সাধারণভাবে ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক ‘অ্যাজিথ্রোমাইসিন’ দিয়ে প্রাথমিক লক্ষণযুক্ত কভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া যায় কি-না সেটা পরীক্ষার জন্য একটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করতে প্রথম করোনা রোগী বাছাই করা হয়েছে।
বুধবার (৩ জুন) অক্সফোর্ডের জন র্যাডক্লিফ হাসপাতালে এই পরীক্ষায় প্রথম অংশগ্রহণকারী নিয়োগ করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিচালিত ‘এটিওএমআইসি-২’ নামের এই ট্রায়ালটিতে ৮০০ জন রোগীকে অন্তর্ভূক্ত করা হবে।
যারা কভিড-১৯ লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এসব রোগীর উপর সাধারণভাবে ব্যবহৃত আ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করে দেখা হবে যে এতে তাদের অবস্থার কোন উন্নতি হয় কি-না।
এই টেস্ট রোগীদের মধ্যে অর্ধেককে দুই সপ্তাহের জন্য অ্যাজিথ্রোমাইসিন দেওয়া হবে। বাকিরা নিয়মিত যত্ন নেবে। অংশগ্রহণকারীরা রক্তের নমুনা এবং নাক থেকে নমুনা দেবেন যাতে গবেষকরা ভাইরাসটির জীববিজ্ঞান সম্পর্কে আরো ভালোভাবে বুঝতে পারেন।
এনআইএইচআর অক্সফোর্ড বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের (বিআরসি) পাশাপাশি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফাইজার বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে পরিচালিত এই ট্রায়ালটি ইংল্যান্ড, ওয়েলস এবং
স্কটল্যান্ডের ১৫ টি অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হবে। ট্রায়ালটি দুটি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে, রিকভারি এবং প্রিন্সিপাল। যেখানে রোগীদের বিভিন্ন বিভাগে অ্যাজিথ্রোমাইসিন দিয়ে এই পরীক্ষা করা হবে।
ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালটির প্রধান তদন্তকারী অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নফিল্ড মেডিসিন বিভাগের প্রধান এবং অক্সফোর্ড বিআরসি’র সিনিয়র ফেলো ডা. টিম হিংকস। তিনি বলেছিলেন, ‘অ্যাজিথ্রোমাইসিন একটি অ্যান্টিবায়োটিক যা
অস্বাভাবিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্যযুক্ত রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, তাই এটিকে কভিড-১৯ এর লক্ষণযুক্ত রোগীদের সম্ভাব্য চিকিৎসা হিসাবে দেখা হচ্ছে।’
সূত্র- আক্সফোর্ড মেডিক্যাল সায়েন্স ডিভিশন।
- বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল জেলা কোনটি?
- যে কারণে পুরুষের গোপন অঙ্গের ক্ষমতা নষ্ট হয়
- লিভারেজ ইজারার সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ লিখ
- হাঁপানি রোগী জন্য পরামর্শ ও হাঁপানি রোগীর ঘরোয়া চিকিৎসা উপায়গুলো
- ২০২৫ এর সেরা ১০ জন তারকারা গুগলিং সার্চে করে