জামালপুর জেলা সম্পর্কে চাকরির পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান
জামালপুর বাংলাদেশের ময়মনসিংহ বিভাগের একটি জেলা। এটি জাতীয় রাজধানী ঢাকার উত্তরে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার (৮৭ মাইল প্রায়) ব্রহ্মপুত্র নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। জেলাটির আয়তন প্রায় ২,০৩২ বর্গ কিলোমিটার (৭৮৪ বর্গ মাইল প্রায়)। এর প্রধান শহর জামালপুর, যা জেলার সদর দপ্তরও বটে।
জামালপুরও একটি কৃষিপ্রধান জেলা যেখানে ধান, পাট, গম এবং আলু প্রধান ফসল এছাড়াও জেলাটিতে টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং সিরামিক সহ বেশ কয়েকটি শিল্পের আবাসস্থল।
জেলাটি একটি পর্যটন গন্তব্যও বটে যেখানে অনেক ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক আকর্ষণ রয়েছে। প্রধান পর্যটক আকর্ষণ জামালপুর জাদুঘর, জামালপুর দুর্গ, জামালপুর চা বাগান এবং জামালপুর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য।
সর্বশেষ সংশোধিত ও জেলা সম্পর্কে প্রশ্ন ও সমাধান টি আপডেটের করা হয়েছে ২০২৪
বাংলাদেশের ৬৪ জেলা সম্পর্কে প্রশ্ন ও সমাধান ২০২৪
জামালপুর জেলা (ময়মনসিংহ বিভাগ) আয়তন ২১১৫.১৬ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°৩৪´ থেকে ২৫°২৬´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৪০´ থেকে ৯০°১২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য, কুড়িগ্রাম এবং শেরপুর জেলা, দক্ষিণে টাঙ্গাইল জেলা, পূর্বে ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলা, পশ্চিমে যমুনা নদী এবং বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও গাইবান্ধা জেলা। ঢাকা বিভাগের ১৭টি জেলার মধ্যে জামালপুর জেলার অবস্থান ষষ্ঠ এবং বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে এর অবস্থান ৩৩ তম।
জনসংখ্যা ২২২৯২৬৭৪; পুরুষ ১১২৮৭২৪, মহিলা ১১৬৩৯৫০। মুসলমান ২২৫২১৮১, হিন্দু ৩৮৮৩২, বৌদ্ধ ১৫, খ্রিস্টান ৯৮৫, অন্যান্য ৬৬১। এ জেলায় গারো, বংশী, হাজং, হদি, কুরমি ও মাল প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।
জলাশয় প্রধান নদী: যমুনা, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, বানার ও ঝিনাই।
প্রশাসন জামালপুর জেলা গঠিত হয় ১৯৭৮ সালে। জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে জামালপুর সদর সর্ববৃহৎ (৫০৮.৮০ বর্গ কিমি) এবং এটি জেলার মোট আয়তনের ২৪.০৯% এলাকা জুড়ে অবস্থিত। জেলার সবচেয়ে ছোট উপজেলা বকশীগঞ্জ (২৩৮.২৯ বর্গ কিমি)।
2016 – 2024 সালের সকল নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান পেতে ক্লিক করুন
জেলা | |||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | উপজেলা | পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | |
শহর | গ্রাম | ||||||||
২১১৫.১৬ | ৭ | ৬ | ৬৮ | ৭৪৫ | ১৩৬১ | ৩৮৭৮৬৯ | ১৯০৪৮০৫ | ১০৮৪ | ৩৮.৪ |
জেলার অন্যান্য তথ্য | |||||||||
উপজেলা নাম | আয়তন (বর্গ কিমি) | পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | |
ইসলামপুর | ৩৫৩.৩১ | ১ | ১২ | ৭২ | ১৩০ | ২৯৮৪২৯ | ৮৪৫ | ৩০.১ | |
জামালপুর সদর | ৫০৮.৮০ | ১ | ১৫ | ২৫৩ | ৩৬৫ | ৬১৫০৭২ | ১২০৯ | ৪৭.০ | |
দেওয়ানগঞ্জ | ২৬৭.৫১ | ১ | ৮ | ৪২ | ১৬৬ | ২৫৮১৩৩ | ৯৬৫ | ৩২.৫ | |
বকশীগঞ্জ | ২৩৮.২৯ | – | ৭ | ২৫ | ১৯৯ | ২১৮৯৩০ | ৯১৯ | ৩৩.১ | |
মাদারগঞ্জ | ২২৫.৩৯ | ১ | ৭ | ১০৪ | ১১৯ | ২৬৩৬০৮ | ১১৭০ | ৩৩.০ | |
মেলান্দহ | ২৫৮.৩২ | ১ | ১১ | ১৩২ | ১৯৯ | ৩১৩১৮২ | ১২১২ | ৩৫.৭ | |
সরিষাবাড়ী | ২৬৩.৫০ | ১ | ৮ | ১১৭ | ১৮৩ | ৩২৫৩২০ | ১২৩৫ | ৪৪.৬ |
ঐতিহাসিক ঘটনাবলি সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ (১৭৭২-১৭৯০), নীল বিদ্রোহ (১৮২৯), দুর্ভিক্ষ (১৮৭৪), রেলপথ স্থাপন (১৮৯৯)।
মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় পাকবাহিনী জামালপুরে ব্যাপক গণহত্যা চালায়। ২১ জুন পাকবাহিনী ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত শ্মশান ঘাটে ৯ জনকে হত্যা করে। সরিষাবাড়িতে স্থানীয় জনগণ কয়েকজন রাজাকারকে হত্যা করলে পাকবাহিনী সেখানকার ৬ জনকে হত্যা করে ও গ্রাম জ্বালিয়ে দেয় এবং পরবর্তীকালে পাকসেনারা বয়সিং গ্রামের আরও ১৭ জন নিরীহ লোককে হত্যা করে। মুক্তিযোদ্ধারা বকশীগঞ্জের কামালপুর ঘাঁটি আক্রমণ করলে পাকবাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়, এ যুদ্ধে ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন মমতাজ, আহাদুজ্জামান, আবুল কালাম আজাদসহ ৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১৪ নভেম্বর পাকবাহিনীর গোলার আঘাতে ক্যাপ্টেন আবু তাহের গুরুতর আহত হন। জেলায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে ৩৩টি গণকবর ও ১টি বধ্যভূমি রয়েছে; ৪টি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়েছে।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৩৮.৪%; পুরুষ ৪১.১%, মহিলা ৩৫.৯%। বিশ্ববিদ্যালয় ৫, কলেজ ৩৯, কারিগরি কলেজ ৯, হোমিওপ্যাথি কলেজ ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৮৫, কারিগরি বিদ্যালয় ৭, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৮২০, স্যাটেলাইট স্কুল ১৬, কমিউনিটি বিদ্যালয় ১৯, মাদ্রাসা ৩০৮, অন্যান্য ১৪৯। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: বলরিদিয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৮৬৯), পিংনা ইংলিশ হাই স্কুল (১৮৭৯), জামালপুর জিলা স্কুল (১৮৮১), জামালপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৮২), পোগলদিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৮৯০), পিনাং উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৯৬), সিংহজানি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯০১), ঝাড়কাটা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯০৭), সিংহজানী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৮), দেওয়ানগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৯), সরিষাবাড়ী রাণী নিদমণি মডেল হাই স্কুল (১৯২০), হাজরাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৬), নান্দিনা মহারাণী হেমন্ত কুমারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩৫), সরকারি আশেক মাহ্মুদ কলেজ (১৯৪৬), সরকারি জাহেদা সফির মহিলা কলেজ (১৯৬৭), মাদারগঞ্জ এএইচ জেড সরকারি কলেজ (১৯৬৮), ইসলামপুর কলেজ (১৯৭০), পিংনা মাদ্রাসা।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬৫.৫০%, অকৃষি ৩.৩০%, শিল্প ০.৮১%, ব্যবসা ১১.৮৮%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ২.৯৪%, নির্মাণ ১.২২%, ধর্মীয় সেবা ০.১৯%, চাকরি ৫.৭৬%৬, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৩০%, অন্যান্য ৮.১০%।
পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী দৈনিক: জনবাংলা, পল্লীর আলো; সাপ্তাহিক: সচেতন কণ্ঠ, পূর্বকথা, জামালপুর সংবাদ, জনক, জামালপুর সাতদিন, জগৎ, নবতান, সাপ্তাহিক ঝিনাই, সাপ্তাহিক ঊর্মি বাংলা, সাপ্তাহিক জামালপুর বার্তা, সাপ্তাহিক কালাকাল, সাপ্তাহিক মুক্ত আলো, গাঙচিল; সাহিত্য পত্রিকা: পাতায় পাতায়, লোক, ঋদ্ধি, ছন্দে ঝিনাই, ময়ূখ (অনিয়মিত); অবলুপ্ত: মাসিক পল্লীমঙ্গল (১৯২২), হানিফি (১৯০৩), জামালপুর বার্তা, পল্লীবাণী, শিল্প-সাহিত্যপত্র।
লোকসংস্কৃতি এ জেলায় গুনাইবিবির গান, খায়রুনের জারি, রূপভানের পালাগান, পাঁচালী, ঘেটু গান এবং বিয়ে, গায়ে হলুদ উপলক্ষে মেয়েলি গান প্রভৃতির প্রচলন রয়েছে। গ্রামাঞ্চলে ষাড়ের লড়াই, ঘোড়দৌড়, মইদৌড়, লাঠিখেলা ইত্যাদি প্রতিযোগিতামূলক খেলার এবং বর্ষাকালে যমুনা নদীতে নৌকাবাইচের আয়োজন করা হয়। জেলার গারো সম্প্রদায় ‘বিগান গালা উৎসব’ উপলক্ষে নৃত্যগীত পরিবেশন করে।
দর্শণীয় স্থান ফুলকোচা ও মহিরামকুলে অবস্থিত জমিদারদের কাচারি (বিলুপ্ত প্রায়) ও দিঘি (মেলান্দহ উপজেলা), তারতাপাড়া গ্রামের বিলুপ্তপ্রায় নীলকুঠি (মাদারগজ্ঞ উপজেলা), নরপাড়া দূর্গ (সরিষাবাড়ী উপজেলা), রাধানাথ জিউর মন্দির, নান্দিনার শোলাকুড়ি পাহাড়, শ্রীপুরের রানীপুকুর দিঘি, চন্দ্রার হরিশচন্দ্রের দিঘি (জামালপুর সদর উপজেলা), প্রদ্যোৎঠাকুরের কুঠিবাড়ি (ইসলামপুর উপজেলা), গারো পাহাড় (বকশীগজ্ঞ উপজেলা)।
জামালপুর নামকরণ ও জেলার ইতিহাস
বাংলাদেশের জামালপুর জেলার আদি নাম ছিল ‘সিংহজানী’। দিল্লিতে সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে (১৫৫৬ থেকে ১৬০৫) ইয়েমেন থেকে এই অঞ্চলে এসেছিলেন এমন একজন মুসলিম সাধক হযরত শাহ জামাল (রহ.) এর নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছিল। হযরত শাহ্ জামাল ছিলেন একজন সুফি সাধক ও প্রচারক যিনি এই অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করেছিলেন। তিনি একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন এবং তার সমাধি আজও জামালপুরের একটি জনপ্রিয় তীর্থস্থান।
হযরত শাহ জামাল (রহ.)-এর নামানুসারে জামালপুর জেলার নামকরণ জেলার সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতিফলন। হযরত শাহ জামাল ছিলেন একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব যিনি এ অঞ্চলে ইসলামের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। জেলাটি তার ঐতিহ্য নিয়ে গর্বিত এবং হযরত শাহ জামাল (রহ.) এর উত্তরাধিকার উদযাপন করে চলেছে।
জেলাটি মূলত ময়মনসিংহ জেলার অংশ ছিল, কিন্তু এটি ২৬ ডিসেম্বর ১৯৭৮-এ জেলার মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। জামালপুর বাংলাদেশের উত্তর-মধ্য অংশে অবস্থিত, এবং এটি শেরপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ এবং কুড়িগ্রাম জেলার সীমান্তবর্তী। জেলাটির জনসংখ্যার বেশিরভাগই মুসলিম। জামালপুরের প্রধান শিল্পগুলি হল কৃষি, বস্ত্র এবং উৎপাদন।
জামালপুর জেলার উপজেলা/থানা সমূহ
বাংলাদেশের জামালপুর জেলায় উপজেলা রয়েছে ৭টি। যা হল:
- জামালপুর সদর উপজেলা,
- বকশীগঞ্জ উপজেলা,
- দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা,
- ইসলামপুর উপজেলা,
- মাদারগঞ্জ উপজেলা,
- মেলান্দহ উপজেলা,
- সরিষাবাড়ী উপজেলা।
উপজেলাগুলো আবার ইউনিয়ন পরিষদে বিভক্ত, যেগুলো বাংলাদেশের সর্বনিম্ন প্রশাসনিক ইউনিট।
জামালপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
জামালপুর জেলার কিছু পর্যটন/দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে এখানে তুলে ধরা হলো:
লাউচাপড়া পিকনিক স্পট
মধুমতি নদীর পাদদেশে অবস্থিত এটি একটি জনপ্রিয় পিকনিক স্পট। যা একটি দিন বাইরে কাটাতে, বা সাঁতার কাটা, বোটিং ও রোদে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা।
দীঘিরপাড়
এটি যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত একটি মনোরম স্থান। যা বেড়াতে যাওয়ার, নদীর দৃশ্য উপভোগ করার বা পিকনিক করার জন্য এটি একটি দুর্দান্ত জায়গা।
মধুটিলা ইকো পার্ক
এটি জামালপুর সদর উপজেলায় অবস্থিত একটি নতুনভাবে গড়ে ওঠা ইকো পার্ক। বেড়াতে যেতে, কিছু বন্যপ্রাণী দেখতে বা শুধু তাজা বাতাসে আরাম করার জন্য এটি একটি দুর্দান্ত জায়গা।
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন সংগ্রহশালা
এটি বাংলাদেশের বিখ্যাত শিল্পী জয়নুল আবেদিনের কাজের জন্য নিবেদিত একটি জাদুঘর। জাদুঘরে তার আঁকা, ভাস্কর্য এবং অন্যান্য শিল্পকর্মের সংগ্রহ রয়েছে।
হযরত শাহ জামাল (রঃ) মাজার শরীফ
এটি একটি সুফি সাধক হযরত শাহ জামালের মাজার। মাজারটি সমগ্র বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য একটি জনপ্রিয় তীর্থস্থান।
দ্যামি টেম্পল
এটি জামালপুর শহরে অবস্থিত একটি হিন্দু মন্দির। মন্দিরটি ৩০০ বছরেরও বেশি পুরানো এবং সারা বাংলাদেশের হিন্দুদের জন্য এটি একটি জনপ্রিয় তীর্থস্থান।
জামালপুর জেলার পাবলিক পার্ক সমূহ
এখানে বাংলাদেশের জামালপুর জেলার পাবলিক পার্ক গুলোর মধে অন্যতম হলো:
ফৌজদারী রিভার সাইড পার্ক
এই পার্কটি যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত এবং স্থানীয় এবং পর্যটকদের কাছে একইভাবে একটি জনপ্রিয় স্থান। এটি একটি খেলার মাঠ, একটি জগিং ট্র্যাক, একটি বোথহাউস এবং একটি রেস্তোরাঁ সহ বিভিন্ন ধরণের আকর্ষণ রয়েছে৷
আশার উদ্দিন তালতলা পার্ক
জামালপুর শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এই পার্কটি পরিবার ও বন্ধুদের কাছে একটি জনপ্রিয় স্থান। এটি একটি খেলার মাঠ, একটি জগিং ট্র্যাক, একটি হ্রদ এবং একটি মসজিদ সহ বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণের বৈশিষ্ট্য রয়েছে৷
ফৌজদারী মোড় পার্ক
এই পার্কটি ফৌজদারী থানার কাছে অবস্থিত এটি মানুষের বিশ্রাম এবং তাদের পরিবারের সাথে সময় কাটানোর জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান। এটি একটি খেলার মাঠ, একটি জগিং ট্র্যাক, এবং একটি মসজিদ সহ বিভিন্ন আকর্ষণের বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
সদর উদ্যান
সদর উপজেলা পরিষদ অফিসের কাছে অবস্থিত এ পার্কটি মানুষের বিশ্রাম ও পরিবারের সাথে সময় কাটানোর জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান। এটি একটি খেলার মাঠ, একটি জগিং ট্র্যাক, এবং একটি মসজিদ সহ বিভিন্ন আকর্ষণের বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
শিশু পার্ক
শিশুমেলা মাঠের কাছে অবস্থিত এই পার্কটি শিশুদের জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান। এটি একটি খেলার মাঠ, একটি ওয়াটার পার্ক, এবং একটি খেলনা ট্রেন সহ বিভিন্ন আকর্ষণের বৈশিষ্ট্য রয়েছে৷
যে কারনে জামালপুর জেলা বিখ্যাত
জামালপুর নকশি কাঁথা, তামা ও ব্রোঞ্জ শিল্প এবং ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য বিখ্যাত। নকশি কাঁথা হল এক ধরনের সূচিকর্ম করা চাদর যা এই অঞ্চলের মহিলারা তৈরি করেন। এ কাঁথা প্রায়ই জটিল নকশা এবং নিদর্শন সজ্জিত করা হয়। নকশি কাঁথা একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্যুভেনির, এবং এটি অন্যান্য দেশেও রপ্তানি করা হয়।
তামা ও ব্রোঞ্জ শিল্প শেরপুর জামালপুরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। এই জেলাটি অনেকগুলি কারখানার আবাসস্থল যা তামা এবং ব্রোঞ্জের পণ্য যেমন পাত্র, গয়না এবং ভাস্কর্য উত্পাদন করে।
ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য শেরপুর জামালপুর বিখ্যাত হওয়ার আরেকটি কারণ। এই জেলাটি অনেক ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক স্থানের আবাসস্থল, যেমন গড় জারিপাড় দুর্গ, দরবিশ জারিপ শাহের সমাধি এবং কসবায় মুঘল মসজিদ। এই সাইটগুলি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য, এবং তারা এই অঞ্চলের ইতিহাস এবং সংস্কৃতির একটি আভাস প্রদান করে।
আপনি যদি ইতিহাস, সংস্কৃতি বা হস্তশিল্পের প্রতি আগ্রহী হন তবে শেরপুর জামালপুর ভ্রমণের জন্য একটি দুর্দান্ত স্থান। জেলাটিতে দর্শকদের অফার করার জন্য অনেক কিছু রয়েছে এবং আপনি নিশ্চিত একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা পাবেন।