শ্রেণি: ১১শ HSC ইন কমার্স -2021 বিষয়: ব্যাংকিং ও বিমা এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021 |
---|
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 06 বিষয় কোডঃ 1715 |
বিভাগ: ভোকেশনাল শাখা |
এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও মুদ্রা বাজারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা ও নিকাশ ঘর
শিখনফল/বিষয়বস্তু :
- কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করতে পারবে।,
- মুদ্রা বাজার গঠন ও নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা ব্যাখ্যা করতে পারবে,
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকা বর্ণনা করতে পারবে,
- নিকাশ ঘর সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা লাভ করতে পারবে,
নির্দেশনা (সংকেত/ ধাপ/ পরিধি):
- কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংজ্ঞা আলােচনা করবে।,
- কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকা বর্ণনা করতে করতেহবে,
- বাংলাদেশের অর্থ বাজারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কি অবদান রাখে তা ব্যাখ্যা করবে,
- নিকাশ ঘরের সংজ্ঞা ও কার্যাবলী ব্যাখ্যা করতে হবে।,
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
- কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংজ্ঞা আলােচনা করবে।,
দেশে নোট ও মুদ্রার প্রচলন করে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চিতি সংরক্ষণ করে মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও ব্যবস্থাপনা করে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর রিজার্ভ সংরক্ষণ করে দেশের মুদ্রা বাজার গঠন, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করে দেশের ঋণের পরিমাণ কাম্যস্তরে বজায় রাখে দেশের অর্থনীতিতে সমতা বিধান ও মূল্যস্তর স্তিতিশীল রাখে
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
- কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকা বর্ণনা করতে হবে
বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণ করে যাতে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে ব্যাপক ওঠানামা থেকে উদ্ভূত ঝুঁকি এবং বৈশ্বিক অর্থ বাজারে সুদের হারের ওঠা-নামায় সৃষ্ট ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে নস্ট্রো হিসাব পরিচালনা করে এবং হিসাবসমুহে জমাকৃৎ অর্থ উক্ত মুদ্রায় বিভিন্ন মেয়াদে ট্রেজারি বিল, রেপো এবং অন্যান্য সরকারী তহবিলে বিনিয়োগ করে।
এছাড়াও মজুদ অর্থের কিছু অংশ নামী বাণিজ্যিক ব্যাংকে স্বল্প মেয়াদী আমানত এবং কর্পোরেট বন্ডে বিনিয়োগ করে। রিজার্ভ মজুদ ও বিনিয়োগ সম্পর্কিত কার্যক্রম ব্যাংকের একটি পৃথক বিভাগ দ্বারা পরিচালিত হয় যেটির প্রধান থাকে ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর। রিজার্ভ ব্যবস্থাপনার অন্তর্নিহিত নীতি হচ্চে ন্যূনতম বাজার ঝুঁকির সাথে বিনিয়োগের সর্বোত্তম রিটার্ন নিশ্চিত করা।[৯]
সুদ হার নীতি
আর্থিক খাত সংস্কার কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক নমনীয় সুদ হার নীতিমালা প্রণয়ন করে থাকে। সেই অনুযায়ী, ব্যাংকগুলি প্রতয়পত্র ব্যতীত যাবতীয় আমানত ও ঋণের সুদ হার নির্ধারণ করে থাকে। বর্তমানে প্রি-শিপমেন্ট এক্সপোর্ট ক্রেডিট এবং কৃষি ঋণ ব্যতীত অন্ন কোন ক্ষেত্রে ব্যাংকের সুদ হারের নির্দিষ্ট কোন সীমা নির্ধারণ করা নেই।
তথাপি, ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ তুলনামূলক ঝুঁকি বিবেচনায় আমানতের উপর সুদের হার ও ঋণের উপর সুদের হারের পার্থক্য ৩ শতাংশ পর্যন্ত করে থাকে। ব্যাংকসমূহ তাদের আমানত ও ঋণের সুদ হার নিজ নিজ ওয়েবসাইটে আপলোড করে থাকে এবং সেই সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরন করে। সময় সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় ব্যাংকের সুদের হারের সীমা বেঁধে দেয়।
ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মূলধন পর্যাপ্ততা নীতি ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের লক্ষে অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশ ব্যাংকও ব্যাংকিং তদারকি সম্পর্কিত ব্যাসেল কমিটি প্রণীত ব্যাসেল-৩ প্রবিধান চালু করেছে। ব্যাসেল-৩ প্রবিধানটি ২০১৫ সালের জানুয়ারী থেকে শুরু হয়ে পর্যায়ক্রমে সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের তফসিলী ব্যাংকগুলি সর্বনিম্ন ৪ বিলিয়ন টাকা বা ঝুঁকিযুক্ত সম্পদের ১০ শতাংশের যেটি বেশি হয় তা বাংলাদেশ ব্যাংকে সংরক্ষণ করতে হয়। এছাড়াও, ব্যাংকসমুহকে সংগৃহীত আমানতের ৫ শতাংশ নগদ রিজার্ভ ও ১৩ শতাংশ বিধিবদ্ধ তারল্য অনুপাত সংরক্ষণ করতে হয়। তফসিলি ব্যাংক ও অন্যান্য ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমুহের আর্থিক অবস্থা ও আনুসাঙ্ঘিক ঝুঁকি বেবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংক ন্যুনতম মূলধন, নগদ রিজার্ভ ও বিধিবদ্ধ তারল্য সংরক্ষণের হার পরিবর্তন করে থাকে।
আমানত বীমা
আমানতকারীদের সুরক্ষা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক ১৯৮৪ সালে আমানত বীমা চালু করেছে। আমানত বীমার অধীনে ব্যাংকসমুহে গচ্ছিত আমানতের একটা নির্দিষ্ট অংশ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে জমা রাখতে হয়। যদি কোন ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যায় তবে উক্ত বীমার অধীনে জমাকৃত অর্থ থেকে আমানতকারীদের নির্দিষ্ট হারে অর্থ ফেরত দেয়া হবে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
- বাংলাদেশের অর্থ বাজারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কি অবদান রাখে তা ব্যাখ্যা করবে,
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার নিয়ন্ত্রক হিসেবে সরকার জনগণ ও অন্যান্য ব্যাংক এবং সর্বোপরি দেশের উন্নয়নে কাজ করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক কার্যাবলীকে আমরা সাধারণত চার ভাগে ভাগ করে থাকি। যথা-
ক) General functions বা সাধারণ কার্যাবলী;
খ) Functions performed as a bank of government বা সরকারের ব্যাংক হিসেবে সম্পাদিত কার্যাবলী;
গ) Functions performed as bankers of all banks বা সকল ব্যাংকের ব্যাংকার হিসেবে সম্পাদিত কার্যাবলী; ও
ঘ) Other functions বা অন্যান্য কার্যাবলী।
ক) General functions (সাধারণ কার্যাবলী)
নিম্নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাধারণ কার্যাবলীসমূহ আলোকপাত করা হলো-
১) Issue of notes and coins (নোট ও মুদ্রা প্রচলন)
দেশের নোট ও মুদ্রা প্রচলনের ক্ষমতা প্রাপ্ত একমাত্র প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
২) Guardian of the money market (মুদ্রা বাজারের অভিভাবক)
কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রা বাজারের অভিভাবক এবং মুদ্রার পূর্ণ নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে থাকে।
৩) Creation of easy medium of exchange (সহজ বিনিময়ের মাধ্যম সৃষ্টি)
কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রা বিল, হুন্ডি ইত্যাদির মাধ্যমে সহজ বিনিময় মাধ্যম সৃষ্টি করে থাকে।
৪) Credit Control (ঋণ নিয়ন্ত্রণ)
ব্যাংক হার নীতি, খোলাবাজার নীতি, জমার হার পরিবর্তন, নৈতিক প্ররোচনা ইত্যাদি পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের ঋণ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
৫) Currency Purchasing Control (মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ)
বাজারের অর্থ সরবরাহের হ্রাস-বৃদ্ধি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রার মান তথা ক্রয় ক্ষমতা সংরক্ষণ করে থাকে।
৬) Foreign exchange control (বৈদেশিক বিনিময় নিয়ন্ত্রণ)
কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রার বৈদেশিক মূল্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, দেশীয় মুদ্রার সম্মানজনক বিনিময় হার সৃষ্টি করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে।
৭) Stabilize Price-Level (মূল্যস্তর স্থিতিশীল রাখা)
যেহেতু কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, ফলে মূল্যস্তরকে স্থিতিশীল রাখা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরেকটি অন্যতম কাজ।
৮) Maintaining Foreign exchange reserve (বৈদেশিক মুদ্রা তহবিল সংরক্ষণ)
একটি দেশের মুদ্রার বিনিময় হার নির্ভর করে সেই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপর। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা তহবিল সংরক্ষণ করে থাকে।
৯) Development of banking system (ব্যাংক ব্যবস্থার উন্নয়ন)
কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের ব্যাংকব্যবস্থার সেবা ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য উন্নয়নে ভূমিকা পালন করে থাকে।
১০) Creating employment (কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি)
নতুন নতুন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা ও নতুন শাখা খোলার অনুমতি প্রদান করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে থাকে।
১১) Supervision of loans taken by government (সরকার কর্তৃক গৃহীত ঋণের তদারক)
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারি ঋণের তদারকি করে এর যথার্থ ব্যবহার নিশ্চিত করে থাকে।
খ) Functions performed as a bank of government (সরকারের ব্যাংক হিসেবে সম্পাদিত কার্যাবলী)
নিম্নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সরকারের ব্যাংক হিসেবে সম্পাদিত কার্যাবলীসমূহ আলোকপাত করা হলো-
১) Source of credit (ঋণের উৎস)
সরকার আর্থিক সংকটের সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিকট হতে ঋণ গ্রহণ করে থাকে, তাই এটি সরকারি ঋণের উৎস হিসেবে কাজ করে থাকে।
২) Maintaining of government fund (সরকারের তহবিল সংরক্ষণ)
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের অর্থ ও অন্যন্য সম্পাদক তবে সংরক্ষণ করে থাকে।
৩) Maintaining govt. account (সরকারের হিসাব সংরক্ষণ)
সরকারের যাবতীয় আয়-ব্যয়ের হিসাব কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংরক্ষণ করে থাকে।
৪) Handle govt. transactions (সরকারের লেনদেন সম্পাদন)
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের পক্ষে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে লেনদেন সম্পাদন করে থাকে।
৫) Purchase & sale of foreign exchange (বৈদেশিক মুদ্রার ক্রয়-বিক্রয়)
দেশের পক্ষে বৈদেশিক মুদ্রার ক্রয়-বিক্রয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি উল্লেখযোগ্য কাজ।
৬) Advisor (উপদেষ্টা)
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের অর্থনৈতিক নীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে থাকে।
৭) Coordination & maintenance of different statistics (তথ্য ও পরিসংখ্যান সংগ্রহ ও সংরক্ষণ)
বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়ক যাবতীয় তথ্য ও পরিসংখ্যান সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যতম একটি কাজ।
৮) International Relations (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক)
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিদেশী ব্যাংক এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থার সাথে সরকারের সম্পর্ক স্থাপন করে এবং সমন্বয় সাধন করে থাকে।
৯) Government Representative (সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী)
সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে।
গ) Functions performed as bankers of all banks (সকল ব্যাংকের ব্যাংকার হিসেবে সম্পাদিত কার্যাবলী)
নিম্নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সকল ব্যাংকের ব্যাংকার হিসেবে সম্পাদিত কার্যাবলীসমূহ আলোকপাত করা হলো-
১) Permission and enlistment (অনুমতি দান ও তালিকাভুক্তকরণ)
কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার অনুমতি ও তালিকাভুক্তির কাজ করে থাকে।
২) New bank branch (ব্যাংকের নতুন শাখা)
বাণিজ্যিক ও অন্যান্য ব্যাংকের নতুন শাখার অনুমোদন কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রদান করে থাকে।
৩) Clearing house (নিকাশ ঘর)
একমাত্র কেন্দ্রীয় ব্যাংকই এক ব্যাংকের সাথে অন্য ব্যাংকের লেনদেন নিষ্পত্তি করে নিকাশ ঘরের মাধ্যমে কাজ করে থাকে।
৪) Lender of the last resort (ঋণের শেষ আশ্রয়স্থল)
ব্যাংকগুলোর আর্থিক সংকটের সময় যখন কোন উৎস হতে তহবিল সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না সে সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকসমূহকে দিয়ে থাকে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ঋণের শেষ আশ্রয়স্থল বলা হয়ে থাকে।
৫) Controlling the function of commercial banks (বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ)
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুসংগঠিত নিয়মনীতি দ্বারা বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
৬) Accountancy test (হিসাবপত্র পরীক্ষা)
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকের হিসাব পরিক্ষা-নিরীক্ষা করে থাকে এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহকে সঠিক হিসাব সংরক্ষণে বাধ্য করে রাখে।
৭) Advisors and consultants (উপদেষ্টা ও পরামর্শদাতা)
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন বিষয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহকে বিভিন্ন উপদেশ ও পরামর্শ দিয়ে থাকে।
৮) Liquidity Reserve (তারল্য সংরক্ষণ)
আমানতকারীর স্বার্থ সংরক্ষণে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহকে মোট আমানতের একটা অংশ বাধ্যতামূলকভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রিজার্ভ হিসেবে জমা রাখতে হয়।
৯) Representatives of other banks (অন্যান্য ব্যাংকের প্রতিনিধি)
কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্যান্য সদস্য ব্যাংকের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে থাকে।
১০) Recovery of loan (ঋণ আদায়)
বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রদত্ত ঋণ আদায়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে থাকে।
১১) Developing foreign trade (বৈদেশিক বাণিজ্যে উন্নয়ন)
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক বাণিজ্যের উন্নয়নে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহকে সহায়তা করে থাকে।
ঘ) Other functions (অন্যান্য কার্যাবলী)
নিম্নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যান্য কার্যাবলীসমূহ আলোকপাত করা হলো-
১) Agricultural development (কৃষি উন্নয়ন)
কৃষি খাতে উন্নয়নের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে কৃষি ব্যাংক স্থাপন বা কৃষি ঋণ কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকে।
২) Industrial development (শিল্প উন্নয়ন)
শিল্প বিনিয়োগে উৎসাহ মূলক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারকে নীতি নির্ধারণসহ ঋণ সহযোগিতা করে থাকে।
৩) Development of cooperative banks (সমবায় ব্যাংকের উন্নয়ন)
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সমবায়ের উন্নয়নে ঋণ-সুবিধাসহ নানাবিদ কার্যক্রমের মাধ্যমে সহায়তা করে থাকে।
৪) Research work (গবেষণা কার্যক্রম)
শিল্প-বাণিজ্য তথা সামগ্রিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি সাধনের উপায় উদ্ভাবন, পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং এর বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
৫) Confirmation of Credit Usage (ঋণের ব্যবহার নিশ্চিতকরণ)
বাজারে প্রদত্ত ঋণের যথাযোগ্য উৎপাদনশীল ব্যবহার নিশ্চিত করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
- নিকাশ ঘরের সংজ্ঞা ও কার্যাবলী ব্যাখ্যা করতে হবে।,
নিকাশ ঘর (বা ক্লিয়ারিং হাউজ) হল কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দিষ্ট একটি ঘর বা ব্যবস্থা যেখানে বসে আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনা নিষ্পত্তি করা হয়। অর্থাৎ, নিকাশ ঘর হলো এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চল বা দেশের তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহ তাদের পরস্পরের মধ্যকার দেনা-পাওনা নিষ্পত্তিকরণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দিষ্ট কোনো স্থানে নির্দিষ্ট সময়ে একত্রিত হয় এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনা নিষ্পত্তি করে।
বর্তমানে, আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে নিকাশ কার্যক্রমের জন্য নির্দিষ্ট কোন ঘরে একত্রিত হতে হয় না বরং ইন্টারনেট ব্যবস্থার মাধ্যমে এই কার্যক্রম সম্পূর্ণ করা হয়। ইন্টারনেট ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিকাশ কার্যক্রম বা আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনা নিষ্পত্তির এই ব্যবস্থাকে বলা হয় স্বয়ংক্রিয় নিকাশ ঘর বা অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউজ।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
১. নির্ধারিত ঘর : নিকাশ ঘর একটি নির্দিষ্ট স্থানে (সাধারণত : একটি ঘর বা কক্ষে) অবস্থিত হয়। বিভিন্ন ব্যাংকের
প্রতিনিধিরা এ কক্ষে হাজির হয়ে চেক, ড্রাফট ইত্যাদি বিনিময় করেন।
২. নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন : নিকাশ ঘর ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য কতিপয় নিয়ম-নীতি নির্ধারণ করে দেওয়া
হয়। সকল ব্যাংককেই নিকাশ সংক্রান্ত এই বিধিসমূহ মেনে চলতে হয়।
৩. কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রভাব: নিকাশ ঘরের উপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পুরোপুরি প্রভাব থাকে। এর জন্য নিয়ম-কানুন নির্ধারণ
হতে আরম্ভ করে পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার প্রায় সম্পূর্ণ কাজই কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্পাদন করে থাকে।
৪. স্বায়ত্বশাসন: নিকাশ ঘর স্বায়ত্বশাসন বিশিষ্ট সংগঠন। ব্যাংকসমূহ এর সদস্য হয়।
৫. দেনা-পাওনার নিষ্পত্তি : নিকাশ ঘরের অন্যতম উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো, এটি ব্যাংকসমূহের মধ্যকার পারস্পরিক
দেনা-পাওনা নিষ্পত্তির জন্য সৃষ্টি করা হয়। নিকাশ ঘর এর আওতাধীন ব্যাংকসমূহের চেক থেকে যে পারস্পরিক দেনাপাওনার উদ্ভব হয়, তার নিষ্পত্তি করে।
কিভাবে ব্যাংকগুলো নিকাশ পদ্ধতির মাধ্যমে আন্তঃব্যাংক দেনা-পাওনা নিষ্পত্তি করে
নিকাশ-ঘরে বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধিগণ মিলিত হয় এবং সকলে সেখানে আসার সময় অন্য ব্যাংকের নামে কাটা
চেকসমূহ সঙ্গে করে নিয়ে আসে। নিকাশ-ঘরে একত্রিত হওয়ার পর তারা চেক বিনিময় করে। নিজের ব্যাংকের নামে কাটা
চেকগুলো প্রত্যেক প্রতিনিধি সংগ্রহ করে ব্যাংকে নিয়ে যায়।
নিকাশ-ঘরের পরবর্তী মিটিং-এ (একই দিন) যেসব চেকের
অমর্যাদা হয় সেগুলোর ব্যাপারে ফয়সালা হয়। অর্থাৎ ব্যাংকের প্রতিনিধি তার নিজের ব্যাংকের উপর কাটা
চেক অসম্মানিত হলে সেগুলো নিকাশ ঘরে নিয়ে আসে এবং পরবর্তী মিটিং-এ যে ব্যাংক হতে চেক গ্রহণ করেছিল সে
ব্যাংকের প্রতিনিধির নিকট ফেরত দেয়। আর, ব্যাংকে ফিরবার সময় অন্য ব্যাংকের উপর কাটা অপরিশোধিত চেকগুলো
সঙ্গে করে নিয়ে আসে। এসব অপরিশোধিত চেক জমাকারীর নিকট ফেরত দেওয়া হয়।
ব্যাংকের প্রত্যেক প্রতিনিধিকে নিকাশ-ঘর হতে একটি মুদ্রিত ফরম সরবরাহ করা হয়। এ ফরমে প্রত্যেকটি নিকাশব্যাংকের নামে একটি কলাম থাকে এবং এ কলাম ডেবিট ও ক্রেডিট কলামে বিভক্ত থাকে। মনে করি, রূপালী ব্যাংকের
প্রতিনিধি পুবালী ব্যাংকের নামে কাটা এক ব্যক্তির চেক পুবালী ব্যাংকের প্রতিনিধির নিকট অর্পণ করল। পুবালী ব্যাংকের
প্রতিনিধি তখন এসব চেকের মোট টাকার পরিমাণ রূপালী ব্যাংকের ‘ক্রেডিট’ কলামে লিপিবদ্ধ করবে। আবার পুবালী
ব্যাংকের প্রতিনিধিও রূপালী ব্যাংকের নামে কাটা এর বাণ্ডিল চেক রূপালী ব্যাংকের প্রতিনিধির নিকট অর্পণ করল। তখন
পুবালী ব্যাংকের প্রতিনিধি চেকের মোট টাকার পরিমাণ একই ফরমে রূপালী ব্যাংকের ‘ডেবিট’ কলামে লিপিবদ্ধ করবে।
নিকাশ ঘরের ফরমটির উভয় কলাম যোগ করে উদ্বৃত্ত বের করা হয়।
উদ্বৃত্ত রূপালী ব্যাংকের অনুকুলেও হতে পারে অথবা
প্রতিকুলেও হতে পারে। ডেবিট পার্শ্বের তুলনায় ক্রেডিট পার্শ্ব অধিক হলে রূপালী ব্যাংক পার্থক্যের সমপরিমাণ টাকা
পাবে। পক্ষান্তরে, ক্রেডিট পার্শ্ব ডেবিট পার্শ্ব হতে কম হলে পার্থক্যের সমপরিমাণ টাকা রূপালী ব্যাংক প্রদান করবে।
নিকাশ ঘরে পাঠানোর জন্য প্রত্যেক ব্যাংক একটি বিবরণী তৈরি করে। এ বিবরণীতে যেসব ব্যাংকের চেক গৃহীত হয়
তাদের নাম, চেকের নম্বর ও টাকার পরিমাণ উল্লেখ থাকে।
সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-
- ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,
৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :
- বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :
- মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক