রেওয়ামিল কাকে বলে । রেওয়ামিল কত প্রকার ও কি কি । রেওয়ামিল সুবিধা ও অসুবিধা । রেওয়ামিল বৈশিষ্ট্য । রেওয়ামিল গুরুত্ব
রেওয়ামিল কাকে বলে । রেওয়ামিল কত প্রকার ও কি কি । রেওয়ামিল সুবিধা ও অসুবিধা । রেওয়ামিল বৈশিষ্ট্য । রেওয়ামিল গুরুত্ব
রেওয়ামিল কাকে বলে :-
রেওয়ামিল হিসাব চরের তৃতীয় ধাপ। এটি খতিয়ানে লিপিবদ্ধ হিসাবসমূহের উদ্বৃত্ত নির্ণয় সঠিক হয়েছে কিনা এবং আর্থিক বিবরণী প্রস্তুতের উদ্দেশ্যে তৈরী করা হয়। ইংরেজি Trial Balance এর বাংলা অর্থ হল রেওয়ামিল। রেওয়ামিল কোন হিসাবখাত নয়।
ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের খতিয়ান বইতে লিপিবদ্ধ হিসাব খাতসমূহের ডেবিট ও ক্রেডিট জেরগুলো নিয়ে হিসাবের গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই করার উদ্দেশ্যে যে বিবরণী প্রস্তুত করা হয় তাকে রেওয়ামিল বলে।
সাধারণত হিসাবের গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাইয়ের প্রয়োজন হয় আর্থিক বিবরণী প্রস্তুতের পূর্বে। একটি আলাদা কাগজে খতিয়ানের ডেবিট ও ক্রেডিট জেরগুলো লিখলে যোগফল যদি সমান হয়, তবে হিসাবের গাণিতিক শুদ্ধতা সম্পর্কে অনেকটা নিশ্চিত হওয়া যায়। লেনদেনের গাণিতিক শুদ্ধতা এবং আর্থিক বিবরণী প্রণয়নের উদ্দেশ্যে হিসাবসমূহের জের (Balance) অথবা হিসাবসমূহের ডেবিট ও ক্রেডিট দিকের সমষ্টি নিয়ে যে বিবরণী তৈরি করা হয় তাকে রেওয়ামিল বলে।
Weygandt, Kieso & Kimmel, এর মতে, রেওয়ামিল হলো কোনো একটি প্রদত্ত সময়ের প্রদত্ত হিসাবসমূহ এবং এদের উদ্বৃত্তের একটি তালিকা।
Prof. W. B. Meigs & R. F. Meigs এর মতে, হিসাবসমূহের ডেবিট ও ক্রেডিট জের সমতা বিধানকারী প্রমাণপত্রই রেওয়ামিল।
ট্রায়াল ব্যালেন্স বা রেওয়ামিলের বৈশিষ্ট্য :-
গাণিতিক শুদ্ধতা পরীক্ষার উদ্দেশ্যে খতিয়ানস্থিত বিভিন্ন হিসাবের ডেবিট এবং ক্রেডিট উদ্বৃত্তদ্বয়ের তালিকাকে রেওয়ামিল বলে। রেওয়ামিল হতে হিসাবের গাণিতিক শুদ্ধতা জানা যায় এবং চূড়ান্ত হিসাব প্রস্তুতকরণের কাজ সহজ হয়। রেওয়ামিলে যে সকল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান, নিম্নে সেগুলো আলোকপাত করা হলো।
১. বিবরণী বা তালিকা :-
রেওয়ামিল কোনো হিসাব নয়, এমনকি হিসাবের কোনো অঙ্গও নয়। এটি খতিয়ানের ডেবিট ও ক্রেডিট জেরের একটি তালিকা বা বিবরণী মাত্র।
২. গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই :-
খতিয়ানস্থিত হিসাবসমূহ সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে কিনা রেওয়ামিল প্রস্তুতের মাধ্যমে জানা যায়।
৩. পৃথক কাগজে প্রস্তুত :-
রেওয়ামিলের জন্য কোনো হিসাবের বই সংরক্ষণ করা হয় না। এটি পৃথক কাগজে প্রস্তুত করা হয়।
৪. সকল প্রকার হিসাব :-
রেওয়ামিলে মূলধন ও মুনাফা জাতীয় সকল প্রকার হিসাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
৫. বাধ্যবাধকতা :-
রেওয়ামিল তৈরির কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এটি প্রস্তুত করা হলে অন্যান্য সুবিধা ভোগ করা যায় বিধায় এটি প্রস্তুত করা হয়ে থাকে।
[ বি:দ্র: উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
৬. তৈরির সময় :-
রেওয়ামিল সাধারণতঃ নির্দিষ্ট হিসাবকাল শেষে বা একটা নির্দিষ্ট সময় পর প্রস্তুত করা হয়।
৭. ধারাবাহিক বিবরণী :-
রেওয়ামিল খতিয়ান হিসাবসমূহের একটি ধারাবাহিক বিবরণী। অর্থাৎ খতিয়ানের হিসাবগুলোর উদ্বৃত্ত এখানে লিপিবদ্ধ করা হয়।
৮. সমন্বয় :-
রেওয়ামিল খতিয়ান ও আর্থিক বিবরণীর মধ্যে সমন্বয় সাধন করে।
৯. আর্থিক অবস্থা :-
রেওয়ামিলের বিভিন্ন হিসাব খাতের উদ্বৃত্ত থেকে কারবারের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায়।
রেওয়ামিলের উদ্দেশ্য :-
হিসাবের গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই ও আর্থিক বিবরণীকে সহজতর করাই এর মূল উদ্দেশ্য। রেওয়ামিলের প্রধান প্রধান উদ্দেশ্যগুলো নিম্নরূপ।
১. গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই :-
রেওয়ামিল তৈরির প্রধান এবং বিশেষ উদ্দেশ্য হচ্ছে খতিয়ানভুক্ত হিসাবসমূহের গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই করা।
২. আর্থিক বিবরণী প্রণয়নে সহায়তা :-
আর্থিক বিবরণী প্রণয়নে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে রেওয়ামিল তৈরি করা হয়ে থাকে। একটি নির্দিষ্ট সময়ে আর্থিক বিবরণী এবং উদ্বর্তপত্র তৈরির কার্য প্রক্রিয়া প্রণয়নে রেওয়ামিল সহায়তা প্রদান করে থাকে।
৩. শ্রম ও সময়ের অপচয় রোধ :-
রেওয়ামিল তৈরির মাধ্যমে হিসাব খাতসমূহের উদ্বৃত্ত বা জেরসমূহকে একত্রে উপস্থাপন করা যায়। ফলে হিসাব খাতসমূহের চূড়ান্ত ফলাফল দেখার জন্য অতিরিক্ত শ্রম ও সময়ের অপচয় রোধ করা সম্ভব হয়।
৪. উদ্বৃত্ত বা জের সরবরাহ :-
রেওয়ামিলের উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রয়োজনের সময় বিভিন্ন হিসাব খাতের উদ্বৃত্ত বা জেরসমূহ সরবরাহ করা।
৫. লেনদেনের যথাযর্থতা যাচাই :-
প্রাথমিক হিসাবের বই ‘জাবেদা’ এবং পাকা হিসাবের বই ‘খতিয়ানে’ লেনদেনসমূহ সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে কিনা, তা যাচাই করা সম্ভবপর হয় রেওয়ামিল তৈরির মাধ্যমে।
৬. আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা :-
রেওয়ামিল তৈরির উদ্দেশ্য হচ্ছে কারবার প্রতিষ্ঠানের হিসাবসমূহ চূড়ান্তকরণের পূর্বেই প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা লাভ করা।
৭. দুতরফা দাখিলা পদ্ধতির প্রয়োগ :-
দু’তরফা দাখিলা পদ্ধতি অনুযায়ী প্রতিটি লেনদেনের ডেবিট এবং ক্রেডিট দিকসমূহ হিসাবের বইতে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে কিনা তা যাচাই করা রেওয়ামিলের উদ্দেশ্য।
৮. ভুলত্রুটি উদ্ঘাটন :-
রেওয়ামিলের উদ্দেশ্য হচ্ছে হিসাব বইয়ের মধ্যস্থিত ভুলত্রুটিসমূহ উদ্ঘাটন করে হিসাবের সার্বিক কার্যকে সহজতর করা।
রেওয়ামিলের উদ্দেশ্যসমূহ আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, হিসাবের গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই করার নিমিত্তে রেওয়ামিল প্রস্তুত করা হয়।
রেওয়ামিলের সীমাবদ্ধতা :-
আমরা দেখেছি রেওয়ামিলের উদ্দেশ্য হলো হিসাবগুলো লেখা ও এদের গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই। ভুল মূলতঃ তিন ধরনের হতে পারে। যথা: প্রাথমিক হিসাব থেকে খতিয়ানে হিসাব লেখার ভুল, খতিয়ান থেকে রেওয়ামিলে হিসাব তোলার ভুল এবং যোগ বিয়োগের ভুল। এসব ভুল ধরা মোটামুটি সহজ এবং একটু সচেতন হলে এসব ভুল এড়ানো যায়। রেওয়ামিলের সুবিধা আলোচনা করলে দেখা যায় যে, এটা প্রস্তুত করা বিশেষ জরুরি কাজ। কিন্তু রেওয়ামিলের কিছু সীমাবদ্ধতা বা অসুবিধাও রয়েছে।। এসব অসুবিধা বা সীমাবন্ধতা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
১. রেওয়ামিল হিসাবের অংশ নয় :-
রেওয়ামিল কোনো হিসাব নয় বা হিসাবশাস্ত্রের কোনো অঙ্গও নয়। কারণ বিভিন্ন হিসাবের গাণিতিক শুদ্ধতা প্রমাণ করার জন্য রেওয়ামিল তৈরি করা হলেও হিসাবরক্ষক যদি পূর্বেই হিসাবের বইগুলোতে লেখা লেনদেনের শুদ্ধতা নিশ্চিত করতে পারেন এবং এসব হিসাবের জের সরাসরি আর্থিক বিবরণীতে লেখেন, তাহলেও শুদ্ধভাবে প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত অবস্থা নির্ণয় করা সম্ভব। এক্ষেত্রে রেওয়ামিল তৈরি না করলেও চলে।
২. সব ভুল রেওয়ামিলে ধরা পড়ে না :-
যদিও হিসাবের গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাইয়ের জন্য রেওয়ামিল তৈরি করা হয়, কিন্তু সব ভুল রেওয়ামিলে ধরা পড়ে না। রেওয়ামিলের দুদিকের যোগফল মিলে গেলেই বলা যাবে না হিসাব প্রক্রিয়া নিশ্চিতভাবে শুদ্ধ। নিচে যেসব ভুল রেওয়ামিলে ধরা পড়ে না সেগুলির উল্লেখ করা হলো।
ক. নীতিগত ভুল (Errors of principle) :-
দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে কিছু নীতি আছে, যার মাধ্যমে হিসাবে ডেবিট-ক্রেডিট নির্ণয় করা হয়। এসব নীতিমালাকে না মেনে হিসাব রাখা হলে যে ভুল হয় তাকে নীতিগত ভুল ( Errors of principle) বলে।
এটা মূলত হিসাবরক্ষক কখনো হিসাবের বা লেনদেনের স্বরূপ না বোঝতে পেরে অনেক সময় এ ভুল করে থাকেন। হিসাবরক্ষক ইচ্ছে করেও এ ভুলে জড়াতে পারেন। তবে অনিচ্ছাকৃতভাবেই এ ভুল হওয়া স্বাভাবিক। যেমন- একটা আসবারপত্র সামান্য মেরামত করা হলো। এটা নামিক হিসাব বলে খরচ হিসেবে মেরামত হিসাবে (Repairs account) ডেবিট হবে। এটা যদি বস্তুবাচক (Real Account) হিসাব ধরে আসবাবপত্র হিসাবে ডেবিট করা হয় তাহলে নীতিগত ভুল হবে।
কিন্তু এতে রেওয়ামিলের যোগফলে কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলবে না, অর্থাৎ যোগফল মিলে যাবে। আবার যদি রাজস্ব জাতীয় খরচ মূলধনী খরচ হিসেবে দেখানো হয় তাহলে এটাও নীতিগত ভুল হবে। আর উভয় খরচের দিক ডেবিট হওয়ায় রেওয়ামিল মিলে যাবে। এ ভুল ধরা পড়বে না। এমনিভাবে ব্যক্তিবাচক, বস্তুবাচক এবং নামিক হিসাব সম্পর্কে যথার্থ জ্ঞান না থাকলে নীতিগত ভুল হতে পারে যা রেওয়ামিলে ধরা পড়বে না।
খ. করণিক ভুল (Clerical errors) :-
লেনদেন হিসাবভুক্ত করার সময় বা লেখার সময় হিসাবরক্ষক কিছু ভুল করতে পারেন, একে করণিক ভুল বা হিসাব লেখার ভুল বলে।
এ ধরনের ভুল চার প্রকার হতে পারে। নিচে এগুলোর বর্ণনা দেয়া হলো।
i. বাদ পড়ার ভুল (Errors of omission) :-
কোনো লেনদেন সংঘটিত হলেও জাবেদা বা খতিয়ানে আদৌ লেখা না হতে পারে। ফলে রেওয়ামিলে এর কোনো প্রভাব পড়ে না। এভাবে কোনো লেনদেন হিসাবের বইতে লেখার সময় বাদ পড়লে বা আদৌ না লিখলে যে ভুল হয়, তাকে বাদ পড়ার ভুল বলে।
যেমন: সবুজ রায়হানের নিকট ৫,০০০ টাকার মাল ধারে বিক্রয় করল, কিন্তু ইহা বইতে লেখা হলো না। ১০,০০০ টাকার মাল কেনা হলো কিন্তু ইহা হিসাব বইতে লেখা হলো না। এসব কারণে রেওয়ামিলের কোনো দিকে টাকা লেখা হয়নি, ফলে রেওয়ামিল মিলে যাবে। সাধারণভাবে এ সমস্ত ভুল রেওয়ামিলে ধরা পড়বে না।
ii. লেখার ভুল বা কার্যমূলক ভুল (Errors of commission) :-
কোনো লেনদেনের মূল হিসাবটিই যদি ভুল অংকে লেখা হয়ে থাকে তাহলে যে ভুল হয় তাকে লেখার ভুল বলে।
মনে করুন, ক্রয় হিসেবে লেখার কথা ২,০০,০০০ টাকা, কিন্তু লেখা হয়েছে ৩,০০,০০০ টাকা। এতে ডেবিট জের ১,০০,০০০ টাকা বেশি হবে। অন্য দিকে প্রদেয় হিসেবে বা অন্য কোনো ক্রেডিট জের বিশিষ্ট হিসাবে ৩,০০,০০০ টাকার স্থলে ৪,০০,০০০ টাকা লেখা হলো অর্থাৎ ১,০০,০০০ টাকা বেশি লেখা হলো। এতে রেওয়ামিল মিলে যাবে, কিন্তু ১,০০,০০০ টাকার একটা করে ভুল থেকে যাবে।
iii. পরিপূরক ভুল (Compensating errors) :-
হিসাবরক্ষকের অজ্ঞাতে একটি ভুল অন্য একটি ভুলের দ্বারা সংশোধিত হয়ে গেলে তাকে স্বয়ং সংশোধক বা পরিপূরক ভুল বলে।
মনে করুন, ক্রয় হিসাবে লেখার কথা ২,০০,০০০ টাকা কিন্তু লেখা হয়েছে ৩,০০,০০০ টাকা। এতে ডেবিট জের ১,০০,০০০ টাকা বেশি হবে। অন্য দিকে প্রদেয় হিসেবে বা অন্য কোনো ক্রেডিট জের বিশিষ্ট হিসাবে ৩,০০,০০০ টাকার স্থলে ৪,০০,০০০ টাকা লেখা হলো অর্থাৎ ১,০০,০০০ টাকা বেশি লেখা হলো। এতে রেওয়ামিল মিলে যাবে, কিন্তু দুজায়গায় ১,০০,০০০ টাকার একটা করে ভুল থেকে যাবে।
iv. বেদাখিলার ভুল (Errors of disposing) :-
হিসাবে প্রাথমিক বই (জাবেদা) থেকে খতিয়ানে তোলার সময় একটি হিসাবের পরিবর্তে অন্য একটি হিসাবের সঠিক দিকে একই টাকার অংক লেখা হলে যে ভুল হয়, তাকে বেদাখিলার ভুল বলে।
এতে রেওয়ামিল মিলে যাবে কিন্তু ভুল থেকে যাবে, যেমন: সালামের নিকট থেকে ১,০০০ টাকা পাওয়া গেল, কিন্তু এ ১,০০০ টাকা কালামের হিসাবের ক্রেডিট দিকে ভুলে লেখা হলো। এক্ষেত্রে রেওয়ামিল মিলে যাবে কিন্তু হিসাবে বড় একটা ভুল থেকে যাবে।
৩. রেওয়ামিল হিসাবের শুদ্ধতার অকাট্য প্রমাণ নয় :-
লেনদেন যখন সংঘটিত হয় তখন দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি অনুসারে উক্ত লেনদেনকে ডেবিট ও ক্রেডিট দিকে দেখিয়ে একই অংকে লিপিবদ্ধ করা হয়। এর ফলে হিসাবগুলোর ডেবিট জের ও ক্রেডিট জেরের যোগফল সমান হয়ে থাকে।
এ থেকে ধারণা করা যায়, হিসাবের গাণিতিক শুদ্ধতা মোটামুটি নিশ্চিত।
কিন্তু পূর্বোক্ত আলোচনা থেকে আমরা দেখলাম মোট ৫ (পাঁচ) প্রকারের ভুল রেওয়ামিলের উভয় দিক মিলে গেলেও থেকে যেতে পারে। বুদ্ধিমত্তার সাথে বারবার হিসাব পরীক্ষা না করে বলা যায় না এসব ভুল থেকে রেওয়ামিল মুক্ত।
সুতরাং আমরা বলতে পারি, রেওয়ামিল হিসাবসমূহের গাণিতিক শুদ্ধতার মোটামুটি পরিচায়ক কিন্তু রেওয়ামিলের সমতা হিসাবসমূহের গাণিতিক শুদ্ধতার একমাত্র অকাট্য প্রমাণ নয়।