এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য অনুচ্ছেদ বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে একদিন,এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য অনুচ্ছেদ বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে একদিন,জেএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য অনুচ্ছেদ বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে একদিন

বিষয়: ‘এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য অনুচ্ছেদ বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে একদিন,এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য অনুচ্ছেদ বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে একদিন,জেএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য অনুচ্ছেদ বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে একদিন

বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে একদিন

“যতকাল রবে পদ্মা – মেঘনা – গৌরী- যমুনা বহমান

ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান। “

ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার। মেইন রোড থেকে কিছুদূর গিয়ে ডান দিকে একটা ব্রীজ। ব্রীজ পেরোলেই সাইন বোর্ড ঘোষণা করছে সামনেই বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর। গেট এ চেক আপের কড়াকড়ি একটা প্রশ্নই বারবার মনে করিয়ে দেয় – সেদিন তোমরা কোথায় ছিলে? আজকের সতর্কতাটা যদি উনচল্লিশ বছর আগে দেখাতে তাহলে হয়ত বঙ্গবন্ধু আজ জীবিত থাকতেন। যাই হোক, মোবাইল জমা দিয়ে কার্ড নিয়ে আমরা ঢুকে গেলাম জাদুঘরের ভিতর। দুটো অংশ সেখানে।  একটা বঙ্গবন্ধুর বাড়ি, একটা সম্প্রসারিত জাদুঘর।

বাড়িটাতে ঢোকার সময় প্রথমেই যে ঘরটা চোখে পরে তা হল রান্নাঘর। রান্নার হাড়ি – পাতিল – ডেকচিগুলো এমনভাবে রাখা যে হঠাৎ এক মূহুর্তের জন্য ভুলেই গিয়েছিলাম এখানে আর কেউ কখনো রান্না করতে আসবে না। তিনতলা বাড়িটার একতলায় ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ এ নিহত সবার ছবি আর কিছু আসবাবপত্র। দোতলায় ওঠার সিঁড়ি বাইতে, হেঁটে হেঁটে একের পর এক ঘরগুলো দেখতে দেখতে একটা কথাই বারবার মনে হচ্ছিল – এই বাড়িতে একদিন বঙ্গবন্ধু থাকতেন। এই পথ ধরে তিনি হাঁটতেন। এই ডাইনিং টেবিলে খেতেন। বঙ্গবন্ধুর বেডরুম আজো গুলির চিহ্ন ধারণ করে আছে। গুলি লেগে আছে শেখ জামাল আর তার নববধূর ঘরটিতেও।

তৃতীয় তলাটা মূলত ছাদ। এক পাশে পড়ার ঘর। নিরিবিলি এই ঘরটা বরাদ্দ থাকত পরিবারের কোন সদস্যের পরীক্ষা থাকলে তার জন্য। আর একপাশে শেখ কামাল আর সুলতানা কামাল এর ঘর। পনেরই আগস্টের হত্যাযজ্ঞ, লুটপাট সবকিছুর পর ও আগের মত করে সাজানোর চেষ্টা করা হয়েছে ঘরগুলোকে। শেখ কামালের ঘরে পিয়ানো, সেতার সব জায়গা মত আছে। শুধু সেগুলো বাজানোর জন্য শেখ কামাল বেঁচে নেই। ফুলদানিতে ১৪ আগস্ট, ১৯৭৫ এ সাজিয়ে রাখা ফুল। শুকিয়ে গেছে অনেক আগেই। তবু স্মৃতি ধারন করে রেখেছে। হয়ত সুলতানা কামালের এতটুকু স্পর্শের স্মৃতি।  সেই সিঁড়িতে আজো বুলেটের দাগ। জাতির পিতার রক্তের দাগ।।।

পাশেই সম্প্রসারিত জাদুঘর। চার তলা বিশিষ্ট জাদুঘরটিতে প্রতি পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে এই দেশটার জন্য বঙ্গবন্ধু আর তার পরিবারের আত্মত্যাগের কাহিনি। মহাত্মা গান্ধী,  হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী দের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তরুণ মুজিব এর ছবি। ভাষা আন্দোলনের ছবি। কেন যেন বায়ান্নতে ছাত্রদের আন্দোলনে রাস্তায় শুয়ে পরার ছবি দেখে শাহবাগের ছবিগুলো মনে ভাসছিল। আহত সহযোদ্ধাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন শেখ মুজিব – ভাষণ দিচ্ছেন – নৌকায় চড়ছেন। কত টুকরা টুকরা স্মৃতি।  একসাথে করলে কি হয়?  হয় একটি জাতির জন্মের ইতিহাস। শেখ কামাল – শেখ জামালের একাত্তরের রনাঙ্গনের পোশাক,  ছোট্ট রাসেলের খেলার বল এমনকি খোপের পায়রাগুলো পর্যন্ত এক মহাত্মার কথা প্রতি মূহর্তে স্মরন করিয়ে দেয়

চার তলাব্যাপী ইতিহাসের প্রদর্শনী দেখা শেষে আবার ঘরে ফেরা। শুধু কানে বাজছিল বঙ্গবন্ধুর সেই অমর উক্তি – “ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সময় বলে যাব আমি বাঙালি। বাংলা আমার দেশ। বাংলা আমার ভাষা। বাংলার মাটি আমার স্থান…। “


আরো ও সাজেশন:-

অথবা বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে একদিন

খাদিজা আক্তার। পড়াশোনা করছে টাঙ্গাইলের ফ্রেন্ডশিপ স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে। খাদিজার বাবা খালেক অটোরিকশা চালক। তিন ভাই, দুই বোন ও বাবা-মা নিয়ে খাদিজার পরিবার। অটোরিকশা চালিয়ে কোনো মতে সংসারের খরচ চালাচ্ছেন ওর বাবা। শনিবার ছোট্ট খাদিজা প্রথমবারের মতো ঢাকায় এলো। ওর সঙ্গে এসেছে ফ্রেন্ডশিপ স্কুলের শিক্ষকেরাও। 

দুপুরে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের ডিসি কার্যালয়ের যখন খাদিজা এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলছিল, ওর চোখে-মুখে কৌতুহল, শত প্রশ্ন ও খুশির ঝিলিক। জিজ্ঞেস করলাম, কেন ঢাকায় এলে? ওর উত্তর, ‘ম্যাডামেরা বললো, ঢাকায় জাদুঘর দেখব। সেখান থেকে জাতির পিতার কথা জানব। ঢাকায় নাচের অনুষ্ঠান আছে। পার্কে গিয়ে কত খেলায় ঘুরতে পারব।’ এলোমেলোভাবে ছোট্ট শিশুটি অল্প কথায় অনেক কিছু বুঝিয়ে দিল। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে ওর বয়সী শিশুদের খুব বেশি জানার কথাও নয়। তবে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে এই প্রতিবেদক যখন আরো কিছু বললেন, তখন খাদিজা জানায়, গল্প শুনতে ভালো লাগে ওর। বঙ্গবন্ধুর গল্প শুনতে চায় ও। 

টাঙ্গাইল থেকে আসা ১০০ ছোট্ট শিশুকে নিয়ে সত্যিকার অর্থে ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেন তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার। সুবিধাবঞ্চিত এই শিশুদের শনিবার ঘুরে ঘুরে দেখল ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি জাদুঘর। জাতির এই সূর্যসন্তান সম্পর্কে জানল ওরা। এমন দিন ওদের জীবনে আর কখনও আসেনি! হয়ত ছোট্ট এই শিশুদের স্মৃতিতে থেকে যাবে এমন সুন্দর দিন।

ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার সমকালকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষির্কী ও জাতীয় শিশু দিবস ঘিরে রাজধানীসহ সারা দেশে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সমাজের মূল স্রোতধারায় যেসব শিশুরা রয়েছেন তাদের ঘিরেই মূলত এসব অনুষ্ঠান। সেখানে চিত্রাঙ্কন, গল্প লেখা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তবে যারা সুবিধাবঞ্চিত তাদের নিয়ে খুব বেশি আয়োজন নেই। শিশু বয়সে যাতে প্রান্তিক পর্যায়ের এই শিশুদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ও তার চেতনা সম্পর্কে ধারণা তৈরি হয় সেই লক্ষ্যে তাদের ঢাকায় এনে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি জাদুঘরে নেওয়া হয়। এমন দিনটির কথা ওরা সারা জীবন মনে রাখবে। এ ধরনের কার্যক্রম আগামীতে গ্রহণ করা হবে।

টাঙ্গাইলের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাঠদান কর্মসূচীর আওতায় নিয়ে এসেছে ফ্রেন্ডশিপ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ওই প্রতিষ্ঠানের নানা বয়সের একশ’ শিক্ষার্থীকে শনিবার তিনটি বাসে ঢাকায় আনা হয়। ওদের সঙ্গে এসেছে স্কুল শিক্ষক ও চিকিৎসক। তেজগাঁওয়ে ডিসির কার্যালয়ে নামার পরপরই ওদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। দুপুরে দেওয়া হয় ভালো খাবার। তাদের প্রত্যেককে দেওয়া হয় নতুন জামা। এরপর তাদের নিয়ে যাওয়া হয় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে। সেখান থেকে ওদের নেওয়া হয় শ্যামলী শিশু মেলায়। সেখানে যে যার মতো বিভিন্ন রাইডে ওঠে ওরা। 

কল্পনা নামে দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিশু জানাল, তার বাবা আলিম। তিনি কাঠের কাজ করেন। গাড়িতে উঠে ঢাকায় আসতে পেরে ওর ভালো লেগেছে। এত বড় বড় দালান কখনো দেখেনি বলেও সে জানায়।

রচনা ,প্রবন্ধ উত্তর লিংক ভাবসম্প্রসারণ উত্তর লিংক
আবেদন পত্র উত্তর লিংক অনুচ্ছেদ রচনা উত্তর লিংক
চিঠি ও ইমেল উত্তর লিংক প্রতিবেদন উত্তর লিংক
Paragraphউত্তর লিংক Compositionউত্তর লিংক
Applicationউত্তর লিংক Emailউত্তর লিংক
Essayউত্তর লিংক Letterউত্তর লিংক

অথবা বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে একদিন

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট গঠন : বঙ্গবন্ধু-কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বেগম ফজিলাতুন্নেছার দুই জীবিত উত্তরাধিকারী। তাদের ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার সড়ক নং-৩২, বাড়ি নং-৬৭৭ (পুরাতন), বর্তমান বাড়ি নং-১০, সড়ক নং-১১ বাড়ির স্বত্ব বিগত ১১ এপ্রিল ১৯৯৪ইং তারিখে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট দলিল ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৯৪ইং তারিখে যথারীতি সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করে উক্ত বাড়ি ট্রাস্টের হাতে অর্পণ করেন।
১৪ই আগস্ট, ১৯৯৪ইং, ৩০শে শ্রাবণ, ১৪০১ বাংলা সালে বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ এবং দেশি-বিদেশি সম্মানিত বুদ্ধিজীবীদের এক বিরাট সমাবেশে এক ভাবগম্ভীর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের শুভ উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।
এতদ্ব্যতীত ট্রাস্টের ৭ মে ১৯৯৫ইং তারিখের সভায় শহিদ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে একটি হাসপাতাল, মাতৃসদন এবং শিশু চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। (সূত্র : ট্রাস্টের গঠনতন্ত্র)।
মেমোরিয়াল ট্রাস্টের উদ্দেশ্য : ট্রাস্ট দলিলের চতুর্থ অনুচ্ছেদে লিপিবদ্ধ তথ্য অনুযায়ী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি উদ্দেশ্য নিম্নরূপ (সূত্র : ট্রাস্টের গঠনতন্ত্র) :
(ক) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মধারার পরিচয় সম্বলিত একটি স্মৃতি সংগ্রহালয় (জাদুঘর) গঠন, সংরক্ষণ ও পরিচালনা করা;
(খ) বঙ্গবন্ধুর সম্মানে জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা;
(গ) ঢাকার ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ৩২নং সড়কে বঙ্গবন্ধুর বাড়িটির রক্ষণাবেক্ষণ এবং বাড়িটিকে জাতীয় ঐতিহাসিক ‘শেখ মুজিব মেমোরিয়াল’ ইমারত হিসেবে ঘোষণা ও সেইরূপে ও চালনা করিবার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা;
(ঘ) বঙ্গবন্ধু, তাঁহার ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগী এবং তাঁহার পরিবারের সদস্যদের বিশেষ করিয়া যাঁহারা স্বগৃহে ও কারাগারে নিষ্ঠুরভাবে নিহত হইয়াছেন, তাঁহাদের সকল বক্তৃতা, আলোকচিত্র ও চলচ্চিত্র সংগ্রহ করা;
(ঙ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়বস্তু ও রচনা প্রভৃতি সংগ্রহ করা এবং প্রয়াত নেতার নামে একটি অধ্যয়ন কেন্দ্রে সংরক্ষণ করা;
(চ) বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মকা- গবেষণা ও অধ্যয়ন বিশেষ করিয়া যে রাজনৈতিক সংগ্রাম ও নেতৃত্ব মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে পরিণতি লাভ করে, তাহার পরিচয় ফুটিয়া ওঠে এ সম্পর্কিত প্রামাণিক দলিলপত্র ও সংকলন সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করা;
(ছ) গণ-আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও তাঁহার বিশ্বাস এবং রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে তাঁহার নেতৃত্ব সম্পর্কে অধ্যয়ন ও গবেষণার উদ্যোগ গ্রহণ করা;
(জ) বঙ্গবন্ধুর উপর একটি গ্রন্থাগার স্থাপন ও চালনা করা এবং এই গ্রন্থাগারকে সমৃদ্ধ করার জন্য নির্বাচিত তথ্যগ্রন্থ ও আলোকচিত্র সংগ্রহ করা;
(ঝ) বাংলাদেশের ইতিহাস, দর্শন ও বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি এবং শান্তি, স্বাধীনতার জন্য জাতীয় আশা-আকাক্সক্ষা সম্পর্কিত তথ্য ও জ্ঞানের প্রসার ঘটায় এমন গ্রন্থ, পুস্তিকা, পত্রিকা ও সাময়িকী প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করা;
(ঞ) যে সকল রাজনৈতিক কর্মী জনসাধারণের স্বার্থরক্ষার জন্য নির্যাতিত এবং তাঁহাদের মৌলিক অধিকার, নাগরিক অধিকার, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার আদায়ের জন্য নির্যাতন ভোগ ও ত্যাগ শিকার করিয়াছেন, যাঁহারা কারাগারের যন্ত্রণা ভোগ করিয়াছেন, রাজনৈতিক সংগ্রামের চূড়ান্ত পরিণতি মুক্তিযুদ্ধে যাহারা জীবন দিয়াছেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে হইতে তাঁহাদের নাম সংগ্রহ করিয়া তালিকাভুক্ত করা এবং তাঁহাদের পরিবারের অভাবগ্রস্ত সদস্যদের সাহায্য করা;
(ট) ট্রাস্টের সামর্থ্য অনুযায়ী হাসপাতাল, চিকিৎসা কেন্দ্র, ক্লিনিক ও এতিমখানা সংগঠন ও স্থাপন করা, নিরক্ষরতা দূরীকরণে প্রকল্প ও আন্দোলনে পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা দান করা এবং সাক্ষরতার জন্য স্কুলগুলোতে সাহায্য করা;
(ঠ) দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রদের মধ্যে বৃত্তি বা অন্য কোনো সাহায্য দেওয়া;
(ড) বাংলাদেশের যে কোনো অংশে যে কোনো স্কুল, কলেজ, বিশ^বিদ্যালয় বা অন্য ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য অনুদান দেওয়া।

বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাবিষয়ক কথন : বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের ঐতিহাসিক বাড়িটি আজও তার স্মৃতি সংরক্ষণ করে চলেছে। ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু ভবনটিকে স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তর করে ট্রাস্টের সভাপতি বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ১৪ আগস্ট এই বাড়িটিকে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে উদ্বোধন করেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট দলিলের চতুর্থ অনুচ্ছেদের ধারা ‘ক’ ও ‘গ’ মোতাবেক বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়। ট্রাস্ট দলিলের চতুর্থ অনুচ্ছেদের ধারা হলোÑ (ক) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মধারার পরিচয় সংবলিত একটি স্মৃতি সংগ্রহালয় (জাদুঘর) গঠন, রক্ষণ ও পরিচালনা করা; এবং (গ) ঢাকার ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ৩২নং সড়কের প্রয়াত নেতার (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) বাড়িটির রক্ষণাবেক্ষণ এবং বাড়িটিকে জাতীয় ‘ঐতিহাসিক শেখ মুজিব মেমোরিয়াল ইমরাত’ হিসেবে ঘোষণা ও সেরূপে সংরক্ষণ ও চালনা করিবার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা (জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের গঠনতন্ত্র)।
ট্রাস্ট দলিল অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সভাপতি বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনার উদ্যোগে এই বঙ্গবন্ধু ভবনকে স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তরের কাজ শুরু হয়। এ জন্য অধ্যাপক আ ফ ম সালাউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্য হলেনÑ অ্যাডভোকেট গাজীউল হক, স্থপতি মাযহারুল ইসলাম, শিল্পী হাশেম খান, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, কবি রবিউল হুসাইন এবং সদস্য সচিব সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ। অতঃপর ১৯৯৪ সালের ১৪ আগস্ট দেশি-বিদেশি সম্মানিত বুদ্ধিজীবী, বিদেশি কূটনৈতিক এবং বঙ্গবন্ধু আদর্শের অনুসারীদের একটি বিরাট সমাবেশে ভাবগম্ভীর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ভবনে এই জাদুঘরের শুভ উদ্বোধন হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা।
জাদুঘর রূপান্তরের সময় বড়িটি মহান নেতার জীবদ্দশায় যেরূপে ঠিল সেরূপে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে সাধ্যমতো। পর্যায়ক্রমিকভাবে এই জাদুঘরের পূর্ণতা পাবে। প্রথমত; বঙ্গবন্ধু ভবনের নিচতলার দুটি কক্ষ ও দোতলায় ৪টি কক্ষ দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০০৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ভবনের তৃতীয়তলা দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয় এবং শেষ পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু ভবনের পিছনের ৬৮৬নং প্লটে সম্প্রসারিত জাদুঘরের জন্য ছয়তলা বিশিষ্ট একটি বর্ধিত ভবন নির্মিত হয়েছে। নবনির্মিত ভবনটিতে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের স্মৃতি নিদর্শন, আলোকচিত্র, সংবাদচিত্র ও ডকুমেন্ট সম্বলিত সম্প্রসারিত স্মৃতি জাদুঘর ২০১১ সালের ২০ আগস্ট শনিবার সকাল ১১টায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ রেহানা উদ্বোধন করেন।
ভূমিনকশা ও পরিকল্পনা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু ভবন (বঙ্গবন্ধুর মূল বাসভবন) পরিদর্শন শেষ করে দর্শক পুরাতন ভবন থেকে জাদুঘরের নবনির্মিত অংশের চতুর্থতলায় প্রবেশ করবে। দর্শক লিফটযোগে বা সিঁড়ি দিয়ে সরাসরি চতুর্থতলায় উঠে গিয়ে প্রদর্শনী পরিক্রমা শুরু করতে পারবেন। সম্প্রসারিত স্মৃতি জাদুঘরে প্রদর্শনী পরিকল্পনায় স্থায়ী প্রদর্শনীর পাশাপাশি গ্যালারি, লাইব্রেরি, অডিও ভিজ্যুয়াল গ্যালারি, সেমিনার হল, স্বল্পকালীন প্রদর্শনী গ্যালারি প্রভৃতি সন্নিবেশিত হয়েছে।
সম্প্রসারিত ষষ্ঠতলা ভবনে ২৬টি পর্বে বঙ্গবন্ধুর তথ্য ও সচিত্র ঘটনাবলি তুলে ধরা হয়েছে। পঞ্চমতলায় একটি লাইব্রেরি রয়েছে। জাতির পিতার শৈশব থেকে ১৯৭০-এর নির্বাচন পর্যন্ত চতুর্থতলায় তুলে ধরা হয়েছে। তৃতীয়তলায় ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে ১৯৭৩ সালের দেশ পুনর্গঠন পর্যন্ত সচিত্র তথ্য সংযোজন করা হয়েছে। পারিবারিক জীবন থেকে জীবনাবসানের মর্মান্তিক ঘটনাবলি দ্বিতীয়তলায় সন্নিবেশিত হয়েছে। চতুর্থতলা থেকে শুরু করে ক্রমান্বয়ে নিচের দিকে নামতে পারেন। ভবনের নিচতলায় সভা-সেমিনারের জন্য অডিটরিয়াম রয়েছে।
দর্শক সম্প্রসারিত জাদুঘর পরিদর্শন করে মূল ভবনের জাদুঘর পরিদর্শন করতে পারেন।
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে ১৯৯৮ সালে জনাব আনোয়ারুল হক লিখেছিলেন, “এই জাদুঘরটি দিয়ে এই শতাব্দী জাদুঘর পরিক্রমায় গর্বিত ইতি টানা হলো বলে মন্তব্য করা যায়। বাংলাদেশের জাদুঘর পরিক্রমার অবশ্যই এটি এই শতাব্দী ইতিবাচক পরিসমাপ্তি।” (হক, ১৯৯৮ : ১৯)।


রচনা ,প্রবন্ধ উত্তর লিংক ভাবসম্প্রসারণ উত্তর লিংক
আবেদন পত্র উত্তর লিংক অনুচ্ছেদ রচনা উত্তর লিংক
চিঠি ও ইমেল উত্তর লিংক প্রতিবেদন উত্তর লিংক
Paragraphউত্তর লিংক Compositionউত্তর লিংক
Applicationউত্তর লিংক Emailউত্তর লিংক
Essayউত্তর লিংক Letterউত্তর লিংক

এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

Leave a Comment