বেসরকারি সংস্থা (ইংরেজি: Nongovernmental Organizations,বা, Nongovernment Organizations),যা সাধারণত এনজিও (NGOs)হিসাবে পরিচিত, হলো এমন আন্তর্জাতিক সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান যারা সাধারণত অলাভজনক ও স্বাধীনভাবে সরকার কর্তৃক সরাসরিভাবে সুনির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রণের বাইরে (যদিও এগুলোতে প্রায়শঃই সরকার কর্তৃক অর্থায়ন করা হয়)মানবতার, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, জনসাধারণের নীতি, সামাজিক, মানবাধিকার, পরিবেশগত এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে তাদের লক্ষ্য অনুযায়ী জন সেবায় নিয়োজিত।
বেসরকারি সংস্থার উদ্দেশ্য আলোচনা কর, বেসরকারি সংস্থার লক্ষ্য বর্ণনা কর,বেসরকারি সংস্থার উদ্দেশ্যসমূহ বর্ণনা করুন
১৯৭৬ সালে চট্টগ্রামের জোবরা গ্রামে “গ্রামীণ ব্যাংক” নামক প্রকল্প শুরু করার মধ্যে দিয়ে এনজিও- এর কার্যক্রম শুরু হয়।
বেসরকারি সংস্থার উদ্দেশ্য : নিম্নে বেসরকারি সংস্থার উদ্দেশ্যসমূহ দেওয়া হলো :
১. গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বকর্মসংস্থান সৃষ্টি করা ৷
২. কৃষি গবেষণা ও কৃষি সম্প্রসারণের জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনিক লাগসই প্রযুক্তির বিস্তার ঘটানো।
৩. গ্রামের দরিদ্র ও সম্পদহীন জনগোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করে গ্রামভিত্তিক সংগঠন তৈরি করা ।
৪. দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করা এবং ক্ষুদ্র সঞ্চয়কে একত্রিত করে মূলধন গঠনের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল করে তোলা ।
৫. দরিদ্র জনগোষ্ঠীর গৃহায়ন স্বাস্থ্য ও পুষ্টিমান উন্নত করার জন্য বিভিন্ন কর্মকাণ্ড গ্রহণ করা ।
৬. প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা আপদ-বিপদের ঝুঁকি মোকাবিলার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা ।
৭. নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি এবং তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে বিকাশে সহায়তা করা ৷
৮. কুটিরশিল্পের উন্নয়ন ও সংরক্ষণে NGO-সমূহ এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে ।
৯. বাংলাদেশে বেকার সমস্যা সমাধানে এনজিওসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ।
১০. কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে এনজিওসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সেচ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ, স্বল্প ও বিনামূল্যে বীজ ও সার সরবরাহ করে কৃষি উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, উপরিউক্ত উদ্দেশ্যগুলোকে N.G.O বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে এবং এর কারণে দেশের উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে।
একাডেমিক শিক্ষা বিষয়ক লিখিত প্রশ্ন সমাধান পেতে ক্লিক করুন।