BCS গ্রন্থ সমালোচনা কাঁদো নদী কাঁদো,বাংলা গ্রন্থ সমালোচনা কাঁদো নদী কাঁদো, কাঁদো নদী কাঁদো কাব্যের সার্থকতা আলোচনা,বিসিএস লিখিত পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি কাঁদো নদী কাঁদো,কাঁদো নদী কাঁদো বিসিএস গ্রন্থ সমালোচনা,কাঁদো নদী কাঁদো

আজকের গ্রন্থ সমালোচনা: BCS গ্রন্থ সমালোচনা কাঁদো নদী কাঁদো,বাংলা গ্রন্থ সমালোচনা কাঁদো নদী কাঁদো, কাঁদো নদী কাঁদো কাব্যের সার্থকতা আলোচনা,বিসিএস লিখিত পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি কাঁদো নদী কাঁদো,কাঁদো নদী কাঁদো বিসিএস গ্রন্থ সমালোচনা,কাঁদো নদী কাঁদো

গ্রন্থ সমালোচনা: কাঁদো নদী কাঁদো লেখক: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ

‘কাঁদো নদী কাঁদো’ উপন্যাসটি সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর একটি গুরুত্বপূর্ণ সৃষ্টিকর্ম। ১৯৬৫ সালে এটি প্রকাশিত হয়েছে। এটি চেতনাপ্রবাহরীতির একটি উপন্যাস। পাশ্চাত্যের প্রভাব উপন্যাসে থাকলেও এতে বর্ণিত সমাজ ও চরিত্র এবং সংস্কৃতি ও পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করলে এটিকে পুরােপুরি দেশীয় হিসেবে মনে হবে। এ উপন্যাসের চরিত্রগুলাের মধ্য দিয়ে অস্তিত্ববাদ আর নিয়তিবাদই মূলত প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।


আরো ও সাজেশন:-

তবারক ভুইঞা নামের এক যাত্রী চলন্ত স্টিমারে বসে ছােট হাকিম মুহাম্মদ মুস্তফার জীবনবৃত্তান্ত শােনাচ্ছিলেন অন্য যাত্রীদের। মুস্তফার বাড়ি কুমুরডাঙ্গায়। সেই স্টিমারে তবারক নিয়তিতাড়িত মুস্তফার জীবনের করুণ বৃত্তান্ত শােনানাের পাশাপাশি কুমুরডাঙ্গার অসহায় মানুষের জীবনচিত্রও উপস্থাপন করেন।

উপন্যাসে মুস্তফা আর কুমুরডাঙ্গার গল্প সমান্তরালভাবে বর্ণিত হয়েছে। বাধাবিপত্তি ঠেলে মুস্তফার উচ্চশিক্ষা লাভ করে সমাজে প্রতিষ্ঠা পাওয়া এবং বাকল নদীতে চর জেগে কুমুরডাঙ্গার মানুষের অনিশ্চিত জীবনের ঘটনা সমান্তরালভাবে উপন্যাসটিতে উঠে এসেছে। মুস্তফা ছােট হাকিম হিসেবে কুমুরডাঙ্গায় যখন যােগ দেন, তখন এখানকার উচ্চপদস্থ কর্মচারী আশরাফ হােসেনের মেয়ের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

একসময় তাদের বিয়ে ঠিক হয়। সেটা চিঠি দিয়ে মুস্তফা তাঁর বাবা খেদমতুল্লাকে জানালে বিপত্তি বাধে। কারণ, বেশ আগেই খেদমতুল্লার বােন যখন বিধবা হন, তখন বােনের মেয়ে খােদেজার সঙ্গে মুস্তফার বিয়ে দেবেন বলে খেদমতুল্লা তার বােনকে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন। এ অবস্থায় মুস্তফার চিঠি বাড়িতে পৌঁছালে খােদেজা আত্মহত্যা করেন। ঘটনার পরম্পরায় উপন্যাসে এসেছে কালু মিঞা, ফনু মিঞা, সকিনা খাতুন, মােছলেহউদ্দিন, কফিলউদ্দিন, আমেনা খাতুনসহ নানা চরিত্র।

মুস্তফাকে উপন্যাসে নানা দুঃখ-যন্ত্রণা সইতে দেখা যায়। তার বাবা খেদমতুল্লার খুন হওয়া এর মধ্যে একটি ঘটনা। এদিকে নদীতে চর জাগায় জীবনযাপনের বিপন্নতায় আতঙ্কিত কুমুরডাঙ্গার মানুষের হাহাকারের সঙ্গে মুস্তফার জীবনের দীর্ঘশ্বাসও মিলেমিশে একাকার হয়ে পড়ে উপন্যাসটিতে।


Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Storiesউত্তর লিংক
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেলউত্তর লিংক

একটি নদীর বার্ধক্য, একটি জনপদের হাহাকার- দুইয়ে মিলেই উপন্যাস ‘কাঁদো নদী কাঁদো’। নদীর ঝিমিয়ে যাওয়া স্রোত যেন তার স্তিমিত জনপদের প্রতিচ্ছবি। এক স্টিমার-যাত্রা দিয়ে উপন্যাসের শুরু, স্টিমার-যাত্রা দিয়ে শেষ। মাঝে ব্যক্তিজীবন ও জনজীবনের বিচিত্রতা- কখনো বহমান, কখনো স্তিমিত। মনে হয় যেন একটা নদী এক তীরে শুরু, অন্য তীরে শেষ। কিন্তু কতোই স্রোত রেখে গেল বয়ে যাওয়ার সময়।

মুস্তফার কাহিনিটা উপন্যাসে থাকলেও উপন্যাসের মূল ফোকাস বাঁকল নদীতে চর পরার উপর।এতে বর্ণিত হয়েছে কুমুরডাঙার লোকজনের কর্মকাণ্ড।

‘কাঁদো নদী কাঁদো’র শিল্প-কৌশলের মূল ভিত্তি চেতনাপ্রবাহরীতি। চেতনাপ্রবাহরীতি বলতে এমন এক বর্ণনাত্মক কৌশলকে বোঝায় যা ব্যক্তিক বা সমন্বিত চেতনায় বহমান বিচিত্র চিন্তা ও অনুভবকে কথাসাহিত্যে রূপ দেয়। ভাবনার প্রবাহ প্রকাশ করতে গিয়ে যে-কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে তা উপন্যাসটিকে জটিল করে তুলেছে। উপন্যাসটি শুরু হয়েছে একেবারে শেষ থেকে অর্থাৎ সবকিছু ঘটে যাওয়ার পর। এক্ষেত্রে চেতনাপ্রবাহরীতিতে ফ্ল্যাশব্যাক করে সুকৌশলে সমগ্র বিষয়টি তুলে আনা হয়েছে।

বিষয় ও শিল্প বিচারে এক ব্যতিক্রমধর্মী উপন্যাস ‘কাঁদো নদী কাঁদো”। এতে ব্যক্তি ও সমাজজীবন, তার সংকটকে রহস্য ও প্রশ্নের মধ্য দিয়ে এক সমৃদ্ধ শৈল্পিক জটিলতায় উপস্থাপন করা হয়েছে।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment