আজকের বিষয়: সূরা রহমান সকল তথ্য আল কোরআন ও হাদিসের আলোতে,পৃথিবীর জানা অজানা কিছু তথ্য আল রহমান আলমল ও ফজিলত, সূরা রহমান কতো বার পাঠ করলে কোন আলম ও ফজিলত, সূরা রহমান নাযিলের কারন গুলো কি কি ,কুরআন ৫৫ সূরা আল – রহমান
নামকরণ
এই সূরার নাম হিসেবে প্রথম শব্দটি নেওয়া হয়েছে। এর অর্থ হল “আর-রহমান” শব্দ দিয়ে শুরু হওয়া সূরাটি। তাছাড়া সূরাটির বিষয়বস্তুর সাথে নামের গভীর সাদৃশ্য রয়েছে। কেননা এ সূরায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আল্লাহর রহমতের গুণাবলী এবং এর বাস্তব ফলাফলের কথা বলা হয়েছে।
নাযিলের সময় বা শানে নুযূল
তাফসির পণ্ডিতরা সাধারণত এই সূরাটিকে মক্কী সূরা বলে উল্লেখ করেন। যদিও হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস, ইকরিমা ও কাতাদা থেকে কিছু হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, এই সূরাটি মদীনায় অবতীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও, প্রথম সম্মানিত সাহাবীদের বিষয়বস্তু মক্কায় অবতীর্ণ সূরাগুলোর চেয়ে বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ। মদীনা। এমনকি বিষয়বস্তুর দিক থেকেও এটাকে মক্কার যুগের খুব প্রথম দিকের বলে মনে হয়। তাছাড়া কিছু নির্ভরযোগ্য হাদিস থেকে প্রমাণিত হয় যে, হিজরতের কয়েক বছর আগে এটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছিল। মুসনাদে আহমাদে, হজরত আসমা বিনতে আবু বকর (রা.) বর্ণনা করেন: আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে কাবার কোণে যেখানে হাজরে আসওয়াদ রাখা হয়েছে তার দিকে মুখ করে সালাত আদায় করতে দেখেছি। তখন পর্যন্ত আল্লাহর নির্দেশ- (তোমাকে যা আদেশ করা হচ্ছে তা প্রকাশ্যে বল) নাযিল হয়নি। সেই নামাযে মুশরিকরা তার মুখ থেকে শব্দটি শুনতে পেল। এ থেকে জানা যায় যে, এই সূরাটি সূরা হিজরের পূর্বে অবতীর্ণ হয়েছে।
আল-বাজার, ইবনে জারীর, ইবনে মুনযির, দারুকুতানি (ফিল আফরাদ), ইবনে মারদুয়া এবং আল-খতিব (ফিত তারিখ) হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর থেকে এই হাদিসটি উদ্ধৃত করেছেন যে একবার রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজে সূরা আর-তিলাওয়াত করেছিলেন। রহমান বা এই সূরাটি তাঁর সামনে পাঠ করা হয়েছিল। অতঃপর তিনি লোকদের বললেনঃ জিনরা তাদের রবের কাছে এমন সুন্দর জবাব তোমাদের কাছ থেকে শুনতে পাচ্ছি না কেন? লোকে বলল, এর উত্তর কী ছিল! নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি যখনই আল্লাহর বাণী পাঠ করতাম তখন জিনরা উত্তর দিতঃ “আমরা আমাদের রবের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করি না। “
তিরমিযী, হাকিম এবং হাফেজ আবু বকর প্রায় অনুরূপ বিষয়বস্তু সহ বায়জারের জাবির ইবনে আবদুল্লাহ থেকে একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাদের বর্ণনার ভাষা হল: সূরা আর-রহমান তেলাওয়াত শুনে লোকেরা যখন চুপ হয়ে গেল, তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: তারা তোমাদের চেয়ে উত্তম উত্তর দিচ্ছিল। যখনই আমি আল্লাহর বাণী শুনেছি, হে জিন ও মানবজাতি, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে? “সমস্ত প্রশংসা তোমার জন্য।”
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
- নামাজে আমরা যা বলি , তার অর্থ জানলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবেনা !!
- “লা আদওয়া” সংক্রমন নেই!হাদীসটি কী বুঝায়?
- রমজানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যত পরামর্শ
- ডায়াবেটিস রোগীরা যেভাবে রোজা রাখবেন
- আজহারী: কোন ইনজেকশন নিলে রোজা ভাঙে
এই হাদিস থেকে জানা যায় যে, সূরা আল-আহকাফ (আয়াত 29 থেকে 32) এ যে ঘটনার সময় জ্বীনরা সূরা আর-রহমান তেলাওয়াত করেছিলেন, যেখানে জ্বীনের মুখ থেকে কুরআন শুনেছিল। রাসুলুল্লাহ সা. এটি নবুওয়াতের দশম বর্ষের ঘটনা। এ সময় রাসূলুল্লাহ (সা.) তায়েফ থেকে ফেরার পথে ‘নাখলা’ নামক স্থানে কিছুক্ষণ অবস্থান করছিলেন। যদিও আরো অনেক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন জানতেন না যে জিনরা তাঁর কাছ থেকে কুরআন শুনছে। পক্ষান্তরে, আল্লাহ তায়ালা তাকে পরে জানিয়েছিলেন যে জিনরা তার কুরআন তেলাওয়াত শুনেছিল, কিন্তু ঠিক একইভাবে আল্লাহ তাআলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জ্বিনের তিলাওয়াত শোনার কথা জানিয়েছিলেন। কোরান, কোরান শোনার সময় তারা যা বলছিল তাও তিনি তাঁকে বললেন। এটা অযৌক্তিক নয়।
এসব বর্ণনা থেকে যা জানা যায় তা হলো সূরা আর-রহমান; এটি সূরা আল হিজর এবং সূরা আহকাফের পূর্বে অবতীর্ণ হয়েছে। এগুলি ছাড়াও আমরা আরেকটি হাদিস দেখতে পাই যা দেখায় যে সূরা আর-রহমান মক্কী যুগের প্রথম দিকে অবতীর্ণ সূরাগুলির মধ্যে একটি। ইবনে ইসহাক হজরত উরওয়া ইবনে জুবায়ের থেকে একটি ঘটনা বর্ণনা করেছেন যে, একদিন সাহাবীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করলেন যে, কুরাইশরা কখনো কাউকে প্রকাশ্যে উচ্চস্বরে কোরআন তেলাওয়াত করতে শুনেনি। আমাদের মধ্যে কে এই পবিত্র বাণী অন্তত একবার শুনতে পারে? হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বললেনঃ আমি এটা করব। সাহাবায়ে কেরাম বললেনঃ আমরা আশঙ্কা করছি যে তারা তোমাদের উপর জুলুম করবে। আমাদের মতে, এটি এমন একজন ব্যক্তির দ্বারা করা উচিত যার আত্মীয়রা শক্তিশালী। কুরাইশরা যদি তার ক্ষতি করার জন্য এগিয়ে আসে তবে তার লোকেরা তাকে সাহায্য করতে আসুক। হজরত আবদুল্লাহ বললেন, আমাকে এটা করতে দাও, আল্লাহ আমার রক্ষক। পরে দিনে তিনি হারাম শরীফে গিয়ে হাজির হন। তখন কুরাইশ নেতারা নিজ নিজ মজলিসে বসে ছিলেন। হজরত আবদুল্লাহ ইব্রাহিমের মাকামে পৌঁছলে তিনি উচ্চস্বরে সূরা আর-রহমান তিলাওয়াত শুরু করেন। কুরাইশরা প্রথমে বুঝতে চেষ্টা করলো আবদুল্লাহ কি বলেছিল। পরে যখন তারা বুঝতে পারল যে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা বলছেন তা আল্লাহর বাণী, তখন তারা তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল এবং তার মুখে চড় মেরে দিল। কিন্তু হজরত আবদুল্লাহ তা পাত্তা দেননি। তিনি যতক্ষণ সম্ভব তাদের কাছে কোরআন তেলাওয়াত করতে থাকলেন। অবশেষে সে তার ফোলা মুখ নিয়ে ফিরে এল। সাহাবীগণ বললেনঃ আমরা এই অংশটি করেছি। তিনি উত্তর দিলেন: আল্লাহর শত্রুরা আমার কাছে আজকের চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। তুমি যদি চাও, আমি আগামীকাল তাদের সামনে আবার কোরআন তিলাওয়াত করব। সবাই বললো এটাই যথেষ্ট। আপনি শুনেছেন যা তারা মোটেও শুনতে চায়নি (সীরাত ইবনে হিশাম, প্রথম খণ্ড, পৃ. 336)।
বিষয়বস্তু এবং পটভূমি
এটি কোরানের একমাত্র সূরা যা সরাসরি জিনদের পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য স্বাধীন প্রাণীদের সম্বোধন করে। পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে এবং আনুগত্যের ভালো ফলাফল সম্পর্কে জানানো হয়েছে। যাইহোক, পবিত্র কোরানের কিছু জায়গায় স্পষ্ট বক্তব্য রয়েছে যা স্পষ্ট করে যে জিন ও মানুষের মতো স্বাধীন ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব সহ একটি দায়িত্বশীল সৃষ্টি রয়েছে, যাদেরকে কুফর ও বিশ্বাস গ্রহণ করার এবং আনুগত্য করার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। এবং অবাধ্য। তাদের মধ্যে মানুষের মত অবিশ্বাসী ও বিশ্বাসী এবং অনুগত ও অবাধ্য রয়েছে। তাদের মধ্যে এমন দলও রয়েছে যারা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আসমানি কিতাবসমূহে বিশ্বাসী। যাইহোক, এই সূরাটি চূড়ান্তভাবে প্রমাণ করে যে, নবী (সাঃ) এর দাওয়াত এবং কোরান জিন ও মানুষ উভয়ের জন্য এবং নবী (সাঃ) এর বাণী শুধুমাত্র মানবজাতির জন্যই সীমাবদ্ধ নয়।
এই সূরার শুরুতে মানুষকে সম্বোধন করা হয়েছে। কারণ তারা দুনিয়ার খিলাফত লাভ করেছে, তাদের মধ্যে আল্লাহর রাসূল এসেছেন। আর তাদের ভাষায় আল্লাহর কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে 13 নং আয়াত থেকে মানুষ ও জিন উভয়কেই সমানভাবে সম্বোধন করা হয়েছে এবং উভয়ের কাছে একই আমন্ত্রণ পেশ করা হয়েছে।
সূরাটির বিষয়বস্তু ছোট বাক্যে একটি বিশেষ ক্রমে বর্ণনা করা হয়েছে:
আয়াত 1 থেকে 4 এ বলা হয়েছে যে এই কোরআনের শিক্ষা আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে। এই শিক্ষার সাহায্যে তিনি মানব জাতির হেদায়েতের ব্যবস্থা করবেন। এটা তাঁর করুণার স্বাভাবিক চাওয়া। কারণ তিনিই মানুষকে মেধা ও বুদ্ধিমত্তায় সমৃদ্ধ জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন।
5 থেকে 6 নং আয়াতে বলা হয়েছে যে সমগ্র মহাবিশ্বের ব্যবস্থাপনা আল্লাহর একক আদেশ ও কর্তৃত্বাধীন। নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে সবই তাঁর। এখানে অন্য কারো নিয়ন্ত্রণ নেই।
৮-৯ নং আয়াতে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সত্য বলা হয়েছে যে, আল্লাহ মহাবিশ্বের সমগ্র ব্যবস্থাকে পূর্ণ ভারসাম্য ও সামঞ্জস্যের উপর প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এই ব্যবস্থাপনার প্রকৃতি দাবি করে যে এখানে বসবাসকারী মানুষদেরও তাদের ক্ষমতা ও স্বাধীনতার সীমার মধ্যে সত্যিকারের ভারসাম্য ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে হওয়া উচিত এবং ভারসাম্যকে বিপর্যস্ত করা উচিত নয়।
আয়াত 10 থেকে 25 আল্লাহর অসীম ক্ষমতা এবং এর পরিপূর্ণতার বিস্ময়কর দিকগুলি বর্ণনা করে, সেইসাথে জিন এবং মানুষ যে আশীর্বাদগুলি উপভোগ করেছে।
26 থেকে 30 আয়াতে, জিন এবং মানব জাতিকে মহান সত্যের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে এই মহাবিশ্বে আল্লাহ ছাড়া কেউই অমর এবং চিরস্থায়ী নয় এবং এমন কেউ নেই, বড় বা ছোট, যে তার অস্তিত্বের জন্য আল্লাহর উপর নির্ভর করে না। . পৃথিবী থেকে আসমান পর্যন্ত দিনরাত্রি যা কিছু ঘটেছে তার নিয়ন্ত্রণ তার।
31 থেকে 36 আয়াতে উভয় দলকে সতর্ক করা হয়েছে যে সময় শীঘ্রই আসবে যখন তোমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই জিজ্ঞাসাবাদ থেকে রক্ষা পেয়ে কোথাও যেতে পারবেন না। ঈশ্বরের কর্তৃত্ব আপনার চারপাশে। আপনি এটা থেকে বের হতে পারবেন না. যদি আপনার মধ্যে অহংকার থাকে যে আপনি তাঁর কর্তৃত্বের সীমানা থেকে পালাতে পারেন, তবে একবার পালিয়ে যান।
৩৭ ও ৩৮ নং আয়াতে বলা হয়েছে এই জিজ্ঞাসাবাদ কিয়ামতের দিন হবে।
আয়াত 39 থেকে 45 মানুষ এবং জিন যারা এই পৃথিবীতে আল্লাহর অবাধ্যতা করত তাদের পরিণতি সম্পর্কে কথা বলে।
যারা আল্লাহর ভয়ে দুনিয়াতে বসবাস করেছে এবং বুঝতে পেরেছে যে, একদিন আল্লাহর দরবারে হাজির হয়ে তাদের যাবতীয় কৃতকর্মের হিসাব দিতে হবে সেসব নেককার মানুষ ও জিনদের আল্লাহ কী পুরস্কার দেবেন তা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করুন। সম্পন্ন.
এই ডিসকোর্সের পুরোটাই ডিসকোর্সের ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে। এটি একটি আবেগপূর্ণ এবং উচ্চ মানের বক্তৃতা। এই বক্তৃতায় আল্লাহর অসীম ও ক্ষমতার একটি বিস্ময়কর দিক, তাঁর এক নিয়ামত, তাঁর সার্বভৌম ক্ষমতা ও শক্তির একটি এবং তাঁর পুরস্কার ও শাস্তির বিশাল ক্ষেত্রগুলির একটি, বারবার জিন ও মানুষের কাছে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। সম্পন্ন. এটি একটি বিস্তৃত শব্দ যা আমরা পরে আলোচনা করব। এই শব্দটি এই ভাষায় বিভিন্ন প্রসঙ্গে বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। জ্বীন এবং মানুষের উদ্দেশ্যে, স্থান, সময় এবং পাত্রের দিক থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রে এই প্রশ্নের একটি বিশেষ অর্থ রয়েছে।
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
৫৫ . আর রহমান – ( الـرحـمـن ) | পরম করুণাময়
মাদানী, মোট আয়াতঃ ৭৮
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ
১
الرَّحْمَـٰنُ
আররাহমা-নু।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তিনি তো রহমানই, ১
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
করুনাময় আল্লাহ।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
দয়াময় আল্লাহ্,
তাফসীরঃ
১. মক্কার মুশরিকগণ আল্লাহ তাআলার ‘রহমান’ নামকে স্বীকার করত না। তারা বলত, রহমান কী তা আমরা জানি না, যেমন সূরা ফুরকানে (২৫ : ৬০) বর্ণিত হয়েছে। ‘রহমান’ নামটি তাদের এত অসহ্য হওয়ার কারণ সম্ভবত এই যে, ‘সর্বপ্রকার রহমত আল্লাহ তাআলার জন্য নির্দিষ্ট’ একথা বিশ্বাস করলে তাদের মনগড়া উপাস্যদের হাতে এমন কিছু থাকে না, যার ভিত্তিতে তারা তাদের কাছে ধরনা দেবে এবং মনষ্কাম পূরণের জন্য তাদের পূজা-অর্চনা করবে। আর এভাবে রহমানকে মেনে নিলে আপনা-আপনিই তাদের শিরকের মূলোৎপাটন হয়ে যায়। এ সূরায় আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, রহমান সেই আল্লাহরই নাম, যার রহমত বিশ্ব-জগত জুড়ে ব্যাপ্ত। তিনি ছাড়া এমন কেউ নেই, যে তোমাদেরকে রিযক, সন্তান বা অন্য কোন নি‘আমত দিতে পারে। তাই ইবাদতের হকদার কেবল তিনিই, অন্য কেউ নয়।
২
عَلَّمَ الْقُرْآنَ
‘আল্লামাল কুরআ-ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
যিনি কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
শিক্ষা দিয়েছেন কোরআন,
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
তিনিই শিক্ষা দিয়েছেন কুরআন,
৩
خَلَقَ الْإِنسَانَ
খালাকাল ইনছা-ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
মানুষকে সৃষ্টি করেছেন।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
সৃষ্টি করেছেন মানুষ,
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
তিনিই সৃষ্টি করেছেন মানুষ,
৪
عَلَّمَهُ الْبَيَانَ
‘আল্লামাহুল বায়া-ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তাকে ভাব প্রকাশ করতে শিখিয়েছেন।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
তাকে শিখিয়েছেন বর্ণনা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
তিনিই তাকে শিখেয়েছেন ভাব প্রকাশ করতে,
৫
الشَّمْسُ وَالْقَمَرُ بِحُسْبَانٍ
আশশামছুওয়ালকামারু বিহুছবা-ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সূর্য ও চন্দ্র একটি হিসাবের সাথে আবদ্ধ আছে। ২
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
সূর্য ও চন্দ্র হিসাবমত চলে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সূর্য ও চন্দ্র আবর্তন করে নির্ধারিত কক্ষপথে,
তাফসীরঃ
২. অর্থাৎ উভয়ের উদয়, অস্ত, হ্রাস-বৃদ্ধি বা একই অবস্থায় থাকা, অতঃপর তার মাধ্যমে ঋতু-মওসুমের পরিবর্তন ঘটা ও জগতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলা এসব কিছুই বিশেষ এক হিসাব ও পরিপক্ব নিয়ম-শৃঙ্খলার অধীনে নিষ্পন্ন হয়। সেই হিসাব ও নিয়ম-বৃত্তের বাইরে যাওয়ার কোন ক্ষমতা এদের নেই (-অনুবাদক, তাফসীরে উছমানী থেকে সংক্ষেপিত)।
৬
وَالنَّجْمُ وَالشَّجَرُ يَسْجُدَانِ
ওয়ান্নাজমুওয়াশশাজারু ইয়াছজূদা-ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তৃণলতা ও বৃক্ষ তাঁর সম্মুখে সিজদা করে। ৩
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
এবং তৃণলতা ও বৃক্ষাদি সেজদারত আছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
তৃণলতা ও বৃক্ষাদি তাঁরই সিজ্দায় রত রয়েছে,
তাফসীরঃ
৩. তৃণলতা ও গাছপালার এ সিজদা প্রকৃত অর্থেও হতে পারে। কুরআন মাজীদে কয়েক জায়গায় ইরশাদ হয়েছে, সমস্ত সৃষ্টির মধ্যেই কিছু না কিছু অনুভূতি আছে (দেখুন সূরা বনী ইসরাঈল ১৭ : ৪৪)। আবার এ অর্থও হতে পারে যে, এরা সব আল্লাহ তাআলার হুকুম মেনে চলে।
৭
وَالسَّمَاءَ رَفَعَهَا وَوَضَعَ الْمِيزَانَ
ওয়াছ ছামাআ রাফা‘আহা-ওয়া ওয়াদা‘আল মীঝা-ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
এবং তিনিই আকাশকে উঁচু করেছেন এবং তুলাদণ্ড স্থাপন করেছেন,
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
তিনি আকাশকে করেছেন সমুন্নত এবং স্থাপন করেছেন তুলাদন্ড।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
তিনি আকাশকে করেছেন সমুন্নত এবং স্থাপন করেছেন মানদণ্ড,
৮
أَلَّا تَطْغَوْا فِي الْمِيزَانِ
আল্লা-তাতাগাও ফিল মীঝা-ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
যাতে তোমরা পরিমাপে জুলুম না কর।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
যাতে তোমরা সীমালংঘন না কর তুলাদন্ডে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
যাতে তোমরা সীমালংঘন না কর মানদণ্ডে।
৯
وَأَقِيمُوا الْوَزْنَ بِالْقِسْطِ وَلَا تُخْسِرُوا الْمِيزَانَ
ওয়া আকীমুল ওয়াঝনা বিলকিছতিওয়ালা-তুখছিরুল মীঝা-ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
এবং ইনসাফের সাথে ওজন ঠিক রাখ এবং পরিমাপে কম না দাও।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
তোমরা ন্যায্য ওজন কায়েম কর এবং ওজনে কম দিয়ো না।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
ওজনের ন্যায্য মান প্রতিষ্ঠিত কর এবং ওজনে কম দিও না।
১০
وَالْأَرْضَ وَضَعَهَا لِلْأَنَامِ
ওয়াল আরদা ওয়া দা‘আহা-লিলআনা-ম।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
এবং পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন সৃষ্টজীবের জন্য।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
তিনি পৃথিবীকে স্থাপন করেছেন সৃষ্টজীবের জন্যে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
তিনি পৃথিবীকে স্থাপন করেছেন সৃষ্ট জীবের জন্যে;
১১
فِيهَا فَاكِهَةٌ وَالنَّخْلُ ذَاتُ الْأَكْمَامِ
ফীহা-ফা-কিহাতুওঁ ওয়ান্নাখলুযা-তুল আকমা-ম।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তাতে আছে ফলমূল এবং চুমরিযুক্ত খেজুর গাছ।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
এতে আছে ফলমূল এবং বহিরাবরণবিশিষ্ট খর্জুর বৃক্ষ।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
এতে রয়েছে ফলমূল এবং খর্জুর বৃক্ষ যার ফল আবরণযুক্ত,
১২
وَالْحَبُّ ذُو الْعَصْفِ وَالرَّيْحَانُ
ওয়াল হাব্বুযুল‘আসফি ওয়াররাইহা-ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
এবং খোসা বিশিষ্ট শস্যদানা ও সুগন্ধযুক্ত ফুল।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
আর আছে খোসাবিশিষ্ট শস্য ও সুগন্ধি ফুল।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
এবং খোসাবিশিষ্ট দানা ও সুগন্ধ ফুল।
১৩
فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা-তুকাযযিবা-ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং (হে মানুষ ও জিন্ন!) তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে? ৪
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
তাফসীরঃ
৪. এ আয়াত শুনে বলা উচিত لَا بِشَىْءٍ مِنْ نِعَمِكَ رَبَّنَا نُكَذِّبُ فَلَكَ الْحَمْدُ হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা তোমার কোনও নি‘আমতকেই অস্বীকার করি না সকল প্রশংসা তোমারই (তিরমিযী, হাকিম)। -অনুবাদক
১৪
خَلَقَ الْإِنسَانَ مِن صَلْصَالٍ كَالْفَخَّارِ
খালাকাল ইনছা-না মিন সালসা-লিন কাল ফাখখা-র।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তিনিই মানুষকে পোড়া মাটির মত ঠনঠনে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পোড়া মাটির ন্যায় শুষ্ক মৃত্তিকা থেকে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
মানুষকে তিনি সৃষ্টি করেছেন পোড়া মাটির মত শুষ্ক মৃত্তিকা হতে,
১৫
وَخَلَقَ الْجَانَّ مِن مَّارِجٍ مِّن نَّارٍ
ওয়া খালাকাল জান্না মিম্মা-রিজিমমিন্না-র।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
আর জিন্নদেরকে সৃষ্টি করেছেন আগুনের শিখা দ্বারা।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
এবং জিনকে সৃষ্টি করেছেন অগ্নিশিখা থেকে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
এবং জিনকে সৃষ্টি করেছেন নির্ধূম অগ্নিশিখা হতে।
১৬
فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে?
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
১৭
رَبُّ الْمَشْرِقَيْنِ وَرَبُّ الْمَغْرِبَيْنِ
রাব্বুল মাশরিকাইনি ওয়া রাব্বুল মাগরিবাইন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তিনিই দুই মাশরিক (উদয়াচল) ও দুই মাগরিব (অস্তাচল)-এর প্রতিপালক। ৫
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
তিনি দুই উদয়াচল ও দুই অস্তাচলের মালিক।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
তিনিই দুই উদয়াচল ও দুই অস্তাচলের নিয়ন্তা।
তাফসীরঃ
৫. ‘মাশরিক’ মূলত আকাশের যেখান থেকে সূর্য উদিত হয় সেই দিগন্তকে বলে। এমনিভাবে মাগরিবও বলে সেই দিগন্তকে যেখানে গিয়ে সূর্য অস্ত যায়। যেহেতু শীত ও গ্রীষ্মকালে সূর্যের উদয় ও অস্ত যাওয়ার স্থান বদল হয়ে যায়, তাই সে স্থানসমূহকে দুই মাশরিক ও দুই মাগরিব নামে অভিহিত করা হয়েছে।
১৮
فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে?
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
১৯
مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ يَلْتَقِيَانِ
মারাজাল বাহরাইনি ইয়ালতাকিয়া-ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তিনিই দুই সাগরকে এভাবে প্রবাহিত করেন যে, তারা পরস্পর মিলিত হয়,
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
তিনি পাশাপাশি দুই দরিয়া প্রবাহিত করেছেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
তিনি প্রবাহিত করেন দুই দরিয়া যারা পরস্পর মিলিত হয়,
২০
بَيْنَهُمَا بَرْزَخٌ لَّا يَبْغِيَانِ
বাইনাহুমা-বারঝাখুল লা-ইয়াবগিয়া-ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
কিন্তু (তা সত্ত্বেও) তাদের মধ্যে থাকে এক অন্তরাল, যা তারা অতিক্রম করতে পারে না। ৬
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
উভয়ের মাঝখানে রয়েছে এক অন্তরাল, যা তারা অতিক্রম করে না।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
কিন্তু এদের মধ্যে রয়েছে এক অন্তরাল যা এরা অতিক্রম করতে পারে না।
তাফসীরঃ
৬. দুই নদী বা দুই সাগরের সঙ্গমস্থলে যে-কেউ আল্লাহ তাআলার কুদরতের এ মাহাত্ম্য দেখতে পাবে যে, উভয়টির পানি পাশাপাশি বয়ে চলে অথচ একটির পানি অন্যটির ভেতর ঢোকে না। উভয়ের মাঝখানে এক সূক্ষ্ম রেখার মত থেকে যায়, যা দ্বারা বোঝা যায়, সেখানে দু’টো নদী বা সাগর পাশাপাশি বহমান।
২১
فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে?
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
২২
يَخْرُجُ مِنْهُمَا اللُّؤْلُؤُ وَالْمَرْجَانُ
ইয়াখরুজূমিনহুমাল লু’লূউ ওয়াল মার জা-ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
উভয় সাগর থেকে উৎপন্ন হয় মুক্তা ও পলা।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
উভয় দরিয়া থেকে উৎপন্ন হয় মোতি ও প্রবাল।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
উভয় দরিয়া হতে উৎপন্ন হয় মুক্তা ও প্রবাল।
২৩
فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে?
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
২৪
وَلَهُ الْجَوَارِ الْمُنشَآتُ فِي الْبَحْرِ كَالْأَعْلَامِ
ওয়ালাহুল জাওয়া-রিল মুনশাআ-তুফিল বাহরি কালআ‘লা-ম।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সাগরে উঁচু পাহাড়ের মত চলমান জাহাজসমূহ তাঁরই নিয়ন্ত্রণাধীন।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
দরিয়ায় বিচরণশীল পর্বতদৃশ্য জাহাজসমূহ তাঁরই (নিয়ন্ত্রনাধীন)
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সমুদ্রে বিচরণশীল পর্বতপ্রমাণ নৌযানসমূহ তাঁরই নিয়ন্ত্রণাধীন;
২৫
فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে?
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
২৬
كُلُّ مَنْ عَلَيْهَا فَانٍ
কুল্লুমান ‘আলাইহা-ফা-নিওঁ।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
ভূ-পৃষ্ঠে যা-কিছু আছে, সবই ধ্বংস হবে।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
ভূপৃষ্টের সবকিছুই ধ্বংসশীল।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
ভ‚পৃষ্ঠে যা কিছু আছে সমস্তই নশ্বর,
২৭
وَيَبْقَىٰ وَجْهُ رَبِّكَ ذُو الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ
ওয়া ইয়াবকা-ওয়াজহু রাব্বিকা যুল জালা-লি ওয়াল ইকরা-ম।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
বাকি থাকবে কেবল তোমার প্রতিপালকের গৌরবময়, মহানুভব সত্তা।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
একমাত্র আপনার মহিমায় ও মহানুভব পালনকর্তার সত্তা ছাড়া।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
অবিনশ্বর কেবল তোমার প্রতিপালকের সত্তা, যিনি মহিমময়, মহানুভব;
২৮
فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে?
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
২৯
يَسْأَلُهُ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۚ كُلَّ يَوْمٍ هُوَ فِي شَأْنٍ
ইয়াছআলুহূমান ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি কুল্লা ইয়াওমিন হুওয়া ফী শা’ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা-কিছু আছে, সকলে তাঁরই কাছে (আপন-আপন প্রয়োজন) যাচনা করে। তিনি প্রত্যহ একেকটি শানে থাকেন। ৭
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সবাই তাঁর কাছে প্রার্থী। তিনি সর্বদাই কোন না কোন কাজে রত আছেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যারা আছে সকলেই তাঁর নিকট প্রার্থী, তিনি প্রত্যহ গুরুত্বপূর্ণ কার্যে রত।
তাফসীরঃ
৭. অর্থাৎ প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ তিনি সৃষ্টি জগতের নিয়ন্ত্রণ ও সৃষ্টি নিচয়ের প্রয়োজন সমাধার্থে নিজের কোন না কোন শান ও গুণ প্রকাশ করছেন।
৩০
فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে?
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
৩১
سَنَفْرُغُ لَكُمْ أَيُّهَ الثَّقَلَانِ
ছানাফরুগু লাকুম আইয়ুহাছছাকালা-ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
ওহে দুই ওজনদার সৃষ্টি! ৮ আমি শীঘ্রই তোমাদের (হিসাব নেওয়ার) জন্য মুক্ত হয়ে যাব। ৯
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
হে জিন ও মানব! আমি শীঘ্রই তোমাদের জন্যে কর্মমুক্ত হয়ে যাব।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
হে মানুষ ও জিন! আমি শীঘ্রই তোমাদের প্রতি মনোনিবেশ করব,
তাফসীরঃ
৮. এখানে ‘মুক্ত হওয়া’ কথাটি প্রতীকী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। বোঝানো হচ্ছে, এখন তো আল্লাহ তাআলা জগতের অন্যান্য কাজ আঞ্জাম দিচ্ছেন। এখন তিনি হিসাব গ্রহণের দিকে মনোযোগ দেননি। তবে সেই সময় আসন্ন, যখন তিনি হিসাব গ্রহণের দিকে মনোযোগী হবেন। প্রকাশ থাকে যে, ৪৪ নং আয়াত পর্যন্ত জাহান্নামীদের আযাব সম্পর্কে আলোচনা। অথচ তার সাথেও প্রতিটি স্থানে বলা হয়েছে, ‘সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমত অস্বীকার করবে?’ প্রশ্ন হয় এক্ষেত্রে নি‘আমত কী? উত্তর এই যে, আল্লাহ তাআলা যে সেই বিভীষিকাময় শাস্তি সম্পর্কে আগেই সতর্ক করে দিয়েছেন, এটাই তার এক বিরাট নি‘আমত। তোমরা এ নি‘আমত অস্বীকার করো না। তাছাড়া এই যে শাস্তির কথা বলা হচ্ছে, এটা আল্লাহ তাআলার নি‘আমতকে অস্বীকার করার পরিণাম। এ পরিণাম জানা সত্ত্বেও কি তোমরা তার নি‘আমতসমূহ অস্বীকার করে যাবে?
৯. الثقلان অর্থ দু’টি ভারী, ওজনদার বস্তু। এখানে মানুষ ও জিন্নকে বোঝানো হয়েছে। তারা ওজনদার, মানে সকলের অপেক্ষা মর্যাদাবান। কেননা সৃষ্টিজগতের মধ্যে কেবল এ দুই সৃষ্টিকেই জ্ঞান-বুদ্ধি দানের সাথে সাথে আল্লাহ তাআলার বিধি-বিধান বইবার যোগ্যতা দান করা হয়েছে।
৩২
فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে?
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
৩৩
يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ وَالْإِنسِ إِنِ اسْتَطَعْتُمْ أَن تَنفُذُوا مِنْ أَقْطَارِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ فَانفُذُوا ۚ لَا تَنفُذُونَ إِلَّا بِسُلْطَانٍ
ইয়া-মা‘শারাল জিন্নি ওয়াল ইনছি ইনিছতাতা‘তুম আন তানফুযূমিন আকতা-রিছ ছামাওয়া-তি ওয়াল আরদিফানফুযূ লা-তানফুযূনা ইল্লা-বিছুলতা-ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
হে মানুষ ও জিন্ন সম্প্রদায়! তোমাদের যদি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সীমানা অতিক্রম করার সামর্থ্য থাকে, তবে তা অতিক্রম কর। তোমরা প্রচণ্ড শক্তি ছাড়া তা অতিক্রম করতে পারবে না। ১০
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
হে জিন ও মানবকূল, নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের প্রান্ত অতিক্রম করা যদি তোমাদের সাধ্যে কুলায়, তবে অতিক্রম কর। কিন্তু ছাড়পত্র ব্যতীত তোমরা তা অতিক্রম করতে পারবে না।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
হে জিন ও মনুষ্য সম্প্রদায়! আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সীমা তোমরা যদি অতিক্রম করতে পার অতিক্রম কর, কিন্তু তোমরা অতিক্রম করতে পারবে না সনদ ব্যতিরেকে।
তাফসীরঃ
১০. অর্থাৎ তোমাদের সেই সামর্থ্য নেই, যা দ্বারা তোমরা আল্লাহ তাআলার জিজ্ঞাসাবাদ ও আযাব থেকে পালিয়ে অন্য কোথাও চলে যাবে।
৩৪
فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে?
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
৩৫
يُرْسَلُ عَلَيْكُمَا شُوَاظٌ مِّن نَّارٍ وَنُحَاسٌ فَلَا تَنتَصِرَانِ
ইউরছালু‘আলাইকুমা-শুওয়া-জু ম মিন্না-রিওঁ ওয়া নুহা-ছুন ফালা-তানতাসিরা-ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তোমাদের উপর ছেড়ে দেওয়া হবে আগুনের শিখা এবং তাম্রবর্ণের ধোঁয়া। তখন তোমরা পারবে না আত্মরক্ষা করতে।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
ছাড়া হবে তোমাদের প্রতি অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ও ধুম্রকুঞ্জ তখন তোমরা সেসব প্রতিহত করতে পারবে না।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
তোমাদের প্রতি প্রেরিত হবে অগ্নিশিখা ও ধূম্রপুঞ্জ, তখন তোমরা প্রতিরোধ করতে পারবে না।
৩৬
فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে?
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
৩৭
فَإِذَا انشَقَّتِ السَّمَاءُ فَكَانَتْ وَرْدَةً كَالدِّهَانِ
ফাইযান শাককাতিছ ছামাউ ফাকা-নাত ওয়ারদাতান কাদ্দিহা-ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
(সেই সময় অবশ্যম্ভাবী) যখন আকাশ ফেটে যাবে এবং তা লাল চামড়ার মত লাল-গোলাপী হয়ে যাবে।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
যেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে তখন সেটি রক্তবর্ণে রঞ্জিত চামড়ার মত হয়ে যাবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
যেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে সেদিন তা রক্ত-রঙ্গে রঞ্জিত চর্মের রূপ ধারণ করবে;
৩৮
فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে?
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
৩৯
فَيَوْمَئِذٍ لَّا يُسْأَلُ عَن ذَنبِهِ إِنسٌ وَلَا جَانٌّ
ফাইয়াওমা ইযিল্লা-ইউছআলু‘আন যামবিহী ইনছুওঁ ওয়ালা-জান।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সেই দিন না কোন মানুষকে তার অপরাধ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে, না কোন জিন্নকে। ১১
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
সেদিন মানুষ না তার অপরাধ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে, না জিন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সেদিন না মানুষকে তার অপরাধ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হবে, না জিনকে।
তাফসীরঃ
১১. অর্থাৎ প্রশ্ন-উত্তর ও হিসাব-নিকাশের বিষয়টা তো আগেই শেষ হয়ে গেছে, যখন তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ চূড়ান্ত করার জন্য তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছিল। এখন তো তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপের সময়। কাজেই এখন তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপের জন্য তারা কি কি গুনাহ করেছিল তা জিজ্ঞেস করার কোন প্রয়োজন আল্লাহ তাআলার হবে না। কেননা তিনি নিজেই সব জানেন। আর ফেরেশতাদেরও জিজ্ঞাসার প্রয়োজন হবে না। কারণ পরের আয়াতে আসছে যে, অপরাধীদেরকে তাদের চেহারার আলামত দেখেই চেনা যাবে।
৪০
فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে?
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
৪১
يُعْرَفُ الْمُجْرِمُونَ بِسِيمَاهُمْ فَيُؤْخَذُ بِالنَّوَاصِي وَالْأَقْدَامِ
ইউ‘রাফুল মুজরিমূনা বিছীমা-হুম ফাইউ’খাযুবিন্নাওয়া-ছী ওয়াল আকদা-ম।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
অপরাধীদেরকে তাদের আলামত দ্বারা চেনা যাবে। ১২ তারপর তাদেরকে পাকড়াও করা হবে তাদের পা ও মাথার অগ্রভাগের চুল ধরে।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অপরাধীদের পরিচয় পাওয়া যাবে তাদের চেহারা থেকে; অতঃপর তাদের কপালের চুল ও পা ধরে টেনে নেয়া হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
অপরাধীদের পরিচয় পাওয়া যাবে এদের লক্ষণ হতে, এদেরকে পাকড়াও করা হবে মাথার ঝুঁটি ও পা ধরে।
তাফসীরঃ
১২. অর্থাৎ তাদের চেহারায় থাকবে বিষণ্ণতার ছাপ, চেহারার রং হবে কালো, চোখ হবে নীল। এ আলামত দেখেই বোঝা যাবে তারা অপরাধী। এর বিপরীতে মুমিনদের ওযুর অংগগুলো থাকবে উজ্জ্বল এবং চেহারায় থাকবে সিজদার চিহ্ন। -অনুবাদক
৪২
فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে?
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
৪৩
هَـٰذِهِ جَهَنَّمُ الَّتِي يُكَذِّبُ بِهَا الْمُجْرِمُونَ
হা-যিহী জাহান্নামুল্লাতী ইউকাযযি বুবিহাল মুজরিমূন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
এই সেই জাহান্নাম, অপরাধীরা যা অবিশ্বাস করত।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
এটাই জাহান্নাম, যাকে অপরাধীরা মিথ্যা বলত।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
এটাই সেই জাহান্নাম, যা অপরাধীরা অবিশ্বাস করত,
৪৪
يَطُوفُونَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ حَمِيمٍ آنٍ
ইয়াতূ ফূনা বাইনাহা-ওয়া বাইনা হামীমিন আ-ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তারা এর আগুন ও ফুটন্ত পানির মধ্যে ছোটাছুটি করবে।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
তারা জাহান্নামের অগ্নি ও ফুটন্ত পানির মাঝখানে প্রদক্ষিণ করবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
এরা জাহান্নামের অগ্নি ও ফুটন্ত পানির মধ্যে ছুটাছুটি করবে।
৪৫
فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে?
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
৪৬
وَلِمَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِ جَنَّتَانِ
ওয়া লিমান খা-ফা মাকা-মা রাব্বিহী জান্নাতা-ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
(দুনিয়ায়) যে ব্যক্তি নিজ প্রতিপালকের সামনে দাঁড়ানোর ভয় রাখত, তার জন্য থাকবে দু’টি উদ্যান।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে পেশ হওয়ার ভয় রাখে, তার জন্যে রয়েছে দু’টি উদ্যান।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
আর যে আল্লাহ্ র সামনে উপস্থিত হওয়ার ভয় রাখে, তার জন্যে রয়েছে দুইটি উদ্যান।
৪৭
فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে?
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
৪৮
ذَوَاتَا أَفْنَانٍ
যাওয়া-তা আফনা-ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
উভয় উদ্যান শাখা-প্রশাখায় পরিপূর্ণ।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
উভয় উদ্যানই ঘন শাখা-পল্লববিশিষ্ট।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
উভয়ই বহু শাখা-পল্লববিশিষ্ট।
৪৯
فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে?
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
৫০
فِيهِمَا عَيْنَانِ تَجْرِيَانِ
ফীহিমা-‘আইনা-নি তাজরিয়া-ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
উভয় উদ্যানে দু’টি প্রস্রবণ প্রবাহিত থাকবে।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
উভয় উদ্যানে আছে বহমান দুই প্রস্রবন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
উভয় উদ্যানে রয়েছে প্রবহমান দুই প্রস্রবণ;
৫১
فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে?
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
৫২
فِيهِمَا مِن كُلِّ فَاكِهَةٍ زَوْجَانِ
ফীহিমা-মিন কুল্লি ফা-কিহাতিন ঝাওজা-ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তাতে প্রত্যেক ফল থাকবে দু’ দু’প্রকার। ১৩
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
উভয়ের মধ্যে প্রত্যেক ফল বিভিন্ন রকমের হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
উভয় উদ্যানে রয়েছে প্রত্যেক ফল দুই দুই প্রকার।
তাফসীরঃ
১৩. অর্থাৎ এক প্রকার দুনিয়ার পরিচিত ফল এবং আরেক প্রকার এমন যা দুনিয়ায় দেখেনি। এভাবে দুনিয়ায় যত প্রকারের ফল আছে, তার প্রত্যেকটিরই এক অপরিচিত প্রকারও জান্নাতে থাকবে। -অনুবাদক
৫৩
فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে?
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
- ভাগে কোরবানির নিয়ম, অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার নিয়ম, ভাগে কোরবানির যত বিধি বিধান
- কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব,আরও একবার জানুন কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব
৫৪
مُتَّكِئِينَ عَلَىٰ فُرُشٍ بَطَائِنُهَا مِنْ إِسْتَبْرَقٍ ۚ وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ
মুত্তাকিঈনা ‘আলা-ফুরুশিম বাতাইনুহা-মিন ইছতাবরাকিও ওয়া জানাল জান্নাতাইনি দা-ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তারা (অর্থাৎ জান্নাতবাসীগণ) সেখানে এমন বিছানায় হেলান দিয়ে বসবে, যাতে থাকবে পুরু রেশমের আস্তর এবং উভয় উদ্যানের ফল তাদের কাছে ঝোঁকা থাকবে।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
তারা তথায় রেশমের আস্তরবিশিষ্ট বিছানায় হেলান দিয়ে বসবে। উভয় উদ্যানের ফল তাদের নিকট ঝুলবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সেখানে এরা হেলান দিয়ে বসিবে পুরু রেশমের আস্তরবিশিষ্ট ফরাশে, দুই উদ্যানের ফল হবে নিকটবর্তী।
৫৫
فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে?
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
৫৬
فِيهِنَّ قَاصِرَاتُ الطَّرْفِ لَمْ يَطْمِثْهُنَّ إِنسٌ قَبْلَهُمْ وَلَا جَانٌّ
ফীহিন্না কা-সিরা-তুত্তারফি লাম ইয়াতমিছহুন্না ইনছুন কাবলাহুম ওয়ালা-জান।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সেই উদ্যানসমূহের মধ্যে থাকবে এমন আনত নয়না (নারী) যাদেরকে জান্নাতবাসীদের আগে না কোন মানুষ স্পর্শ করেছে, না কোন জিন্ন।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
তথায় থাকবে আনতনয়ন রমনীগন, কোন জিন ও মানব পূর্বে যাদের ব্যবহার করেনি।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সেই সকলের মাঝে রয়েছে বহু আনতনয়না, যাদেরকে পূর্বে কোন মানুষ বা জিন স্পর্শ করে নাই।
৫৭
فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে?
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
৫৮
كَأَنَّهُنَّ الْيَاقُوتُ وَالْمَرْجَانُ
কাআন্নাহুন্নাল ইয়া‘কূতুওয়াল মারজান-ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তারা যেন পদ্মরাগ ও প্রবাল।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
প্রবাল ও পদ্মরাগ সদৃশ রমণীগণ।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
তারা যেন পদ্মরাগ ও প্রবাল।
৫৯
فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে?
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
৬০
هَلْ جَزَاءُ الْإِحْسَانِ إِلَّا الْإِحْسَانُ
হাল জাঝাউল ইহছা-নি ইল্লাল ইহছা-ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
উত্তম কাজের প্রতিদান উত্তম ছাড়া আর কী হতে পারে?
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
সৎকাজের প্রতিদান উত্তম পুরস্কার ব্যতীত কি হতে পারে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
উত্তম কাজের জন্যে উত্তম পুরস্কার ব্যতীত কী হতে পারে ?
৬১
فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে?
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
৬২
وَمِن دُونِهِمَا جَنَّتَانِ
ওয়া মিন দূনিহিমা-জান্নাতা-ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
এবং সেই উদ্যান দু’টি অপেক্ষা কিছুটা নিম্নস্তরের আরও দু’টি উদ্যান থাকবে। ১৪
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
এই দু’টি ছাড়া আরও দু’টি উদ্যান রয়েছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
এই উদ্যানদ্বয় ব্যতীত আরও দুইটি উদ্যান রয়েছে।
তাফসীরঃ
১৪. অধিকাংশ মুফাসসিরগণের মতে পূর্বে ৪৬ নং আয়াতে যে দু’টি উদ্যানের কথা বলা হয়েছিল, সে দু’টি হবে উচ্চ স্তরের মুমিন বান্দাদের জন্য, যেমন সামনে সূরা ওয়াকি‘আয় এর বিস্তারিত বিবরণ আসছে। এখন ৬২ নং আয়াত থেকে যে দু’টি জান্নাত সম্পর্কে বলা হচ্ছে তা সাধারণ মুমিনদের জন্য।
৬৩
فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে?
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
৬৪
مُدْهَامَّتَانِ
মুদ হূমমাতা-ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
উদ্যান দু’টি (অত্যধিক সবুজ হওয়ার কারণে) কৃষ্ণাভ দেখা যাবে। ১৫
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
কালোমত ঘন সবুজ।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
ঘন সবুজ এই উদ্যান দুইটি।
তাফসীরঃ
১৫. সবুজ রং বেশি গাঢ় ও গভীর হলে দূর থেকে তা ঈষৎ কালো মনে হয়। জান্নাতের এ উদ্যান দু’টি সে রকমই হবে।
৬৫
فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে?
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
৬৬
فِيهِمَا عَيْنَانِ نَضَّاخَتَانِ
ফীহিমা-‘আইনা-নি নাদ্দাখাতা-ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
উভয় উদ্যানে থাকবে দু’টি উচ্ছলিত প্রস্রবণ।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
তথায় আছে উদ্বেলিত দুই প্রস্রবণ।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
উভয় উদ্যানে আছে উচ্ছলিত দুই প্রস্রবণ।
৬৭
فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে?
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
৬৮
فِيهِمَا فَاكِهَةٌ وَنَخْلٌ وَرُمَّانٌ
ফীহিমা-ফা-কিহাতুওঁ ওয়া নাখলুওঁ ওয়ারুম্মা-ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তাতে থাকবে ফলমূল, খেজুর ও আনার।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
তথায় আছে ফল-মূল, খর্জুর ও আনার।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সেখানে রয়েছে ফলমূল-খর্জুর ও আনার।
৬৯
فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে?
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
৭০
فِيهِنَّ خَيْرَاتٌ حِسَانٌ
ফীহিন্না খাইরা-তুন হিছা-ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তাতে থাকবে সচ্চরিত্রা, সুন্দরী নারী।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
সেখানে থাকবে সচ্চরিত্রা সুন্দরী রমণীগণ।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সেই উদ্যানসমূহের মাঝে রয়েছে সুশীলা, সুন্দরীগণ।
৭১
فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে?
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
৭২
حُورٌ مَّقْصُورَاتٌ فِي الْخِيَامِ
হূরুমমাকসূরা-তুন ফিল খিয়া-ম।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
এমন হুর, যাদেরকে তাঁবুতে হেফাজতে ১৬ রাখা হয়েছে।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
তাঁবুতে অবস্থানকারিণী হুরগণ।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
তারা হ‚র, তাঁবুতে সুরক্ষিতা।
তাফসীরঃ
১৬. সে সব তাঁবু কেমন হবে? বুখারী শরীফের এক হাদীছে বর্ণিত হয়েছে যে, তা হবে বিশাল লম্বা-চওড়া মুক্তার তৈরি।
৭৩
فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে?
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
৭৪
لَمْ يَطْمِثْهُنَّ إِنسٌ قَبْلَهُمْ وَلَا جَانٌّ
লাম ইয়াতমিছহুন্না ইনছুন কাবলাহুম ওয়ালা-জান।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তাদেরকে তাদের (অর্থাৎ জান্নাতবাসীদের) পূর্বে না কোন মানুষ স্পর্শ করেছে, না কোন জিন।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
কোন জিন ও মানব পূর্বে তাদেরকে স্পর্শ করেনি।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
এদেরকে ইতিপূর্বে কোন মানুষ বা জিন স্পর্শ করে নাই।
৭৫
فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে?
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
৭৬
مُتَّكِئِينَ عَلَىٰ رَفْرَفٍ خُضْرٍ وَعَبْقَرِيٍّ حِسَانٍ
মুত্তাকিঈনা ‘আলা-রাফরাফিন খুদরিওঁ ওয়া ‘আবকারিইয়িন হিছা-ন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তারা (অর্থাৎ জান্নাতবাসীগণ) সবুজ রফরফ ১৭ ও অদ্ভুত সুন্দর গালিচায় হেলান দিয়ে বসা থাকবে।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
তারা সবুজ মসনদে এবং উৎকৃষ্ট মূল্যবান বিছানায় হেলান দিয়ে বসবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
এরা হেলান দিয়ে বসিবে সবুজ তাকিয়ায় ও সুন্দর গালিচার উপরে।
তাফসীরঃ
১৭. ‘রফরফ’ কারুকার্য খচিত কার্পেট। প্রকাশ থাকে যে, এখানে জান্নাতের নি‘আমতরাজির মধ্যে যেগুলোর কথা উল্লেখ করা হল, যদিও দুনিয়ায়ও এই একই নামের দ্রব্য-সামগ্রী রয়েছে, কিন্তু আকৃতি-প্রকৃতি ও স্বাদে-আনন্দে উভয়ের মধ্যে কোন তুলনা চলে না। এ নামে দুনিয়ায় যা-কিছু আছে, তার চেয়ে জান্নাতেরগুলো অতুলনীয়ভাবে উৎকৃষ্ট হবে। সহীহ হাদীছে আছে, আল্লাহ তাআলা তাঁর নেক বান্দাদের জন্য এমন সব নি‘আমত তৈরি করে রেখেছেন, যা আজ পর্যন্ত কোন চোখ দেখেনি, কোন কান শোনেনি এবং কারও অন্তর তা কল্পনাও করেনি। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে তা লাভ করার সৌভাগ্য দান করুন আমীন।
৭৭
فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নি‘আমতকে অস্বীকার করবে?
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
৭৮
تَبَارَكَ اسْمُ رَبِّكَ ذِي الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ
তাবা-রাকাছমুরাব্বিকা যিল জালা-লি ওয়াল ইকরা-ম।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
বড় মহিয়ান তোমার প্রতিপালকের নাম, যিনি গৌরবময়, মহানুভব!
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
কত পূণ্যময় আপনার পালনকর্তার নাম, যিনি মহিমাময় ও মহানুভব।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
কত মহান তোমার প্রতিপালকের নাম যিনি মহিমময় ও মহানুভব!
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
আমাদের নতুন ইসলামিক নিউজ ও জিজ্ঞাসা ভিত্তিক সাইড
Islamic Info Hub ( www.islamicinfohub.com ) আজই ভিজিড করুন !!
- ভাগে কোরবানির নিয়ম, অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার নিয়ম, ভাগে কোরবানির যত বিধি বিধান
- কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব,আরও একবার জানুন কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব
- ইসলামে কুরবানীর গুরুত্ব ও বিধান,ইসলামে কোরবানির যত ফজিলত গুরুত্ব ও শিক্ষা
- বৃষ্টির নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, বৃষ্টির নামাজের পর আমল
- ইসতিসকার নামাজের নিয়ম ও নিয়ত, ইসতিসকার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, ইসতিসকার নামাজের পর আমল
- বাসর রাত সম্পর্কে ইসলামের বিধান,বাসর রাতের নামাজ