পৌরনীতি ও নাগরিকতার ধারণা উল্লেখপূর্বক পৌরনীতি ও নাগরিকতার বিষয়বস্তু বিশদভাবে আলােচনা করুন, ssc (bou) ১০ম শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা ১০ম শ্রেণি ১ম অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১

শ্রেণি: ১০ম/ ssc/ উন্মুক্ত-2021 বিষয়: পৌরনীতি ও নাগরিকতা এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 01 বিষয় কোডঃ 2672
বিভাগ: মানবিক শাখা
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ পৌরনীতি ও নাগরিকতার ধারণা উল্লেখপূর্বক পৌরনীতি ও নাগরিকতার বিষয়বস্তু বিশদভাবে আলােচনা করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

পৌরনীতি ও নাগরিকতা দুটি প্রত্যয়ের সমষ্টি। কিন্তু বিষয়বস্তু একই। পৌরনীতি শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ Civics। Civics শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ Civis এবং Civics থেকে। হল নগর রাষ্ট্র। অর্থাৎ Civics মানে সে শাস্ত্র যা নগররাষ্ট্র বা রাষ্ট্রে বসবাসকারী নাগরিকদের নিয়ে আলোচনা করে। পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়ে রাষ্ট্রের আলোচনায় নাগরিক আরও বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।

পৌরনীতি শাস্ত্রে যাত্রা শুরু মূলত প্রাচীন গ্রীসে। প্রাচীন গ্রীসে নাগরিক ও নগররাষ্ট্র পরস্পর অবিচ্ছেদ্য ছিল। তৎকালীন গ্রীসের সকল জনসাধারণ নাগরিক ছিলেন না। কেবল যারা রাষ্ট্রের শাসনকার্যে অংশ নিতেন তারাই নাগরিকত্ব লাভ করেন। তাই Civics নামক বিষয়টি ছিল কেবল রাষ্ট্র ও নাগরিক সম্পর্কিত জ্ঞানের সমষ্টি। নগররাষ্ট্রের সাথে নাগরিকের সম্পর্ক, কার্যাবলি, নাগরিকের সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদিই আলোচিত হত।

এফ আই গ্লাউড বলেন “যে সকল অভ্যাস, প্রতিষ্ঠান, অভ্যাস, কার্যাবলি ও চেতনার দ্বারা মানুষ রাষ্ট্রীয় বা রাজনৈতিক সমাজের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে এবং অধিকার ভোগ করতে পারে, তার অধ্যয়নই পৌরনীতি। উপরের সংজ্ঞাগুলো থেকে পৌরনীতি বলতে কি বুঝায় তা স্পষ্ট। কিন্তু এই পৌরনীতি যখন নাগরিকের জীবনের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে আলোচনা করে তখনই তা পৌরনীতি ও নাগরিকতা 

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সনাতন জ্ঞানের সাথে নাগরিক জীবনের আধুনিক চিন্তা চেতনা, কর্মসূচি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভিন্নধর্মী সম্পর্কগুলো একত্রে আলোচনাই এর উদ্দেশ্য।

আধুনিককালে রাষ্ট্র ও নাগরিকের সম্পর্কে অনেক পরিবর্তন এসেছে। বর্তমান রাষ্ট্রগুলো আয়তনে যেমন বৃহৎ তেমনি জনসংখ্যাও বেশি। যেমন বাংলাদেশের আয়তন ১৪৭৫৭০ বর্গকিলোমিটার ও জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। তারা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। প্রাচীন গ্রীসের মত এখন কোন দেশেই সকল নাগরিকের পক্ষে শাসনকার্যে অংশ নেয়া বা সুযোগ দেয়া প্রায় অসম্ভব। তাই শাসন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের ধরণে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। যুক্ত হয়েছে নানা ধরনের বিধিবিধান। বর্তমানে পৃথিবীর অধিকাংশ রাষ্ট্রেই নির্দিষ্ট বয়সের (১৮ বছর) পূর্বে শাসনকার্যে অংশ নিতে পারে না। কিন্তু সকল বয়সের নাগরিকগণ রাষ্ট্র প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারে। 

অর্থাৎ নাগরিকগণ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি লাভ করে। নাগরিকদেরকে রাষ্ট্র প্রদত্ত এই মর্যাদার বিষয়টিই হল নাগরিকতা। বর্তমানে পৃথিবীতে যেমন- ফিনল্যান্ড, সুইডেন অনেকগুলো ঘোষিত কল্যাণমূলক রাষ্ট্র রয়েছে। সেসব রাষ্ট্রের কেন্দ্রবিন্দু হল নাগরিক। মূলত রাষ্ট্রের কেন্দ্রবিন্দুনাগরিকের অবস্থান নিশ্চিত করাই পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়ের মূল উদ্দেশ্য।

পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয় পাঠের মধ্য দিয়ে নাগরিকগণ সুনাগরিক হিসেবে তৈরি হয়, নাগরিক চেতনা, সুকুমার মনেবৃত্তির বিকাশ, অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হয় যা সুস্থ ও সুন্দর জীবন উপভোগ করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলিতে যেখানে নাগরিকেরা বিভিন্নভাবে অবহেলিত সে সব দেশে কিভাবে নাগরিকদের আরও অংশ গ্রহণমূলক করা যায় তার জন্য পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয় জরুরি।

বিশ্বায়নের এই যুগে প্রত্যেকটি নাগরিকের কর্মকান্ডই রাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপুর্ণ। ভাল কাজ করলে তা আন্তর্জাতিকভাবে যেমন রাষ্ট্রের জন্য সুনাম বয়ে আনে তেমনি মন্দ কাজ করলে রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর হয়। বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। এ গতির সাথে তাল মিলিয়ে নাগরিকের নাগরিক চেতনাও (পরারপং ংবহংব) উন্নত হওয়া উচিত। পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয় অধ্যয়নে একজন নাগরিক সহজেই সুনাগরিকের গুনাবলি অর্জন করতে পারে। 

পৌরনীতি ও নাগরিকতা নামের মাঝেই এর বিষয়বস্তু লক্ষ্য করা যায়। এ বিষয়ের কেন্দ্রবিন্দু হল নাগরিক। বাষ্ট্রে বা প্রাচীন অর্থে পৌরের অধিবাসীর বিষয়বস্তুই পৌরনীতি ও নাগরিকতা’র বিষয়বস্তু। নিচে এর পরিধি আলোচনা করা হল

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

১. নাগরিকতা সম্পর্কিত বিষয়: পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়ের মূল আলোচ্য বিষয় হল নাগরিক ও নাগরিকের জীবনের সাথে জড়িত সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সকল বিষয়। রাষ্ট্রের আদর্শ নাগরিক হিসেবে বসবাসের জন্য নাগরিকতা অর্জন, সুনাগরিকের গুনাবলী, প্রাপ্য অধিকার ও রাষ্ট্রের প্রতি কর্তব্য, দেশপ্রেম ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়ের অন্তর্ভূক্ত। পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়ের জ্ঞান লাভ করে একজন নাগরিক সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে পারে।

২. রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানসমূহের আলোচনা: নাগরিকগণ তাদের প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করে থাকে। ভবিষ্যতে আর কী কী ধরনের প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন হতে পারে, বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা ও কার্যাবলি এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে রাষ্ট্র ও নাগরিকের সম্পর্ক সবকিছুপৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হয়।

৩. নাগরিকের স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তুর্জাতিক ভূমিকা: রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তুর্জাতিক পরিমন্ডলে কেমন ভূমিকা পালন করবে তা পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয় অধ্যয়ন করলে জানা যায়। যেমন স্থানীয় পর্যায়ের ইউনিয়ন পরিষদে একজন নাগরিকের ভূমিকা, জাতীয় পর্যায়ে জাতীয় সংসদে একজন নাগরিকের ভূমিকা ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাতিসংঘে ভূমিকা সম্পূর্ণ আলাদা। পৌরনীতি ও নাগরিকতা নাগরিকের এ ধরনের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করে।

৪. নাগরিকের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত: পৌরনীতি ও নাগরিকতা নাগরিকের অতীত কর্মকান্ড, বর্তমান দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং ভবিষ্যতে ভূমিকা কেমন হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে। অতীতের ভূমিকা থেকে বর্তমানে নাগরিকগণ প্রয়োজনীয় জ্ঞান লাভ করে ভবিষ্যত কর্ম পরিকল্পনা ঠিক করতে পারে। তাই পৌরনীতি ও নাগরিকতার পরিধি অত্যন্ত ব্যাপক ও বিস্তৃত।

৫. আচার-আচরণ নিয়ন্ত্রণ: বিভিন্ন রাষ্ট্রের অতীত গৌরব, রাষ্ট্র নায়কের ভূমিকা, সম্মোহনী নেতৃত্ব যেমন স্থান পায়, তেমনি কোন রাষ্ট্র কেন পতন হল তাও আলোচিত হয়। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য নাগরিকের আচার-আচরণ নিয়ন্ত্রণ অপরিহার্য হয়ে পড়ে। তাই পৌরনীতি ও নাগরিকতার আইন, সাম্য, স্বাধীনতা, নীতি-নৈতিকতা, আদর্শ ইত্যাদি বিমূর্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা থাকে। যেমন এ বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি আইন, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের জীবন ও কর্ম, নীতি আদর্শ, নেতৃত্বও নিয়েও ব্যাখ্যা থাকে। এর ফলে নাগরিকগণ বাহ্যিক ও আত্নিক উভয়ভাবেই নিয়ন্ত্রণে থাকে। এভাবে সুস্থ ও সুন্দর জীবন যাপন নিশ্চিত হয়।

আলোচনা থেকে জানা যায় যে, পৌরনীতি, পুরের বা নগরের অধিবাসীদের নিয়ে আলোচনা করে। এর সাথে জড়িত থাকে নাগরিকের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়। সনাতনী বিষয়গুলো ছাড়াও এখন পৌরনীতি ও নাগরিকতায় মানবিক নিরাপত্তা, শান্তি ও সংঘর্ষ, নারীর ক্ষমতায়ন, শাসন ব্যবস্থায় প্রযুক্তির প্রয়োগ বেশ গুরুত্বসহকারে আলোচনা করা হয়। পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়টিতে নাগরিকের সুকুমার মনোবৃত্তির বিকাশ ও আরও উন্নত জীবন-যাপন নিশ্চিত করায় তাদের প্রয়োজনীয় জ্ঞান সৃষ্টির জন্যই এর অধ্যয়ন। 

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

  • ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

Leave a Comment