স্বল্পমেয়াদি অর্থসংস্থানের ব্যবহৃত দলিলসমূহ কি কি, স্বল্পমেয়াদি অর্থসংস্থানের দলিলসমূহ কি কি

স্বল্পমেয়াদি অর্থসংস্থানের ব্যবহৃত দলিলসমূহ কি কি

স্বল্পমেয়াদি অর্থায়ন হচ্ছে সাধারণ এক বছর বা তার কম সময়ের জন্য যে অর্থায়ন করা হয়। স্বল্পমেয়াদি অর্থায়নের বিভিন্ন উৎস রয়েছে। অর্থসংস্থানের সময় বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয়। এ এ উৎসগুলো থেকে সময় কিছু দলিল বা প্রমাণ পত্রের ব্যবহার করা হয়, যা লেনদেনের বৈধতা নির্দেশ করে।

স্বল্পমেয়াদি অর্থসংস্থানের ব্যবহৃত দলিলসমূহ কি কি, স্বল্পমেয়াদি অর্থসংস্থানের দলিলসমূহ কি কি

নিচে স্বল্পমেয়াদি অর্থায়নে ব্যবহৃত হয় এমন কিছু দলিলপত্রের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলো :

১. বিনিময় বিল : দেনাদার কর্তৃক পাওনাদারকে ইস্যুকৃত সাধারণ ও অর্থ সংস্থানকারী বিনিময় বিল বাট্টাকরণের মাধ্যমে স্বল্পমেয়াদি অর্থায়নে ব্যবহৃত হয়।

২. ব্যাংক চেক : স্বল্পমেয়াদি অর্থায়নে বাহক চেক, উপহার চেক, দাগকাটা চেক ইত্যাদিও দলিল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

৩. প্রতিজ্ঞাপত্ৰ : কোনো পণ্য বিক্রয়ের সময় ক্রেতা পণ্যের মূল্য পরিশোধের জন্য যে পত্রের মাধ্যমে প্রতিজ্ঞা করে, প্রতিজ্ঞাপত্র বলে।

৪. খোলা হিসাব বিক্রেতা : পণ্য বা সেবা হস্তান্তরের সময় বিক্রেতা পণ্য প্রদানের বিপরীতে যে হিসাব খোলে, তাই খোলা হিসাব ।

৫. দায় স্বীকারোক্তি : যে দলিলের মাধ্যমে কোনো পক্ষের দায় হস্তান্তরের ব্যবস্থা করা হয়, তাই দায় স্বীকারোক্তি পত্র ।

৬. বাণিজ্যিক কাগজ : এটি সাধারণ বিনিময় বিল ও অঙ্গীকার পত্রের মতোই কাজ করে। বাণিজ্যিক কাগজ অর্থ বাজারে ক্রয়-বিক্রয় করা হয় ।

৭. প্রত্যয় পত্র : রপ্তানিকারকের অর্থ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা স্বরূপ আমদানিকারকের ব্যাংক অর্থ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা যে পত্রের মাধ্যমে দেয়, তাই প্রত্যয় পত্ৰ ।

৮.. ব্যাংকের স্বীকৃতি : ব্যাংক কোনো মক্কেলের পক্ষে কোনো গ্যারান্টি প্রদান করলে, মক্কেলের অনুপস্থিতিতে ব্যাংক দায় স্বীকার করে নেয় ।

৯. চালানী রশিদ : ধারে পণ্য বিক্রয় বা রপ্তানির মাধ্যমে স্বল্পমেয়াদি অর্থায়নের ব্যবস্থা করলে, চালানী রশিদ অন্যতম দলিল হিসেবে বিবেচিত হয় ।

১০. গুদাম রশিদ : এ ছাড়াও গুদামে পণ্য রাখলেও গুদাম রশিদও অন্যতম দলিল হিসেবে বিবেচিত হয় ।

১১. বন্ধক পত্র : সম্পত্তি বন্ধক রেখে স্বল্পমেয়াদি অর্থায়ন করা হলে বন্ধক পত্র অন্যতম দলিল বলে বিবেচিত হয় ।

১২. ভাসমান পণ্য : পণ্য বন্ধক রেখে স্বল্পমেয়াদি অর্থায়ন করা হলে, এ পত্র ব্যবহার করা হয়। এতে পণ্যের ওপর ঋণদাতা অধিকার অর্জন করে ।

১৩. ব্যাংক জমাতিরিক্তের রশিদ।

১৪. বিভিন্ন ধরনের স্বল্পমেয়াদি ঋণের প্রমাণ পত্ৰ ।

১৫. ভাউচার, ক্যাশ মেমো, শুল্ক পত্র ইত্যাদি।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, দলিলগুলো ছাড়াও আরো সহায়ক অনেক দলিলপত্র, প্রমাণাদি স্বল্পমেয়াদি অর্থায়নে ব্যবহৃত হয়, যা মেয়াদী অর্থায়ন কার্যক্রমকে সহজ করে।

একাডেমিক শিক্ষা বিষয়ক লিখিত প্রশ্ন সমাধান পেতে ক্লিক করুন।

আর্টিকেলের শেষ কথাঃ স্বল্পমেয়াদি অর্থসংস্থানের ব্যবহৃত দলিলসমূহ কি কি, স্বল্পমেয়াদি অর্থসংস্থানের দলিলসমূহ কি কি

Leave a Comment