Sub: Home Science 3rd Week Assignment Answer Class 8 Assignment Answer 2021

বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তুমি সারাদিন বাসায় অবস্থান করছো। সময় তালিকা প্রণয়ন করে লেখাপড়া ও অন্যান্য কাজকর্ম করা উচিত। তাই এ পরিস্থিতিতে তোমার দৈনন্দিন কাজকর্ম কিভাবে করছো –

  1. তোমার সারাদিনের কর্মকাণ্ডের জন্য একটি সময় তালিকা প্রণয়ন করো।
  2. সময় তালিকা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করো।
  3. সময় তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে তুমি কোন কোন বিষয় বিবেচনা করেছো?

সমাধান :-

মানুষের জীবনে সময় এমনই এক সম্পদ, যা সবার জন্য সমান এবং একেবারেই সীমিত।

এই সীমিত সম্পদের মধ্যে যে ব্যক্তি যত বেশি অর্থবহ কাজ দিয়ে নিজেকে সময়ের সাথে সম্পৃক্ত করতে পারবে, জীবনে সে ততো বেশি সফলকাম হবে।

সময়কে যথাযথভাবে ব্যবহার করে মানুষ ব্যক্তিগত, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

প্রতিদিন আমাদের জন্য ২৪ ঘন্টা সময় বরাদ্দ রয়েছে । কোন অবস্থাতেই একে বাড়ানো সম্ভব নয় । অথচ চাহিদা অনুযায়ী আমাদের অনেক কাজ করার থাকে । সে কারণেই সময়ের সদ্ব্যবহার এর প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।

আমাদের উদ্দেশ্য হবে কম সময় ব্যয় করে বেশি কাজ করা এবং সময়ের অপচয় না করা । আর সেজন্যই আমাদের সময়ের পরিকল্পনা করা প্রয়োজন।

একদিনে আমরা কি কি কাজ করব , কখন করব , নির্দিষ্ট কাজে কতটুকু সময় ব্যয় করবো ইত্যাদির সমন্বয়ে একটি লিখিত পরিকল্পনা বা সময়-তালিকা প্রণয়ন করা হয়।

আমার সারাদিনের কর্মকাণ্ডের জন্য একটি সময় তালিকা প্রণয়ন করা হলো-

  • ৫:০০ টায় – ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া।
  • ৫:২০ টায় – প্রার্থনা করা।
  • ৫:৪০ টায় – হালকা নাস্তা করা।
  • ৬:০০ টায় – শরীরচর্চা করা।
  • ৬:৩০ টায় – পড়তে বসা (গণিত, বিজ্ঞান পড়া )।
  • ৮:৩০ টায় – সকালের নাস্তা করা।
  • ৯:৩০ টায় – ঘরের কাজে সহায়তা করা, ঘর গোছানো।
  • ১০:৩০ টায় – গাছ-গাছড়ার পরিচর্যা করা, গাছে পানি দেয়া।
  • ১১:৩০ টায় – গোসল করা।
  • ১২:০০ টায় – দুপুরের খাবার খাওয়া।
  • ১২:৩০ টায় – রেস্ট নেয়া।
  • ১:০০ টায় – প্রার্থনা করা।
  • ১:৩০ টায় – বিশ্রাম ( ঘুমানো )।
  • ৩:৩০ টায় – পড়তে বসা (ইংরেজি )।
  • ৪:৩০ টায় – প্রার্থনা করা।
  • ৫:০০ টায় – খেলাধুলা করা।
  • ৬:০০ টায় – প্রার্থনা করা।
  • ৬:২০ টায় – হালকা নাস্তা করা।
  • ৬:৩০ টায় – পড়তে বসা ( বাংলা, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় )।
  • ৮:৩০ টায় – প্রার্থনা করা।
  • ৯:০০ টায় – রাতের খাবার খাওয়া।
  • ৯:৩০ টায় – পড়তে বসা ( বাকি সাবজেক্টগুলো )
  • ১০:৩০ টায় – টেলিভিশন দেখা।
  • ১১:৩০ টায় – ঘুমাতে যাওয়া।

সারাদিনের কর্মকাণ্ডের সময় তালিকা প্রণয়ন, এর প্রয়োজনীয়তা ও বিবেচ্য বিষয়

সময় তালিকার প্রয়োজনীয়তা :-

  • করণীয় কাজ সম্পর্কে ধারণা হয় । কোন কাজগুলো বেশি এবং কোন কাজগুলো কম প্রয়োজনীয় সে সম্বন্ধে সঠিক ধারণা লাভ করা যায়।
  • সময়মতো কাজ করার অভ্যাস গড়ে উঠে । কাজের সময় নির্ধারিত থাকে বলে সময়ের কাজ সময়ে করার অভ্যাস গড়ে ওঠে।
  • প্রতিটা কাজে কতটুকু সময় ব্যয় হয় তার ধারণা জন্মে।
  • কাজের দক্ষতা ও গতিশীলতা বাড়ে। সময়-তালিকা অনুসরণ করলে সময় মত কাজ শেষ হয়ে যায়। বাড়তি সময়ে বিভিন্ন রকম সৃজনশীল কাজের সুযোগ পাওয়া যায়।
  • বিশ্রাম , অবসর ও বিনোদন করা সম্ভব হয়। কারণ , সময়-তালিকায় কাজ , বিশ্রাম ও অবসর বিনোদনের ব্যবস্থা থাকে।

ছোটবেলা থেকেই আমাদের সবারই সময়ের প্রতি যত্নবান হওয়া দরকার।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সময় মতো সব কাজ করলে কাজ জমে যায় না। ফলে প্রয়োজনীয় কাজগুলো সহজেই সম্পন্ন করা যায়।

যেমন- ছাত্রছাত্রীরা যদি প্রতিদিনের পড়ালেখা সময়মত সম্পন্ন করে , তাহলে সে খুব সহজে কৃতকার্য হতে পারবে। আর যে সময় মত পড়ালেখা করে না , পরীক্ষার সময় পড়া তার কাছে বোঝা মনে হবে ।
সময় মত পড়ালেখা না করার জন্য তখন এই সমস্যা তৈরি হবে।

তাইতো একটি প্রচলিত বচন আছে যে- “সময়ের এক ফোঁড় , অসময়ের দশ ফোঁড়।”

সময় তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে আমি যে যে বিষয় বিবেচনা করবোঃ

সময় তালিকা করার সময় কিছু বিষয় বিবেচনায় আনতে হয় যেমন –

  • দৈনিক করণীয় কাজ গুলো নির্ধারণ করতে হবে গুরুত্ব অনুসারে কাজের অগ্রাধিকার দিতে হবে।
  • যৌথভাবে কাজ করতে হলে অন্যের সুবিধা-অসুবিধার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
  • সময়-তালিকায় কাজের সময় বিশ্রাম ও অবসর সময় রাখতে হবে।
  • একটা কঠিন বা ভারী কাজের পর হালকা কাজ বা বিশ্রাম দিতে হবে।
  • সময় তালিকা নমনীয় হতে হবে যাতে প্রয়োজনে রদবদল করা যায়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

Leave a Comment