প্রশ্ন সমাধান: একমালিকানা ও অংশীদারি ব্যবসায়ের মধ্যে পার্থক্য,তুলনা একমাত্র মালিকানা এবং অংশীদারিত্বের মধ্যে পার্থক্য, অংশীদারী ব্যবসায় ও একমালিকানা ব্যবসার মধ্যে পার্থক্য,একমালিকানা ও অংশীদারি ব্যবসার তুলনামুলক আলোচনা
একমালিকানা ও অংশীদারী ব্যবসায়ের মধ্যে পার্থ্ক্য
Differences between sole tradership and partnership business
সহজ গঠন, অসীম দায়, প্রত্যক্ষ সম্পর্ক্য, স্বাধীন সত্তার অভাব, সহজ বিলোপ ইত্যাদি ক্ষেত্রে একমালিকানা ও অংশীদারি ব্যবসায়ের মধ্যে মিল থাকলেও এদের মধ্যে যথেষ্ট পার্থ্ক্য বিদ্যমান।
নিম্নে পার্থ্ক্যসমূহ উল্লেখ করা হলোঃ
পার্থ্’ক্যের বিষয় | একমালিকানা ব্যবসায় | অংশীদারি ব্যবসায় |
১. সদস্য সংখ্যা | এই ব্যবসায়ের মালিক একজন মাত্র ব্যাক্তি । | এরূপ ব্যবসায় একাধিক মালিক বা সদস্য থাকে। |
২. মূলধন | এরূপ ব্যবসায়ের মূলধন সাধারণত কম হয় । | সদস্য সংখ্যা বেশি হওয়ায় এই ব্যবসায়ের মূলধন সাধারণত বেশি হয় । |
৩. আয়তন | মূলধন কম হওয়ায় এরূপ ব্যবসায় সাধারণত ক্ষুদ্র প্রকৃতিতে গড়ে উঠে। | তুলনামূলক বিচারে এই ব্যবসায়ের প্রকৃতি বড় হয়। আয়তন বিচারে এটি মাঝারি আয়তনের ব্যবসায় সংগঠন। |
৪. সিদ্ধান্ত গ্রহণ | এ ক্ষেত্রে মালিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের একক ক্ষমতার অধিকারী। তাই দ্রুত সিদ্ধন্ত গ্রহণ করা যায়। | এ ক্ষেত্রে সকল অংশীদারের মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয় । বিধায় অনেক ক্ষেত্রোই সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব হয়। |
৫. পরিচালনা | এ ধরনের ব্যবসায়ে পরিচালনার মূল দায়িত্ব একক মালিকের উপর ন্যস্ত। | এক্ষেত্রে সকল অংশীদার ব্যবসায় পরিচালনায় অংশগ্রহণের অধিকারী । তবে তাদের পক্ষে যে কেউ তা পরিচালনা করতে পারে। |
৬. লাভ-লোকসান বন্টন | এই ব্যবসায়ের সমস্ত লাভ মালিক একাই ভোগ করে এবং লোকসান একাই বহন করে | এ ক্ষেত্রে লাভ-লোকসান চুক্তি অনুযায়ী অন্যথায় সমান হারে অংশীদারদের মধ্যে বন্টন হয়। |
৭. পারস্পরিক প্রতিনিধিত্ব | এরূপ ক্ষেত্রে মালিক একজন বিধায় তার পক্ষে অন্য কেউ প্রতিনিধি বিবেচিত হয় না। | এ ক্ষেত্রে প্রত্যেক অংশীদার একে অন্যের প্রতিনিধি বিবেচিত হয়। |
৮. মালিকের স্বাধীনতা | এ ক্ষেত্রে মালিকের ব্যক্তি-স্বাধীনতা সর্বাধিক। | এ ক্ষেত্রে অংশীদারদের ব্যক্তি-স্বাধীনতা তুলনামূলক বিচারে কম হয়। |
৯. সাংগঠনিক দক্ষতা | সাংগঠনিক দক্ষতার বিচারে এরূপ সংগটন অধিক দক্ষ বিবেচিত হয়। | এ ক্ষেত্রে নানান জটিলতার কারণে সংগঠন অধিক দক্ষ হতে পারে না। |
১০. সম্প্রসারণের সুযোগ | একক মালিকের আর্থিক ও ব্যক্তিগত সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতার কারণে এতে সম্প্রসারণের সুযোগ কম থাকে। | এক্ষেত্রে সদস্য বেশি হওয়ার এবং প্রয়োজনে সর্বোচ্চসীমা সংখ্যক সদস্য নেয়ার সুযোগ থাকায় সম্প্রসারণের সুযোগ বেশি হয়। |
১১. নিবন্ধন | এ ধরনের ব্যবসায় নিবন্ধনের কোন প্রয়োজন পড়ে না। | ইচ্ছা করলে এ ধরনের ব্যবসায় নিবন্ধন করা যায়। |
১২. আইনের সমর্থ্ন | এরূপ ব্যবসায়ের জন্য পৃথক কোন আইন নেই। | ১৯৩২ সালের অংশীদারি আইন এ দেশে এ ব্যবসায়ের জন্য বিশেষভাবে প্রণীত আইন। |
১৩. নমনীয়তা | এরূপ ব্যবসায়ে সহজেই পরিবর্তিত অবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে চলা যায়। | তুলনামূলম বিচারে এ ক্ষেত্রে নমনীয়তার সুযোগ কম থাকে। |
১৪. ভুল বোঝবিুঝির সম্ভাবনা | মালিক একজন হওয়ায় এক্ষেত্রে ভুল বোঝাবুঝির কোনো প্রশ্ন আসে না। | এক্ষেত্রে অংশীদারদের মধ্যে নানান কারণেই ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হতে পারে। |
১৫. গঠন ও বিলোপ | এই ব্যবসায়ের গঠন ও বিলোপ উভয়ই সহজ । | এই ব্যবসায়ের গঠন ও বিলোপের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট আনুষ্ঠানিকতা পালনের প্রয়োজন পড়ে। |
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও
- মার্চেন্ট ব্যাংকের কার্যাবলি আলোচনা কর, মার্চেন্ট ব্যাংকের কার্যক্রম বর্ণনা কর
- বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় কি কি ব্যবস্থা প্রচলিত আছে বিস্তারিত লিখুন
- সোয়াপ (SWAP) কাকে বলে? , সোয়াপ (SWAP) কতো প্রকার বিস্তারিত আলোচনা করো
- ব্যবসায়িক ঝুকি বলতে কি বুঝায় উদাহরণ সহ আলোচনা করো
- বিনিয়োগ ব্যাংকের ট্রেডিং ব্যবস্থা আলোচনা করো
- খিলাফত রাষ্ট্র ও আধুনিক মুসলিম রাষ্ট্র পার্থক্য । খিলাফত রাষ্ট্র vs আধুনিক মুসলিম রাষ্ট্র পার্থক্য