গোপালগঞ্জ জেলা সম্পর্কে চাকরির পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান,চাকরির পরীক্ষায় আসা গুরুত্বপূর্ণ গোপালগঞ্জ জেলা সম্পর্কে প্রশ্ন
সর্বশেষ সংশোধিত ও জেলা সম্পর্কে প্রশ্ন ও সমাধান টি আপডেটের করা হয়েছে ২০২৪
গোপালগঞ্জ জেলা ঢাকা বিভাগের একটি জেলা যার আয়তন প্রায় ১,৪৬৯ বর্গ কিলোমিটার। এর জনসংখ্যা প্রায় ১.১ মিলিয়নেরও বেশি। জেলাটি মধুমতি নদীর তীরে অবস্থিত এবং উত্তরে ফরিদপুর জেলা, দক্ষিণে পিরোজপুর ও বাগেরহাট জেলা, পূর্বে মাদারীপুর ও বরিশাল জেলা এবং পশ্চিমে নড়াইল জেলা দ্বারা সীমাবদ্ধ। এই জেলার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলির মধ্যে রয়েছে টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া এবং কাশিয়ানী।
গোপালগঞ্জ জেলা একটি প্রধান কৃষি এলাকা এবং এটি ধান, পাট এবং সবজি উৎপাদনের জন্য পরিচিত। জেলাটিতে চিনিকল, চালের কল এবং সার কারখানা সহ বেশ কয়েকটি শিল্পের আবাসস্থল।
এই জেলা একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য, যেখানে অনেক ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক আকর্ষণ রয়েছে। জেলার সর্বাধিক জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি, মধুমতি নদী এবং গোপালগঞ্জ জাদুঘর।
বাংলাদেশের ৬৪ জেলা সম্পর্কে প্রশ্ন ও সমাধান ২০২৪
গোপালগঞ্জ জেলা (ঢাকা বিভাগ) আয়তন: ১৪৬৮.৭৪ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৫০´ থেকে ২৩°০১´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৪০´ থেকে ৯০°০২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে ফরিদপুর জেলা, দক্ষিণে পিরোজপুর ও বাগেরহাট জেলা, পূর্বে মাদারীপুর ও বরিশাল জেলা, পশ্চিমে নড়াইল জেলা।
জনসংখ্যা ১১৭২৪১৫; পুরুষ ৫৭৭৮৬৮, মহিলা ৫৯৪৫৪৭। মুসলিম ৮০৫১১৫, হিন্দু ৩৫৩৭৯৪, বৌদ্ধ ৮০, খ্রিস্টান ১২৯৫১ এবং অন্যান্য ৪৭৫।
জলাশয় মধুমতি, ঘাঘর, কুমার নদী এবং ওয়াপদা খাল উল্লেখযোগ্য।
প্রশাসন জেলা গঠিত হয় ১৯৮৪ সালে। এটি পূর্বে ফরিদপুর জেলার অন্তর্গত একটি মহকুমা ছিল। জেলার পাঁচটি উপজেলার মধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা সর্ববৃহৎ (৩৮৯.৬১ বর্গ কিমি) এবং এটি জেলার মোট আয়তনের ২৬.২৭% এলাকা জুড়ে অবস্থিত। জেলার সবচেয়ে ছোট উপজেলা টুঙ্গীপাড়া (১২৮.৫৩ বর্গ কিমি)।
জেলা | |||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | উপজেলা | পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | |
শহর | গ্রাম | ||||||||
১৪৬৮.৭৪ | ৫ | ৪ | ৬৮ | ৬০৭ | ৮৮৯ | ১২৮৭০৫ | ১০৪৩৭১০ | ৭৯৮ | ৫৮.১ |
জেলার অন্যান্য তথ্য | ||||||||
উপজেলার নাম | আয়তন(বর্গ কিমি) | পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) |
কাশিয়ানী | ২৮৬.৩১ | – | ১৪ | ১৪৯ | ১৬২ | ২০৭৬১৫ | ৭২৫ | ৫৯.২ |
কোটালিপাড়া | ৩৫৫.৯০ | ১ | ১২ | ১০১ | ২০৮ | ২৩০৪৯৩ | ৬৪৮ | ৫৯.২ |
গোপালগঞ্জ সদর | ৩৮৯.৬১ | ১ | ২১ | ১২৫ | ১৯৭ | ৩৪৪০০৮ | ৮৮৩ | ৬১.৮ |
টুঙ্গিপাড়া | ১২৮.৫৩ | ১ | ৫ | ৩৩ | ৬৭ | ১০০৮৯৩ | ৭৮৫ | ৫৬.৬ |
মুকসুদপুর | ৩০৮.৩৬ | ১ | ১৬ | ১৯৫ | ২৫৫ | ২৮৯৪০৬ | ৯৩৯ | ৫২.৫ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
2016 – 2024 সালের সকল নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান পেতে ক্লিক করুন
মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালের ৭ এপ্রিল গোপালগঞ্জ সদরে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ২ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। উরফি ইউনিয়নের শসাবাড়িয়া গ্রামে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ হয় এবং তাতে ১০ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১৪ মে পাকবাহিনী কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ি এলাকার প্রায় দেড় শতাধিক নিরীহ লোককে হত্যাসহ ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। ১৯ মে পাকবাহিনীর একটি দল টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর বাড়ির কয়েকজনকে হত্যা করে এবং ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। মে মাসের শেষের দিকে পাকবাহিনী গোপালগঞ্জ সদরের পাইককান্দি গ্রামের ১৩ জন নিরীহ বাঙালীকে হত্যা করে। ৯ আগষ্ট মুকসুদপুর উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় জনগণের আক্রমণে পুলিশ ও রাজাকারসহ ৮৪ জন নিহত হয়। ৫ অক্টোবর কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া অয়ারলেস স্টেশনে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে ৭ জন পাকসেনা নিহত হয়। ১২ অক্টোবর মুকসুদপুর উপজেলার বামনডাঙ্গা বাজারে পাকবাহিনী ও রাজাকারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ২২ জন পাকসেনা ও রাজাকার নিহত হয়। একই দিনে পাকবাহিনী কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ি এলাকায় প্রায় দুই শতাধিক নিরীহ গ্রামবাসীকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এছাড়াও অক্টোবরের শেষের দিকে কাশিয়ানী উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকবাহিনীর এক লড়াইয়ে ৩০ জন পাকসেনা নিহত হয়। ডিসেম্বরের প্রথম দিকে কাশিয়ানী উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা ও পাকবাহিনীর লড়াইয়ে ১৭ জন পাকসেনা নিহত হয়। গোপালগঞ্জ জেলায় ১টি বধ্যভূমি ২টি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে এবং ১টি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপিত হয়েছে।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৫৮.১%; পুরুষ ৬০.৩%, মহিলা ৫৬.০%। কলেজ ২৩, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৮৮, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭৮৬, কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৪, কেজি স্কুল ৩৮, মাদ্রাসা ৬২। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: সরকারি এস. কে. কলেজ (১৯৪২), এ. আর. আলী খান কলেজ (১৯৪২), মুকসুদপুর ডিগ্রি কলেজ (১৯৭২), শেখ মুজিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজ (১৯৮৬), উলপুর পি,সি, উচ্চ বিদ্যালয় (১৯০০), মদনমোহন উচ্চ বিদ্যালয় (১৯০২), কালীনগর উচ্চ বিদ্যালয় (১৯০৭), ওড়াকান্দি হাইস্কুল (১৯০৯), গোপীনাথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯১১), নিলফা বয়রা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৭), বাটিকামারী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২১), পূর্বকোটালীপাড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৫), বৌলতলী সাহাপুর সম্মিলনী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৮), সাবের মিঞা জসিমুদ্দিন মডেল উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৮), সাজাইল গোপী মোহন উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৯), কুমারিয়া লক্ষ্মীপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯১৪), বাটিকামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯১৯), বনগ্রাম ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা (১৯২৫), ওয়েস্ট কোটালীপাড়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন (১৯২৩)।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬১.৭৫%, অকৃষি শ্রমিক ২.২৩%, শিল্প ০.৫৮%, ব্যবসা ১৩.৯২%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ২.৩০%, চাকরি ১১.১৪%, নির্মাণ ১.৬০%, ধর্মীয় সেবা ০.২৯%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৭০% এবং অন্যান্য ৫.৪৯%।
পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী দৈনিক: যুগকথা, ভোরের বাণী, সূর্যাশা, বাংলার সংকেত, শিরীন, বিশ্বদর্পণ; সাপ্তাহিক: জনপদের কথা; মাসিক: মতুয়া দর্পণ (ওড়াকান্দি)। অবলুপ্ত: দীপ্তি (১৯৮৩), নবদীপ্তি (১৯৮৩), ফুল্কি (১৯৬১), মধুমতি (১৯৭৩), মধুচক্র (১৯৮৩), শ্রীহরিদর্শন, ওড়াকান্দি (১৯৭৯), রূপালি ফিতে (১৯৮৭), আলোর দিশারী (১৯৭৭), রবিররশ্নি (১৯৮৫), গোপালগঞ্জ সাহিত্যপত্র (১৯৮৬)।
লোকসংস্কৃতি ছড়া, ছন্দ, প্রবাদ, ধাঁধাঁ, সারিগান, মুর্শিদি গান, হুলুই গান, ব্রতগীতি, গাম্ভীরা গান উল্লেখযোগ্য।
দর্শনীয় স্থান বঙ্গবন্ধু স্মৃতিসৌধ কমপ্লেক্স (টুঙ্গিপাড়া); আকরামুজ্জামান পার্ক (আড়পাড়া)। [রবীন্দ্রনাথ অধিকারী]
আরও দেখুন সংশ্লিষ্ট উপজেলা।
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; গোপালগঞ্জ জেলার সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭; গোপালগঞ্জ জেলার উপজেলাসমূহের সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।
গোপালগঞ্জ নামকরণ ও জেলার ইতিহাস
বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার আদি নাম ছিল রাজগঞ্জ বাজার। ১৯২১ সালে এটি জনপদে উন্নীত হয় এবং গোপালগঞ্জ নামকরণ করা হয়। নাম পরিবর্তন করা হয়েছিল রানি রাসমনিকে সম্মান দেখানোর জন্য একজন ধনী হিন্দু মহিলা যিনি গণেশচন্দ্র দেবের কন্যা এবং নবগোপাল দেবের প্রপিতামহ ছিলেন। নবো গোপাল ছিলেন গণেশচন্দ্রের পুত্র এবং খাতরা এস্টেটের মালিক, যে এলাকাটি এখন গোপালগঞ্জ জেলার অন্তর্ভুক্ত।
রাজগঞ্জ বাজার নামটি এসেছে “রাজ” শব্দ থেকে যার অর্থ “রাজা” এবং “গঞ্জ” যার অর্থ “বাজার”। এই নামটি সম্ভবত মুঘলদের দ্বারা দেওয়া হয়েছিল, যারা ষোড়শ তম এবং সপ্তাদশ শতকে এই অঞ্চলটি শাসন করেছিল।
গোপালগঞ্জ জেলার উপজেলা/থানা সমূহ
গোপালগঞ্জ জেলাটি মোট ৫ টি উপজেলা/থানা নিয়ে গঠিত। যা হলো:
- গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা,
- কাশিয়ানী,
- টুংগীপাড়া ,
- কোটালীপাড়া ,
- মুকসুদপুর ইত্যাদি।
গোপালগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
গোপালগঞ্জ জেলার কিছু পর্যটন/দর্শনযোগ্য স্থান এখানে তুলে ধরা হলো:
কুশেশ্বরী মন্দির
এটি একটি হিন্দু মন্দির যা দেবী কুশেশ্বরীকে উৎসর্গ করে। এটি গোপালগঞ্জ জেলার কুশেশ্বরী উপজেলায় অবস্থিত। মন্দিরটি ১২ শতকে নির্মিত বলে জানা যায়।
টুঙ্গিপাড়া দুর্গ
এটি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় অবস্থিত একটি 17শ শতাব্দীর দুর্গ। দুর্গটি মুঘলদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল।
ব্রহ্মস্থান
গোপালগঞ্জ জেলার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় অবস্থিত এটি একটি হিন্দু তীর্থস্থান। সাইটটিকে হিন্দু সৃষ্টির দেবতা ব্রহ্মার জন্মস্থান বলা হয়।
রামধারা জলপ্রপাত
এটি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলায় অবস্থিত একটি ঝরনা। জলপ্রপাত সাঁতার কাটা এবং পিকনিক করার জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান।
গাওয়ার ঘাট জলপ্রপাত
এটি গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলায় অবস্থিত একটি জলপ্রপাত। জলপ্রপাত সাঁতার কাটা এবং পিকনিক করার জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান।
শ্রী গোপালগঞ্জ রাজবাড়ী
এটি একটি প্রাসাদ কমপ্লেক্স যা গোপালগঞ্জ জেলার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় অবস্থিত। প্রাসাদটি 19 শতকে বাংলার নবাবদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল।
গোপালগঞ্জ জাদুঘর
এটি গোপালগঞ্জ জেলার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় অবস্থিত একটি জাদুঘর। জাদুঘরটি গোপালগঞ্জ জেলার ইতিহাস ও সংস্কৃতির সাথে সম্পর্কিত নিদর্শন প্রদর্শন করে।
গোপালগঞ্জ চিড়িয়াখানা
এটি একটি চিড়িয়াখানা যা গোপালগঞ্জ জেলার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় অবস্থিত। চিড়িয়াখানায় সিংহ, বাঘ, হাতি এবং বানর সহ বিভিন্ন ধরণের প্রাণী রয়েছে।
গোপালগঞ্জ জেলার পাবলিক পার্ক সমূহ
গোপালগঞ্জ জেলার কিছু পাবলিক পার্ক এখানে রয়েছে:
গোপালগঞ্জ পৌর পার্ক
এই পার্কটি গোপালগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এবং স্থানীয় ও পর্যটকদের কাছে একইভাবে একটি জনপ্রিয় স্থান। এটিতে একটি হ্রদ, একটি খেলার মাঠ, একটি জগিং ট্র্যাক এবং বেশ কয়েকটি খাবারের স্টল সহ বিভিন্ন আকর্ষণ রয়েছে৷
শেখ রাসেল শিশু পার্ক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের স্মৃতির উদ্দেশে এই পার্কটি উৎসর্গ করা হয়েছে। এটি পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত এবং শিশুদের জন্য অনেক রাইড এবং আকর্ষণ রয়েছে।
লেক পার্ক গোপালগঞ্জ
এই পার্কটি গোপালগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত এবং এটি পিকনিক এবং নৌবিহারের একটি জনপ্রিয় স্থান। এটিতে একটি বড় হ্রদ, অনেকগুলি গাছ এবং ঝোপঝাড় এবং একটি খেলার মাঠ রয়েছে।
যে কারনে গোপালগঞ্জ জেলা বিখ্যাত
গোপালগঞ্জ জেলা অনেক জিনিসের জন্য বিখ্যাত, যার মধ্যে রয়েছে:
- এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব: গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান এছাড়াও গোপালগঞ্জ জাদুঘর এবং গোপালগঞ্জ দুর্গ সহ অন্যান্য অনেক ঐতিহাসিক স্থানের আবাসস্থল এটি।
- প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: গোপালগঞ্জ পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত, এবং সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বন, হিরন পয়েন্ট সমুদ্র সৈকত এবং গোপালগঞ্জ উপজেলা উদ্যান সহ অনেক প্রাকৃতিক আকর্ষণের আবাসস্থল।
- প্রাণবন্ত সংস্কৃতি: গোপালগঞ্জ একটি বৈচিত্র্যময় জনসংখ্যার আবাসস্থল, এবং এর সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত। জেলাটি সারা বছর ধরে অনেক উত্সব, মেলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আবাসস্থল।
- সুস্বাদু খাবার: গোপালগঞ্জে বাঙালি খাবার, সামুদ্রিক খাবার এবং মিষ্টি সহ বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাবারের আবাসস্থল। এছাড়াও জেলাটিতে অনেক ঐতিহ্যবাহী চায়ের দোকান রয়েছে, যেখানে আপনি এক কাপ চা উপভোগ করতে পারেন এবং স্থানীয়দের সাথে আড্ডা দিতে পারেন।
আপনি যদি বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনুভব করার জন্য একটি জায়গা খুঁজছেন, তাহলে গোপালগঞ্জ জেলা একটি দুর্দান্ত জায়গা হতে পারে আপনার জন্য।