আজকের বিষয়: সূরা নামল সকল তথ্য আল কোরআন ও হাদিসের আলোতে,পৃথিবীর জানা অজানা কিছু তথ্য আল নামল আলমল ও ফজিলত, সূরা নামল কতো বার পাঠ করলে কোন আলম ও ফজিলত, সূরা নামল নাযিলের কারন গুলো কি কি ,কুরআন ২৭ সূরা আল – নামল
কুরআনের আলো অনুষ্ঠানের এই পর্বে সূরা আন-নমলের ২৯ থেকে ৩৫ নম্বর আয়াত নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই সূরার ২৯ ও ৩১ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন:
قَالَتْ يَا أَيُّهَا الْمَلَأُ إِنِّي أُلْقِيَ إِلَيَّ كِتَابٌ كَرِيمٌ (29) إِنَّهُ مِنْ سُلَيْمَانَ وَإِنَّهُ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ (30) أَلَّا تَعْلُوا عَلَيَّ وَأْتُونِي مُسْلِمِينَ (31)
“সাবার রানি বলল, হে পরিষদবর্গ, আমার প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ পত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।” (২৭:২৯)
“সেই চিঠি সুলায়মানের পক্ষ থেকে।(এতে বলা হয়েছে,) পরম দয়ালু ও ক্ষমাশীল আল্লাহর নামে শুরু;” (২৭:৩০)
“আমার অবাধ্য হয়ো না এবং বশ্যতা স্বীকার করে আমার কাছে উপস্থিত হও।” (২৭:৩১)
আগের আয়াতে আমরা বলেছি, সুলায়মান (আ.) সাবা ভূখণ্ড ও সেখানকার অধিবাসীদের সূর্যপুজা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পর একটি চিঠি লেখেন এবং হুদহুদকে ওই চিঠি পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব দেন। হুদহুদ বিলকিসের দরবারে গিয়ে সুলায়মান (আ.)’র চিঠি তার প্রতি নিক্ষেপ করে।
আর এ আয়াতে বলা হচ্ছে, সাবার রানি চিঠি দেখেই বুঝতে পারেন যে, সুন্দর পাখিটি অবশ্যই মহান কোনো ব্যক্তিত্বের চিঠি নিয়ে এসেছে। সাবার রানির দরবারে অনেক উপদেষ্টা ছিল। কোনো ঘটনা ঘটলে তিনি তা নিয়ে তার আশেপাশের লোকদের সঙ্গে কথা বলতন। এ চিঠি পাওয়ার পরও তিনি তার দরবারের লোকদের ডাকলেন এবং নিজেই চিঠিটি তাদের পড়ে শোনালেন। এ চিঠি লেখা শুরু হয়েছিল, মহান আল্লাহর নামে। এ চিঠিতে মূলত: দু’টি বক্তব্য এসেছে: একটি হলো- আল্লাহর কাছে নতি স্বীকার করতে হবে। আর দ্বিতীয়টি হলো- সুলাইমানের অবাধ্য না হওয়া চলবে না।
এ তিন আয়াতের শিক্ষণীয় দিকগুলো হলো:
১. আমরা পরম দয়ালু ও ক্ষমাশীল আল্লাহর নামে সব কাজ শুরু করব। এমনকি কাফিরদের কাছে চিঠি লেখার সময়ও যেন শুরুতে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ লিখতে ভুলে না যাই।
২. আত্মম্ভরিতার কারণে মানুষ মহাসত্যকেও অস্বীকার করে বসে।
সূরা নমলের ৩২ থেকে ৩৩ নং আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন:
قَالَتْ يَا أَيُّهَا الْمَلَأُ أَفْتُونِي فِي أَمْرِي مَا كُنْتُ قَاطِعَةً أَمْرًا حَتَّى تَشْهَدُونِ (32) قَالُوا نَحْنُ أُولُو قُوَّةٍ وَأُولُو بَأْسٍ شَدِيدٍ وَالْأَمْرُ إِلَيْكِ فَانْظُرِي مَاذَا تَأْمُرِينَ (33)
“(পত্র শুনিয়ে) রানি বলল, হে নেতৃবৃন্দ। আমার কাজে পরামর্শ দিন। আপনাদের বাদ দিয়ে তো আমি কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করি না।” (২৭:৩২)
“তারা বলল, আমরা শক্তিশালী এবং কঠোর যোদ্ধা। কিন্তু সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা আপনারই। অতএব আপনি ভেবে দেখুন, আমাদেরকে কি আদেশ করবেন।” (২৭:৩৩)
সাবার রানি ছিলেন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাজনীতিবিদ। তিনি চিঠি পড়ার পর তিনি তার দেশের রাজনীতিবিদ ও সামরিক কমান্ডারদের মতামত চাইলেন। চিঠির কী উত্তর দেয়া যায় তিনি তা জানতে চাইলেন। সুলাইমানের মোকাবিলা করার জন্য তাদের প্রস্তুতি কেমন তা জানতে এবং সর্বোত্তম উপায় অবলম্বন করতে পরামর্শসভা সাবার রানিকে সহযোগিতা করেছে। সভায় উপস্থিত ব্যক্তিত্বরা সুলাইমানের যে কোনো হামলার জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করল।চিঠির বিষয়বস্তু শুনে তারা ভেবেছিল সুলায়মান (আ.) যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। এজন্য তারা অন্যান্য অঞ্চলের সামরিক কমান্ডারদের মতো আত্মসমর্পন না করে যুদ্ধের পথ বেছে নেয়ার পরামর্শ দিলেন। তবে তারা রানিকে এও বলল যে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন আপনি, আমরা আপনার সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত করব না।
এ দুই আয়াতের শিক্ষণীয় দিকগুলো হলো:
১. রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য সেনাবাহিনী ও অন্যান্য সরঞ্জামের প্রয়োজন রয়েছে। তবে তা যেন অহঙ্কারের জন্ম না দেয় এবং সৎপথ প্রাপ্তির পথে অন্তরায় না হয়।
২. যে কোনো কাজে বিশেষকরে রাষ্ট্রীয় কাজে পরামর্শ করা জরুরি।তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব থাকবে একজনের ওপর। তা না হলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।
সূরা নমলের ৩৪ থেকে ৩৫ নং আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন:
قَالَتْ إِنَّ الْمُلُوكَ إِذَا دَخَلُوا قَرْيَةً أَفْسَدُوهَا وَجَعَلُوا أَعِزَّةَ أَهْلِهَا أَذِلَّةً وَكَذَلِكَ يَفْعَلُونَ (34) وَإِنِّي مُرْسِلَةٌ إِلَيْهِمْ بِهَدِيَّةٍ فَنَاظِرَةٌ بِمَ يَرْجِعُ الْمُرْسَلُونَ (35)
“(সাবার রানি) বিলকিস বলল, রাজা বাদশাহরা যখন কোন জনপদে প্রবেশ করে, তখন সেটাকে বিপর্যস্ত করে দেয় এবং সেখানকার মর্যাদাশালীদের লাঞ্ছিত করে। এ রকম কাজ করাই তাদের রীতি।” (২৭:৩৪)
“আমি তাঁর কাছে কিছু উপঢৌকন পাঠাচ্ছি; দেখি আমার দূতেরা কী জবাব নিয়ে ফেরে।” (২৭:৩৫)
রানি বিলকিস তার লোকদের কথা শুনে এবং সামরিক প্রস্তুতির কথা জনে বলল: যুদ্ধ কেবল ধ্বংসযজ্ঞ ও বিপর্যয় ডেকে আনে। কারণ আমরা দেখেছি, রাজা বাদশাহরা যখন কোন জনপদে প্রবেশ করে, তখন তাকে বিপর্যস্ত করে দেয় এবং সেখানকার লোকদের হত্যা করে।
এরপর তিনি হযরত সুলায়মান (আ.)’র কাছে দামী উপহার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেন, যাতে সুলায়মান (আ.)’র প্রতিক্রিয়া জানা যায় এবং প্রতিক্রিয়া জানার পর তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। সম্ভবত: সাবার রানি হজরত সুলায়মান (আ.)’র কাছে দামী উপহার পাঠিয়ে এটা পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন যে, সুলায়মান প্রকৃতই আল্লাহর নবী নাকি যুদ্ধ করে দেশ দখলই তার উদ্দেশ্য। কারণ সাবার রানি বিলকিস জানত, আল্লাহর নবীগণের ধন-সম্পদের লোভ নেই এবং তাঁরা কখনোই কোন কারণে আল্লাহর দ্বীন প্রচার করা থেকে ক্ষান্ত হন না। কিন্তু দুনিয়াপুজারী রাজারা সব কিছু করেন ব্যক্তিগত স্বার্থে ও ক্ষমতার জন্য।
এ দুই আয়াতের শিক্ষণীয় দিকগুলো হলো:
১. যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে না তারা বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে দেয়া এবং অকারণে যুদ্ধ বাধানোর পথ অনুসরণ করে। তারা ক্ষমতা দখলের জন্য হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।
২. অন্যের উপহার গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ উপহারদাতা এর মাধ্যমে পরোক্ষভাবে ঘুষ দিয়ে থাকতে পারেন। এর ফলে অন্যের অধিকারও ক্ষুণ্ণ হতে পারে।
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
- “লা আদওয়া” সংক্রমন নেই!হাদীসটি কী বুঝায়?
- রমজানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যত পরামর্শ
- ডায়াবেটিস রোগীরা যেভাবে রোজা রাখবেন
- আজহারী: কোন ইনজেকশন নিলে রোজা ভাঙে
- রমজান মাসের ৯টি ফজিলত
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
নামকরণ
দ্বিতীয় রুকূ’র চতুর্থ আয়াতে واد النمل এর কথা বলা হয়েছে। সূরার নাম এখান থেকেই গৃহীত হয়েছে। অর্থ্যাৎ এমন সূরা যাতে নামল এর কথা বলা হয়েছে। অথবা যার মধ্যে নামল শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে।
নাযিলের সময়-কাল
বিষয়বস্তু ও বর্ণনাভংগীর দিক দিয়ে এ সূরা মক্কার মধ্যযুগের সূরগুলোর সাথে পুরোপুরি সামঞ্জস্য রাখে।
হাদীস থেকেও এর সমর্থন মেলে । ইবনে আব্বাস (রা) ও জাবের ইবনে যায়েদের (রা) বর্ণনা হচ্ছে, “প্রথমে নাযিল হয় সূরা আশ শু’আরা তারপর আন নামল এবং তারপর আল কাসাস।”
বিষয়বস্তু ও আলোচ্য বিষয়
এ সূরার দু’টি ভাষন সন্নিবেশিত হয়েছে। প্রথম ভাষনটি শুরু হয়েছে সূরার সূচনা থেকে চতুর্থ রুকূ’র শেষ পর্যন্ত। আর দ্বিতীয় ভাষণটি পঞ্চম রুকূ’র শুরু থেকে সূরার শেষ পর্যন্ত বিস্তৃত।
প্রথম ভাষণটিতে বলা হয়েছে, কুরআনের প্রথম নির্দেশনা থেকে একমাত্র তাঁরাই লাভবান হতে পারে এবং তার সুসংবাদসমূহ লাভের যোগ্যতা একমাত্র তারাই অর্জন করতে পারে যারা এ কিতাব যে সত্যসমূহ উপস্থাপন করে সেগুলোকে এ বিশ্ব-জাহানের মৌলিক সত্য হিসেবে স্বীকার করে নেয়। তারপর এগুলো মেনে নিয়ে নিজেদের বাস্তব জীবনেও আনুগত্য ও অনুসরনের নীতি অবলম্বন করে। কিন্তু এ পথে আসার ও চলার ক্ষেত্রে যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশী প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে সেটি হচ্ছে আখেরাত অস্বীকৃতি। কারণ এটি মানুষকে দায়িত্বহীন, প্রবৃত্তির দাস ও দুনিয়াবী জীবনের প্রেমে পাগল করে তোলে। এরপর মানুষের পক্ষে আল্লাহর সামনে নত হওয়া এবং নিজের প্রবৃত্তির কামনার ওপর নৈতিকতার বাঁধন মেনে নেয়া আর সম্ভব থাকে না। এ ভুমিকার পর তিন ধরনের চারিত্রিক আদর্শ পেশ করা হয়েছে।
একটি আদর্শ ফেরাউন, সামূদ জাতির সরদারবৃন্দ ও লূতের জাতির বিদ্রোহীদের। তাদের চরিত্র গঠিত হয়েছিল পরকাল চিন্তা থেকে বেপরোয়া মনোভাব এবং এর ফলে সৃষ্ট প্রবৃত্তির দাসত্ব থেকে। তারা কোন নিদর্শন দেখার পরও ঈমান আনতে প্রস্তুত হয়নি। পক্ষান্তরে যারা তাদেরকে কল্যাণ ও সুকৃতির প্রতি আহবান জানিয়েছে তাদের্ তারা শত্রু হয়ে গেছে। যেসব অসৎকাজের জঘন্যতা ও কদর্যতা কোন বুদ্ধিমান ব্যক্তির কাছে প্রছন্ন নয় সেগুলোকেও তারা আকড়ে ধরেছে। আল্লাহর আযাবে পাকড়াও হবার এক মুহূর্ত আগেও তাদের চেতনা হয়নি।
দ্বিতীয় আদর্শটি হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালামের। আল্লাহ তাঁকে অর্থ-সম্পদ, রাষ্ট্র-ক্ষমতা, পরাক্রম, মর্যাদা ও গৌরব এত বেশী দান করেছিলেন যে মক্কার কাফেররা তার কল্পনাও করতে পারতো না। কিন্তু এতসব সত্ত্বেও যেহেতু তিনি আল্লাহর সামনে নিজকে জবাবদিহি করতে হবে মনে করতেন এবং তাঁর মধ্যে এ অনুভূতিও ছিল যে, তিনি যা কিছুই লাভ করেছেন সবই আল্লাহর দান তাই তাঁর মাথা সবসময় প্রকৃত নিয়ামত দানকারীর সামনে নত হয়ে থাকতো এবং আত্ম অহমিকার সামান্যতম গন্ধও তাঁর চরিত্র ও কার্যকলাপে পাওয়া যেতো না।
তৃতীয় আদর্শ সাবার নারী। তিনি ছিলেন আরবের ইতিহাসের বিপুল খ্যাতিমান ধনাঢ্য জাতির শাসক। একজন মানুষকে অহংকার মদমত্ত করার জন্য যেসব উপকরণের প্রয়োজন তা সবই তাঁর ছিল। যেসব জিনিসের জোরে একজন মানুষ আত্মম্ভরী হতে পারে তা কুরাইশ সরদারদের তুলনায় হাজার লক্ষগুন বেশী তাঁর আয়ত্বাধীন ছিল। তাছাড়া তিনি ছিলেন একটি মুশরিক জাতির অন্তরভুক্ত। পিতৃপুরুষের অনুসরণের জন্যও এবং নিজের জাতির মধ্যে নিজের জাতির মধ্যে নিজের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত রাখার উদ্দেশ্যেও তাঁর পক্ষে শিরক ত্যাগ করে তাওহীদের পথ অবলম্বন করা সাধারণ একজন মুশরিকের জন্য যতটা কঠিন হতে পারে তার চেয়ে অনেক বেশী কঠিন ছিল। কিন্তু যখনই তাঁর সামনে সত্য সুস্পষ্ট হয়ে গেছে তখনই তিনি সত্যকে গ্রহণ করে নিয়েছেন। এ পথে কেউ বাধা দিয়ে তাকে ঠেকিয়ে রাখেত পারেনি। কারণ তাঁর মধ্যে যে ভ্রষ্টতা ও বিভ্রান্তি ছিল নিছক একটি মুশরিকী পরিবেশে চোখ মেলার ফলেই তা সৃষ্টি হয়েছিল। প্রবৃত্তির উপসনা ও কামনার দাসত্ব করার রোগ তাঁকে পেয়ে বসেনি। তাঁর বিবেক আল্লাহর সামনে জবাবদিহির অনুভূতি শূন্য ছিল না।
দ্বিতীয় ভাষণে প্রথমে বিশ্ব-জাহানের কয়েকটি সুস্পষ্ট ও অকাট্য সত্যের প্রতি ইংগিত করে মক্কার কাফেরদেরকে একের পর এক প্রশ্ন করা হয়েছেঃ বলো, যে শিরকে তোমরা লিপ্ত হয়েছো এ সত্যগুলো কি তার সাক্ষ্য দেয় অথবা এ কুরআনে যে তাওহীদের শিক্ষা দেয়া হচ্ছে তার সাক্ষ্য দেয়? এরপর কাফেরদের আসল রোগের প্রতি অংগুলি নির্দেশ করা হয়েছে।বলা হয়েছে, যে জিনিসটি তাদেরকে অন্ধ করে রেখেছে, যে কারণে তারা সবকিছু দেখেও কিছুই দেখে না এবং সবকিছু শুনেও কিছুই শোনে না সেটি হচ্ছে আসলে আখেরাত অস্বীকৃতি। এ জিনিসটিই তাদের জন্য জীবনের কোন বিষয়েই কোন গভীরতা ও গুরুত্বের অবকাশ রাখেনি। কারণ তাদের মতে শেষ পর্যন্ত সবকিছুই যখন ধ্বংস হয়ে মাটিতে মিশে যাবে এবং দুনিয়ার জীবনের এসব সংগ্রাম-সাধনার কোন ফলাফল প্রকাশ পাবে না তখন মানুষের জন্য সত্য ও মিথ্যা সব সমান। তার জীবন ব্যবস্থা সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত না অসত্যের ওপর, এ প্রশ্নের মধ্যে তার জন্য আদতে কোন গুরুত্বই থাকে না।
কিন্তু আসলে এ আলোচনার উদ্দেশ্য হতাশা নয়।অর্থাৎ তারা যখন গাফিলতির মধ্যে ডুবে আছে তখন তাদেরকে দাওয়াত দেয়া নিষ্ফল, এরূপ মনোভাব সৃষ্টি এ আলোচনার উদ্দেশ্য নয়।বরং এর উদ্দেশ্য হচ্ছে আসলে নিদ্রিতদেরকে ঝাঁকুনি দিয়ে জাগানো।তাই ষষ্ঠ ও সপ্তম রুকূ’তে একের পর এক এমন সব কথা বলা হয়েছে যা লোকদের মধ্যে আখেরাতের চেতনা জাগ্রত করে, তার প্রতি অবহেলা ও গাফিলতি দেখানোর ফলাফল সম্পর্কে তাদেরকে সতর্ক করে এবং তার আগমনের ব্যাপারে তাদেরকে এমনভাবে নিশ্চিত করে যেমন এক ব্যক্তি নিজের চোখে দেখা ঘটনা সম্পর্কে যে তা চোখে দেখেনি তাকে নিশ্চিত করে।
বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে কুরআনের আসল দাওয়াত অর্থাৎ এক আল্লাহর বন্দেগীর দাওয়াত অতি সংক্ষেপে কিন্তু অত্যন্ত প্রভাবশালী ভংগীতে পেশ করে লোকদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এ দাওয়াত গ্রহণ করলে তোমাদের নিজেদের লাভ এবং একে প্রত্যাখ্যান করলে তোমাদের নিজেদেরই ক্ষতি হবে। একে মেনে নেবার জন্য যদি আল্লাহর এমন সব নিদর্শনের অপেক্ষা করতে থাকো যেগুলো এসে যাবার পর আর না মেনে কোন গত্যন্তর থাকবে না, তাহলে মনে রেখো সেটি চূড়ান্ত মীমাংসার সময়। সে সময় মেনে নিলে কোন লাভই হবে না।
- নামাজে আমরা যা বলি তার অর্থ জানলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবেনা !!
- ভাগে কোরবানির নিয়ম, অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার নিয়ম, ভাগে কোরবানির যত বিধি বিধান
সুরা নং- ০২৭ : আন-নামল
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
আরবি উচ্চারণ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বাংলা অনুবাদ পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
طسٓۚ تِلۡكَ ءَايَـٰتُ ٱلۡقُرۡءَانِ وَڪِتَابٍ۬ مُّبِينٍ ١
আরবি উচ্চারণ ২৭.১। ত্বোয়া-সী-ন্; তিলকা আ-ইয়া-তুল্ ক্বর্আ-নি অকিতা-বিম্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.১ ত্বা-সীন; এগুলো আল-কুরআন ও সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত।
هُدً۬ى وَبُشۡرَىٰ لِلۡمُؤۡمِنِينَ ٢
আরবি উচ্চারণ ২৭.২। হুদাঁও অবুশ্রা লিল্ মুমিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.২ মুমিনদের জন্য হিদায়াত ও সুসংবাদ।
ٱلَّذِينَ يُقِيمُونَ ٱلصَّلَوٰةَ وَيُؤۡتُونَ ٱلزَّڪَوٰةَ وَهُم بِٱلۡأَخِرَةِ هُمۡ يُوقِنُونَ ٣
আরবি উচ্চারণ ২৭.৩। আল্লাযীনা ইয়ুক্বীমূনাছ্ ছ্লা-তা অ ইয়ুতূনায্ যাকা-তা অহুম বিল্আ-খিরতি হুম্ ইয়ূক্বিনূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৩ যারা সালাত কায়েম করে এবং যাকাত দেয়। আর তারাই আখিরাতের প্রতি নিশ্চিত বিশ্বাস রাখে।
إِنَّ ٱلَّذِينَ لَا يُؤۡمِنُونَ بِٱلۡأَخِرَةِ زَيَّنَّا لَهُمۡ أَعۡمَـٰلَهُمۡ فَهُمۡ يَعۡمَهُونَ ٤
আরবি উচ্চারণ ২৭.৪। ইন্নাল্লাযীনা লা-ইয়ুমিনূনা বিল্আ-খিরতি যাইয়্যান্না-লাহুম্ আ’মা-লাহুম্ ফাহুম্ ইয়া’মাহূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৪ নিশ্চয় যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না আমি তাদের জন্য তাদের আমলসমূহকে সুশোভিত করে দিয়েছি। ফলে তারা বিভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়ায়।
أُوْلَـٰٓٮِٕكَ ٱلَّذِينَ لَهُمۡ سُوٓءُ ٱلۡعَذَابِ وَهُمۡ فِى ٱلۡأَخِرَةِ هُمُ ٱلۡأَخۡسَرُونَ ٥
আরবি উচ্চারণ ২৭.৫। উলা-য়িকাল্ লাযীনা লাহুম্ সূ-য়ুল্ ‘আযা-বি অহুম্ ফিল্ আ-খিরতি হুমুল্ আখ্সারূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৫ এদের জন্যই রয়েছে নিকৃষ্ট আযাব। আর এরাই আখিরাতে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত।
وَإِنَّكَ لَتُلَقَّى ٱلۡقُرۡءَانَ مِن لَّدُنۡ حَكِيمٍ عَلِيمٍ ٦
আরবি উচ্চারণ ২৭.৬। অইন্নাকা লাতুলাকক্বল্ ক্বরআ-না মিল্লাদুন্ হাক্বীমিন্ ‘আলীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৬ আর নিশ্চয় তুমি প্রজ্ঞাময় মহাজ্ঞানীর পক্ষ থেকে আল-কুরআনপ্রাপ্ত।
إِذۡ قَالَ مُوسَىٰ لِأَهۡلِهِۦۤ إِنِّىٓ ءَانَسۡتُ نَارً۬ا سَـَٔاتِيكُم مِّنۡہَا بِخَبَرٍ أَوۡ ءَاتِيكُم بِشِہَابٍ۬ قَبَسٍ۬ لَّعَلَّكُمۡ تَصۡطَلُونَ ٧
আরবি উচ্চারণ ২৭.৭। ইয্ ক্ব-লা মূসা- লিআহ্লিহী য় ইন্নী য় আ-নাস্তু না-র-; সাআ-তীকুম্ মিন্হা-বিখাবারিন্ আও আ-তীকুম্ বিশিহা-বিন্ ক্ববাসিল্ লা‘আল্লাকুম্ তাছ্ত্বোয়ালূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৭ স্মরণ কর, যখন মূসা তার পরিবারবর্গকে বলল, নিশ্চয় আমি আগুন দেখেছি। শীঘ্রই আমি সেখান থেকে তোমাদের জন্য কোন খবর নিয়ে আসব অথবা তোমাদের জন্য জ্বলন্ত অঙ্গার নিয়ে আসব। যাতে তোমরা আগুন পোহাতে পার।
فَلَمَّا جَآءَهَا نُودِىَ أَنۢ بُورِكَ مَن فِى ٱلنَّارِ وَمَنۡ حَوۡلَهَا وَسُبۡحَـٰنَ ٱللَّهِ رَبِّ ٱلۡعَـٰلَمِينَ ٨
আরবি উচ্চারণ ২৭.৮। ফালাম্মা-জ্বা-য়াহা-নূদিয়া আম্ বুরিকা মান্ ফিন্না-রি অমান্ হাওলাহা-অসুব্হা-নাল্লা-হি রব্বিল্ ‘আ-লামীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৮ তারপর সে যখন সেখানে এসে পৌঁছল, তখন ডেকে বলা হল, ‘বরকতময় যা এ আলোর মধ্যে ও এর চারপাশে আছে। আর সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ মহাপবিত্র, মহিমান্বিত’।
يَـٰمُوسَىٰٓ إِنَّهُ ۥۤ أَنَا ٱللَّهُ ٱلۡعَزِيزُ ٱلۡحَكِيمُ ٩
আরবি উচ্চারণ ২৭.৯। ইয়া-মূসা য় ইন্নাহূ য় আনাল্লা-হুল্ ‘আযীযুল্ হাকীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৯ হে মূসা, নিশ্চয় আমিই আল্লাহ, মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞাময়।
وَأَلۡقِ عَصَاكَۚ فَلَمَّا رَءَاهَا تَہۡتَزُّ كَأَنَّہَا جَآنٌّ۬ وَلَّىٰ مُدۡبِرً۬ا وَلَمۡ يُعَقِّبۡۚ يَـٰمُوسَىٰ لَا تَخَفۡ إِنِّى لَا يَخَافُ لَدَىَّ ٱلۡمُرۡسَلُونَ ١٠
আরবি উচ্চারণ ২৭.১০। অ আল্ক্বি ‘আসোয়া-ক্; ফালাম্মা-রয়া-হা- তাহ্তায্যু কায়ান্নাহা-জ্বা-ন্নুঁও অল্লা-মুদ্বিরাঁও অলাম্ ইয়ু‘আকক্বিব্; ইয়া-মূসা-লা-তাখাফ্ ইন্নী লা-ইয়াখ-ফু লাদাইয়্যাল্ র্মুসালূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.১০ আর তুমি তোমার লাঠি নিক্ষেপ কর। তারপর যখন সে ওটাকে সাপের মত ছোটাছুটি করতে দেখল, তখন সে পেছনের দিকে ছুটতে লাগল এবং ফিরে তাকাল না। ‘হে মূসা! তুমি ভয় করো না, নিশ্চয় আমার কাছে রাসূলগণ ভয় পায় না’।
إِلَّا مَن ظَلَمَ ثُمَّ بَدَّلَ حُسۡنَۢا بَعۡدَ سُوٓءٍ۬ فَإِنِّى غَفُورٌ۬ رَّحِيمٌ۬ ١١
আরবি উচ্চারণ ২৭.১১। ইল্লা-মান্ জোয়ালামা ছুম্মা বাদ্দালা হুস্নাম্ বা’দা সূ-য়িন্ ফাইন্নী গফূর্রু রহীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.১১ ‘তবে যে যুল্ম করে। তারপর অসৎকাজের পরিবর্তে সৎকাজ করে, তবে অবশ্যই আমি অধিক ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’।
وَأَدۡخِلۡ يَدَكَ فِى جَيۡبِكَ تَخۡرُجۡ بَيۡضَآءَ مِنۡ غَيۡرِ سُوٓءٍ۬ۖ فِى تِسۡعِ ءَايَـٰتٍ إِلَىٰ فِرۡعَوۡنَ وَقَوۡمِهِۦۤۚ إِنَّہُمۡ كَانُواْ قَوۡمً۬ا فَـٰسِقِينَ ١٢
আরবি উচ্চারণ ২৭.১২। অআদ্খিল্ ইয়াদাকা ফী জ্বাইবিকা তাখ্রুজবাইদ্বোয়া-য়া মিন্ গইরি সূ-য়িন্ ফী তিস্‘ঈআ -ইয়া-তিন্ ইলা-র্ফি‘আউনা অক্বওমিহ্; ইন্নাহুম্ কা-নূ ক্বওমান্ ফা-সিক্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.১২ ‘আর তুমি তোমার হাত বগলে প্রবেশ করাও, তা দোষমুক্ত শুভ্র অবস্থায় বের হয়ে আসবে। ফির‘আউন ও তার সম্প্রদায়ের কাছে আনীত নয়টি নিদর্শনের অন্তর্ভুক্ত। নিশ্চয় তারা ছিল ফাসিক সম্প্রদায়’।
فَلَمَّا جَآءَتۡہُمۡ ءَايَـٰتُنَا مُبۡصِرَةً۬ قَالُواْ هَـٰذَا سِحۡرٌ۬ مُّبِينٌ۬ ١٣
আরবি উচ্চারণ ২৭.১৩। ফালাম্মা-জ্বা-য়াত্হুম্ আ-ইয়া-তুনা মুব্ছিরতান্ ক্ব-লূ হাযা-সিহ্রুম্ মূবীন্। বাংলা অনুবাদ ২৭.১৩ তারপর যখন আমার নিদর্শনগুলো দৃশ্যমান হয়ে তাদের কাছে আসল, তখন তারা বলল, এটা তো সুস্পষ্ট যাদু।
وَجَحَدُواْ بِہَا وَٱسۡتَيۡقَنَتۡهَآ أَنفُسُہُمۡ ظُلۡمً۬ا وَعُلُوًّ۬اۚ فَٱنظُرۡ كَيۡفَ كَانَ عَـٰقِبَةُ ٱلۡمُفۡسِدِينَ ١٤
আরবি উচ্চারণ ২৭.১৪। অজ্বাহাদু বিহা-অস্তাইক্বনাত্হা য় আন্ফুসুহুম্ জুল্মাঁও অ‘উলুওয়া-; ফার্ন্জু কাইফা কা-না ‘আ-ক্বিবাতুল্ মুফ্সিদীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.১৪ আর তারা অন্যায় ও উদ্ধতভাবে নিদর্শনগুলোকে প্রত্যাখ্যান করল। অথচ তাদের অন্তর তা নিশ্চিত বিশ্বাস করেছিল। অতএব দেখ, ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের পরিণাম কেমন হয়েছিল।
وَلَقَدۡ ءَاتَيۡنَا دَاوُ ۥدَ وَسُلَيۡمَـٰنَ عِلۡمً۬اۖ وَقَالَا ٱلۡحَمۡدُ لِلَّهِ ٱلَّذِى فَضَّلَنَا عَلَىٰ كَثِيرٍ۬ مِّنۡ عِبَادِهِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ١٥
আরবি উচ্চারণ ২৭.১৫। অ লাক্বদ্ আ-তাইনা দা-য়ূদা অ সুলাইমা-না ‘ইল্মান্ অক্ব-লাল্ হাম্দু লিল্লা-হিল্ লাযী ফাদ্দ¦লানা-‘আলা-কাছীরিম্ মিন্ ‘ঈবা-দিহিল্ মুমিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.১৫ আর অবশ্যই আমি দাঊদ ও সুলাইমানকে জ্ঞান দান করেছি এবং তারা উভয়ে বলল, ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্যই, যিনি তাঁর অনেক মুমিন বান্দাদের উপর আমাদেরকে মর্যাদা দান করেছেন’।
وَوَرِثَ سُلَيۡمَـٰنُ دَاوُ ۥدَۖ وَقَالَ يَـٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ عُلِّمۡنَا مَنطِقَ ٱلطَّيۡرِ وَأُوتِينَا مِن كُلِّ شَىۡءٍۖ إِنَّ هَـٰذَا لَهُوَ ٱلۡفَضۡلُ ٱلۡمُبِينُ ١٦
আরবি উচ্চারণ ১৬। অওয়ারিছা সুলাইমানু দা-য়ূদা অক্ব-লা ইয়া য় আইয়্যুহান্না-সু উল্লিম্না-মান্ত্বিক্বত্ ত্বোয়াইরি অ ঊতীনা- মিন্ কুল্লি শাইয়িন্ ইন্না-হা-যা- লাহুওয়াল্ ফাদলুল্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.১৬ আর সুলাইমান দাঊদের ওয়ারিস হল এবং সে বলল, ‘হে মানুষ, আমাদেরকে পাখির ভাষা শেখানো হয়েছে এবং আমাদেরকে সকল কিছু দেয়া হয়েছে। নিশ্চয় এটা সুস্পষ্ট অনুগ্রহ’।
وَحُشِرَ لِسُلَيۡمَـٰنَ جُنُودُهُ ۥ مِنَ ٱلۡجِنِّ وَٱلۡإِنسِ وَٱلطَّيۡرِ فَهُمۡ يُوزَعُونَ ١٧
আরবি উচ্চারণ ২৭.১৭। অহুশির লিসুলাইমা-না জুনূদুহূ মিনাল্ জ্বিন্নি অল্ইনসি অতত্বোয়াইরি ফাহুম্ ইয়ূযা‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.১৭ আর সুলাইমানের জন্য তার সেনাবাহিনী থেকে জিন, মানুষ ও পাখিদের সমবেত করা হল। তারপর এদেরকে বিন্যস্ত করা হল।
حَتَّىٰٓ إِذَآ أَتَوۡاْ عَلَىٰ وَادِ ٱلنَّمۡلِ قَالَتۡ نَمۡلَةٌ۬ يَـٰٓأَيُّهَا ٱلنَّمۡلُ ٱدۡخُلُواْ مَسَـٰكِنَڪُمۡ لَا يَحۡطِمَنَّكُمۡ سُلَيۡمَـٰنُ وَجُنُودُهُ ۥ وَهُمۡ لَا يَشۡعُرُونَ ١٨
আরবি উচ্চারণ ২৭.১৮। হাত্তা য় ইযা য় আতাও ‘আলা-ওয়া-দিন্নাম্লি ক্ব-লাত্ নাম্লাতু‘ই ইয়া য় আইয়ুহান্ নাম্লুদ্ খুলূ মাসা-কিনাকুম্ লা-ইয়াহ্ত্বিমান্নাকুম্ সুলাইমা-নু অজুনূদুহূ অহুম্ লা-ইয়াশ্ঊ’রূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.১৮ অবশেষে যখন তারা পিপড়ার উপত্যকায় পৌঁছল তখন এক পিপড়া বলল, ‘ওহে পিপড়ার দল, তোমরা তোমাদের বাসস্থানে প্রবেশ কর। সুলাইমান ও তার বাহিনী তোমাদেরকে যেন অজ্ঞাতসারে পিষ্ট করে মারতে না পারে’।
فَتَبَسَّمَ ضَاحِكً۬ا مِّن قَوۡلِهَا وَقَالَ رَبِّ أَوۡزِعۡنِىٓ أَنۡ أَشۡكُرَ نِعۡمَتَكَ ٱلَّتِىٓ أَنۡعَمۡتَ عَلَىَّ وَعَلَىٰ وَٲلِدَىَّ وَأَنۡ أَعۡمَلَ صَـٰلِحً۬ا تَرۡضَٮٰهُ وَأَدۡخِلۡنِى بِرَحۡمَتِكَ فِى عِبَادِكَ ٱلصَّـٰلِحِينَ ١٩
আরবি উচ্চারণ ২৭.১৯। ফাতাবাস্ সামা দ্বোয়া-হিকাম্ মিন্ ক্বওলিহা-অক্ব-লা রব্বি আওযি’নী য় আন্ আশ্কুরা নি’মাতাকাল্লা তীয় আন্‘আম্তা ‘আলাইয়্যা অ‘আলা- ওয়া-লিদাইয়্যা অআন্ আ’মালা ছোয়া-লিহান্ র্তাদ্বোয়া-হু অ আদ্খিল্নী বিরহমাতিকা ফী ‘ইবা-দিকাছ্ ছোয়া-লিহীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.১৯ তারপর সুলাইমান তার কথায় মুচকি হাসল এবং বলল, ‘হে আমার রব, তুমি আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি যে অনুগ্রহ করেছ তার জন্য আমাকে তোমার শুকরিয়া আদায় করার তাওফীক দাও। আর আমি যাতে এমন সৎকাজ করতে পারি যা তুমি পছন্দ কর। আর তোমার অনুগ্রহে তুমি আমাকে তোমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত কর’।
وَتَفَقَّدَ ٱلطَّيۡرَ فَقَالَ مَا لِىَ لَآ أَرَى ٱلۡهُدۡهُدَ أَمۡ ڪَانَ مِنَ ٱلۡغَآٮِٕبِينَ ٢٠
আরবি উচ্চারণ ২৭.২০। অতাফাকক্বদাত ত্বোয়াইর ফাক্ব-লা মা-লিয়া লা য় আরল্ হুদ্ হুদা আম্ কা-না মিনাল্ গ-য়িবীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.২০ আর সুলাইমান পাখিদের খোঁজ খবর নিল। তারপর সে বলল, ‘কী ব্যাপার, আমি হুদহুদকে দেখছি না; নাকি সে অনুপস্থিতদের অন্তর্ভুক্ত’?
لَأُعَذِّبَنَّهُ ۥ عَذَابً۬ا شَدِيدًا أَوۡ لَأَاْذۡبَحَنَّهُ ۥۤ أَوۡ لَيَأۡتِيَنِّى بِسُلۡطَـٰنٍ۬ مُّبِينٍ۬ ٢١
আরবি উচ্চারণ ২৭.২১। লা‘উআয্যিবান্নাহূ ‘আযা-বান্ শাদীদান্ আওলা আয্বাহান্নাহূ য় আও লাইয়াতিইয়ান্নী বিছুল্ত্বোয়া-নিম্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.২১ ‘অবশ্যই আমি তাকে কঠিন আযাব দেব অথবা তাকে যবেহ করব। অথবা সে আমার কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে আসবে’।
فَمَكَثَ غَيۡرَ بَعِيدٍ۬ فَقَالَ أَحَطتُ بِمَا لَمۡ تُحِطۡ بِهِۦ وَجِئۡتُكَ مِن سَبَإِۭ بِنَبَإٍ۬ يَقِينٍ ٢٢
আরবি উচ্চারণ ২৭.২২। ফামাকাছা গইর বা‘ঈদিন্ ফাক্ব-লা আহাত্তু বিমা-লাম্ তুহিত বিহী অজ্বিতুকা মিন্ সাবা-য়িম্ বিনাবায়িঁ ইয়াক্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.২২ তারপর অনতিবিলম্বে হুদহুদ এসে বলল, ‘আমি যা অবগত হয়েছি আপনি তা অবগত নন, আমি সাবা থেকে আপনার জন্য নিশ্চিত খবর নিয়ে এসেছি’।
إِنِّى وَجَدتُّ ٱمۡرَأَةً۬ تَمۡلِڪُهُمۡ وَأُوتِيَتۡ مِن ڪُلِّ شَىۡءٍ۬ وَلَهَا عَرۡشٌ عَظِيمٌ۬ ٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৭.২৩। ইন্নী অজ্বাত্তুম্ রায়াতান্ তাম্লিকুহুম্ অঊতিয়াত্ মিন্ কুল্লি শাইয়িঁও অ লাহা-‘র্আশুন্ ‘আজীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.২৩ ‘আমি এক নারীকে দেখতে পেলাম, সে তাদের উপর রাজত্ব করছে। তাকে দেয়া হয়েছে সব কিছু। আর তার আছে এক বিশাল সিংহাসন’।
وَجَدتُّهَا وَقَوۡمَهَا يَسۡجُدُونَ لِلشَّمۡسِ مِن دُونِ ٱللَّهِ وَزَيَّنَ لَهُمُ ٱلشَّيۡطَـٰنُ أَعۡمَـٰلَهُمۡ فَصَدَّهُمۡ عَنِ ٱلسَّبِيلِ فَهُمۡ لَا يَهۡتَدُونَ ٢٤
আরবি উচ্চারণ ২৭.২৪। অজ্বাদ্তুহা-অ ক্বাওমাহা-ইয়াস্ জুদূনা লিশ্শাম্সি মিন্দূ নিল্লা-হি অ যাইয়্যানা লাহুমুশ্ শাইত্বো-য়ানু আ’মা-লাহুম্ ফাছোয়াদ্দা হুম্ ‘আনিস্ সাবীলি ফাহুম্ লা- ইয়াহ্তাদূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.২৪ ‘আমি তাকে ও তার কওমকে দেখতে পেলাম তারা আল্লাহর পরিবর্তে সূর্যকে সিজদা করছে। আর শয়তান তাদের কার্যাবলীকে তাদের জন্য সৌন্দর্যমণ্ডিত করে দিয়েছে এবং তাদেরকে সৎপথ থেকে নিবৃত করেছে, ফলে তারা হিদায়াত পায় না’।
أَلَّا يَسۡجُدُواْ لِلَّهِ ٱلَّذِى يُخۡرِجُ ٱلۡخَبۡءَ فِى ٱلسَّمَـٰوَٲتِ وَٱلۡأَرۡضِ وَيَعۡلَمُ مَا تُخۡفُونَ وَمَا تُعۡلِنُونَ ٢٥
আরবি উচ্চারণ ২৭.২৫। আল্লা-ইয়াস্জ্বুদূ লিল্লা-হিল্লাযী ইয়ুখ্রিজুল্ খব্য়া ফিস্ সামা-ওয়া-তি অল্র্আদ্বি অ ইয়া’লামু মা-তুখ্ফূনা অমা-তু’লিনূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.২৫ যাতে তারা আল্লাহকে সিজদা না করে, যিনি আসমান ও যমীনের লুকায়িত বস্তুকে বের করেন। আর তোমরা যা গোপন কর এবং তোমরা যা প্রকাশ কর তিনি সবই জানেন।
ٱللَّهُ لَآ إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ رَبُّ ٱلۡعَرۡشِ ٱلۡعَظِيمِ ۩ ٢٦
আরবি উচ্চারণ ২৭.২৬। আল্লা-হু লা য় ইলা-হা ইল্লা-হু ওয়া রব্বুল্ র্আশিল্ ‘আজীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.২৬ আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই। তিনি মহা আরশের রব।
۞ قَالَ سَنَنظُرُ أَصَدَقۡتَ أَمۡ كُنتَ مِنَ ٱلۡكَـٰذِبِينَ ٢٧
আরবি উচ্চারণ ২৭.২৭। ক্ব-লা সানান্জুরু আছোয়াদাকতা আম্ কুন্তা মিনাল্ কা-যিবীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.২৭ সুলাইমান বলল, আমরা দেখব, ‘তুমি কি সত্য বলেছ, নাকি তুমি মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত’।
ٱذۡهَب بِّكِتَـٰبِى هَـٰذَا فَأَلۡقِهۡ إِلَيۡہِمۡ ثُمَّ تَوَلَّ عَنۡہُمۡ فَٱنظُرۡ مَاذَا يَرۡجِعُونَ ٢٨
আরবি উচ্চারণ ২৭.২৮। ইয্হাব্ বিকিতা-বী হা-যা-ফাআল্ক্বিহ্ ইলাইহিম্ ছুম্মা তাওয়াল্লা ‘আন্হুম্ ফার্ন্জু মা-যা-ইর্য়াজ্বি‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.২৮ ‘তুমি আমার এ পত্র নিয়ে যাও। অতঃপর এটা তাদের কাছে নিক্ষেপ কর, তারপর তাদের কাছ থেকে সরে থাক এবং দেখ, তারা কী জবাব দেয়’?
قَالَتۡ يَـٰٓأَيُّہَا ٱلۡمَلَؤُاْ إِنِّىٓ أُلۡقِىَ إِلَىَّ كِتَـٰبٌ۬ كَرِيمٌ ٢٩
আরবি উচ্চারণ ২৭.২৯। ক্ব-লাত্ ইয়া য় আইয়ুহাল্ মালায়ু ইন্নী য় উল্ক্বিয়া ইলাইয়্যা কিতা-বুন্ কারীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.২৯ সে (রাণী) বলল, ‘হে পারিষদবর্গ! নিশ্চয় আমাকে এক সম্মানজনক পত্র দেয়া হয়েছে’।
إِنَّهُ ۥ مِن سُلَيۡمَـٰنَ وَإِنَّهُ ۥ بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَـٰنِ ٱلرَّحِيمِ ٣٠
আরবি উচ্চারণ ২৭.৩০। ইন্নাহূ মিন্ সুলাইমা-না অইন্নাহূ বিস্মিল্লা-র্হি রহ্মা-র্নি রহীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৩০ ‘নিশ্চয় এটা সুলাইমানের পক্ষ থেকে। আর নিশ্চয় এটা পরম করুণাময় পরম দয়ালু আল্লাহর নামে’।
أَلَّا تَعۡلُواْ عَلَىَّ وَأۡتُونِى مُسۡلِمِينَ ٣١
আরবি উচ্চারণ ২৭.৩১। আল্লা-তা’লূ ‘আলাইয়্যা অতূনী মুস্লিমীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৩১ ‘যাতে তোমরা আমার প্রতি উদ্ধত না হও এবং অনুগত হয়ে আমার কাছে আস’।
قَالَتۡ يَـٰٓأَيُّہَا ٱلۡمَلَؤُاْ أَفۡتُونِى فِىٓ أَمۡرِى مَا ڪُنتُ قَاطِعَةً أَمۡرًا حَتَّىٰ تَشۡہَدُونِ ٣٢
আরবি উচ্চারণ ২৭.৩২। ক্ব-লাত্ ইয়া য় আইয়্যুহাল্ মালায়ু আফ্তূনী ফী য় আম্রী মা-কুন্তু ক্ব-ত্বিয়াতান্ আম্রান্ হাত্তা-তাশ্হাদূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৩২ সে (রাণী) বলল, ‘হে পারিষদবর্গ, তোমরা আমার ব্যাপারে আমাকে অভিমত দাও। তোমাদের উপস্থিতি ছাড়া আমি কোন বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি না।
قَالُواْ نَحۡنُ أُوْلُواْ قُوَّةٍ۬ وَأُوْلُواْ بَأۡسٍ۬ شَدِيدٍ۬ وَٱلۡأَمۡرُ إِلَيۡكِ فَٱنظُرِى مَاذَا تَأۡمُرِينَ ٣٣
আরবি উচ্চারণ ২৭.৩৩। ক্ব-লূ নাহ্নু উলূ কুওয়াতিঁও অ উলূ বাসিন্ শাদীদিঁও অল্ আম্রু ইলাইকি ফান্জুরী মা-যা-তামুরীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৩৩ তারা বলল, ‘আমরা শক্তিশালী ও কঠোর যোদ্ধা, আর সিদ্ধান্ত আপনার কাছেই। অতএব চিন্তা করে দেখুন, আপনি কী নির্দেশ দেবেন’।
قَالَتۡ إِنَّ ٱلۡمُلُوكَ إِذَا دَخَلُواْ قَرۡيَةً أَفۡسَدُوهَا وَجَعَلُوٓاْ أَعِزَّةَ أَهۡلِهَآ أَذِلَّةً۬ۖ وَكَذَٲلِكَ يَفۡعَلُونَ ٣٤
আরবি উচ্চারণ ২৭.৩৪। ক্ব-লাত্ ইন্নাল্ মুলূকা ইযা-দাখালূ র্ক্বাইয়াতান্ আফ্ছাদূহা-অজ্বা‘আলূ য় আই’য্যাতা আহ্লিহা য় আযিল্লাতান্ অকাযা-লিকা ইয়াফ্‘আলূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৩৪ সে বলল, ‘নিশ্চয় রাজা-বাদশাহরা যখন কোন জনপদে প্রবেশ করে তখন তাকে বিপর্যস্ত করে এবং সেখানকার সম্মানিত অধিবাসীদেরকে অপদস্থ করে। আর তা-ই তারা করবে’।
وَإِنِّى مُرۡسِلَةٌ إِلَيۡہِم بِهَدِيَّةٍ۬ فَنَاظِرَةُۢ بِمَ يَرۡجِعُ ٱلۡمُرۡسَلُونَ ٣٥
আরবি উচ্চারণ ২৭.৩৫। অ ইন্নী র্মুসিলাতুন্ ইলাইহিম্ বিহাদিয়্যাতিন্ ফানা-জিরাতুম্ বিমা-ইর্য়াজ্বি‘ঊল্ মুরসালূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৩৫ ‘আর নিশ্চয় আমি তাদের কাছে উপঢৌকন পাঠাচ্ছি, তারপর দেখি দূতেরা কী নিয়ে ফিরে আসে’।
فَلَمَّا جَآءَ سُلَيۡمَـٰنَ قَالَ أَتُمِدُّونَنِ بِمَالٍ۬ فَمَآ ءَاتَٮٰنِۦَ ٱللَّهُ خَيۡرٌ۬ مِّمَّآ ءَاتَٮٰكُم بَلۡ أَنتُم بِہَدِيَّتِكُمۡ تَفۡرَحُونَ ٣٦
আরবি উচ্চারণ ২৭.৩৬। ফালাম্মা-জ্বা-য়া সুলাইমা-না ক্ব-লা আ-তুমিদ্দুনানি বিমা-লিন্ ফামা য় আ-তা-নিয়াল্লহু খইরুম্ মিম্মা য় আ-তা-কুম্ বাল্ আন্তুম্ বিহাদিয়্যাতিকুম্ তাফ্রাহূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৩৬ অতঃপর দূত যখন সুলাইমানের কাছে আসল, তখন সে বলল, ‘তোমরা কি আমাকে সম্পদ দ্বারা সাহায্য করতে চাচ্ছ? সুতরাং আল্লাহ আমাকে যা দিয়েছেন তা তোমাদেরকে যা দিয়েছেন তা থেকে উত্তম। বরং তোমরা তোমাদের উপঢৌকন নিয়ে খুশি হও’।
ٱرۡجِعۡ إِلَيۡہِمۡ فَلَنَأۡتِيَنَّهُم بِجُنُودٍ۬ لَّا قِبَلَ لَهُم بِہَا وَلَنُخۡرِجَنَّہُم مِّنۡہَآ أَذِلَّةً۬ وَهُمۡ صَـٰغِرُونَ ٣٧
আরবি উচ্চারণ ২৭.৩৭। র্ইজ্বি’ ইলাইহিম্ ফলানাতিয়ান্নাহুম্ বিজুনূদিল্ লা-ক্বিবালা লাহুম্ বিহা-অলানুখ্রিজ্বান্নাহুম্ মিন্হা য় আযিল্লাতাঁও অহুম্ ছোয়া-গিরূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৩৭ ‘তোমরা তাদের কাছে ফিরে যাও। তারপর আমি অবশ্যই তাদের কাছে এমন সৈন্যবাহিনী নিয়ে আসব যার মুকাবিলা করার শক্তি তাদের নেই। আর আমি অবশ্যই তাদেরকে সেখান থেকে লাঞ্ছিত অবস্থায় বের করে দেব আর তারা অপমানিত।’
قَالَ يَـٰٓأَيُّہَا ٱلۡمَلَؤُاْ أَيُّكُمۡ يَأۡتِينِى بِعَرۡشِہَا قَبۡلَ أَن يَأۡتُونِى مُسۡلِمِينَ ٣٨
আরবি উচ্চারণ ২৭.৩৮। ক্ব-লা ইয়া য় আইয়্যুহাল্ মালায়ু আই ইয়ুকুম্ ইয়াতীনী বি ‘র্আশিহা-ক্বব্লা আই ইয়াতূনী মুস্লিমীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৩৮ সুলাইমান বলল, ‘হে পারিষদবর্গ, তারা আমার কাছে আত্মসমর্পণ করে আসার পূর্বে তোমাদের মধ্যে কে তার (রাণীর) সিংহাসন আমার কাছে নিয়ে আসতে পারবে’?
قَالَ عِفۡرِيتٌ۬ مِّنَ ٱلۡجِنِّ أَنَا۟ ءَاتِيكَ بِهِۦ قَبۡلَ أَن تَقُومَ مِن مَّقَامِكَۖ وَإِنِّى عَلَيۡهِ لَقَوِىٌّ أَمِينٌ۬ ٣٩
আরবি উচ্চারণ ২৭.৩৯। ক্ব-লা ইফ্রীতুম্ মিনাল্ জ্বিন্নি আনা আ-তীকা বিহী ক্বব্লা আন্তাকুমা মিম্ মাক্ব-মিকা অইন্নী ‘আলাইহি লাক্বওয়্যিয়ুন্ আমীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৩৯ এক শক্তিশালী জিন বলল, ‘আপনি আপনার স্থান থেকে উঠার পূর্বেই আমি তা এনে দেব। আমি নিশ্চয়ই এই ব্যাপারে শক্তিমান, বিশ্বস্ত।
قَالَ ٱلَّذِى عِندَهُ ۥ عِلۡمٌ۬ مِّنَ ٱلۡكِتَـٰبِ أَنَا۟ ءَاتِيكَ بِهِۦ قَبۡلَ أَن يَرۡتَدَّ إِلَيۡكَ طَرۡفُكَۚ فَلَمَّا رَءَاهُ مُسۡتَقِرًّا عِندَهُ ۥ قَالَ هَـٰذَا مِن فَضۡلِ رَبِّى لِيَبۡلُوَنِىٓ ءَأَشۡكُرُ أَمۡ أَكۡفُرُۖ وَمَن شَكَرَ فَإِنَّمَا يَشۡكُرُ لِنَفۡسِهِۦۖ وَمَن كَفَرَ فَإِنَّ رَبِّى غَنِىٌّ۬ كَرِيمٌ۬ ٤٠
আরবি উচ্চারণ ২৭.৪০। ক্ব-লা ল্লাযী ‘ইন্দাহূ ‘ইল্মুম্ মিনাল্ কিতা-বি আনা আ-তীকা বিহী ক্বব্লা আইঁ ইর্য়াতাদ্দা ইলাইকা ত্বোর্য়াফুক্; ফালাম্মা-রায়াহূ মুস্তার্ক্বিরন্ ‘ইন্দাহূ ক্ব-লা হা-যা-মিন্ ফাদ্ব্লি রব্বী লিইয়াব্লুওয়ানী য় আ আশ্কুরু আম্ আর্ক্ফু; অমান্ শাকার ফা ইন্নামা- ইয়াশ্কুরু লিনাফ্সিহী অমান্ কাফার ফাইন্না রব্বী গানিয়্যুন্ কারীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৪০ যার কাছে কিতাবের এক বিশেষ জ্ঞান ছিল সে বলল, ‘আমি চোখের পলক পড়ার পূর্বেই তা আপনার কাছে নিয়ে আসব’। অতঃপর যখন সুলাইমান তা তার সামনে স্থির দেখতে পেল, তখন বলল, ‘এটি আমার রবের অনুগ্রহ, যাতে তিনি আমাকে পরীক্ষা করেন যে, আমি কি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি না কি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। আর যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে তো তার নিজের কল্যাণেই তা করে, আর যে কেউ অকৃতজ্ঞ হবে, তবে নিশ্চয় আমার রব অভাবমুক্ত, অধিক দাতা’।
قَالَ نَكِّرُواْ لَهَا عَرۡشَہَا نَنظُرۡ أَتَہۡتَدِىٓ أَمۡ تَكُونُ مِنَ ٱلَّذِينَ لَا يَہۡتَدُونَ ٤١
আরবি উচ্চারণ ২৭.৪১। ক্ব-লা নাক্কিরূ লাহা-আর্’শাহা-নার্ন্জু আ তাহ্তাদী য় আম্ তাকূনু মিনাল্লাযীনা লা-ইয়াহ্তাদূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৪১ সুলাইমান বলল, ‘তোমরা তার জন্য তার সিংহাসনের আকার-আকৃতি পরিবর্তন করে দাও। দেখব সে সঠিক দিশা পায় নাকি তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়ে, যারা সঠিক দিশা পায় না’।
فَلَمَّا جَآءَتۡ قِيلَ أَهَـٰكَذَا عَرۡشُكِۖ قَالَتۡ كَأَنَّهُ ۥ هُوَۚ وَأُوتِينَا ٱلۡعِلۡمَ مِن قَبۡلِهَا وَكُنَّا مُسۡلِمِينَ ٤٢
আরবি উচ্চারণ ২৭.৪২। ফালাম্মা-জ্বা-য়াত্ ক্বীলা আহা-কাযা-‘র্আশুক্; ক্ব-লাত্ কায়ান্নাহূ হুওয়া অঊতীনাল্ ই’ল্মা মিন্ ক্বব্লিহা-অকুন্না-মুস্লিমীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৪২ অতঃপর যখন সে আসল, তখন তাকে বলা হল; ‘এরূপই কি তোমার সিংহাসন’? সে বলল, ‘এটি যেন সেটিই’। আর বলল, ‘আমাদেরকে তার পূর্বেই জ্ঞান দান করা হয়েছিল এবং আমরা আত্মসমর্পণ করেছিলাম’।
وَصَدَّهَا مَا كَانَت تَّعۡبُدُ مِن دُونِ ٱللَّهِۖ إِنَّہَا كَانَتۡ مِن قَوۡمٍ۬ كَـٰفِرِينَ ٤٣
আরবি উচ্চারণ ২৭.৪৩। অ ছোয়াদ্দাহা-মা-কা-নাত্ তা’বুদু মিন্ দূনিল্লা-হ্; ইন্নাহা-কা-নাত্ মিন্ ক্বওমিন্ কা-ফিরীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৪৩ আর আল্লাহেেক বাদ দিয়ে যার পূজা সে করত তা তাকে ঈমান থেকে নিবৃত্ত করেছিল। নিশ্চয় সে ছিল কাফির সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত।
قِيلَ لَهَا ٱدۡخُلِى ٱلصَّرۡحَۖ فَلَمَّا رَأَتۡهُ حَسِبَتۡهُ لُجَّةً۬ وَكَشَفَتۡ عَن سَاقَيۡهَاۚ قَالَ إِنَّهُ ۥ صَرۡحٌ۬ مُّمَرَّدٌ۬ مِّن قَوَارِيرَۗ قَالَتۡ رَبِّ إِنِّى ظَلَمۡتُ نَفۡسِى وَأَسۡلَمۡتُ مَعَ سُلَيۡمَـٰنَ لِلَّهِ رَبِّ ٱلۡعَـٰلَمِينَ ٤٤
আরবি উচ্চারণ ২৭.৪৪। ক্বীলা লাহাদ্ খুলিছ্ ছোর্য়াহা ফালাম্মা-রয়াত্হু হাসিবাত্হু লুজ্জ্বাতাঁও অকাশাফাত্ ‘আন্ সা-ক্বইহা-ক্ব-লা ইন্নাহূ ছোর্য়াহুম্ মুর্মারদুম্ মিন্ ক্বওয়া-র্রী; ক্ব-লাত্ রব্বি ইন্নী জ্বোয়ালাম্তু নাফ্সী অআস্লাম্তু মা‘আ সুলাইমা-না লিল্লা-হি রব্বিল্ ‘আ-লামীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৪৪ তাকে বলা হল, ‘প্রাসাদটিতে প্রবেশ কর’। অতঃপর যখন সে তা দেখল, সে তাকে এক গভীর জলাশয় ধারণা করল, এবং তার পায়ের গোছাদ্বয় অনাবৃত করল। সুলাইমান বলল, ‘এটি আসলে স্বচ্ছ কাঁচ-নির্মিত প্রাসাদ’। সে বলল, ‘হে আমার রব, নিশ্চয় আমি আমার নিজের প্রতি যুলম করেছি। আমি সুলাইমানের সাথে সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ করলাম’।
وَلَقَدۡ أَرۡسَلۡنَآ إِلَىٰ ثَمُودَ أَخَاهُمۡ صَـٰلِحًا أَنِ ٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ فَإِذَا هُمۡ فَرِيقَانِ يَخۡتَصِمُونَ ٤٥
আরবি উচ্চারণ ২৭.৪৫। অ লাক্বদ্ র্আসাল্না য় ইলা-ছামূদা আখ-হুম্ ছোয়া-লিহান্ আনি’বুদুল্লা-হা ফাইযা- হুম্ ফারীক্ব-নি ইয়াখ্তাছিমূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৪৫ আর অবশ্যই আমি সামূদ সম্প্রদায়ের নিকট তাদের ভাই সালিহকে পাঠিয়েছিলাম যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর। অতঃপর তারা দু’দলে বিভক্ত হয়ে বিতর্ক করছিল।
قَالَ يَـٰقَوۡمِ لِمَ تَسۡتَعۡجِلُونَ بِٱلسَّيِّئَةِ قَبۡلَ ٱلۡحَسَنَةِۖ لَوۡلَا تَسۡتَغۡفِرُونَ ٱللَّهَ لَعَلَّڪُمۡ تُرۡحَمُونَ ٤٦
আরবি উচ্চারণ ২৭.৪৬। ক্ব-লা ইয়া-ক্বওমি লিমা-তাস্তা’জ্বিলূনা বিস্সাইয়িয়াতি ক্বব্লাল্ হাসানাতি লাওলা- তাস্তাগ্ফিরূনাল্লা-হা লা‘আল্লাকুম্ র্তুহামূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৪৬ সে বলল, ‘হে আমার কওম, তোমরা কল্যাণের পূর্বে কেন অকল্যাণকে তরান্বিত করতে চাইছ? কেন তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছ না যেন তোমাদেরকে রহমত করা হয়’?
قَالُواْ ٱطَّيَّرۡنَا بِكَ وَبِمَن مَّعَكَۚ قَالَ طَـٰٓٮِٕرُكُمۡ عِندَ ٱللَّهِۖ بَلۡ أَنتُمۡ قَوۡمٌ۬ تُفۡتَنُونَ ٤٧
আরবি উচ্চারণ ২৭.৪৭। ক্ব-লুত্ত্বাইর্য়্যানা-বিকা অবিমাম্ মা‘আক্; ক্ব-লা ত্বোয়া-য়িরুকুম্ ‘ইন্দাল্লা-হি বাল্ আন্তুম্ ক্বওমুন্ তুফ্তান্ন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৪৭ তারা বলল, ‘আমরা তুমি ও তোমার সাথে যারা আছে তাদেরকে অশুভ মনে করছি’। সে বলল, ‘তোমাদের অশুভ আল্লাহর নিকট। বরং তোমরা এমন এক কওম যাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে’।
وَكَانَ فِى ٱلۡمَدِينَةِ تِسۡعَةُ رَهۡطٍ۬ يُفۡسِدُونَ فِى ٱلۡأَرۡضِ وَلَا يُصۡلِحُونَ ٤٨
আরবি উচ্চারণ ২৭.৪৮। অকা-না ফিল্ মাদীনাতি তিস্‘আতু রহ্ত্বিঁও ইয়ুফ্সিদূনা ফিল্ র্আদ্বি অলা-ইয়ুছ্লিহূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৪৮ আর সেই শহরে ছিল নয় নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি। যারা যমীনে ফাসাদ সৃষ্টি করত এবং সংস্কার-সংশোধনমূলক কিছু করত না।
قَالُواْ تَقَاسَمُواْ بِٱللَّهِ لَنُبَيِّتَنَّهُ ۥ وَأَهۡلَهُ ۥ ثُمَّ لَنَقُولَنَّ لِوَلِيِّهِۦ مَا شَہِدۡنَا مَهۡلِكَ أَهۡلِهِۦ وَإِنَّا لَصَـٰدِقُونَ ٤٩
আরবি উচ্চারণ ২৭.৪৯। ক্ব-লূ তাক্ব-সামূ বিল্লা-হি লানুবাইয়্যিতান্নাহূ অআহ্লাহূ ছুম্মা লানাকুলান্না লি অলিয়্যিহী মা-শাহিদ্না-মাহ্লিকা আহ্লিহী অইন্না-লাছোয়া-দিকুন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৪৯ তারা বলল, ‘তোমরা পরস্পর আল্লাহর কসম কর যে, আমরা রাত্রিকালে তার ও তার পরিবারের উপর অবশ্যই আক্রমণ করব, অতঃপর আমরা তার নিকটাত্মীয়দের বলব, আমরা তার পরিবারবর্গের হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করিনি। আর নিশ্চয়ই আমরা সত্যবাদী’।
وَمَكَرُواْ مَڪۡرً۬ا وَمَكَرۡنَا مَڪۡرً۬ا وَهُمۡ لَا يَشۡعُرُونَ ٥٠
আরবি উচ্চারণ ২৭.৫০। অ মাকারূ মাক্রঁও অমার্কানা মাক্রাঁও অহুম্ লা-ইয়াশ্‘উরূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৫০ আর তারা এক চক্রান্ত করল এবং আমিও কৌশল অবলম্বন করলাম। অথচ তারা উপলদ্ধিও করতে পারল না।
فَٱنظُرۡ كَيۡفَ ڪَانَ عَـٰقِبَةُ مَكۡرِهِمۡ أَنَّا دَمَّرۡنَـٰهُمۡ وَقَوۡمَهُمۡ أَجۡمَعِينَ ٥١
আরবি উচ্চারণ ২৭.৫১। ফার্ন্জু কাইফা কা-না ‘আ-ক্বিবাতু মাক্রিহিম্ আন্না-দার্ম্মানা-হুম্ অক্বওমাহুম্ আজমা‘ঈন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৫১ অতএব দেখ, তাদের চক্রান্তের পরিণাম কিরূপ হয়েছে। আমি তাদের ও তাদের কওমকে একত্রে ধ্বংস করে দিয়েছি।
فَتِلۡكَ بُيُوتُهُمۡ خَاوِيَةَۢ بِمَا ظَلَمُوٓاْۗ إِنَّ فِى ذَٲلِكَ لَأَيَةً۬ لِّقَوۡمٍ۬ يَعۡلَمُونَ ٥٢
আরবি উচ্চারণ ২৭.৫২। ফাতিল্কা বুইয়ূতুহুম্ খা-ওয়িয়াতাম্ বিমা- জোয়ালামূ ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-ইয়া-তাল্লিকওমিঁ ইয়া’লামূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৫২ সুতরাং ঐগুলো তাদের বাড়ীঘর, যা তাদের যুলমের কারণে বিরান হয়ে আছে। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শন রয়েছে সে কওমের জন্য যারা জ্ঞান রাখে।
وَأَنجَيۡنَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَڪَانُواْ يَتَّقُونَ ٥٣
আরবি উচ্চারণ ২৭.৫৩। অ আন্জ্বাইনাল্লাযীনা আ-মানূ অ কা-নূ ইয়াত্তাকুন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৫৩ আর আমি মুমিনদের মুক্তি দিলাম এবং তারা ছিল তাকওয়া অবলম্বনকারী।
وَلُوطًا إِذۡ قَالَ لِقَوۡمِهِۦۤ أَتَأۡتُونَ ٱلۡفَـٰحِشَةَ وَأَنتُمۡ تُبۡصِرُونَ ٥٤
আরবি উচ্চারণ ২৭.৫৪। অ লূত্বোয়ান্ ইয্ ক্ব-লা লিক্বওমিহী য় আতাতূনাল্ ফা-হিশাতা অআন্তুম্ তুব্ছিরূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৫৪ আর স্মরণ কর লূতের কথা, যখন সে তার কওমকে বলেছিল, ‘তোমরা কেন অশ্লীল কাজ করছ, অথচ তা তোমরা ভালভাবে প্রত্যক্ষ করছ’?
أَٮِٕنَّكُمۡ لَتَأۡتُونَ ٱلرِّجَالَ شَہۡوَةً۬ مِّن دُونِ ٱلنِّسَآءِۚ بَلۡ أَنتُمۡ قَوۡمٌ۬ تَجۡهَلُونَ ٥٥ ۞
আরবি উচ্চারণ ২৭.৫৫। আয়িন্নাকুম্ লাতাতূর্না রিজ্বা-লা শাহ্ওয়াতাম্ মিন্ দূনি ন্নিসা-য়্; বাল্ আন্তুম্ ক্বওমুন্ তাজহালূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৫৫ ‘তোমরা কি নারীদের বাদ দিয়ে পুরুষদের উপর কামতৃপ্তির জন্য উপগত হবে? বরং তোমরা এমন এক কওম যারা জানে না’।
فَمَا ڪَانَ جَوَابَ قَوۡمِهِۦۤ إِلَّآ أَن قَالُوٓاْ أَخۡرِجُوٓاْ ءَالَ لُوطٍ۬ مِّن قَرۡيَتِكُمۡۖ إِنَّهُمۡ أُنَاسٌ۬ يَتَطَهَّرُونَ ٥٦
আরবি উচ্চারণ ২৭.৫৬। ফামা-কা-না জ্বাওয়া-বা ক্বওমিহী য় ইল্লা য় আন্ ক্ব-লূ য় আখ্রিজু য় আ-লা লূতিম্মিন্ র্ক্বইয়াতিকুম্ ইন্নাহুম্ উনা-সুঁই ইয়া তাত্বোয়াহ্হারূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৫৬ ফলে তার কওমের জবাব একমাত্র এই ছিল যে, ‘লূতের পরিবারকে তোমাদের জনপদ থেকে বের করে দাও। নিশ্চয় এরা এমন লোক যারা পবিত্র থাকতে চায়’।
فَأَنجَيۡنَـٰهُ وَأَهۡلَهُ ۥۤ إِلَّا ٱمۡرَأَتَهُ ۥ قَدَّرۡنَـٰهَا مِنَ ٱلۡغَـٰبِرِينَ ٥٧
আরবি উচ্চারণ ২৭.৫৭। ফাআন্জ্বাইনা-হু অ আহ্লাহূ য় ইল্লাম্ রায়াতাহূ ক্বার্দ্দানা-হা মিনাল্ গ-বিরীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৫৭ অতএব আমি মুক্তি দিলাম তাকে ও তার পরিবারকে, তবে তার স্ত্রীকে ছাড়া। আমি তাকে ধ্বংসপ্রাপ্তদের মধ্যে সাব্যস্ত করে রেখেছিলাম।
وَأَمۡطَرۡنَا عَلَيۡهِم مَّطَرً۬اۖ فَسَآءَ مَطَرُ ٱلۡمُنذَرِينَ ٥٨
আরবি উচ্চারণ ২৭.৫৮। অ আম্ত্বোর্য়ানা- ‘আলাইহিম্ মাত্বোয়ারান্ ফাসা-য়া মাত্বোয়ারুল্ মুন্যারীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৫৮ আমি তাদের উপর মুষলধারে (পাথরের) বৃষ্টি বর্ষণ করেছিলাম। ভীতি প্রদর্শিতদের জন্য কতইনা নিকৃষ্ট ছিল এই বৃষ্টি!
قُلِ ٱلۡحَمۡدُ لِلَّهِ وَسَلَـٰمٌ عَلَىٰ عِبَادِهِ ٱلَّذِينَ ٱصۡطَفَىٰٓۗ ءَآللَّهُ خَيۡرٌ أَمَّا يُشۡرِكُونَ ٥٩
আরবি উচ্চারণ ২৭.৫৯। কুলিল্ হাম্দু লিল্লা-হি অসালা-মুন্ ‘আলা-ই’বা-দি হিল্লাযী নাছ্ত্বোয়াফা- আ-ল্লাহু খইরুন্ আম্মা-ইয়ুশ্রিকূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৫৯ বল, ‘সকল প্রশংসাই আল্লাহর নিমিত্তে। আর শান্তি তাঁর বান্দাদের প্রতি যাদের তিনি মনোনীত করেছেন। আল্লাহ শ্রেষ্ঠ, না কি যাদের এরা শরীক করে তারা’?
أَمَّنۡ خَلَقَ ٱلسَّمَـٰوَٲتِ وَٱلۡأَرۡضَ وَأَنزَلَ لَڪُم مِّنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءً۬ فَأَنۢبَتۡنَا بِهِۦ حَدَآٮِٕقَ ذَاتَ بَهۡجَةٍ۬ مَّا ڪَانَ لَكُمۡ أَن تُنۢبِتُواْ شَجَرَهَآۗ أَءِلَـٰهٌ۬ مَّعَ ٱللَّهِۚ بَلۡ هُمۡ قَوۡمٌ۬ يَعۡدِلُونَ ٦٠
আরবি উচ্চারণ ২৭.৬০। আম্মান্ খলাক্বস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্বোয়া অআন্যালা লাকুম্ মিনাস্ সামা-য়ি মা-আন্ ফাআম্বাত্না-বিহী হাদা-য়িক্বা যা-তা বাহ্জ্বাতিন্ মা-কা-না লাকুম্ আন্ তুম্বিতূ শাজ্বারহা-; আ ইলা-হুম্ মা‘আল্লা-হ্; বাল্ হুম্ ক্বওমুঁই ইয়া’দিলূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৬০ বরং তিনি (শ্রেষ্ঠ), যিনি আসমানসমূহ ও যমীনকে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের জন্য তিনি আসমান থেকে পানি বর্ষণ করেন। অতঃপর তা দ্বারা আমি মনোরম উদ্যান সৃষ্টি করি। তার বৃক্ষাদি উৎপন্ন করার ক্ষমতা তোমাদের নেই। আল্লাহর সাথে কি অন্য কোন ইলাহ আছে? বরং তারা এমন এক কওম যারা র্শিক করে।
أَمَّن جَعَلَ ٱلۡأَرۡضَ قَرَارً۬ا وَجَعَلَ خِلَـٰلَهَآ أَنۡهَـٰرً۬ا وَجَعَلَ لَهَا رَوَٲسِىَ وَجَعَلَ بَيۡنَ ٱلۡبَحۡرَيۡنِ حَاجِزًاۗ أَءِلَـٰهٌ۬ مَّعَ ٱللَّهِۚ بَلۡ أَڪۡثَرُهُمۡ لَا يَعۡلَمُونَ ٦١
আরবি উচ্চারণ ২৭.৬১। আম্মান্ জ্বা‘আলাল্ র্আদ্বোয়া ক্বরা-রাঁও অজ্বা‘আলা-খিলা-লাহা য় আন্হা-রাঁও অজ্বা‘আলা লাহা- রওয়া-সিয়া অজ্বা‘আলা বাইনাল্ বাহ্রাইনি হা-জ্বিযা-আ ইলা-হুম্ মা‘আল্লা-হ্; বাল্ আক্ছারুহুম্ লা-ইয়া’লামূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৬১ বরং তিনি, যিনি যমীনকে আবাসযোগ্য করেছেন এবং তার মধ্যে প্রবাহিত করেছেন নদী-নালা। আর তাতে স্থাপন করেছেন সুদৃঢ় পর্বতমালা এবং দুই সমুদ্রের মধ্যখানে অন্তরায় সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সাথে কি অন্য কোন ইলাহ আছে? বরং তাদের অধিকাংশই জানে না।
أَمَّن يُجِيبُ ٱلۡمُضۡطَرَّ إِذَا دَعَاهُ وَيَكۡشِفُ ٱلسُّوٓءَ وَيَجۡعَلُڪُمۡ خُلَفَآءَ ٱلۡأَرۡضِۗ أَءِلَـٰهٌ۬ مَّعَ ٱللَّهِۚ قَلِيلاً۬ مَّا تَذَڪَّرُونَ ٦٢
আরবি উচ্চারণ ২৭.৬২। আম্মাইঁ ইয়ুজ্বীবুল মুদ্ব্ত্বোর্য়ার ইযা-দা‘আ-হু অ ইয়াক্শিফুস্ সূ-য়া অ ইয়াজ‘আলুকুম্ খুলাফা-য়াল্ র্আদ্ব্ ; আ ইলা-হুম্ মা‘আল্লা-হ্; ক্বলীলাম্ মা-তাযাক্কারূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৬২ বরং তিনি, যিনি নিরুপায়ের আহবানে সাড়া দেন এবং বিপদ দূরীভূত করেন এবং তোমাদেরকে যমীনের প্রতিনিধি বানান। আল্লাহর সাথে কি অন্য কোন ইলাহ আছে ? তোমরা কমই উপদেশ গ্রহণ করে থাক।
أَمَّن يَهۡدِيڪُمۡ فِى ظُلُمَـٰتِ ٱلۡبَرِّ وَٱلۡبَحۡرِ وَمَن يُرۡسِلُ ٱلرِّيَـٰحَ بُشۡرَۢا بَيۡنَ يَدَىۡ رَحۡمَتِهِۦۤۗ أَءِلَـٰهٌ۬ مَّعَ ٱللَّهِۚ تَعَـٰلَى ٱللَّهُ عَمَّا يُشۡرِڪُونَ ٦٣
আরবি উচ্চারণ ২৭.৬৩। আম্মাইঁ ইয়াহ্দীকুম্ ফী জুলুমা-তিল্ র্বারি অলবাহ্রি অ মাইঁ ইর্য়ুসির্লু রিয়া-হা বুশ্রাম্ বাইনা ইয়াদাই রহ্মাতিহ্; আ ইলা-হুম্ মা‘আল্লা-হ্; তা‘আলাল্লা-হু ‘আম্মা- ইয়ুশ্রিকূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৬৩ বরং তিনি, যিনি তোমাদেরকে স্থলে ও সমুদ্রের অন্ধকারে পথ দেখান এবং যিনি স্বীয় রহমতের প্রাক্কালে সুসংবাদবাহী বাতাস প্রেরণ করেন। আল্লাহর সাথে কি অন্য কোন ইলাহ আছে? তারা যা কিছু শরীক করে আল্লাহ তা থেকে ঊর্ধ্বে।
أَمَّن يَبۡدَؤُاْ ٱلۡخَلۡقَ ثُمَّ يُعِيدُهُ ۥ وَمَن يَرۡزُقُكُم مِّنَ ٱلسَّمَآءِ وَٱلۡأَرۡضِۗ أَءِلَـٰهٌ۬ مَّعَ ٱللَّهِۚ قُلۡ هَاتُواْ بُرۡهَـٰنَكُمۡ إِن كُنتُمۡ صَـٰدِقِينَ ٦٤
আরবি উচ্চারণ ২৭.৬৪। আম্মাইঁ ইয়াব্দায়ুল্ খল্ক্ব ছুম্মা ইয়ু‘ঈদুহূ অমাইঁ ইর্য়াযুকুকুম্ মিনাস্ সামা-য়ি অল্ র্আদ্ব্; আ ইলা-হুম্ মা‘আল্লা-হ্; কুল্ হা-তূ র্বুহা-নাকুম্ ইন্ কুন্তুম্ ছোয়া-দিক্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৬৪ বরং তিনি, যিনি সৃষ্টির সূচনা করেন, তারপর তার পুনরাবৃত্তি করবেন এবং যিনি তোমাদেরকে আসমান ও যমীন থেকে রিযিক দান করেন, আল্লাহর সাথে কি কোন ইলাহ আছে? বল, ‘তোমাদের প্রমাণ নিয়ে এসো যদি তোমরা সত্যবাদী হও।’
قُل لَّا يَعۡلَمُ مَن فِى ٱلسَّمَـٰوَٲتِ وَٱلۡأَرۡضِ ٱلۡغَيۡبَ إِلَّا ٱللَّهُۚ وَمَا يَشۡعُرُونَ أَيَّانَ يُبۡعَثُونَ ٦٥
আরবি উচ্চারণ ২৭.৬৫। কুল্ লা-ইয়া’লামু মান্ ফিস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্বিল্ গইবা ইল্লাল্লা-হ্; অমা-ইয়াশ্‘ঊরূনা আইয়্যা-না ইয়ুব্‘আছূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৬৫ বল, ‘আল্লাহ ছাড়া আসমানসমূহে ও যমীনে যারা আছে তারা গায়েব জানে না। আর কখন তাদেরকে পুনরুত্থিত করা হবে তা তারা অনুভব করতে পারে না’।
بَلِ ٱدَّٲرَكَ عِلۡمُهُمۡ فِى ٱلۡأَخِرَةِۚ بَلۡ هُمۡ فِى شَكٍّ۬ مِّنۡہَاۖ بَلۡ هُم مِّنۡهَا عَمُونَ ٦٦
আরবি উচ্চারণ ২৭.৬৬। বালিদ্ দা-রকা ‘ইল্মুহুম্ ফিল্ আ-খিরতি বাল্ হুম্ ফী শাক্কিম্ মিন্হা-বাল্ হুম্-মিন্হা ‘আমূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৬৬ বরং আখিরাত সম্পর্কে তাদের জ্ঞান নিঃশেষ হয়েছে। বরং সে বিষয়ে তারা সন্দেহে আছে; বরং এ ব্যাপারে তারা অন্ধ।
وَقَالَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓاْ أَءِذَا كُنَّا تُرَٲبً۬ا وَءَابَآؤُنَآ أَٮِٕنَّا لَمُخۡرَجُونَ ٦٧
আরবি উচ্চারণ ২৭.৬৭। অক্ব-লাল্ লাযীনা কাফারূ য় আ ইযা-কুন্না তুরা-বাঁও অ আ-বা-য়ুনা য় আইন্না লামুখ্রাজুন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৬৭ আর কাফিররা বলে, ‘আমরা ও আমাদের পিতৃপুরুষরা মাটি হয়ে যাব তখনো কি আমাদেরকে উত্থিত করা হবে’?
لَقَدۡ وُعِدۡنَا هَـٰذَا نَحۡنُ وَءَابَآؤُنَا مِن قَبۡلُ إِنۡ هَـٰذَآ إِلَّآ أَسَـٰطِيرُ ٱلۡأَوَّلِينَ ٦٨
আরবি উচ্চারণ ২৭.৬৮। লাক্বদ্ উ‘ইদ্না-হাযা-নাহ্নু অ আ-বা-য়ুনা মিন্ ক্বাব্লু ইন্ হা-যা য় ইল্লায় আসা-ত্বীরুল্ আউওয়ালীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৬৮ ইতঃপূর্বে আমাদেরকে আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে এ বিষয়ে ওয়াদা দেয়া হয়েছিল, ‘এটি প্রাচীন লোকদের উপকথা ছাড়া কিছুই নয়’।
قُلۡ سِيرُواْ فِى ٱلۡأَرۡضِ فَٱنظُرُواْ ڪَيۡفَ كَانَ عَـٰقِبَةُ ٱلۡمُجۡرِمِينَ ٦٩
আরবি উচ্চারণ ২৭.৬৯। কুল্ সীরূ ফিল্ র্আদ্বি ফান্জুরূ কাইফা কা-না ‘আ-ক্বিবাতুল্ মুজরিমীন্। বাংলা অনুবাদ ২৭.৬৯ বল, ‘তোমরা যমীনে ভ্রমণ কর, তারপর দেখ, কিরূপ হয়েছিল অপরাধীদের পরিণতি।’
وَلَا تَحۡزَنۡ عَلَيۡهِمۡ وَلَا تَكُن فِى ضَيۡقٍ۬ مِّمَّا يَمۡكُرُونَ ٧٠
আরবি উচ্চারণ ২৭.৭০। অলা-তাহ্যান্ ‘আলাইহিম্ অলা-তাকুন্ ফী দ্বোয়াইক্বিম্ মিম্মা-ইয়াম্কুরূন্। বাংলা অনুবাদ ২৭.৭০ আর তাদের জন্য দুঃখ করো না এবং তারা যে ষড়যন্ত্র করে তাতে মনক্ষুণœ হয়ো না।
وَيَقُولُونَ مَتَىٰ هَـٰذَا ٱلۡوَعۡدُ إِن كُنتُمۡ صَـٰدِقِينَ ٧١
আরবি উচ্চারণ ২৭.৭১। অ ইয়াকু লূনা মাতা- হা-যাল্ ওয়া’দু ইন্ কুন্তুম্ ছোয়া-দিক্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৭১ আর তারা বলে, ‘তোমরা সত্যবাদী হলে (বল) এই ওয়াদা কখন আসবে’?
قُلۡ عَسَىٰٓ أَن يَكُونَ رَدِفَ لَكُم بَعۡضُ ٱلَّذِى تَسۡتَعۡجِلُونَ ٧٢
আরবি উচ্চারণ ২৭.৭২। কুল্ ‘আসা য় আইঁ ইয়্যাকূনা রদিফা লাকুম্ বা’দ্বুল্লাযী তাস্তা’জ্বিলূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৭২ বল, ‘আশা করা যায়, তোমরা যে বিষয়ে তাড়াহুড়া করছ তার কিছু অচিরেই হবে’।
وَإِنَّ رَبَّكَ لَذُو فَضۡلٍ عَلَى ٱلنَّاسِ وَلَـٰكِنَّ أَڪۡثَرَهُمۡ لَا يَشۡكُرُونَ ٧٣
আরবি উচ্চারণ ২৭.৭৩। অ ইন্না রব্বাকা লাযূ ফাদ্ব্লিন্ ‘আলান্ না-সি অলা-কিন্না আক্ছারহুম্ লা-ইয়াশ্কুরূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৭৩ আর নিশ্চয় তোমার রব মানুষের প্রতি অনুগ্রহশীল; কিন্তু তাদের বেশীর ভাগই শুকরিয়া আদায় করে না।
وَإِنَّ رَبَّكَ لَيَعۡلَمُ مَا تُكِنُّ صُدُورُهُمۡ وَمَا يُعۡلِنُونَ ٧٤
আরবি উচ্চারণ ২৭.৭৪। অ ইন্না রব্বাকা লা-ইয়া’লামু মা- তুকিন্নু ছুদূরুহুম্ অমা-ইয়ু’লিনূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৭৪ আর নিশ্চয় তোমার রব, অবশ্যই তিনি জানেন তাদের অন্তর যা গোপন করে এবং যা তারা প্রকাশ করে।
وَمَا مِنۡ غَآٮِٕبَةٍ۬ فِى ٱلسَّمَآءِ وَٱلۡأَرۡضِ إِلَّا فِى كِتَـٰبٍ۬ مُّبِينٍ ٧٥
আরবি উচ্চারণ ২৭.৭৫। অমা-মিন্ গ-য়িবাতিন্ ফিস্ সামা-য়ি অল্ র্আদ্বি ইল্লা-ফী কিতা-বিম্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৭৫ আর আসমান ও যমীনে এমন কোন গোপন বিষয় নেই যা সুস্পষ্ট কিতাবে লিপিবদ্ধ নেই।
إِنَّ هَـٰذَا ٱلۡقُرۡءَانَ يَقُصُّ عَلَىٰ بَنِىٓ إِسۡرَٲٓءِيلَ أَڪۡثَرَ ٱلَّذِى هُمۡ فِيهِ يَخۡتَلِفُونَ ٧٦
আরবি উচ্চারণ ২৭.৭৬। ইন্না হা-যাল্ ক্বরআ-না ইয়াকুছ্ছু ‘আলা-বানী য় ইস্রা-য়ীলা আক্ছারাল্লাযী হুম্ ফীহি ইয়াখ্তালিফূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৭৬ নিশ্চয় এ কুরআন তাদের কাছে বর্ণনা করছে, বনী ইসরাঈল যেসব বিষয়ে বিতর্ক করে তার অধিকাংশই।
وَإِنَّهُ ۥ لَهُدً۬ى وَرَحۡمَةٌ۬ لِّلۡمُؤۡمِنِينَ ٧٧
আরবি উচ্চারণ ২৭.৭৭। অ ইন্নাহূ লাহুদাঁও অ রহ্মাতু ল্লিল্ মুমিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৭৭ আর নিশ্চয় এটি মুমিনদের জন্য হিদায়াত ও রহমত।
إِنَّ رَبَّكَ يَقۡضِى بَيۡنَہُم بِحُكۡمِهِۦۚ وَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلۡعَلِيمُ ٧٨
আরবি উচ্চারণ ২৭.৭৮। ইন্না রব্বাকা ইয়াকদ্বী বাইনাহুম্ বিহুক্মিহী অহুওয়াল্ ‘আযীযুল্ ‘আলীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৭৮ নিশ্চয় তোমার রব নিজের বিচার-প্রজ্ঞা দ্বারা তাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন; আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ।
فَتَوَكَّلۡ عَلَى ٱللَّهِۖ إِنَّكَ عَلَى ٱلۡحَقِّ ٱلۡمُبِينِ ٧٩
আরবি উচ্চারণ ২৭.৭৯। ফাতাওয়াক্কাল্ ‘আলা ল্লা-হ্; ইন্নাকা ‘আলাল্ হাকক্বিল্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৭৯ অতএব আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল কর; কারণ তুমি সুস্পষ্ট সত্যের ওপর অধিষ্ঠিত আছ।
إِنَّكَ لَا تُسۡمِعُ ٱلۡمَوۡتَىٰ وَلَا تُسۡمِعُ ٱلصُّمَّ ٱلدُّعَآءَ إِذَا وَلَّوۡاْ مُدۡبِرِينَ ٨٠
আরবি উচ্চারণ ২৭.৮০। ইন্নাকা লা-তুস্ মি‘উল্ মাওতা অলা-তুস্মি‘উছ্ ছুম্মাদ্দু‘আ-য়া ইযা-অল্লাও মুদ্বিরীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৮০ নিশ্চয় তুমি মৃতকে শোনাতে পারবে না, আর তুমি বধিরকে আহবান শোনাতে পারবে না, যখন তারা পিঠ দেখিয়ে চলে যায়।
وَمَآ أَنتَ بِہَـٰدِى ٱلۡعُمۡىِ عَن ضَلَـٰلَتِهِمۡۖ إِن تُسۡمِعُ إِلَّا مَن يُؤۡمِنُ بِـَٔايَـٰتِنَا فَهُم مُّسۡلِمُونَ ٨١
আরবি উচ্চারণ ২৭.৮১। অমা য় আন্তা বিহা-দিল্ ‘উম্য়ি ‘আন্ দ্বোয়ালা-লাতিহিম্ ইন্ তুস্মি‘উ ইল্লা-মাইঁ ইয়ুমিনু বিআ-ইয়া-তিনা-ফাহুম্ মুস্লিমূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৮১ আর তুমি অন্ধদেরকে তাদের ভ্রষ্টতা থেকে হিদায়াতকারী নও; তুমি কেবল তাদেরকে শোনাতে পারবে যারা আমার আয়াতসমূহে ঈমান আনে, অতঃপর তারাই আত্মসমর্পণকারী।
۞ وَإِذَا وَقَعَ ٱلۡقَوۡلُ عَلَيۡہِمۡ أَخۡرَجۡنَا لَهُمۡ دَآبَّةً۬ مِّنَ ٱلۡأَرۡضِ تُكَلِّمُهُمۡ أَنَّ ٱلنَّاسَ كَانُواْ بِـَٔايَـٰتِنَا لَا يُوقِنُونَ ٨٢
আরবি উচ্চারণ ২৭.৮২। অ ইযা-অক্বা‘আল্ ক্বাওলু ‘আলাইহিম্ আখ্রাজনা লাহুম্ দা-ব্বাতাম্ মিনাল্ র্আদ্বি তুকাল্লিমুহুম্ আন্নান্ না-সা কা-নূ বি আ-ইয়া-তিনা-লা-ইয়ূক্বিনূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৮২ আর যখন তাদের উপর ‘বাণী’ (আযাব) বাস্তবায়িত হবে তখন আমি যমীনের জন্তু (দাব্বাতুল আরদ) বের করব, যে তাদের সাথে কথা বলবে। কারণ মানুষ আমার আয়াতসমূহে সুদৃঢ় বিশ্বাস রাখত না।
وَيَوۡمَ نَحۡشُرُ مِن ڪُلِّ أُمَّةٍ۬ فَوۡجً۬ا مِّمَّن يُكَذِّبُ بِـَٔايَـٰتِنَا فَهُمۡ يُوزَعُونَ ٨٣
আরবি উচ্চারণ ২৭.৮৩। অ ইয়াওমা নাহ্শুরু মিন্ কুল্লি উম্মাতিন্ ফাওজ্বাম্ মিম্মাইঁ ইয়ুকায্যিবু বিআ-ইয়া-তিনা- ফাহুম ইয়ূযা‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৮৩ আর স্মরণ কর সেদিনের কথা, যেদিন প্রত্যেক জাতির মধ্য থেকে যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করত তাদেরকে আমি দলে দলে সমবেত করব। অতঃপর তাদেরকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
حَتَّىٰٓ إِذَا جَآءُو قَالَ أَڪَذَّبۡتُم بِـَٔايَـٰتِى وَلَمۡ تُحِيطُواْ بِہَا عِلۡمًا أَمَّاذَا كُنتُمۡ تَعۡمَلُونَ ٨٤
আরবি উচ্চারণ ২৭.৮৪। হাত্তা য় ইযা-জ্বা-য়ূ ক্ব-লা আকায্যাব্তুম্ বিআ-ইয়া-তী অ লাম্ তুহীতু বিহা-‘ইল্মান্ আম্মা-যা-কুন্তুম্ তা’মাল্ন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৮৪ অবশেষে যখন তারা আসবে, তখন আল্লাহ বলবেন, ‘তোমরা কি আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছিলে, অথচ সে বিষয়ে তোমাদের কোন জ্ঞানই ছিল না? নাকি তোমরা আরো কী করেছিলে?’
وَوَقَعَ ٱلۡقَوۡلُ عَلَيۡہِم بِمَا ظَلَمُواْ فَهُمۡ لَا يَنطِقُونَ ٨٥
আরবি উচ্চারণ ২৭.৮৫। অ অক্ব‘আল্ ক্বওলু ‘আলাইহিম্ বিমা-জোয়ালামূ ফাহুম্ লা- ইয়ান্ত্বিকূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৮৫ আর তাদের উপর বাণী (আযাব) বাস্তবায়িত হবে। কারণ তারা যুলম করেছিল। ফলে তারা কথা বলতে পারবে না।
أَلَمۡ يَرَوۡاْ أَنَّا جَعَلۡنَا ٱلَّيۡلَ لِيَسۡكُنُواْ فِيهِ وَٱلنَّهَارَ مُبۡصِرًاۚ إِنَّ فِى ذَٲلِكَ لَأَيَـٰتٍ۬ لِّقَوۡمٍ۬ يُؤۡمِنُونَ ٨٦
আরবি উচ্চারণ ২৭.৮৬। আলাম্ ইয়ারও আন্না জ্বা‘আল্নাল্লাইলা লিইয়াস্কুনূ ফীহি অন্নাহা-র মুব্ছির-; ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-ইয়া-তিল্লিক্বওমিই ইয়ুমিনূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৮৬ তারা কি দেখে না যে, আমি রাতকে সৃষ্টি করেছি, যেন তারা তাতে বিশ্রাম নিতে পারে এবং দিনকে করেছি আলোকিত? নিশ্চয় এতে নিদর্শনাবলী রয়েছে সেই কওমের জন্য যারা ঈমান এনেছে।
وَيَوۡمَ يُنفَخُ فِى ٱلصُّورِ فَفَزِعَ مَن فِى ٱلسَّمَـٰوَٲتِ وَمَن فِى ٱلۡأَرۡضِ إِلَّا مَن شَآءَ ٱللَّهُۚ وَكُلٌّ أَتَوۡهُ دَٲخِرِينَ ٨٧
আরবি উচ্চারণ ২৭.৮৭। অ ইয়াওমা ইয়ুন্ফাখু ফিছ্ ছূরি ফাফাযি‘আ মান্ ফিস্ সামা-ওয়া-তি অ মান্ ফিল্ র্আদ্বি ইল্লা-মান্ শা-য়াল্লা-হ্; অ কুল্লুন্ আতাওহু দা-খিরীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৮৭ আর যেদিন শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে, সেদিন আসমানসমূহ ও যমীনে যারা আছে সবাই ভীত হবে; তবে আল্লাহ যাদেরকে চাইবেন তারা ছাড়া। আর সবাই তাঁর কাছে হীন অবস্থায় উপস্থিত হবে।
وَتَرَى ٱلۡجِبَالَ تَحۡسَبُہَا جَامِدَةً۬ وَهِىَ تَمُرُّ مَرَّ ٱلسَّحَابِۚ صُنۡعَ ٱللَّهِ ٱلَّذِىٓ أَتۡقَنَ كُلَّ شَىۡءٍۚ إِنَّهُ ۥ خَبِيرُۢ بِمَا تَفۡعَلُونَ ٨٨
আরবি উচ্চারণ ২৭.৮৮। অ তারল্ জ্বিবা-লা তাহ্সাবুহা- জ্বা-মিদাতাঁও অহিয়া তার্মুরু র্মারস্ সাহা-ব্; ছুন্‘আল্ল-হি ল্লাযী য় আত্ক্বনা কুল্লা শাইয়িন্ ইন্নাহু খাবীরুম্ বিমা-তাফ্‘আলূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৮৮ আর তুমি পাহাড়সমূকে দেখছ, সেগুলোকে তুমি স্থির মনে করছ। অথচ তা মেঘমালার ন্যায় চলতে থাকবে। (এটা) আল্লাহর কাজ, যিনি সব কিছু দৃঢ়ভাবে করেছেন। নিশ্চয় তোমরা যা কর, তিনি সে সম্পর্কে বিশেষভাবে অবহিত।
مَن جَآءَ بِٱلۡحَسَنَةِ فَلَهُ ۥ خَيۡرٌ۬ مِّنۡہَا وَهُم مِّن فَزَعٍ۬ يَوۡمَٮِٕذٍ ءَامِنُونَ ٨٩
আরবি উচ্চারণ ২৭.৮৯। মান্ জ্বা-য়া বিল্হাসানাতি ফালাহূ খইরুম্ মিন্হা-অ হুম্ মিন্ ফাযাই; ইয়াওমায়িযিন্ আ-মিনূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৮৯ যে ব্যক্তি সৎকাজ নিয়ে আসবে তার জন্য থাকবে তা থেকে উত্তম প্রতিদান এবং সেদিনের ভীতিকর অবস্থা থেকে তারা নিরাপদ থাকবে।
وَمَن جَآءَ بِٱلسَّيِّئَةِ فَكُبَّتۡ وُجُوهُهُمۡ فِى ٱلنَّارِ هَلۡ تُجۡزَوۡنَ إِلَّا مَا كُنتُمۡ تَعۡمَلُونَ ٩٠
আরবি উচ্চারণ ২৭.৯০। অ মান্ জ্বা-য়া বিস্ সাইয়িয়াতি ফাকুব্বাত্ উজুহু হুম্ ফীন্নার্-; হাল্ তুজযাওনা ইল্লা-মা-কুন্তুম্ তা’মালূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৯০ আর যারা মন্দ কাজ নিয়ে আসবে তাদেরকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে; (তাদেরকে বলা হবে) ‘তোমরা যে আমল করেছ তারই প্রতিদান তোমাদেরকে দেয়া হল’।
إِنَّمَآ أُمِرۡتُ أَنۡ أَعۡبُدَ رَبَّ هَـٰذِهِ ٱلۡبَلۡدَةِ ٱلَّذِى حَرَّمَهَا وَلَهُ ۥ ڪُلُّ شَىۡءٍ۬ۖ وَأُمِرۡتُ أَنۡ أَكُونَ مِنَ ٱلۡمُسۡلِمِينَ ٩١
আরবি উচ্চারণ ২৭.৯১। ইন্নামা য় উর্মিতু আন্ আ’বুদা রব্বাহা-যিহিল্ বাল্দাতিল্লাযী র্হারামাহা-অ লাহূ কুল্লু শাইয়িঁও অ উর্মিতু আন্ আকূনা মিনাল্ মুস্লিমীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৯১ ‘আমাকে তো নির্দেশ দেয়া হয়েছে এই শহরের রব-এর ইবাদাত করতে যিনি এটিকে সম্মানিত করেছেন এর সব কিছু তাঁরই অধিকারে। আর আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, আমি যেন মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত হই’।
وَأَنۡ أَتۡلُوَاْ ٱلۡقُرۡءَانَۖ فَمَنِ ٱهۡتَدَىٰ فَإِنَّمَا يَہۡتَدِى لِنَفۡسِهِۦۖ وَمَن ضَلَّ فَقُلۡ إِنَّمَآ أَنَا۟ مِنَ ٱلۡمُنذِرِينَ ٩٢
আরবি উচ্চারণ ২৭.৯২। অ আন্ আত্লুওয়াল্ ক্বরআ-না ফামানিহ্ তাদা-ফাইন্নামা-ইয়াহ্তাদী লিনাফ্সিহী অমান্ দ্বোয়াল্লা ফাকুল্ ইন্নামা য় আনা মিনাল্ মুন্যিরীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৯২ ‘আর আমি যেন আল-কুরআন অধ্যয়ন করি, অতঃপর যে হিদায়াত লাভ করল সে নিজের জন্য হিদায়াত লাভ করল; আর যে পথভ্রষ্ট হল তাকে বল, ‘আমি তো সতর্ককারীদের অন্তর্ভুক্ত।’
وَقُلِ ٱلۡحَمۡدُ لِلَّهِ سَيُرِيكُمۡ ءَايَـٰتِهِۦ فَتَعۡرِفُونَہَاۚ وَمَا رَبُّكَ بِغَـٰفِلٍ عَمَّا تَعۡمَلُونَ ٩٣
আরবি উচ্চারণ ২৭.৯৩। অ কুলিল্ হাম্দু লিল্লা-হি সাইয়ুরীকুম্ আ-ইয়া-তিহী ফাতা’রিফূনাহা-; অমা-রব্বুকা বিগ-ফিলিন্ আম্মা-তা’মালূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৭.৯৩ আর বল, ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর; অচিরেই তিনি তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনসমূহ দেখাবেন, তখন তোমরা তা চিনতে পারবে আর তোমরা যা আমল কর সে ব্যাপারে তোমাদের রব বে-খবর নন।’
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও
- নামাজে আমরা যা বলি তার অর্থ জানলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবেনা !!
- ভাগে কোরবানির নিয়ম, অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার নিয়ম, ভাগে কোরবানির যত বিধি বিধান
- কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব,আরও একবার জানুন কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব
- ইসলামে কুরবানীর গুরুত্ব ও বিধান,ইসলামে কোরবানির যত ফজিলত গুরুত্ব ও শিক্ষা
- বৃষ্টির নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, বৃষ্টির নামাজের পর আমল
- ইসতিসকার নামাজের নিয়ম ও নিয়ত, ইসতিসকার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, ইসতিসকার নামাজের পর আমল
- বাসর রাত সম্পর্কে ইসলামের বিধান,বাসর রাতের নামাজ
- তাসবিহ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, তাসবিহ সালাতের ফজিলত