শ্রেণি: ১০ম/ ssc/ উন্মুক্ত-2021 বিষয়: অর্থনীতি এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021 |
---|
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 02 বিষয় কোডঃ 2671 |
বিভাগ: মানবিক শাখা |
এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের বর্ণনা করে এদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কিভাবে এসব সম্পদের দক্ষ ব্যবহার নিশ্চিত করা যায় তা উপস্থাপন করুন।
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
সাধারণত আমরা সম্পদ বলতে টাকা-পয়সা বা ধন-সম্পত্তিকে বুঝি। যেমন- আমরা বলে থাকি জনি সাহেব অনেক টাকাপয়সার মালিক। তার অনেক সম্পদ।
কিন্তু অর্থনীতিতে সম্পদ বলতে অর্থনৈতিক দ্রব্যকে বুঝায়। অর্থনীতিবিদমদের দৃষ্টিতে, “সম্পদ হচ্ছে ঐ সমস্ত দ্রব্যাদি যাদের বিনিময় মূল্য আছে।”
যেমন-ঘরবাড়ি, টিভি-ফ্রিজ, জমি-জমা ইত্যাদি বস্তুগত সম্পদ। অন্যদিকে ডাক্তারের সেবা, শিক্ষকের শিক্ষাদান ইত্যাদি অবস্তুগত সম্পদ। উপরের জিনিসগুলো পেতে আমাদের অর্থ ব্যয় করতে হয় যা বিনিময় মূল্য হিসেবে পরিচিত। অর্থনীতিতে কোনো দ্রব্যকে সম্পদ বলে গণ্য হতে হলে এর চারটি বৈশিষ্ট্য অবশ্যই থাকতে হবে। বৈশিষ্ট্যগুলো হচ্ছে :
১। উপযোগ: উপযোগ হচ্ছে মানুষের অভাব পূরণের ক্ষমতা। কোনো দ্রব্যের উপযোগ না থাকলে কেউই সেই দ্রব্যের আকাক্সক্ষা করবে না এবং সেই দ্রব্যের পরিবর্তে অর্থ ব্যয় করতে চাইবে না। সুতরাং সম্পদের উপযোগ বা অভাব পূরণের ক্ষমতা থাকতে হবে।
২। অপ্রাচুর্যতা: কোনো দ্রব্যের উপযোগ থাকলেই যে মানুষ অর্থ ব্যয় করতে উৎসাহি হবে এমন কোনো কথা নেই। যেমনঃ বাতাস, নদীর পানি, সূর্যের আলোর উপযোগ আছে, কিন্তু এসবের যোগান অসীম হওয়ায় এদের বিনিময় মূল্য নেই। অর্থাৎ কোনো দ্রব্য সম্পদ হতে হলে তার চাহিদার তুলনায় যোগান কম থাকবে।
৩। হস্তান্তরযোগ্যতা: সম্পদের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে হস্তান্তরযোগ্যতা। সাধারণ অর্থে হস্তান্তরযোগ্যতা বলতে কোনো দ্রব্যের এক স্থান হতে অন্যস্থানে স্থানান্তর করা বুঝায়। কিন্তু অর্থনীতিতে হস্তান্তরযোগ্যতা বলতে দ্রব্যের মালিকানা পরিবর্তন বুঝায়। যেমন- বাড়ি বা জমি একস্থান থেকে অন্যস্থানে সরানো যায় না; কিন্তু বিক্রির মাধ্যমে মালিকানার পরিবর্তন সম্ভব। তাই বাড়ি বা জমি সম্পদ।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
৪। বাহ্যিকতা: অর্থনৈতিক দ্রব্য বা সম্পদ হতে হলে সেসব দ্রব্যের বাহ্যিকতা বা বাহ্যিক অস্তিত্ব থাকতে হবে। যেমনঘরবাড়ি, আসবাবপত্র, ডাক্তারের সেবা ইত্যাদি। কিন্তু মানুষের অন্তর্নিহিত গুণ সম্পদ নয়। যেমন-কবির প্রতিভা, মায়ের স্নেহমমতা, ডাক্তারের দক্ষতা ইত্যাদি সম্পদ নয়।
সম্পদের শ্রেণিবিভাগ
সম্পদ কত ধরণের হতে পারে তা জানতে হলে কিসের ভিত্তিতে সম্পদের শ্রেণিবিভাগ করা হচ্ছে তা জানা দরকার। সাধারণত উৎস বা উৎপত্তির দিক হতে সম্পদকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:- ১। প্রাকৃতিক সম্পদ: প্রকৃতির কাছ থেকে স্বাভাবিকভাবে যেসব দ্রব্য পাওয়া যায় তাকে প্রাকৃতিক সম্পদ বলে। যেমনভূমি, পানি, জলবায়ু, গাছপালা, নদ-নদী, খনিজ সম্পদ ইত্যাদি।
২। মানবিক সম্পদ: মানুষের মানবীয় বা ভিতরের গুণাবলিকে মানবিক সম্পদ বলা হয়। যেমন-স্বাস্থ্য, উদ্যম, বুদ্ধি, দক্ষতা, সততা ইত্যাদি। তবে এগুলোর হস্তান্তরযোগ্যতা ও বাহ্যিক সত্তা নেই বলে অর্থনীতিতে এদের সম্পদ বলা হয় না।
৩। মনুষ্যসৃষ্ট সম্পদ: মনুষ্যসৃষ্ট সম্পদ হচ্ছে সেই সম্পদ যা প্রাকৃতিক সম্পদ ও মানবিক সম্পদ কাজে লাগিয়ে মানুষ সৃষ্টি করে। যেমন- ঘরবাড়ি, যন্ত্রপাতি, রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ইত্যাদি।
মালিকানার দিক হতে সম্পদকে আবার চারভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ১। ব্যক্তিগত সম্পদ: ব্যক্তির মালিকানায় যেসব সম্পদ রয়েছে তাই হচ্ছে ব্যক্তিগত সম্পদ। যেমন- গাড়ি-বাড়ি, আসবাবপত্র ইত্যাদি।
২। সমষ্টিগত সম্পদ: যেসব সম্পদের মালিকানা সমাজ বা রাষ্ট্রের হাতে থাকে সেসব সম্পদকে সমষ্টিগত সম্পদ বলে। অর্থাৎ জনগণের ব্যবহৃত সম্পদ ও সরকারি সম্পদ একত্রে মিলে সমষ্টিগত সম্পদ সৃষ্টি হয়। যেমন- রাস্তাঘাট, হাসপাতাল, পার্ক, চিড়িয়াখানা ইত্যাদি।
৩। জাতীয় সম্পদ: জাতীয় সম্পদ মূলত: ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত সম্পদের সংমিশ্রণে সৃষ্ট। যেমন-জনগণের সুনাম, কারিগরি সম্পদ, খনিজ সম্পদ ইত্যাদি জাতীয় সম্পদের অন্তর্গত।
৪। আন্তর্জাতিক সম্পদ: আন্তর্জাতিক সম্পদ হচ্ছে সেই সম্পদ যার মালিকানা ব্যক্তি কিংবা রাষ্ট্রের নয় বরং পৃথিবীর সব দেশ তা ভোগ করতে পারে। যেমন- সাগর, মহাসাগর, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ইত্যাদি।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অর্থনৈতিক সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম। অর্থনৈতিক সম্পদ মূলত: (১) প্রাকৃতিক, (২) মানবিক ও (৩) মূলধনী এই তিন ধরণের হয়ে থাকে। এই পাঠে আমরা বাংলাদেশের প্রাকৃতিক অর্থনৈতিক সম্পদ নিয়ে আলোচনা করবো।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পদ
বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। পৃথিবীতে অনেক দেশ আছে যারা প্রাকৃতিক অর্থনৈতিক সম্পদের উপর অধিক নির্ভরশীল। বাংলাদেশেও প্রকৃতিগতভাবে কিছু অর্থনৈতিক সম্পদ আছে সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলোঃ
ক. কৃষি সম্পদ
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। এ দেশের আর্থ-সামাজিক কাঠামো প্রধানত কৃষিভিত্তিক এবং এ দেশের ভূমি কৃষির জন্য খুবই উর্বর। এ দেশে ২২ মিলিয়ন একর কৃষি জমি রয়েছে। দেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল। শিল্পক্ষেত্রে ইহা কাঁচামাল ও শ্রমিক সরবরাহ করে। বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, মেশিন, জ্বালানি শিল্পের কাঁচামাল আমদানি করা হয় কৃষিজ দ্রব্য রপ্তানি করার মাধ্যমে। এ দেশের কৃষিক্ষেত্রে ধান, গম, পাট, ডাল, আলু, চা, তামাক, আলু, তৈলবীজ, রেশম প্রভৃতি কৃষিজ ফসল উৎপন্ন হয়।
খ. খনিজ সম্পদ
একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে খনিজ দ্রব্যের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এ দিক দিয়ে বাংলাদেশ খুব একটা সমৃদ্ধ নয়। তবে বর্তমানে বিভিন্ন ভৌগোলিক জরিপের মাধ্যমে এ দেশে বিভিন্ন খনিজ দ্রব্যের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। এ দেশের প্রধান প্রধান খনিজ সম্পদের বিবরণ নিচে দেয়া হলো:
১. প্রাকৃতিক গ্যাস: বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাসে সমৃদ্ধ। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বহুলাংশে প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর নির্ভরশীল। এ পর্যন্ত ২৪টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান গ্যাসক্ষেত্রগুলো হচ্ছে- তিতাস, বিয়ানীবাজার, জালালাবাদ, কৈলাসটিলা ও ছাতক। ২২টি গ্যাসক্ষেত্রে মোট মজুদের পরিমাণ ২৮.৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। বিদ্যুৎ উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি গ্যাস ব্যবহৃত হয়। সার কারখানায় কাঁচামালের এবং বাণিজ্যিক, কলকারখানা ও গৃহস্থালী খাতে জ্বালানির প্রধান উৎস গ্যাস।
২. কয়লা: বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার বড় পুকুরিয়া, ফুলবাড়ী ও দিঘীপাড়া, রংপুর জেলার খালাশপীর ও জয়পুরহাট জেলার জামালগঞ্জে কয়লা, সিলেট ও রাজশাহীতে কয়লার সন্ধান পাওয়া গেছে। কয়লা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
৩. চুনাপাথর: সুনামগঞ্জ জেলার টেকেরহাট, লালঘাট, ভাঙ্গারহাট, জয়পুরহাট জেলার জামালগঞ্জ এবং চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড ও সেন্টমার্টিন দ্বীপে চুনাপাথরের সন্ধান পাওয়া গেছে। সিমেন্ট, গ্লাস, কাগজ, সাবান, ব্লিচিং পাউডার প্রভৃতি উৎপাদনে এবং গৃহ নির্মাণে চুনাপাথর ব্যবহৃত হয়।
৪. চীনামাটি: চীনামাটি প্রধানত: টাইলস, সিরামিকের জিনিসপত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। ময়মনসিংহ জেলার বিজয়পুর এবং নওগাঁ জেলার পত্নীতলায় চীনামাটির খনি রয়েছে।
৫. সিলিকা বালু: এটি প্রধানত: কাঁচ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া, রং ও রাসায়নিক দ্রব্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের সিলেট, সুনামগঞ্জ, জামালপুর ও কুমিল্লা জেলায় সিলিকা বালু পাওয়া যায়।
৬. খনিজ তেল: বাংলাদেশে এখনও উল্লেখযোগ্য খনিজ তেলের খনি আবিষ্কৃত হয়নি। সিলেটের হরিপুরে খনিজ তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। তাছাড়া, দেশের উপকূলীয় এলাকা, পার্বত্য চট্টগ্রামে খনিজ তেল সঞ্চিত আছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
৭। কঠিন শিলা: রংপুরের রানীপুকুর ও দিনাজপুরের মধ্যপাড়ার কঠিন শিলার মজুদ রয়েছে। রেললাইন, বাঁধ নির্মাণ, রাস্তাঘাট তৈরি ইত্যাদি কাজে কঠিন শিলার প্রয়োজন হয়।
৮। তামা: রংপুর জেলার রানীপুকুর ও দিনাজপুর জেলার মধ্যপাড়ায় কঠিন শিলাস্তরে তামার সন্ধান পাওয়া গেছে। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, মুদ্রা, বাসন-কোসন ইত্যাদি তৈরিতে তামার প্রয়োজন।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
গ. বনজ সম্পদ
একটি দেশের বনভূমি ও বনজ সম্পদ সে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য একটি দেশের মোট ভূমির ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশে বনভূমি মোট ভূমির ১৭ ভাগ যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। এ দেশের বনভূমি অঞ্চলকে প্রধানত: ৩ ভাগে ভাগ করা যায়।
(১) সুন্দরবন: বাংলাদেশের প্রধান বনভূমি সুন্দরবন। খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও বরগুনা জেলার সমুদ্র উপকূলে এ বন অবস্থিত। এর আয়তন ৬,০০০ বর্গকিলোমিটার। এই বনাঞ্চলকে ম্যানগ্রোভ বনভূমি বলা হয়। এ বনভূমিতে সুন্দরী, গেওয়া, গরান, কেওড়া, বাইন প্রভৃতি মূল্যবান গাছ জন্মে। তাছাড়াও গোলপাতা, মধু, মোম, কাঁকড়া ইত্যাদি এ বন থেকে আহরণ করা হয়। এ বনভূমিতে বাঘ, কুমির, হরিণ প্রভৃতি মূল্যবান জীবজন্তু এবং অসংখ্য প্রজাতির পাখি রয়েছে।
(২) চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাহাড়ী বনভূমি: চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, সুনামগঞ্জ এর বনভূমি পাহাড়ী বনভূমির অন্তর্গত। এ অঞ্চলের বনভূমিকে চিরসবুজ বনভূমিও বলা হয়। এ বনভূমিতে সেগুন, গর্জন, গামারি, চাপালিশ, জারুল, বাঁশ, বেত, শিমুল প্রভৃতি গাছ বিপুল পরিমাণে জন্মায়। এ বনভূমিতে রয়েছে হাতি, হরিণ এবং অসংখ্য প্রজাতির পাখি।
(৩) শাল ও ভাওয়াল বনভূমি: প্রধানত: গাজীপুর জেলার ভাওয়াল গড়, টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর গড়, শেরপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা জেলায় এ ধরণের বনভূমি রয়েছে। তাছাড়াও দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের দিনাজপুর, রংপুর, ঠাকুরগাঁও ও নওগাঁতে এ ধরনের বনভূমির অস্তিত্ব রয়েছে। এ বনভূমির মোট আয়তন ১২০০ বর্গকিলোমিটার। এ বনভূমিতে শাল, গজারি ও কড়ই গাছ জন্মায়।
পানি সম্পদ
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে পানি সম্পদ অন্যতম। দেশের অর্থনীতি পানি সম্পদের উপর নির্ভরশীল। কৃষিজ, বনজ ও মৎস্য সম্পদ এ পানি সম্পদ দ্বারা প্রভাবিত হয়। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। বিভিন্ন নদ-নদী এ দেশের পানি সরবরাহের প্রধান উৎস। বঙ্গোপসাগর হচ্ছে এ দেশে ভূ-উপরিস্থ পানি সরবরাহের একটি প্রধান উৎস। তাছাড়া, বৃষ্টির পানি ও ভূগর্ভস্থ পানি এ দেশের পানির চাহিদা অনেকটা পূরণ করে।
মৎস্য সম্পদ
মাছ বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সম্পদ। এ দেশের ১২ লাখ লোক প্রত্যক্ষভাবে মৎস্য খাতে নিয়োজিত আছে। মৎস্য সম্পদ এ দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের ৪.৭ ভাগ, রপ্তানি আয়ে ৯.১ ভাগ এবং প্রাণীজ প্রোটিনের ৮০ ভাগ পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া, বিভিন্ন কুটির শিল্প এবং হাঁস-মুরগীর খামারে মাছের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করা হয়।
শক্তি সম্পদ
একটি দেশের কৃষি ও শিল্পকারখানা ভিত্তিক উন্নয়নের মূল ভিত্তি হচ্ছে শক্তি সম্পদ। বিভিন্ন উৎস হতে শক্তি পাওয়া যায়। শক্তির উৎসগুলো হচ্ছে বায়ু, পানি ও বিদ্যুৎ। আবার, বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদিত হয় কয়লা, গ্যাস, খনিজ তেল, সৌরশক্তি ও আণবিক শক্তি থেকে।
বাংলাদেশ কয়লা ও খনিজ তেলের মাধ্যমে শক্তি উৎপাদনে খুব সমৃদ্ধ নয়। তবে পানি সম্পদ ব্যবহার করে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে দেশে সৌরশক্তির উৎপাদন কিছুটা শুরু হয়েছে। তাছাড়া জৈব আবর্জনা যেমন-মৃত গাছপালা ও প্রাণী, গো-সার থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদন করা হয়। এ বায়োগ্যাসের মাধ্যমে দেশে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করা হচ্ছে। বাংলাদেশে ৮৯% শক্তির উৎস হচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাস। বাকিটুকু উৎপাদিত হয় জ্বালানি তেল, কয়লা ও পানি থেকে। পানি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎকে পানি বিদ্যুৎ বলে। রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই নামক স্থানে কর্ণফুলি নদীর তীরে দেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র অবস্থিত।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-
- ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,
৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :
- বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :
- মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- degree 3rd year philosophy 6th paper super suggestion, ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ১০০% কমন দর্শন ৬ষ্ঠ পত্র সাজেশন, ডিগ্রি ৩য় বর্ষ দর্শন ৬ষ্ঠ পত্র স্পেশাল সাজেশন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী ৩য় বর্ষ দর্শন ৬ষ্ঠ পত্র পরিক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান
- degree 3rd year psychology 6th paper super suggestion, ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ১০০% কমন মনোবিজ্ঞান ৬ষ্ঠ পত্র সাজেশন, ডিগ্রি ৩য় বর্ষ মনোবিজ্ঞান ৬ষ্ঠ পত্র স্পেশাল সাজেশন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী ৩য় বর্ষ মনোবিজ্ঞান ৬ষ্ঠ পত্র পরিক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান
- ডিগ্রি ১ম বর্ষের রেজাল্ট NU Degree 1st Year Result
- ডিগ্রী ২য় বর্ষের সাজেশন pdf
- Degree 2nd year suggestion
- Degree 2nd Year Math 4th paper Suggestion