হিসাব সমীকরণ কাকে বলে । হিসাব সমীকরণ কত প্রকার ও কি কি । হিসাব সমীকরণ সুবিধা ও অসুবিধা । হিসাব সমীকরণ গুরুত্ব

হিসাব সমীকরণ কাকে বলে । হিসাব সমীকরণ কত প্রকার ও কি কি । হিসাব সমীকরণ সুবিধা ও অসুবিধা । হিসাব সমীকরণ গুরুত্ব

হিসাব সমীকরণ কাকে বলে । হিসাব সমীকরণ কত প্রকার ও কি কি । হিসাব সমীকরণ সুবিধা ও অসুবিধা । হিসাব সমীকরণ গুরুত্ব

কোনো প্রতিষ্ঠানের মোট সম্পদের পরিমাণ ইহার মালিকানা স্বত্ব ও বহির্দায়ের সমান হবে। যে সমীকরণের মাধ্যমে এ সমতা প্রকাশ করা হয়, তাকে হিসাববিজ্ঞানে “মৌলিক হিসাব সমীকরণ” (Basic Accounting Equation) বলে।

সমীকরণটির মূল কথা হলো একটি প্রতিষ্ঠানের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ঐ সকল সম্পত্তির ওপর বিভিন্ন পক্ষের দাবি বা মোট স্বত্বাধিকারের সমান হবে। সমীকরণটি সংক্ষেপে নিম্নরূপে প্রকাশ করা যায় :

A = E

এখানে, A= Assets (মোট সম্পত্তি); E= Equities (মোট স্বত্বাধিকার বা মোট দায়)

হিসাব সমীকরণ কাকে বলে :-

একটি নির্দিষ্ট সময় বিন্দুতে মোট স্বত্বাধিকারের পরিমাণ ও মোট সম্পদের পরিমাণের মধ্যে অবশ্যই সমতা থাকে। সম্পত্তি এ দায়ের এ সমতা সংক্রান্ত সমীকরণই “হিসাব সমীকরণ” (Accounting Equation) নামে পরিচিত।

Weygandt, DE keiso, PD kimmel এদের মতে “সম্পত্তি, দায় ও মালিকানা স্বপ্নের সম্পর্কের সমতাই হিসাব সমীকরণ”।

সুতরাং পরিশেষে হিসাব সমীকরণ কাকে বলে? এর উত্তরে বলা যায় কোনো প্রতিষ্ঠানে যে কোনো সময় মোট সম্পত্তির পরিমাণ ঐ সম্পত্তির ওপর বিভিন্ন পক্ষের দাবির সমষ্টির সমান হবে। যে সমীকরণের সাহায্যে এ সত্যটি প্রকাশ করা হয়, তাকে হিসাব সমীকরণ (Accounting Equation) বলে।


আরো ও সাজেশন:-


হিসাব সমীকরণের উপাদানসমূহ :-

হিসাব সমীকরণের দুটি মৌলিক উপাদান রয়েছে। যথা:

(১) কারবার যা কিছুর মালিক বা অধিকারী হয় (What business owns) অর্থাৎ মোট সম্পদ এবং

(২) কারবার যা কিছুর জন্য হয় ঋণী (What business owes) অর্থাৎ মোট স্বত্বাধিকার।

এ মৌলিক উপাদান দুটিকে বিশ্লেষণ করলে হিসাব সমীকরণের নিম্নোক্ত উপাদানগুলি পাওয়া যায়।

১. সম্পত্তি (Assets) :-

প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন উপাদান (Resources) সমূহ যার অর্থনৈতিক সুবিধা আছে এবং উপযোগ সৃষ্টিতে সাহায্য করে, তাকে সম্পদ বা সম্পত্তি বলে।

FASB এর মতে “Assets are probable future economic benefits obtained or controlled by a particular entity as a result of past transactions or events.” অর্থাৎ সংগঠিত কোনো ঘটনা বা লেনদেন এর ফলে উদ্ভূত কোনো প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অর্জিত বা নিয়ন্ত্রিত ভবিষ্যৎ আর্থিক সুবিধাই হলো সম্পত্তি।

[ বি:দ্র: উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সম্পত্তির বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ :-

(ক) ভবিষ্যতে পাওয়া যাবে এমন আর্থিক সুবিধা হলো সম্পত্তি। যেমন- Accounts receivable, Notes receivable, Investments, Inventories ইত্যাদি।

(খ) অর্থ বা অর্থে রূপান্তরযোগ্য যে কোনো উপাদান (Resources)। যেমন- Balance of Cash Furnitures and fixtures Plant Assets ইত্যাদি।

(গ) সম্পত্তি বলতে এক ধরনের আইনগত অধিকার বোঝায়, যা মুনাফা অর্জনে সাহায্য করে। যেমন- Patent, Trademark, Goodwill ইত্যাদি।

(ঘ) ঐ সমস্ত খরচ সম্পত্তি যা অগ্রিম পরিশোধিত হয় এবং ঐ সমস্ত আয়ও সম্পত্তি যা অর্জিত হয়নি। যেমন : Prepaid Insurance, Accrued Income ইত্যাদি।

(ঙ) দীর্ঘ মেয়াদি সকল খরচ (মূলধন জাতীয়) যার পরোক্ষ সুবিধা দীর্ঘদিন ধরে পাওয়া যাবে। যেমন : Preliminary Expenses, share discount Debenture Discount ইত্যাদি।

২. দায়সমূহ (Liabilities) :-

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর অন্যের দাবিকে দায় বলে। যেমন- Expenses payable, Unearned revenue, Accounts payable, Notes payable ইত্যাদি।

৩. উত্তোলন (drawing) :-

মালিক কর্তৃক প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো নগদ অর্থ, সম্পদ বা পণ্য বা সেবা নিজ প্রয়োজনে নেয়াকে উত্তোলন (drawing) বলে। যেমন- cash drawing goods withdrawn life insurance premium paid.

৪. মালিকানা স্বত্ব (owner’s equity) :-

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর মালিকের মোট পাওনাকে মালিকানা স্বত্ত্ব বলে। মালিকানা স্বতকে মূলধন (capital) বলে।

৫. আয়সমূহ (revenues) :-

পণ্য বা সেবার বিনিময়ে অর্জিত বা প্রাপ্ত অর্থকে আয় বলে। যেমন- service revenue, interest revenue, rent revenue, commission revenue ইত্যাদি।

৬. ব্যয় (expenses) :-

আয় অর্জনে প্রদেয় বা প্রদত্ত অর্থকে খরচ বলে। যেমন- operating expenses, interest expenses other expenses ইত্যাদি।

Leave a Comment