প্রশ্ন সমাধান: পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার কাঠামো উল্লেখ কর, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার কাঠামো কেমন ছিল?,পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের সর্বাধিক ক্ষমতার অধিকারী
ভূমিকা : ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানে প্রথম সংবিধান রচিত হয়। পাকিস্তান ইসলামি প্রজাতন্ত্রের শাসনতন্ত্র নামে অভিহিত করা হয় পাকিস্তানের শাসন কাঠামো। নিচে ১৯৫৬ ও ১৯৬২ সালের সংবিধানের আলোকে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় কাঠামো বর্ণনা করা হলো।
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার কাঠামো : সংবিধান অনুযায়ী ১৯৫৬ সালের পাকিস্তান ইসলামি প্রজাতন্ত্রের প্রধান প্রেসিডেন্ট নামে অভিহিত হন। জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের নিয়ে গঠিত একটি নির্বাচনি সংস্থার (Electoral College) মাধ্যমে তাকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হতে হতো এবং কেউ দশ বছরের বেশি অর্থাৎ দুই মেয়াদের বেশি নির্বাচিত হতে পারতেন না। শাসনতন্ত্র লঙ্ঘন ও অসদাচরণের দায়ে প্রেসিডেন্টকে অভিযুক্ত করা যেত। ১৯৬২ সালের সংবিধানে বলা হয়, এক লক্ষ বিশ হাজার নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে একটি নির্বাচকমণ্ডলীর দ্বারা পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হতেন।
আরো ও সাজেশন:-
প্রেসিডেন্ট সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ছিলেন। তিনি পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান প্রদেশের গভর্নর, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতিগণ এবং এটর্নি জেনারেল নিযুক্ত করতেন। প্রেসিডেন্টের অধীনে প্রধানমন্ত্রী কার্যনির্বাহ করতেন। অন্যান্য মন্ত্রিগণও তার দ্বারা নিযুক্ত বা পদচ্যুত হতেন। প্রেসিডেন্ট জাতীয় পরিষদের সভা আহ্বান, মুলতুবি অথবা ভেঙে দিতে পারতেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার কাঠামো ছিল ইসলামি প্রজাতন্ত্র। রাষ্ট্রপতি ছিলেন রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও
- লিভারেজ ইজারার সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ লিখ
- লিভারেজ ইজারা বলতে কি বুঝ বিস্তারিত আলোচনা করো
- IAS 17 ও IFRS 16 পার্থক্য, IAS 17 vs IFRS 16 পার্থক্য, IAS 17 ও IFRS 16 মধ্যে পার্থক্য আলোচনা
- আইএফআরএস ১৬ ও আইএসি ১৭ পার্থক্য । আইএফআরএস ১৬ vs আইএসি ১৭ পার্থক্য
- আই এ এস (IAS) অনুযায়ী ইজারা গ্রহীতার হিসাববিজ্ঞানের নীতিসমূহ লেখ
- এসি কারেন্ট ও ডিসি কারেন্ট