আজকের বিষয়: সূরা শুয়ারা সকল তথ্য আল কোরআন ও হাদিসের আলোতে,পৃথিবীর জানা অজানা কিছু তথ্য আল শুয়ারা আলমল ও ফজিলত, সূরা শুয়ারা কতো বার পাঠ করলে কোন আলম ও ফজিলত, সূরা শুয়ারা নাযিলের কারন গুলো কি কি ,কুরআন ২৬ সূরা আল – শুয়ারা
সূরা শু’আরার ৭৮, ৭৯ এবং ৮০ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন:
الَّذِي خَلَقَنِي فَهُوَ يَهْدِينِ (78) وَالَّذِي هُوَ يُطْعِمُنِي وَيَسْقِينِ (79) وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِينِ (80)
“তিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং তিনিই আমাকে পথ-প্রদর্শন করেন।” (২৬:৭৮)
“তিনিই আমাকে আহার ও পানীয় দান করেন।” (২৬:৭৯)
“এবং রোগাক্রান্ত হলে তিনিই আমাকে আরোগ্য দান করেন।” (২৬:৮০)
আগের পর্বে আমরা মূর্তিপূজকদের সঙ্গে হযরত ইব্রাহিম (আ.)’র কথোপকথন বর্ণনা করেছিলাম। সেখানে হযরত ইব্রাহিম (আ.) অত্যন্ত যুক্তিপূর্ণ ভাষায় মূর্তিপূজকদের কাছে জিজ্ঞাসা করেন, এসব মূর্তি তো তোমাদের কোনো উপকার করতে পারে না, তারপরও কেন এসবের পূজা করছো। এর জবাবে মুশরিকদের কোনো যুক্তি ছিল না, বরং তাদের বক্তব্য ছিল একটিই। আর তা হলো- আমাদের পূর্বপুরুষরা এ কাজ করেছে বলে আমরাও করছি। আজকের এ তিন আয়াতে হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর আরো কিছু বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। আল্লাহর এ নবী মুশরিকদের উদ্দেশ করে আরো বলেন: এতক্ষণ তো তোমাদের প্রভুদের কথা শুনলাম। এবার তোমরা আমার প্রভুর কথা শোনো। আমার প্রভু হচ্ছেন তিনি যিনি আমাকে সৃষ্টি ও প্রতিপালন করেছেন। সত্য ও মিথ্যা এবং সঠিক ও ভুল পথ শনাক্ত করার মতো প্রজ্ঞা আমাকে দিয়েছেন। তিনি আমাকে বুদ্ধিবৃত্তি দিয়েছেন যাতে আমি সঠিক পথ খুঁজে বের করে সেই পথে চলতে পারি।
হযরত ইব্রাহিম (আ.) আরো বলেন, আমার প্রতিপালক আমাকে শুধু সঠিক পথের দিশাই দেননি সেইসঙ্গে আমার শারীরিক প্রয়োজনগুলোও মিটিয়েছেন। তিনিই আমাকে খাদ্য ও পানীয় দিয়েছেন এবং এখনো দিচ্ছেন। তিনিই আমাকে শিখিয়েছেন অসুস্থ হলে কীভাবে সুস্থ হয়ে উঠতে হয় এবং আমার আরোগ্য লাভের বিষয়টিও তাঁর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত, আমার আত্মা ও শরীর, আমার সুস্থতা সব কিছুই আল্লাহর হাতে। কোনো সময়ই আমি তার থেকে বিচ্ছিন্ন নই এবং আমি না চাইতেই তিনি আমার প্রয়োজনগুলো মিটিয়ে থাকেন।
এই তিন আয়াতের শিক্ষণীয় দিকগুলো হলো:
১. মানুষকে সৃষ্টি করার পর তার প্রতি আল্লাহর সবচেয়ে বড় নেয়ামত হলো তাকে সঠিক পথে পরিচালিত করা।
২. ওষুধ হচ্ছে চিকিৎসার মাধ্যম। কিন্তু ওষুধে কাজ হবে কিনা এবং মানুষ রোগমুক্তি পাবে কিনা তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আল্লাহতায়ালার ওপর। তিনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিয়ে আমাদের দেহ সৃষ্টি করেছেন; এমনকি শরীরে ক্ষত তৈরি হলেও তা ভরাট হয়ে যাওয়ার অবস্থা তৈরি করেই তিনি এই শরীর সৃষ্টি করেছেন। এ ছাড়া, রোগমুক্তির জন্য ওষুধ তৈরির বুদ্ধিও আল্লাহই মানুষকে দিয়েছেন। কাজেই দেখা যাচ্ছে, আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহর ভূমিকা অপরিসীম।
সূরা শু’আরার ৮১ ও ৮২ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন:
وَالَّذِي يُمِيتُنِي ثُمَّ يُحْيِينِ (81) وَالَّذِي أَطْمَعُ أَنْ يَغْفِرَ لِي خَطِيئَتِي يَوْمَ الدِّينِ (82)
“এবং তিনিই আমার মৃত্যু ঘটাবেন, অতঃপর পুনরুজ্জীবিত করবেন।” (২৬:৮১)
“এবং আমি আশা করি তিনিই কেয়ামতের দিন আমার ক্রটি-বিচ্যুতি মাফ করবেন।” (২৬:৮২)
আগের তিন আয়াতে হযরত ইব্রাহিম (আ.) এই দুনিয়ায় আল্লাহর ক্ষমতা বর্ণনা করেন। আর এই দুই আয়াতে তিনি মৃত্যু পরবর্তী জীবনে মহান আল্লাহর ভূমিকা সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি মুশরিকদের একথা বোঝানোর চেষ্টা করেন, মানুষের জীবন ও মৃত্যু এবং ইহকালীন ও পারলৌকিক জীবনের সবকিছুর নিয়ন্ত্রক হচ্ছেন আল্লাহতায়ালা। তিনি বলেন, একদিন যেমন এই দুনিয়াতে আমার অস্তিত্ব ছিল না বরং একদিন আল্লাহই আমাকে সৃষ্টি করেছেন; আবার তিনিই একদিন আমার জান কবজ করে আমাকে এই দুনিয়া থেকে নিয়ে যাবেন। কিন্তু মৃত্যু হলেও তিনি আমাকে ছেড়ে দেবেন না। ওই দুনিয়াতে তিনি আমাকে আবার জীবনদান করবেন। সেখানে আমি আমার ভালো কাজের প্রতিদান এবং খারাপ কাজের শাস্তি দেখতে পাবো। হযরত ইব্রাহিম (আ.) আরো বলেন, আমার প্রভু অত্যন্ত দয়ালু। তিনি শুধু এই দুনিয়াতেই তার বান্দাদের আহার ও পানীয় দেন না সেইসঙ্গে কিয়ামতের দিনও তিনি তাদের প্রতি দয়া দেখাবেন। আমি আশা করছি, এই দুনিয়াতে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে যত গাফিলতিই করি না কেন তিনি তা উপেক্ষা করে আমাকে ক্ষমা করবেন।
আমরা বিশ্বাস করি, নবী-রাসূলরা নিস্পাপ ছিলেন। তারা কখনোই আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করেননি। কিন্তু তারপরও তারা সারাক্ষণ আল্লাহর দরবারে নিজেদেরকে অপরাধী ভাবতেন। রিসালাতের গুরুদায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ভুল হয়ে থাকতে পারে ভেবে সব সময় আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতেন। অন্য কথায় নবী-রাসূলদের মূল দায়িত্ব ছিল মানুষকে আল্লাহর পথে হেদায়েত করা। তারা মনে করতেন, মানুষকে হেদায়েতের দায়িত্ব পালন করতে অর্থাৎ মানুষের কানে আল্লাহর বাণী পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের গাফিলতি হয়ে থাকতে পারে। এজন্য তারা আল্লাহর কাছে বারবার ক্ষমা চেয়েছেন।
এই দুই আয়াতের শিক্ষণীয় কয়েকটি বিষয় হলো:
১. মৃত্যুর মাধ্যমে মানুষের জীবন শেষ হয়ে যায় না বরং এর মাধ্যমে আরেকটি জীবনের সূত্রপাত হয়।
২. ভালো কাজ করে কখনো আত্মতুষ্টিতে ভোগা যাবে না। কারণ, কিয়ামতের দিন শুধুমাত্র নেক আমল দিয়ে মুক্তি পাওয়া যাবে না বরং অবশ্যই আল্লাহর অনুগ্রহের প্রয়োজন হবে। বিষয়টি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, নবীরা পর্যন্ত ওই দয়ার ভিখারি হবেন।
৩. আল্লাহর ক্ষমার প্রতি আশাবাদী থাকা এবং তাঁর কাছে মাগফেরাত কামনা করা ছিল নবী-রাসূলদের সুন্নত।
৪. জন্ম থেকে মৃত্যু এবং মৃত্যু পরবর্তী জীবনের সব ক্ষেত্রে মানুষের সব প্রয়োজন একমাত্র আল্লাহই মেটাতে পারেন।
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
- নামাজে আমরা যা বলি , তার অর্থ জানলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবেনা !!
- “লা আদওয়া” সংক্রমন নেই!হাদীসটি কী বুঝায়?
- রমজানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যত পরামর্শ
- ডায়াবেটিস রোগীরা যেভাবে রোজা রাখবেন
- আজহারী: কোন ইনজেকশন নিলে রোজা ভাঙে
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
নামকরণ
২২৪ আয়াতের (আরবী) থেকে সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে ।
নাযিলের সময়-কাল
বিষয়বস্তু ও বর্ণনাভংগী থেকে বুঝা যাচ্ছে এবং হাদীস থেকে এর সমর্থন পাওয়া যাচ্ছে যে, এ সূরাটির নাযিলের সময়-কাল হচ্ছে মক্কার মধ্যবর্তীকালীন যুগ । ইবনে আব্বাসের (রা) বর্ণনামতে প্রথমে সূরা তা-হা নাযিল হয়, তারপর ওয়াকি’আহ এবং এরপর সূরা
আশ শু’আরা । (রূহুল মাআনী, ১৯ খণ্ড, ৬৪ পৃষ্ঠা) আর সূরা তা-হা সম্পর্কে জানা আছে, এটি হযরত উমরের (আ) ইসলাম গ্রহণের পূর্বে নাযিল হয়েছিল ।
বিষয়বস্তু ও আলোচ্য বিষয়
ভাষণের পটভূমি হচ্ছে, মক্কার কাফেররা লাগাতার অস্বীকার ও প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দাওয়াত ও তাবলীগের মোকাবিলা করছিল । এ জন্য তারা বিভিন্ন রকমের বাহানাবাজীর আশ্রয় নিচ্ছিল । কখনো বলতো, তুমি তো আমাদের কোন চিহ্ন দেখালে না, তাহলে আমরা কেমন করে তোমাকে নবী বলে মেনে নেবো । কখনো তাঁকে কবি ও গণক আখ্যা দিয়ে তাঁর শিক্ষা ও উপদেশাবলীকে কথার মারপ্যাঁচে উড়িয়ে দেবার চেষ্টা করতো । আবার কখনো তাঁর মিশনকে হালকা ও গুরুত্বহীন করে দেবার জন্য বলতো, কয়েকজন মূর্খ ও অর্বাচীন যুবক অথবা সমাজের নিম্ন শ্রেণীর লোক তাঁর অনুসারী হয়েছে, অথচ এ শিক্ষা যদি তেমন প্রেরণাদায়ক ও প্রাণপ্রবাহে পূর্ণ হতো তাহলে জাতির শ্রেষ্ঠ লোকেরা , পণ্ডিত, জ্ঞানী-গুণী ও সরদাররা একে গ্রহণ করে নিতো । নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে বলিষ্ঠ যুক্তি সহকারে তাদের আকীদা-বিশ্বাসের ভ্রান্তি এবং তাওহীদ ও আখেরাতের সত্যতা বুঝাবার চেষ্টা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ছিলেন । কিন্তু তারা হঠকারিতার নিত্য নতুন পথ অবলম্বন করতে কখনোই ক্লান্ত হতো না । এ জিনিসটি রসূলুল্লাহর (সা) জন্য অসহ্য মর্মযাতনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল এবং এ দুঃখে তিনি চরম মানসিক পীড়ন অনুভব করছিলেন ।
এহেন অবস্থায় এ সূরাটি নাযিল হয় । বক্তব্যের সূচনা এভাবে হয়ঃ তুমি এদের জন্য ভাবতে ভাবতে নিজের প্রাণ শক্তি ধ্বংস করে দিচ্ছো কেন? এরা কোন নিদর্শন দেখেনি, এটাই এদের ঈমান না আনার কারণ নয় । বরং এর কারণ হচ্ছে, এরা একগুয়ে ও হঠকারী । এরা বুঝালেও বুঝে না । এরা এমন কোন নিদর্শনের প্রত্যাশী, যা জোর পূর্বক এদের মাথা নুইয়ে দেবে । আর এ নিদর্শন যথাসময়ে যখন এসে যাবে তখন তারা নিজেরাই জানতে পারবে, যে কথা তাদেরকে বুঝানো হচ্ছিল তা একেবারেই সঠিক ও ও সত্য ছিল । এ ভূমিকার পর দশ রুকূ’ পর্যন্ত ধারবাহিকভাবে যে বিষয়বস্তুটি বর্ণিত হয়েছে তা হচ্ছে এই যে, সত্য প্রত্যাশীদের জন্য আল্লাহর সর্বত্র নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে । সেগুলো দেখে তারা সত্যকে চিনতে পারে । কিন্তু হঠকারীরা কখনো বিশ্ব-জগতের নিদর্শনাদি এবং নবীদের মু’জিযাসমূহ তথা কোন জিনিস দেখেও ঈমান আনেনি । যতক্ষণ না আল্লাহর আযাব এসে তাদেরকে পাকড়াও করেছে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা নিজেদের গোমরাহীর ওপর অবিচল থেকেছে । এ সম্বন্ধের প্রেক্ষিতে এখানে ইতিহাসের সাতটি জাতির অবস্থা পেশ করা হয়েছে । মক্কার কাফেররা এ সময় যে হঠকারী নীতি অবলম্বন করে চলছিল ইতিহাসের এ সাতটি জাতিও সেকালে সেই একই নীতির আশ্রয় নিয়েছিল । এ ঐতিহাসিক বর্ণনার আওতাধীনে কতিপয় কথা মানস পটে অংকিত করে দেয়া হয়েছে ।
একঃ নিদর্শন দু’ধরনের । এক ধরনের নিদর্শন আল্লাহর যমীনে চারদিকে ছড়িয়ে রয়েছে । সেগুলো দেখে প্রত্যেক বুদ্ধিমান ব্যক্তি নবী যে জিনিসের দিকে আহবান জানাচ্ছেন সেটি সত্য হতে পারে কিনা সে সম্পর্কে অনুসন্ধান ও গবেষণা করতে পারে । দ্বিতীয় ধরনের নিদর্শন ফেরাউন ও তার সম্প্রদায় দেখেছে, নূহের সম্প্রদায় দেখেছে, আদ ও সামূদ দেখেছে, লূতের সম্প্রদায় ও আইকাবাসীরাও দেখেছে । এখন কাফেররা কোন ধরনের নিদর্শন দেখতে চায় এটা তাদের নিজেদের সিদ্ধান্তের ব্যাপার ।
দুইঃ সকল যুগে কাফেরদের মনোভাব একই রকম ছিল । তাদের যুক্তি ছিল একই প্রকার । তাদের আপত্তি ছিল একই । ঈমান না আনার জন্য তারা একই বাহানাবাজীর আশ্রয় নিয়েছে । শেষ পর্যন্ত তারা একই পরিণতির সম্মুখীন হয়েছে । অন্যদিকে প্রত্যেক যুগে প্রত্যেক নবীর শিক্ষা একই ছিল । তাদের চরিত্র ও জীবননীতি একই রঙে রঞ্জিত ছিল । নিজেদের বিরোধীদের মোকাবিলায় তাঁদের যুক্তি-প্রমাণের ধরণ ছিল একই । আর তাঁদের সবার সাথে আল্লাহর রহমতও ছিল একই ধরনের । এ দু’টি আদর্শের উপস্থিতি ইতিহাসের পাতায় রয়েছে । কাফেররা নিজেরাই দেখতে পারে তাদের নিজেদের কোন ধরনের ছবি পাওয়া যায় এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ব্যক্তিসত্তায় কোন ধরনের আদর্শের নিদর্শন পাওয়া যায় ।
তৃতীয় যে কথাটির বারবার পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে সেটি হচ্ছে আল্লাহ একদিকে যেমন অজেয় শক্তি, পরাক্রম ও ক্ষমতার অধিকারী অপরদিকে তেমনি পরম করুণাময়ও । ইতিহাসে একদিকে রয়েছে তাঁর ক্রোধের দৃষ্টান্ত এবং অন্যদিকে রহমতেরও । এখন লোকদের নিজেদেরকেই এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, তারা নিজেদের তাঁর রহমতের যোগ্য বানাবে না ক্রোধের ।
শেষ রুকূ’তে এ আলোচনাটির উপসংহার টানতে গিয়ে বলা হয়েছে, তোমরা যদি নিদর্শনই দেখাতে চাও, তাহলে ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতিগুলো যেসব ভয়াবহ নিদর্শন দেখেছিল সেগুলো দেখতে চাও কেন? এ কুরআনকে দেখো । এটি তোমাদের নিজেদের ভাষায় রয়েছে । মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখো । তাঁর সাথীদেরকে দেখো । এটা কি কোন শয়তান বা জিনের বাণী হতে পারে? এ বাণীর উপস্থাপককে কি তোমাদের গণৎকার বলে মনে হচ্ছে? মুহাম্মাদ ও তাঁর সাথীদেরকে কি তোমরা কবি ও তাদের সহযোগী ও সমমনারা যেমন হয় তেমনি ধরনের দেখেছো? জিদ ও হঠকারিতার কথা আলাদা । কিন্তু নিজেদের অন্তরের অন্তস্থলে উঁকি দিয়ে দেখো সেখানে কি এর সমর্থন পাওয়া যায়? যদি মনে মনে তোমরা নিজেরাই জানো গণকবৃত্তি ও কাব্যচর্চার সাথে তাঁর দূরতম কোন সম্পর্ক নেই, তাহলে এই সাথে একথাও জেনে নাও, তোমরা জুলুম করছো, কাজেই জালেমের পরিণামই তোমাদের ভোগ করতে হবে ।
- ভাগে কোরবানির নিয়ম, অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার নিয়ম, ভাগে কোরবানির যত বিধি বিধান
- কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব,আরও একবার জানুন কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
আরবি উচ্চারণ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বাংলা অনুবাদ পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
طسٓمٓ ١
আরবি উচ্চারণ ২৬.১। ত্বোয়া-সী-ম্মী-ম্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১ ত্ব-সীন-মীম।
تِلۡكَ ءَايَـٰتُ ٱلۡكِتَـٰبِ ٱلۡمُبِينِ ٢
আরবি উচ্চারণ ২৬.২। তিল্কা আ-ইয়া-তুল্ কিতা-বিল্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২ এগুলো সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত।
لَعَلَّكَ بَـٰخِعٌ۬ نَّفۡسَكَ أَلَّا يَكُونُواْ مُؤۡمِنِينَ ٣
আরবি উচ্চারণ ২৬.৩। লা‘আল্লাকা বা-খি‘উন্ নাফ্সাকা আল্লা-ইয়াকূনূ মুমিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৩ তারা মুমিন হবে না বলে হয়ত তুমি আত্মবিনাশী হয়ে পড়বে।
إِن نَّشَأۡ نُنَزِّلۡ عَلَيۡہِم مِّنَ ٱلسَّمَآءِ ءَايَةً۬ فَظَلَّتۡ أَعۡنَـٰقُهُمۡ لَهَا خَـٰضِعِينَ ٤
আরবি উচ্চারণ ২৬.৪। ইন্ নাশা নুনায্যিল্ ‘আলাইহিম্ মিনাস্ সামা-য়ি আ-ইয়াতান্ ফাজোয়াল্লাত্ ‘আনা-কুহুম্ লাহা-খ-দ্বি‘ঈন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৪ আমি ইচ্ছা করলে আসমান থেকে তাদের উপর এমন নিদর্শন অবতীর্ণ করতাম ফলে তার প্রতি তাদের ঘাড়গুলো নত হয়ে যেত।
وَمَا يَأۡتِيہِم مِّن ذِكۡرٍ۬ مِّنَ ٱلرَّحۡمَـٰنِ مُحۡدَثٍ إِلَّا كَانُواْ عَنۡهُ مُعۡرِضِينَ ٥
আরবি উচ্চারণ ২৬.৫। অমা-ইয়াতীহিম্ মিন্ যিক্রিম্ মির্না রহ্মা-নি মুহ্দাছিন্ ইল্লা-কা-নূ ‘আন্হু মু’রিদ্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৫ আর যখনই তাদের কাছে পরম করুণাময়ের পক্ষ থেকে কোন নতুন উপদেশ আসে তখনই তারা তা থেকে বিমুখ হয়।
فَقَدۡ كَذَّبُواْ فَسَيَأۡتِيہِمۡ أَنۢبَـٰٓؤُاْ مَا كَانُواْ بِهِۦ يَسۡتَہۡزِءُونَ ٦
আরবি উচ্চারণ ২৬.৬। ফাক্বদ্ কায্যাবূ ফাসাইয়াতী হিম্ আম্বা-য়ু মা-কা-নূ বিহী ইয়াস্তাহ্যিয়ূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৬ অতএব অবশ্যই তারা অস্বীকার করেছে। কাজেই তারা যা নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করত, তার সংবাদ অচিরেই তাদের কাছে এসে পড়বে।
أَوَلَمۡ يَرَوۡاْ إِلَى ٱلۡأَرۡضِ كَمۡ أَنۢبَتۡنَا فِيہَا مِن كُلِّ زَوۡجٍ۬ كَرِيمٍ ٧
আরবি উচ্চারণ ২৬.৭। আওয়ালাম্ ইয়ারাও ইলাল্ র্আদ্বি কাম্ আম্বাত্না-ফীহা-মিন্ কুল্লি যাওজ্বিন্ কারীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৭ তারা কি যমীনের প্রতি লক্ষ করেনি? আমি তাতে প্রত্যেক প্রকারের বহু উৎকৃষ্ট উদ্ভিদ উদগত করেছি।
إِنَّ فِى ذَٲلِكَ لَأَيَةً۬ۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ ٨
আরবি উচ্চারণ ২৬.৮। ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-ইয়াহ্; অমা- কা-না আক্ছারুহুম্ মুমিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৮ নিশ্চয় এতে আছে নিদর্শন, আর তাদের অধিকাংশই মুমিন নয়।
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ ٩
আরবি উচ্চারণ ২৬.৯। অ ইন্না রব্বাকা লাহুওয়াল্ ‘আযীর্যু রহীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৯ আর নিশ্চয় তোমার রব, তিনি তো মহা পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
وَإِذۡ نَادَىٰ رَبُّكَ مُوسَىٰٓ أَنِ ٱئۡتِ ٱلۡقَوۡمَ ٱلظَّـٰلِمِينَ ١٠
আরবি উচ্চারণ ২৬.১০। অ ইয্ না-দা- রব্বুকা মূসা য় আনিতিল্ ক্বওমাজ্ জোয়া-লিমী ন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১০ আর স্মরণ কর, যখন তোমার রব মূসাকে ডেকে বললেন, ‘তুমি যালিম সম্প্রদায়ের কাছে যাও’।
قَوۡمَ فِرۡعَوۡنَۚ أَلَا يَتَّقُونَ ١١
আরবি উচ্চারণ ২৬.১১। ক্বওমা র্ফি‘আউন্; আলা-ইয়াত্তাকুন্ ।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১১ ‘ফির‘আউনের স¤প্রদায়ের কাছে। তারা কি ভয় করবে না’?
قَالَ رَبِّ إِنِّىٓ أَخَافُ أَن يُكَذِّبُونِ ١٢
আরবি উচ্চারণ ২৬.১২। ক্ব-লা রব্বি ইন্নী য় আখ-ফু আইঁ ইয়ুকায্যিবূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১২ মূসা বলল, ‘হে আমার রব, আমি অবশ্যই আশঙ্কা করছি যে, তারা আমাকে অস্বীকার করবে’।
وَيَضِيقُ صَدۡرِى وَلَا يَنطَلِقُ لِسَانِى فَأَرۡسِلۡ إِلَىٰ هَـٰرُونَ ١٣
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৩। অ ইয়াদ্বীকু ছোয়াদ্রী অলা-ইয়ান্ত্বোয়ালিকু লিসা-নী ফার্আসিল্ ইলা-হা-রূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৩ ‘আর আমার বক্ষ সঙ্কুুচিত হয়ে যাচ্ছে। আমার জিহবা চলছে না। সুতরাং আপনি হারূনের প্রতি ওহী পাঠান’।
وَلَهُمۡ عَلَىَّ ذَنۢبٌ۬ فَأَخَافُ أَن يَقۡتُلُونِ ١٤
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৪। অলাহুম্ ‘আলাইয়্যা যাম্বুন্ ফাআখা-ফু আইঁ ইয়াকতুলূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৪ ‘আর আমার বিরুদ্ধে তাদের কাছে একটি অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। ফলে আমি আশঙ্কা করছি যে, তারা আমাকে হত্যা করে ফেলবে’।
قَالَ كَلَّاۖ فَٱذۡهَبَا بِـَٔايَـٰتِنَآۖ إِنَّا مَعَكُم مُّسۡتَمِعُونَ ١٥
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৫। ক্ব-লা ক্বাল্লা-ফায্হাবা-বিআ-ইয়া-তিনা য় ইন্না-মা‘আকুম্ মুস্তামি‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৫ আল্লাহ বললেন, ‘কখনো নয়। তোমরা উভয়ে আমার নিদর্শনাদিসহ যাও। অবশ্যই আমি আছি তোমাদের সাথে শ্রবণকারী’।
فَأۡتِيَا فِرۡعَوۡنَ فَقُولَآ إِنَّا رَسُولُ رَبِّ ٱلۡعَـٰلَمِينَ ١٦
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৬। ফাতিয়া-র্ফি‘আউনা ফাকুলা য় ইন্না-রাসূলু রব্বিল্ ‘আ-লামীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৬ ‘সুতরাং তোমরা উভয়ে ফির‘আউনের কাছে গিয়ে বল, নিশ্চয় আমরা বিশ্বজগতের রবের রাসূল’।
أَنۡ أَرۡسِلۡ مَعَنَا بَنِىٓ إِسۡرَٲٓءِيلَ ١٧
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৭। আন্ র্আসিল্ মা‘আনা-বানী য় ইসর-ঈল্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৭ ‘যাতে তুমি বনী ইসরাঈলকে আমাদের সাথে পাঠাও’।
قَالَ أَلَمۡ نُرَبِّكَ فِينَا وَلِيدً۬ا وَلَبِثۡتَ فِينَا مِنۡ عُمُرِكَ سِنِينَ ١٨
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৮। ক্ব-লা আলাম্ নুরব্বিকা ফীনা অলীদাঁও অলাবিছ্তা ফীনা-মিন্ ‘উমুরিকা সিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৮ ফির‘আউন বলল, ‘আমরা কি তোমাকে শৈশবে আমাদের মাঝে লালন পালন করিনি? আর তুমি তোমার জীবনের অনেক বছর আমাদের মধ্যে অবস্থান করেছ’।
وَفَعَلۡتَ فَعۡلَتَكَ ٱلَّتِى فَعَلۡتَ وَأَنتَ مِنَ ٱلۡكَـٰفِرِينَ ١٩
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৯। অ ফা‘আল্তা ফা’লাতাকাল্ লাতী ফা‘আল্তা অ আন্তা মিনাল্ কা-ফিরীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৯ ‘আর তুমি তোমার কর্ম যা করার তা করেছ এবং তুমি অকৃতজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত’।
قَالَ فَعَلۡتُهَآ إِذً۬ا وَأَنَا۟ مِنَ ٱلضَّآلِّينَ ٢٠
আরবি উচ্চারণ ২৬.২০। ক্বা-লা ফা‘আল্তুহা য় ইযাঁও অ আনা মিনাদ্ব্ দ্বোয়া-ল্লীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২০ মূসা বলল, ‘আমি এটি তখন করেছিলাম, যখন আমি ছিলাম বিভ্রান্ত’।
فَفَرَرۡتُ مِنكُمۡ لَمَّا خِفۡتُكُمۡ فَوَهَبَ لِى رَبِّى حُكۡمً۬ا وَجَعَلَنِى مِنَ ٱلۡمُرۡسَلِينَ ٢١
আরবি উচ্চারণ ২৬.২১। ফাফার্রতু মিন্কুম্ লাম্মা -খিফ্তুকুম্ ফাওয়াহাবা লী রব্বী হুক্মাঁও অজ্বা‘আলানী মিনাল্ র্মুসালীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২১ ‘অতঃপর যখন আমি তোমাদেরকে ভয় করলাম, তখন আমি তোমাদের থেকে পালিয়ে গেলাম। তারপর আমার রব আমাকে প্রজ্ঞা দান করলেন এবং আমাকে রাসূলদের অন্তর্ভুক্ত করলেন’।
وَتِلۡكَ نِعۡمَةٌ۬ تَمُنُّہَا عَلَىَّ أَنۡ عَبَّدتَّ بَنِىٓ إِسۡرَٲٓءِيلَ ٢٢
আরবি উচ্চারণ ২৬.২২। অতিল্কা নি’মাতুন্ তামুন্নুহা-‘আলাইয়্যা আন্ ‘আব্বাত্তা বানী য় ইসর-ঈল্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২২ ‘আর এই তো সে অনুগ্রহ যার খোঁটা তুমি আমাকে দিচ্ছ যে, তুমি বনী ইসরাঈলকে দাস বানিয়ে রেখেছ’।
قَالَ فِرۡعَوۡنُ وَمَا رَبُّ ٱلۡعَـٰلَمِينَ ٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৬.২৩। ক্ব-লা র্ফি‘আউনু অমা-রব্বুল্ ‘আ-লামীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২৩ ফির‘আউন বলল, ‘সৃষ্টিকুলের রব কে?’
قَالَ رَبُّ ٱلسَّمَـٰوَٲتِ وَٱلۡأَرۡضِ وَمَا بَيۡنَهُمَآۖ إِن كُنتُم مُّوقِنِينَ ٢٤
আরবি উচ্চারণ ২৬.২৪। ক্ব-লা রব্বুস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্বি অমা-বাইনাহুমা-; ইন্ কুন্তুম্ মূক্বিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২৪ মূসা বলল, ‘আসমানসমূহ ও যমীন এবং এতদোভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর রব, যদি তোমরা নিশ্চিত বিশ্বাসী হয়ে থাক।’
قَالَ لِمَنۡ حَوۡلَهُ ۥۤ أَلَا تَسۡتَمِعُونَ ٢٥
আরবি উচ্চারণ ২৬.২৫। ক্ব-লা লিমান্ হাওলাহূ য় আলা-তাস্তামি‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২৫ ফির‘আউন তার আশেপাশে যারা ছিল তাদেরকে বলল, ‘তোমরা কি মনোযোগসহ শুনছ না’?
قَالَ رَبُّكُمۡ وَرَبُّ ءَابَآٮِٕكُمُ ٱلۡأَوَّلِينَ ٢٦
আরবি উচ্চারণ ২৬.২৬। ক্ব-লা রব্বুকুম্ অরব্বু আ-বা-য়িকুমুল্ আউওয়ালীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২৬ মূসা বলল, ‘তিনি তোমাদের রব এবং তোমাদের পিতৃপুরুষদেরও রব’।
قَالَ إِنَّ رَسُولَكُمُ ٱلَّذِىٓ أُرۡسِلَ إِلَيۡكُمۡ لَمَجۡنُونٌ۬ ٢٧
আরবি উচ্চারণ ২৬.২৭। ক্ব-লা ইন্না রাসূলাকুমু ল্লাযী য় র্উসিলা ইলাইকুম্ লামাজনূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২৭ ফির‘আউন বলল, ‘তোমাদের কাছে প্রেরিত তোমাদের এই রাসূল নিশ্চয়ই পাগল’।
قَالَ رَبُّ ٱلۡمَشۡرِقِ وَٱلۡمَغۡرِبِ وَمَا بَيۡنَہُمَآۖ إِن كُنتُمۡ تَعۡقِلُونَ ٢٨
আরবি উচ্চারণ ২৬.২৮। ক্বা-লা রব্বুল্ মাশ্রিক্বি অল্ মাগ্রিবি অমা-বাইনাহুমা-; ইন্ কুন্তুম্ তা’ক্বিলূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২৮ মূসা বলল, ‘তিনি পূর্ব ও পশ্চিম এবং এতদোভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর রব, যদি তোমরা বুঝে থাক’।
قَالَ لَٮِٕنِ ٱتَّخَذۡتَ إِلَـٰهًا غَيۡرِى لَأَجۡعَلَنَّكَ مِنَ ٱلۡمَسۡجُونِينَ ٢٩
আরবি উচ্চারণ ২৬.২৯। ক্ব-লা লায়িনি ত্তাখায্তা ইলা-হান্ গইরী লাআজ ‘আলান্নাকা মিনাল্ মাস্জ্বনীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২৯ ফির‘আউন বলল, ‘যদি তুমি আমাকে ছাড়া কাউকে ইলাহরূপে গ্রহণ কর, তাহলে অবশ্যই আমি তোমাকে কয়েদীদের অন্তর্ভুক্ত করব’।
قَالَ أَوَلَوۡ جِئۡتُكَ بِشَىۡءٍ۬ مُّبِينٍ۬ ٣٠
আরবি উচ্চারণ ২৬.৩০। ক্ব-লা আওয়ালাও জ্বিতুকা বিশাইয়িম্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৩০ মূসা বলল, ‘যদি আমি তোমার কাছে স্পষ্ট কোন বিষয় নিয়ে আসি, তবুও’?
قَالَ فَأۡتِ بِهِۦۤ إِن ڪُنتَ مِنَ ٱلصَّـٰدِقِينَ ٣١
আরবি উচ্চারণ ২৬.৩১। ক্ব-লা ফাতি বিহী য় ইন্ কুন্তা মিনাছ্ ছোয়া-দিক্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৩১ ফির‘আউন বলল, ‘তুমি সত্যবাদী হয়ে থাকলে তা নিয়ে এসো’।
فَأَلۡقَىٰ عَصَاهُ فَإِذَا هِىَ ثُعۡبَانٌ۬ مُّبِينٌ۬ ٣٢
আরবি উচ্চারণ ২৬.৩২। ফা আল্ক্ব- ‘আছোয়া-হু ফাইযা-হিয়া ছু’বানুম্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৩২ অতঃপর সে তার লাঠি ফেলে দিল, ফলে তৎক্ষণাৎ তা একটি স্পষ্ট অজগর হয়ে গেল।
وَنَزَعَ يَدَهُ ۥ فَإِذَا هِىَ بَيۡضَآءُ لِلنَّـٰظِرِينَ ٣٣
আরবি উচ্চারণ ২৬.৩৩। অনাযা‘আ ইয়াদাহূ ফাইযা-হিয়া বাইদ্বোয়া-য়ু লিন্না-জিরীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৩৩ আর সে তার হাত বের করল, ফলে তা তৎক্ষণাৎ দর্শকদের সামনে উজ্জ্বল-সাদা হয়ে দেখা দিল।
قَالَ لِلۡمَلَإِ حَوۡلَهُ ۥۤ إِنَّ هَـٰذَا لَسَـٰحِرٌ عَلِيمٌ۬ ٣٤
আরবি উচ্চারণ ২৬.৩৪। ক্ব-লা লিল্মালায়ি হাওলাহূ য় ইন্না হা-যা-লাসা-হিরুন্ ‘আলীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৩৪ ফির‘আউন তার আশপাশের পারিষদদের উদ্দেশ্যে বলল, ‘এ তো এক বিজ্ঞ যাদুকর।’
يُرِيدُ أَن يُخۡرِجَكُم مِّنۡ أَرۡضِڪُم بِسِحۡرِهِۦ فَمَاذَا تَأۡمُرُونَ ٣٥
আরবি উচ্চারণ ২৬.৩৫। ইয়ুরীদু আই ইয়ুখ্ রিজ্বাকুম্ মিন্ র্আদ্বিকুম্ বিসিহ্রিহী ফামা-যা- তামুরূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৩৫ ‘সে তোমাদেরকে তার যাদুর মাধ্যমে তোমাদের দেশ থেকে বের করতে চায়। অতএব, তোমরা আমাকে কী পরামর্শ দাও?’
قَالُوٓاْ أَرۡجِهۡ وَأَخَاهُ وَٱبۡعَثۡ فِى ٱلۡمَدَآٮِٕنِ حَـٰشِرِينَ ٣٦
আরবি উচ্চারণ ২৬.৩৬। ক্ব-লূ য় র্আজ্বিহ্ অআখ- হু ওয়াব্‘আছ্ ফিল্ মাদা-য়িনি হা-শিরীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৩৬ তারা বলল, ‘তাকে ও তার ভাইকে কিছু সময়ের জন্য অবকাশ দাও, আর সংগ্রহকারীদেরকে নগরে-নগরে পাঠিয়ে দাও।’
يَأۡتُوكَ بِڪُلِّ سَحَّارٍ عَلِيمٍ۬ ٣٧
আরবি উচ্চারণ ২৬.৩৭। ইয়াতূকা বিকুল্লি সাহ্হা-রিন্ ‘আলীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৩৭ ‘তারা তোমার নিকট প্রত্যেক বিজ্ঞ যাদুকরকে নিয়ে আসুক’।
فَجُمِعَ ٱلسَّحَرَةُ لِمِيقَـٰتِ يَوۡمٍ۬ مَّعۡلُومٍ۬ ٣٨
আরবি উচ্চারণ ২৬.৩৮। ফাজুমি‘আস্ সাহারাতু লিমীক্ব -তি ইয়াওমিম্ মা’লূম্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৩৮ অতঃপর এক নির্ধারিত দিনের নির্দিষ্ট সময়ে যাদুকরদের একত্র করা হল।
وَقِيلَ لِلنَّاسِ هَلۡ أَنتُم مُّجۡتَمِعُونَ ٣٩
আরবি উচ্চারণ ২৬.৩৯। অক্বীলা লিন্না-সি হাল্ আন্তুম্ মুজতামি‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৩৯ আর লোকদের বলা হল, ‘তোমরা কি সমবেত হবে?’
لَعَلَّنَا نَتَّبِعُ ٱلسَّحَرَةَ إِن كَانُواْ هُمُ ٱلۡغَـٰلِبِينَ ٤٠
আরবি উচ্চারণ ২৬.৪০। লা‘আল্লানা-নাত্তাবি‘উস্ সাহারতা ইন্ কা-নূ হুমুল্ গলিবীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৪০ ‘যাতে আমরা যাদুকরদের অনুসরণ করতে পারি, যদি তারা বিজয়ী হয়’।
فَلَمَّا جَآءَ ٱلسَّحَرَةُ قَالُواْ لِفِرۡعَوۡنَ أَٮِٕنَّ لَنَا لَأَجۡرًا إِن كُنَّا نَحۡنُ ٱلۡغَـٰلِبِينَ ٤١
আরবি উচ্চারণ ২৬.৪১। ফালাম্মা- জ্বা-য়াস্ সাহারতু ক্ব-লূ লির্ফি‘আউনা আয়িন্না লানা-লাআজরন্ ইন্ কুন্না -নাহ্নুল্ গ-লিবীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৪১ অতঃপর যখন যাদুকররা আসল, তারা ফির‘আউনকে বলল, ‘যদি আমরাই বিজয়ী হই, তবে আমাদের জন্য কি সত্যিই পুরস্কার আছে?’
قَالَ نَعَمۡ وَإِنَّكُمۡ إِذً۬ا لَّمِنَ ٱلۡمُقَرَّبِينَ ٤٢
আরবি উচ্চারণ ২৬.৪২। ক্ব-লা না‘আম্ অ ইন্নাকুম্ ইযা ল্লামিনাল্ মুর্ক্বারাবীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৪২ সে বলল, ‘হ্যাঁ এবং নিশ্চয় তোমরা তখন আমার ঘনিষ্টজনদের অন্তর্ভুক্ত হবে’।
قَالَ لَهُم مُّوسَىٰٓ أَلۡقُواْ مَآ أَنتُم مُّلۡقُونَ ٤٣
আরবি উচ্চারণ ২৬.৪৩। ক্ব-লা লাহুম্ মূসা য় আল্ক্ব মা য় আন্তুম্ মুল্ক্বন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৪৩ মূসা তাদের বলল, ‘তোমরা যা নিক্ষেপ করার তা নিক্ষেপ কর’।
فَأَلۡقَوۡاْ حِبَالَهُمۡ وَعِصِيَّهُمۡ وَقَالُواْ بِعِزَّةِ فِرۡعَوۡنَ إِنَّا لَنَحۡنُ ٱلۡغَـٰلِبُونَ ٤٤
আরবি উচ্চারণ ২৬.৪৪। ফাআল্ক্বও হিবা-লাহুম্ অ ইছিয়্যাহুম্ অক্ব-লূ বি‘ইয্যাতির্ফি‘আওনা ইন্না লানাহ্নুল্ গলিবূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৪৪ অতঃপর তারা তাদের রশি ও লাঠি নিক্ষেপ করল এবং বলল, ‘ফির‘আউনের মর্যাদার কসম! অবশ্যই আমরা বিজয়ী হব।’
فَأَلۡقَىٰ مُوسَىٰ عَصَاهُ فَإِذَا هِىَ تَلۡقَفُ مَا يَأۡفِكُونَ ٤٥
আরবি উচ্চারণ ২৬.৪৫। ফা আল্ক্ব-মূসা-‘আছোয়া-হু ফাইযা-হিয়া তাল্ক্বফু মা-ইয়াফিকূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৪৫ তারপর মূসা তার লাঠি ফেলল, ফলে তৎক্ষণাৎ তা তাদের মিথ্যা প্রদর্শনীগুলো গ্রাস করে ফেলল।
فَأُلۡقِىَ ٱلسَّحَرَةُ سَـٰجِدِينَ ٤٦
আরবি উচ্চারণ ২৬.৪৬। ফাউল্ক্বিয়াস্ সাহারতু সা-জ্বিদীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৪৬ ফলে যাদুকররা সিজদাবনত হয়ে পড়ল।
قَالُوٓاْ ءَامَنَّا بِرَبِّ ٱلۡعَـٰلَمِينَ ٤٧
আরবি উচ্চারণ ২৬.৪৭। ক্ব-লূ য় আ-মান্না- বিরব্বিল্ ‘আ-লামীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৪৭ তারা বলল, ‘আমরা ঈমান আনলাম সকল সৃষ্টির রবের প্রতি’।
رَبِّ مُوسَىٰ وَهَـٰرُونَ ٤٨
আরবি উচ্চারণ ২৬.৪৮। রব্বি মূসা-অহা-রূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৪৮ ‘মূসা ও হারূনের রব’।
قَالَ ءَامَنتُمۡ لَهُ ۥ قَبۡلَ أَنۡ ءَاذَنَ لَكُمۡۖ إِنَّهُ ۥ لَكَبِيرُكُمُ ٱلَّذِى عَلَّمَكُمُ ٱلسِّحۡرَ فَلَسَوۡفَ تَعۡلَمُونَۚ لَأُقَطِّعَنَّ أَيۡدِيَكُمۡ وَأَرۡجُلَكُم مِّنۡ خِلَـٰفٍ۬ وَلَأُصَلِّبَنَّكُمۡ أَجۡمَعِينَ ٤٩
আরবি উচ্চারণ ২৬.৪৯। ক্ব-লা আ-মান্তুম্ লাহূ ক্বব্লা আন্ আ-যানা লাকুম্ ইন্নাহূ লাকাবীরুকুমুল্লাযী ‘আল্লামা কুমুস্ সিহ্র ফালাসাওফা তা’লামূন্; লাউক্বত্ত্বি‘আন্না আইদিয়াকুম্ অআরজুলাকুম্ মিন্ খিলা-ফিঁও অলা-উছোয়াল্লিবান্নাকুম্ আজমা‘ঈন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৪৯ ফির‘আউন বলল, ‘আমি তোমাদেরকে অনুমতি দেয়ার পূর্বেই তোমরা তার প্রতি ঈমান আনলে? নিশ্চয় সে তোমাদের গুরু যে তোমাদের যাদু শিক্ষা দিয়েছে। অতএব অচিরেই তোমরা জানতে পারবে। আমি অবশ্যই তোমাদের হাতসমূহ ও তোমাদের পাসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলব এবং অবশ্যই তোমাদের সকলকে শূলিবিদ্ধ করব’।
قَالُواْ لَا ضَيۡرَۖ إِنَّآ إِلَىٰ رَبِّنَا مُنقَلِبُونَ ٥٠
আরবি উচ্চারণ ২৬.৫০। ক্ব-লূ লা-দ্বোয়াইর ইন্না য় ইলা-রব্বিনা- মুন্ক্বালিবূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৫০ তারা বলল, ‘কোন ক্ষতি নেই তাতে। অবশ্যই আমরা তো আমাদের রবের দিকেই ফিরে যাব।’
إِنَّا نَطۡمَعُ أَن يَغۡفِرَ لَنَا رَبُّنَا خَطَـٰيَـٰنَآ أَن كُنَّآ أَوَّلَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ٥١
আরবি উচ্চারণ ২৬.৫১। ইন্না-নাত্বমা‘ঊ আইঁ ইয়াগ্ফির লানা-রব্বুনা-খত্বোয়া-ইয়া-না য় আন্ কুন্না য় আউওয়ালাল্ মুমিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৫১ ‘আমরা আশা করি যে, আমাদের রব আমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করে দেবেন, কারণ আমরা মুমিনদের মধ্যে প্রথম।’
۞ وَأَوۡحَيۡنَآ إِلَىٰ مُوسَىٰٓ أَنۡ أَسۡرِ بِعِبَادِىٓ إِنَّكُم مُّتَّبَعُونَ ٥٢
আরবি উচ্চারণ ২৬.৫২। অ আওহাইনা য় ইলা-মূসা য় আন্ আস্রি বি‘ইবা-দী য় ইন্নাকুম্ মুত্তাবা‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৫২ আর আমি মূসার প্রতি এ মর্মে ওহী পাঠিয়েছিলাম যে, ‘আমার বান্দাদের নিয়ে রাত্রিকালে যাত্রা শুরু কর, নিশ্চয়ই তোমাদের পিছু নেয়া হবে।’
فَأَرۡسَلَ فِرۡعَوۡنُ فِى ٱلۡمَدَآٮِٕنِ حَـٰشِرِينَ ٥٣
আরবি উচ্চারণ ২৬.৫৩। ফার্আসালা র্ফি‘আউনু ফিল্ মাদা-য়িনি হা-শিরীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৫৩ অতঃপর ফির‘আউন নগরে- নগরে একত্রকারীদেরকে পাঠাল।
إِنَّ هَـٰٓؤُلَآءِ لَشِرۡذِمَةٌ۬ قَلِيلُونَ ٥٤
আরবি উচ্চারণ ২৬.৫৪। ইন্না হা য় ঊলা-য়ি লার্শিযিমাতুন্ ক্বালীলূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৫৪ ‘নিশ্চয়ই এরা তো ক্ষুদ্র একটি দল।’
وَإِنَّہُمۡ لَنَا لَغَآٮِٕظُونَ ٥٥
আরবি উচ্চারণ ২৬.৫৫। অইন্নাহুম্ লানা-লাগ-য়িজূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৫৫ ‘আর এরা অবশ্যই আমাদের ক্রোধের উদ্রেক ঘটিয়েছে।’
وَإِنَّا لَجَمِيعٌ حَـٰذِرُونَ ٥٦
আরবি উচ্চারণ ২৬.৫৬। অইন্না-লাজ্বামী‘ঊন্ হা-যিরূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৫৬ ‘আর আমরা সবাই তো যথেষ্ট সতর্ক।’
فَأَخۡرَجۡنَـٰهُم مِّن جَنَّـٰتٍ۬ وَعُيُونٍ۬ ٥٧
আরবি উচ্চারণ ২৬.৫৭। ফাআখ্রজনা-হুম্ মিন্ জ্বান্না-তিঁও অ‘উইয়ূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৫৭ তারপর আমি তাদেরকে উদ্যানমালা ও ঝর্ণাধারাসমূহ থেকে বের করে আনলাম।
وَكُنُوزٍ۬ وَمَقَامٍ۬ كَرِيمٍ۬ ٥٨
আরবি উচ্চারণ ২৬.৫৮। অ কুনূযিঁও অমাক্ব-মিন্ কারীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৫৮ আর ধনভাণ্ডার ও মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান থেকে।
كَذَٲلِكَ وَأَوۡرَثۡنَـٰهَا بَنِىٓ إِسۡرَٲٓءِيلَ ٥٩
আরবি উচ্চারণ ২৬.৫৯। কাযা-লিক্;অআওরছ্না-হা-বানী য় ইস্রা-ঈল্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৫৯ এরূপই এবং আমি বনী ইসরাঈলকে এসবের ওয়ারিস বানিয়েছিলাম।
فَأَتۡبَعُوهُم مُّشۡرِقِينَ ٦٠
আরবি উচ্চারণ ২৬.৬০। ফাআত্বা‘ঊহুম্ মুশ্রিক্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৬০ তারপর তারা সূর্যোদয়ের প্রাক্কালে তাদের পিছু নিল।
فَلَمَّا تَرَٲٓءَا ٱلۡجَمۡعَانِ قَالَ أَصۡحَـٰبُ مُوسَىٰٓ إِنَّا لَمُدۡرَكُونَ ٦١
আরবি উচ্চারণ ২৬.৬১। ফালাম্মা-তারা-য়াল্ জ্বাম্‘আ-নি ক্ব-লা আছ্হা-বু মূসা য় ইন্না-লামুদ্রাকূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৬১ অতঃপর যখন উভয় দল পরস্পরকে দেখল, তখন মূসার সাথীরা বলল, অবশ্যই ‘আমরা ধরা পড়ে গেলাম!’
قَالَ كَلَّآۖ إِنَّ مَعِىَ رَبِّى سَيَہۡدِينِ ٦٢
আরবি উচ্চারণ ২৬.৬২। ক্ব-লা কাল্লা-ইন্না মা‘ইয়া রব্বী সাইয়াহ্দীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৬২ মূসা বলল, ‘কক্ষনো নয়; আমার সাথে আমার রব রয়েছেন। নিশ্চয় অচিরেই তিনি আমাকে পথনির্দেশ দেবেন’।
فَأَوۡحَيۡنَآ إِلَىٰ مُوسَىٰٓ أَنِ ٱضۡرِب بِّعَصَاكَ ٱلۡبَحۡرَۖ فَٱنفَلَقَ فَكَانَ كُلُّ فِرۡقٍ۬ كَٱلطَّوۡدِ ٱلۡعَظِيمِ ٦٣
আরবি উচ্চারণ ২৬.৬৩। ফাআওহাইনা য় ইলা-মূসা য় আনিদ্ব্ রিব্ বি‘আছোয়া-কাল্ বাহ্র্; ফান্ফালাক্ব ফাকা-না কুল্লু র্ফিক্বিন্ কাত্ত্বোয়াওদিল্ ‘আজীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৬৩ অতঃপর আমি মূসার প্রতি ওহী পাঠালাম, ‘তোমার লাঠি দ্বারা সমুদ্রে আঘাত কর।’ ফলে তা বিভক্ত হয়ে গেল। তারপর প্রত্যেক ভাগ বিশাল পাহাড়সদৃশ হয়ে গেল।
وَأَزۡلَفۡنَا ثَمَّ ٱلۡأَخَرِينَ ٦٤
আরবি উচ্চারণ ২৬.৬৪। অ আয্লাফ্না ছাম্মাল্ আ-খরীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৬৪ আর আমি অপর দলটিকে সেই জায়গায় নিকটবর্তী করলাম,
وَأَنجَيۡنَا مُوسَىٰ وَمَن مَّعَهُ ۥۤ أَجۡمَعِينَ ٦٥
আরবি উচ্চারণ ২৬.৬৫। অআন্জ্বাইনা-মূসা-অমাম্মা‘আহূ য় আজমা‘ঈন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৬৫ আর আমি মূসা ও তার সাথে যারা ছিল সকলকে উদ্ধার করলাম,
ثُمَّ أَغۡرَقۡنَا ٱلۡأَخَرِينَ ٦٦
আরবি উচ্চারণ ২৬.৬৬। ছুম্মা আগ্রক্ব্নাল্ আ-খরীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৬৬ তারপর অপর দলটিকে ডুবিয়ে দিলাম।
إِنَّ فِى ذَٲلِكَ لَأَيَةً۬ۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ ٦٧
আরবি উচ্চারণ ২৬.৬৭। ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-ইয়াহ্; অমা-কা-না আক্ছারুহুম্ মুমিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৬৭ নিশ্চয় এর মধ্যে রয়েছে নিদর্শন। আর তাদের অধিকাংশই মুমিন নয়।
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ ٦٨
আরবি উচ্চারণ ২৬.৬৮। অ ইন্না রব্বাকা লাহুওয়াল্ ‘আযীর্যু রহীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৬৮ আর নিশ্চয় তোমার রব তো মহাপরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
وَٱتۡلُ عَلَيۡهِمۡ نَبَأَ إِبۡرَٲهِيمَ ٦٩
আরবি উচ্চারণ ২৬.৬৯। অত্লু ‘আলাইহিম্ নাবায়া ইব্রা-হীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৬৯ আর তুমি তাদের নিকট ইবরাহীমের ঘটনা বর্ণনা কর,
إِذۡ قَالَ لِأَبِيهِ وَقَوۡمِهِۦ مَا تَعۡبُدُونَ ٧٠
আরবি উচ্চারণ ২৬.৭০। ইয্ ক্ব-লা লিআবীহি অক্বওমিহী মা-তা’বুদূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৭০ যখন সে তার পিতা ও তার কওমকে বলেছিল, ‘তোমরা কিসের ইবাদাত কর?’
قَالُواْ نَعۡبُدُ أَصۡنَامً۬ا فَنَظَلُّ لَهَا عَـٰكِفِينَ ٧١
আরবি উচ্চারণ ২৬.৭১। ক্ব-লূ না’বুদু আছ্না- মান্ ফানাজোয়াল্লু লাহা-‘আ-কিফীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৭১ তারা বলল, ‘আমরা মূর্তির পূজা করি। অতঃপর এগুলোর পূজায় আমরা নিষ্ঠার সাথে রত থাকি’।
قَالَ هَلۡ يَسۡمَعُونَكُمۡ إِذۡ تَدۡعُونَ ٧٢
আরবি উচ্চারণ ২৬.৭২। ক্ব-লা-হাল্ ইয়াসমা‘ঊনাকুম ইয্ তাদ্‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৭২ সে বলল, ‘যখন তোমরা ডাক তখন তারা কি তোমাদের সে ডাক শুনতে পায়?’
أَوۡ يَنفَعُونَكُمۡ أَوۡ يَضُرُّونَ ٧٣
আরবি উচ্চারণ ২৬.৭৩। আও ইয়ান্ফা‘ঊনাকুম্ আও ইয়াদ্বরুরূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৭৩ ‘অথবা তারা কি তোমাদের উপকার কিংবা ক্ষতি করতে পারে’?
قَالُواْ بَلۡ وَجَدۡنَآ ءَابَآءَنَا كَذَٲلِكَ يَفۡعَلُونَ ٧٤
আরবি উচ্চারণ ২৬.৭৪। ক্ব-লূ কাল অজ্বাদনা য় আ-বা-য়ানা- কাযা-লিকা ইয়াফ্‘আলূন্ ।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৭৪ তারা বলল, ‘বরং আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদের পেয়েছি, তারা এরূপই করত’।
قَالَ أَفَرَءَيۡتُم مَّا كُنتُمۡ تَعۡبُدُونَ ٧٥
আরবি উচ্চারণ ২৬.৭৫। ক্ব-লা আফারায়াইতুম্ মা-কুন্তুম্ তা’বুদূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৭৫ ইবরাহীম বলল, ‘তোমরা কি তাদের সম্পর্কে ভেবে দেখেছ, তোমরা যাদের পূজা কর’।
أَنتُمۡ وَءَابَآؤُڪُمُ ٱلۡأَقۡدَمُونَ ٧٦
আরবি উচ্চারণ ২৬.৭৬। আন্তুম্ অ আ-বা-য়ুকুমুল্ আক্দামূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৭৬ ‘তোমরা এবং তোমাদের অতীত পিতৃপুরুষেরা?’
فَإِنَّہُمۡ عَدُوٌّ۬ لِّىٓ إِلَّا رَبَّ ٱلۡعَـٰلَمِينَ ٧٧
আরবি উচ্চারণ ২৬.৭৭। ফাইন্নাহুম্ আ’দুওয়ুল্লী য় ইল্লা-রব্বাল্ ‘আ-লামীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৭৭ ‘সকল সৃষ্টির রব ছাড়া অবশ্যই তারা আমার শত্র“’।
ٱلَّذِى خَلَقَنِى فَهُوَ يَہۡدِينِ ٧٨
আরবি উচ্চারণ ২৬.৭৮। আল্লাযী খলাক্বনী ফাহুওয়া ইয়াহ্দীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৭৮ ‘যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তিনিই আমাকে হিদায়াত দিয়েছেন।’
وَٱلَّذِى هُوَ يُطۡعِمُنِى وَيَسۡقِينِ ٧٩
আরবি উচ্চারণ ২৬.৭৯। অল্লাযী হুওয়া ইয়ুত্ব‘ইমুনী অইয়াস্ক্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৭৯ ‘আর যিনি আমাকে খাওয়ান এবং পান করান’।
وَإِذَا مَرِضۡتُ فَهُوَ يَشۡفِينِ ٨٠
আরবি উচ্চারণ ২৬.৮০। অ ইযা-মারিদ্ব্তু ফাহুওয়া ইয়াশ্ফীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৮০ ‘আর যখন আমি অসুস্থ হই, তখন যিনি আমাকে আরোগ্য করেন’।
وَٱلَّذِى يُمِيتُنِى ثُمَّ يُحۡيِينِ ٨١
আরবি উচ্চারণ ২৬.৮১। অল্লাযী ইয়ুমীতুনী ছুম্মা ইয়ুহ্য়ীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৮১ ‘আর যিনি আমার মৃত্যু ঘটাবেন তারপর আমাকে জীবিত করবেন’।
وَٱلَّذِىٓ أَطۡمَعُ أَن يَغۡفِرَ لِى خَطِيٓـَٔتِى يَوۡمَ ٱلدِّينِ ٨٢
আরবি উচ্চারণ ২৬.৮২। অল্লাযী য় আত্বমাউ’ আইঁ ইয়াগ্ফিরালী খাতী-আতী ইয়াওমাদ দীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৮২ ‘আর যিনি আশা করি, বিচার দিবসে আমার ত্র“টি-বিচ্যুতি ক্ষমা করে দেবেন’।
رَبِّ هَبۡ لِى حُڪۡمً۬ا وَأَلۡحِقۡنِى بِٱلصَّـٰلِحِينَ ٨٣
আরবি উচ্চারণ ২৬.৮৩। রব্বি হাব্লী হুক্মাঁও অআল্হিক্নী বিছ্ছো-লিহীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৮৩ ‘হে আমার রব, আমাকে প্রজ্ঞা দান করুন এবং আমাকে সৎকর্মশীলদের সাথে শামিল করে দিন’।
وَٱجۡعَل لِّى لِسَانَ صِدۡقٍ۬ فِى ٱلۡأَخِرِينَ ٨٤
আরবি উচ্চারণ ২৬.৮৪। অজ্ব ‘আল্লী লিসা-না ছিদ্ক্বিন্ ফিল্ আ-খিরীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৮৪ ‘এবং পরবর্তীদের মধ্যে আমার সুনাম-সুখ্যাতি অব্যাহত রাখুন’,
وَٱجۡعَلۡنِى مِن وَرَثَةِ جَنَّةِ ٱلنَّعِيمِ ٨٥
আরবি উচ্চারণ ২৬.৮৫। অজ‘আল্নী মিঁও অরছাতি জ্বান্নাতিন্ না‘ঈম্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৮৫ ‘আর আপনি আমাকে সুখময় জান্নাতের ওয়ারিসদের অন্তর্ভুক্ত করুন’।
وَٱغۡفِرۡ لِأَبِىٓ إِنَّهُ ۥ كَانَ مِنَ ٱلضَّآلِّينَ ٨٦
আরবি উচ্চারণ ২৬.৮৬। অর্গ্ফি লিআবী য় ইন্নাহূ কা-না মিনা দ্ব্ দ্বোয়া-লীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৮৬ ‘আর আমার পিতাকে ক্ষমা করুন; নিশ্চয় সে পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত ছিল’।
وَلَا تُخۡزِنِى يَوۡمَ يُبۡعَثُونَ ٨٧
আরবি উচ্চারণ ২৬.৮৭। অলা-তুখ্যিনী ইয়াওমা ইয়ুব্‘আছূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৮৭ ‘আর যেদিন পুনরুত্থিত করা হবে সেদিন আমাকে লাঞ্ছিত করবেন না’।
يَوۡمَ لَا يَنفَعُ مَالٌ۬ وَلَا بَنُونَ ٨٨
আরবি উচ্চারণ ২৬.৮৮। ইয়াওমা লা-ইয়ান্ফা‘ঊ মা-লুঁও অলা-বানূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৮৮ ‘যেদিন ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি কোন উপকারে আসবে না’।
إِلَّا مَنۡ أَتَى ٱللَّهَ بِقَلۡبٍ۬ سَلِيمٍ۬ ٨٩
আরবি উচ্চারণ ২৬.৮৯। ইল্লা- মান্ আতাল্লা-হা বিক্বল্বিন্ সালীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৮৯ ‘তবে যে আল্লাহর কাছে আসবে সুস্থ অন্তরে’।
وَأُزۡلِفَتِ ٱلۡجَنَّةُ لِلۡمُتَّقِينَ ٩٠
আরবি উচ্চারণ ২৬.৯০। অ উয্লিফাতিল্ জ্বান্নাতু লিল্মুত্তাক্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৯০ আর মুত্তাকীদের জন্য জান্নাত নিকটবর্তী করা হবে,
وَبُرِّزَتِ ٱلۡجَحِيمُ لِلۡغَاوِينَ ٩١
আরবি উচ্চারণ ২৬.৯১। অর্বুরিযাতিল্ জ্বাহীমু লিল্গ-ওয়ীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৯১ এবং পথভ্রষ্টকারীদের জন্য জাহান্নাম উন্মোচিত করা হবে।
وَقِيلَ لَهُمۡ أَيۡنَ مَا كُنتُمۡ تَعۡبُدُونَ ٩٢
আরবি উচ্চারণ ২৬.৯২। অক্বীলা লাহুম্ আইনামা- কুন্তুম্ তা’বুদূন্ ।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৯২ আর তাদেরকে বলা হবে, ‘তারা কোথায় যাদের তোমরা ইবাদাত করতে’?
مِن دُونِ ٱللَّهِ هَلۡ يَنصُرُونَكُمۡ أَوۡ يَنتَصِرُونَ ٩٣
আরবি উচ্চারণ ২৬.৯৩। মিন্ দূনিল্লা-হ্; হাল্ ইয়ান্ছুরূনাকুম্ আও ইয়ান্তাছিরূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৯৩ আল্লাহ ছাড়া? তারা কি তোমাদেরকে সাহায্য করছে, না নিজেদের সাহায্য করতে পারছে?
فَكُبۡكِبُواْ فِيہَا هُمۡ وَٱلۡغَاوُ ۥنَ ٩٤
আরবি উচ্চারণ ২৬.৯৪। ফাকুব্কিবূ ফীহা হুম্ অল্ গ-য়ূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৯৪ অতঃপর তাদেরকে এবং পথভ্রষ্টকারীদেরকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে,
وَجُنُودُ إِبۡلِيسَ أَجۡمَعُونَ ٩٥
আরবি উচ্চারণ ২৬.৯৫। অ জুনূদু ইব্লীসা আজমা‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৯৫ আর ইবলীসের সকল সৈন্যবাহিনীকে।
قَالُواْ وَهُمۡ فِيہَا يَخۡتَصِمُونَ ٩٦
আরবি উচ্চারণ ২৬.৯৬। ক্ব-লূ অহুম্ ফীহা-ইয়াখ্তাছিমূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৯৬ সেখানে পরস্পর ঝগড়া করতে গিয়ে তারা বলবে,
تَٱللَّهِ إِن كُنَّا لَفِى ضَلَـٰلٍ۬ مُّبِينٍ ٩٧
আরবি উচ্চারণ ২৬.৯৭। তাল্লা-হি ইন্ কুন্না-লাফী দ্বোয়ালা-লিম্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৯৭ ‘আল্লাহর কসম! আমরা তো সুস্পষ্ট পথভ্রষ্টতায় নিমজ্জিত ছিলাম’,
إِذۡ نُسَوِّيكُم بِرَبِّ ٱلۡعَـٰلَمِينَ ٩٨
আরবি উচ্চারণ ২৬.৯৮। ইয্ নুসাওয়্যী কুম্ বিরব্বিল্ ‘আ-লামীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৯৮ ‘যখন আমরা তোমাদেরকে সকল সৃষ্টির রবের সমকক্ষ বানাতাম’।
وَمَآ أَضَلَّنَآ إِلَّا ٱلۡمُجۡرِمُونَ ٩٩
আরবি উচ্চারণ ২৬.৯৯। অমা য় আদ্বোয়াল্লানা য় ইল্লাল্ মুজরিমূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.৯৯ ‘আর অপরাধীরাই শুধু আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিল’;
فَمَا لَنَا مِن شَـٰفِعِينَ ١٠٠
আরবি উচ্চারণ ২৬.১০০। ফামা-লানা-মিন্ শা-ফি‘ঈন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১০০ ‘অতএব, আমাদের কোন সুপারিশকারী নেই’।
وَلَا صَدِيقٍ حَمِيمٍ۬ ١٠١
আরবি উচ্চারণ ২৬.১০১। অলা-ছোয়াদীক্বিন্ হামীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১০১‘এবং কোন অন্তরঙ্গ বন্ধুও নেই’।
فَلَوۡ أَنَّ لَنَا كَرَّةً۬ فَنَكُونَ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ١٠٢
আরবি উচ্চারণ ২৬.১০২। ফালাও আন্না লানা-র্কারতান্ ফানাকূনা মিনাল্ মুমিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১০২ ‘হায়, আমাদের যদি আরেকটি সুযোগ হত, তবে আমরা মুমিনদের অর্ন্তভুক্ত হতাম’।
إِنَّ فِى ذَٲلِكَ لَأَيَةً۬ۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ ١٠٣
আরবি উচ্চারণ ২৬.১০৩। ইন্না ফী যা- লিকা লাআ-ইয়াহ্; অমা-কা-না আক্ছারুহুম্ মুমিনীন্। বাংলা অনুবাদ ২৬.১০৩ নিশ্চয় এতে রয়েছে নিদর্শন, আর তাদের অধিকাংশ মুমিন নয়।
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ ١٠٤
আরবি উচ্চারণ ২৬.১০৪। অইন্না রব্বাকা লাহুওয়াল্ ‘আযীর্যু রহীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১০৪ আর নিশ্চয় তোমার রব, তিনি তো মহাপরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
كَذَّبَتۡ قَوۡمُ نُوحٍ ٱلۡمُرۡسَلِينَ ١٠٥
আরবি উচ্চারণ ২৬.১০৫। কায্যাবাত্ কাওমু নূহিনিল্ র্মুসালীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১০৫ নূহ-এর কওম রাসূলদেরকে অস্বীকার করেছিল।
إِذۡ قَالَ لَهُمۡ أَخُوهُمۡ نُوحٌ أَلَا تَتَّقُونَ ١٠٦
আরবি উচ্চারণ ২৬.১০৬। ইয্ ক্ব-লা লাহুম্ আখূহুম্ নূহুন্ আলা-তাত্তাকুন্ ।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১০৬ যখন তাদের ভাই নূহ তাদেরকে বলেছিল, ‘তোমরা কি তাকওয়া অবলম্বন করবে না’?
إِنِّى لَكُمۡ رَسُولٌ أَمِينٌ۬ ١٠٧
আরবি উচ্চারণ ২৬.১০৭। ইন্নী লাকুম্ রসূলুন্ আমীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১০৭ ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য একজন বিশ্বস্ত রাসূল’।
فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ ١٠٨
আরবি উচ্চারণ ২৬.১০৮। ফাত্তাকুল্লা-হা অআত্বী‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১০৮ ‘সুতরাং তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং আমার অনুগত্য কর’।
وَمَآ أَسۡـَٔلُكُمۡ عَلَيۡهِ مِنۡ أَجۡرٍۖ إِنۡ أَجۡرِىَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ ٱلۡعَـٰلَمِينَ ١٠٩
আরবি উচ্চারণ ২৬.১০৯। অমা য় আস্য়ালুকুম্ ‘আলাইহি মিন্ আজরিন্ ইন্ আজ্বরিয়া ইল্লা- ‘আলা -রব্বিল্ ‘আ-লামীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১০৯ ‘আর এর উপর আমি তোমাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাই না; আমার প্রতিদান শুধু সৃষ্টিকুলের রবের নিকট’।
فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ ١١٠
আরবি উচ্চারণ ২৬.১১০। ফাত্তাকুল্লা-হা অআত্বী‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১১০ ‘সুতরাং তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং আমার আনুগত্য কর’।
۞ قَالُوٓاْ أَنُؤۡمِنُ لَكَ وَٱتَّبَعَكَ ٱلۡأَرۡذَلُونَ ١١١
আরবি উচ্চারণ ২৬.১১১। ক্ব-লূ য় আনুমিনু লাকা অত্তাবা‘আকাল্ র্আযালূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১১১‘তারা বলল, ‘আমরা কি তোমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করব, অথচ নিম্নশ্রেণীর লোকেরা তোমাকে অনুসরণ করছে’?
قَالَ وَمَا عِلۡمِى بِمَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ ١١٢
আরবি উচ্চারণ ২৬.১১২। ক্ব-লা অমা-‘ইল্মী বিমা- কানূ ইয়া’মালূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১১২নূহ বলল, ‘তারা কি করে তা জানা আমার কী প্রয়োজন’?
إِنۡ حِسَابُہُمۡ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّىۖ لَوۡ تَشۡعُرُونَ ١١٣
আরবি উচ্চারণ ২৬.১১৩। ইন্ হিসা-বু হুম্ ইল্লা-‘আলা-রব্বী লাও তাশ্‘ঊরূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১১৩‘তাদের হিসাব গ্রহণ তো কেবল আমার রবের দায়িত্বে, যদি তোমরা জানতে’।
وَمَآ أَنَا۟ بِطَارِدِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ١١٤
আরবি উচ্চারণ ২৬.১১৪। অমা য় আনা বিত্বোয়া-রিদিল্ মুমিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১১৪‘আর আমি তো মুমিনদেরকে তাড়িয়ে দেয়ার নই’।
إِنۡ أَنَا۟ إِلَّا نَذِيرٌ۬ مُّبِينٌ۬ ١١٥
আরবি উচ্চারণ ২৬.১১৫। ইন্ আনা ইল্লা-নাযীরুম্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১১৫‘আমি তো কেবল সুস্পষ্ট সতর্ককারী’।
قَالُواْ لَٮِٕن لَّمۡ تَنتَهِ يَـٰنُوحُ لَتَكُونَنَّ مِنَ ٱلۡمَرۡجُومِينَ ١١٦
আরবি উচ্চারণ ২৬.১১৬। ক্ব -লূ লায়িল্লাম্ তান্তাহি ইয়া-নূহু লাতাকূনান্না-মিনাল্ র্মাজুমীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১১৬তারা বলল, ‘হে নূহ, তুমি যদি বিরত না হও তবে অবশ্যই তুমি প্রস্তরাঘাতে নিহতদের অন্তর্ভুক্ত হবে’।
قَالَ رَبِّ إِنَّ قَوۡمِى كَذَّبُونِ ١١٧
আরবি উচ্চারণ ২৬.১১৭। ক্ব-লা রব্বি ইন্না ক্বওমী কায্যাবূন্ ।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১১৭নূহ বলল, ‘হে আমার রব, আমার কওম আমাকে অস্বীকার করেছে’;
فَٱفۡتَحۡ بَيۡنِى وَبَيۡنَهُمۡ فَتۡحً۬ا وَنَجِّنِى وَمَن مَّعِىَ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ١١٨
আরবি উচ্চারণ ২৬.১১৮। ফাফ্তাহ্ বাইনী অবাইনাহুম্ ফাত্হাঁও অনাজ্জ্বিনী অমাম্ মা‘ইয়া মিনাল্ মুমিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১১৮‘সুতরাং আপনি আমার ও তাদের মধ্যে ফয়সালা করে দিন আর আমাকে ও আমার সাথে যেসব মুমিন, আছে তাদেরকে রক্ষা করুন’।
فَأَنجَيۡنَـٰهُ وَمَن مَّعَهُ ۥ فِى ٱلۡفُلۡكِ ٱلۡمَشۡحُونِ ١١٩
আরবি উচ্চারণ ২৬. ১১৯। ফাআন্জ্বাইনা-হু অমাম্ মা‘আহূ ফিল্ ফুল্কিল্ মাশ্হূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১১৯অতঃপর আমি তাকে এবং তার সাথে যারা বোঝাই নৌকায় ছিল তাদেরকে নাজাত দিলাম।
ثُمَّ أَغۡرَقۡنَا بَعۡدُ ٱلۡبَاقِينَ ١٢٠
আরবি উচ্চারণ ২৬.১২০। ছুম্মা আগ্রকনা বা’দুল্ বাক্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১২০তারপর বাকীদের ডুবিয়ে দিলাম।
إِنَّ فِى ذَٲلِكَ لَأَيَةً۬ۖ وَمَا ڪَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ ١٢١
আরবি উচ্চারণ ২৬.১২১। ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-ইয়াহ্; অমা-কা-না আক্ছারুহুম্ মুমিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১২১নিশ্চয় এতে রয়েছে নিদর্শন, আর তাদের বেশীর ভাগ মুমিন ছিল না।
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ ١٢٢
আরবি উচ্চারণ ২৬.১২২। অইন্না রব্বাকা লাহুওয়াল্ ‘আযীর্যু রহীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১২২আর নিশ্চয় তোমার রব, তিনি তো মহাপরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
كَذَّبَتۡ عَادٌ ٱلۡمُرۡسَلِينَ ١٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৬.১২৩। কায্যাবাত্ ‘আ-দুনিল্ মুরসালীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১২৩‘আদ জাতি রাসূলগণকে অস্বীকার করেছিল,
إِذۡ قَالَ لَهُمۡ أَخُوهُمۡ هُودٌ أَلَا تَتَّقُونَ ١٢٤
আরবি উচ্চারণ ২৬.১২৪। ইয্ ক্ব-লা লাহুম্ আখূহুম্ হূদুন্ আলা-তাত্তাকুন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১২৪যখন তাদের ভাই হূদ তাদেরকে বলেছিল, ‘তোমরা কি তাকওয়া অবলম্বন করবে না’?
إِنِّى لَكُمۡ رَسُولٌ أَمِينٌ۬ ١٢٥
আরবি উচ্চারণ ২৬.১২৫। ইন্নী লাকুম্ রসূলুন্ আমীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১২৫‘নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য একজন বিশ্বস্ত রাসূল’।
فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ ١٢٦
আরবি উচ্চারণ ২৬.১২৬। ফাত্তাকু ল্লা-হা অ আত্বী‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১২৬‘সুতরাং আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং আমার আনুগত্য কর’।
وَمَآ أَسۡـَٔلُكُمۡ عَلَيۡهِ مِنۡ أَجۡرٍۖ إِنۡ أَجۡرِىَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ ٱلۡعَـٰلَمِينَ ١٢٧
আরবি উচ্চারণ ২৬.১২৭। অমা য়আস্আলুকুম্ ‘আলাইহি মিন্ আজরিন্ ইন্ আজ্ব্িরয়া ইল্লা- আলা-রব্বিল ‘আ-লামীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১২৭‘আর এর উপর আমি তোমাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাই না; আমার প্রতিদান কেবল সৃষ্টিকুলের রবের নিকট’।
أَتَبۡنُونَ بِكُلِّ رِيعٍ ءَايَةً۬ تَعۡبَثُونَ ١٢٨
আরবি উচ্চারণ ২৬.১২৮। আতাব্নূনা বিকুল্লি রী‘ঈন্ আ-ইয়াতান্ তা’বাছূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১২৮‘তোমরা কি প্রতিটি উঁচু স্থানে বেহুদা স্তম্ভ নির্মাণ করছ’?
وَتَتَّخِذُونَ مَصَانِعَ لَعَلَّكُمۡ تَخۡلُدُونَ ١٢٩
আরবি উচ্চারণ ২৬.১২৯। অতাত্তাখিযূনা মাছোয়া-নি‘আ লা‘আল্লাকুম্ তাখ্লুদূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১২৯‘আর তোমরা সুদৃঢ় প্রাসাদ নির্মাণ করছ, যেন তোমরা স্থায়ী হবে’।
وَإِذَا بَطَشۡتُم بَطَشۡتُمۡ جَبَّارِينَ ١٣٠
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৩০। অইযা-বাত্বোয়াশ্তুম্ বাত্বোয়াশ্তুম্ জ্বাব্বা-রীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৩০‘আর তোমরা যখন কাউকে পাকড়াও কর, পাকড়াও কর স্বেচ্ছাচারী হয়ে’।
فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ ١٣١
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৩১। ফাত্তাকুল্লা-হা অ আত্বীঊ’ন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৩১‘সুতরাং আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং আমাকে অনুসরণ কর’।
وَٱتَّقُواْ ٱلَّذِىٓ أَمَدَّكُم بِمَا تَعۡلَمُونَ ١٣٢
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৩২। অত্তাকুল্লাযী য় আমাদ্দাকুম্ বিমা-তা’লামূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৩২‘আর তাঁর তাকওয়া অবলম্বন কর যিনি তোমাদেরকে সাহায্য করেছেন এমন কিছু দিয়ে, যা তোমরা জান’।
أَمَدَّكُم بِأَنۡعَـٰمٍ۬ وَبَنِينَ ١٣٣
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৩৩। আমাদ্দাকুম্ বিআন্‘আ-মিঁও অবানীন্
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৩৩‘তিনি তোমাদেরকে সাহায্য করেছেন চতুষ্পদ জন্তু ও সন্তান-সন্ততি দ্বারা’,
وَجَنَّـٰتٍ۬ وَعُيُونٍ ١٣٤
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৩৪। অ জ্বান্না-তিঁও অ ‘ঊইয়ূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৩৪‘আর উদ্যান ও ঝর্ণা দ্বারা’।
إِنِّىٓ أَخَافُ عَلَيۡكُمۡ عَذَابَ يَوۡمٍ عَظِيمٍ۬ ١٣٥
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৩৫। ইন্নী য় আখা-ফু ‘আলাইকুম্ ‘আযা-বা ইয়াওমিন্ ‘আজীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৩৫‘নিশ্চয় আমি তোমাদের উপর এক মহাদিবসের আযাবের ভয় করছি’।
قَالُواْ سَوَآءٌ عَلَيۡنَآ أَوَعَظۡتَ أَمۡ لَمۡ تَكُن مِّنَ ٱلۡوَٲعِظِينَ ١٣٦
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৩৬। ক্ব-লূ সাওয়া-য়ুন্ ‘আলাইনা য় আওয়া ‘আজ্তা আম্ লাম্ তাকুম্ মিনাল্ ওয়া-‘ইজীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৩৬তারা বলল, ‘তুমি আমাদের উপদেশ দাও অথবা না দাও, উভয়ই আমাদের জন্য সমান’।
إِنۡ هَـٰذَآ إِلَّا خُلُقُ ٱلۡأَوَّلِينَ ١٣٧
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৩৭। ইন্ হা-যা য় ইল্লা-খুলুকুল্ আউওয়ালীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৩৭‘এটি তো পূর্ববর্তীদেরই চরিত্র,।
وَمَا نَحۡنُ بِمُعَذَّبِينَ ١٣٨
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৩৮। অমা-নাহ্নু বিমু‘আয্যাবীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৩৮‘আর আমরা আযাবপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হব না’।
فَكَذَّبُوهُ فَأَهۡلَكۡنَـٰهُمۡۗ إِنَّ فِى ذَٲلِكَ لَأَيَةً۬ۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ ١٣٩
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৩৯। ফাকায্যাবূহু ফাআহ্লাক্না-হুম; ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-ইয়াহ্; অমা-কা-না আক্ছারুহুম্ মুমিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৩৯অতঃপর তারা তাকে অস্বীকার করল, ফলে তাদেরকে আমি ধ্বংস করে দিলাম; নিশ্চয় এতে নিদর্শন রয়েছে। আর তাদের অধিকাংশ মুমিন ছিল না।
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ ١٤٠
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৪০। অইন্না রব্বাকা লাহুয়াল্ ‘আযী র্যু রহীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৪০আর নিশ্চয় তোমার রব তিনি মহাপরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
كَذَّبَتۡ ثَمُودُ ٱلۡمُرۡسَلِينَ ١٤١
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৪১। কায্যাবাত্ ছামূদুল্ মুরসালীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৪১সামূদ জাতি রাসুলদেরকে অস্বীকার করেছিল,
إِذۡ قَالَ لَهُمۡ أَخُوهُمۡ صَـٰلِحٌ أَلَا تَتَّقُونَ ١٤٢
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৪২। ইয্ ক্ব-লা লাহুম্ আখূহুম্ ছোয়া-লিহুন্ আলা-তাত্তাকুন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৪২যখন তাদের ভাই সালিহ তাদেরকে বলেছিল, ‘তোমরা কি তাকওয়া অবলম্বন করবে না’?
إِنِّى لَكُمۡ رَسُولٌ أَمِينٌ۬ ١٤٣
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৪৩। ইন্নী লাকুম্ রসূলুন্ আমীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৪৩‘নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসূল’;
فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ ١٤٤
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৪৪। ফাত্তাকুল্লা-হা-অআত্বী‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৪৪‘সুতরাং তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং আমার আনুগত্য কর’।
وَمَآ أَسۡـَٔلُكُمۡ عَلَيۡهِ مِنۡ أَجۡرٍۖ إِنۡ أَجۡرِىَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ ٱلۡعَـٰلَمِينَ ١٤٥
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৪৫। অমা য় আস্য়ালুকুম্ ‘আলাইহি মিন্ আজরিন্ ইন্ আজরিয়া ইল্লা- আলা- রব্বিল্ ‘আ-লামীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৪৫‘আর এর উপর আমি তোমাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাই না; আমার প্রতিদান কেবল সৃষ্টিকুলের রবের নিকট’।
أَتُتۡرَكُونَ فِى مَا هَـٰهُنَآ ءَامِنِينَ ١٤٦
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৪৬। আতুত্ রকূনা ফী মা-হা-হুনা য় আ-মিনীন্ ।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৪৬‘তোমাদেরকে কি এখানে যা আছে তাতে নিরাপদে ছেড়ে দেয়া হবে’?
فِى جَنَّـٰتٍ۬ وَعُيُونٍ۬ ١٤٧
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৪৭। ফী জ্বান্না-তিওঁ অ উ’ইয়ূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৪৭‘উদ্যান ও ঝর্ণায়’,
وَزُرُوعٍ۬ وَنَخۡلٍ۬ طَلۡعُهَا هَضِيمٌ۬ ١٤٨
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৪৮। অ যুরূ ‘ইওঁ অনাখ্লিন্ ত্বোয়াল্‘ঊহা- হাদ্বীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৪৮‘আর ক্ষেত-খামার ও কোমল শীষবিশিষ্ট খেজুর বাগানে’?
وَتَنۡحِتُونَ مِنَ ٱلۡجِبَالِ بُيُوتً۬ا فَـٰرِهِينَ ١٤٩
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৪৯। অ তান্হিতূনা মিনাল্ জ্বিবা-লি বুইয়ূতান্ ফা-রিহীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৪৯‘আর তোমরা নৈপুণ্যের সাথে পাহাড় কেটে বাড়ী নির্মাণ করছ’।
فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ ١٥٠
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৫০। ফাত্তাকুল্লা-হা অআত্বী‘ঊ ন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৫০‘সুতরাং আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং আমার আনুগত্য কর’।
وَلَا تُطِيعُوٓاْ أَمۡرَ ٱلۡمُسۡرِفِينَ ١٥١
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৫১। অলা- তুত্বী‘ঊয় আম্রল্ মুস্রিফীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৫১‘এবং সীমালংঘনকারীদের নির্দেশের আনুগত্য করো না’-
ٱلَّذِينَ يُفۡسِدُونَ فِى ٱلۡأَرۡضِ وَلَا يُصۡلِحُونَ ١٥٢
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৫২। আল্লাযীনা ইয়ুফ্সিদূনা ফিল্ র্আদ্বি অলা-ইয়ুছ্লিহূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৫২‘যারা পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি করে এবং শান্তি স্থাপন করে না’।
قَالُوٓاْ إِنَّمَآ أَنتَ مِنَ ٱلۡمُسَحَّرِينَ ١٥٣
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৫৩। ক্ব-লূ য় ইন্নামা য় আন্তা মিনাল্ মুসাহ্হারীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৫৩তারা বলল, ‘তুমিতো যাদুগ্রস্তদের একজন।
مَآ أَنتَ إِلَّا بَشَرٌ۬ مِّثۡلُنَا فَأۡتِ بِـَٔايَةٍ إِن كُنتَ مِنَ ٱلصَّـٰدِقِينَ ١٥٤
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৫৪। মা য় আন্তা ইল্লা-বাশারুম্ মিছ্লুনা-ফাতি বিআ-ইয়াতিন্ ইন্ কুন্তা মিনাছ্ ছোয়া-দিক্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৫৪‘তুমি তো কেবল আমাদের মত মানুষ, সুতরাং তুমি যদি সত্যবাদী হও তবে কোন নিদর্শন নিয়ে এসো’।
قَالَ هَـٰذِهِۦ نَاقَةٌ۬ لَّهَا شِرۡبٌ۬ وَلَكُمۡ شِرۡبُ يَوۡمٍ۬ مَّعۡلُومٍ۬ ١٥٥
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৫৫। ক্ব-লা হাযিহী না-ক্বাতুল্লাহা-র্শিবুঁও অলাকুম্ র্শিবু ইয়াওমিম্ মা’লূম্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৫৫সালিহ বলল, ‘এটি একটি উষ্ট্রী; তার জন্য পানি পানের পালা একদিন আর তোমাদের পানি পানের পালা আরেক নির্দিষ্ট দিনে’।
وَلَا تَمَسُّوهَا بِسُوٓءٍ۬ فَيَأۡخُذَكُمۡ عَذَابُ يَوۡمٍ عَظِيمٍ۬ ١٥٦
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৫৬। অলা-তামাস্সূহা-বিসূ-য়িন্ ফাইয়াখুযাকুম্ ‘আযা-বু ইয়াওমিন্ ‘আজীম।্
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৫৬‘আর তোমরা তাকে কোন অনিষ্ট কিছু করো না; যদি কর তবে এক মহাদিবসের আযাব তোমাদেরকে পেয়ে বসবে’।
فَعَقَرُوهَا فَأَصۡبَحُواْ نَـٰدِمِينَ ١٥٧
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৫৭। ফা‘আক্বরূহা-ফাআছ্বাহূ না-দিমীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৫৭অতঃপর তারা সেটি জবেহ করল; ফলে তারা অনুতপ্ত হল।
فَأَخَذَهُمُ ٱلۡعَذَابُۗ إِنَّ فِى ذَٲلِكَ لَأَيَةً۬ۖ وَمَا كَانَ أَڪۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ ١٥٨
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৫৮। ফাআখযাহুমুল্ ‘আযা-ব্; ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-ইয়াহ্; অমা-কা-না আক্ছারুহুম্ মুমিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৫৮অতএব আযাব তাদেরকে পাকড়াও করল, নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন রয়েছে, আর তাদের অধিকাংশ মুমিন ছিল না।
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ ١٥٩
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৫৯। অ ইন্না রব্বাকা লাহুওয়াল্ ‘আযীর্যু রহীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৫৯আর নিশ্চয় তোমার রব, তিনি তো মহাপরাক্রমশালী, পরম দয়াল্।ু
كَذَّبَتۡ قَوۡمُ لُوطٍ ٱلۡمُرۡسَلِينَ ١٦٠
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৬০। কায্যাবাত্ ক্বওমু লূ ত্বিনিল্ র্মুসালীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৬০লূতের সম্প্রদায় রাসূলদেরকে অস্বীকার করেছিল।
إِذۡ قَالَ لَهُمۡ أَخُوهُمۡ لُوطٌ أَلَا تَتَّقُونَ ١٦١
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৬১। ইয্ ক্ব-লা লাহুম্ আখূহুম্ লূতুন্ আলা-তাত্তাকুন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৬১যখন তাদেরকে তাদের ভাই লূত বলেছিল, ‘তোমরা কি তাকওয়া অবলম্বন করবে না’?
إِنِّى لَكُمۡ رَسُولٌ أَمِينٌ۬ ١٦٢
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৬২। ইন্নী লাকুম্ রসূলুন্ আমীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৬২‘নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসূল’।
فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ ١٦٣
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৬৩। ফাত্তাকু ল্লা-হা অআত্বী‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৬৩‘সুতরাং তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং আমার আনুগত্য কর’।
وَمَآ أَسۡـَٔلُكُمۡ عَلَيۡهِ مِنۡ أَجۡرٍۖ إِنۡ أَجۡرِىَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ ٱلۡعَـٰلَمِينَ ١٦٤
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৬৪। অমা য় আস্য়ালুকুম্ ‘আলাইহি মিন্ আজরিন্ ইন্ আজরিয়া ইল্লা-‘আলা-রব্বিল্ ‘আ-লামীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৬৪‘আর আমি এর উপর তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান কেবল সৃষ্টিকুলের রবের নিকট’।
أَتَأۡتُونَ ٱلذُّكۡرَانَ مِنَ ٱلۡعَـٰلَمِينَ ١٦٥
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৬৫। আতাতূ নায্ যুক্র-না মিনাল্ ‘আ-লামীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৬৫‘সৃষ্টিকুলের মধ্যে তোমরা কি কেবল পুরুষদের সাথে উপগত হও’?
وَتَذَرُونَ مَا خَلَقَ لَكُمۡ رَبُّكُم مِّنۡ أَزۡوَٲجِكُمۚ بَلۡ أَنتُمۡ قَوۡمٌ عَادُونَ ١٦٦
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৬৬। অ তাযারূনা মা-খলাক্ব লাকুম্ রব্বুকুম্ মিন্ আয্ওয়া জ্বিকুম্; বাল্ আন্তুম্ ক্বওমুন্ ‘আ-দূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৬৬‘আর তোমাদের রব তোমাদের জন্য যে স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন তাদেরকে তোমরা ত্যাগ কর, বরং তোমরা এক সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়’।
قَالُواْ لَٮِٕن لَّمۡ تَنتَهِ يَـٰلُوطُ لَتَكُونَنَّ مِنَ ٱلۡمُخۡرَجِينَ ١٦٧
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৬৭। ক্ব-লূ লায়িল্লাম্ তান্তাহি ইয়া-লূতু লাতাকূনান্না মিনাল্ মুখ্রজ্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৬৭তারা বলল, ‘হে লূত, তুমি যদি বিরত না হও, তাহলে তুমি অবশ্যই বহিস্কৃতদের অন্তর্ভুক্ত হবে’।
قَالَ إِنِّى لِعَمَلِكُم مِّنَ ٱلۡقَالِينَ ١٦٨
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৬৮। ক্ব-লা ইন্নী লি‘আমালিকুম্ মিনাল্ ক্ব-লীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৬৮লূত বলল, ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের কাজকে ঘৃণা করি’।
رَبِّ نَجِّنِى وَأَهۡلِى مِمَّا يَعۡمَلُونَ ١٦٩
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৬৯। রব্বি নাজ্জ্বিনী অআহ্লী মিম্মা-ইয়া’মালূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৬৯‘হে আমার রব, তারা যা করছে, তা থেকে আমাকে ও আমার পরিবার-পরিজনকে তুমি রক্ষা কর’।
فَنَجَّيۡنَـٰهُ وَأَهۡلَهُ ۥۤ أَجۡمَعِينَ ١٧٠
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৭০। ফানাজ্জ্বাইনাহু অআহ্লাহূ য় আজ্ব্মাঈ’ন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৭০অতঃপর আমি তাকে ও তার পরিবার-পরিজন সবাইকে রক্ষা করলাম।
إِلَّا عَجُوزً۬ا فِى ٱلۡغَـٰبِرِينَ ١٧١
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৭১। ইল্লা -‘আজুযান্ ফিল্ গ-বিরীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৭১পেছনে অবস্থানকারিণী এক বৃদ্ধা ছাড়া।
ثُمَّ دَمَّرۡنَا ٱلۡأَخَرِينَ ١٧٢
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৭২। ছুম্মা দার্ম্মানাল্ আ-খরীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৭২তারপর অন্যদেরকে আমি ধ্বংস করে দিলাম।
وَأَمۡطَرۡنَا عَلَيۡهِم مَّطَرً۬اۖ فَسَآءَ مَطَرُ ٱلۡمُنذَرِينَ ١٧٣
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৭৩। অআম্ত্বোর্য়ানা-‘আলাইহিম্ মাত্বোয়ারন্ ফাসা-য়া মাত্বোয়ারুল্ মুন্যারীন্ ।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৭৩আর আমি তাদের উপর শিলাবৃষ্টি বর্ষণ করলাম। সুতরাং সেই বৃষ্টি ভয় প্রদর্শিতদের জন্য কতইনা মন্দ ছিল!
إِنَّ فِى ذَٲلِكَ لَأَيَةً۬ۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ ١٧٤
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৭৪। ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-ইয়াহ্; অমা-কা-না আক্ছারুহুম্ মুমিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৭৪নিশ্চয় এতে এক নিদর্শন রয়েছে। আর তাদের অধিকাংশই মুমিন ছিল না।
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ ١٧٥
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৭৫। অইন্না রব্বাকা লাহুওয়াল্ ‘আযীর্যু রহীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৭৫আর নিশ্চয় তোমার রব, তিনি তো মহাপরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
كَذَّبَ أَصۡحَـٰبُ لۡـَٔيۡكَةِ ٱلۡمُرۡسَلِينَ ١٧٦
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৭৬। কায্যাবা আছ্হা-বুল্ আইকাতিল্ র্মুসালীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৭৬আইকার অধিবাসীরা রাসূলদেরকে অস্বীকার করেছিল।
إِذۡ قَالَ لَهُمۡ شُعَيۡبٌ أَلَا تَتَّقُونَ ١٧٧
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৭৭। ইয্ ক্ব-লা লাহুম্ শু‘আইবুন্ আলা-তাত্ত্বাকুন্ ।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৭৭যখন শু‘আইব তাদেরকে বলল, ‘তোমরা কি তাকওয়া অবলম্বন করবে না’?
إِنِّى لَكُمۡ رَسُولٌ أَمِينٌ۬ ١٧٨
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৭৮। ইন্নী লাকুম্ রসূলুন্ আমীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৭৮‘নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসূল’।
فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ ١٧٩
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৭৯। ফাত্তাকু ল্লা-হা অআত্বী‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৭৯‘সুতরাং তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং আমার আনুগত্য কর’।
وَمَآ أَسۡـَٔلُكُمۡ عَلَيۡهِ مِنۡ أَجۡرٍۖ إِنۡ أَجۡرِىَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ ٱلۡعَـٰلَمِينَ ١٨٠
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৮০। অমা য় আস্য়ালুকুম্ ‘আলাইহি মিন্ আজরিন্ ইন্ আজরিয়া ইল্লা-‘আলা-রব্বিল্ ‘আ-লামীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৮০‘আর আমি এর উপর তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান কেবল সৃষ্টিকুলের রবের নিকট’।
۞ أَوۡفُواْ ٱلۡكَيۡلَ وَلَا تَكُونُواْ مِنَ ٱلۡمُخۡسِرِينَ ١٨١
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৮১। আওফুল্ কাইলা অলা-তাকূনু মিনাল্ মুখ্সিরীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৮১‘মাপ পূর্ণ করে দাও এবং যারা মাপে ঘাটতি করে, তোমরা তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না’।
وَزِنُواْ بِٱلۡقِسۡطَاسِ ٱلۡمُسۡتَقِيمِ ١٨٢
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৮২। অযিনূ বিল্ কিস্ত্বোয়া- সিল্ মুস্তাক্বীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৮২‘আর সঠিক দাঁড়ি পাল্লায় ওজন কর’।
وَلَا تَبۡخَسُواْ ٱلنَّاسَ أَشۡيَآءَهُمۡ وَلَا تَعۡثَوۡاْ فِى ٱلۡأَرۡضِ مُفۡسِدِينَ ١٨٣
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৮৩। অলা-তাব্খাসূন্ না-সা আশ্ইয়া-য়াহুম্ অলা-তা’ছাও ফিল্ র্আদ্বি মুফ্সিদীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৮৩‘আর লোকদেরকে তাদের প্রাপ্যবস্তু কম দিও না এবং যমীনে ফাসাদ সৃষ্টি করো না’।
وَٱتَّقُواْ ٱلَّذِى خَلَقَكُمۡ وَٱلۡجِبِلَّةَ ٱلۡأَوَّلِينَ ١٨٤
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৮৪। অত্তাকু ল্লাযী খলাক্বকুম্ অল্ জ্বিবিল্লাতাল্ আউওয়ালীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৮৪‘যিনি তোমাদেরকে ও পূর্ববর্তী প্রজন্মসমূহকে সৃষ্টি করেছেন, তাঁর তাকওয়া অবলম্বন কর’।
قَالُوٓاْ إِنَّمَآ أَنتَ مِنَ ٱلۡمُسَحَّرِينَ ١٨٥
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৮৫। ক-লূ য় ইন্নামা য় আন্তা মিনাল্ মুসাহ্হারীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৮৫তারা বলল, ‘তুমি তো কেবল যাদুগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত’।
وَمَآ أَنتَ إِلَّا بَشَرٌ۬ مِّثۡلُنَا وَإِن نَّظُنُّكَ لَمِنَ ٱلۡكَـٰذِبِينَ ١٨٦
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৮৬। অমা য় আন্তা ইল্লা-বাশারুম্ মিছ্লুনা-অইন্ নাজুন্নুকা লামিনাল্ কা-যিবীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৮৬‘তুমি কেবল আমাদের মত একজন মানুষ। আর আমরা তোমাকে অবশ্যই মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করি’।
فَأَسۡقِطۡ عَلَيۡنَا كِسَفً۬ا مِّنَ ٱلسَّمَآءِ إِن كُنتَ مِنَ ٱلصَّـٰدِقِينَ ١٨٧
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৮৭। ফাআস্ক্বিত্ব ‘আলাইনা- কিসাফাম্ মিনাস্ সামা-য়ি ইন্ কুন্তা মিনাছ্ ছোয়া-দিক্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৮৭‘অতএব, তুমি যদি সত্যবাদী হও, তবে আসমান থেকে এক টুকরো আমাদের উপর ফেলে দাও’।
قَالَ رَبِّىٓ أَعۡلَمُ بِمَا تَعۡمَلُونَ ١٨٨
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৮৮। ক্ব-লা রব্বী য় আ’লামু বিমা-তা’মালূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৮৮সে বলল, ‘তোমরা যা কর, সে সম্পর্কে আমার রব অধিক জ্ঞাত’।
فَكَذَّبُوهُ فَأَخَذَهُمۡ عَذَابُ يَوۡمِ ٱلظُّلَّةِۚ إِنَّهُ ۥ كَانَ عَذَابَ يَوۡمٍ عَظِيمٍ ١٨٩
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৮৯। ফাকায্যাবূহু ফাআখযাহুম্ ‘আযা-বু ইয়াওমিজ্ জুল্লাহ্; ইন্নাহূ কা-না ‘আযা-বা ইয়াওমিন্ ‘আজীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৮৯অতঃপর তারা তাকে অস্বীকার করল। ফলে তাদেরকে এক মেঘাচ্ছন্ন দিবসের আযাব পাকড়াও করল। অবশ্যই তা ছিল এক মহা দিবসের আযাব।
إِنَّ فِى ذَٲلِكَ لَأَيَةً۬ۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ ١٩٠
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৯০। ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-ইয়াহ্; অমা-কা-না আক্ছারুহুম্ মুমিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৯০নিশ্চয় এতে অনেক নিদর্শন রয়েছে। আর তাদের অধিকাংশই মুমিন ছিল না।
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ ١٩١
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৯১। অইন্না রব্বাকা লাহুওয়াল্ ‘আযীর্যু রহীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৯১আর নিশ্চয় তোমার রব তিনি তো মহাপরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
وَإِنَّهُ ۥ لَتَنزِيلُ رَبِّ ٱلۡعَـٰلَمِينَ ١٩٢
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৯২। অইন্নাহূ লাতান্যীলু রব্বিল্ ‘আ-লামীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৯২আর নিশ্চয় এ কুরআন সৃষ্টিকুলের রবেরই নাযিলকৃত।
نَزَلَ بِهِ ٱلرُّوحُ ٱلۡأَمِينُ ١٩٣
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৯৩। নাযালা বির্হি রূহুল্ আমীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৯৩বিশ্বস্ত আত্মা এটা নিয়ে অবতরণ করেছে।
عَلَىٰ قَلۡبِكَ لِتَكُونَ مِنَ ٱلۡمُنذِرِينَ ١٩٤
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৯৪। ‘আলা-ক্বল্বিকা লিতাকূনা মিনাল্ মুন্যিরীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৯৪তোমার হৃদয়ে, যাতে তুমি সতর্ককারীদের অন্তর্ভুক্ত হও।
بِلِسَانٍ عَرَبِىٍّ۬ مُّبِينٍ۬ ١٩٥
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৯৫। বিলিসা-নিন্ ‘আরবিয়্যিম্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৯৫সুস্পষ্ট আরবী ভাষায়।
وَإِنَّهُ ۥ لَفِى زُبُرِ ٱلۡأَوَّلِينَ ١٩٦
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৯৬। অইন্নাহূ লাফী যুবুরিল্ আউওয়ালীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৯৬আর অবশ্যই তা রয়েছে পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে।
أَوَلَمۡ يَكُن لَّهُمۡ ءَايَةً أَن يَعۡلَمَهُ ۥ عُلَمَـٰٓؤُاْ بَنِىٓ إِسۡرَٲٓءِيلَ ١٩٧
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৯৭। আওয়া লাম্ ইয়াকুল্লাহুম্ আ-ইয়াতান্ আইঁ ইয়া’লামাহূ ‘ ঊলামা-য়ু বানী য় ইস্র-ঈল্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৯৭এটা কি তাদের জন্য একটি নিদর্শন নয় যে, বনী ইসরাঈলের পণ্ডিতগণ তা জানে?
وَلَوۡ نَزَّلۡنَـٰهُ عَلَىٰ بَعۡضِ ٱلۡأَعۡجَمِينَ ١٩٨
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৯৮। অলাও নায্যাল্না-হু ‘আলা বা’দ্বিল্ ‘আজ্বামীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৯৮আর আমি যদি এটাকে কোন অনারবের প্রতি নাযিল করতাম।
فَقَرَأَهُ ۥ عَلَيۡهِم مَّا ڪَانُواْ بِهِۦ مُؤۡمِنِينَ ١٩٩
আরবি উচ্চারণ ২৬.১৯৯। ফাক্বরয়াহূ ‘আলাইহিম্ মা-কানূ বিহী মুমিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.১৯৯অতঃপর সে তা তাদের নিকট পাঠ করত। তবুও তারা এতে মুমিন হত না।
كَذَٲلِكَ سَلَكۡنَـٰهُ فِى قُلُوبِ ٱلۡمُجۡرِمِينَ ٢٠٠
আরবি উচ্চারণ ২৬.২০০। কাযা-লিকা ছালাক্না-হু ফী কুলূবিল্ মুজরিমীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২০০এভাবেই আমি বিষয়টি অপরাধীদের অন্তরে সঞ্চার করেছি।
لَا يُؤۡمِنُونَ بِهِۦ حَتَّىٰ يَرَوُاْ ٱلۡعَذَابَ ٱلۡأَلِيمَ ٢٠١
আরবি উচ্চারণ ২৬.২০১। লা-ইয়ুমিনূনা বিহী হাত্তা-ইয়ারায়ুল্ ‘আযা-বাল্ আলীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২০১যতক্ষণ না তারা যন্ত্রণাদায়ক আযাব প্রত্যক্ষ করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা এতে ঈমান আনবে না।
فَيَأۡتِيَهُم بَغۡتَةً۬ وَهُمۡ لَا يَشۡعُرُونَ ٢٠٢
আরবি উচ্চারণ ২৬.২০২। ফাইয়াতিয়াহুম্ বাগ্তাতাঁও অহুম্ লা-ইয়াশ্ ‘ঊরূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২০২সুতরাং তা আকস্মিকভাবে তাদের নিকট এসে পড়বে, অথচ তারা উপলদ্ধি করতে পারবে না।
فَيَقُولُواْ هَلۡ نَحۡنُ مُنظَرُونَ ٢٠٣
আরবি উচ্চারণ ২৬.২০৩। ফাইয়াকুলূ হাল্ নাহ্নু মুন্জোয়ারূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২০৩তখন তারা বলবে, ‘আমাদেরকে কি অবকাশ দেয়া হবে?’
أَفَبِعَذَابِنَا يَسۡتَعۡجِلُونَ ٢٠٤
আরবি উচ্চারণ ২৬.২০৪। আফাবি ‘আযা-বিনা-ইয়াস্তা’জ্বিলূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২০৪তাহলে কি তারা আমার আযাব ত্বরান্বিত করতে চায়?
أَفَرَءَيۡتَ إِن مَّتَّعۡنَـٰهُمۡ سِنِينَ ٢٠٥
আরবি উচ্চারণ ২৬.২০৫। আফারয়াইতা ইঁম্ মাত্তা’না-হুম্ সিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২০৫তুমি কি লক্ষ্য করেছ, আমি যদি তাদেরকে দীর্ঘকাল ভোগ-বিলাসের সুযোগ দিতাম।
ثُمَّ جَآءَهُم مَّا كَانُواْ يُوعَدُونَ ٢٠٦
আরবি উচ্চারণ ২৬.২০৬। ছুম্মা জ্বা-য়াহুম্ মা-কা-নূ ইয়ূ‘আদূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২০৬অতঃপর তাদেরকে যে বিষয়ে ওয়াদা করা হয়েছে, তা তাদের নিকট এসে পড়ত,
مَآ أَغۡنَىٰ عَنۡہُم مَّا كَانُواْ يُمَتَّعُونَ ٢٠٧
আরবি উচ্চারণ ২৬.২০৭। মা য় আগ্না-‘আন্হুম্ মা-কা-নূ ইয়ু মাত্তা‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২০৭তখন যা তাদের ভোগ-বিলাসের জন্য দেয়া হয়েছিল, তা তাদের কোনই কাজে আসত না।
وَمَآ أَهۡلَكۡنَا مِن قَرۡيَةٍ إِلَّا لَهَا مُنذِرُونَ ٢٠٨
আরবি উচ্চারণ ২৬.২০৮। অমা য় আহ্লাক্না-মিন্ র্ক্বইয়াতিন্ ইল্লা-লাহা-মুন্যিরূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২০৮আর আমি এমন কোন জনপদকে ধ্বংস করিনি, যাতে কোন সতর্ককারী আসেনি।
ذِكۡرَىٰ وَمَا ڪُنَّا ظَـٰلِمِينَ ٢٠٩
আরবি উচ্চারণ ২৬.২০৯। যিক্রা অমা-কুন্না- জোয়া-লিমীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২০৯এটা উপদেশস্বরূপ; আর আমি যালিমদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না।
وَمَا تَنَزَّلَتۡ بِهِ ٱلشَّيَـٰطِينُ ٢١٠
আরবি উচ্চারণ ২৬.২১০। অমা-তানায্ যালাত্ বিহিশ্ শাইয়া-ত্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২১০আর শয়তানরা তা নিয়ে অবতরণ করেনি।
وَمَا يَنۢبَغِى لَهُمۡ وَمَا يَسۡتَطِيعُونَ ٢١١
আরবি উচ্চারণ ২৬.২১১। অমা-ইয়াম্বাগী লাহুম্ অমা-ইয়াস্তাত্বী‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২১১আর এটা তাদের জন্য উচিৎ নয় এবং তারা এর ক্ষমতাও রাখে না।
إِنَّهُمۡ عَنِ ٱلسَّمۡعِ لَمَعۡزُولُونَ ٢١٢
আরবি উচ্চারণ ২৬.২১২। ইন্নাহুম্ ‘আনিস্ সাম্ঈ’ লামা’যূলূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২১২নিশ্চয়ই তাদেরকে এর শ্রবণ থেকে আড়ালে রাখা হয়েছে।
فَلَا تَدۡعُ مَعَ ٱللَّهِ إِلَـٰهًا ءَاخَرَ فَتَكُونَ مِنَ ٱلۡمُعَذَّبِينَ ٢١٣
আরবি উচ্চারণ ২৬.২১৩। ফালা-তাদ্‘উ মা‘আল্লা-হি ইলা-হান্ আ-খর ফাতাকূনা মিনাল্ মু‘আয্যাবীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২১৩অতএব, তুমি আল্লাহর সাথে অন্য কোন ইলাহকে ডেকো না, তাহলে তুমি আযাবপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
وَأَنذِرۡ عَشِيرَتَكَ ٱلۡأَقۡرَبِينَ ٢١٤
আরবি উচ্চারণ ২৬.২১৪। অআর্ন্যি আশীরতাকাল্ আকরবীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২১৪আর তুমি তোমার নিকটাত্মীয়দেরকে সতর্ক কর।
وَٱخۡفِضۡ جَنَاحَكَ لِمَنِ ٱتَّبَعَكَ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ٢١٥
আরবি উচ্চারণ ২৬.২১৫। অখ্ফিদ্ব্ জ্বানা-হাকা লিমানিত্তাবা‘আকা মিনাল্ মুমিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২১৫আর মুমিনদের মধ্যে যারা তোমার অনুসরণ করে, তাদের প্রতি তুমি তোমার বাহুকে অবনত কর।
فَإِنۡ عَصَوۡكَ فَقُلۡ إِنِّى بَرِىٓءٌ۬ مِّمَّا تَعۡمَلُونَ ٢١٦
আরবি উচ্চারণ ২৬.২১৬। ফাইন্ ‘আছোয়াওকা ফাকুল্ ইন্নী বারী-য়ুম্ মিম্মা-তা’মালূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২১৬তারপর যদি তারা তোমার অবাধ্য হয়, তাহলে বল, ‘তোমরা যা কর, নিশ্চয় আমি তা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত’।
وَتَوَكَّلۡ عَلَى ٱلۡعَزِيزِ ٱلرَّحِيمِ ٢١٧
আরবি উচ্চারণ ২৬.২১৭। অ তাওয়াক্কাল্ ‘আলাল্ ‘আযীর্যি রহীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২১৭‘আর তুমি মহাপরাক্রমশালী পরম দয়ালুর উপর তাওয়াক্কুল কর,
ٱلَّذِى يَرَٮٰكَ حِينَ تَقُومُ ٢١٨
আরবি উচ্চারণ ২৬.২১৮। আল্লাযী ইয়ার-কা হীনা তাকুম্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২১৮‘যিনি তোমাকে দেখেন যখন তুমি দণ্ডায়মান হও’
وَتَقَلُّبَكَ فِى ٱلسَّـٰجِدِينَ ٢١٩
আরবি উচ্চারণ ২৬.২১৯। অতাক্বাল্লুবাকা ফিস্ সা-জ্বিদীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২১৯‘এবং সিজদাকারীদের মধ্যে তোমার উঠাবসা’।
إِنَّهُ ۥ هُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡعَلِيمُ ٢٢٠
আরবি উচ্চারণ ২৬.২২০। ইন্নাহূ হুওয়াস্ সামী‘উল্ ‘আলীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২২০‘নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী’।
هَلۡ أُنَبِّئُكُمۡ عَلَىٰ مَن تَنَزَّلُ ٱلشَّيَـٰطِينُ ٢٢١
আরবি উচ্চারণ ২৬.২২১। হাল উনাব্বিউকুম্ ‘আলা-মান্ তানায্যালুশ্ শাইয়া-ত্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২২১‘আমি কি তোমাদেরকে সংবাদ দেব, কার নিকট শয়তানরা অবতীর্ণ হয়’?
تَنَزَّلُ عَلَىٰ كُلِّ أَفَّاكٍ أَثِيمٍ۬ ٢٢٢
আরবি উচ্চারণ ২৬.২২২। তানায্যালু ‘আলা-কুল্লি আফ্ফা-কিন্ আছীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২২২তারা অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক চরম মিথ্যাবাদী ও পাপীর নিকট।
يُلۡقُونَ ٱلسَّمۡعَ وَأَڪۡثَرُهُمۡ كَـٰذِبُونَ ٢٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৬.২২৩। ইয়ুল্ক্ব ূনাস্ সাম্‘আ অআক্ছারুহুম্ কা-যিবূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২২৩তারা কান পেতে থাকে এবং তাদের অধিকাংশই মিথ্যাবাদী।
وَٱلشُّعَرَآءُ يَتَّبِعُهُمُ ٱلۡغَاوُ ۥنَ ٢٢٤
আরবি উচ্চারণ ২৬.২২৪। অশ্শু‘আর-য়ু ইয়াত্তাবিউ’হুমুল্ গা-য়ূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২২৪আর বিভ্রান্তরাই কবিদের অনুসরণ করে।
أَلَمۡ تَرَ أَنَّهُمۡ فِى ڪُلِّ وَادٍ۬ يَهِيمُونَ ٢٢٥
আরবি উচ্চারণ ২৬.২২৫। আলাম তার আন্নাহুম্ ফী কুল্লি ওয়া- দিঁ ইয়াহীমূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২২৫ তুমি কি লক্ষ্য করো নি যে, তারা প্রত্যেক উপত্যকায় উদভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়ায়?
وَأَنَّہُمۡ يَقُولُونَ مَا لَا يَفۡعَلُونَ ٢٢٦
আরবি উচ্চারণ ২৬.২২৬। অআন্নাহুম্ ইয়াকুলূনা মা-লা ইয়াফ্‘আলূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২২৬আর নিশ্চয় তারা এমন কথা বলে, যা তারা করে না।
إِلَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّـٰلِحَـٰتِ وَذَكَرُواْ ٱللَّهَ كَثِيرً۬ا وَٱنتَصَرُواْ مِنۢ بَعۡدِ مَا ظُلِمُواْۗ وَسَيَعۡلَمُ ٱلَّذِينَ ظَلَمُوٓاْ أَىَّ مُنقَلَبٍ۬ يَنقَلِبُونَ ٢٢٧
আরবি উচ্চারণ ২৬.২২৭। ইল্লাল্ লাযীনা আ-মানূ অ‘আমিলুছ্ ছোয়া- লিহা-তি অযাকারুল্লা-হা কাছীরাওঁ ওয়ান্তাছোয়ারূ মিম্ বা’দি মা-জুলিমূ; অসাইয়া’লামুল্লাযীনা জোয়ালামূ য় আইয়্যা মুন্ক্বালাবিঁই ইয়ান্ক্বালিবূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৬.২২৭তবে যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে, আর আল্লাহকে অনেক স্মরণ করেছে। আর তারা নির্যাতিত হওয়ার পর প্রতিশোধ নেয়। আর যালিমরা শীঘ্রই জানতে পারবে কোন্ প্রত্যাবর্তন স্থলে তারা প্রত্যাবর্তন করবে।
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও
- ভাগে কোরবানির নিয়ম, অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার নিয়ম, ভাগে কোরবানির যত বিধি বিধান
- কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব,আরও একবার জানুন কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব
- ইসলামে কুরবানীর গুরুত্ব ও বিধান,ইসলামে কোরবানির যত ফজিলত গুরুত্ব ও শিক্ষা
- বৃষ্টির নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, বৃষ্টির নামাজের পর আমল
- ইসতিসকার নামাজের নিয়ম ও নিয়ত, ইসতিসকার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, ইসতিসকার নামাজের পর আমল
- বাসর রাত সম্পর্কে ইসলামের বিধান,বাসর রাতের নামাজ
- তাসবিহ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, তাসবিহ সালাতের ফজিলত
- রমজানের ৩০ দিনের ৩০টি ফজিলতরমজানের ৩০ দিনের আমল ও ফজিলত