অ্যাসাইনমেন্ট:
الحج في الإسلام وأحكام وتعليماته: دراسة تفصيلية
নির্দেশনা :
- হজের পরিচয় ও রুকনসমূহ
- হজের শর্ত ও ওয়াজিবসমূহ
- মুহরিমের জন্য নিষিদ্ধ কাজসমূহ
- হজের শিক্ষা
উত্তর সমূহ:
- হজের পরিচয় ও রুকনসমূহ ও হজের শর্ত ও ওয়াজিবসমূহ
হজের রুকন ওয়াজিবসমূহ;
হজ্বের রুকনসমূহ
১- ইহরাম অর্থাৎ হজ্বকর্মে প্রবেশের নিয়ত। হাদীসে এসেছে,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, «নিশ্চয় আমলের নির্ভরতা নিয়তের ওপর। আর প্রতি ব্যক্তির ভাগে তাই থাকে যা সে নিয়ত করে।»
(বর্ণনায় বুখারী)
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
২- সাফা-মারওয়ার সায়ী। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
«তোমরা সায়ী করো; কেননা আল্লাহ তাআলা তোমাদের ওপর সায়ী লিখে দিয়েছেন।»(বর্ণনায় আহমদ) সায়ী করা আলেমদের কারো কারো নিকট ওয়াজিব, যা ছুটে গেলে দম দিয়ে শুধরে নিতে হয়।
৩- উকুফে আরাফা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
«হজ্ব হলো আরাফা।»(বর্ণনায় তিরমিযী)
৪- তাওয়াফে ইফাযা। আল্লাহ তাআলা বলেন:
(وَلۡيَطَّوَّفُواْ بِٱلۡبَيۡتِ ٱلۡعَتِيقِ )
{আর তারা যেন প্রাচীন ঘরের তাওয়াফ করে।}
[সূরা আল হাজ্জ:২৯]
সতর্কতা
যে ব্যক্তি হজ্বের কোনো রুকন ছেড়ে দিল তার হজ্ব পূর্ণ হবে না যতক্ষণ না সে তা পুনরায় আদায় করে নেবে|
হজ্বের ওয়াজিবসমূহ
১ – মিকাত থেকে ইহরাম করা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিকাতের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, «এ মিকাতগুলো ওই এলাকাবাসী এবং বহিরাগতদের যারা ওই অঞ্চল দিয়ে হজ্ব ও উমরা আদায়ের উদ্দেশে আসবে তাদের জন্য।» (বর্ণনায় বুখারী)
২ – যে ব্যক্তি দিনের বেলায় উকুফে আরাফা করবে তার জন্য সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফায় অবস্থান করা; কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করেছেন।
৩- মুযদালিফায় রাতযাপন; কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম মুযদালিফায় রাতযাপন করেছেন এবং বলেছেন,«আমার উম্মত আমার কাছ থেকে হজ্বকর্মসমূহ বুঝে নিক; কেননা আমি জানি না, এ বছরের পর তোমাদের সাথে আমার হয়তো সাক্ষাৎ নাও হতে পারে। আর যেহেতু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুর্বলদের জন্য মধ্যরাতের পর মুযদালিফা থেকে প্রস্থান করার অনুমতি দিয়েছেন। এর দ্বারা বুঝা গেল মুযদালিফায় রাতযাপন করা আবশ্যক। আর আল্লাহ তাআলা মাশআরুল হারামের কথা উল্লেখের সময় এ ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন। হানাফী মাযহাব অনুযায়ী সুবহে সাদেকের পর কিছু সময় মুযদালিফায় অবস্থান করা ওয়াজিব।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
৪- আইয়ামে তাশরীকে মিনার রাতগুলো মিনায় যাপন করা। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাখালদের জন্য মিনায় রাতযাপন না করার অনুমতি দিয়েছেন। এর দ্বারা বুঝা গেল মিনায় রাতযাপন মূলত ওয়াজিব। ওযর ব্যতীত মিনায় রাতযাপন পরিত্যাগ করা বৈধ নয়। অবশ্য আলেমদের কারো কারো নিকট মিনায় রাতযাপন করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা, যা ছেড়ে দেয়া মাকরুহ এবং অযাচিত কর্ম।৫- কঙ্কর মারা। আল্লাহ তাআলা বলেন:
(وَٱذۡكُرُواْ ٱللَّهَ فِيٓ أَيَّامٖ مَّعۡدُودَٰتٖۚ )
{আর আল্লহকে স্মরণ কর নির্দিষ্ট দিনসমূহে।}
[ আল বাকরা:২০৩]
কঙ্কর নিক্ষেপ করা আল্লাহর যিকরের মধ্যে শামিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,«নিশ্চয় বায়তুল্লাহর তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়ার সায়ী ও কঙ্কর নিক্ষেপ আল্লাহর যিকর বাস্তবায়নের উদ্দেশে বিধিবদ্ধ করা হয়েছে|
৬ – মাথা মুণ্ডন ও চুল ছোট করা। আল্লাহ তাআলা বলেন:
(لَتَدۡخُلُنَّ ٱلۡمَسۡجِدَ ٱلۡحَرَامَ إِن شَآءَ ٱللَّهُ ءَامِنِينَ مُحَلِّقِينَ رُءُوسَكُمۡ وَمُقَصِّرِينَ)
{তোমরা ইনশাআল্লাহ নিরাপদে তোমাদের মাথা মুণ্ডন করে এবং চুল ছেঁটে নির্ভয়ে আল-মাসজিদুল হারামে অবশ্যই প্রবেশ করবে।}
[সূরা আল ফাতহ:২৭]
৭ – বিদায়ী তাওয়াফ। ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,«মানুষদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে তাদের শেষ সাক্ষাৎ যেন হয় বায়তুল্লাহর সাথে, তবে তিনি ঋতুগ্রস্ত নারীর জন্য সুযোগ দিয়েছেন।»
- মুহরিমের জন্য নিষিদ্ধ কাজসমূহ
পশম ওঠানো:
মুহরিম অবস্থায় মাথার চুল, গোঁফ, নাভির নিচের লোম, বগলের লোম বা শরীরের যে কোনো স্থানের পশম যে কোনো উপায়ে উঠানো নিষিদ্ধ। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَلَا تَحۡلِقُواْ رُءُوسَكُمۡ حَتَّىٰ يَبۡلُغَ ٱلۡهَدۡيُ مَحِلَّهُۥۚ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوۡ بِهِۦٓ أَذى مِّن رَّأۡسِهِۦ فَفِدۡيَة مِّن صِيَامٍ أَوۡ صَدَقَةٍ أَوۡ نُسُك﴾
‘আর তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মাথা মুণ্ডন করবে না, যতক্ষণ না কুরবানির পশু যথাস্থানে পৌঁছে যায়। তোমাদের মধ্যে যারা অসুস্থ হয়ে পড়ে কিংবা মাথায় যদি কোন কষ্ট থাকে, তাহলে তার পরিবর্তে ছওম পালন করবে কিংবা ছাদাক্বা করবে অথবা কুরবানি করবে।’ [সুরা বাকারা : ১৯৬]
মাথার চুলের মত সমস্ত শরীরের যে কোনো স্থানের পশমও এই বিধানের আওতায় পড়বে। কেননা এসবই সৌখিনতার অন্তর্ভুক্ত। তবে দাড়ি কাটা বা ছাঁটা ইহরাম এবং হালাল উভয় অবস্থায় হারাম।
নখ কাটা:
ইমাম ইবনুল মুনযির (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘সবাই একমত পোষণ করেছেন যে, মুহরিম ব্যক্তির জন্য নখ কাটা নিষিদ্ধ।’ [ইবনুল মুনযির, আল-ইজমা, পৃ. ৫৭]
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
﴿ثُمَّ لۡيَقۡضُواْ تَفَثَهُمۡ﴾
‘এরপর (ইহরাম খোলার পর) তারা যেন দৈহিক ময়লা দূর করে দেয়।’ [সুরা হজ : ২৯]
ইমাম ইবনু কাসির (রহ.) উক্ত আয়াতের তাফসির করতে গিয়ে বলেন, ইবনু আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, ‘(আয়াতের অর্থ হচ্ছে) মাথা মুণ্ডন করা, সাধারণ পোশাক পরা এবং নখ কাটা।’
উম্মু সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন,
«إِذَا رَأَيْتُمْ هِلاَلَ ذِى الْحِجَّةِ وَأَرَادَ أَحَدُكُمْ أَنْ يُضَحِّىَ فَلْيُمْسِكْ عَنْ شَعْرِهِ وأظفارهِ»
‘যখন তোমরা যিলহজ মাসের চাঁদ দেখবে এবং তোমাদের কেউ যদি কুরবানি করার ইচ্ছা করে, তাহলে সে যেন তার চুল এবং নখ না কাটে।’ [মুসলিম, আসসাহিহ : ৫১১৯] কুরবানি করতে ইচ্ছুক ব্যক্তির তুলনায় মুহরিম ব্যক্তি এই নিষেধাজ্ঞার অধীনে পড়ার অধিক উপযুক্ত।
সুগন্ধি ব্যবহার করা:
মুহরিম ব্যক্তি শরীরে অথবা কাপড়ে কোনো প্রকার সুগন্ধি ব্যবহার থেকে বিরত থাকবে। ইবনু উমর (রা.) এর হাদীছে এসেছে,
«وَلاَ تَلْبَسُوا مِنَ الثِّيَابِ شَيْئًا مَسَّهُ الزَّعْفَرَانُ وَلاَ الْوَرْسُ»
‘তোমরা যাফরান এবং ওয়ার্স (এক প্রকার উদ্ভিদ, যাতে সুগন্ধি রয়েছে) রঞ্জিত কাপড় পরবে না’ [বুখারি, আসসাহিহ : ১৫৪২; মুসলিম, আসসাহিহ : ২৭৯১]
উপরোক্ত হাদিস প্রমাণ করে যে, মুহরিম ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারবে না। তবে মুহরিম ব্যক্তি ইহরাম বাঁধার পূর্বে তার শরীরে সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারে; কাপড়ে নয়। ইহরাম বাঁধার পর সুগন্ধি অবশিষ্ট থাকলে তাতে কোনো সমস্যা নেই। কেননা ফিকহের উসুল হচ্ছে,
يَجُوْزُ فِيْ الْاِسْتِدَامَةِ مَا لاَ يَجُوْزُ فِي الْاِبْتِدَاءِ
‘কিছু বিষয় অব্যাহত রাখা জায়েয হলেও নতুনভাবে শুরু করার ক্ষেত্রে তা জায়েয নয়।’
মুহরিম ব্যক্তি কর্তৃক মাথা বা মুখের সাথে লেগে থাকে এমন কিছু দ্বারা মাথা ও মুখমণ্ডল ঢেকে রাখা:
ইবনু উমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে,
«لاَ يَلْبَسُ الْقُمُصَ وَلاَ الْعَمَائِمَ»
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
‘মুহরিম ব্যক্তি জামা এবং পাগড়ি কোনটাই পরবে না’ [বুখারি, আসসাহিহ : ১৫৪২; মুসলিম, আসসাহিহ : ২৭৯১]
তবে মাথা বা মুখের সাথে লেগে থাকে না এমন কিছু দ্বারা ছায়া গ্রহণ করা যেতে পারে। যেমন: ছাতা, গাড়ির ছাদ, কাপড়, তাঁবু ইত্যাদি। কেননা জামরাতুল আকাবায় কংকর নিক্ষেপের সময় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কাপড় দ্বারা ছায়া দেওয়া হয়েছিল। [মুসলিম, আসসাহিহ : ৩১৩৮]
সেলাইকৃত পোশাক পরিধান:
পুরুষ কর্তৃক সারা দেহ আবৃত করে এমন সেলাইকৃত পোশাক পোশাকের স্বীয় আকৃতিতে পরা, যেমন: জামা। অথবা শরীরের কিছু অংশ আবৃত করে এমন সেলাইকৃত পোশাক স্বীয় আকৃতিতে পরা, যেমন: পায়জামা, চামড়ার মোজা, কাপড়ের মোজা, গেঞ্জি ইত্যাদি।
তবে উযরের কারণে পাজামা ও মোজা পরিধান করা যেতে পারে। ইবনু আব্বাস (রা.) বলেন, আমি আরাফাতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি,
«مَنْ لَمْ يَجِدِ النَّعْلَيْنِ فَلْيَلْبَسِ الْخُفَّيْنِ وَمَنْ لَمْ يَجِدْ إِزَارًا فَلْيَلْبَسْ السَّرَاوِيلَ لِلْمُحْرِمِ»
‘যার সেন্ডেল নেই, সে যেন মোজা পরে। অনুরূপভাবে কেউ যদি পরনের কাপড় না পায়, তাহলে সে যেন পাজামা পরে; এই হুকুম মুহরিমের জন্য।’ [বুখারি, আসসাহিহ : ১৮৪১; মুসলিম, আসসাহিহ : ২৭৯৪]
মহিলা মানুষ শরিয়তসম্মত স্বাভাবিক যে কোন পোশাক পরতে পারে। হাত মোজা এবং নেকাবসহ মুখমণ্ডলের মাপে তৈরিকৃত অন্যান্য কাপড় ছাড়া তার জন্য অন্য কোন পোশাক নিষেধ নেই। রাসুল (সা.) বলেন,
«وَلَا تَتَنَقَّبْ الْمُحْرِمَةُ وَلَا تَلْبَسْ الْقُفَّازَيْنِ»
‘মুহরিম মহিলা মুখাচ্ছাদন ব্যবহার করবে না এবং হাত মোজা পরবে না।’ [বুখারি, আসসাহিহ : ১৮৩৮]
তবে বেগানা পুরুষের উপস্থিতিতে সে তার কাপড় দ্বারা হাত এবং ওড়না দ্বারা মুখমণ্ডল ঢেকে দিবে। আয়িশা (রা.) বলেন,
«كَانَ الرُّكْبَانُ يَمُرُّونَ بِنَا وَنَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- مُحْرِمَاتٌ فَإِذَا حَاذَوْا بِنَا سَدَلَتْ إِحْدَانَا جِلْبَابَهَا مِنْ رَأْسِهَا إِلَى وَجْهِهَا فَإِذَا جَاوَزُونَا كَشَفْنَاهُ»
‘আমরা রাসুল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ইহরাম অবস্থায় থাকাকালীন আরোহী পথযাত্রীরা আমাদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করত। তারা আমাদের বরাবর পৌঁছলে আমরা আমাদের মাথার বড় চাদর টেনে মুখমণ্ডলের উপরে ঝুলিয়ে দিতাম এবং তারা আমাদেরকে অতিক্রম করে চলে গেলে আবার মুখ খুলে দিতাম।’ [আবু দাউদ, আসসুনান : ১৮৩৩; শাওয়াহিদের ভিত্তিতে হাদিসটি সহিহ]
ইমাম ইবনুল মুনযির (রহ.) বলেন, ‘সবাই একমত পোষণ করেছেন যে, মহিলারা সেলাইকৃত সব ধরনের পোশাক এবং মোজা পরতে পারে। মাথা এবং চুল ঢেকে রাখতে পারে। মুখমণ্ডলের উপর একটি কাপড় ঝুলিয়ে দিবে, যাতে বেগানা পুরুষের দৃষ্টিগোচর থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে।’ [ইবনু হাজার, ফাতহুল বারি, ৩/৪০৬]
- হজের শিক্ষা
হজ মুসলমানের জন্য একটি ফরজ ইবাদত। এতে শারীরিক শক্তি ও অর্থব্যয় দু’টিরই প্রয়োজন। ইসলামে হজের গুরুত্ব অনেক। মুসলিম উম্মাহর সর্ববৃহৎ সম্মেলন হলো হজ। উম্মাহর সামাজিক, রাজনৈতিক, আধ্যাত্মিক ঐক্য এবং পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব ও মমত্ববোধ সৃষ্টির প্রকৃষ্ট নিদর্শন হচ্ছে হজ। ইসলামে হজ অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইবাদত। হাদিস শরিফে হজের ব্যাপারে অনেক বর্ণনা পাওয়া যায়। যেমন- ‘মাবরুর (কবুল ) হজের প্রতিদান জান্নাত ভিন্ন অন্য কিছু নয়।’ (বোখারি) ‘যে হজ করল ও শরিয়ত অনুমতি দেয় না- এমন কাজ থেকে বিরত রইল, যৌন স্পর্শ রয়েছে- এমন কাজ ও কথা থেকে বিরত থাকল, সে তার মাতৃগর্ভ হতে ভূমিষ্ঠ হওয়ার দিনের মতো পবিত্র হয়ে ফিরে এলো।’ (বোখারি)
‘আরাফার দিন আল্লাহ এতসংখ্যক মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন যা অন্য কোনো দিন দেন না। এ দিন আল্লাহ তায়ালা নিকটবর্তী হন ও আরাফার ময়দানে অবস্থানরত হাজীদেরকে নিয়ে তিনি ফেরেশতাদের সাথে গর্ব করে বলেন ‘ওরা কী চায়?’ (মুসলিম)
সর্বোত্তম আমল কী এ ব্যাপারে এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সা:-কে জিজ্ঞাসা করলেন। উত্তরে তিনি বললেন, ‘অদ্বিতীয় আল্লাহর প্রতি ঈমান, তারপর মাবরুর হজ যা সব আমল থেকে শ্রেষ্ঠ। সূর্য উদয় ও অস্তের মধ্যে যে পার্থক্য ঠিক তারই মতো।’ (আহমদ)
অন্য এক হাদিসে এসেছে, ‘উত্তম আমল কী এই মর্মে রাসূলুল্লাহ সা:-কে জিজ্ঞাসা করা হলো। উত্তরে তিনি বললেন, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান। বলা হলো, ‘তারপর কী?’ তিনি বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদ। বলা হলো তারপর কোনটি? তিনি বললেন, মাবরুর হজ।’ (বোখারি) ‘হজ ও ওমরাহ পালনকারীগণ আল্লাহর মেহমান। তারা যদি আল্লাহকে ডাকে আল্লাহ তাদের ডাকে সাড়া দেন। তারা যদি গুনাহ মাফ চায় আল্লাহ তাদের গুনাহ মাফ করে দেন।’ (ইবনে মাজাহ) আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘এক ওমরাহ হতে অন্য ওমরাহ, এ দুয়ের মাঝে যা কিছু (পাপ) ঘটবে তার জন্য কাফফারা। আর মাবরুর হজের বিনিময় জান্নাত ভিন্ন অন্য কিছু নয়।’ (বোখারি) রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘কারো ইসলাম গ্রহণ পূর্বকৃত সব পাপকে মুছে দেয়। হিজরত তার আগের সব গুনাহ মুছে দেয় এবং হজ তার আগের সব পাপ মুছে দেয়।’ (মুসলিম)।
হজ পালন করে মুসলমানরা এক দিকে আল্লাহর নির্দেশ পালন করেন, অন্য দিকে আল্লাহর পথে আরো দৃঢ় ও ঘনিষ্ঠভাবে চলার জন্য মনস্থির করেন এবং বাস্তব শিক্ষা অর্জন করেন।
আল্লাহ তায়ালা বান্দার ওপর নামাজ, রোজা, জাকাত, হজের মতো কিছু বিধান পালন বাধ্যতামূলক করে দিলেও এসবের মধ্যে বান্দাহর জন্য বহুবিদ উপকারিতা রেখেছেন। ইসলামী বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব বাধ্যতামূলক কাজ মুসলমানদেরকে তার আসল কাজ তথা আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে তাঁরই সব আদেশ-নিষেধ পালন করার উপযোগী করে তোলে। বিশেষ করে মানুষ যাতে জীবনের কোনো অবস্থায় আল্লাহকে ভুলে না বসে, তার পথ থেকে দূরে সরে না যায় তার জন্যই এসব কাজকে বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়েছে। বাস্তবেও নামাজ-রোজা-হজের প্রতিটি পালনীয় কাজের মধ্য দিয়ে মুসলমানদের আত্মশুদ্ধি, শারীরিক সক্ষমতা অর্জন এবং সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন দিকের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
অথবা ২য় উত্তর সম্পূণ আরবিতে লেখা
অথবা ২য় উত্তর সম্পূণ আরবিতে লেখা
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
- ২০২১ সালের SSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের ৯ম/১০ শ্রেণি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।