hsc (bou) 12 class social work 2nd paper 5th assignment answer 2021, সামাজিক আইনের ধারণা, উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব উল্লেখপূর্বক সামাজিক । আইন প্রণয়ন ও প্রয়ােগে সমাজকর্মীর ভূমিকা তুলে ধরুন, hsc উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ১২শ শ্রেণি সমাজকর্ম ২য় পত্র ৫ম অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান/ উত্তর ২০২১

শ্রেণি: ১২শ/ hsc/ উন্মুক্ত-2021 বিষয়: সমাজকর্ম ( ২য় পত্র ) এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 05 বিষয় কোডঃ 2862
বিভাগ: মানবিক শাখা
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ সামাজিক আইনের ধারণা, উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব উল্লেখপূর্বক সামাজিক । আইন প্রণয়ন ও প্রয়ােগে সমাজকর্মীর ভূমিকা তুলে ধরুন।

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

সামাজিক আইনের ধারণা সামাজিক আইন বলতে রাষ্ট্র কর্তৃক প্রণীত এমন সব বিধিবিধানকে বোঝায় যা সমাজের অবহেলিত ও বঞ্চিত শ্রেণি বিশেষ করে শারীরিকভাবে অক্ষম, দরিদ্র, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সুবিধাবঞ্চিতদের অধিকার সংরক্ষণ করে এবং সমাজের বিভিন্ন ধরনের কুসংস্কার ও কুপ্রথা দূর করে সমাজকে কাক্সিক্ষত উন্নয়নের দিকে ধাবিত করে। উরপঃরড়হধৎু ড়ভ ঝড়পরধষ ডবষভধৎব (১৯৪৮) এ বলা হয়েছে, “সমাজের বঞ্চিত শ্রেণির স্বার্থ সংরক্ষণ ও কল্যাণের জন্য অথবা সাধারণ মানুষের মধ্যে যারা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্রটিপূর্ণ এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সুবিধা কম থাকার কারণে সন্তোষজনক জীবনযাপনে অক্ষম, তাদের প্রয়োজনসমূহ পূরণে কল্যাণমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করার লক্ষ্যে প্রবর্তিত আইন হলো সামাজিক আইন।”

সামাজিক আইনের উদ্দেশ্য

সমাজজীবনের কল্যাণ, উন্নয়ন এবং সুস্থতা বর্ধন সামাজিক আইনের চূড়ান্ত লক্ষ্য। সমাজের যেসকল মানুষ পশ্চাৎপদ তাদেরকে উন্নয়নের গতিধারায় আনয়ন, সমস্যা মুক্তকরণ এবং সামাজিক প্রয়োজন পূরণ করাই হলো সামাজিক আইনের উদ্দেশ্য।

মোঃ আলী আকবর (১৯৬৫) তাঁর “ঊষবসবহঃং ড়ভ ঝড়পরধষ ডবষভধৎব” গ্রন্থে সামাজিক আইনের নির্দিষ্ট কিছু উদ্দেশ্যের কথা বলেছেন।

যেমনÑ

ক) সমাজ নিয়ন্ত্রণ;

খ) সমাজসংস্কার ও পরিকল্পিত পরিবর্তন;

গ) সামাজিক স্থিতিশীলতা ও ঐক্যবদ্ধতা;

ঘ) মূল্যবোধ ও জীবনমানের দ্বন্দ্ব নিরসন;

ঙ) সুবিধাবঞ্চিতদের অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণ;

চ) সামাজিক সুবিচার ও সমতা; এবং

ছ) সেবা সম্প্রসারণ ও সামঞ্জস্যবিধানের কর্মপন্থা গ্রহণ।

ডি. পল চৌধুরীর মতে, সামাজিক আইনের মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হলো সমাজের অনাকাক্সিক্ষত ও অবাঞ্ছিত অবস্থা নিরসন, জনকল্যাণ ও প্রগতি অর্জন এবং আইনের মাধ্যমে মানবাধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণ করা।

সমাজজীবন থেকে অবাঞ্ছিত ও অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি ও কুপ্রথা নিরসনকল্পে এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে সামাজিক আইন প্রণীত হয়েছে। বহু প্রাচীন প্রথা যেমনÑ দাসপ্রথা, সতীদাহপ্রথা, বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ প্রভৃতির প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা ও অধিকার সংরক্ষণে সামাজিক আইন প্রণীত হয়েছে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

আবার সামাজিক আইনের মাধ্যমে সমাজের নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী, যুব, প্রবীণকল্যাণসহ সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সামাজিক সমস্যা দূরীকরণ ও আর্থ-সামাজিক অবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে সামাজিক আইন প্রণয়ন করা হয়। এছাড়া সামাজিক আইনের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন অনাচার ও কুসংস্কার দূর করার চেষ্টা করা হয়।

সামাজিক আইন সমাজ থেকে সকল প্রকার অবাঞ্ছিত ও অনাকাঙ্খিত অবস্থা দূর করে সামাজিক নিরাপত্তা, মানবাধিকার, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর স্বার্থ সংরক্ষণের মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করে। সমাজের সকল সমস্যার প্রতিকার ও প্রতিরোধের মাধ্যমে বৃহত্তর পরিসরে সামজিক কল্যাণ নিশ্চিত করে। এ প্রসঙ্গে এম. আব্দুল হালিম বলেন, অধিকতর কার্যকরভাবে সমাজকল্যাণমূলক আইন অসুবিধাগ্রস্থদের প্রতিরোধমূলক, সমাজসেবামূলক এবং জীবনমান সংরক্ষণে সামাজিক নীতিকে রূপান্তর ঘটিয়ে থাকে। এর উদ্দেশ্য হলো উন্নত জীবন মান সৃষ্টি করা।

সামাজিক আইনের গুরুত

সামাজিক আইনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সুনিয়ন্ত্রিত ও পরিকল্পিত সমাজকাঠামো গঠন করে সমাজের প্রতিটি ব্যক্তির ন্যায়সংগত অধিকার সংরক্ষণ এবং বাহ্যিক আচরণ নিয়ন্ত্রণের মাঝে নিহিত। প্রকৃতপক্ষে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের মাধ্যমে সামাজিক সমস্যা মোকাবিলা; সামাজিক অনাচার, কুপ্রথা ও কুসংস্কার দূরীকরণ; অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ, শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণ নিশ্চিতকরণ এবং জনগণের অধিকার রক্ষা এবং ন্যায়বিচারের প্রসার ঘটানোর ক্ষেত্রে সামাজিক আইন কার্যকর ভূমিকা পালন করে। সামাজিক আইনের মাধ্যমে শিশু, যুবক, বৃদ্ধ, নারী, শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুবিধাগ্রস্ত ব্যক্তি অথবা কোনো কারণে উপার্জন করতে অক্ষম নির্ভরশীল ব্যক্তিদের ন্যায়সংগত অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।

গ্রন্থে বলা হয়েছে- সামাজিক আইন মানবসমাজের ব্যাপক এলাকায় ব্যাপৃত যেমনÑ মানব সমাজের বহুমুখী চাহিদা নিরসনে বিভিন্ন আইন কাজ করে। এ আইনগুলোর অন্তর্ভুক্ত সামাজিক প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক যেমনÑ বিবাহ, পঙ্গু ব্যক্তি এবং সংখ্যালঘু বা ক্ষমতাহীন গোষ্ঠী; সামাজিক ব্যাধিকেন্দ্রিক কিছু সংস্কারমূলক ব্যবস্থা যেমন ভবঘুরে, কিশোর অপরাধ, ভিক্ষাবৃত্তি এবং কিছু আইন রয়েছে যা সামাজিক নিরাপত্তাকেন্দ্রিক।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সামাজিক আইন সমাজ উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে গণ্য হয়। সামাজিক আইন সামাজিক চাহিদাসমূহ পূরণ এবং সামাজিক সমস্যাবলী মোকাবিলার মাধ্যমে একটি উন্নত ও কল্যাণমুখী সমাজ বিনির্মাণে অবদান রাখে। এছাড়া সামাজিক নীতি প্রণয়ন, কার্যকর মানবকল্যাণ এবং সমাজকাঠামোর সম্পর্ক উন্নয়নে সামাজিক আইন কার্যকর ভূমিকা পালন করে। সামাজিক আইন সমাজের অনাকাঙ্খিত অবস্থা দূর করে সমাজের বাঞ্ছিত পরিবর্তন বা সমাজ সংস্কার করে থাকে। সমাজে যেসকল ক্ষতিকর প্রথা বা অবস্থা থাকে তা দূর করে একটি কল্যাণমুখী ও সুস্থ সমাজ গঠন শুধুসামাজিক আইনের মাধ্যমেই সম্ভব।

পরিশেষে বলা যায়, সামাজিক আইন সমাজের বিভিন্ন সমস্যা, কুপ্রথা ও কুসংস্কার দূর করে সমাজের বাঞ্ছিত পরিবর্তন সাধনের মাধ্যমে মানুষের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি কাঙ্খিত ও উন্নত সমাজ গঠনে সামাজিক আইনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।

সামাজিক আইন প্রণয়নে সমাজকর্মীর ভূমিকা

সমাজকর্ম আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক সমস্যা সমাধানকারী প্রক্রিয়া। আধুনিক জীবনের নানাবিধা মনো-সামাজিক সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে এটি প্রয়োগ করা হয়। সমাজকর্ম মূলত পদ্ধতিনির্ভর একটি ব্যবহারিক বিজ্ঞান। এর মূল লক্ষ্য হলো সামাজিক ভূমিকা পালনের জন্য প্রতিটি স্তরের জনগণকে সক্রিয় ও সক্ষম করে তোলা এবং অনুকূল সামাজিক পরিবেশ সৃষ্টি করা। আধুনিক শিল্পসমাজে পেশাদার সমাজকর্মীরা সাধারণত সমাজকর্মের নীতি ও আদর্শ এবং কৌশল অনুসরণ করে এ কাজগুলো করে থাকেন।

সমাজের অনাকাঙ্খিত অবস্থা দূরীকরণ, অবহেলিত শ্রেণির স্বার্থ সংরক্ষণ, সর্বোপরি সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে প্রয়োজন হয় সামাজিক আইন প্রণয়নের। সমাজকর্মীগণ তাদের পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতার সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে সামাজিক আইন প্রণয়নে ভূমিকা পালন করে থাকেন।

সামাজিক আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে কতগুলো প্রক্রিয়া বা ধাপ অনুসরণ করতে হয়। যেমনÑ সমস্যা নির্দিষ্ট বা চিহ্নিত করা, জনমত গঠন, সামাজিক আন্দোলন, আইনের খসড়া তৈরি, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণ, সংসদে উপস্থাপন, সর্বশেষ রাষ্টপ্রধানের অনুমোদন। সামাজিক আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ার এসব ধাপে সমাজকর্মীগণ প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থেকে কখনো নেতৃত্ব দিয়ে আবার কখনো সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

সমাজকর্মীগণ সমাজকর্ম গবেষণার জ্ঞান ব্যবহার করে প্রথমে সমাজের সমস্যাগুলোর মধ্য থেকে একটি নির্দিষ্ট সমস্যা চিহ্নিত করে তার প্রকৃতি ও ভয়বহতা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করে তোলেন। অতঃপর সমাজ থেকে এ সমস্যা দূর করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলেন। সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে নীতিনির্ধারণী কর্তৃপক্ষকে এ সমস্যার দিকে দৃষ্টিপাতে সক্ষম হন। যার ফলে কর্তৃপক্ষ অনেক সময় স্বউদ্যোগে আবার কখনো জনগণের চাপে আইন প্রণয়নে বাধ্য হন। এরপর দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণ করা হয়। এখানে সমাজকর্মী একজন সমন্বয়কারীর ভূমিকা পালন করে থাকেন। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের প্রেক্ষিতে সংসদে উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে অধিকাংশের সমর্থনের প্রেক্ষিতে আইন পাস হয়। সর্বশেষ রাষ্ট্রপ্রধানের অনুমোদনের প্রেক্ষিতে আইনটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পায় এবং আইনটিকে তার উদ্দেশ্য পূরণের জন্য বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়। এভাবে সমস্যা চিহ্নিত করা থেকে শুরু করে সামাজিক আইন প্রণয়নের শেষ অবধি একজন সমাজকর্মী তার পেশাগত জ্ঞান, দক্ষতা ও কৌশল প্রয়োগ করে থাকেন।

সামাজিক আইন প্রয়োগে সমাজকর্মীর ভূমিকা

সমাজকর্ম একটি সাহায্যকারী ও সক্ষমকারী প্রক্রিয়া যার রয়েছে বৈজ্ঞনিক ভিত্তি, নিজস্ব জ্ঞানভাণ্ডার, দক্ষতা ও নিজস্ব মূল্যবোধ। সমাজকর্ম ব্যক্তি, দল ও সমষ্টিকে সাহায্য করার মাধ্যমে তাদের সমস্যাসমূহের সমাধান করে কার্যকর জীবনযাপনে সক্ষম করে তুলতে প্রয়াসী হয়। অন্যদিকে সমাজকর্মীগণ সমাজকর্মের নীতি ও আদর্শের ভিত্তিতে সংগঠিত উপায়ে সেবাকর্ম পরিচালনা করে থাকেন।

সমাজকর্মীগণ সমাজের সার্বিক কল্যাণ সাধনের জন্য শুধু সামাজিক আইন প্রণয়নে কার্যকর ভূমিকা পালনের মাধ্যমে তাদের দায়িত্ব শেষ করেন না। প্রণীত আইনটির যথাযথ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে যাতে কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জিত হয় সে ব্যাপারেও যথাযথ ভূমিকা পালন করে থাকেন।

প্রণীত সামাজিক আইন প্রয়োগের সবচেয়ে বড় বাধা হলো জনগণের সচেতনতার অভাব। এ ক্ষেত্রে সমাজকর্মী জনগণকে সচেতন ও সংগঠিত করতে বিভিন্ন গণমাধ্যম যেমনÑ সংবাদপত্র, রেডিও, টেলিভিশনে আইনটি সম্পর্কে প্রচারণা চালাতে পারেন। অন্যদিকে, বিভিন্ন সভা, সেমিনার, সিস্পোজিয়ামের মাধ্যমেও আইনটি সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করে থাকেন। আইন প্রয়োগে যেমন জনগণের সচেতনতার প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে উদ্বুদ্ধকরণ। এক্ষেত্রে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার উদ্যোগকে উৎসাহিত করা হয়। এক্ষেত্রে সমাজকর্মী একজন সমন্বয়কারীর ভূমিকা পালন করে থাকেন।

অনেক সময় দেখা যায়, প্রণীত সামাজিক আইন বাস্তবায়নে সমাজের প্রচলিত মূল্যবোধ বা প্রথা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এ ক্ষেত্রে সমাজকর্মীগণ সমাজের কল্যাণের পথে অনিষ্টকর ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী প্রথা ও মূল্যবোধকে দূর করে গঠনমূলক ও উন্নয়নমুখী মূল্যবোধ গড়ে তুলতে সচেষ্ট হন।

সামাজিক সমস্যার সমাধান করে সুষ্ঠু সামাজিক পরিবেশ সৃষ্টি করা সমাজকর্মের প্রধান লক্ষ্য কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় সুষ্ঠু সামাজিক পরিবেশ বিরাজমান না থাকায় সামাজিক আইনের প্রয়োগ বাধাগ্রস্ত হয়। এক্ষেত্রে সমাজকর্মীগণ সমাজের বিভিন্ন কুসংস্কার ও কুপ্রথা দূর করে গঠনমূলক সামাজিক পরিবেশ সৃষ্টি করে থাকেন। অনেক সময় দেখা যায়, সমাজে প্রচলিত আইনের কারণে সামাজিক আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে সমাজকর্মীগণ জনগণকে সচেতন ও সংগঠিত করে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে পূর্বেকার আইন বা প্রণীত আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন, প্রয়োজনে নতুন আইন প্রণয়নে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

Leave a Comment