প্রশ্ন সমাধান: হিসাববিজ্ঞান কি, আর্থিক হিসাববিজ্ঞান কি,হিসাববিজ্ঞান কাকে বলে, হিসাববিজ্ঞানের বৈশিষ্ট্য, হিসাববিজ্ঞানের মৌলিক উদ্দেশ্য, হিসাববিজ্ঞানের সহায়ক উদ্দেশ্য, হিসাববিজ্ঞানের জনক কে
আজকের আর্টিকেলে আমরা চেষ্টা করব আপনাকে হিসাব বিজ্ঞানের সংক্ষিপ্ত বিবরণী তুলে ধরার। যাতে করে আপনারা হিসাববিজ্ঞান কাকে বলে হিসাববিজ্ঞান কি ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। আশা করা যায় আপনারা আজকের আর্টিকেল অবশ্যই উপকৃত হবেন। তাহলে কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করি আজকের আর্টিকেল।
হিসাববিজ্ঞান কি
হিসাববিজ্ঞান কি? আসলে কি আপনি হিসাব বিজ্ঞান সম্পর্কে জানেন যদি না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণরূপে পড়ুন। হিসাববিজ্ঞান বিজ্ঞান হল এমন একটি পদ্ধতি যা মেনে চলে আপনারা খুব সহজে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লাভ ক্ষতি নির্ণয় করতে পারবেন। আর এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যতগুলো লেনদেন হয় তা নিরূপণ করার পদ্ধতিকেই আমরা হিসাব বিজ্ঞান বলে থাকি। অর্থাৎ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যতগুলো লেনদেন সংগঠিত হয়ে থাকবে তাদের লিপিবদ্ধ করার পদ্ধতিকে হিসাববিজ্ঞান বলি।আপনারা সবাই জানেন ব্যবসায়ীর জন্য লাভ ক্ষতি নিরূপণ করা অত্যাবশ্যকীয় একটি কাজ। সময়ের এক প্রান্তে আমাদের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অবস্থা কিরূপ তা নির্ণয় করতে গেলে অবশ্যই আমাদের ব্যবসায়ীটির লাভ ক্ষতি সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। আর এসব ধারণা দিতে গেলে আপনারা হিসেববিজ্ঞানের পদ্ধতির সাহায্য নিতে পারেন।
আর্থিক হিসাববিজ্ঞান কি
সহজ ভাষায় আর্থিক হিসাববিজ্ঞানের সংজ্ঞা বলতে গেলে বলা যায় হিসাববিজ্ঞানের যে শাখায় অর্থনৈতিক কার্যাবলী সম্পাদন করা হয় তাকে আর্থিক হিসাব বিজ্ঞান বলে। আর্থিক হিসাববিজ্ঞান হলো হিসাব বিজ্ঞানের একটি। যে শাখায় বিনিয়োগকারী অর্থনৈতিক তথ্য ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা করা হয়।
হিসাববিজ্ঞান কাকে বলে
হিসাব বিজ্ঞান সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে অনেকগুলো তথ্য জেনেছি। এখন আমরা হিসাববিজ্ঞান কাকে বলে অর্থাৎ হিসাব বিজ্ঞানের সংজ্ঞা সম্পর্কে জানব। সাধারণ অর্থে বলা যায়, একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সকল লেনদেন সমূহকে সনাক্তকরণ, বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে বিশ্লেষণ এবং লিপিবদ্ধকরণ করার পদ্ধতি বা কলা কৌশলকে হিসাববিজ্ঞান বলে। একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আপনারা দেখে থাকবেন প্রত্যেকদিন নানা রকম লেনদেন হয়ে থাকে।এরকম লেনদেন গুলোকে হিসাববিজ্ঞানের কলা কৌশল অনুযায়ী লিপিবদ্ধকরণ সনাক্তকরণ এবং বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে বিশ্লেষণ করার যে পদ্ধতিগুলো রয়েছে তাকেই আমরা ব্যাপক অর্থে হিসেবে বিজ্ঞান বলতে পারি।
A.W. johonson (Elementary Accounting) এর মতে, অর্থের অংকে ব্যবসায়ের বিভিন্ন লেনদেন সমূহ সনাক্তকরণ, সংকলন, লিপিবদ্ধকরণ, আর্থিক প্রতিবেদন তৈরিকরন এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে এইসব প্রতিবেদন বিশ্লেষণ ব্যাখ্যা করে যথাযথ তথ্য জোগান কে হিসাব বিজ্ঞান বলে।
হিসাববিজ্ঞানের বৈশিষ্ট্য
প্রত্যেকটি বিষয়েরই নানা রকম বৈশিষ্ট্য থেকে থাকে। বৈশিষ্ট্য হলো এমন কিছু উপাদান যা দেখে একটি নির্দিষ্ট বস্তুকে চেনা বা জানা যায়। সেরকম হিসাব বিজ্ঞানের নানা রকম বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা দেখে আপনারা চিনতে পারবেন এটি হিসাববিজ্ঞান। কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য হিসাববিজ্ঞানকে অন্যান্য বিষয় থেকে খুব সহজেই আলাদা করেছে। এখন আমরা হিসাব বিজ্ঞানের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আপনাদের মাঝে আলোচনা করব।
- হিসাববিজ্ঞানকে আমরা একটি সামাজিক বিজ্ঞান বলতে পারি। কেননা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত যাবতীয় লেনদেনের হিসাব বিজ্ঞানের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়।
- হিসাববিজ্ঞানকে আমরা একটি কলা বলতে পারি। হিসাব বিজ্ঞান লেনদেন সমূহ কে সুনির্দিষ্ট ভাবে সংরক্ষণ ছক ও সূত্র প্রয়োগের মাধ্যমে হিসাব নিরূপণ করা হয় বলে একে কলা বলা হয়।
- পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণা করে সূত্র প্রয়োগ করাকে আমরা বিজ্ঞান বলে থাকি। এ পদ্ধতি অনুসরণ করে আমরা হিসাববিজ্ঞানকে বিজ্ঞান বলতে পারি। যেহেতু হিসাববিজ্ঞানের সূত্র প্রয়োগ করা হয় (যেমনঃ A=L+OE)
- হিসাববিজ্ঞান হলো সুশৃংখল ও সুষ্ঠুভাবে হিসাব সংরক্ষণের এক মাধ্যম। হিসাববিজ্ঞানে আমরা প্রত্যেকে হিসাব সুষ্ঠুভাবে দেখতে পারি। তাই এটি শৃঙ্খল ও সুষ্ঠু ভাবে হিসাব সংরক্ষণের এক অনন্য মাধ্যম।
- ব্যবসায়ের আর্থিক অবস্থার ফলাফল নিরূপণ করার জন্য হিসাববিজ্ঞান একটি বিজ্ঞানসম্মত মাধ্যম। এদিক থেকে হিসাব বিজ্ঞান কে ব্যবসায়ের আর্থিক অবস্থার ফলাফল নিরূপণ করার মাধ্যম হিসেবে ধরা যায়।
- হিসাববিজ্ঞানের আরও একটি বৈশিষ্ট্য হলো এর ব্যবহারিক জ্ঞান। কেননা ব্যবসায় সংঘটিত হওয়ার লেনদেন লাভ ক্ষতি ইত্যাদি ব্যবহারিক বা বাস্তবসম্মত জ্ঞান প্রদান করে।
- হিসাব বিজ্ঞানের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এটি একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ধাপে ধাপে হিসাব সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা হয়। এর উদাহরণ হিসেবে আমরা বলতে পারি হিসাব চক্রের কথা। যেখানে ধাপে ধাপে হিসাব লিপিবদ্ধকরণ সনাক্তকরণ বিশ্লেষণ করা হয়।
- হিসাববিজ্ঞান হচ্ছে আর্থিক অবস্থা নির্ধারণের একটি সর্বোত্তম মাধ্যম। যার মাধ্যমে আপনারা ব্যবসায়ের সম্পদ আয়-দায় মালিকানা স্বত্ব সঠিকভাবে নিরূপণ করতে পারবেন।
- হিসাববিজ্ঞান কে আনুমানিক বিজ্ঞান বলা যায়। কেননা হিসাববিজ্ঞান অনেক ক্ষেত্রে অনুমানের উপর নির্ভর করে। যেমনঃ দেনাদারের উপর ৫% অনাদায়ী বাট্টা যা আপনি পেতেও পারেন আবার নাও পেতে পারেন। এই দিক দিয়ে হিসাববিজ্ঞানকে অনুমানের বিজ্ঞান বলা হয়।
- সর্বশেষ যে বৈশিষ্ট্য আপনাদের মাঝে তুলে ধরব সেটি হল হিসাববিজ্ঞান হল নির্ভুলতার মাধ্যম। অর্থাৎ হিসাববিজ্ঞানে যে সকল হিসাব করা হয় সবগুলো প্রায় নির্ভুল যার কারণে হিসাববিজ্ঞানকে নির্ভুলতার মাধ্যম বলা হয়।
আরো ও সাজেশন:-
হিসাববিজ্ঞানের উদ্দেশ্য
হিসাববিজ্ঞানের উদ্দেশ্যকে মূলত দুইটি ভাগে ভাগ করা যায় যথাঃ
- মৌলিক উদ্দেশ্য
- সহায়ক উদ্দেশ্য
নিচে এই দুটি উদ্দেশ্যের কিছু আপনাদের মাঝে তুলে ধরা হলো।
মৌলিক উদ্দেশ্য | সহায়ক উদ্দেশ্য |
---|---|
লেনদেনের স্থায়ী লিপিবদ্ধকরণ | নগদ প্রাপ্তি, প্রদান ও উদ্বৃত্তের পরিমাণ নির্ধারণ |
আর্থিক ফলাফল নিরূপণ | দেনা পাওনার পরিমাণ নির্ধারণ |
আর্থিক অবস্থা নিরূপণ | গাণিতিক বিশুদ্ধতা যাচাই |
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও নীতি নির্ধারণ | জালিয়াতি উদ্ঘাটন ও প্রতিরোধ |
তথ্য সরবরাহকরণ | ব্যায় নিয়ন্ত্রণ |
হিসাববিজ্ঞানের জনক কে
হিসাববিজ্ঞানের জনক হল লুকা প্যাসিওলি। ১৯৯৪ সালে ইতালীয় ব্যবসায়ী, কূটনীতিকবিদ ও গণিতবিদ লুকা প্যাসিওলি হিসাব শাস্ত্র আবিষ্কার করেন। হিসাব বিজ্ঞানের জনক ইতালীয় গণিতবিদ লুকা প্যাসিওলি ১৪৪৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৫১৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তার এই জীবনীতে তিনি হিসাববিজ্ঞানের জন্য অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছেন। হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে প্রথম গবেষণা কর্ম প্রকাশ করার জন্য তাকে হিসাববিজ্ঞানের পিতা বা জনক বলা হয়ে থাকে।
হিসাববিজ্ঞান ইংরেজি নাম কি/ হিসাববিজ্ঞান এর ইংরেজি কি
হিসাববিজ্ঞান ইংরেজি নাম হলো Accounting . Accounting এর আভিধানিক অর্থ হলো হিসাবরক্ষণ। অনেকই হিসাববিজ্ঞান এর ইংরেজি মনে করে থাকেন Account science. কিন্তু এটি সঠিক নয়। Account Science এর সরল বাংলা করলে কিন্তু ঠিকি হিসাব বিজ্ঞান হয়। কিন্ত আমাদের এটি মনে রাখতে হবে যে বাংলা আর ইংলিশ দুটো আলাদা ভাষা। তাই হিসাববিজ্ঞান এর ইংরেজি হলো Accounting.
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
হিসাববিজ্ঞানের মূল ভিত্তি কি
হিসাব বিজ্ঞানের মূল ভিত্তি হলো দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি আমরা অনেকেই হিসাব বিজ্ঞানের মূল ভিত্তি হিসেবে লেনদেন কে মনে করে থাকি কিন্তু লেনদেন হলো হিসাব বিজ্ঞানের একটি উপাদান বা ইনপুট প্রকৃতপক্ষে হিসাব বিজ্ঞানের মূল ভিত্তি হল দুইতরফা দাখিলা পদ্ধতি।
লুকা প্যাসিওরি প্রদত্ত হিসাববিজ্ঞানের যে পাঁচটি খন্ড ছিল সে পাঁচটি খন্ডের তৃতীয় খন্ড হলো দুই তরফা দাখিলা পদ্ধতি দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি হলো বিজ্ঞানসম্মত উপায় লেনদেন সমূহকে দুটি পক্ষে ভাগ করা।
হিসাববিজ্ঞান পড়ে কি হওয়া যায়
আমরা যে বিষয়টি নিয়ে পড়াশোনা করি সেই বিষয়ে কিন্তু একটি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা থাকে এটা নিয়ে পড়ে পরবর্তীতে হিসেব-বিজ্ঞান সম্পর্কিত কি কাজ করতে পারবো অর্থাৎ আমাদের ভবিষ্যৎ কি হবে তা কিন্তু জানা খুবই জরুরী। হিসাববিজ্ঞান নিয়ে পড়ে আপনি কি কি হতে পারেন তা নিয়ে চলুন একটি ছোট্ট বিবরণী দেখে আসি।
হিসাববিজ্ঞানে আপনাকে প্রথমে BBA অনার্স কমপ্লিট করতে হবে। তারপরে আপনারা চাইলে নানা রকম জব সার্কুলারের আবেদন করতে পারবেন। বিজনেস স্টাডিজ শাখার ছাত্র ছাত্রীরা হয়তো আপনারা জেনে থাকবেন BBA কি। BBA হলো Bachelor of Business Administration. মাধ্যমিক পাশ করার পর আপনাকে বিবিএ নিয়ে অনার্স কমপ্লিট করতে হবে। তারপর ডিগ্রি অর্জন করার পর নানারকম খাতে যুক্ত হতে পারবেন। হিসাব বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে আপনারা যখন বিবিএ অনার্স কমপ্লিট করবেন তখন সরকারি এবং বেসরকারি নানা রকম চাকরি আবেদন করতে পারবেন।
বিবিএ অনার্স কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সাবজেক্টে পড়তে হবে তার মধ্যে ম্যানেজমেন্ট অন্যতম। আপনারা যদি চান বিবিএ অনার্স কমপ্লিট করার পর নিজে কোন একটি ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন অর্থাৎ আপনি চাইলে বিবিএ কোর্স কমপ্লিট করার পর নিজেই একজন উদ্যোক্তা হতে পারবেন।
হিসাববিজ্ঞান কি একটি পেশা
হিসাব বিজ্ঞান পেশা কি না এটি জানতে হলে প্রথমে আমাদের জানতে হবে পেশা কি। আমরা সেইসব কার্যাবলী কে পেশা বলতে পারি যেগুলো নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন মেনে করা হয়। তাই বলে প্রত্যেকটি কাজকে আমরা পেশা বলতে পারি না। আপনার কার্যাবলী কে পেশা বলা হবে যেগুলো আপনারা স্বাধীনভাবে পরিচালনা করতে পারবেন এবং যা থেকে আপনারা সম্মানী পাবেন।
উপরের সবদিক আলোচনা করে বলা যায় হিসাব বিজ্ঞান হল একটি পেশা। কেননা বছর শেষে ব্যবসায়ের আর্থিক অবস্থা নিরূপণ করার জন্য একজন হিসাববিজ্ঞানীকে দরকার যা একটি পেশার সমতুল্য এবং এটি একটি খুবই জনপ্রিয় পেশা।
হিসাববিজ্ঞান ভাইভা pdf
আপনি যদি কোন হিসাব বিজ্ঞানের ভাইভা পরীক্ষা দিতে চান তাহলে আপনাকে অনেকগুলো প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে। এটা আমরা সবাই জানি। আপনি যেকোনো পরীক্ষায় কিছু কমন প্রশ্নের উত্তর আপনাকে দিতে হবে। যা আপনার জানা থাকা অত্যাবশ্যকীয়। এখন আমরা হিসাববিজ্ঞানের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভাইবা কমন প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে আলোচনা করব।
সর্বপ্রথম আপনাকে জিজ্ঞেস করা হতে পারে হিসাব বিজ্ঞানের জনক কে? আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি হিসাববিজ্ঞানের জনক হল ইতালীয় গণিতবিদ লুকা প্যাসিওয়ালি।
তারপর আপনাকে জিজ্ঞেস করা হতে পারে কত সালে হিসাববিজ্ঞানের জনক এই হিসাব-বিজ্ঞান শাস্ত্র আবিষ্কার করেন। আপনারা যদি উপরে লেখাটি মনোযোগ দিয়ে দেখতে পারবেন আমরা এর প্রশ্নের উত্তর আগেই দিয়েছি। সেটি হলো ১৪৯৪ সালে।
হিসাববিজ্ঞান নীতি ও প্রয়োগ ১ উত্তর
হিসাববিজ্ঞান নীতি ও প্রয়োগ ১ উত্তর। হিসাব বিজ্ঞানের মূলনীতি কি? এটিও কিন্তু ভাইভাতে খুবই কমন একটি প্রশ্ন। তো অনেকে মনে করে থাকে হিসেবে বিজ্ঞানের মূলনীতি লেনদেন। কিন্তু এটি সম্পূর্ণরূপে ভুল হিসাব বিজ্ঞানের মূলনীতি হলো দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি। আর আপনাকে এর সাথে দুতর্ক দাখিলা পদ্ধতির সংজ্ঞা জিজ্ঞেস করতে পারে তো দুতরফা দাখিলা পদ্ধতির সংজ্ঞা হলো বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে লেনদেনগুলোকে দুই ভাগে অর্থাৎ ডেবিট ক্রেডিট থেকে ভাগ করার পদ্ধতিকে দুটো দাখিলা পদ্ধতি বলেন।
হিসাববিজ্ঞান নিয়ে পড়ার ইচ্ছা কেন হয়েছে আপনার? এ প্রশ্নটিও আপনি শুনতে পারেন। এটির সোজা সাপটায় উত্তর আপনাকে দিতে হবে। আপনারা এভাবে উত্তরটি দিতে পারেন। ” হিসাববিজ্ঞানের ব্যবহার কোথায় নেই? গৃহ কার্যাবলী থেকে রাষ্ট্র কার্যাবলী পর্যন্ত হিসাব বিজ্ঞানের পরিধি রয়েছে। যেখানে হিসাব-বিজ্ঞানের ব্যবহার খুব ভালোভাবে পরিলক্ষিত হয়। হিসাব ছাড়া কোন কিছুই চলতে পারে না। মসজিত থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় কার্যাবলী পর্যন্ত হিসেবে একটি অগ্রাধিকার দেখা যায়। উপরোক্ত কারণ গুলো কি হতে পারে না আমার হিসাববিজ্ঞান নিয়ে পড়ার যথেষ্ট কারণ।”
আমরা উপরে আলোচনা করলাম হিসাব বিজ্ঞান নিয়ে কয়েকটি ভাইবা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ এবং কমন প্রশ্ন। আপনার যদি এর থেকেও ভালো কিছু শিখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বাজারে নানা রকম বই রয়েছে সেগুলো পড়তে হবে।
Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Stories | উত্তর লিংক |
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেল | উত্তর লিংক |
মাস্টার্স বই সমূহ হিসাববিজ্ঞান
- Applied Accounting Theory
- Advanced Cost Accounting
- Strategic Management Accounting
- Strategic Management
- Corporate Governance
- Corporate Financial Reporting
- Corporate Tax Planning
- Term Paper
- Viva-Voce
হিসাববিজ্ঞান নিয়ে বারবার জিজ্ঞেস করা কিছু প্রশ্নের উত্তর
১.হিসাববিজ্ঞান কলা না বিজ্ঞান?
হিসাববিজ্ঞান কে আমরা যদি দেখি তাহলে কলা এবং বিজ্ঞান খুঁজে পাই তো আমরা বলতে পারি হিসাব বিজ্ঞান হল কলা এবং বিজ্ঞান উভয় এ নিয়ে আমরা উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আপনারা চাইলে হিসেব-বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য পড়ে দেখতে পারেন
২. হিসাববিজ্ঞান কি একটি পেশা?
হ্যাঁ, হিসাববিজ্ঞান একটি স্বাধীন পেশা।
৩. হিসাববিজ্ঞান পরে কি হওয়া যায়?
আপনারা চাইলে হিসাববিজ্ঞান নিয়ে পড়ে অনেক সরকারি এবং বেসরকারি চাকরিতে আবেদন করতে পারবেন।
৪. হিসাববিজ্ঞান পড়ে কি ডিগ্রী অর্জন করা যায়?
হিসাব বিজ্ঞান পরে আপনারা BBA ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন।
৫. হিসাব বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে হলে কি ইন্টারমিডিয়েট এবং এসএসসিতে কমার্সের স্টুডেন্ট হতে হবে?
আপনারা যদি হিসাববিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চান তাহলে আপনারা মানবিক এবং বিজ্ঞান শাখার ছাত্র হয়েও হিসাববিজ্ঞান নিয়ে পড়তে পারবেন অনার্সে।
৬. হিসাববিজ্ঞানের জনপ্রিয়তা কেমন?
বলতে গেলে অনেকটাই ভালো বর্তমানে হিসাববিজ্ঞানের জনপ্রিয়তা।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও
- লিভারেজ ইজারার সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ লিখ
- লিভারেজ ইজারা বলতে কি বুঝ বিস্তারিত আলোচনা করো
- IAS 17 ও IFRS 16 পার্থক্য, IAS 17 vs IFRS 16 পার্থক্য, IAS 17 ও IFRS 16 মধ্যে পার্থক্য আলোচনা
- আইএফআরএস ১৬ ও আইএসি ১৭ পার্থক্য । আইএফআরএস ১৬ vs আইএসি ১৭ পার্থক্য
- আই এ এস (IAS) অনুযায়ী ইজারা গ্রহীতার হিসাববিজ্ঞানের নীতিসমূহ লেখ
- এসি কারেন্ট ও ডিসি কারেন্ট