর্থনৈতিক উন্নয়নকেও ত্বরান্বিত করে। ব্যাষ্টিক এবং সামষ্টিক উভয় পর্যায়েই শিক্ষা দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারে।
ব্যষ্টিক পর্যায়ে দেখা যায়, নিরক্ষর ব্যক্তি কিংবা তার পরিবারের অন্যান্য সদস্য কম উৎপাদনশীল হয়; কম আয়ের কাজে নিযুক্ত থাকে এবং দারিদ্যসীমার নিচে বাস করে। সামষ্টিক পর্যায়ে দেখা যায়, নিরক্ষর জাতি পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদন বাড়াতে পারে না এবং তাদের জীবনযাত্রার মান নিচু হয়। তাছাড়া শিক্ষা অন্যান্য মৌলিক প্রয়োজনের মানও বাড়ায়। বাংলাদেশেও শিক্ষিত জনগণের চেয়ে নিরক্ষর জনগণের মধ্যে দারিদ্র্য প্রায় সাত গুণ (৬.৭) বেশী।
পরিবার প্রধানের কোন আনুষ্ঠানিক শিক্ষা নেই এমন পরিবারের দারির্দ্যের মাত্রা উচ্চ শিক্ষিত পরিবার প্রধানের পরিবার থেকে কম করে হলেও ৬ থকে ৭ গুণ বেশি। শুধুমাত্র উপযুক্ত শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে পারলে কম করে হলেও গ্রামীণ গরিব মানুষের ৫৭ শতাংশের ভাগ্য বদলে দেয়া সম্ভব।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
ঘ, উত্তরের স্বপক্ষে নিজস্ব মতামত প্রদান করবে।
উত্তর :
উপরের আলোচনা থেকে আমাদের মনে হয় এক জন লোক ব্যক্তিকে মানব সম্পদে রুপ দানের জন্য সকল উপাদান নেই ।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
Assignment
- এইচএসসি বিএম মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা (২৬১৮) এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
- এইচএসসি বিএম কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর 2021
- BM Business Enterprise Assignment Answer 2021
- এইচএসসি বিএম ব্যবসায় উদ্যোগ (২৪১৮) এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
- Finance Banking & Insurance-1st (2218) Assignment Answer
- Agro Machinery-2nd Assignment Answer HSC Vocational
- এইচএসসি (ভোকেশনাল) এগ্রোমেশিনারি-২য় (৮২১১২)অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
- Vocational Agro Machinery – 1st (82111) Assignment Answer
- এইচএসসি ভোকেশনাল এগ্রোমেশিনারি-১ম (৮২১১১)অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
- এইচএসসি বিএম ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা -১ম (২২১৮) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
- ডিপ্লোমা ইন কমার্স /বিএম/ভোকেশনাল শেষ অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ
- এইচএসসি ভোকেশনাল কম্পিউটার অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স (৮২৫১১)অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
- এইচএসসি ভোকেশনাল ইলেকট্রিক্যাল ওয়্যারিং ৮২৭১১ এসাইনমেন্ট উত্তর
- HSC Diploma in Commerce Life Skill Development (1718) Assignment Answer
- এইচএসসি ডিপ্লোমা ইন কমার্স লাইফ স্কিল ডেভেলপমেন্ট (১৭১৮) এ্যাসাইনমেন্ট সম্পূর্ণ উত্তর
1 thought on “কর্মী প্রশিক্ষণ ব্যয় নয় বিনিয়ােগ , কর্মী প্রশিক্ষণ, মানব সম্পদের বৈশিষ্ট্য, ঘােষনা ও নিজস্ব মতামত”