খাদ্য ভেজাল একটি অনুচ্ছেদ লিখুন, অনুচ্ছেদ খাদ্য ভেজাল , অনুচ্ছেদ খাদ্য ভেজাল অনুচ্ছেদ, খাদ্য ভেজাল অনুচ্ছেদ PDF Download,অনুচ্ছেদ নিয়োগ পরীক্ষায় আসা খাদ্য ভেজাল, খাদ্য ভেজাল অনুচ্ছেদ বাংলা ২য় পত্র অনুচ্ছেদ, অনুচ্ছেদ খাদ্য ভেজাল (PDF Download)

বিষয়: খাদ্য ভেজাল একটি অনুচ্ছেদ লিখুন, অনুচ্ছেদ খাদ্য ভেজাল , অনুচ্ছেদ খাদ্য ভেজাল অনুচ্ছেদ

ভেজাল অনুচ্ছেদ বাংলা ২য় পত্র -১

খাদ্য খেয়ে মানুষ বেঁচে থাকে। খাঁটি খাবার খেয়ে মানুষ সুস্থ থাকে। মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য নির্ভেজাল খাদ্যের বিকল্প নেই। কিন্তু এই নির্ভেজাল খাদ্যসামগ্রী পাওয়াই এখন কঠিন। কারণ এমন কোনো খাদ্যদ্রব্য পাওয়া যাবে না যাতে কোনো ভেজাল নেই।

অধিক মুনাফার জন্য এক শ্রেণির মানুষের লোভ এখন এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে তা নিয়ন্ত্রণ করা দুঃসাধ্য। মানুষের মানবিক স্বভাব বদলে গেছে, তার চরিত্রের গুণগুলো লোপ পেতে চলেছে। নেতিবাচক চিন্তা-চেতনা তাকে অহরহ লোভের দিকে, অর্থ-সম্পদ লাভের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। মানুষ হয়ে উঠেছে হিংস্র পশু।

তাই সে অন্যের ক্ষতি করতে, অন্যের জীবননাশ করতে, অন্যকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে কোনো পরোয়া করে না। তার লক্ষ্য মানুষের জীবন নয়- তার লক্ষ্য প্রভূত অর্থ-সম্পদ অর্জন, বিলাসী জীবন-যাপনের মাধ্যমে জীবনকে উপভোগ করা।

এ কারণে দ্রব্যের ওজন বৃদ্ধি করে লাভবান হওয়ার জন্য খাঁটি খাদ্যে কাঁকর-বালি ইত্যাদি মেশায়, সবজি-ফল-মাছ-মাংস তাজা রাখার জন্য মেশায় ফরমালিন, গুঁড়ো দুধে মেলায় মেলামাইন।

জীবন রক্ষাকারী ওষুধে মেশায় ট্যালকম পাউডার, আটা-ময়দা ও নিম্ন মানের উপাদান। ঘিয়ের সঙ্গে পশুর চর্বি, নারকেল তেলের সঙ্গে বাদাম তেল, সরিষার সঙ্গে শিয়াল কাঁটার বীজ, চা-পাতার সঙ্গে কাঠের গুঁড়া, মরিচ ও হলুদের গুঁড়ার সঙ্গে রঞ্জক পদার্থ, কোমল পানীয়ের সঙ্গে বিষাক্ত কার্বোক্সি মিথাইল সেলুলোজ। এসব রাসায়নিক মেশানোর ফলে সুস্থ মানুষ পেটের পীড়া, শ্বাসকষ্ট, বদহজম, ডায়রিয়া, আলসার, চর্মরোগ, ক্যান্সার, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হচ্ছে। ধীরগতিতে এসব রাসায়নিক দ্রব্য লিভার, কিডনি, হার্ট এমনকি কস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাও হ্রাস করে অকেজো করে দেয়।

এ ক্ষেত্রে শিশুরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। ভেজাল রোধে কঠোর আইন করা হয়েছে, ভ্রাম্যমাণ আদালত করা হয়েছে, নানামুখী প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তারপরও লোভী মুনাফাখোর মানুষের ভেজাল-তৎপরতা কমছে না। এর জন্য নিয়মিত অভিযান পরিচালনা, পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ, জনসচেতনতা সৃষ্টি ও সামাজিকভাবে ভেজাল জিনিস বয়কট করা ছাড়া আর কোনো গত্যন্তর নেই।


আরো ও সাজেশন:-

ভেজাল অনুচ্ছেদ বাংলা ২য় পত্র -২

খাদ্যে ভেজাল বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে আলোচিত ও অন্যতম সমস্যা। সাধারণত খাদ্যে ভেজাল বলতে বোঝায় খাবারের সাথে নিম্নমানের ক্ষতিকর ও অপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মেশানো। অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের লোভী মনোবৃত্তি থেকে খাবারে ভেজাল দিয়ে থাকে। এর ফলে মানুষের জীবন হুমকির মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। মানুষের জীবনে অর্থের প্রয়োজন রয়েছে। তবে তা উপার্জন করতে হবে সৎপথে থেকে।

কিন্তু সৎ ব্যবসায়ীর সংখ্যা আমাদের দেশে নগণ্য। সামান্য মুনাফার লোভে খাদ্যে ভেজাল দিয়ে মানুষের জীবনকে সংকটে ফেলে দিতে অধিকাংশের বিবেকে নাড়া দেয় না। খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল মেশানো নিন্দনীয় ও জঘন্য অপরাধ। অথচ খাদ্যে ভেজাল এখন আমাদের দেশের একটি জাতীয় সমস্যার পরিণত হয়েছে। বর্তমানে প্রায় সব খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল মেশানো হয়। খাদ্যের ধরন হিসেবে ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে কোনো খাদ্যে কৃত্রিম রং, ওজন বাড়াতে বালি, কাঁকর, পানি মেশানো হয়। এছাড়া ফরমালিন ও প্রিজারভেটিভের ব্যবহার ব্যাপক হারে লক্ষ্য করা যায়।

ভেজাল খাবার খেয়ে অনেক মানুষকে অসুস্থতার পাশাপাশি মৃত্যুবরণ করতেও দেখা যায়। তাই জনস্বাস্থ্যের কথা ভেবে খাদ্যদ্রব্যকে ভেজালের কবল থেকে মুক্ত করতে দেশের সরকার ও সচেতন নাগরিক সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এজন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আরও কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। ভেজাল একধরনের সামাজিক অপরাধ। এ ব্যাপারে সকলকে সচেতন করে তুলতে হবে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

ভেজাল অনুচ্ছেদ বাংলা ২য় পত্র -৩

আজকের দিনে খাদ্যে ভেজাল একটি নীরব ঘাতক হিসেবে দেখা দিয়েছে। শহর-গ্রাম কোনাে এলাকার মানুষ এই সমস্যার আওতামুক্ত নয়। সাধারণত খাদ্যে ভেজাল বলতে বােঝায় খাবারের সঙ্গে নিম্নমানের ক্ষতিকর ও অপ্রয়ােজনীয় দ্রব্য মেশানাে। অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের লােভী মনােবৃত্তি থেকে খাবারে ভেজাল দিয়ে থাকে।

এতে মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়ছে। যদিও খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল মেশানাে নিন্দনীয় ও জঘন্য অপরাধ, তবুও বর্তমানে প্রায় সব খাবারেই ভেজাল মেশানাে হয়। খাদ্যের ধরন।

হিসেবে ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে কোনাে কৃত্রিম রং, ওজন বাড়াতে বালি, কাঁকর, পানি মেশানাে হয়। সার্বিকভাবে খাদ্যে ভেজাল থাকার বিষয়টি দুইভাবে সম্পন্ন হয়।

যেমন- ১. অসাবধানতাবশত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে, ২. ইচ্ছাকৃত বা অধিক মুনাফা লাভের আশায় । খাদ্যে অনিচ্ছাকৃত ভেজাল ততটা ক্ষতিকর নয়। কিন্তু ইচ্ছাকৃত ভেজাল মেশানাে মারাত্মক ক্ষতিকর।

ইচ্ছাকৃত ভেজাল মেশানাের সবচেয়ে ভয়ংকর দিক হলাে খাদ্যে কেমিক্যাল মেশানাে। খাদ্যে ভেজাল হিসেবে সাধারণত যে সকল কেমিক্যাল মেশানাে হয় তা হলাে— কৃত্রিম রং, এমাইলাম, কেইন সুন্দর, ইউরিয়া, ফরমালিন, ক্যালসিয়াম কার্বড়াই, ইথােপেন ইত্যাদি বর্তমান বাংলাদেশে ভেজালের যে সর্বনাশ কর্মকাণ্ড চলে তাতে আমরা সবাই কম-বেশি আক্রান্ত। সাধারণত যে ফলমূলগুলাে আমরা খাই, যেমন- কলা, আঙুর, আপেল, আম, আনারস প্রায় সবগুলােতেই কেমিক্যাল বা বিষ মেশানাে ।

আবার রান্নার খাবার, যেমন— মাছ-মাংস-সবজি এমনকি দুধ বা দুগ্ধজাত মিষ্টিতে ভেজাল ও কেমিক্যাল মেশানাে হচ্ছে। অবস্থা এমন যে ক্রেতা জানেন খাদ্যপণ্যটি কেমিক্যাল মেশানাে বা ভেজাল, তবুও তিনি কিনছেন। কারণ অন্য কোনাে উপায় আপাতত তার কাছে নেই। এর ফলে ভেজাল খাবার আমাদের কিডনি এবং লিভারকে প্রতিনিয়ত একটু একটু করে নষ্ট করে দিচ্ছে।

প্রায় প্রতিকারহীন এই অবস্থায় আমরা নিয়তির কাছে নিজের ভাগ্যকে সমর্পণ করে দীর্ঘশ্বাস ফেলছি। এই খাদ্যে ভেজালের অভিশাপ থেকে শিগগিরই পরিত্রাণ দরকার। আর তার জন্যে প্রয়ােজন দেশের সরকার ও জনগণের সমন্বিত প্রয়াস।


ভেজাল অনুচ্ছেদ বাংলা ২য় পত্র -৪

ভেজাল মানে যা খাটি নয়। অর্থাৎ কোনাে বস্তু তার স্বকীয়তা থেকে বিচ্যুত হওয়া। আর খাদ্যে ভেজাল বলতে আমরা খাদ্য পণ্যের সাথে নিম্নমানের ক্ষতিকর ও অপ্রয়ােজনীয় দ্রব্য মেশাননকে বুঝে থাকি। অসাধু ব্যসায়ীরা অধিক লাভের আশায় খাদ্যে ভেজাল মিশিয়ে থাকে। সুদূর অতীতকাল থেকেই এ প্রক্রিয়া চলে আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এর মাত্রা অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে। গেছে।

ফলে ভেজাল নেই এমন পণ্য বাজারে নেই বললেই চলে। অধিক লােভে ব্যবসায়ীরা নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে পাশবিকতায় মেতে উঠেছে। আর এসব ভেজাল পণ্য খেয়ে ভােক্তারা ডায়াবিটিস, হৃদরােগ, কিডনি অকার্যকর, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, ক্যানসারসহ দুরারােগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। পূর্বে ব্যবসায়ীরা কেবল খাদ্যে নিম্নমানের পণ্য মেশাতাে। 

এগুলাে জনস্বাস্থ্যে তেমন কোনাে অসুবিধা করতাে না। কিন্তু বর্তমানে খাদ্যে ভেজালের ক্রিয়া ও ধরনে ব্যাপকতা এসেছে। এসেছে নতুনত্ব। খাদ্যভেদে ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে রাসায়নিক পদার্থ ওজন বাড়াতে বালি, পাথর কিংবা পানি, পচনশীল পণ্যের পচন রােধে ফরমালিন ও প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয়।

জনস্বার্থে দেশের প্রতিটি মানুষের খাদ্যে ভেজাল প্রতিরােধে সক্রিয় হওয়া জরুরি। সরকার ইতােমধ্যে ভেজাল প্রতিরােধে ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রতিষ্ঠা করেছে। উর্ধ্বমহলে উদ্যোগটি প্রশংসিত হলেও ভেজাল প্রতিরােধে এটি যথেষ্ট নয়। এজন্য প্রয়ােজন সামাজিক আন্দোলন, কেননা যে ব্যবসায়ীরা খাদ্যে ভেজাল মেশায় তারা ভিনগ্রহের কেউ নয়। তারা আমাদের সমাজেরই লােক। আমাদেরই নিকটজন।

সামাজিকভাবে তাদের বয়কট করলে খাদ্যে ভেজাল মেশাননা বন্ধ হতে বাধ্য। আর তাই আমাদের সকলের উচিত খাদ্যে ভেজাল প্রতিরােধের জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তােলা।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

Paragraph & Composition/Application/Emali উত্তর লিংক ভাবসম্প্রসারণ উত্তর লিংক
আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেল উত্তর লিংক প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ রচনা উত্তর লিংক

এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

Leave a Comment