শ্রেণি: HSC ইন কমার্স -2021 বিষয়: বাণিজ্যিক ভূগোল এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021 |
---|
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 06 বিষয় কোডঃ 1717 |
বিভাগ: ভোকেশনাল শাখা |
শিখনফল/বিষয়বস্তু :
- বাংলাদেশের বাণ্যিজ্যিক ভূগোল (বাংলাদেশের কৃষি)
নির্দেশনা (সংকেত/ ধাপ/ পরিধি):
- কৃষির সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ বর্ণনা করতে হবে
- বাংলাদেশের কৃষির সমস্যা ও সমাধান সম্পর্কে ব্যাখা করতে হবে
- বাংলাদেশের খাদ্যশস্য ও অর্থকরী ফসলের ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে
- বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষির অবদান ব্যাখ্যা করতে হবে।
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
কৃষিকাজ হল—মানুষের একটি অন্যতম প্রাথমিক অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ। ‘কৃষি’ শব্দটি সংস্কৃত ‘কৃষ’ (কর্ষণ করা) ধাতু থেকে এসেছে। অন্যদিকে লাতিন শব্দ ‘Ager’ (Field বা ক্ষেত্র) থেকে Agriculture শব্দটির উদ্ভব হয়েছে।
অধ্যাপক জিমারম্যান বলেছেন, জমিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করে মানুষ যখন উদ্ভিদ ও প্রাণী জগতের স্বাভাবিক জন্ম ও বৃদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে নিজের প্রয়ােজন মেটানাের জন্য উদ্ভিজ্জ ও প্রাণীজ দ্রব্যাদি উৎপাদন করে, তখন সেই উৎপাদন প্রক্রিয়াকে কৃষিকাজ বলে। শস্য উৎপাদন, পশুপালন, বনসৃজন, মৎস্যচাষ, পশম উৎপাদন প্রভৃতি কৃষিকাজের অন্তর্গত।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
বাংলাদেশের কৃষির সমস্যা বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। কিন্তু এখানে কৃষির আশানুরূপ উন্নয়ন হয়নি। এজন্য অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় আমাদের কৃষি ফসলের একর প্রতি ফলন কম। নিচে কৃষির সমস্যা সম্পর্কে আলোচনা করা হল :
১. আধুনিক প্রযুক্তির কম ব্যবহার : উন্নতমানের বীজ, সার, সেচ ও কীটনাশক ব্যবহার করে কৃষির ফলন বাড়ানো যায়। কিন্তু বাংলাদেশে আধুনিক প্রযুক্তির আশানুরূপ প্রসার ঘটেনি। ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির কিছু প্রসার ঘটেছে। কিন্তু অন্যান্য ফসলের ক্ষেত্রে এর প্রসার অত্যন্ত কম বা নেই বললেই চলে।
২. কৃষি ঋণের অভাব : আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য নগদ অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু অধিকাংশ কৃষকই দরিদ্র বলে তাদের নগদ অর্থের অভাব থাকে। কৃষক ঋণ নিয়ে উপকরণ কিনতে পারে। কিন্তু সংগঠিত উৎস থেকে বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় কম। তাই কৃষকেরা প্রয়োজনীয় ঋণ পায় না। এক হিসেবে দেখা যায় শতকরা ৮০ ভাগ কৃষক যাদের ০.৫০ একরের কম জমি আছে তারা কৃষি ঋণ পায় না। কৃষক অসংগঠিত উৎস থেকে ঋণ নিতে পারে। কিন্তু এই প্রকার সুদের হার এত বেশি যে এই সুদে ঋণ নিয়ে ফসল উৎপাদন লাভজনক হয় না।
৩. অপর্যাপ্ত উপকরণ সরবরাহ : আধুনিক প্রযুক্তি অত্যন্ত সংবেদশীল। ঠিক সময়মত সার, সেচ ও কীটনাশক ব্যবহার না করলে ফলন খুব কম হয়। অনেক সময় বাজারে সার ও
কীটনাশকের অভাব দেখা দেয়। কখনও জ্বালানীর অভাবে সেচের অসুবিধা দেখা দেয়। এসব কারণে কৃষক আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত বোধ করে।
৪. ত্র“টিপূর্ণ বিপণন ব্যবস্থা : বাংলাদেশে কৃষক কৃষিপণ্যের বিপণন ব্যবস্থায় ত্র“টির জন্য ফসলের যে দাম পায় তাতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার অনেক সময় পোষায় না। নগদ অর্থের জরুরী প্রয়োজন মেটানোর জন্য অধিকাংশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষক ফসল তোলার পর পরই ফসল বিক্রয় করে ফেলে। সে সময় ফসলের দাম কম হয় বলে তারা ভাল দাম পায়না। এছাড়া গুদামঘরের অভাব, পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার স্বল্পতার জন্যও তারা ফসলের প্রত্যাশিত দাম পায় না।
৫. অভাব : বাংলাদেশের জনগণ অধিকাংশই দরিদ্র বলে তাদের ক্রয়ক্ষমতা কম। এজন্য কৃষি পণ্যের চাহিদা আশানুরূপ হারে বাড়ে না। ফলে ফসলের দাম কম হয়।
৬. কম উৎপাদনশীলতা : আমাদের কৃষির উৎপাদনশীলতা কম। ফলে অনেক ফসলের উৎপাদন খরচ বেশি পড়ে। এসব পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে তুলনামূলকভাবে কম দামে পাওয়া যায়। অবাধ আমদানি নীতির ফলে কিংবা প্রায় উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক সীমান্ত হওয়ার ফলে এসব সস্তা পণ্য দেশে আসে এবং প্রতিযোগিতায় দেশীয় পণ্য মার খায়।
৭. পরিবেশগত অবনতি : বাংলাদেশে নানাবিধ কারণে পরিবেশগত অবনতি ঘটছে। যেমন − অতিরিক্ত হারে গাছপালা কাটা, জলাভূমি চাষের আওতায় আনা, ভারসাম্যহীন সার ব্যবহার, ত্র“টিপূর্ণ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ ইত্যাদি কারণে জমির উর্বরতা শক্তি কমে যাচ্ছে এবং জলাবদ্ধতা ও লবাণক্ততা সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
৮. প্রাকৃতিক দুর্যোগ : বাংলাদেশের কৃষির উপর প্রকৃতির প্রভাব খুব বেশি। যখন প্রকৃতি অনুকূল থাকে তখন কৃষি ফলন ভাল হয়। কিন্তু বন্যা, খরা, কীটপতঙ্গের আক্রমণ প্রভৃতি কারণে ফসলের মারাÍক ক্ষতি হয় এবং সার্বিকভাবে কৃষি বিপর্যস্ত হয়।
৯. উপযুক্ত কৃষি নীতির অভাব : বাংলাদেশ সরকারের অনুসৃত কৃষি নীতি কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে এই নীতির কিছু কিছু বিষয় উন্নতির অন্তরায় হিসেবে কাজ করেছে।
বাংলাদেশের কৃষি সমস্যার সমাধান
বাংলাদেশের কৃষি নানাবিধ সমস্যার কারণে অনুন্নত। কৃষির উন্নতির জন্য এসব সমস্যা সমাধান করা দরকার। কৃষির এসব সমস্যা দূর করার উপায়সমূহ নিচে আলোচনা করা হল :
১. আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি : কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। তবে লক্ষ রাখতে হবে যেন প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে শ্রমের সার্বিক ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। নাহলে কৃষিতে বেকারত্ব বৃদ্ধি পাবে।
২. কৃষি ঋণের ব্যবস্থা : কৃষির উপকরণসমূহ সময়মত কেনার জন্য কৃষককে সহজ শর্তে ও সরল পদ্ধতিতে ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করা দরকার। বিশেষতঃ ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকেরা যাতে ঋণ পায় সে ব্যবস্থা করা দরকার।
৩. পর্যাপ্ত উপকরণ সরবরাহ : বর্তমানে সার, সেচযন্ত্র, জ্বালানী, কীটনাশক ওষুধ, বীজ প্রভৃতি ব্যক্তিগত খাতের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। এসব উপকরণ যাতে কৃষকেরা সময়মত পায় এবং উপকরণের গুণগত মান ও দাম সঠিক হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন।
৪. বিপণন ব্যবহার উন্নতি : কৃষক পণ্য বিক্রয় করে যে দাম পায় তা যেন লাভ নিশ্চিত করে সেজন্য বিপনন ব্যবস্থার উন্নতি করা দরকার। শস্য গুদামজাত করার জন্য ঋণ দান, গুদামঘর নির্মাণ, হিমাগার নির্মাণ, যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, বিদ্যুৎ সরবরাহ বৃদ্ধি ইত্যাদি ব্যবস্থার দ্বারা বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়ন করা যায়। এছাড়া পণ্যের নতুন ধরনের ব্যবহার প্রবর্তন করা যায়। এক্ষেত্রে লক্ষ রাখতে হবে যেন নতুন পণ্যটি ভোক্তার রুচিমাফিক হয়।
৫. ভূমি সংস্কার : সরকারী খাস জমি ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করে উৎপাদন বাড়ানো যেতে পারে।
৬. শস্য বহুমুখীকরণ : বাংলাদেশের কৃষিতে গুটিকতক পণ্য খুব বেশি গুরুত্ব পায়। ইতিপূর্বে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য ধান ও গম, বিশেষতঃ ধান উৎপাদনে অত্যধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু কৃষির উন্নয়নের জন্য আলু, তৈলবীজ, পাট, ফুল ও লতাপাতা ইত্যাদির চাষ বাড়ানো দরকার।
৭. টেকসই কৃষি : কৃষি উৎপাদনের উপর অত্যধিক জোর দেয়ার ফলে ভূমির উর্বরতা হ্রাস পাচ্ছে এবং পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। কৃষিতে সার, সচে ও কীটনাশকের এবং ফসলের প্যাটার্ন এমন হতে হবে যাতে কৃষির টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয়।
৮. প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা : বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি কারণে কৃষির উৎপাদন যাতে কম ক্ষতিগ্রস্থ হয় সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া দরকার। বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন ব্যবস্থা এবং শুকনো মওসুমে চাষের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বন্যার ক্ষতি কমানো যায়।
৯. ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি : কৃষির উন্নয়নের জন্য অকৃষিখাতের উন্নয়ন করা দরকার যাতে কৃষিপণ্য কেনার জন্য ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
১০. কৃষি গবেষণা ও সম্প্রসারণ : কৃষি গবেষণার মাধ্যমে উন্নত জাতের এবং বন্যা ও খরা সহনশীল বীজ উদ্ভাবন করা দরকার। কৃষি সম্প্রসারণ ব্যবস্থার মাধ্যমে এই জাতের বীজের ব্যবহার এবং টেকসই প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা দরকার।
১১. বাণিজ্য : কৃষিপণ্যের রপ্তানি উৎসাহিত করার দরকার। রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় ঋণ দান অবকাঠামো নির্মাণ ও বাজারজাতকরণ সুবিধা সৃষ্টি করা দরকার।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
জাতীয় আয়ে কৃষির গুরুত্ব – কোণ দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিতে কৃষি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা গ্রহন করে। ফসল চাষের অনুকূল পরিবেশ গুলি বর্তমান থাকলে যে কোণ দেশের মোট জাতীয় আয়ের একটি বড়ো অংশ কৃষি থেকে আসার সম্ভাবনা থাকে।
জীবিকা অর্জনের সহজ মাধ্যম – যে সব দেশে শিল্পের তেমন বিকাশ ঘটেনি এবং কৃষি উপযোগী জমির জোগান রয়েছে, সে সব দেশের অধিকাংশ লোক কৃষিকার্যে নিযুক্ত থেকে জীবিকা নির্বাহ করে। মূলত অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ গুলিতে মোট জনসংখ্যার একটা বিরাট অংশ কৃষি কার্যে নিযুক্ত। যেমন – ভারতের প্রায় ৬৫% মানুষ কৃষি কাজের সঙ্গে নিযুক্ত।
কাজের সুযোগ সৃষ্টিতে কৃষির গুরুত্ব – সম্প্রতি বহুফসলি ব্যবস্থা প্রচলিত হওয়ার ফলে সারা বছর ধরে কৃষিতে কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে বর্ষব্যাপী কৃষি শ্রমিকের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে অধিকাংশ দরিদ্র শ্রেনীর মানুষের কর্মসংস্থানের অন্যতম প্রধান উৎস কৃষি।
শিল্প উন্নতিতে কৃষির ভূমিকা – বিশ্বের অনেক শিল্পই কৃষিজাত দ্রব্যের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। যেমন – কাগজ, বস্ত্র, রেশন শিল্প, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প, চিনি শিল্প প্রভৃতি। অর্থাৎ কোণ দেশের শিল্প উন্নতিতে কৃষি গুরুত্ব পূর্ন ভূমিকা পালন করে।
বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে কৃষির ভূমিকা – বর্তমানে বহুদেশ কৃষিজাত দ্রব্য বিক্রি করে বহু দেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। ফলে দেশের অর্থনৈতিক বিকাশ ত্বরান্বিত হয়। যেমন – ভারতের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ২৫% কার্পাস বয়ন শিল্পজাত দ্রব্য থেকে, প্রায় ১৫% চা রপ্তানী করে এবং প্রায় ১০% পাট জাত দ্রব্য রপ্তানী করে আসে।
খাদ্যসংস্থানে কৃষির গুরুত্ব – মানুষের বেঁচে থাকার সর্বপ্রথম উপাদান হল খাদ্যশস্য, যা কৃষি থেকে আসে। পৃথিবীর অনেক দেশই খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ন নয়। ফলে তাদের বিদেশ থেকে খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ন নয়। ফলে তাদের বিদেশ থেকে খাদ্যশস্য আমদানি করতে হয়। আবার অনেক দেশ উদ্বৃত্ত খাদ্যশস্য বিদেশে রপ্তানি করে থাকে। ফলে সমগ্র বিশ্বের জনগণের খাদ্য সংস্থান একমাত্র কৃষির মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে।
বাণিজ্যিক মুনাফার কারণে কৃষকদের কাছে অন্যতম অর্থকরী ফসল হিসেবে গুরুত্ব পাচ্ছে নালিম চাষাবাদ। মাত্র ৩০ দিনে প্রতিটি গাছ থেকে হাজার টাকা আয় হচ্ছে কৃষকদের।
ডুমুরিয়া উপজেলার শরাফপুর এলাকার মো. সারোয়ার হোসেন সরদার। গত বছর বেড়াতে গিয়ে সেখানে দেখেন এই নালিম। দেখে পছন্দ হলে, মাত্র ৪টি নালিম বীজ নিয়ে আসেন। বাড়িতে ফিরে সেই ৪টি বীজ বপন করেন তিনি। সেই গাছের ফল সংগ্রহ করে বীজ তৈরি করেন। চলতি বছরের ভাদ্র মাসে সেই বীজ রোপণ করেন। রোপণের মাত্র ২৮/৩০ দিনের মাথায় ফল বিক্রি শুরু করেন তিনি।
নালিম লাউ, কুমড়ার মতো লতা জাতীয় গাছ। গাছ মাচায় অথবা মাটিতে বিছিয়ে থাকে। নালিমের রঙ বাঙ্গির মতো। কাঁচা অবস্থায় এটি সবুজ কিন্তু পাকলে গাঢ় হলুদ ও ব্যাপক সুগন্ধি হয়। এছাড়া ফলটি চিনিমুক্ত স্বাদ বাঙ্গির মতই। নালিম ফলের আকারটা একটু ছোট ও গোলাকার। প্রতিটি ফল ৩ থেকে সাড়ে ৪ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। প্রায় ৩ মাসের জীবনকাল থাকায় খুব অল্প সময়ে কৃষকরা এটি বিক্রির মাধ্যমে নগদ অর্থ ঘরে তুলতে পারে। আবাদ পদ্ধতি বাঙ্গির মতোই।
শরাফপুর এলাকার কৃষক মো. সারোয়ার হোসেন সরদার জানান, এ বছর ঘেরের আইলে এবং বসতবাড়ির আঙিনায় প্রায় ৫০টি বীজ বুনি। কিন্তু গোড়ায় পানি জমে যাওয়ায় কিছু গাছ মরে যায়। এরই মধ্যে ৫০টির বেশি ফল বিক্রি করেছি। প্রতিটি নালিম বিক্রি করেছি ৩০ থেকে ৫০ টাকায়। নালিম চাষাবাদে পরিচর্যা তেমন লাগে না। লবণাক্ত জমিতেও এর চাষাবাদ করা যায়। আমি নালিমের মাদায় জৈব সার ব্যবহার করেছি।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোসাদ্দেক হোসেন জানান, নালিম একটি উচ্চমূল্যের ফসল। ডুমুরিয়ার আবহাওয়া নালিম চাষের জন্য অনুকুল। ডুমুরিয়ার ঘেরের আইলে সবজির পাশাপাশি এটা চাষ করলে কৃষক অত্যন্ত লাভবান হবেন। এটি সম্প্রসারণে আমরা কাজ করবো এবং আগামীতে এর আবাদ এলাকা আরও বৃদ্ধি পাবে।
খুলনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পঙ্কজ কান্তি মজুমদার জানান, নালিম বাঙ্গির অনুরূপ একটি ফল। এটির বাণিজ্যিক গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় ভবিষ্যতে এটির চাষ আরও বাড়বে। আমরা সে লক্ষ্যে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছি। বাঙ্গির বিকল্প ফল হিসেবে নালিম মানুষের কাছে জনপ্রিয়। নালিম খেলে শরীর ঠাণ্ডা ও সতেজ হয়। বাণিজ্যিক মুনাফার কারণে জেলার কৃষকদের কাছে অন্যতম অর্থকরী ফসল হিসেবে গুরুত্ব পেতে শুরু করেছে নালিম চাষাবাদ।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। জীবনজীবিকার পাশাপাশি আমাদের সার্বিক উন্নয়নে কৃষি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। তাই কৃষির উন্নয়ন মানে দেশের সার্বিক উন্নয়ন। টেকসই কৃষি উন্নয়নে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কৃষি ক্ষেত্রে সময়োপযোগী পদক্ষেপ এবং দিকনির্দেশনায় খোরপোশের কৃষি আজ বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরিত হয়েছে। কৃষিতে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়। খাদ্যশস্য উৎপাদন, টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, কর্মসংস্থান ও রপ্তানি বাণিজ্যে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কৃষিজমি কমতে থাকাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও বৈরী প্রকৃতিতেও খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদাহরণ। ধান, গম ও ভুট্টা বিশ্বের গড় উৎপাদনকে পেছনে ফেলে ক্রমেই এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ।
\হমোট দেশজ উৎপাদন তথা জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ। বর্তমান সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে কৃষি খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় নিয়ে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। খাদ্যশস্য উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের স্থান দশম। দারিদ্র্য, ঘনবসতি, নগরজীবনের নানা অনিশ্চয়তা আর জলবায়ুর পরিবর্তনের ভেতর বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও টিকে থাকার মূল জায়গাটি হচ্ছে ভূমি ও কৃষক সম্প্রদায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ১৯৯৬-২০০১ এবং ২০০৯-২০১৮ সময়ের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় গত এক বছরে লাভজনক ও বাণিজ্যিকীকরণের অগ্রযাত্রায় কৃষি। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দানাদার খাদ্যশস্যের উৎপাদন (৪৩২.১১ লাখ মেট্রিক টন) এর লক্ষ্যমাত্রা (৪১৫.৭৪ লাখ মেট্রিক টন) ছাড়িয়ে গেছে। দেশ আজ চালে উদ্বৃত্ত; ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে চতুর্থ। ভুট্টা উৎপাদন বেড়ে হয়েছে ৪৬ লাখ টন। নিবিড় চাষের মাধ্যমে বাংলাদেশ সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে উন্নীত হয়েছে। সবজি উৎপাদন বেড়ে ১ কোটি ৭২ লাখ ৪৭ হাজার টন হয়েছে। আলু উৎপাদনে বাংলাদেশ উদ্বৃত্ত এবং বিশ্বে সপ্তম। এ বছর আলু উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৯ লাখ টন। মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশে ফল উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। আম উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম এবং পেয়ারায় অষ্টম। আম উৎপাদন প্রায় ২৪ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে।
আলুসহ বিভিন্ন সবজি, ফল ও ফুল রপ্তানি সম্প্রসারণের নিমিত্তে উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থা উন্নয়নসহ কার্যকর ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে। যশোরের গদখালির পলিহাউসে রপ্তানিযোগ্য ফুল এবং নিরাপদ সবজি উৎপাদনের উদ্যোগ দেশি-বিদেশি মহলে প্রশংসিত হয়েছে। কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি ও নিরাপদ সবজি/ফল সহজলভ্য করার নিমিত্তে ঢাকায় শেরেবাংলা নগরে কৃষকের বাজার চালু করা হয়েছে যেখানে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি বাজারজাত করছে। ক্রমান্বয়ে এই ব্যবস্থা জেলা-উপজেলা শহরে সম্প্র্রসারিত হবে।
ডাল, তেলবীজ, মসলা ও ভুট্টা চাষ বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সহায়তা অব্যাহত আছে। এ ছাড়াও কাজু বাদাম ও কফি ইত্যাদি অর্থকরী ফসল চাষ ও বাজারব্যবস্থা উন্নয়নে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। ফসলের উৎপাদন খরচ হ্রাস করার লক্ষ্যে ২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত সারের মূল্য ৪ দফা কমিয়ে প্রতি কেজি টিএসপি ৮০ টাকা থেকে কমিয়ে ২২ টাকা, এমওপি ৭০ টাকা থেকে ১৫ টাকা, ডিএপি ৯০ টাকা থেকে ২৫ টাকায় নির্ধারণ করেছিল। ২০১৯-২০ অর্থবছরে কৃষক পর্যায়ে ডিএপি সারের খুচরা মূল্য ২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা করা হয়েছে; কৃষকদের জন্য এটা ছিল গত বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সেরা উপহার।।
বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কর্তৃক গৃহীত কৃষি প্রণোদনা/পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় ২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে এ পর্যন্ত ৯৬০ কোটি ৩৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে- যার মাধ্যমে ৮৬ লাখ ৪০ হাজার ৪৪ জন কৃষক উপকৃত হয়েছেন। এর মধ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৩৩ কোটি ১৫ লাখ ৬২ হাজার টাকা কৃষি উপকরণ ও আর্থিক সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হয়েছে।
ফসলের উন্নত ও প্রতিকূলতা সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবনে অভূতপূর্ণ সাফল্য এসেছে। ২০১৮-১৯ সালে অবমুক্তকৃত বিভিন্ন ফসলের উদ্ভাবিত প্রতিকূলতা সহিষ্ণু জাত ১২টি, উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ৯৫টি এবং নিবন্ধিত জাত ২৬টি। গম ও ভুট্টার গবেষণা সম্প্রসারণের জন্য সরকার ২০১৮ সালে গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। গমের ১টি জাত উদ্ভাবন, গম ও ভুট্টার ৪ হাজার ৫শটি জার্মপস্নাজম সংগ্রহ এবং রোগবালাই ব্যবস্থাপনার ওপর ১টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে।
বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশে ৫৩ লাখ ৫৪ হাজার ৮০০ নারিকেল, তাল, খেজুর ও সুপারি চারা বিতরণ ও রোপণ করা হয়েছে। মাল্টা, রামবুতান, ড্রাগন প্রভৃতি বিভিন্ন ধরনের অপ্রচলিত ও বিদেশি ফল চাষে উৎসাহ প্রদান অব্যাহত রয়েছে। ২০১৮-১৯ সালে সম্প্রসারিত সেচ এলাকা ২২ হাজার ৮৪০ হেক্টর। সরবরাহকৃত সেচযন্ত্র ৫৪৭টি এবং স্থাপিত সোলার প্যানেলযুক্ত সেচযন্ত্র ৯৫টি। ৪৮০টি সেচ অবকাঠামো, ৫৮১ কিলোমিটার খাল-নালা খনন/পুনঃখনন, ৬৮২ কিলোমিটার ভূ-গর্ভস্থ (বারিড পাইপ) সেচনালা এবং ৮ কিলোমিটার ভূ-উপরিস্থ সেচনালা, ২৪ কিলোমিটার গাইড/ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। ক্ষুদ্র সেচ ব্যবস্থার আওতায় সৌরবিদু্যৎ চালিত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুপেয় পানির ব্যবস্থাকরণ ও সেচ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ১০০টি পাতকুয়া স্থাপন করা হয়েছে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-
- ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,
৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :
- বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :
- মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
1 thought on “২০২১ সালের এইচএসসি ডিপ্লোমা ইন কমার্স ১১শ শ্রেণি বাণিজ্যিক ভূগোল ৮ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান 2021”