শ্রেণি: ১০ম/ ssc/ উন্মুক্ত-2021 বিষয়: অর্থনীতি এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021 |
---|
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 06 বিষয় কোডঃ 2671 |
বিভাগ: মানবিক শাখা |
এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ বাংলাদেশের জাতীয় আয় কিভাবে পরিমাপ করা হয় তার বিবরণ দিন এবং এদেশের অর্থনীতিতে জাতীয় আয় পরিমাপের গুরুত্ব তুলে ধরুন।
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
বাংলাদেশের জাতীয় আয় কিভাবে পরিমাপ করা হয় তার বিবরণ দিন
বাংলাদেশে জাতীয় আয় পরিমাপের পদ্ধতি পৃথিবীর যে কোন দেশের জাতীয় আয়ের সঠিক ও নির্ভূলভাবে হিসাব করা একটি কঠিন কাজ। সাধারণত তিনটি পদ্ধতিতে জাতীয় আয়ের হিসাব করা হয়- ক) উৎপাদন পদ্ধতি, খ) আয় পদ্ধতি এবং গ) ব্যয় পদ্ধতি। বাংলাদেশে জাতীয় আয় পরিমাপের জন্য প্রধানত উৎপাদন পদ্ধতি ও আয় পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ব্যবসাবাণিজ্য, চাকুরি প্রভৃতি ক্ষেত্রে আয় পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অন্যদিকে, কৃষি, শিল্প, খনিজ সম্পদ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে আয় পরিমাপের উদ্দেশ্যে উৎপাদন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। চাকুরি ও ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যক্তির আয় যোগ করে জাতীয় আয় হিসাব করা হয়। আর কৃষি, শিল্প, খনিজ সম্পদ প্রভৃতি ক্ষেত্রে মোট উৎপাদনের আর্থিক মূল্য যোগ করে জাতীয় আয় হিসাব করা হয়ে থাকে। বৃহদায়তন শিল্প ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমূহ নিজেরাই তাদের আয়ের হিসাব বার্ষিক রিপোর্টে প্রকাশ করে থাকে। ক্ষুদ্রায়তণ ও কুটির শিল্পের ক্ষেত্রে ঐ প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে মোট উৎপাদনের পরিমাণ পরিমাপ করা হয়ে থাকে। অন্যদিকে কৃষিক্ষেত্রে আয় পরিমাপের উদ্দেশ্যে কৃষি শুমারি থেকে করা হয়ে থাকে।
এভাবে বাংলাদেশে জাতীয় আয় পরিমাপের উদ্দেশ্যে কোন কোন ক্ষেত্রে আয় পদ্ধতি এবং কোন কোন ক্ষেত্রে উৎপাদন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আবার, কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যয় পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সঠিক ও নির্ভুল তথ্যের অভাবে আমাদের দেশে জাতীয় আয় সঠিকভাবে পরিমাপ করা খুবই কঠিন কাজ হয়ে পড়ে। এ জন্য বিভিন্ন পদ্ধতিতে হিসাব করে তাদের গড়পড়তা যে সংখ্যা দাঁড়ায় তাকেই সঠিক হিসাব বলে ধরা হয়ে থাকে। তাই বলা যায় যে নির্ভুল তথ্য ও পরিসংখ্যানের ব্যবহার করে বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয় করলে আমাদের দেশে জাতীয় আয় সঠিকভাবে পরিমাপ করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশে জাতীয় আয় পরিমাপ পদ্ধতি
বাংলাদেশে জাতীয় আয় গণনার কাজটি করে থাকে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। এই প্রতিষ্ঠান প্রত্যেক বছর চলতি বাজার মূল্যে ও স্থির মূল্যে দ্রব্য ও সেবার মূল্য পরিমাপ করে থাকে। এ হিসাব করার জন্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো GDP ও GNI গণনা করার জন্য উৎপাদন ও ব্যয় পদ্ধতি ব্যবহার করে। উৎপাদন পদ্ধতিতে GDP পরিমাপের জন্য অর্থনীতিকে মোট ১৫টি প্রধান খাতে বিভক্ত করা হয়ে থাকে। খাতসমূহ হচ্ছে:
১. কৃষি ও বনজ সম্পদ: কৃষি দেশজ উৎপাদনের একটি অন্যতম খাত। GDP গণনা করতে এই খাতকে তিনটি উপখাতে বিভক্ত করা হয়ে থাকে।
ক. শস্য ও শাকসবজি: এ খাতে দেশজ উৎপাদনের পরিমাণ চলতি পাইকারি বাজার মূল্যে প্রেক্ষিতে হিসাব করা হয়ে থাকে। খ. প্রাণি সম্পদ: চলতি বাজার মূল্যে এ খাতের দেশজ উৎপাদনের পরিমাণ হিসাব করা হয়।
গ. বনজ সম্পদ: এ খাতের উপকরণের তথ্যের অভাবে মোট উৎপাদন হতে ৩% মূল্য বাদ দিয়ে যা থাকে তাকে মূল্য সংযুক্তি হিসাবে বিবেচনা করে GDP হিসাব করা হয়।
২. মৎস্য সম্পদ:ঃ অভ্যন্তরীণ ও সামুদ্রিক উৎস থেকে মোট মৎস্য আহরণের পরিমাণ থেকে GDP অংশ হিসাব হয়।
৩. খনিজ ও খনন: এই খাত দুটি উপখাতে বিভক্ত – (ক) প্রাকৃতিক গ্যাস ও অপরিশোধিত তেল (খ) অন্যান্য খনিজ সম্পদ। এ খাতে চলতি বাজার মূল্যে হিসাব করে আয় পরিমাপ করা হয়।
৪. শিল্প: শিল্পে উৎপাদিত পণ্যের চলতি বাজার মূল্যে হিসাব করে জিডিপি গণনা করা হয়। এই খাত দুই ভাগে বিভক্ত- (ক) বৃহৎ ও মাঝারি শিল্প (খ) ক্ষুদ্রায়তন শিল্প।
৫. বিদ্যুাৎ গ্যাস ও পানি: এ খাত একটি সেবা খাত। এ সেবা খাতের সেবা সরবরাহ মূল্যের প্রেক্ষিতে জিডিপি’র অংশ হিসাব করা হয়।
৬. নির্মাণ: নির্মাণ খাতের হিসাব করা হয় সরকারি বেঁধে দেওয়া মূল্যের প্রেক্ষিতে।
৭. পাইকারি ও খুচরা বাণিজ্য: এ খাতে পণ্যের পাইকারি মূল্যের হিসাবে জিডিপি গণনা করা হয়।
৮. হোটেল ও রেস্তোরা: এ খাতে দ্রব্য উৎপাদন ও সেবার হিসাব বিক্রয়মূল্যের দ্বারা করা হয়।
৯. পরিবহণ, সংরক্ষণ ও যোগাযোগ: এ খাতটি ৫টি উপখাতে বিভক্ত। (ক) স্থল পথ পরিবহণ (খ) পানি পথ পরিবহণ (গ) আকাশ পথ পরিবহণ (ঘ) সহযোগী পরিবহণ সেবা (ঙ) ডাক ও তার যোগাযোগ।
১০. আর্থিক প্রতিষ্ঠানিক সেবা: এ খাতের হিসাব করা হয় সেবা থেকে প্রাপ্ত মূল্যেও ভিত্তিতে। এ খাত তিনটি উপখাতে বিভক্ত (ক) ব্যাংক, (খ) বীমা ও (গ) অন্যান্য।
১১. রিয়েল এস্টেট ও অন্যান্য: এ খাত থেকে জিডিপি পরিমাণ হিসাব করা হয় সেবা থেকে প্রাপ্ত আয়ের পরিমাপের উপর।
১২. লোক প্রশাসন ও প্রতিরক্ষা: এ খাতের হিসাব করা হয় ব্যয়ের দিক দিয়ে।
১৩. শিক্ষা: এ খাতটি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। এ খাতের হিসাব হয় ব্যয় এর দিক থেকে।
১৪. স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা: এ খাতের জিডিপি হিসাব হয় ব্যয় হিসাব দ্বারা।
১৫. কমিউনিটি, সামাজিক ও ব্যাক্তিগত সেবা: এ খাতটি হিসাব হয় ব্যয়ের হিসাবের মাধ্যমে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
এদেশের অর্থনীতিতে জাতীয় আয় পরিমাপের গুরুত্ব তুলে ধরুন।
কোন নির্দিষ্ট সময়ে (সাধারণত এক বছরে) একটি দেশের জনগণ তাদের প্রাকৃতিক সম্পদ, শ্রম, মেধা সম্পদ (শিক্ষা, জ্ঞান, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি) ও মূলধনের সাহায্যে যে পরিমান চূড়ান্ত দ্রব্যসামগ্রি ও বিভিন্ন প্রকার সেবাকর্ম উৎপাদন করে তার আর্থিক মূল্যকে বলা হয় জাতীয় আয়। জাতীয় আয়ের পরিমান থেকে একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও জীবনযাত্রার মান সম্পর্কে সম্যক ধারনা পাওয়া যায়। কারণ, উৎপাদিত চূড়ান্ত দ্রব্যসামগ্রি ও সেবা উপভোগের উপরেই জনগনের জীবনযাত্রার মান নির্ভর করে। তাই কোন জাতির জীবনযাত্রার মান নিরুপনে জাতীয় আয় পরিমাপের গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
তা ছাড়া অর্থনীতির তত্ত্বীয় বিশ্লেষণেও জাতীয় আয়ের ধারণাটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। তাই এক্ষেত্রেও জাতীয় আয় পরিমাপের গুরুত্ব রয়েছে।
নিম্নে জাতীয় আয় পরিমাপের গুরুত্ব আলোচনা করা হল-
১। অর্থনৈতিক অবস্থার মানদন্ডঃ জাতীয় আয়কে ধরা হয় অর্থনৈতিক অবস্থার মাপকাঠি। দেশের অর্থনীতি যত ভালভাবে চলবে উৎপাদন তত বৃদ্ধি পাবে এবং জাতীয় আয়ের পরিমান তত বেশি হবে। অর্থাৎ, জাতীয় আয় বৃদ্ধি পেলে বুঝা যাবে যে উৎপাদন বেড়েছে এবং দেশের অর্থনীতি ভালভাবে চলছে। কাজেই, কোন দেশের অর্থনীতি সঠিকভাবে চলছে কিনা তা সে দেশের জাতীয় আয়ের হিসাব থেকেই বুঝা যায়। তাই প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ P A Samuelson যথার্থই বলেছেন যে, “জাতীয় আয় হচ্ছে একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার মাপকাঠি।”
২। জীবনযাত্রার মান নির্ধারকঃ জাতীয় আয়ের হিসাব থেকে জনগণের জীবনযাত্রার মান, জনগণের মাথাপিছু আয় ও তাদের ক্রয়ক্ষমতা সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায়। কারণ, জাতীয় আয় বাড়লে মাথাপিছু আয় ও ব্যয়যোগ্য আয় বাড়ে, অর্থাৎ, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ে; সাথে সাথে মানুষের জীবনযাত্রার মানও বাড়ে। দেশের প্রকৃত জাতীয় আয় যত বাড়বে দেশবাসীর জীবনযাত্রার মানও তত উন্নত হবে।
৩। বিভিন্ন খাতের তুলনামূলক গুরুত্ব নির্ণয়ঃ কৃষি, শিল্প, সেবা ইত্যাদি খাতের উৎপাদন মিলিয়ে হয় জাতীয় উৎপাদন। দেশের জাতীয় আয়ে কৃষি, শিল্প, সেবা ইত্যাদি বিভিন্ন খাতের অবদান কতটুকু তা থেকে অর্থনীতিতে খাতগুলির অবদান নির্ণয় করা যায়। অর্থনীতির কোন খাতে কতটুকু উন্নতি হচ্ছে, কোন খাতে আরও উন্নতি হওয়া দরকার বা সুযোগ রয়েছে তাও জাতীয় আয়ের হিসাব থেকে জানা যায়।
৪। অর্থনৈতিক তথ্যের উৎসঃ জাতীয় আয়ের হিসাবকে বিভিন্ন অর্থনৈতিক তথ্যের উৎস হিসাবে ব্যবহার করা হয়। কোন দেশের ভোগ, সঞ্চয়, বিনিয়োগ ইত্যাদি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জাতীয় আয়ের হিসাব থেকে পাওয়া যায়। তাই অর্থনৈতিক তথ্যের উৎস হিসাবে জাতীয় আয় পরিমাপের গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
দেশের অভ্যন্তরে নির্দিষ্ট সময়ে উৎপাদিত সমস্ত পণ্য ও সেবার বাজারমূল্য = ঐ সময়ে দেশের অভ্যন্তরে জনগণের ভোগ করা সমস্ত পণ্য ও সেবার মোট বাজারমূল্য + বিনিয়োগ + সরকারি ব্যয় + রপ্তানিকৃত পণ্যের মোট বাজারমূল্য – আমদানিকৃত পণ্যের মোট বাজারমূল্য।
৫। সম্পদের বন্টনঃ দেশের সম্পদের বন্টন ব্যবস্থা কিরূপ তা জাতীয় আয়ের হিসাব করার সময় ধরা পড়ে এবং তার ভিত্তিতে সরকারী নীতিমালা প্রণয়ন করা হয় যাতে সম্পদ মুষ্টিমেয় মানুষের হাতে জমা না হয়ে আপামর জনগণের মাঝে বন্টিত হয়। যেমন, আয়করের উপর সিলিং, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বা হস্তান্তর পাওনা, ভর্তুকি ইত্যাদি। সম্পদের সুষম বন্টনেও জাতীয় আয় পরিমাপের গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
৬। ব্যবসায় বানিজ্যের গতি সম্পর্কে ধারণাঃ দেশের জাতীয় আয়ের পর্যালোচনা না করে ব্যবসায় বানিজ্যের গতি সম্পর্কে পূর্বাভাস পাওয়া যায় না। কারণ, জাতীয় আয়ের হিসাব থেকেই ব্যাবসায় বানিজ্যের গতি আন্দাজ করা যায়।
৭। বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার তুলনাঃ বিভিন্ন দেশের জাতীয় আয়ের পরিসংখ্যান থেকে কোন দেশের জাতীয় আয়, মাথাপিছু আয় এবং জীবনযাত্রার মান বুঝা যায়। যেমন- বাংলাদেশ ও জাপানের জাতীয় আয় তুলনা করলে বুঝা যায় যে, বাংলাদেশ হতে জাপান কতটা সমৃদ্ধশালী এবং সে দেশের জীবনযাত্রার মান বাংলাদেশ থেকে কতটা উন্নত।
২০১৯ সালে জাপানের মাথাপিছু গড় জাতীয় আয় ৪১৫৮০ ইউএস ডলার পক্ষান্তরে ওই সময়ে বাংলাদেশের মাথাপিছু গড় জাতীয় আয় ছিল ১৯৪০ ইউএস ডলার।
৮। অর্থনৈতিক উন্নয়নের হার নির্দেশকঃ বর্তমানের সাথে অতীতের কয়েক বছরের জাতীয় আয়ের তুলনা করলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের হার জানা যায়। অর্থনৈতিক উন্নয়নের হার বাড়ছে না কমছে নাকি অপরিবর্তিত আছে তা আমরা জাতীয় আয়ের অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন থেকে জানতে পারি। অর্থাৎ, জাতীয় আয়ের পরিসংখ্যান দেখে আমরা অর্থনীতির উন্নতি বা অবনতি বুঝতে পারি।
২০২০ সালে বাংলাদেশের মোট জাতীয় আয় (GNI) ৩৩০.৬৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার, প্রবৃদ্ধির হার ৪.৫৫%
২০১৯ সালে বাংলাদেশের মোট জাতীয় আয় (GNI) ৩১৬.২৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার, প্রবৃদ্ধির হার ৮.২৯%
২০১৮ সালে বাংলাদেশের মোট জাতীয় আয় (GNI) ২৮২.০৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার, প্রবৃদ্ধির হার ৮.১২%
২০১৭ সালে বাংলাদেশের মোট জাতীয় আয় (GNI) ২৪২.৭৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার, প্রবৃদ্ধির হার ৫.৮৮%
২০১৬ সালে বাংলাদেশের মোট জাতীয় আয় (GNI) ২১৬.২৯ বিলিয়ন ইউএস ডলার, প্রবৃদ্ধির হার ৬.৪১%
৯। মুদ্রাস্ফীতি কিংবা মুদ্রাসংকোচনের তীব্রতা পরিমাপঃ জাতীয় আয়ের পরিমান হতে মুদ্রাস্ফীতি বা মুদ্রাসংকোচনের তীব্রতা অনুমান করা যায়। কোন দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ও উৎপাদিত দ্রব্যের দামের হ্রাস-বৃদ্ধি পরিমাপের জন্য জাতীয় আয় পরিমাপের গুরুত্ব অপরিসীম।
১০। অর্থনৈতিক পরিকল্পনা প্রণয়নঃ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা প্রণয়নের পূর্বে দেশের অর্থনীতির গতি বিশ্লেষণ করা দরকার হয়। আর এজন্য জাতীয় আয়ের অতীত ও বর্তমান অবস্থার আলোকে পরিকল্পনাবিদগণ ভবিষ্যতের জন্য অর্থনৈতিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করে থাকেন। তাই এক্ষেত্রে জাতীয় আয় পরিমাপের গুরুত্ব রয়েছে। পরিকল্পনা প্রণয়নকালে দেশের মোট জাতীয় আয়, মাথাপিছু আয়, ভোগ ও বিনিয়োগের পরিমান, উৎপাদনের হার, জাতীয় অর্থনীতিতে বিভিন্ন খাতের অবদান, ইত্যাদি তথ্যের প্রয়োজন হয়। এসব তথ্যের নির্ভরযোগ্য উৎস হল জাতীয় আয়ের পরিসংখ্যান। তাই, অর্থনৈতিক পরিকল্পনা প্রণয়নে জাতীয় আয় পরিমাপের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
১১। আন্তর্জাতিক সংস্থার চাঁদার হার নিরুপনঃ জাতীয় আয়ের পরিমানের উপর উপর নির্ভর করে জাতিসংঘ, বিশ্ব ব্যাংক, চন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাসমুহের চাঁদার হার নিরুপন করা হয়। বিভিন্ন দেশের জাতীয় আয়ের উপর নির্ভর করে সে সব দেশের চাঁদা প্রদানের সক্ষমতা। আর সেই সক্ষমতা বিবেচনা করেই চাঁদার হার নির্ধারণ করা হয়।
১২। বাজেট প্রণয়নঃ একটি দেশের সরকারের মূল অর্থনৈতিক কর্ম হল বাজেট প্রণয়ন। সরকারের বাৎসরিক বাজেট প্রণয়নে জাতীয় আয় পরিমাপের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, বাজেট হল সরকারের এক বছরের সম্ভাব্য আয়-ব্যয়ের প্রাক্কলন। সুতরাং সরকারের বিভিন্ন উৎস হতে সম্ভাব্য আয় এবং বিভিন্ন খাতে সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণে জাতীয় আয় পর্যালোচনা অত্যন্ত জরুরি এবং জাতীয় আয় পরিমাপের গুরুত্ব অপরিসীম।
১৩। দেশের অর্থনৈতিক কল্যানের মাপকাঠিঃ জাতীয় আয়ের পরিমান দ্বারা দেশের অর্থনৈতিক কল্যাণের স্তর অনুধাবন করা যায়। অন্যান্য় শর্ত অপরিবর্তিত থাকলে জাতীয় আয়ের বৃদ্ধিতে দেশের অর্থনৈতিক কল্যাণ বৃদ্ধি পায় এবং জাতীয় আয় হ্রাস পেলে অর্থনৈতিক কল্যাণও হ্রাস পায়।
উপরে সংক্ষিপ্তাকারে যে আলোচনা করা হল তা থেকে বলা যায়, জাতীয় আয়ের পরিসংখ্যান বিভিন্ন উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। জাতীয় আয়ের পরিসংখ্যানে একটি দেশের অর্থনীতির পূর্ণাঙ্গ চিত্র ফুটে উঠে। এতে দেশের অর্থনৈতিক সমস্যাসমুহ যেমন চিহ্নিত হয় তেমনি সে সমস্যাসমুহ সমাধানের ইঙ্গিতও পাওয়া যায়। জাতীয় আয়ের পরিসংখ্যান হতে একটি দেশের অর্থনীতির সঠিক অবস্থা মূল্যায়ন করা যায়। কারণ এতে বহু মূল্যবান তথ্য পাওয়া যায়। দেশের কৃষিজাত ও শিল্পজাত উৎপাদন, ভোগ, সঞ্চয়, বিনিয়োগ, মূলধন গঠন ইত্যাদি কিভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে তা জাতীয় আয়ের বিভিন্ন বছরের হিসাব থেকে জানা যায়। এবং অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার যথোপযোক্ত নীতি গ্রহণ করতে পারে।
এক কথায়, জাতীয় আয় হচ্ছে একটি দেশের অর্থনীতির আয়না স্বরূপ। আয়নায় যেমন প্রতিবিম্ব দেখা যায়, জাতীয় আয়ের মাধ্যমেও একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা প্রতিফলিত হয়।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-
- ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,
৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :
- বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :
- মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- degree 3rd year philosophy 6th paper super suggestion, ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ১০০% কমন দর্শন ৬ষ্ঠ পত্র সাজেশন, ডিগ্রি ৩য় বর্ষ দর্শন ৬ষ্ঠ পত্র স্পেশাল সাজেশন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী ৩য় বর্ষ দর্শন ৬ষ্ঠ পত্র পরিক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান
- degree 3rd year psychology 6th paper super suggestion, ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ১০০% কমন মনোবিজ্ঞান ৬ষ্ঠ পত্র সাজেশন, ডিগ্রি ৩য় বর্ষ মনোবিজ্ঞান ৬ষ্ঠ পত্র স্পেশাল সাজেশন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী ৩য় বর্ষ মনোবিজ্ঞান ৬ষ্ঠ পত্র পরিক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান
- ডিগ্রি ১ম বর্ষের রেজাল্ট NU Degree 1st Year Result
- ডিগ্রী ২য় বর্ষের সাজেশন pdf
- Degree 2nd year suggestion
- Degree 2nd Year Math 4th paper Suggestion