hsc উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ১২শ শ্রেণি যুক্তিবিদ্যা ২য় পত্র ২য় অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান/ উত্তর ২০২১, বৈজ্ঞানিক আরােহ এবং অবৈজ্ঞানিক আরােহের মধ্যকার বৈশিষ্ট্যগত সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য সম্পর্কে আপনার যুক্তিসমুহ উপস্থাপন করুন

শ্রেণি: ১২শ/ hsc/ উন্মুক্ত-2021 বিষয়: যুক্তিবিদ্যা ২য় পত্র এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 02 বিষয় কোডঃ 2860
বিভাগ: মানবিক শাখা
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ বৈজ্ঞানিক আরােহ এবং অবৈজ্ঞানিক আরােহের মধ্যকার বৈশিষ্ট্যগত সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য সম্পর্কে আপনার যুক্তিসমুহ উপস্থাপন করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

বৈজ্ঞানিক আরোহ ও অবৈজ্ঞানিক আরোহ উভয়ই প্রকৃত আরোহ। আরোহ অনুমানের যে প্রক্রিয়ায় প্রকৃতির নিয়মানুবর্তিতা নীতি ও কার্যকারণ নিয়মের উপর নির্ভর করে কয়েকটি বিশিষ্ট দৃষ্টান্তের বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে একটি সার্বিক সংশ্লেষক যুক্তিবাক্য স্থাপন করা হয় তাকে বৈজ্ঞানিক আরোহ বলে।

পক্ষান্তরে, যে আরোহ অনুমানে কার্য-কারণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার চেষ্টা না করে শুধুমাত্র প্রকৃতির নিয়মানুবর্তিতা নীতি ও অবাধ বা বিরোধহীন অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্তে একটি সার্বিক সংশ্লেষক যুক্তিবাক্য স্থাপন করা হয় তাকে অবৈজ্ঞানিক আরোহ বলে।

আমরা জানি যে, দু’টি বিষয়ের সম্পর্ক বলতে উভয়ের মধ্যকার সাদৃশ্য, বৈসাদৃশ্য ও পারস্পরিক নির্ভরশীলতাকে নির্দেশ করে। তাই বৈজ্ঞানিক আরোহ ও অবৈজ্ঞানিক আরোহের সম্পর্ক নির্ণয়ের জন্য এ পাঠে উভয়ের মধ্যকার সাদৃশ্য, বৈসাদৃশ্য ও পারস্পরিক নির্ভরশীলতা

বৈজ্ঞানিক আরোহ ও অবৈজ্ঞানিক আরোহের সাদৃশ্যসমূহ

বৈজ্ঞানিক আরোহ ও অবৈজ্ঞানিক আরোহের মধ্যকার সাদৃশ্যসমূহ নিম্নরূপে উপস্থাপন করা হলো−

১। বৈজ্ঞানিক ও অবৈজ্ঞানিক উভয় আরোহই ঘটনার পর্যবেক্ষণ ভিত্তিক। কেননা উভয় আরোহের ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে বাস্তব ঘটনাবলি পর্যবেক্ষণ করতে হয়।

২। উভয় আরোহের লক্ষ্য হলো সিদ্ধান্তে একটি সার্বিক সংশ্লেষক যুক্তিবাক্য প্রতিষ্ঠা করা।

৩। বৈজ্ঞানিক ও অবৈজ্ঞানিক উভয় আরোহেই আরোহাত্মক উল্লম্ফন উপস্থিত থাকে। কারণ উভয় আরোহেই জানা থেকে অজানায়, নিরীক্ষিত থেকে অনিরীক্ষিতে এবং বিশেষ থেকে সার্বিকে যাওয়া হয়। আর এ কারণেই উভয় আরোহই প্রকৃত আরোহের অন্তর্ভুক্ত।

৪। উভয় আরোহেই প্রকৃতির নিয়মানুবর্তিতা নীতিতে বিশ^াস স্থাপন পূর্বক জানা থেকে অজানায়, নিরীক্ষিত থেকে অনিরীক্ষিতে এবং বিশেষ থেকে সার্বিকে যাওয়া হয়। অর্থাৎ উভয় আরোহই প্রকৃতির নিয়মানুবর্তিতা নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

বৈজ্ঞানিক আরোহ ও অবৈজ্ঞানিক আরোহের বৈসাদৃশ্যসমূহ

বৈজ্ঞানিক আরোহ ও অবৈজ্ঞানিক আরোহের মধ্যকার বৈসাদৃশ্যসমূহ নিম্নরূপ−

১। বৈজ্ঞানিক আরোহ কার্য-কারণ নিয়ম ও প্রকৃতির নিয়মানুবর্তিতা নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু অবৈজ্ঞানিক আরোহ শুধুমাত্র প্রকৃতির নিয়মানুবর্তিতা নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত।

২। বৈজ্ঞানিক আরোহে যেকোনো বিষয়ে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ পূর্বক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বলে এ পদ্ধতিতে অপ্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো অপনয়ন করা যায়। অন্যদিকে অবৈজ্ঞানিক আরোহ কেবলমাত্র অবাধ অভিজ্ঞতা বা প্রকৃতির নিয়মানুবর্তিতা নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত বলে এতে কোনো কিছু অপনয়ন করার সুযোগ থাকে না।

৩। বৈজ্ঞানিক আরোহ কার্য-কারণ নিয়মের উপর প্রতিষ্ঠিত বলে এর সিদ্ধান্ত নিশ্চিত হয়। কিন্তু অবৈজ্ঞানিক আরোহ শুধুমাত্র প্রকৃতির নিয়মানুবর্তিতা নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত বলে এর সিদ্ধান্ত সম্ভাব্য হয়।

৪। বৈজ্ঞানিক আরোহে সদর্থক ও নঞর্থক উভয় প্রকার দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত হিসেবে একটি সার্বিক সংশ্লেষক যুক্তিবাক্য প্রতিষ্ঠা করা হয়। পক্ষান্তরে, অবৈজ্ঞানিক আরোহে শুধুমাত্র সদর্থক দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত হিসেবে একটি সার্বিক সংশ্লেষক যুক্তিবাক্য প্রতিষ্ঠা করা হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

৫। বৈজ্ঞানিক আরোহ কার্য-কারণ নিয়মের উপর প্রতিষ্ঠিত বলে এর সিদ্ধান্ত কোনো বিরোধী দৃষ্টান্ত দ্বারা বাতিল হয় না। কিন্তু অবৈজ্ঞানিক আরোহ শুধুমাত্র অবাধ বা বাধাহীন অভিজ্ঞতার উপর প্রতিষ্ঠিত বলে এর সিদ্ধান্ত যেকোনো বিরোধী দৃষ্টান্ত দ্বারা বাতিল হয়।

৬। বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক আরোহ একটি অপরিহার্য প্রক্রিয়া। কারণ সকল বৈজ্ঞানিক সত্য এই আরোহের উপর প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু অবৈজ্ঞানিক আরোহ বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে কোনো অপরিহার্য প্রক্রিয়া নয়। কারণ এ আরোহ প্রক্রিয়াটি কেবলমাত্র প্রকল্প প্রণয়নে সহায়তা করে থাকে।

৭। বৈজ্ঞানিক আরোহে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় নিরীক্ষণ, পরীক্ষণ, প্রকল্প প্রণয়ন, অপনয়ন ইত্যাদি স্তর অতিক্রম করতে হয়। পক্ষান্তরে, অবৈজ্ঞানিক আরোহে এসব স্তর অতিক্রম করতে হয় না।

৮। বৈজ্ঞানিক আরোহে দৃষ্টান্তের সংখ্যার চেয়ে দৃষ্টান্তের গুণগত মানের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। কিন্তু অবৈজ্ঞানিক আরোহে দৃষ্টান্তের গুণগত মানের চেয়ে দৃষ্টান্তের সংখ্যার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

৯। বৈজ্ঞানিক আরোহ কার্য-কারণ নিয়মের উপর প্রতিষ্ঠিত বলে এর বৈজ্ঞানিক মূল্য আছে। অন্যদিকে, অবৈজ্ঞানিক আরোহ কার্য-কারণ নিয়মের উপর প্রতিষ্ঠিত নয় বলে এর তেমন কোনো বৈজ্ঞানিক মূল্য নেই।

১০। বিজ্ঞানের বিভিন্ন স্তর অতিক্রম করতে হয় বলে বৈজ্ঞানিক আরোহ একটি জটিল পদ্ধতি। পক্ষান্তরে, কেবল অবাধ অভিজ্ঞতা নির্ভর বলে অবৈজ্ঞানিক আরোহ একটি সহজ-সরল পদ্ধতি।

বৈজ্ঞানিক আরোহ ও অবৈজ্ঞানিক আরোহের পারস্পারিক নির্ভরশীলতা

উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, বৈজ্ঞানিক আরোহ ও অবৈজ্ঞানিক আরোহের মধ্যে একদিকে যেমন সাদৃশ্য আছে, আবার অন্যদিকে বৈসাদৃশ্যও আছে। আর এই সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্যই উভয়ের পারস্পারিক নির্ভরশীলতা নির্দেশ করে। তাছাড়া অবৈজ্ঞানিক আরোহ থেকে প্রাপ্ত সিদ্ধান্তকে বৈজ্ঞানিক আরোহ প্রকল্প হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। সুতরাং এক কথায় বলা যায়, অবৈজ্ঞানিক আরোহ হচ্ছে বৈজ্ঞানিক আরোহের প্রাথমিক স্তর। অন্যদিকে বৈজ্ঞানিক আরোহ হচ্ছে অবৈজ্ঞানিক আরোহের পরিণত স্তর।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

Leave a Comment