মুহাম্মদ আলী আলীর শেষ কথা।। মুহাম্মদ আলী আত্মজীবনী পাঠ-১০

আলীর বাংলাদেশ সফর

১৯৭৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি একটি বিদেশি সংস্থা ৫ দিনের সফরে তাকে ঢাকায় এনেছিল। সে সময় তার সফর সঙ্গী ছিলেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী ওই সময়ের বিখ্যাত মডেল ভেরোনিকা পরশে, মেয়ে লায়লা আলী, ভাই, বাবা ও মা।

একবার কিংবদন্তি বক্সার মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে বাংলাদেশের হয়ে কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় প্রথম পদকজয়ী বক্সার আবদুল হালিম একই রিংয়ে নেমেছিলেন। তবে সেদিন আবদুল হালিমকে নকআউট করেননি তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন মোহাম্মদ আলী।

তিনি আরও ছোট কাউকে চেয়েছিলেন তার সাথে মজা করার জন্য,তখন বাংলাদেশের জুনিয়র বক্সিং চ্যাম্পিয়ন ১২ বছর বয়সী গিয়াস উদ্দিন তার সাথে বক্সিং খেলার সুযোগ পান।

সেই সফরে বাংলাদেশ সরকার তাকে সম্মান সূচক নাগরিকত্ব প্রদান করে।[৩৮] পল্টনের বক্সিং স্টেডিয়ামকে তার নামে নামকরণ করা হয়।[৩৯]

শেষ কথা

১৯৮০ সালে তিনি পারকিন্সন্স রোগে (en:parkinson’s disease) আক্রান্ত হন। তাকে যখন বলা হয় তিনি তার রোগের জন্য বক্সিংকে দায়ী করেন কিনা, তিনি বলেন বক্সিং না করলে এত বিখ্যাত হতেন না।

অবসরের পরে তিনি তার জীবনকে মানবতার কল্যাণে উৎসর্গ করেছিলেন। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। ৩২ বছর পারকিনসন্স রোগে ভোগার পর ০৩ জুন, ২০১৬ তে ৭৪ বছর বয়সে মারা যান তিনি।[৪০]

Leave a Comment