আজকের বিষয়: সূরা ফাতাহ সকল তথ্য আল কোরআন ও হাদিসের আলোতে,পৃথিবীর জানা অজানা কিছু তথ্য আল ফাতাহ আলমল ও ফজিলত, সূরা ফাতাহ কতো বার পাঠ করলে কোন আলম ও ফজিলত, সূরা ফাতাহ নাযিলের কারন গুলো কি কি ,কুরআন ৪৮ সূরা আল – ফাতাহ
নামকরণ
সূরার একেবারে প্রথম আয়াতের ( ) বাক্যাংশ থেকে এর নাম গৃহীত হয়েছে । এটি এ সূরার শুধু নামই নয় বরং বিষয়বস্তু অনুসারে এর শিরোনামও । কেননা, আল্লাহ তা’আলা হুদাইবিয়ার সন্ধির আকারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও মুসলমানদেরকে যে মহান বিজয় দান করেছিলেন এসে সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে ।
নাযিল হওয়ার সময়-কাল
৬ষ্ঠ হিজরীর যুল-কা’দা মাসে মক্কার কাফেরদের সাথে সন্ধিচুক্তি সম্পাদনের পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদীনার দিকে ফিরে যাচ্ছিলেন সে সময় এ সূরাটি নাযিল হয় । এ ব্যাপারে সমস্ত রেওয়াত একমত ।
ঐতিহাসিক পটভূমি
যেসব ঘটনার প্রেক্ষিতে সূরাটি নাযিল হয়েছিল তার সূচনা হয়েছিল এভাবে যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন স্বপ্নে দেখলেন, তিনি তাঁর সাহাবীদের সাথে পবিত্র মক্কা নগরীতে গিয়ে উমরা আদায় করেছেন । নবী স্বপ্ন নিছক স্বপ্ন এবং কল্পনা হতে পারে না । বরং তা এক প্রকার অহী । পরবর্তী ২৭ আয়াতে আল্লাহ তা’আলা নিজেও একথা অনুমোদন করেছেন যে, তিনিই তাঁর রসূলকে এ স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন । তাই প্রকৃতপক্ষে এটি নিছক স্বপ্ন ছিল না, বরং মহান আল্লাহর ইংগিত ছিল যার অনুসরণ নবীর ( সা) জন্য জরুরী ছিল ।
বাহ্যিক কার্যকরণ অনুসারে এ নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করা কোনভাবেই সম্ভব বলে মনে হচ্ছিলো না। কাফের কুরাইশরা ৬ বছর যাবত মুসলমানদের জন্য বায়তুল্লাহর পথ বন্ধ করে রেখেছিল এবং এ পুরো সময়টাতে তারা হজ্জ ও উমরাহ আদায়ের জন্য পর্যন্ত কোন মুসলমানকে হারাম এলাকার ধারে কাছে ঘেঁষতে দেয়নি । তাই এখন করে আশা করা যায় যে, তারা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সাহাবীদের একটি দলসহ মক্কায় প্রবেশ করতে দেবে? উমরার জন্য ইহরাম বেঁধে যুদ্ধের সাজ সরঞ্জম সাথে নিয়ে বের হওয়ার অর্থ যুদ্ধ ডেকে আনা এবং নিরন্ত্র হয়ে যাওয়ার অর্থ নিজের ও সংগীদের জীবনকে বিপন্ন করা । এ পরিস্থিতিতে আল্লাহ তা’আলার ইংগিত অনুসারে কিভাবে কাজ করা যেতে পারে তা কেউই বুঝে উঠতে পারছিলো না ।
কিন্তু নবীর পদমর্যাদাই এই যে, তাঁর রব তাঁকে যে নির্দেশই দান করেন তা তিনি বিনা দ্বিধায় বাস্তবায়িত করেন । তাই রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর স্বপ্নের কথা দ্বিধিহীন চিত্তে সাহাবীদের বললেন এবং সফরের প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন । আশপাশের গোত্রসমূহের মধ্যেও ব্যাপকভাবে ঘোষণা করলেন, আমরা উমরা আদায়ের জন্য যাচ্ছি । যারা আমাদের সাথে যেতে ইচ্ছুক তারা যেন এসে দলে যোগ দেয় ।
বাহ্যিক কার্যকরণসমূহের ওপর যাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিল তারা মনে করলো এরা মৃত্যুর মুখে ঝাঁপ দিতে যাচ্ছে । তাদের কেউই তার সাথে যেতে প্রস্তুত হলো না । কিন্তু যারা সত্যি সত্যিই আল্লাহ ও তার রসূলের প্রতি ঈমান পোষণ করতো পরিণাম সম্পর্কে তারা কোন পরোয়াই করেছিলো না । তাদের জন্য এটাই যথেষ্ট ছিল যে, এটা আল্লাহ তা’আলার ইংগিত এবং তাঁর রসূল এ নির্দেশ পালনের জন্য প্রস্তুত হয়েছেন । সুতরাং এখন কোন জিনিসই আর তাদেরকে আল্লাহর রসূলকে সহযোগিতা করা থেকে বিরত রাখতে সক্ষম ছিল না । নবীর ( সা) সাথে এ বিপজ্জনক সফরে যেতে ১৪শ সাহাবী প্রস্তুত হলেন ।
৬ষ্ঠ হিজরীর যুল-কা’দা মাসের প্রারম্ভে এ পবিত্র কাফেলা মদীনা থেকে যাত্রা করলো । যুল -হুলাইফাতে ১ পৌছে সবাই উমরার জন্য ইহরান বাঁধলেন । কুরবানীর জন্য ৭০ টি উট সাথে নিলেন । এ ছাড়া যুদ্ধের আর কোন উপকরণ সংগে নিলেন না । এভাবে তাঁদের এ কাফেলা লাব্বায়কা, লাব্বায়কা, ধ্বনি তুলে বায়তুল্লাহ অভিমুখে যাত্রা করলো ।
১ । এ স্থানটি মদীনা থেকে মক্কার পথে ৬ মাইল দূরত্বে অবস্থিত । এর বর্তমান নাম বি’রে আলী । মদীনার হাজীগণ এখান থেকেই হজ্জ ও উমরার ইহরাম বেঁধে থাকেন ।
সে সময় মক্কা ও মদীনার মধ্যে যে ধরনের সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল আরবের প্রতিটি শিশুও সে সম্পর্কে অবহিত ছিল । এই তো গত বছরই ৫ম হিজরীর শাওয়াল মাসের কুরাইশরা বিভিন্ন আরব গোত্রের সম্মিলিত শক্তি নিয়ে মদীনার ওপর চড়াও হয়েছিল যার কারণে বিখ্যাত আহযাব যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল । তাই রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন এত বড় একটা কাফেলা নিয়ে তাঁর রক্তের পিয়াসী শত্রুর নিজ এলাকার দিকে যাত্রা করলেন তখণ স্বাভাবিকভাবেই গোটা আরবের দৃষ্টি এ বিস্ময়কর সফরের প্রতি নিবদ্ধ হলো । সংগে সংগে তারা এও দেখলো যে, এ কাফেলা লড়াই করার জন্য যাত্রা করেনি । বরং পবিত্র মাসে ইহরাম বেঁধে কুরবানীর উট সাথে নিয়ে একবারে নিরস্ত্র অবস্থায় বায়তুল্লাহর তাওয়াফের জন্য যাচ্ছে ।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ পদক্ষেপ কুরাইশদেরকে মারাত্মক অসুবিধায় ফেলে দিল । যে পবিত্র মাসগুলোকে শত শত বছর ধরে আরবে হজ্জ ও বায়তুল্লাহর যিয়ারতের জন্য পবিত্র মনে করা হতো যুল-কা’দা মাসটি ছিল তার অন্যতম ।
যে কাফেলা এ পবিত্র মাসে ইহরাম বেঁধে হজ্জ অথবা উমরার জন্য যাত্রা করেছে তাকে বাধা দেয়ার অধিকার কারো ছিল না । এমনকি কোন গোত্রের সাথে যদি তার শত্রুতা থেকে থাকে তবুও আরবের সর্বজন স্বীকৃত আইন অনুসারে সে তাকে তার এলাকা দিয়ে অতিক্রম করতেও বাধা দিতে পারে না । কুরাইশরা দ্বিধান্বিত হয়ে পড়লো যে, যদি তারা মদীনায় এ কাফেলার ওপর হালমা করে মক্কা প্রবেশ করতে বাধা দেয় তাহলে গোটা দেশে হৈ চৈ শুরু হয়ে যাবে । আরবের প্রতিটি মানুষ বলতে শুরু করবে এটা বাড়াবাড়ী ছাড়া আর কিছুই নয় । আরবের সমস্ত গোত্র মনে করবে, আমরা খানায়ে কা’বার মালিক মুখতার হয়ে বসেছি । প্রতিটি গোত্রই এ ভেবে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়বে যে ভবিষ্যতে কাউকে হজ্জ ও উমরা করতে দেয়া না দেয়া আমাদের মর্জির ওপর নির্ভরশীল । আজ যেমন মদীনার যিয়ারতকারীদের বাধা দিচ্ছি তেমনি যাদের প্রতিই আমরা অসন্তুষ্ট হবো ভবিষ্যতে তাদেরকেই বায়তুল্লার যিয়ারত করতে বাধা দেব ।
এটা হবে এমন একটা ভুল যার কারণে সমগ্র আরব আমাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে উঠবে । অপরদিকে আমরা যদি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এত বড় কাফেলা নিয়ে নির্বিঘ্নে আমাদের শহরে প্রবেশ করতে দেই তাহলে গোটা দেশের সামনেই আমাদের প্রভাব প্রতিপত্তি বিনষ্ট হবে । লোকজন বলবে, আমরা মুহাম্মাদের ( সা) ভয়ে ভীত হয়ে পড়েছি । শেষ পর্যন্ত অনেক চিন্তা-ভাবনা ও বিচার -বিবেচনার পর তাদের জাহেলী আবেগ ও মানসিকতাই তাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করলো এবং তারা নিজেদের মুখ রক্ষার জন্য যে কোন মূল্যে এ কাফেলাকে শহরে প্রবেশ করতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলো ।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আগেভাগেই বনী কা’ব গোত্রের এক ব্যক্তিকে গুপ্তচর হিসেবে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন যাতে সে যথাসময়ে তাঁকে কুরাইশদের সংকল্প ও গতিবিধি সম্পর্কে অবহিত করতে থাকে । তিনি উসফান ১ নামক স্থানে পৌছলে সে এসে জানালো যে, পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে কুরাইশরা যি-তুয়ায় ২ পৌছেছে এবং তাঁর পথরোধ করার জন্য তারা খালিদ ইবনে ওয়ালিদকে দুই শত অশ্বরোহী সহ কুরাউল গমীম৩ অভিমুখে অগ্রগামী বাহিনী হিসেবে পাঠিয়ে দিয়েছে । দুই কুরাইশদের চক্রান্ত ছিল এই যে, কোন না কেন উপায়ে নবীর ( সা) সংগী-সাথীদের উত্যক্ত করে উত্তেজিত করা এবং তার পরে যুদ্ধ সংঘটিত হলে গোটা দেশে একথা প্রচার করে দেয়া যে, উমরা আদায়ের বাহানা করে এরা প্রকৃতপক্ষে যুদ্ধ করার জন্যই এসেছিলো এবং শুধু ধোঁকা দেয়ার জন্যই ইহরাম বেঁধেছিল ।
এ খবর পাওয়া মাত্র রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাস্তা পরিবর্তন করলেন এবং ভীষণ কষ্ট স্বীকার করে অত্যন্ত দুর্গম একটি পথ ধরে হারাম শরীফের একেবারে প্রান্ত সীমায় অবস্থিত হুদাইবিয়ায় ৪ গিয়ে পৌছলেন ।
এখানে খুয’আ গোত্রের নেতা বুদায়েল ইবনে ওয়ারকা তার গোত্রের কতিপয় লোককে সাথে নিয়ে নবীর ( সা) কাছে আসলো এবং তাঁকে জিজ্ঞেস করলো । আপনি কি উদ্দেশ্যে এখানে এসেছেন? নবী ( সা) বললেনঃ “আমরা কারো বিরুদ্ধে লড়াই করতে আসিনি । আমাদের উদ্দেশ্য শুধু বায়তুল্লাহর যিয়ারত ও তাওয়াফ” ।
তারা গিয়ে কুরাইশ নেতাদের একথাটিই জানিয়ে দিল । তারা তাদেরকে এ পরামর্শও দিল যে, তারা যেন হারামের এসব যিয়ারতকারীদের পথরোধ না করে । কিন্তু তারা তাদের জিদ বজায় রাখলো এবং নবীকে ( সা) ফিরে যেতে রাজি করানোর জন্য আহাবিশদের নেতা হুলাইস ইবনে আলকামাকে তাঁর কাছে পাঠালো । কুরাইশ নেতাদের উদ্দেশ্য ছিল , মুহাম্মামদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার কথা না মানলে সে অসন্তুষ্ট হয়ে ফিরে আসবে এবং এভাবে আহাবিশদের শক্তি তাদের পক্ষে থাকবে ।
কিন্তু সে এসে যখণ স্বচক্ষে দেখলো, গোটা কাফেলা ইহরাম বেঁধে আছে, গলায় কিলাদা লটকানো কুরবানীর উটগুলে সামনেই দাঁড়িয়ে আছে এবং এ মানুষগুলো লড়াই করার জন্য নয়, বরং বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করার জন্য এসেছে তখন সে নবীর ( সা) সাথে কোন কথাবার্তা না বলেই মক্কায় ফিরে গিয়ে কুরাইশ নেতাদের স্পষ্ট বলে দিল যে, তারা বায়তুল্লাহর মর্যাদার স্বীকৃতি দিয়ে তা যিয়ারত করতে এসেছে ।
তোমরা যদি তাদের বাধা দাও তাহলে আহাবিশরা কখনো তোমাদের সহযোগিতা করবে না । তোমরা নিষিদ্ধ বিষয়কে পদদলিত করবে আর আমরা সাহয্য-সহযোগিতা করবো এ জন্য আমরা তোমাদের সাথে মিত্রতাবন্ধনে আবদ্ধ হইনি ।
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
আরবি উচ্চারণ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বাংলা অনুবাদ পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُبِينًا48.1
আরবি উচ্চারণ ৪৮.১। ইন্না- ফাতাহ্না- লাকা ফাত্হাম্ মুবীনা-।
বাংলা অনুবাদ ৪৮.১ নিশ্চয় আমি তোমাকে সুস্পষ্ট বিজয় দিয়েছি;
لِيَغْفِرَ لَكَ اللَّهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ وَيُتِمَّ نِعْمَتَهُ عَلَيْكَ وَيَهْدِيَكَ صِرَاطًا مُسْتَقِيمًا48.2
আরবি উচ্চারণ ৪৮.২। লিইয়াগ্ফির লাকা ল্লা-হু মা-তাক্বদ্দামা মিন্ যাম্বিকা অমা- তায়াখ্খরা অইয়ুতিম্মা নি’মাতাহূ ‘আলাইকা অইয়াহ্দিয়াকা ছির-ত্বোয়াম্ মুস্তাক্বীমা-।
বাংলা অনুবাদ ৪৮.২ যেন আল্লাহ তোমার পূর্বের ও পরের পাপ ক্ষমা করেন, তোমার উপর তাঁর নিআমত পূর্ণ করেন আর তোমাকে সরল পথের হিদায়াত দেন।
وَيَنْصُرَكَ اللَّهُ نَصْرًا عَزِيزًا48.3
আরবি উচ্চারণ ৪৮.৩। অইয়ান্ ছুরকাল্লা-হু নাছ্রন্ ‘আযীযা-।
বাংলা অনুবাদ ৪৮.৩ এবং তোমাকে প্রবল সাহার্য্য দান করেন।
هُوَ الَّذِي أَنْزَلَ السَّكِينَةَ فِي قُلُوبِ الْمُؤْمِنِينَ لِيَزْدَادُوا إِيمَانًا مَعَ إِيمَانِهِمْ وَلِلَّهِ جُنُودُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا 48.4
আরবি উচ্চারণ ৪৮.৪। হুওয়াল্লাযী য় আন্যালাস্ সাকীনাতা ফী কুলূবিল্ মুমিনীনা লিইয়ায্দা-দূ য় ঈমা-নাম্ মা‘আ ঈমা- নিহিম্; অলিল্লা-হি জুনূ দুস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্ব্; অকা-নাল্লা-হু ‘আলীমান্ হাকীমা-।
বাংলা অনুবাদ ৪৮.৪ তিনিই মুমিনদের অন্তরে প্রশান্তি নাযিল করেছিলেন যেন তাদের ঈমানের সাথে ঈমান বৃদ্ধি পায়; এবং আসমানসমূহ ও যমীনের বাহিনীগুলো আল্লাহরই; আর আল্লাহ হলেন সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
لِيُدْخِلَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَيُكَفِّرَ عَنْهُمْ سَيِّئَاتِهِمْ وَكَانَ ذَلِكَ عِنْدَ اللَّهِ فَوْزًا عَظِيمًا48.5
আরবি উচ্চারণ ৪৮.৫। লিইয়ুদ্খিলাল্ মুমিনীনা অল্মু’মিনা-তি জ্বান্না-তিন্ তাজ্ব রী মিন্ তাহ্তিহাল্ আন্হা-রু খ-লিদীনা ফীহা-অইয়ুকাফ্ফিরা ‘আন্হুম্ সাইয়িয়া-তিহিম্; অকা-না যা-লিকা ‘ইন্দা-ল্লা হি ফাওযান্ ‘আজীমা-।
বাংলা অনুবাদ ৪৮.৫ যেন তিনি মুমিন নারী ও পুরুষকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যার নিচ দিয়ে নহরসমূহ প্রবাহিত; সেখানে তারা স্থায়ী হবে; আর তিনি তাদের পাপসমূহ ক্ষমা করবেন; আর এটি ছিল আল্লাহর নিকট এক মহাসাফল্য।
وَيُعَذِّبَ الْمُنَافِقِينَ وَالْمُنَافِقَاتِ وَالْمُشْرِكِينَ وَالْمُشْرِكَاتِ الظَّانِّينَ بِاللَّهِ ظَنَّ السَّوْءِ عَلَيْهِمْ دَائِرَةُ السَّوْءِ وَغَضِبَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ وَلَعَنَهُمْ وَأَعَدَّ لَهُمْ جَهَنَّمَ وَسَاءَتْ مَصِيرًا48.6
আরবি উচ্চারণ ৪৮.৬। অইয়ু‘আয্যিবাল্ মুনা- ফিক্বীনা অল্ মুনা-ফীক্ব-তি অল্মুশ্রিকীনা অল্ মুশ্রিকা-তিজ্ জোয়া-ন্নীনা বিল্লা-হি জোয়ান্নাস্ সাওয়ি ‘আলাইহিম্ দা-য়িরাতুস্ সাওয়ি অগদ্বিবা ল্লা-হু ‘আলাইহিম্ অলা‘আনাহুম্ অ আ‘আদ্দা লাহুম্ জ্বাহান্নাম্; অসা-য়াত্ মাছীর-।
বাংলা অনুবাদ ৪৮.৬ আর যেন তিনি শাস্তি দিতে পারেন মুনাফিক নারী-পুরুষ ও মুশরিক নারী-পুরুষকে যারা আল্লাহ সম্পর্কে মন্দ ধারণা পোষণ করে; তাদের উপরই অনিষ্টতা আপতিত হয়। আর আল্লাহ তাদের উপর রাগ করেছেন এবং তাদেরকে লা‘নত করেছেন, আর তাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন জাহান্নাম; এবং গন্তব্য হিসেবে তা কতইনা নিকৃষ্ট!
وَلِلَّهِ جُنُودُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَكَانَ اللَّهُ عَزِيزًا حَكِيمًا 48.7
আরবি উচ্চারণ ৪৮.৭। অ লিল্লা-হি জুনূ দুস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্ব; অকা-না ল্লা-হু ‘আযীযান্ হাকীমা-।
বাংলা অনুবাদ ৪৮.৭ আর আল্লাহরই জন্য আসমানসমূহ ও যমীনের যাবতীয় সৈন্যবাহিনী; এবং আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا48.8
আরবি উচ্চারণ ৪৮.৮। ইন্না য় র্আসাল্না-কা শা-হিদাঁও অমুবাশ্শিরাঁও অনাযীরা-।
বাংলা অনুবাদ ৪৮.৮ নিশ্চয় আমি তোমাকে পাঠিয়েছি সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী রূপে।
لِتُؤْمِنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَتُعَزِّرُوهُ وَتُوَقِّرُوهُ وَتُسَبِّحُوهُ بُكْرَةً وَأَصِيلًا48.9
আরবি উচ্চারণ ৪৮.৯। লিতু’মিনূ বিল্লা-হি অরাসূলিহী অ তু‘আয্যিরূহু অ তুওয়াক্ব ক্বিরূহ্; ওয়া তুসাব্বিহূহু বুক্রতাঁও অআছীলা-।
বাংলা অনুবাদ ৪৮.৯ যাতে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ওপর ঈমান আন, তাকে সাহায্য ও সম্মান কর এবং সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর তাসবীহ পাঠ কর।
إِنَّ الَّذِينَ يُبَايِعُونَكَ إِنَّمَا يُبَايِعُونَ اللَّهَ يَدُ اللَّهِ فَوْقَ أَيْدِيهِمْ فَمَنْ نَكَثَ فَإِنَّمَا يَنْكُثُ عَلَى نَفْسِهِ وَمَنْ أَوْفَى بِمَا عَاهَدَ عَلَيْهُ اللَّهَ فَسَيُؤْتِيهِ أَجْرًا عَظِيمًا48.10
আরবি উচ্চারণ ৪৮.১০। ইন্নাল্ লাযীনা ইয়ুবা-য়ি‘ঊনাকা ইন্নামা ইউবা-য়ি‘ঊনা ল্লা-হ্; ইয়াদুল্লা-হি ফাওক্ব আইদীহিম্ ফামান্ নাকাছা-ফাইন্নামা-ইয়ান্কুছু ‘আলা নাফ্সিহী অমান্ আওফা-বিমা-‘আহা-দা ‘আলাইহুল্লা-হা ফাসাইয়ুতীহি আজ্ব রন্ ‘আজীমা-।
- “লা আদওয়া” সংক্রমন নেই!হাদীসটি কী বুঝায়?
- রমজানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যত পরামর্শ
- ডায়াবেটিস রোগীরা যেভাবে রোজা রাখবেন
- আজহারী: কোন ইনজেকশন নিলে রোজা ভাঙে
- রমজান মাসের ৯টি ফজিলত
বাংলা অনুবাদ ৪৮.১০ আর যারা তোমার কাছে বাই‘য়াত গ্রহণ করে, তারা শুধু আল্লাহরই কাছে বাই‘য়াত গ্রহণ করে; আল্লাহর হাত তাদের হাতের উপর; অতঃপর যে কেউ ওয়াদা ভঙ্গ করলে তার ওয়াদা ভঙ্গের পরিণাম বর্তাবে তারই উপর। আর যে আল্লাহকে দেয়া ওয়াদা পূরণ করবে অচিরেই আল্লাহ তাকে মহা পুরস্কার দেবেন।
سَيَقُولُ لَكَ الْمُخَلَّفُونَ مِنَ الْأَعْرَابِ شَغَلَتْنَا أَمْوَالُنَا وَأَهْلُونَا فَاسْتَغْفِرْ لَنَا يَقُولُونَ بِأَلْسِنَتِهِمْ مَا لَيْسَ فِي قُلُوبِهِمْ قُلْ فَمَنْ يَمْلِكُ لَكُمْ مِنَ اللَّهِ شَيْئًا إِنْ أَرَادَ بِكُمْ ضَرًّا أَوْ أَرَادَ بِكُمْ نَفْعًا بَلْ كَانَ اللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرًا48.11
আরবি উচ্চারণ ৪৮.১১। সাইয়াকুলু লাক্বল্ মুখাল্লাফূনা মিনাল্ আ’র-বি শাগালাত্না য় আম্ওয়া-লুনা-অআহ্লূনা-ফাছ্তার্গ্ফি লানা-ইয়াকুলূনা বিআল্সিনাতিহিম্ মা-লাইসা ফী কুলূ বিহিম্; কুল্ ফামাইঁ ইয়াম্লিকু লাকুম্ মিনা ল্লা-হি শাইয়ান্ ইন্ আর-দা বিকুম্ দ্বোর্য়ারন্ আও আর-দা বিকুম্ ; নাফ্‘আ-;বাল্ কা-নাল্লা-হু বিমা-তা’মালূনা খবীর-।
বাংলা অনুবাদ ৪৮.১১ পিছনে পড়ে থাকা বেদুঈনরা তোমাকে অচিরেই বলবে, ‘আমাদের ধন-সম্পদ ও পরিবার-পরিজন আমাদেরকে ব্যস্ত রেখেছিল; অতএব আমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন।’ তারা মুখে তা বলে যা তাদের অন্তরে নেই। বল, ‘আল্লাহ যদি তোমাদের কোন ক্ষতি করতে চান কিংবা কোন উপকার করতে চান, তবে কে আল্লাহর মোকাবিলায় তোমাদের জন্য কোন কিছুর মালিক হবে’? বরং তোমরা যে আমল কর আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত।’
بَلْ ظَنَنْتُمْ أَنْ لَنْ يَنْقَلِبَ الرَّسُولُ وَالْمُؤْمِنُونَ إِلَى أَهْلِيهِمْ أَبَدًا وَزُيِّنَ ذَلِكَ فِي قُلُوبِكُمْ وَظَنَنْتُمْ ظَنَّ السَّوْءِ وَكُنْتُمْ قَوْمًا بُورًا48.12
আরবি উচ্চারণ ৪৮.১২। বাল্ জোয়ানান্তুম্ আল্লাইঁ ইয়ান্ক্বলির্বা রসূলু অল্মুমিনূনা ইলা য় আহ্লী হিম্ আবাদাঁও অযুইয়িনা যা-লিকা ফী কুলূ বিকুম্ অজোয়ানান্তুম্ জোয়ান্নাস্ সাওয়ি অকুন্তুম্ ক্বওমাম্ বূরা-।
বাংলা অনুবাদ ৪৮.১২ বরং তোমরা মনে করেছিলে রাসূল ও মুমিনরা তাদের পরিবারের কাছে কখনো ফিরে আসবে না; আর এটি তোমাদের অন্তরে শোভিত করে দেয়া হয়েছিল; আর তোমরা মন্দ ধারণা করেছিলে এবং তোমরা ছিলে ধংসোম্মুখ কওম ।
وَمَنْ لَمْ يُؤْمِنْ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ فَإِنَّا أَعْتَدْنَا لِلْكَافِرِينَ سَعِيرًا48.13
আরবি উচ্চারণ ৪৮.১৩। অমাল্লাম্ ইয়ুমিম্ বিল্লা-হি অরসূলিহী ফাইন্না য় আ’তাদ্না- লিল্কা-ফিরীনা সা‘ঈর -।
বাংলা অনুবাদ ৪৮.১৩ আর যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর ঈমান আনে না তবে নিশ্চয় আমি কাফিরদের জন্য প্রস্তুত করেছি জ্বলন্ত আগুন।
وَلِلَّهِ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ يَغْفِرُ لِمَنْ يَشَاءُ وَيُعَذِّبُ مَنْ يَشَاءُ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا 48.14
আরবি উচ্চারণ ৪৮.১৪। অলিল্লা-হি মুল্কুস্ সামা- ওয়া-তি অল্ র্আদ্ব; ইয়াগ্ফিরু লিমাইঁ ইয়াশা-য়ু অইযু‘আয্যিবু মাইঁ ইয়াশা-য়ু; অকা-নাল্লা-হু গফূর্র রহীমা-।
বাংলা অনুবাদ ৪৮.১৪ আসমানসমূহ ও যমীনের সার্বভৌমত্ব আল্লাহর; তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন, আর যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেন। আর আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
سَيَقُولُ الْمُخَلَّفُونَ إِذَا انْطَلَقْتُمْ إِلَى مَغَانِمَ لِتَأْخُذُوهَا ذَرُونَا نَتَّبِعْكُمْ يُرِيدُونَ أَنْ يُبَدِّلُوا كَلَامَ اللَّهِ قُلْ لَنْ تَتَّبِعُونَا كَذَلِكُمْ قَالَ اللَّهُ مِنْ قَبْلُ فَسَيَقُولُونَ بَلْ تَحْسُدُونَنَا بَلْ كَانُوا لَا يَفْقَهُونَ إِلَّا قَلِيلًا48.15
আরবি উচ্চারণ ৪৮.১৫। সাইয়াকুলুল্ মুখাল্লাফূনা ইযান্ত্বোয়ালাক্ব ্তুম্ ইলা-মাগ-নিমা লিতাখুযূহা-যারূনা- নাত্তাবি’কুম্ ইয়ুরীদূনা আইঁ ইয়ুবাদ্দিলূ কলা-মাল্লা-হ্; কুল্ লান্ তাত্তাবি‘ঊনা- কাযা-লিকুম্ ক্ব-লাল্লা-হু মিন্ ক্বব্লু ফাসাইয়াকুলূনা বাল্ তাহ্সুদূনানা-; বাল্ কা-নূ লা-ইয়াফ্ক্বাহূনা ইল্লা-ক্বালীলা-।
বাংলা অনুবাদ ৪৮.১৫ তোমরা যখন যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংগ্রহে উদ্যোগী হবে তখন পিছনে যারা পড়েছিল অচিরেই তারা বলবে, ‘আমাদেরকে তোমাদের অনুসরণ করতে দাও।’ তারা আল্লাহর বাণী পরিবর্তন করতে চায়। বল, ‘তোমরা কখনো আমাদের অনুসরণ করবে না; আল্লাহ আগেই এমনটি বলেছেন।’ অতঃপর অচিরেই তারা বলবে, ‘বরং তোমরা হিংসা করছ।’ বরং তারা খুব কমই বুঝে।
قُلْ لِلْمُخَلَّفِينَ مِنَ الْأَعْرَابِ سَتُدْعَوْنَ إِلَى قَوْمٍ أُولِي بَأْسٍ شَدِيدٍ تُقَاتِلُونَهُمْ أَوْ يُسْلِمُونَ فَإِنْ تُطِيعُوا يُؤْتِكُمُ اللَّهُ أَجْرًا حَسَنًا وَإِنْ تَتَوَلَّوْا كَمَا تَوَلَّيْتُمْ مِنْ قَبْلُ يُعَذِّبْكُمْ عَذَابًا أَلِيمًا 48.16
আরবি উচ্চারণ ৪৮.১৬। কুল্ লিল্ মুখাল্লাফীনা মিনাল্ আ’রা -বি সাতুদ্‘আওনা ইলা- ক্বওমিন্ উলী বাসিন্ শাদীদিন্ তুক্ব-তিলূনাহুম্ আও ইয়ুস্লিমূনা ফাইন্ তুত্বী‘ঊ ইয়ুতিকুমুল্লা-হু আজ্ব রান্ হাসানান্ অইন্ তাতাওয়াল্লাও কামা-তাওয়াল্লাইতুম্ মিন্ ক্বব্লু ইয়ু‘আয্যিব্কুম্ ‘আযা-বান্ আলীমা-।
বাংলা অনুবাদ ৪৮.১৬ পেছনে পড়ে থাকা বেদুঈনদেরকে বল, ‘এক কঠোর যোদ্ধা জাতির বিরুদ্ধে শীঘ্রই তোমাদেরকে ডাকা হবে; তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে অথবা তারা আত্মসমর্পণ করবে। অতঃপর তোমরা যদি আনুগত্য কর তবে আল্লাহ তোমাদেরকে উত্তম প্রতিদান দেবেন। আর পূর্বে তোমরা যেমন ফিরে গিয়েছিলে তেমনি যদি ফিরে যাও তবে তিনি তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আযাব দেবেন।
لَيْسَ عَلَى الْأَعْمَى حَرَجٌ وَلَا عَلَى الْأَعْرَجِ حَرَجٌ وَلَا عَلَى الْمَرِيضِ حَرَجٌ وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ يُدْخِلْهُ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ وَمَنْ يَتَوَلَّ يُعَذِّبْهُ عَذَابًا أَلِيمًا48.17
আরবি উচ্চারণ ৪৮.১৭। লাইসা ‘আলাল্ আ’মা-হারজুও অলা-‘আলাল্ আ’রজ্বি হারজুও অলা-‘আলাল্ মারীদ্বি হারজ্ব্ ; অমাইঁ ইয়ুতি‘ইল্ লা-হা অরসূলাহূ ইয়ুদ্খিল্হু জ্বান্না-তিন্ তাজ্ব ্রী মিন্ তাহ্তিহাল্ আন্হা-রু অমাইঁ ইয়াতাওয়াল্লা-ইয়ু‘আয্যিব্হু ‘আযা-বান্ আলীমা-।
বাংলা অনুবাদ ৪৮.১৭ অন্ধের কোন অপরাধ নেই, লেংড়ার কোন অপরাধ নেই অসুস্থের কোন অপরাধ নেই। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে তিনি তাকে এমন জান্নাতে দাখিল করাবেন যার পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত। আর যে ব্যক্তি পিছনে ফিরে যাবে তিনি তাকে যন্ত্রণাদায়ক আযাব দেবেন।
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
48.18
আরবি উচ্চারণ ৪৮.১৮। লাক্বদ্ রদ্বিয়াল্লা-হু ‘আনিল্ মুমিনীনা ইয্ ইয়ুবা-য়ি‘ঊনাকা তাহ্তাশ্ শাজ্বারতি ফা‘আলিমা মা- ফী কুলূবিহিম্ ফাআন্যালাস্ সাকীনাতা ‘আলাইহিম্ অআছা-বাহুম্ ফাত্হান্ ক্বরীবা-।
বাংলা অনুবাদ ৪৮.১৮ অবশ্যই আল্লাহ মুমিনদের উপর সন্তুষ্ট হয়েছেন, যখন তারা গাছের নিচে আপনার হাতে বাই‘আত গ্রহণ করেছিল; অতঃপর তিনি তাদের অন্তরে কি ছিল তা জেনে নিয়েছেন, ফলে তাদের উপর প্রশান্তি নাযিল করলেন এবং তাদেরকে পুরস্কৃত করলেন নিকটবর্তী বিজয় দিয়ে।
وَمَغَانِمَ كَثِيرَةً يَأْخُذُونَهَا وَكَانَ اللَّهُ عَزِيزًا حَكِيمًا 48.19
আরবি উচ্চারণ ৪৮.১৯। অমাগা-নিমা কাছীরতাঁই ইয়াখুযূনাহা-; অকা-নাল্লা-হু ‘আযীযান্ হাকীমা-। বাংলা অনুবাদ ৪৮.১৯ আর বিপুল পরিমাণ যুদ্ধলব্ধ সম্পদ দিয়ে যা তারা গ্রহণ করবে; আর আল্লাহ হলেন মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
وَعَدَكُمُ اللَّهُ مَغَانِمَ كَثِيرَةً تَأْخُذُونَهَا فَعَجَّلَ لَكُمْ هَذِهِ وَكَفَّ أَيْدِيَ النَّاسِ عَنْكُمْ وَلِتَكُونَ آيَةً لِلْمُؤْمِنِينَ وَيَهْدِيَكُمْ صِرَاطًا مُسْتَقِيمًا48.20
আরবি উচ্চারণ ৪৮.২০। অ‘আদাকুমু ল্লা-হু মাগ-নিমা কাছীরতান্ তাখুযূনাহা- ফা‘আজ্ব ্জ্বালা লাকুম্ হা-যিহী অকাফ্ফা আইদিয়ান্না-সি ‘আন্কুম্ অলিতাকূনা আ-ইয়াতাল্লিল্ মুমিনীনা অইয়াহ্দিয়াকুম্ ছির-ত্বোয়াম্ মুস্তাক্বীমা।
বাংলা অনুবাদ ৪৮.২০ আল্লাহ তোমাদেরকে প্রভূত গনীমতের ওয়াদা দিয়েছেন যা তোমরা গ্রহণ করবে; অতঃপর এগুলি আগে দিয়েছেন; আর মানুষের হাত তোমাদের থেকে ফিরিয়ে রেখেছেন এবং যাতে এটি মুমিনদের জন্য একটি নিদর্শন হয়, আর তিনি তোমাদেরকে সরল পথ দেখান।
وَأُخْرَى لَمْ تَقْدِرُوا عَلَيْهَا قَدْ أَحَاطَ اللَّهُ بِهَا وَكَانَ اللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرًا48.21
আরবি উচ্চারণ ৪৮.২১। অউখ্র- লাম্ তাক্ব দিরূ ‘আলাইহা-ক্বদ্ আহা-ত্বোয়াল্লা-হু বিহা-; অকা-না ল্লা-হু ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন্ ক্বদীর-।
বাংলা অনুবাদ ৪৮.২১ আর আরেকটি এখনো তোমরা যা অর্জন করতে সক্ষম হওনি। কিন্তু আল্লাহ তা বেষ্টন করে রেখেছেন। আর আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
وَلَوْ قَاتَلَكُمُ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوَلَّوُا الْأَدْبَارَ ثُمَّ لَا يَجِدُونَ وَلِيًّا وَلَا نَصِيرًا48.22
আরবি উচ্চারণ ৪৮.২২। অলাও ক্ব-তালাকুমুল্ লাযীনা কাফারূ লাওয়াল্লাওয়ুল্ আদ্বা-র ছুম্মা লা-ইয়াজ্বিদূনা অলিয়্যাঁও অলা-নাছীর-।
বাংলা অনুবাদ ৪৮.২২ আর যারা কুফরী করেছে তারা যদি তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে তবে অবশ্যই তারা পিঠ দেখিয়ে পালাবে। তারপর তারা কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাবে না।
سُنَّةَ اللَّهِ الَّتِي قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلُ وَلَنْ تَجِدَ لِسُنَّةِ اللَّهِ تَبْدِيلًا 48.23
আরবি উচ্চারণ ৪৮.২৩। সুন্নাতা ল্লা-হিল্ লাতী ক্বদ্ খলাত্ মিন্ ক্বব্লু অলান্ তাজ্বিদা লিসুন্নাতিল্লা-হি তাব্দীলা-।
বাংলা অনুবাদ ৪৮.২৩ তোমাদের পূর্বে যারা গত হয়েছে তাদের ব্যাপারে এটি আল্লাহর নিয়ম; আর তুমি আল্লাহর নিয়মে কোন পরিবর্তন পাবে না।
وَهُوَ الَّذِي كَفَّ أَيْدِيَهُمْ عَنْكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ عَنْهُمْ بِبَطْنِ مَكَّةَ مِنْ بَعْدِ أَنْ أَظْفَرَكُمْ عَلَيْهِمْ وَكَانَ اللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرًا48.24
আরবি উচ্চারণ ৪৮.২৪। অহুওয়াল্ লাযী কাফ্ফা আইদিয়াহুম্ ‘আন্কুম্ ওয়া আইদিয়াকুম্ ‘আন্হুম্ বিবাত্ব নি মাক্কাতা মিম্ বা’দি আন্ আজ্ফারকুম্ ‘আলাইহিম্; অকা-না ল্লা-হু বিমা-তা’মালূনা বাছীর-।
বাংলা অনুবাদ ৪৮.২৪ আর তিনিই মক্কা উপত্যকায় তোমাদেরকে তাদের উপর বিজয়ী করার পর তাদের হাত তোমাদের থেকে এবং তোমাদের হাত তাদের থেকে ফিরায়ে রেখেছেন। আর তোমরা যা আমল কর, আল্লাহ হলেন তার সম্যক দ্রষ্টা।
هُمُ الَّذِينَ كَفَرُوا وَصَدُّوكُمْ عَنِ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَالْهَدْيَ مَعْكُوفًا أَنْ يَبْلُغَ مَحِلَّهُ وَلَوْلَا رِجَالٌ مُؤْمِنُونَ وَنِسَاءٌ مُؤْمِنَاتٌ لَمْ تَعْلَمُوهُمْ أَنْ تَطَئُوهُمْ فَتُصِيبَكُمْ مِنْهُمْ مَعَرَّةٌ بِغَيْرِ عِلْمٍ لِيُدْخِلَ اللَّهُ فِي رَحْمَتِهِ مَنْ يَشَاءُ لَوْ تَزَيَّلُوا لَعَذَّبْنَا الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا 48.25
আরবি উচ্চারণ ৪৮.২৫। হুমুল্লাযীনা কাফারূ অছোয়াদ্দূ কুম্ আ’নিল্ মাস্জ্বিদিল্ হারমি অল্ হাদ্ইয়া মা’কূফান্ আইঁ ইয়াব্লুগ মাহিল্লা-হ্; অলাওলা রিজ্বা-লুম্ মুমিনূনা অ নিসা-য়ুম্ মুমিনাতুল্ লাম্ তা’লামূহুম্ আন্ তাত্বোয়ায়ূহুম্ ফাতুছীবাকুম্ মিন্হুম্ মা‘র্আরতুম্ বিগইরি ‘ইল্মিন্ লিইয়ুদ্খিলাল্লা-হু ফী রহ্মাতিহী মাইঁ ইয়াশা-য়ু লাও তাযাইয়ালূ লা‘আয্যাব্নাল্ লাযীনা কাফারূ মিন্হুম্ ‘আযা-বান্ আলীমা-।
বাংলা অনুবাদ ৪৮.২৫ তারাইতো কুফরী করেছিল এবং তোমাদেরকে আল-মাসজিদুল হারাম থেকে বাধা দিয়েছিল আর কুরবানীর পশুগুলোকে কুরবানীর স্থানে পৌঁছতে বাধা দিয়েছিল। যদি মুমিন পুরুষরা ও মুমিন নারীরা না থাকত, যাদের সম্পর্কে তোমরা জান না যে, তোমরা অজ্ঞাতসারে তাদেরকে পদদলিত করবে, ফলে তাদের কারণে তোমরা দোষী হতে কিন্তু আমি তাদের উপর কর্তৃত্ব দিয়েছি যাতে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা স্বীয় রহমতে প্রবেশ করাবেন। যদি তারা পৃথক থাকত, তাহলে তাদের মধ্যে যারা কুফরী করেছে তাদেরকে আমি অবশ্যই যন্ত্রণাদায়ক আযাব দিতাম।
- নামাজে আমরা যা বলি তার অর্থ জানলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবেনা !!
- ভাগে কোরবানির নিয়ম, অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার নিয়ম, ভাগে কোরবানির যত বিধি বিধান
لَقَدْ رَضِيَ اللَّهُ عَنِ الْمُؤْمِنِينَ إِذْ يُبَايِعُونَكَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ فَعَلِمَ مَا فِي قُلُوبِهِمْ فَأَنْزَلَ السَّكِينَةَ عَلَيْهِمْ وَأَثَابَهُمْ فَتْحًا قَرِيبًا
إِذْ جَعَلَ الَّذِينَ كَفَرُوا فِي قُلُوبِهِمُ الْحَمِيَّةَ حَمِيَّةَ الْجَاهِلِيَّةِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ سَكِينَتَهُ عَلَى رَسُولِهِ وَعَلَى الْمُؤْمِنِينَ وَأَلْزَمَهُمْ كَلِمَةَ التَّقْوَى وَكَانُوا أَحَقَّ بِهَا وَأَهْلَهَا وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا48.26
আরবি উচ্চারণ ৪৮.২৬। ইয্ জ্বা‘আলাল্ লাযীনা কাফারূ ফী কুলূ বিহিমুল্ হামিয়্যাতা হামিয়্যাতাল্ জ্বা-হিলিয়্যাতি ফাআন্যালা ল্লা-হু সাকীনাতাহূ ‘আলা- রসূলিহী অ‘আলাল্ মুমিনীনা অআল্যামাহুম্ কালিমাতাত্ তাক্ব ওয়া-অকা-নূ য় আহাক্ব ক্ব বিহা-অআহ্লাহা-; অকা-না ল্লা-হু বিকুল্লি শাইয়িন্ ‘আলীমা-।
বাংলা অনুবাদ ৪৮.২৬ যখন কাফিররা তাদের অন্তরে আত্ম-আহমিকা পোষণ করেছিল, জাহিলী যুগের আহমিকা। তখন আল্লাহ তাঁর রাসূলের উপর ও মুমিনদের উপর স্বীয় প্রশান্তি নাযিল করলেন এবং তাকওয়ার বাণী তাদের জন্য অপরিহার্য করলেন, আর তারাই ছিল এর সর্বাধিক উপযুক্ত ও এর অধিকারী। আর আল্লাহ হলেন প্রত্যেক বিষয়ে সর্বজ্ঞ।
لَقَدْ صَدَقَ اللَّهُ رَسُولَهُ الرُّؤْيَا بِالْحَقِّ لَتَدْخُلُنَّ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ آمِنِينَ مُحَلِّقِينَ رُءُوسَكُمْ وَمُقَصِّرِينَ لَا تَخَافُونَ فَعَلِمَ مَا لَمْ تَعْلَمُوا فَجَعَلَ مِنْ دُونِ ذَلِكَ فَتْحًا قَرِيبًا 48.27
আরবি উচ্চারণ ৪৮.২৭। লাক্বদ্ ছোয়াদাক্বল্লা-হু রসূলার্হু রুইয়া-বিল্হাক্ব ক্বি লাতাদ্ খুলুন্নাল্ মাস্জ্বিদাল্ হার-মা ইন্ শা-য়াল্লা-হু আ-মিনীনা মুহাল্লিক্বীনা রুয়ূসাকুম্ অমুক্বছ্ছিরীনা লা-তাখ-ফূন্; ফা‘আলিমা মা-লাম্ তা’লামূ ফাজ্বা‘আলা মিন্ দূনি যা-লিকা ফাত্হান্ ক্বরীবা-।
বাংলা অনুবাদ ৪৮.২৭ অবশ্যই আল্লাহ তাঁর রাসূলকে স্বপ্নটি যথাযথভাবে সত্যে পরিণত করে দিয়েছেন। তোমরা ইনশাআল্লাহ নিরাপদে তোমাদের মাথা মুণ্ডন করে এবং চুল ছেঁটে নির্ভয়ে আল-মাসজিদুল হারামে অবশ্যই প্রবেশ করবে। অতঃপর আল্লাহ জেনেছেন যা তোমরা জানতে না। সুতরাং এ ছাড়াও তিনি দিলেন এক নিকটবর্তী বিজয়।
هُوَ الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَى وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ وَكَفَى بِاللَّهِ شَهِيدًا48.28
আরবি উচ্চারণ ৪৮.২৮। হুওয়াল্ লাযী য় র্আসালা রসূলাহূ বিল্হুদা-অদীনিল্ হা-ক্ব ক্বি লিইয়ুজ্হিরহূ ‘আলাদ্দীনি কুল্লিহ্; অকাফা-বিল্লা-হি শাহীদা-।
বাংলা অনুবাদ ৪৮.২৮ তিনিই তাঁর রাসূলকে হিদায়াত ও সত্য দীনসহ প্রেরণ করেছেন, যাতে তিনি এটাকে সকল দীনের উপর বিজয়ী করতে পারেন। আর সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ وَالَّذِينَ مَعَهُ أَشِدَّاءُ عَلَى الْكُفَّارِ رُحَمَاءُ بَيْنَهُمْ تَرَاهُمْ رُكَّعًا سُجَّدًا يَبْتَغُونَ فَضْلًا مِنَ اللَّهِ وَرِضْوَانًا سِيمَاهُمْ فِي وُجُوهِهِمْ مِنْ أَثَرِ السُّجُودِ ذَلِكَ مَثَلُهُمْ فِي التَّوْرَاةِ وَمَثَلُهُمْ فِي الْإِنْجِيلِ كَزَرْعٍ أَخْرَجَ شَطْأَهُ فَآزَرَهُ فَاسْتَغْلَظَ فَاسْتَوَى عَلَى سُوقِهِ يُعْجِبُ الزُّرَّاعَ لِيَغِيظَ بِهِمُ الْكُفَّارَ وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ مِنْهُمْ مَغْفِرَةً وَأَجْرًا عَظِيمًا 48.29
আরবি উচ্চারণ ৪৮.২৯। মুহাম্মার্দু রাসূলু ল্লা-হ্; অল্লাযীনা মা‘আহূ য় আশিদ্দা-য়ু ‘আলাল্ কুফ্ফা-রি রুহামা-য়ু বাইনাহুম্ তার-হুম্ রুক্কা‘আন্ সুজ্জাদাঁই ইয়াব্তাগূনা ফাদ্ব্লাম্ মিনা ল্লা-হি অ রিদ্বওয়া-নান্ সীমা-হুম্ ফী উজু হিহিম্ মিন্ আছারিস্ সুজুদ্ যা-লিকা মাছালুহুম্ ফিত্ তাওর-তি অমাছালুহুম্ ফিল্ ইন্জ্বীল্; কার্যাই’ন্ আখ্রজ্বা শাত্ব য়াহূ ফা‘আ-যারাহূ ফাস্তাগ্লাজোয়া ফাস্তাওয়া-‘আলা সূক্বিহী ইয়ু’জ্বি য্ র্যুরা-‘আ লিইয়াগীজোয়া বিহিমুল্ কুফ্ফা-র; অ‘আদাল্লা-হুল্ লাযীনা আ-মানূ অ‘আমিলুছ্ ছোয়া-লিহা-তি মিন্হুম্ মাগ্ফিরাতাঁও অআজ্ব রান্ ‘আজীমা-।
বাংলা অনুবাদ ৪৮.২৯ মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল এবং তার সাথে যারা আছে তারা কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর; পরস্পরের প্রতি সদয়, তুমি তাদেরকে রুকূকারী, সিজদাকারী অবস্থায় দেখতে পাবে। তারা আল্লাহর করুণা ও সন্তুষ্টি অনুসন্ধান করছে। তাদের আলামত হচ্ছে, তাদের চেহারায় সিজদার চিহ্ন থাকে। এটাই তাওরাতে তাদের দৃষ্টান্ত। আর ইনজীল তাদের দৃষ্টান্ত হলো একটি চারাগাছের মত, যে তার কঁচিপাতা উদগত করেছে ও শক্ত করেছে, অতঃপর তা পুষ্ট হয়েছে ও স্বীয় কাণ্ডের উপর মজবুতভাবে দাঁড়িয়েছে, যা চাষীকে আনন্দ দেয়। যাতে তিনি তাদের দ্বারা কাফিরদেরকে ক্রোধান্বিত করতে পারেন। তাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের জন্য ক্ষমা ও মহাপ্রতিদানের ওয়াদা করেছেন।
গ্রন্থনা : মাওলানা মিরাজ রহমান
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও
- নামাজে আমরা যা বলি তার অর্থ জানলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবেনা !!
- ভাগে কোরবানির নিয়ম, অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার নিয়ম, ভাগে কোরবানির যত বিধি বিধান
- কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব,আরও একবার জানুন কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব
- ইসলামে কুরবানীর গুরুত্ব ও বিধান,ইসলামে কোরবানির যত ফজিলত গুরুত্ব ও শিক্ষা
- বৃষ্টির নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, বৃষ্টির নামাজের পর আমল
- ইসতিসকার নামাজের নিয়ম ও নিয়ত, ইসতিসকার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, ইসতিসকার নামাজের পর আমল
- বাসর রাত সম্পর্কে ইসলামের বিধান,বাসর রাতের নামাজ
- তাসবিহ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, তাসবিহ সালাতের ফজিলত