ওয়ার্ল্ড ভিশনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ,ওয়ার্ল্ড ভিশনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট লিখ।,ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ঐতিহাসিক দিকসমূহ আলোচনা কর , ওয়ার্ল্ড ভিশনের ঐতিহাসিক দিকসমূহ আলোচনা কর

প্রশ্ন সমাধান: ওয়ার্ল্ড ভিশনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ,ওয়ার্ল্ড ভিশনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট লিখ।,ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ঐতিহাসিক দিকসমূহ আলোচনা কর , ওয়ার্ল্ড ভিশনের ঐতিহাসিক দিকসমূহ আলোচনা কর

ভূমিকা : বাংলাদেশে যেসব আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কর্মরত আছে তার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য সংস্থা হলো ওয়ার্ল্ড ভিশন। ১৯৫০ সালে অনাথ শিশুদের পরিচর্যার মধ্য দিয়ে World Vision তার কার্যক্রম শুরু করে।আমাদের দেশে World Vision তার কার্যক্রম শুরু করে ১৯৭০ সালে।

উপকূলীয় অঞ্চলে ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত দের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে World Vision বাংলাদেশের ৩৬টি এলাকাকে এর উন্নয়ন কর্মসূচির আওতাভুক্ত করেছে। বর্তমানে এ সংস্থাটি দারিদ্র্য বিমোচন, শিশুকল্যাণ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন,স্যানিটেশন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ত্রাণ ও পুনর্বাসন, নারীর ক্ষমতায়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ প্রভৃতি বিষয়ে তার কর্মকাণ্ড সম্প্রসারিত করেছে।


ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট : ওয়ার্ল্ড ভিশন খ্রিস্টাধর্মের আদর্শে পরিচালিত একটি আন্তর্জাতিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। রিভারেন্ট বব পিয়ার্সন (Reverent Bob Pierce) এর প্রতিষ্ঠাতা। আমেরিকান এই মানব হিতৈষী কোরিয়া যুদ্ধকালীন সময়ে Tena Hoelkedoer নামে চীন ভ্রমণের সময় এক শিক্ষকের সাক্ষাৎ পান। Tena তাকে পিতামাতার সাথে বিচ্ছিন্ন এক যুদ্ধাক্রান্ত শিশুর সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। বব শিশুর প্রতি সদয় হন এবং তার কাছে থাকা ৫ (পাঁচ) ডলার শিশুটিকে দেন এবং প্রতি মাসে পাঁচ ডলার করে সাহায্য দানের প্রতিশ্রুতি দেন।


মি. বব পিয়ার্সন শিশুদের নির্মম নিয়তি দেখে তাদের উন্নয়নের কথা ভাবতে থাকেন। তিনি বিশ্বের সকল শিশুদের কল্যাণের কথা চিন্তা করে ১৯৫০ সালে World Vision প্রতিষ্ঠা করেন। কোরিয়ান যুদ্ধের শিকার লক্ষ লক্ষ শিশুদের জন্য তিনি ৩ বছরের মধ্যে অনুদান কর্মসূচি চালু করেন।


পরবর্তী কয়েক দশক পরে World Vision তার কর্মপরিধি এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকা, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, পূর্ব ও পশ্চিম ইউরোপে বিস্তৃত করে। এসব এলাকার শিশুদের খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে সাহায্য করা হয়।


আরো ও সাজেশন:-


সত্তরের দশকে ওয়ার্ল্ড ভিশন তার কর্মপরিধি আরো বিস্তৃত করে। এসময় সংস্থাটি ব্যাপকভাবে সমষ্টি উন্নয়ন মডেল দাঁড় করায় এবং ‘জরুরি ত্রাণ বিভাগ’ চালু করে। সংস্থাটি দারিদ্র্য মোকাবিলায় কাজ শুরু করে এবং জনসমষ্টির প্রয়োজনে সুপেয় পানি, স্যানিটেশন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নেতৃত্বের প্রশিক্ষণ ও আয়বর্ধনমূলক কর্মসূচি হাতে নেয়।


উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় যে, ওয়ার্ল্ড ভিশন একুশ শতকে শিশুদের টিকে থাকা এবং দারিদ্র্য দূরীকরণের উপর জোর দেয়। সরকার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য সংস্থার সাথে ওয়ার্ল্ড ভিশন কাজের প্রতি গুরুত্ব দেয়, যাতে করে শিশু শ্রম, যুদ্ধে শিশুর ব্যবহার, নারী ও শিশুর প্রতি যৌন সহিংসতা রোধ করা সম্ভব হয়।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment