বাংলাদেশের জনগণের স্বপ্ন মাথাপিছু আয়ের কারণ, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির উপায় এবং জীবনযাত্রার উপর স্বপ্ন মাথাপিছু আয়ের প্রভাব বিশ্লেষণ

শ্রেণি: ১২শ HSC ইন কমার্স-2021 বিষয়: অথনীতি এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 07 বিষয় কোডঃ 1726
বিভাগ: ভোকেশনাল শাখা
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ বাংলাদেশের জনগণের স্বপ্ন মাথাপিছু আয়ের কারণ, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির উপায় এবং জীবনযাত্রার উপর স্বপ্ন মাথাপিছু আয়ের প্রভাব বিশ্লেষণ

শিখনফল/বিষয়বস্তু :

নির্দেশনা (সংকেত/ ধাপ/ পরিধি): 

  • মাথাপিছু আয় এর ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে। ,
  • বাংলাদেশের জনগণের স্বল্প মাথাপিছু আয়ের কারণ বর্ণনা করতে হবে। ,
  • বাংলাদেশের জনগণের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির উপায় বর্ণনা করতে হবে।,
  • বাংলাদেশের জনগণের জীবনযাত্রার মানের উপর স্বল্প মাথাপিছু আয়ের প্রভাব বর্ণনা করতে হবে।,

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

মাথাপিছু” শব্দটির অর্থ প্রতি ব্যক্তি। মাথাপিছু আয় বলতে বুঝায় কোনও দেশ বা ভৌগলিক অঞ্চলে ব্যক্তি প্রতি আয় করা পরিমাণের একটি পরিমাপ।

মাথাপিছু আয়কে আপনি এভাবেও বলতে পারেন; একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি দেশের মোট জনসংখ্যার গড় আয়। মাথাপিছু আয় নির্ণয় করা হয একটি দেশের প্রতি ব্যক্তি গড় আয় নির্ধারণ করতে এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান নির্ণয় করতে ব্যবহার করা হয়। সাধারণত ১ বছর নির্দিষ্ট সময়কালে কোনো ভৌগলিক অঞ্চলের অধীনে বসবাসকারী ব্যক্তির জীবনমানের মূল্যায়ন করার জন্য একজন ব্যক্তির দ্বারা অর্জিত গড় আয় নির্ধারণ করাই হলো মাথাপিছু আয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশ। আজ থেকে কমবেশি ৪০ বছর পূর্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। বহু সম্ভাবনা থাকার পরও বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে তেমন অগ্রসর হতে পারেনি। দেশের জনগণের মৌলিক চাহিদার অনেকখানিই এখনো পূরণ হয়নি। দেশের প্রায় ৮০% লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। বর্তমানে দেশে ৩.৫ কোটি শিক্ষিত বেকার রয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশের পশ্চাৎপদ থাকার অন্যতম কারণ হল ঐতিহাসিকভাবে দীর্ঘদিন অর্থনৈতিক বৈষম্যের শিকার ও স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের রাজনৈতিক অস্থিরতা। এসব কারণে এদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় কম।

মাথাপিছু আয় : মাথাপিছু আয় হল একটি দেশের জনগণের বার্ষিক গড় আয়। একটি নির্দিষ্ট সময়ে বা অর্থবছরে দেশের মোট জাতীয় আয়কে দেশের মোট জনসংখ্যা দ্বারা ভাগ করা হলে মাথাপিছু আয় পাওয়া যায়। বাংলাদেশের বর্তমান মাথাপিছু আয় ৫৯৯ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশ অর্থনেতিক সমীক্ষা-২০০৮) যা নিতান্তই স্বল্প। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তুলনায় আমাদের মাথাপিছু আয় স্বল্প যা জাতিসংঘের হিসাব অনুসারে দারিদ্র্যসীমার নিচে। নানাবিধ আর্থ-সামাজিক সমস্যার কারণে বাংলাদেশের জনগণের মাথাপিছু আয় কম। সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক সমস্যা দূর করে আমাদের মাথাপিছু আয় ও জীবনযাত্রার মান বাড়ানো সম্ভব।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

১. উচ্চ জাতীয় ও মাথাপিছু আয়: উন্নত দেশগুলোর জাতীয় ও মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ খুব বেশি। সুইজারল্যান্ড, মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ইংল্যান্ড প্রভৃতি উন্নত দেশের মাথাপিছু আয় গড়ে প্রায় ৩০,০০০ ডলারের বেশি।

২. উচ্চ জীবনযাত্রার মান: মাথাপিছু আয় বেশি বলে উন্নত দেশের জনগনের জীবনযাত্রার মানও খুবই উন্নত। ফলে এ
সমস্ত দেশের জনসাধারণ জীবনধারণের আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারে।

৩. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসার: উন্নত দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে এবং জীবনের সকল ক্ষেত্রে
আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সফল প্রয়োগ সম্ভব হয়েছে।

৪. মূলধনের প্রাচুয: উন্নত দেশে জনসাধারণের মাথাপিছু আয়বেশি। ফলে এ সমস্ত দেশে সঞ্চয়, মূলধন ও বিনিয়োগের
পরিমানও অধিক।

৫. প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বাত্মক ব্যবহার: উন্নত দেশসমূহ প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ এবং এ সব দেশে অধিক মূলধন ও দক্ষ
জনশক্তি থাকায় প্রাকৃতিক ও মানবিক সম্পদের সুষ্ঠুভাবে পূর্ণ ব্যবহার হয়ে থাকে।

৬. উন্নত পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা: পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত। উন্নত দেশের
পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই উন্নত।

৭. লেনদেনের ভারসাম্য: বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে উন্নত দেশের বাণিজ্যিক ও লেনদেনের ভারসাম্য সর্বদা অনুকূলে
থাকে। এ সব দেশে বেশির ভাগ প্রয়োজনীয় দ্রব্য দেশের ভিতরেই উৎপাদন করা হয় এবং অধিকাংশ দ্রব্য বাণিজ্যিক
ভিত্তিতে উৎপাদিত হয়। সে জন্য উন্নত দেশগুলো খুব কম দ্রব্য আমাদানি করে কিন্তু অধিক পরিমাণ দ্রব্য রপ্তানি করে
থাকে।

৮. জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কম: উন্নত দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সাধারনত ০% থেকে ১% এর মধ্যে সীমাবদ্ধ।
জনসংখ্যা এ সব দেশে কোনরূপ সমস্যা নয় বরং অর্থনৈতিক উন্নয়নের সহায়ক।

৯. শিক্ষার ব্যাপক প্রসার: উন্নত দেশগুলোতে শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের ফলে উন্নত দেশের
সমাজ থেকে সকল প্রকার কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাস দূরীভূত হয়েছে।

১০. সামাজিক নিরাপত্তা: উন্নত দেশগুলোর জাতীয় আয়ের পরিমাণ বেশি বলে তাদের পক্ষে শ্রমিক শ্রেণিকে রোগ, দূর্ঘটনা,
বেকারত্ব প্রভৃতি সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সামাজিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়।

১১. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা: শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের ফলে উন্নত দেশের প্রতিটি নাগরিক সমাজ সচেতন। ফলে এ সমস্ত
দেশ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এ সব দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
উচ্চাসনে প্রতিষ্টিত।

১২. নারী স্বাধীনতা: নারী শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের ফলে উন্নত দেশের নারীসমাজ জীবনের সকল ক্ষেত্রে পুরুষের সমান
সুযোগ-সুবিধা ভোগ ও সমান দায়িত্ব বহন করে।

১৩. উন্নত মুদ্রা বাজার: উন্নত দেশের মুদ্রা ও মূলধনবাজার খুবই উন্নত এবং বিস্তৃত। ব্যাংক, বীমাসহ বিভিন্ন অর্থ লগ্নীকারী
প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক প্রসার হয়েছে। ফলে মানুষের ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ সমাজে দ্রæত ও সহজে মূলধন গঠিত হচ্ছে।
এ সকল বৈশিষ্ট্যের আলোকে বিচার করলে দেখা যায় পৃথিবীতে উন্নত দেশ খুব কম।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশ। আজ থেকে কমবেশি ৪০ বছর পূর্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। বহু সম্ভাবনা থাকার পরও বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে তেমন অগ্রসর হতে পারেনি। দেশের জনগণের মৌলিক চাহিদার অনেকখানিই এখনো পূরণ হয়নি। দেশের প্রায় ৮০% লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। বর্তমানে দেশে ৩.৫ কোটি শিক্ষিত বেকার রয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশের পশ্চাৎপদ থাকার অন্যতম কারণ হল ঐতিহাসিকভাবে দীর্ঘদিন অর্থনৈতিক বৈষম্যের শিকার ও স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের রাজনৈতিক অস্থিরতা। এসব কারণে এদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় কম।

মাথাপিছু আয় : মাথাপিছু আয় হল একটি দেশের জনগণের বার্ষিক গড় আয়। একটি নির্দিষ্ট সময়ে বা অর্থবছরে দেশের মোট জাতীয় আয়কে দেশের মোট জনসংখ্যা দ্বারা ভাগ করা হলে মাথাপিছু আয় পাওয়া যায়। বাংলাদেশের বর্তমান মাথাপিছু আয় ৫৯৯ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশ অর্থনেতিক সমীক্ষা-২০০৮) যা নিতান্তই স্বল্প। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তুলনায় আমাদের মাথাপিছু আয় স্বল্প যা জাতিসংঘের হিসাব অনুসারে দারিদ্র্যসীমার নিচে। নানাবিধ আর্থ-সামাজিক সমস্যার কারণে বাংলাদেশের জনগণের মাথাপিছু আয় কম। সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক সমস্যা দূর করে আমাদের মাথাপিছু আয় ও জীবনযাত্রার মান বাড়ানো সম্ভব।

স্বল্প মাথাপিছু আয়ের কারণ

১. কৃষির অনগ্রসরতা : কৃষিপ্রধান দেশ হওয়া সত্ত্বেও কৃষির উৎপাদনশীলতা এখানে অত্যন্ত কম। আধুনিকায়নের জন্য প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট এখানের কৃষকরা পায় না। দেশের ৭৬.৫% লোক কৃষির সাথে কোনো না কোনোভাবে সম্পৃক্ত। কৃষির উৎপাদন কম, তাই কৃষির সাথে সম্পৃক্তদের মাথাপিছু আয়ও কম।

২. শিল্পক্ষেত্রে পশ্চাৎপদতা : অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য শিল্পের বিকাশ অপরিহার্য। কিন্তু বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর হতে আজ পর্যন্ত যে শিল্পনীতি ব্যবহৃত হয়েছে- তা কখনোই শিল্পের অনুকূলে ছিল না। ফলে এর সাথে সংশিষ্টদের আয়ও কম।

৩. ঔপনিবেশিক শাসন : প্রায় ২০০ বছর ব্রিটিশ অপশাসন এবং ২৩ বছর পাকিস্তানি সামরিক শাসনের যাঁতাকলে পড়ে এ দেশের মানুষ কখনোই অর্থনৈতিকভাবে তেমন সুবিধা অর্জন করতে পারেনি। নানা ধরনের শাসন ও শোষণের শিকার হয়ে এ দেশের সাধারণ মানুষ দিন দিন দারিদ্র্যের দিকে অগ্রসর হয়েছে।

৪. ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা : লাগামহীনভাবে এ দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ তার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে না। তাই জনগণের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে না। জীবনযাত্রার মানও উন্নত হচ্ছে না।

৫. শিক্ষার অভাব : বাংলাদেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৬৪.৫% যা কেবল নামমাত্র। তার মধ্যে আছে কয়েক ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা। দেশের ব্যাপক জনগোষ্ঠী শিক্ষার আলোবঞ্চিত হয়ে প্রাচীন পদ্ধতির চাষাবাদ ও ধ্যান ধারণায় দিনাতিপাত করছে। এদের উৎপাদিকা শক্তি কম বিধায় মাথাপিছু আয়ও কম।

৬. মূলধনের অভাব : এ দেশের জনগণের সঞ্চয়ের হার কম। তাই মূলধন গঠনের হারও কম। মূলধনের স্বল্পতার দরুন কৃষি ও শিল্পে কাংখিত বিনিয়োগও কম। ফলে বাড়ছে না উৎপাদন ও মাথাপিছু আয়।

৭. বেকার সমস্যা : দেশে বর্তমানে বেকার আছে ৩.৫ কোটি কর্মক্ষম মানুষ। পর্যাপ্ত বিনিয়োগের অভাবে এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কারণে দেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। প্রতি বছর ১৫ লাখ নতুন শিক্ষিত তারুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করলেও চাকরি পাচ্ছে না।

৮. দক্ষ শ্রমিকের অভাব : বাংলাদেশের অধিকাংশ শ্রমিক অদক্ষ। সাধারণ ও কারিগরি শিক্ষার অভাব এবং এসব শিক্ষার নিুমানের জন্য অধিকাংশ শ্রমিকের উৎপাদিকা শক্তি কম। ফলে তাদের আয়ও কম এবং জীবনযাত্রার মানও নিুমানের।

৯. প্রাকৃতিক সম্পদের অপূর্ণাঙ্গ ব্যবহার : দেশে প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যতা না থাকলেও যা আছে তা আবার যথাযথভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। দক্ষ জনশক্তি, উন্নত কারিগরি জ্ঞান, মূলধন, দক্ষ উদ্যোক্তা ইত্যাদির স্বল্পতার কারণে প্রাকৃতিক সম্পদের অপূর্ণাঙ্গ ব্যবহার হচ্ছে। জনগণের কল্যাণের জন্য তেমন কোন ভূমিকাই প্রাকৃতিক সম্পদ রাখতে পারছে না।

১০. প্রাকৃতিক দুর্যোগ : বাংলাদেশ প্রায় প্রতি বছরই কোন না কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে থাকে। বন্যা, খরা, জলোচ্ছ্বাস, সিডর, নদীভাঙন ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রতি বছর ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়। মোট উৎপাদনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ফলে জনগণের আয় কমে যায়।

১১. বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীলতা : বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য বৈদেশিক সাহায্যের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। বৈদেশিক সাহায্য ব্যবহার করে বাংলাদেশ তার জনগণের মাথাপিছু আয় কোনোভাবেই বাড়াতে পারছেন না।

১২. অসম আয় বণ্টন : বাংলাদেশে আয় বণ্টন ব্যবস্থা অসম। কিছু সংখ্যক ব্যক্তির হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও বিপুল সম্পদের মালিকানা থাকায় এখানে ধনী-গরিবের পার্থক্য আকাশ-পাতাল। এখানে আয় বণ্টন ব্যবস্থা এমন যে ধনী আরও ধনী হবে, গরিব আরও গরিব হবে।

১৩. দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি : দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে জনগণের সঞ্চয় তেমন একটা থাকে না। ফলে এখানে বিনিয়োগও তেমন একটা হয় না। দিন দিন জীবনযাত্রার মান আরও নিুমুখী হচ্ছে।

১৪. দুর্বল অর্থনৈতিক কাঠামো : স্বাধীনতার পর হতে অদ্যাবধি বাংলাদেশের অর্থনীতি পরিপূর্ণভাবে কোন শক্ত কাঠামোর ওপর দাঁড়াতে পারেনি। ফলে জনগণের ব্যক্তিগত অর্থনীতিও তেমন একটা সুবিধাজনক হয়নি।

১৫. রাজনৈতিক অস্থিরতা : বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা দেশের অর্থনীতির যতটুকু ক্ষতি করেছে, এযাবৎকালের সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ মিলেও সে পরিমাণ ক্ষতি করতে পারেনি। এ দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির হরতাল, অবরোধ অর্থনীতির কণ্ঠকেই চেপে ধরেছে। বার বার পিছিয়ে দিয়েছে। জনগণের জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনেনি।

১৬. ধর্মীয় গোঁড়ামি : এ দেশের ধর্মপ্রাণ জনগণ ধর্মের প্রতি অতি সংবেদনশীল বিধায় অর্থনীতির প্রয়োজনে বহু লাভজনক শিল্প প্রতিষ্ঠার সুযোগ থাকলেও সেসব শিল্প এ দেশে বিকাশ লাভ করতে পারেনি।

১৭. সীমাহীন দুর্নীতি : বাংলাদেশে দুর্নীতি স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে, যা একটি দেশের অর্থনীতির স্বাভাবিক বিকাশের পুরোপুরি অন্তরায়। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতির বীজ রোপিত হওয়ায় ব্যাপক জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে সমাজের সামষ্টিক ভাবনা নেই। ফলে কিছু লোক সুবিধা লাভ করলেও দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জীবনমানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব সবসময়ই থেকে যাচ্ছে।

উপরোক্ত সমস্যাগুলো বাংলাদেশে স্বল্প মাথাপিছু আয়ের জন্য দায়ী। এসব সমস্যা দূর করা গেলে বাংলাদেশে জনগণের মাথাপিছু আয় দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। জনগণের জীবনযাত্রার মানও হবে আরও উন্নত।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

Leave a Comment