আজকের গ্রন্থ সমালোচনা: BCS গ্রন্থ সমালোচনা জীবন নদীর তীরে,বাংলা গ্রন্থ সমালোচনা জীবন নদীর তীরে, জীবন নদীর তীরে কাব্যের সার্থকতা আলোচনা,বিসিএস লিখিত পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি জীবন নদীর তীরে,জীবন নদীর তীরে বিসিএস গ্রন্থ সমালোচনা,জীবন নদীর তীরে
গ্রন্থ সমালোচনা
কাব্যগ্রন্থঃ জীবন নদীর তীরে
কবিঃ সুমিত্র সুজন( Sumitro Sujan), সংগঠক, বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন, নেত্রকোণা।
মুজিব আদর্শের সৈনিক কবি সুমিত্র সুজন। বুদ্ধির মক্তি আন্দোলনেরও একজন সংগঠক তিনি। কবি নেত্রকোণার একটি স্বনামধন্য সংগঠন- ‘মনন শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংসদের’ অন্যতম নীতিনির্ধারকও। আগস্টকে সামনে রেখে সম্প্রতি কবির নিজের লেখা অসাধারণ একটি বই(জীবন নদীর তীরে) উপহার দিয়ে আমাকে কৃতজ্ঞভাজন করেছেন। সুন্দর মালাটের বইটি পড়েছি; পড়ে তাঁর সাহিত্যকর্মটির সাহিত্যমূল্য অনুধাবন করে বইটি সম্পর্কে কিছু না বলে পারলাম না বলেই লিখতে উৎসাহী হয়েছি। কবিতার এই বইটি ‘খোকা’ নামক কবিতা দিয়ে শুরু। তবে ‘অমর মুজিব’ নামক কবিতাটি দিয়েই তিনি কাব্যগ্রন্থটির গতি এনেছেন। কবিতায় মুজিব আদর্শের অমরত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন-
“… মুজিবের মৃত্যু হয়েছে
মুজিব আদর্শের নয়
যার জন্মই অমরত্বের জন্য
তার মৃত্যু কি করে হয়?
আরো ও সাজেশন:-
তাঁর কবিতার একটি অংশ জোরে রয়েছে বাংলার তথা ভারতবর্ষের বীরদের নিয়ে অনবদ্য কিছু কবিতা। সেখানে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুকেও তিনি ছন্দবদ্ধ করতে বাদ রাখেন নি। নেতাজী তাঁর কর্ম গুণে আজো জীবিত আছেন সেটিই কবির বিশ্বাস। তিনি বলেছেন-
”৪১ এর পর স্বরূপে আর ফিরেননি কখনো
বিশ্বাস আমার, নেতাজী জীবিত এখনো।”
এভাবে তিনি একে একে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রবী ঠাকুর ও নজরুলের বন্দনা করেছেন। কবিরা জাতীয়তাবাদী হয়। পুঁজিবাদী লাভ-লোকসানের হিসেব তাদের কোনো কালেই স্পর্শ করেনি। কবি সুমিত্র সুজন একজন সাচ্চা বাঙালি জাতীয়তাবাদী মানুষ বলেই একুশকে অনুধাবনের দায় তিনি তার কবিতায় অনুভব করেছেন। ছন্দবদ্ধ করে বলেছেন-
“একুশ মানে জাতীয়ত্ববোধ জাগ্রত চেতনা
একুশ না হলে মাতৃভাষা বাংলা হত না।”
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
এসব বিষয়বস্তু তার কবিতায় সজতনে এলেও তাই বলে তিনি শুধুই রাজনীতির কবি নন। বাংলার রূপে তাঁর মুগ্ধতা আছে সেজন্যই তিনি প্রকৃতির কবিও। তাইত কবি আমার এই ধারণাটির সত্যায়ন তাঁর কবিতায় করে রেখেছেন-
“বাংলার মাটি হিরের চাইতেও খাঁটি
বাংলার পথ ঘাট ধরে আমি উন্মাদ হাঁটি।
বাংলার গগণ বিচিত্র সে রূপ
গগন পানে তাকিয়ে বসে রই নিশ্চুপ।”
কাগজে কলমের কালি ছড়াতে গিয়ে তিনি তাঁর গাঁয়ের প্রেমে পড়েছেন, বন্দনা করেছেন আঁকা-বাঁকা নদীর, ভালোবেসেছেন কৃষক-চাষাদের। হয়ত বাদল দিনটিই কবির প্রত্যাশিত দিন। কেননা এই দিনেই কবি তাঁর ফেলে আসা সুখস্মৃতি খুঁজে ফিরেন। তাই অতীতের এই দিনেই তাঁর বাবার সাথে বারান্দায় চট পেতে বসে বা জাম্বুরা দিয়ে ভিজে ভিজে ফুটবল খেলতে, ঝড়ে পাকা আম কুড়ানোর সুখ ছিল তার। তবে জীবন চলার পথে কবি আজ জীবন নদীর তীরে দাঁড়িয়ে বর্ষার বর্ষণের মাঝে তিনি তাঁর নিজের হৃদয়ের ক্রন্দনের মিল খুঁজেন। কবির সুখ-দুঃখের অভিজ্ঞতায় ভরা উড়ন্ত মনের আপ-ডাউনকে ছন্দবন্ধ করতে গিয়ে লিখেছেন-
“বাদল বর্ষণ যে দু’দিক থেকেই হচ্ছে
প্রকৃতি থেকেও আবার হৃদয় থেকেও।”
জীবনকে তিনি নদীর সাথে তুলনা করেছেন। দুটিই আঁকাবাঁকা ও প্রবাহমান। এই নদীর তীরে দাঁড়িয়েই তিনি জীবনের সব হিসেব মিলাতে চান। নদীকে তিনি মায়ের সমান ভালোবাসেন। এজন্যই হয়ত তাঁর কাব্যগ্রন্থটির এমন নামকরণ। জীবন নদীর তীরে দাঁড়িয়ে থেকে কবির শ্রদ্ধাবনত উচ্চারণ-
“নদী তুমি পদ্মা, গঙ্গা, যমুনা নামে প্রবাহমান
নদী তুমি দুগ্ধ স্রোতারূপী মায়ের সমান।”
Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Stories | উত্তর লিংক |
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেল | উত্তর লিংক |
তাঁর লিখা প্রথম এই কাব্যগ্রন্থে তিনি মা-মাটি, বাংলার নদী, জল আর ঘাসকেই ভালবেসেছেন। তাঁর একটি কবিতায় কলম সৈনিক সুমিত্র সুজন নিজেকে উন্মাদ ঘোষণা করে মূলত অধিকতর সুন্দর ও সোনার বাংলাদেশ আনয়নের জন্য এক আপোষহীন বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। বর্তমান বাংলাদেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতায় তাঁর এই বিদ্রোহ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক মনে হয় যখন তাঁর কবিতাতে তিনি নির্ভয়ে অঙ্গিকার করেন-
”এক ধ্বজা এক জাতি একই মূলমন্ত্র
সোনার বাংলা গড়ব মোরা আনব গণতন্ত্র।”
কবিতায় যেমন নদীমাতৃক বাংলার প্রকৃতির সাথে কবি মিশে রয়েছেন তেমনি ব্যাক্তিগত জীবনেও তিনি অত্যন্ত সজ্জন ও আন্তরিকতায় ভরপুর একজন মানুষ। গত একুশে বইমেলায় প্রকাশিত তাঁর এই কাব্যগ্রন্থটি নিশ্চই পাঠকপ্রিয় হবে এই কামনা আমাদের।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও
- লিভারেজ ইজারার সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ লিখ
- লিভারেজ ইজারা বলতে কি বুঝ বিস্তারিত আলোচনা করো
- IAS 17 ও IFRS 16 পার্থক্য, IAS 17 vs IFRS 16 পার্থক্য, IAS 17 ও IFRS 16 মধ্যে পার্থক্য আলোচনা
- আইএফআরএস ১৬ ও আইএসি ১৭ পার্থক্য । আইএফআরএস ১৬ vs আইএসি ১৭ পার্থক্য
- আই এ এস (IAS) অনুযায়ী ইজারা গ্রহীতার হিসাববিজ্ঞানের নীতিসমূহ লেখ
- এসি কারেন্ট ও ডিসি কারেন্ট