বিষয়: স্বামী-স্ত্রী একে অপরের যৌনাঙ্গে মুখ দিতে পারে? ওরাল সেক্স বা মুখ মৈথুন সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?
এটা খুব স্পর্শকাতর একটা বিষয় একই সাথে খুবই দরকারি টপিক। তাই আগে কিছু ইসলামিক বিষয় বুঝে নেয়া জরুরী।
ফরজঃ
ফরজ অর্থ আবশ্যিক। যা আল্লাহ অথবা তার রাসুল আমাদেরকে করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তাই ফরজ। আল্লাহ কুরআনে বলেন-
“আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আদেশ অমান্য করে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হয়।”- [কুরআন ৩৩:৩৬]
সুন্নাতঃ
সুন্নাত হল রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর সেসব আমল যে গুলো তিনি উম্মাহকে করার নির্দেশ দেন নাই। কিন্তু নিজে করেছেন। আর তা উম্মার জন্য উত্তম।
হালালঃ
হালাল হল সেসব বিষয় যার বিষয়ে কোন নিষেধ নেই। আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ
“তিনি সকল নিষিদ্ধ বিষয় বিস্তারিত জানিয়ে দিয়েছেন।”
– কুরআন, সুরা আল আনামঃ ১১৯। অর্থাৎ কুরআন ও হাদিস দ্বারা যা নিষিদ্ধ নয় তাই হালাল।
হারামঃ
হারাম অর্থ নিষিদ্ধ। হারাম হল সেসব বিষয় যার ব্যাপারে কুরআন ও হাদিসে নিষেধ করা হয়েছে।
==========================================
ইসলামে কোরআন ও হাদিসে কোথাও পরিষ্কারভাবে এর সম্পর্কে কিছু বলা হয় নি। তবে রাসুলুল্লাহর একটি হাদিস থেকে আমরা পাই- তোমরা পশুর মত সেক্স করো না। আর আমরা জানি পশুরা ওরাল সেক্স করে না। এই কথা থেকে ফোর প্লে এবং সেক্সের সময় হাসাহাসি বা মজা করার প্রতি উৎসাহ যুগানো হয়েছে। মুখ মৈথুন ফোর প্লের একটি বিষয়। এর মাধ্যমে পারস্পরিক ভালোবাসা গভীর হয়। স্বাভাবিক যৌনমিলনের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করে। যার ফলে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো হয়। এ থেকে এর বৈধতা ও গুরুত্বের প্রমান পাওয়া যায়।
নবী (সাঃ) বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর কিতাবে যা হালাল বলে উল্লেখ করা হয়েছে তা হালাল আর আল্লাহর কিতাবে যা হারাম বলে উল্লেখ করা হয়েছে তা হারাম। আর যে সব বিষয়ে অনুল্লেখিত রয়েছে সেগুলো তার ভুলে যাওয়া নয়, সেগুলো তার ক্ষমা। সেগুলো নিয়ে তর্ক করো না।
-বায়হাকিঃ ১০/১২২দারে কুতনী ৪/১৯৯
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
কুরআন থেকে দলিলঃ আল্লাহ কুরআনে বলেন– ”তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর।…”-বাকারাঃ ২২৩ অর্থাৎ স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সব বৈধ। ওরাল সেক্স বা মুখ মৈথুনও হালাল। শুধুমাত্র এনাল সেক্স নিষিদ্ধ। আর পিরিয়ডের সময় সর্ব প্রকার সেক্স নিষিদ্ধ। কারন এই দুই বিষয়ে স্পষ্ট নিষেধ আছে কুরআন ও হাদিসে।
এছাড়া বাকি সব বৈধ, হালাল।
কিছু যুক্তি খন্ডনঃ
যেই মুখে কোরআন পড়া হয় সেই মুখ কিভাবে লজ্জাস্থানে লাগানো হালাল হতে পারে?
জবাবঃ
এটা কোরআন ও হাদিসের বাইরে কেবল একটা যুক্তি মাত্র। নিছক যুক্তি দিয়ে হারামের ফতুয়া দেয়া জায়েজ নেই। হারামের জন্য কোরআন বা হাদিসের দলিল লাগবে। তাছাড়া যুক্তিটাও গ্রহণযোগ্য নয়। কারন এই যুক্তি ফলো করলে আপনি শৌচ কাজ করতে পারবেন না। একইভাবে সেই প্রশ্ন আসবে- যেই হাতে কোরআন স্পর্শ করেছেন, যেই হাতে রেখে কোরআন পড়েছেন, যেই হাতে কোরআনের আয়াত লেখেছেন সেই হাত দ্বারা কিভাবে প্রশ্রাব পায়খানা পরিষ্কার করা যায়? বলবেন বাম হাতে। কিন্তু বাম হাতে আপনি কুরআন ধরেন না? অর্থাৎ যুক্তি মানা যাচ্ছে না। গরুর ভুড়ি আপনি খুব মজা করে খান। ভুঁড়িতে গরুর পায়খানা থাকে। আর তা আপনি খান সেই মুখে যেই মুখে কুরআন তিলাওয়াত করেন। হুজুররাও এটা মজা করে খায়। তখন যুক্তি মাথায় আসে না। তাহলে বুঝা যাচ্ছে এসব যুক্তি অর্থহীন। কথা হল ওরাল সেক্স অনেক প্রাচিন প্র্যাকটিস। এটা হারাম হলে কোরআন বা হাদিসে এর নিষেধাজ্ঞা আসত। যেমন নিষেধাজ্ঞা এসেছে এনাল সেক্সের ব্যাপারে। এটা খারাপ হলে আল্লাহ অথবা তার রাসুল স্পষ্ট করে নিষেধ করতেন।
ওরাল সেক্স করলে মুখে অপবিত্র লাগে
জবাবঃ
এখানেও একটা প্রশ্ন আসে বীর্য কি পাক না নাপাক? কুরআন ও হাদিস কি বলে? আসুন দেখি-
আমাদের দেশের অনেক বক্তার মুখেই শুনা যায় মানুষকে এক ফোটা নাপাক পানি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। নাপাক শব্দটি বানোয়াট ও দলীল বিহীন কথা। আমাদের সকলের অন্তরেই একটি প্রশ্ন জাগে যেঃ মানুষকে সামান্য পানি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তা হচ্ছে নারী-পুরুষের মনী বা বীর্য। এই পানি কি অপবিত্র? তাই যদি হয় তাহলে মানুষও তো অপবিত্র। কারণ মানুষ সৃষ্টির উপাদনও তো এই বীর্য।
উপরের প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় যেঃ
প্রত্যেক মানুষকেই মনী তথা বীর্য হতে সৃষ্টি করা হয়েছে। এটিই সত্য কথা। আল-কুরআন আমাদেরকে এই সংবাদ দিয়েছে। পরীক্ষা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমেও তা প্রমাণিত হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ।
আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ
“আমি কি তোমাদেরকে সামান্য পানি থেকে সৃষ্টি করিনি?”
***সূরা মুরসালাতঃ আয়াতঃ ৭৭:২০।
সুতরাং উপরোক্ত আয়াত গুলোতে যে পানির কথা বলা হয়েছে, তা হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর মিলনের মাধ্যমে নির্গত মনী বা বীর্য।
এটি পবিত্র না অপবিত্র, আলেমদের নিকট থেকে এ ব্যাপরে দু’টি মত পাওয়া যায়। সঠিক কথা হচ্ছে এটি পবিত্র।
এই পানি পবিত্র হওয়ার ব্যাপারে অনেক দলীল রয়েছে।
১) আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেনঃ
“আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাপড় হতে হাত দিয়ে ঘষে মনী (বীর্য) পরিস্কার করতাম। তিনি সেই কাপড় পরে নামায আদায় করতেন।”
***সহীহ মুসলিমঃ ২৮৮।
এটি জানা কথা যে, ঘষাঘষি করে মনী পরিস্কার করলে তা সম্পূর্ণরুপে পরিস্কার হওয়ার প্রশ্নই আসে না। তাতে দাগ থেকে যাবে। আর তা সহ নামায পড়া প্রমাণ করে যে মনী অপবিত্র নয়।
২) এই পানি দিয়েই নবী, রাসূল অলী-আওলীয়া ও আল্লাহর সৎ বান্দাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ সমস্ত প্রিয় বান্দাদেরকে আল্লাহ্ তাআলা অপবিত্র উপাদান দিয়ে সৃষ্টি করবেন, তা হতেই পারে না।
দেখুনঃ আশ্ শরহুল মুমতিউঃ ১/৩৮৮।
……………………………….
সৌদি আরবের সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিলঃ কাপড়ে মনী লাগলে কি তা নাপাক হয়ে যায়? মনী কি নাপাক?
উত্তরে তারা বলেছেনঃ
মনী পবিত্র। তা অপবিত্র হওয়ার কোন দলীল আমাদের জনা নেই।
দেখুনঃ ফতোয়া নম্বরঃ ৬/৪১৬।
শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমীয়া (রঃ) বলেছেনঃ
সঠিক কথা হচ্ছে মনী পবিত্র।
এটিই ইমাম শাফেঈ এবং ইমাম আহমাদ বিন হাম্বলের প্রসিদ্ধ মত।
এটি সকলের জানা কথা যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর যুগে সাহাবীদেরও স্বপ্নদোষ হত। তাদের শরীরে ও কাপড়ে বীর্য লেগে যেত। আর এটি এমন বিষয়, যা সকলেরই হয়ে থাকে এবং তা গোপন থাকার বিষয় নয়। তা যদি অপবিত্র হত, তাহলে তিনি তাদের কাপড় ও কাপড় থেকে সসম্পূর্ণরূপে দূর করার আদেশ দিতেন। তিনি পায়খানা ও পেশাব শরীর ও কাপড় থেকে দূর করার এবং পরিস্কার করার আদেশ দিয়েছেন। রাসুল (সাঃ) কাপড় থেকে হায়েযের (মাসিকের) রক্ত ধৌত করার আদেশ দিয়েছেন। কারণ এগুলো অপবিত্র। মাসিকের রক্ত কাপড়ে ও শরীরে লাগার চেয়ে মনী বা বীর্য কাপড়ে ও শরীরে আরও অধিক শক্তভাবে লেগে থাকে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কোন সাহাবী থেকে সহীহ সূত্রে এ কথা বর্ণিত হয়নি যে, তিনি কাউকে শরীর ও কাপড় থেকে বীর্য ধৌত করার আদেশ দিয়েছেন। সুতরাং অকাট্যভাবে জানা গেল যে, বীর্য পবিত্র বলে তা ধৌত করা ওয়াজিব নয়।
দেখুনঃ মাজমুআয়ে ফতোয়াঃ ২১/৬০৪।
ওরাল সেক্স বা মুখ মৈথুন সম্পর্কে আলেমদের মতঃ শফি মাঝহাবে স্বামী যখন তার স্ত্রীকে ওরাল সেক্স দেয় তখন তা হালাল হিসাবে বিবেচিত হয়। ফাতহুল-মুইন-এ মালিবারি উল্লেখ করেছেন: يجوز للزوج كل تمتع منها بما سوى حلقة دبرها ولو بمص بظرها “স্বামীর জন্য স্ত্রীর মলদ্বার উপভোগ করা ব্যাতিত সর্ব প্রকার সেক্স হালাল, এমনকি স্ত্রীর ভগাংকুর চুষাও হালাল।”
-ফাতহুল মুইন (৩/৩৮৬)
বর্তমান সময়ের বিখ্যাত আলেম ইউসুফ আল কারযাভির মতে ওরাল সেক্স হালাল।
সালাফিদের একটি গ্রুপ ও শাফি মাঝহাব মতে ওরাল সেক্স হালাল। কারন রাসুলুল্লাহ (সঃ) স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ফোর প্লে উৎসাহিত করেছেন। আর ওরাল সেক্স এক প্রকার ফোর প্লে। আর তা স্বামী স্ত্রীকে সুন্দর বৈবাহিক সম্পর্কে নিয়ে যায়।
ডঃ হেবা কট একজন মিশরিয় সুন্নি ইসলামিক স্কলার যিনি মিশরিয় টিভিতে সেক্স এডভাইস দেন। তিনি বলেন ওরাল সেক্স হালাল, কারন এর বিপক্ষে কুরআন ও হাদিসে কোন নিষেধ নেই। তিনি এটাকে ফোর প্লের অংশ মনে করেন। আর ইসলামে ফোর প্লের গুরুত্ব দেয়া হয়।
ডঃ আলী জুমাহ (ইসলামি ফিকার প্রফেসর, আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়), বলেন সকল প্রকার ওরাল সেক্স স্বামী স্ত্রীর মধ্যে হালাল। আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামুলক ফিকাহের অধ্যাপক ডঃ সাবরি ও আব্দুর রউফ একই মত পোষণ করেন।
ওরাল সেক্স নারীর যোনিতে ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস রোগ ছড়ায়, ওরাল সেক্স নারীর দেহে ‘বিভি’ রোগ ছড়ায়
ওরাল সেক্সের মাধ্যমে নারী যৌনাঙ্গে সংক্রমণ ঘটে ‘ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস’ বা ‘বিভি’ নামে রোগ হতে পারে বলে এক গবেষণায় জানা যাচ্ছে। প্লস বায়োলজি নামে এক জার্নালে এই গবেষণার বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে এবং এতে বলা হচ্ছে যে ওরাল সেক্সের মাধ্যমে নারী দেহে এই রোগ বাসা বাঁধে। খবর বিবিসি।
তবে বিভি কোন সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ বা যৌনরোগ নয়। নারীর ভ্যাজাইনা বা যোনিতে সাধারণ যেসব ব্যাকটেরিয়া থাকে, সেখানে কোন ভারসাম্যের অভাব দেখা গেলে বিভি হতে পারে। যারা এই রোগের শিকার হন, তাদের দেহে বিভি’র কোন উপসর্গ নাও দেখা যেতে পারে। তবে তাদের যোনি থেকে দুর্গন্ধযুক্ত রস নিঃসৃত হয়।
মানুষের মুখে যেসব ব্যাকটেরিয়া থাকে তা নারীর যৌনাঙ্গে ছড়িয়ে পড়লে কী প্রভাব পড়ে, এই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা সেটাই দেখার চেষ্টা করেছেন।
গবেষণায় বলা হয়েছে, বিভি এমনিতে কোন সিরিয়াস অসুখ না। তবে যেসব নারী বিভি-তে আক্রান্ত হন, তারা অন্যান্য যৌনরোগের শিকার হতে পারেন এবং তাদের মূত্রনালিতে সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। সন্তানসম্ভবা নারীর ক্ষেত্রে বিভি-তে আক্রান্ত নারীর সন্তান স্বাভাবিক সময়ের আগেই জন্ম নেয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
আপনার বিভি হয়েছে কিনা, তা আপনার ডাক্তার বলে দিতে পারবেন। যোনি রসের নমুনা পরীক্ষা করে বিভি-র উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়।
নতুন গবেষণায় জানাচ্ছে, বিভি নেই যেসব নারীর, তাদের যোনিতেও বহু ‘ভাল’ ব্যাকটেরিয়া থাকে। এদের বলা হয় ল্যাকটোব্যাসিলাই। এরা পিএইচ লেভেল কমিয়ে যোনিপথের অ্যাসিডিক বা অম্ল ভাব ধরে রাখে। কিন্তু কখনও কখনও এই স্বাস্থ্যকর ভারসাম্যটি বিনষ্ট হলে যোনিতে অন্যান্য জীবাণুর বংশবৃদ্ধি বেড়ে যায়। এ রকমটা কেন ঘটে, তা পুরোপুরিভাবে স্পষ্ট না। তবে নীচের কারণগুলোর জন্য বিভি হতে পারে
আপনার যৌন জীবন খুবই ব্যস্ত (যেসব নারী সেক্স করেন না তাদেরও বিভি হতে পারে।)
আপনার যৌন সঙ্গীর বদল ঘটেছে
আপনি আই-ইউ-ডি জন্মরোধ ব্যবস্থা ব্যবহার করেন
আপনি আপনার যোনির আশেপাশে সুগন্ধি ব্যবহার করেন
প্লস বায়োলজি সামযিকীতে প্রকাশিত গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, মানুষের মুখ গহ্বরে মাড়ির রোগ কিংবা ডেন্টাল প্লেক থাকলে তাতে যে ব্যাকটেরিয়া দেখা যায়, তার কারণে ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস হতে পারে।
এই ব্যাকটেরিয়ার ক্ষতিকর আচরণ সম্পর্কে জানার জন্য বিজ্ঞানীরা মানুষের যোনি এবং ইঁদুরের ওপর এই গবেষণা চালিয়েছেন। তারা দেখেছেন, বিশেষ একটি ব্যাকটেরিয়া -ফুসোব্যাকটেরিয়াম নিউক্লিয়েটাম – বিভি’র সাথে সম্পর্কিত ব্যাকটেরিয়াগুলোর বংশবৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
এই গবেষণার সাথে জড়িত ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. অ্যামান্ডা লুইস এবং তার সহকর্মীরা জানাচ্ছেন, ওরাল সেক্স থেকে কোন কোন সময় নারীর যোনিতে ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস হতে পারে, এই গবেষণা থেকে সেই প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
দুটি নারীর মধ্যে লেসবিয়ান সম্পর্কসহ বিভিন্ন ধরনের যৌন সঙ্গমের ফলে বিভি হতে পারে – একথা বিশেষজ্ঞদের অজানা নয়।
ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সেক্সসুয়াল হেলথ-এর মুখপাত্র অধ্যাপক ক্লডিয়া এস্টকোর্ট বলছেন, এই গবেষণার মধ্য দিয়ে ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের ধারণা আরও পরিষ্কার হবে।
অন্য কোন সমস্যা থাকুক বা না থাকুক, ওরাল সেক্সের মাধ্যমে যৌনরোগের জীবাণু এবং নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া স্ত্রী অঙ্গে প্রবেশ করতে পারে।
- যেভাবে সহবাস করলে বাচ্চা হয় বিস্তারিত,মহিলারা গর্ভবতী হবার জন্য কখন যৌনমিলনে লিপ্ত হবেন,গর্ভধারণের জন্য সেরা সেক্স পজিশন
- যৌনমিলন করার উপকারিতা, নিয়মিত সহবাসের দশটি উপকারিতা,নিয়মিত সহবাসের উপকারিতা কী?
ওরাল সেক্সের মাধ্যমে নারী যৌনাঙ্গে সংক্রমণ ঘটে ‘ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস’ বা ‘বিভি’ নামে রোগ হতে পারে বলে এক গবেষণায় জানা যাচ্ছে।
প্লস বায়োলজি নামে এক জার্নালে এই গবেষণার বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে এবং এতে বলা হচ্ছে যে ওরাল সেক্সের মাধ্যমে নারী দেহে এই রোগ বাসা বাঁধে।
তবে বিভি কোন সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ বা যৌনরোগ নয়।
নারীর ভ্যাজাইনা বা যোনিতে সাধারণ যেসব ব্যাকটেরিয়া থাকে, সেখানে কোন ভারসাম্যের অভাব দেখা গেলে বিভি হতে পারে।
যারা এই রোগের শিকার হন, তাদের দেহে বিভি’র কোন উপসর্গ নাও দেখা যেতে পারে। তবে তাদের যোনি থেকে দুর্গন্ধযুক্ত রস নিঃসৃত হয়।
মানুষের মুখে যেসব ব্যাকটেরিয়া থাকে তা নারীর যৌনাঙ্গে ছড়িয়ে পড়লে কী প্রভাব পড়ে, এই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা সেটাই দেখার চেষ্টা করেছেন।
ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস কী?
বিভি এমনিতে কোন সিরিয়াস অসুখ না। তবে যেসব নারী বিভি-তে আক্রান্ত হন, তারা অন্যান্য যৌনরোগের শিকার হতে পারেন এবং তাদের মূত্রনালিতে সংক্রমণ দেখা দিতে পারে।
সন্তানসম্ভবা নারীর ক্ষেত্রে বিভি-তে আক্রান্ত নারীর সন্তান স্বাভাবিক সময়ের আগেই জন্ম নেয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
কীভাবে জানবেন আপনার বিভি হয়েছে?
বিভি নারী স্বাস্থ্যের একটা সাধারণ সমস্যা। যাদের ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস হয়, তাদের যোনি থেকে এক ধরনের রস নিঃসৃত হয় এবং তাতে উৎকট আঁশটে গন্ধ থাকে।
যোনি থেকে যে স্বাভাবিক রস বের হয়, বিভি হলে তার রঙ এবং ঘনত্বে পরিবর্তন দেখা যায়। সেই যোনি রস পাতলা পানির মত হয় এবং দেখতে অনেকটা ঘোলাটে সাদা হয়।
আপনার বিভি হয়েছে কিনা, তা আপনার ডাক্তার বলে দিতে পারবেন। যোনি রসের নমুনা পরীক্ষা করে বিভি-র উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়।
পরীক্ষায় সংক্রমণের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেলে অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট, জেল কিংবা ক্রিম ব্যবহার করে সংক্রমণ দূর করা হয়।
নতুন গবেষণায় কী জানা যাচ্ছে?
বিভি নেই যেসব নারীর, তাদের যোনিতেও বহু ‘ভাল’ ব্যাকটেরিয়া থাকে।
এদের বলা হয় ল্যাকটোব্যাসিলাই। এরা পিএইচ লেভেল কমিয়ে যোনিপথের অ্যাসিডিক বা অম্ল ভাব ধরে রাখে।
কিন্তু কখনও কখনও এই স্বাস্থ্যকর ভারসাম্যটি বিনষ্ট হলে যোনিতে অন্যান্য জীবাণুর বংশবৃদ্ধি বেড়ে যায়।
এ রকমটা কেন ঘটে, তা পুরোপুরিভাবে স্পষ্ট না। তবে নীচের কারণগুলোর জন্য বিভি হতে পারে:
- আপনার যৌন জীবন খুবই ব্যস্ত (যেসব নারী সেক্স করেন না তাদেরও বিভি হতে পারে।)
- আপনার যৌন সঙ্গীর বদল ঘটেছে
- আপনি আই-ইউ-ডি জন্মরোধ ব্যবস্থা ব্যবহার করেন
- আপনি আপনার যোনির আশেপাশে সুগন্ধি ব্যবহার করেন
নারী স্বাধীনতা বলতে কী বোঝেন নারীরা এবং পুরুষেরা?
প্লস বায়োলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, মানুষের মুখ গহ্বরে মাড়ির রোগ কিংবা ডেন্টাল প্লেক থাকলে তাতে যে ব্যাকটেরিয়া দেখা যায়, তার কারণে ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস হতে পারে।
এই ব্যাকটেরিয়ার ক্ষতিকর আচরণ সম্পর্কে জানার জন্য বিজ্ঞানীরা মানুষের যোনি এবং ইঁদুরের ওপর এই গবেষণা চালিয়েছেন।
তারা দেখেছেন, বিশেষ একটি ব্যাকটেরিয়া – ফুসোব্যাকটেরিয়াম নিউক্লিয়েটাম – বিভি’র সাথে সম্পর্কিত ব্যাকটেরিয়াগুলোর বংশবৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
এই গবেষণার সাথে জড়িত ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. অ্যামান্ডা লুইস এবং তার সহকর্মীরা জানাচ্ছেন, ওরাল সেক্স থেকে কোন কোন সময় নারীর যোনিতে ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস হতে পারে, এই গবেষণা থেকে সেই প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
দুটি নারীর মধ্যে লেসবিয়ান সম্পর্কসহ বিভিন্ন ধরনের যৌন সঙ্গমের ফলে বিভি হতে পারে – একথা বিশেষজ্ঞদের অজানা নয়।
ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সেক্সসুয়াল হেলথ-এর মুখপাত্র অধ্যাপক ক্লডিয়া এস্টকোর্ট বলছেন, এই গবেষণার মধ্য দিয়ে ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের ধারণা আরও পরিষ্কার হবে।
অন্য কোন সমস্যা থাকুক বা না থাকুক, ওরাল সেক্সের মাধ্যমে যৌনরোগের জীবাণু এবং নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া স্ত্রী অঙ্গে প্রবেশ করতে পারে।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও
- সপ্তাহে কতবার সহবাস সন্তান ধারণের জন্য উপযোগী?, সপ্তাহে কতবার যৌন মিলন সম্পর্ক গভীর করে?
- যেভাবে সহবাস করলে বাচ্চা হয় বিস্তারিত,মহিলারা গর্ভবতী হবার জন্য কখন যৌনমিলনে লিপ্ত হবেন,গর্ভধারণের জন্য সেরা সেক্স পজিশন
- মাইগ্রেন ব্যথার কারণ, মাইগ্রেন ব্যথার উপসর্গ,মাইগ্রেন ব্যথার প্রতিকার ,মাইগ্রেন ব্যথার প্রতিরোধ – বিস্তারিত গাইড
- মাথাব্যথার কারণ ও প্রতিকার: একটি সম্পূর্ণ গাইড
- কেন আপনার ওষুধের বাক্সে প্যারাসিটামল থাকা উচিত,কীভাবে প্যারাসিটামলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া চিনবেন
- ঠান্ডার লক্ষণগুলির জন্য প্যারাসিটামল ভালো,কীভাবে প্যারাসিটামলের লেবেল পড়ে সঠিকভাবে ব্যবহার করবেন