class 10 (vocational) ssc physics (2) 4th week assignment solution 2021, ভোকেশনাল ১০ম শ্রেণির পদার্থ বিজ্ঞান (২) ৪র্থ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১

অ্যাসাইনমেন্ট :  দুটি চার্যিত বস্তুর মধ্যকার আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বল এদের মধ্যবর্তী দূরত্বের উপর নির্ভরশীল, ব্যাখ্যা কর ।

 শিখনফল/বিষয়বস্তু :  

  • পরমানু গঠনের ভিক্তিতে আধান সৃষ্টির মৌলিক কারণ ব্যাখ্যা করতে পারবে
  • ঘর্ষণ ও আবেশ প্রক্রিয়ায় আধান সৃষ্টি ব্যাখ্যা করতে পারবে
  • কুলম্বের সুত্র ব্যবহার করে তড়িৎ বল পরিমাপ করতে পারবে

নির্দেশনা (সংকেত/ ধাপ/ পরিধি): 

  • ০১. চার্জ বা আধান
  • ০২. বৈদ্যুতিক আবেশ
  • ০৩. বৈদ্যুতিক বল ও কুলম্বের

উত্তর সমূহ:

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

  • ০১. চার্জ বা আধান

বৈদ্যুতিক আধান বা তড়িৎ আধান বা সংক্ষেপে আধান বলতে কোনও বস্তুর একটি মৌলিক ধর্মকে বোঝায়, যার মাধ্যমে বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের সাথে বস্তুটির ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার পরিমাপ করা যায়।

এটি হল ইংরেজি শব্দ চার্জ(Charge) এর পরিভাষা। আধান মূলতঃ অতিপারমাণবিক কণার একটি ধর্ম যা ঐ কণার তড়িৎচুম্বক সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করে। এক কথায়, পদার্থ সৃষ্টিকারী মৌলিক কণাসমূহের মৌলিক ও বৈশিষ্ট্যমূলক ধর্মকে আধান বা চার্জ বলে।

বৈদ্যুতিক আধান দ্বারা আহিত পদার্থ তড়িচ্চুম্বকীয় ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত হয় এবং নিজেও তড়িচ্চুম্বকীয় ক্ষেত্র উৎপন্ন করে। কোন আহিত বস্তু এবং একটি তড়িচ্চুম্বকীয় ক্ষেত্রের মধ্যে আপেক্ষিক গতি বা সম্পর্ক তড়িচ্চুম্বকীয় বলের উৎস। অন্যভাবে বলা যায়, আধান হচ্ছে বস্তুর একটি ভৌত গুণ যা কোন তড়িচ্চুম্বকীয় ক্ষেত্রে স্থাপন করলে শক্তি অনুভব করে।

দুটি চার্যিত বস্তুর মধ্যকার আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বল এদের মধ্যবর্তী দূরত্বের উপর নির্ভরশীল, ব্যাখ্যা কর, পরমানু গঠনের ভিক্তিতে আধান সৃষ্টির মৌলিক কারণ ব্যাখ্যা করতে পারবে https://www.banglanewsexpress.com/

বৈদ্যুতিক আধান দুই প্রকার ;

১। ধনাত্নক ও

২। ঋণাত্মক (যথাক্রমে প্রোটন এবং ইলেকট্রন দ্বারা বাহিত)

সমধর্মী আধান পরস্পরকে বিকর্ষণ করে এবং বিপরীতধর্মী চার্জ পরস্পরকে আকর্ষণ করে। কোন বস্তুতে আধানের অনুপস্থিতিতে একটি বস্তুকে নিরপেক্ষ বলা হয়। আবার, বস্তুতে ধনাত্নক ও ঋণাত্মক আধানের সম পরিমাণ উপস্থিতেও বস্তুটিকে নিরপেক্ষ বলা হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • ০২. বৈদ্যুতিক আবেশ

 আহিত বস্তুকে অনাহিত বস্তুর সংস্পর্শে আনলে অনাহিত বস্তুটি আহিত হয়। তড়িৎ আবেশের জন্য এমন হয়। একটি আহিত বস্তুর কাছে এনে স্পর্শ না করে শুধুমাত্র এর উপস্থিতিতে কোন অনাহিত বস্তুকে আহিত করার পদ্ধতিকে তড়িৎ আবেশ বলে।

আমরা দেখেছি যে, দুটি বস্তুর পারস্পরিক ঘর্ষণের ফলে আধানের উদ্ভব হয়। আবার আহিত বস্তুকে অনাহিত বস্তুর সংস্পর্শে আনলে অনাহিত বস্তুটি আহিত হয়। কিন্তু অনাহিত বস্তুকে আহিত বস্তুর সংস্পর্শে না এনে শুধু কাছাকাছি নিয়ে এলেও এটি আহিত হয়। তড়িৎ আবেশের জন্য এরকম হয়।একটি আহিত বস্তুর কাছে এনে স্পর্শ না করে শুধুমাত্র এর উপস্থিতিতে কোনো অনাহিত বস্তুকে আহিত করার পদ্ধতিকে তড়িৎ আবেশ বলে। নিচের সহজ পরীক্ষার সাহায্যে তড়িৎ আবেশ ব্যাখ্যা করা যায়।

দুটি চার্যিত বস্তুর মধ্যকার আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বল এদের মধ্যবর্তী দূরত্বের উপর নির্ভরশীল, ব্যাখ্যা কর, পরমানু গঠনের ভিক্তিতে আধান সৃষ্টির মৌলিক কারণ ব্যাখ্যা করতে পারবে https://www.banglanewsexpress.com/

পরীক্ষণ : রাবারের হাতল বিশিষ্ট একটি শুকনো কাচদণ্ডকে রেশম দিয়ে ভালো করে ঘষে এর এক প্রান্ত হাতে ধরে অপর প্রান্ত একটি অনাহিত পরিবাহক দণ্ড AB এর A প্রান্তের নিকটে আনলে, পরিবাহকের মুক্ত ইলেকট্রনগুলো কাচদণ্ডের ধনাত্মক আধান দ্বারা আকৃষ্ট হয়ে A প্রান্তে সরে আসে (চিত্র ১০.৪ ক)। ফলে B প্রান্তে ইলেকট্রন ঘাটতি সৃষ্টি হয়, অর্থাৎ B প্রান্ত ধনাত্মক আধানে আহিত হয় এবং A প্রান্ত ঋণাত্মক আধানযুক্ত হয়। আধান সংগ্রাহক [একটি অপরিবাহী হাতলের প্রান্তে লাগানো ক্ষুদ্র ধাতব পাত বা বল] দিয়ে B প্রান্ত থেকে কিছু আধান সংগ্রহ করে (চিত্র ১০.৪ খ) তড়িৎবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে এর প্রকৃতি নির্ণয় করলে, উপরিউক্ত বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণিত হবে।


এখানে নতুন কোনো আধান উৎপন্ন হয় না। আহিত কাচদণ্ডের উপস্থিতির কারণে সমপরিমাণ বিপরীত জাতীয় আধান পৃথক হয়ে পরিবাহীর দুই প্রান্তে সরে গেছে মাত্র। যতক্ষণ কাচদণ্ডটি অই পরিবাহীর কাছে থাকবে ততক্ষণ বিপরীত আধান এভাবে পৃথক হয়ে পরিবাহীর দুই প্রান্তে অবস্থান করবে। উপরের পরীক্ষায় কাচদণ্ডের ধনাত্মক আধান যা অই পরিবাহীতে আবেশ সৃষ্টি করল তাকে আবেশী আধান বলে। আর অই পরিবাহীতে যে আধানের সঞ্চার হয় তাকে আবিষ্ট আধান বলে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • ০৩. বৈদ্যুতিক বল ও কুলম্বের

বৈদ্যুতিক বল : একটি আহিত স্থির বস্তুর নিকট অন্য একটি আহিত বস্তু আনলে বস্তু দুটির মধ্যে একটি বল কাজ করবে, 

আহিত বস্তু দু’টি যদি সমধর্মী আধান অর্থাৎ দু’টি বস্তুই ধনাত্মক বা দুটি বস্তুই ঋণাত্মক আধানে আহিত হয় তবে পরস্পরের মধ্যে বিকর্ষণ বল কাজ করবে, আবার আহিত বস্তু দু’টি বিপরীতধর্মী অর্থাৎ একটি বস্তু ধনাত্মক আধানে এবং অপর বস্তু ঋণাত্মক আধানে আহিত হয়

তবে পরস্পরের মধ্যে আকর্ষণ বল কাজ করবে, এ বিকর্ষণ বা আকর্ষণ বলকে তড়িৎ বল বলে। দু’টি আধানের মধ্যবর্তী এ আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বলের মান নির্ভর করে,

১. আধান দু’টির পরিমাণের উপর, 

২. আধান দু’টির মধ্যবর্তী দূরত্বের উপর,

 ৩. আধান দু’টি যে মাধ্যমে অবস্থিত তার প্রকৃতির উপর।

কুলম্ব হচ্ছে বৈদ্যুতিক আধান বা চার্জের একক। কুলম্ব কে ইংরেজি C অক্ষর দ্বারা প্রকাশ করা। বিজ্ঞানী চার্লস অগাস্টিন কুলম্ব এর নাম অনুসারে আধান বা চার্জের এককের নাম কুলম্ব দেওয়া হয়েছে।

কুলম্ব :  কোন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে যদি 1 অ্যাম্পিয়ার তড়িৎ প্রবাহ 1 সেকেন্ড ধরে চালানো হয় তবে এর যেকোন প্রস্থচ্ছেদ দিয়ে যে পরিমাণ আধান বা চার্জ প্রবাহিত হবে তাকে 1 কুলম্ব বলে।

উপরের সংজ্ঞা থেকে বলা যায়, 1C = 1A × 1s

সুতরাং 5 কুলম্ব আধান বা চার্জ বলতে আমরা বুঝি, কোন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে এক অ্যাম্পিয়ার প্রবাহ 5 সেকেন্ড ধরে চললে এর যেকোনো প্রস্থচ্ছেদ দিয়ে যে পরিমাণ আধান প্রবাহিত হয় তা 5 কুলম্ব

কুলম্বের সূত্র

প্রথম সূত্র: সমধর্মী চার্জ পরস্পরকে বিকর্ষণ করে এবং বিপরীতধর্মী চার্জ পরস্পরকে আকর্ষণ করে

দ্বিতীয় সূত্র: কোন নির্দিষ্ট মাধ্যমে দুটি বিন্দু চার্জের এর মধ্যে ক্রিয়াশীল আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বলের মান চার্জদ্বয়ের গুণফলের সমানুপাতিক, চার্জদ্বয়ের মধ্যবর্তী দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক এবং এই বল চার্জদ্বয়ের সংযোগ সরলরেখা বরাবর ক্রিয়া করে।

কুলম্বের সূত্রের ব্যাখ্যা

কুলম্বের সূত্র হতে পাই, কোন নির্দিষ্ট মাধ্যমে দুটি বিন্দু চার্জের এর মধ্যে ক্রিয়াশীল আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বলের মান চার্জদ্বয়ের গুণফলের সমানুপাতিক, চার্জদ্বয়ের মধ্যবর্তী দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক এবং এই বল চার্জদ্বয়ের সংযোগ সরলরেখা বরাবর ক্রিয়া করে।

ব্যাখ্যা:

দুটি চার্যিত বস্তুর মধ্যকার আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বল এদের মধ্যবর্তী দূরত্বের উপর নির্ভরশীল, ব্যাখ্যা কর, পরমানু গঠনের ভিক্তিতে আধান সৃষ্টির মৌলিক কারণ ব্যাখ্যা করতে পারবে https://www.banglanewsexpress.com/

ধরি, গোলকের A ও B বিন্দুতে অবস্থানরত দুটি চার্জের পরিমাণ যথাক্রমে q1 ও q2 এবং এদের মধ্যবর্তী দূরত্ব r.

এদের মধ্যে ক্রিয়াশীল আকর্ষণ বিকর্ষণ বলকে কুলম্ব বল বলে। এই বলের মান কে যদি F ধরা হয় তবে,

কুলম্বের সূত্র অনুসারে:


f \propto \frac{q_{1}q_{2}}{d^{2}}
বা, 
f = K\frac{q_{1}q_{2}}{d^{2}}

এখানে K একটি সমানুপাতিক ধ্রুবক। ধ্রুবকটির মান রাশিগুলোর একক এবং আধানদ্বয়ের মুধ্যবর্তী মাধ্যমের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। এ ধ্রুবককে কুলম্ব ধ্রুবক বলা হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল  কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

  • ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের ৯ম/১০ শ্রেণি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক

Leave a Comment