প্রথমদিকের লড়াই
ক্লে ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দের ২৯শে অক্টোবর পেশাদার বক্সিং প্রতিযোগিতায় প্রথম বারের জন্য অংশ নেন এবং টানি হানসাকারকে ছয় রাউন্ডে পরাজিত করেন। বাসন মাজা ও ঝাঁট দেওয়ার মত কাজ করতে অস্বীকৃত হয়ে ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে ক্লে তার প্রশিক্ষক আর্চি মুরকে ত্যাগ করেন।
এরপর তিনি অ্যাঞ্জেলো ডান্ডিকে প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেন। [২৯] এই সময় তিনি সুগার রে রবিনসনকে ম্যানেজার হিসেবে চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হন।.[৩০]
এরপর থেকে ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দের শেষার্ধ পর্যন্ত ক্লে ১৯-০ জয়ের রেকর্ড করেন যার মধ্যে ১৫টি জয় নকআউটের মাধ্যমে ঘটে। এই সময় তিনি টনি এস্পার্তি, জিম রবিনসন, ডনি ফ্লীম্যান, আলোঞ্জো জনসন, জর্জ লোগান, উইলি বেসমানফ, ল্যামার ক্লার্ক, ডগ জোন্স, হেনরি কুপার ইত্যাদি মুষ্টিযোদ্ধাদের পরাজিত করেন। ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে ক্লে আর্চি মুরকেও পরাজিত করেন।
প্রথম দিককার এই লড়াইগুলিতে ক্লেকে বেশ কয়েক বার সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। হেনরি কুপারের সঙ্গে লড়াইয়ে ক্লে চতুর্থ রাউন্ডে কুপারের হুকে মাটিতে পড়ে যান, কিন্তু সঠিক সময়ে ঘণ্টার আওয়াজে বেঁচে যান।
১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ই মার্চ নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে ডগ জোন্সের সঙ্গে লড়াই এই সময় তার জীবনের কঠিনতম লড়াই ছিল। প্রতিটি লড়াইয়ের শুরুতে ক্লে তার প্রতিপক্ষকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতেন ও নিজের ক্ষমতার দম্ভ করতেন। তার এই আচরণ বহু দর্শকদের মনে ক্রোধের সঞ্চার করত।
ক্যাসিয়াস ক্লে হলেন মোহাম্মদ আলি
শিরোপা জয় করার পর তিনি দ্রুত খ্যাতির শীর্ষে পৌছে যান। এ সময় তিনি ঘোষণা দেন তিনি নেশন অফ মুসলিম(Nation of Muslim) গোত্রের সদস্য। তার নাম রাখা হয় ক্যাসিয়াস এক্স, কারণ তিনি মনে করতেন তার পদবী দাসত্বের পরিচায়ক।
এর কিছুদিন পর গোত্র প্রধান সাংবাদিকদের কাছে তাকে মোহাম্মদ আলি বলে পরিচয় করিয়ে দেন|কথিত আছে তিনি সুন্নী সুফি শায়খ হিশাম কাব্বানীর হাতে মুরিদ হন.
- মমতা ব্যানার্জি না জানা তথ্য
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী জীবনি। পাঠ-১
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী জীবনি। পাঠ-২