উপযুক্ত তথ্য-উপাত্ত দিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পােশাক শিল্পের বর্তমান সমস্যাগুলাে চিহ্নিত করুন এবং সমাধানের ক্ষেত্রে আপনার সুপারিশসমূহ ব্যক্ত করুন, ২০২১ সালের এইচএসসি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ১২শ শ্রেণি অর্থনীতি ২য় পত্র ২য় অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান 2021

শ্রেণি: ১২শ/ hsc/ উন্মুক্ত-2021 বিষয়: অর্থনীতি ২য় পত্র এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 02 বিষয় কোডঃ 2858
বিভাগ: মানবিক শাখা
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ উপযুক্ত তথ্য-উপাত্ত দিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পােশাক শিল্পের বর্তমান সমস্যাগুলাে চিহ্নিত করুন এবং সমাধানের ক্ষেত্রে আপনার সুপারিশসমূহ ব্যক্ত করুন।

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

আশির দশকের গোঁড়ার দিকে স্বল্প পরিসরে একটি অপ্রচলিত রপ্তানি খাত হিসেবে বাংলাদেশের পোশাক খাতের যাত্রা শুরু হয়। মাত্র ১২ হাজার ডলার রপ্তানি আয় দিয়ে শুরু করা পোশাক শিল্প আজ বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে রেখে চলেছে অনবদ্য অবদান। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৩ শতাংশ অর্জিত হয় তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে।

‘মেড ইন বাংলাদেশে’ খচিত পোশাক সারাবিশ্বের মানুষ পরে। তৈরি পোশাক বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। পোশাক খাত দেশে প্রায় ৪৪ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এবং ৩২ বিলিয়ন ডলারের অধিক রপ্তানি আয়ের উৎস। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যে শিল্প এত অবদান রেখে চলেছে, সেই শিল্পের উন্নয়নে সার্বিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা থাকবে—এমনটাই প্রত্যাশিত।

কিন্তু, দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাস্তব চিত্রটা ঠিক তেমন নয়, যেমনটা হওয়া উচিত ছিল। শ্রমঘন শিল্প হিসেবে পোশাক শিল্পের জন্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তি যেমন: শ্রমিক, ডিজাইনার, মার্চেন্ডাইজার, পণ্য উন্নয়নকারী ও ব্যবস্থাপক প্রয়োজন হয়। কিন্তু, দেশে পোশাক শিল্পের জন্যে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার এখনো যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।

পোশাক শিল্প আমাদের অর্থনীতির চালিকাশক্তি বললে অত্যুক্তি হবে না। অথচ আমাদের দেশের স্কুল ও কলেজগুলোর পাঠ্যক্রমে পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট কোনো পাঠ্যসূচি বা অধ্যায় নেই। অধিকন্তু দেশের মোট ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে মাত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে টেক্সটাইলের ওপরে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টেক্সটাইল বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর উচ্চশিক্ষা লাভের ব্যবস্থা রয়েছে।

বস্ত্র ও ফ্যাশন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে বিজিএমইএ ২০১২ সালে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) প্রতিষ্ঠা করে। টেক্সটাইল ও ফ্যাশন বিষয়ক উচ্চশিক্ষার জন্যে এটি বাংলাদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়, যেটি কেবল পোশাক শিল্পের জন্যে শিক্ষিত ও দক্ষ জনবল তৈরি করার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

কিন্তু, আমাদের তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যে পাঠদান করা হচ্ছে, তার সঙ্গে পোশাক শিল্পে কাজ করার জন্যে ও এ শিল্পকে ভবিষ্যতে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে ধরনের জ্ঞান ও দক্ষতার প্রয়োজন—তার সঙ্গে বিরাট অমিল বা ফারাক রয়েছে। এর প্রমাণ আমাদের সামনেই রয়েছে। আমাদের দেশের বহু তরুণ পড়াশোনা শেষ করে পোশাক শিল্পে কর্মসংস্থানের জন্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে বহুসংখ্যক বিদেশি আমাদের পোশাক শিল্পে উচ্চ বেতনে কর্মরত। এর মানে হচ্ছে পোশাক শিল্পে চাহিদার বিপরীতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক দক্ষ লোকবলের অভাব রয়েছে।

এ ধরনের বাস্তবতা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ভবিষ্যতের জন্যে ভালো ইঙ্গিত বহন করে না। তবে, বেশ কিছু উপায়ও রয়েছে, যা অবলম্বনের মাধ্যমে আমরা একটা সময় এ অবস্থা থেকে উত্তরণ করতে পারব। তবে, এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্যে দ্রুত কোনো সমাধান নেই। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে প্রয়োজন সরকার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) ও শিল্পের অভ্যন্তর থেকে সহায়তা এবং পর্যাপ্ত বিনিয়োগ।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

এর জন্যে প্রথমেই আমাদের দেখতে হবে যে, মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ে পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট কী কী বিষয় পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এ শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা বিবেচনায় বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় পোশাক শিল্পের ওপর শিক্ষামূলক অধ্যায় সন্নিবেশন করা অবশ্যই যুক্তিসঙ্গত। পোশাক শিল্পে সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার গঠনের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। শিক্ষা পাঠ্যক্রমে এ বিষয়টি তুলে ধরা সম্ভব, যাতে দেশের শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে জানার সুযোগ পায় এবং পোশাক শিল্পে তাদের ক্যারিয়ার গঠনের জন্যে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারে।

এ প্রক্রিয়ায় সরকার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণে ও বিনিয়োগ করার বিষয়ে আগ্রহী হতে হবে। পোশাক শিল্পের নেতাদেরও এ উদ্যোগে জড়িত হওয়া প্রয়োজন। কেননা তাতে পাঠ্যক্রমে শিক্ষার্থীদের জন্যে পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট সঠিক পাঠ্যসূচি প্রণয়ন ও সংযোজন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। একে দেশের পোশাক শিল্পের ভবিষ্যতের জন্যে বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। কেননা এ ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারলে শিক্ষার্থীরা পোশাক শিল্পে কাজ করার জন্যে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনে সক্ষম হবে। ফলে পোশাক শিল্পের চাহিদানুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক দক্ষ মধ্যম পর্যায়ের কর্মী তৈরি হবে। যা এ শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করবে।

এ প্রক্রিয়ায় পাশাপাশি ‘ইনকিউবেশন সেন্টার’ স্থাপন করতে হবে। ‘ইনকিউবেশন সেন্টার’ মডেলটি উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ব্যাপক প্রচলিত ও ব্যবহৃত। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্থাপিত ইনকিউবেশন সেন্টারগুলো থেকে বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থা, ইনকিউবেশন, শিল্পোদ্যোগ, উদ্ভাবন ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনার সুযোগ রয়েছে।

এ ধরনের প্রকল্প নেটওয়ার্কিং ও স্টার্ট-আপ ব্যবসার সুযোগ তৈরি করছে। এর মাধ্যমে অভিজ্ঞ পেশাদারদের তত্ত্বাবধানে তরুণ উদ্যোক্তারা ব্যবসার ক্ষেত্রে তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন। এ ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা তরুণ শিল্পোদ্যোক্তাদের প্রচলিত ব্যবসার ধারার বাইরে উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক ধারা ও কৌশল নিয়ে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে। কাজেই সরকার, পোশাক শিল্প ও অন্যান্যদেরকে আমাদের দেশে এ ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার বিষয়ে আগ্রহী ও উদ্যোগী হতে হবে।

তৈরি পোশাক শিল্পের সমস্যা:

বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পের উন্নয়নের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত কতকগুলো সমস্যা লক্ষ্য করা যায়:

১। দেশীয় বস্ত্র শিল্পের অনুন্নতি: বাংলাদেশে বস্ত্রশিল্পের অনুন্নতির ফলে পোশাক শিল্পে ব্যবহারযোগ্য উন্নতমানের কাপড় তৈরি হয় না। এ কারণে এই শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব কাপড় ও অন্যান্য উপকরণ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।

২। রপ্তানি কোটার অবসান ও রপ্তানি হ্রাস: ২০০৪ সালের শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয়ন দেশগুলো নির্দিষ্ট কোটার অধীনে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতো। কিন্তু গ্যাট চুক্তির অধীনে ২০০৫ সাল থেকে উক্ত কোটা ব্যবস্থা অবসানের ফলে সাময়িকভাবে আমাদের পোশাক রপ্তানি কিছুটা হ্রাস পেলেও তা আবার বৃদ্ধি পেয়েছে।

৩। দক্ষ শমিকের অভাব: এদেশের পোশাক শিল্পে কর্মরত প্রায় ৮০ ভাগ শ্রমিকই গ্রাম থেকে আগত ও অদক্ষ মহিলা। দক্ষ শ্রমিকের অভাবে আমাদের তৈরি পোশাকের গুনগতমান অন্যান্য দেশের তুলনায় নিচু।

৪। ঋণের অভাব: বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের দ্রুত উন্নয়ন ও প্রসারের জন্য পর্যাপ্ত ঋণ সুবিধার অভাব রয়েছে।

৫। দেশি-বিদেশি এজেন্ট: এদেশের পোশাক শিল্পের কাঁচামাল আমদানি ও পোশাক রপ্তানির প্রক্রিয়ায় দেশি-বিদেশি দালাল বা এজেন্ট মধ্যস্ততা করে। এজন্য আমদানি ও রপ্তানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যয় বৃদ্ধি পায়।

৬।নিম্ন উৎপাদন ক্ষমতা: এদেশের অধিকাংশ পোশাক কারখানা নিম্ন উৎপাদন ক্ষমতায় চলে। অদক্ষ শ্রমিক, বিদ্যুৎ বিভ্রাট, কাঁচামাল প্রাপ্তিতে সমস্যা, রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা প্রভৃতি কারণগুলো নিম্নউৎপাদন ক্ষমতার জন্য দায়ী।

৭। বিদ্যুৎ সরবরাহের অনিয়ম: প্রকট বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে এদেশের পোশাক শিল্পের উৎপাদান ও উন্নয়ন যথেষ্ট ব্যহত হয়।

৮। উন্নত প্রযুক্তির অভাব: বাংলাদেশের অধিকাংশ পোশাক কারখানায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহৃত না হওয়ায় তৈরি পোশাকের গুনগত মান যথেষ্ট উন্নত হচ্ছে না।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

৯। কাজের প্রতিকূল পরিবেশ: এদেশের অধিকাংশ পোশাক কারখানায় কাজের পরিবেশ স্বাস্থ্যসম্মত নয়। ফলে শ্রমিকদের উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং তারা নানা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

১০। রপ্তানিতে বিলম্ব: কাঁচামাল আমদানির সমস্যা, পরিবহন জটিলতা, শুষ্কের ঝামেলা প্রভৃতি কারণে পোশাক রপ্তানিতে বিলম্ব হয়। এ কারণে অনেক সময় আমদানিকারীদের পক্ষ থেকে চুক্তি বাতিল করা হয়।

১১। রাজনৈতিক অস্থিরতা: রাজনৈতিক সংঘাত, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ইত্যাদি কারণে পোশাক শিল্পের উৎপাদন ব্যাহত হয় এবং রপ্তানি হ্রাস পায়।

তৈরি পোশাক শিল্পের উন্নয়নের উপায়:

বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধি অর্জনে তৈরি পোশাক শিল্প মূখ্য ভূমিকা রাখে। এজন্য নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে পোশাক শিল্পের ক্রমাগত উন্নয়ন সাধন করা যায়:

১। তৈরি পোশাকের মান উন্নয়ন: আমদানিকারক দেশগুলোর চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের মান উন্নয়ন করতে হবে। তাহলে বিশ্ব বাজারে আমাদের এ শিল্পের অবস্থান আরও সুসংহত হবে।

২। তৈরি পোশাক আইটেম বৃদ্ধি: প্রতিযোগী দেশগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের আইটেম বাড়াতে হবে। তাহলে কোটা না থাকা অনেক আইটেমের রপ্তানি বৃদ্ধির সুযোগ থাকবে।

৩। বস্ত্রশিল্পের উন্নয়ন: বর্তমানে এ দেশের পোশাক শিল্পের ব্যবহার্য মোট কাপড়ের প্রায় ৯০ ভাগ আমদানি করতে হয়। এ আমদানি হ্রাসের জন্য দেশীয় বস্ত্রশিল্পের উন্নয়ন ঘটাতে হবে।

৪। প্রযুক্তি উন্নয়ন: তৈরি পোশাকের মান উন্নয়ন ও উৎপাদন ব্যয় হ্রাসের জন্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। বিদেশি প্রযুক্তি ছাড়াও দেশের অভ্যন্তরে উন্নত প্রযুক্তির উদ্ভাবন করতে হবে।

৫। পর্যাপ্ত ঋণের ব্যবস্থা: বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পের সম্প্রসারণের জন্য পর্যাপ্ত ঋণের ব্যবস্থা থাকতে হবে। প্রয়োজনে এ শিল্পের জন্য একটি স্বতন্ত্র ঋণ কাঠামো কার্যকর করতে হবে।

৬। অন্যান্য কাঁচামালের উৎপাদন বৃদ্ধি: তৈরি পোশাক শিল্পে ব্যবহার্য কাঁচামাল যেমন- সুতা, তুলা, রং মেশিনের যন্ত্রাংশ প্রভৃতি দেশের অভ্যন্তরে পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদন করতে হবে। তাহলে এ শিল্পের উৎপাদন ব্যয় হ্রাস পাবে এবং কম দামে পোশাক রপ্তানি করা সম্ভব হবে।

৭। এজেন্টদের দৌরাত্ম হ্রাস: পোশাক শিল্পে আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়ায় মধ্যস্বত্বভোগী এজেন্টদের দৌরাত্ম্য হ্রাস করতে হবে। এর ফলে প্রকৃত ব্যবসায়িগণ লাভবান হবেন এবং অবাঞ্ছিত অসুবিধা দূর হবে।

৮। শ্রমিকের প্রশিক্ষণ: পোশাকশিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা দরকার। এর ফলে পোশাকের গুনগতমান ও উৎপাদন বাড়বে।

৯। শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি: আমাদের তৈরি পোশাকে যতটা মূল্য সংযোজন হয় তার প্রায় ৬০ ভাগেরও বেশি শ্রমিকের শ্রম থেকে আসে। অথচ এ মূল্য সংযোজনের মাত্রা প্রায় ২৫ ভাগ শ্রমিক কে দেওয়া হয়। তাই এ শিল্পের শ্রমিকদের মজুরি বাড়ালে কাজের প্রতি উৎসাহ বাড়বে এবং কাজের দক্ষতা ও উৎপাদন বাড়বে।

১০। বিদেশি বিনিয়োগের জন্য সুবিধা দান: অন্যান্য খাতের মতো পোশাক শিল্পে বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে হবে। তাহলে দেশের পোশাক শিল্পের উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

Leave a Comment