রাষ্ট্র গঠনের উপাদানগুলাে উল্লেখপূর্বক ক্ষমতার বন্টন নীতির ভিত্তিতে রাষ্ট্রের প্রকারভেদগুলাে উপস্থাপন করুন, ২০২১ সালের এসএসসি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ১০ম শ্রেণি পৌরনীতি ও নাগরিকতা ৪র্থ অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান 2021

শ্রেণি: ১০ম/ ssc/ উন্মুক্ত-2021 বিষয়: পৌরনীতি ও নাগরিকতা এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 04 বিষয় কোডঃ 2672
বিভাগ: মানবিক শাখা
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ রাষ্ট্র গঠনের উপাদানগুলাে উল্লেখপূর্বক ক্ষমতার বন্টন নীতির ভিত্তিতে রাষ্ট্রের প্রকারভেদগুলাে উপস্থাপন করুন।

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

রাষ্ট্র একটি সুসংগǎত এবং স্থায়ী রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। মানুষ নিজেদের কল্যাণের জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে নিজ ইচ্ছায় রাষ্ট্র সৃষ্টি করেছে। আধুনিককালে রাষ্ট্র অনেক বিবর্তনের ফলে বর্তমান অবস্থায় উপনীত হয়েছে। রাষ্ট্র গঠনের চারটি উপাদান রয়েছে-

স্থায়ী জনগণ

জনসমষ্টি হচ্ছে রাষ্ট্র গঠনের গুরত্বপূর্ণ উপাদান। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের দৃষ্টিতে জনমানববিহীন অঞ্চল রাষ্ট্র বলে বিবেচিত হতে পারে না। রাষ্ট্রের জন্য স্থায়ী জনসমষ্টি আবশ্যক। তবে জনসমষ্টির নির্দিষ্ট কোন পরিমাণ নেই। কোন কোন রাষ্ট্রে জনসংখ্যা খুব কম হতে পারে আবার কোন কোন রাষ্ট্রে জনসংখ্যা অধিক হতে পারে। যেমন চীনে জনসংখ্যা শত কোটির উপরে। পক্ষান্তরে ব্রোনাইয়ের জনসংখ্যা দুই লাখের মত। বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি। রাষ্ট্রের প্রশাসন ও উন্নয়নমূলক কাজ পরিচালনার জন্য জনসমষ্টি অত্যাবশ্যক।

নির্ধারিত নির্ধারণকৃত ভূ-খন্ড

রাষ্ট্র গঠনের অন্যতম অপরিহার্য উপাদান হল ভূ-খন্ড । ভূ-খন্ড বলতে শুধুভূমি ও জলাশয়কে বোঝায় না বরং একটি রাষ্ট্রের স্থলভাগ, জলভাগ ও এর আকাশ সীমাকে বোঝায়। কোন রাষ্ট্রের আয়তন খুব কম আবার কোনটির খুব বেশি হতে পারে। যেমনÑ চীনের আয়তন ৯.৬ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার। অপরপক্ষে বিশ্বের একটি ছোট রাষ্ট্র নাউরু যার

আয়তন মাত্র ২১ বর্গ কি.মি.। আবার মনাকোর আয়তন ২.৫ বর্গ কিলোমিটার। বাংলাদেশের আয়তন ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গ কি. মি.।

সরকার

রাষ্ট্র গঠনের তৃতীয় অন্যতম উপাদান হল সরকার। সরকার হল আয়নার মত যাতে রাষ্ট্রের ইচ্ছা ও অনিচ্ছা প্রকাশ পায় এবং সরকারের মাধ্যমে তা বাস্তবায়িত হয়। সরকার রাষ্ট্রের যাবতীয় শাসনকাজ পরিচালনা করে। তাছাড়া সরকার রাষ্ট্রের সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি আভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখে। সরকার মূলত তিনটি বিভাগের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করে থাকে।

বিভাগ তিনটি হল: ১। আইন বিভাগ ২। শাসন বিভাগ ৩। বিচার বিভাগ। রাষ্ট্রভেদে সরকার ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। যেমনঃ সংসদীয় সরকার, রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ইত্যাদি।

সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল সার্বভৌমত্ব। সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্রের চরম ও চূড়ান্ত ক্ষমতাকে নির্দেশ করে। ফলে একটি রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণমুক্ত থাকে। সার্বভৌমত্বহীন কোন ভূ-খন্ড, জনসমষ্টি ও সরকারকে রাষ্ট্র বলা চলে না। সার্বভৌমত্ব দুই ধরনের হয়। (ক) অভ্যন্তরীণ: অভ্যন্তরীণ সার্বভৌমত্ব দ্বারা রাষ্ট্র তার নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে কোন ব্যক্তি বা সংখ্যার উপর অবাধ ও সীমাহীন ক্ষমতার অধিকারী হয় এবং আদেশ ও নিষেধ জারি করে। এ ধরনের সার্বভৌমত্ব দ্বারা রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।

(খ) বাহ্যিক: বাহ্যিক চরম ক্ষমতা দ্বারা রাষ্ট্র বহি:শক্তির আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করে। এ ধরনের সার্বভৌমত্ব আন্তুর্জাতিক পরিমন্ডলে বিস্তৃত। অর্থাৎ রাষ্ট্র নামক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানটি জনসমষ্টি, নির্দিষ্ট ভূ-খন্ড, সার্বভৌমত্ব এবং এ তিনটি উপাদানের সমন্বয়ের জন্য সরকার নিয়ে রাষ্ট্র গঠিত হয়।

রাষ্ট্রের আয়তন, জনসংখ্যা ও জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা বিভিন্ন বিভাগ ও অঞ্চলে বন্টন করা হয়। ক্ষমতা বণ্টনের ধরণ ও নীতির উপর ভিত্তি করে রাষ্ট্রকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়-

(১) এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র এবং (২) যুক্তরাষ্ট্র

এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র সার্বিকভাবে কেন্দ্রিয় সরকারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। রাষ্ট্রের সকল শাসনতান্ত্রিক ক্ষমতা সংবিধানের মাধ্যমে একটি কেন্দ্রিয় সরকারের হাতে অর্পণ করা হয়। এতে কেন্দ্র থেকে ক্ষমতা উৎসারিত হয় এবং রাষ্ট্র পরিচালনা করা হয়। এক্ষেত্রে শাসনকার্যের সুবিধার্থে রাষ্ট্রকে বিভিন্ন প্রশাসনিক অঞ্চলে বিভক্ত করে প্রত্যেক অঞ্চলে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিগণও সেসব অঞ্চলের প্রশাসনিক অবস্থা তদারকি করেন। বাংলাদেশ এককেন্দ্রিক রাষ্ট্রের উদাহরণ। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্রে কেন্দ্রে সকল ক্ষমতা ন্যস্ত থাকায় সমগ্র রাষ্ট্রে একই প্রকার নীতি আইন ও পরিকল্পনা একযোগে বলবৎ করা হয়। ফলে রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে প্রশাসনিক সামঞ্জস্যতা রক্ষা পায়। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্রে বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাব তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে। কারণ এ ধরনের রাষ্ট্র বিভিন্ন গোষ্ঠী থাকলেও আঞ্চলিক স্বায়ত্বশাসন থাকে না। দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা সর্বাধিক উপযুক্ত এবং একটি জনপ্রিয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা।

আবার এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র, বৃহদায়তন রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে খুব বেশি কার্যকর নয়। কারণ সকল অঞ্চলের জন্য গ্রহণযোগ্য নীতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা জটিল ব্যাপার। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্রে সাংবিধানিকভাবে কেন্দ্রের হাতে যাবতীয় ক্ষমতা ন্যস্ত হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের উপর কাজের বাড়তি চাপ পড়ে। যার ফলে কেন্দ্র অন্যান্য প্রদেশ বা অঞ্চলের দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে পারে না। তাছাড়া এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় যখন পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় তখন সকল প্রদেশ বা এলাকার জন্য একক ও অভিন্ন নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় অথচ ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন সমস্যা থাকতে পারে। এক্ষেত্রে এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র কঠোর সমালোচনার শিকার হয়। সর্বোপরি এককেন্দ্রিক রাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্য সমালোচনা থাকা সত্ত্বেও বর্তমান বিশ্বে এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা বহুল প্রচলিত।

যুক্তরাষ্ট্র ইংরেজি ফেডারেশন (ঋবফবৎধঃরড়হ) শব্দের পারিভাষিক রূপ হল যুক্তরাষ্ট্র যার উৎপত্তি ল্যাটিন ঋড়বফঁং শব্দের অর্থ মিলন। সুতরাং শাব্দিক অর্থে যুক্তরাষ্ট্র বলতে একাধিক রাষ্ট্র মিলিত হয়ে একরাষ্ট্রে পরিণত হওয়াকে বোঝায়। অর্থাৎ যে ব্যবস্থায় একাধিক রাষ্ট্র ও প্রদেশ মিলিত হয়ে একটি রাষ্ট্র গঠন করে তাকে যুক্তরাষ্ট্র বলে। চৎড়ভ. উরপবুব বলেন “যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার হল জাতীয় ঐক্যের সাথে অঙ্গরাজ্যের অধিকারের সামঞ্জস্য বিধানে গঠিত রাজনৈতিক সংগঠন”।

এ ধরনের রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সংবিধানের মাধ্যমে কেন্দ্র ও প্রদেশের মধ্যে শাসন পরিচালনার সুবিধার্থে ক্ষমতা বন্টন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র সবসময় শক্তিশালী হয়। কারণ পাশাপাশি কতগুলো ক্ষুদ্র রাষ্ট্র একত্রিত হয়ে এ ধরনের রাষ্ট্র গঠন করে। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকার সম্পদ আহরণের মাধ্যমে শক্তিশালী ও বৃহৎ অর্থনীতি গঠন করে দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। সে কারণে পৃথিবীর সকল যুক্তরাষ্ট্রই কম বেশি উন্নত। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা প্রভৃতি যুক্তরাষ্ট্রের উদাহরণ। আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতও একটি যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় জনগণ দুটি সরকারের প্রতি অনুগত্য দেখায়। দুই প্রকার আইন ও আদেশ মেনে চলে। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে আঞ্চলিক স্বাতন্ত্র্য ও ভিন্নতা বজায় রেখে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলে। যেমন ভাষা, ধর্ম, সংস্কৃতি ভিন্ন হলেও জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হয় না।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা জটিল প্রকৃতির। কারণ বাহির থেকে এটি শুধুএকটি রাষ্ট্র কিন্তু ভেতর থেকে এটি বহুরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় ক্ষমতা বন্টনের ফলে কেন্দ্র ও প্রদেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে শাসনতান্ত্রিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে প্রদেশগুলো স্বতন্ত্র ও স্বায়ত্বশাসিত হওয়ায় কেন্দ্র থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার চেষ্টা করতে পারে। যেমনকানাডার কুইবেক প্রদেশটি বিচ্ছিন্ন হতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। সর্বোপরি যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার ক্রুটি থাকলেও নিঃসন্দেহে এটি একটি কাম্য শাসন ব্যবস্থা।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

  • ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

Leave a Comment