ঘুম থেকে উঠার দোয়া,ঘুম থেকে উঠার দোয়া,ঘুম থেকে উঠার দোয়া বাংলা উচ্চারণ,ঘুম থেকে উঠার পর দোয়া

আজকের বিষয়: ঘুম থেকে উঠার দোয়া,ঘুম থেকে উঠার দোয়া,ঘুম থেকে উঠার দোয়া বাংলা উচ্চারণ,ঘুম থেকে উঠার পর দোয়া

ঘুম থেকে ওঠার পর করণীয় সম্পর্কে হাদিসে বিভিন্ন নির্দেশনা রয়েছে। মুমিনের কোনো কাজ যখন আল্লাহর হুকুম ও রাসূল (সা.)-এর সুন্নাহ অনুযায়ী হয়, তখন তা ইবাদতে পরিণত হয়। আজ আমরা এখানে রাসূল (স:) এর সুন্নত অনুসারে ঘুম থেকে উঠার দোয়া ও ঘুম থেকে উঠার করনীয় আটটি পদ্ধতি উল্লেখ করবো।


আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ  


الحمدُ لله الذي أحيَانَا بَعْدَ مَا أماتَنَا وإليه النُّشُوْر

উচ্চারণ : ‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আহইয়ানা বা’দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর।’
অর্থ : সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত করেছেন। আর তার দিকেই সকলের পুনরুত্থান। (বুখারি, হাদিস : ৬৩২৪)

আল্লাহর কাছে এই দোয়া করুন। উবাদা ইবনে সামেত (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি রাতে ঘুম থেকে জেগে এই দুআ পাঠ করে-

لا إله إلا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيء قدير، الحمد لله وسبحان الله، ولا إله إلا الله واالله أكبر، ولا حول ولا قوة إلا بالله

উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদীর, আল-হামদু লিল্লাহ, ওয়া সুবহানাল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।

ঘুম থেকে উঠে মুমিনের করণীয়

এক. ঘুম থেকে উঠে সর্বপ্রথম করণীয় হলো, হাত দিয়ে চেহারা থেকে ঘুমের প্রভাব দূর করা। (বুখারি, হাদিস : ১৮৩)

দুই. ঘুম থেকে উঠে দোয়া পড়া—

الحمدلله الذي أحيانا بعدما أماتنا و إليه النّشور

উচ্চারণ : ‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আহইয়ানা বা’দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর।’

অর্থ : সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের মৃত বানানোর পর জীবিত করেছেন। আর তার দিকেই পুনরুত্থান। (বুখারি, হাদিস : ৬৩২৪)

তিন. আল্লাহর কাছে দোয়া করা। উবাদা ইবনে সামেত (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি রাতের ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে এই দোয়া পাঠ করবে—

لا إله إلا الله وحده لا شريك له، له الملك وله الحمد وهو على كل شيء قدير، الحمد لله، وسبحان الله، ولا إله إلا الله الله أكبر، ولا حول ولا قوة إلا بالله.

উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদীর, আল-হামদু লিল্লাহ, ওয়া সুবহানাল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।’

অথবা বলবে, ‘আল্লাহুম্মাগ ফিরলি’

اللهم اغفرلي

অর্থ : ‘হে আল্লাহ, আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন।’

অথবা অন্য যেকোনো দোয়া করবে। তার এই দোয়া কবুল করা হবে। আর যদি কেউ অজু করে এবং নামাজ আদায় করে, তার নামাজ কবুল করা হবে। (বুখারি, হাদিস : ১১৫৪)

চার. আকাশের দিকে তাকিয়ে সূরা আলে ইমরানের শেষ ১০টি আয়াত পাঠ করুন। (মুসলিম, হাদিস : ৬৭৩)

পাঁচ. রাসুল (সাঃ) ঘুম থেকে উঠে মিসওয়াক করতেন। (বুখারি, হাদিস: 245)

মিসওয়াক করতে না পারলে অন্য কোনো উপায়ে দাঁত ও মুখ ব্রাশ করুন বা পরিষ্কার করুন।

ছয়. অযু দ্বারা পবিত্রতা। আর যদি গোসল ওয়াজিব হয়, তাহলে গোসল করে নিজেকে শুদ্ধ কর।

সাত. সম্ভব হলে শেষ রাতে উঠে তাহাজ্জুদ নামায পড়ুন। শেষ রাত আল্লাহর কাছে তওবা করার উত্তম সময়। আল্লাহ তায়ালা জান্নাতবাসীদের সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘তারা শেষ রাতে ক্ষমা প্রার্থনা করে। (সূরা জারিয়াত, আয়াত 18)

আট. ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা হবে। তারপর সে তার কাজ বা বিশ্রাম বা প্রাতঃরাশ ইত্যাদিতে মনোনিবেশ করবে। আল্লাহ তায়ালা সবাইকে তাদের দিনের সুন্নাহ অনুযায়ী শুভ সূচনা দান করুন।

Leave a Comment