অ্যাসাইনমেন্ট: কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ বর্ণনা কর।
শিখনফল :
- কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার এর ধারণা
- একটি ডিজিটাল কম্পিউটারের ব্লক ডায়াগ্রাম অংকন করে বিভিন্ন অংশ এর কাজ
- ইনপুট ইউনিট, সি পি ইউ এবং আউটপুট ইউনিটের কার্যাবলি
- বিভিন্ন প্রকার সফটওয়্যার এর ধারণা
নির্দেশনা :
- কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার বর্ণনা করতে হবে
- একটি ডিজিটাল কম্পিউটারের ব্লক ডায়াগ্রাম অংকন ও বিভিন্ন অংশের কাজ বর্ণনা করতে হবে।
- ইনপুট ইউনিট, সি পি ইউ এবং আউটপুট ইউনিটের কার্যাবলি বর্ণনা করতে হবে।
- বিভিন্ন প্রকার সফটওয়্যার বর্ণনা করতে হবে।
উত্তর সমূহ:
কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার বর্ণনা
হার্ডওয়্যার
একটি কম্পিউটারকে সাধারনত দুটি ভাগে ভাগ করা যায় যথা হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার। হার্ডওয়্যার হল সেই সব অংশ যা দৃশ্যত এবং স্পর্শ করা যায় ও যার কাঠামো আছে।
কম্পিউটার হার্ডওয়্যার হল কম্পিউটারের সেইসকল অংশ যেগুলো স্পর্শ করা যায়, দেখা যায় যেমন মনিটর, মাউস, কেসিং, মাদারবোর্ড, রম, সি.ডি, ডি.ভি.ডি. ইত্যাদি।
কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের বিভিন্ন প্রকার যন্ত্রাংশ দিয়ে একটি পারসোনাল কম্পিউটার তৈরি হয়। এরপর এতে অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করা হয় এবং ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন সফটওয়্যার ইন্সটল করা হয়।
সফটওয়্যার
সফটওয়্যার বলতে একগুচ্ছ কম্পিউটার প্রোগ্রাম, কর্মপদ্ধতি ও ব্যবহারবিধিকে বোঝায়, যার সাহায্যে কম্পিউটারে কোনো নির্দিষ্ট প্রকারের কাজ সম্পাদন করা যায়।
বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যারের মধ্যে রয়েছে ব্যবহারিক সফটওয়্যার, যেমন- অফিস স্যুট অ্যাপলিকেশন, যার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকারের চিঠিপত্র, বিল, হিসাবপত্র, তথ্য ভান্ডার তৈরি করা যায়।
আবার কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকারের সফটওয়্যার চালানো ও সার্বিকভাবে কম্পিউটার পরিচালনার জন্য এক প্রকারের সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলিকে বলা হয় অপারেটিং সিস্টেম, যেমন লিনাক্স, ম্যাক ওএস, মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ইত্যাদি। এ ধরনের সফটওয়্যারগুলি কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও অন্যান্য সফটওয়্যারের মাঝে সমন্বয় সাধন করে এবং কম্পিউটারের মাধ্যমে সকল প্রকারের কাজ সম্পাদনে সাহায্য করে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
একটি ডিজিটাল কম্পিউটারের ব্লক ডায়াগ্রাম অংকন ও বিভিন্ন অংশের কাজ বর্ণনা করতে হবে।
কম্পিউটারের গঠন অর্থাৎ ডিজিটাল কম্পিউটার সিস্টেমের ব্লক ডায়াগ্রাম।
(Architecture of Computer or Block Diagram of a Digital Computer)
একটি ডিজিটাল কম্পিউটার সিস্টেম এর ব্লকচিত্রের বর্ণনা দিতে গিয়ে আমরা প্রধানত চারটি অংশ দেখতে পাই।
১. ইনপুট ইউনিট (Input Unit)
২. মেমোরি ইউনিট (Memory Unit)
৩. সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (Central Processing Unit) বা CPU
৪. আউটপুট ইউনিট (Output Unit)
১. ইনপুট ইউনিট বা ইনপুট ডিভাইস (Input Unit or Input Device) : যে যন্ত্রগুলির সাহায্যে কম্পিউটারে কোনো তথ্য বা নির্দেশ দেওয়া হয় বা প্রবেশ করানো হয়, সেগুলিকে ইনপুট ইউনিট বা ইনপুট ডিভাইস বলে। ইনপুট ডিভাইস এর সাহায্যে যে তথ্য বা নির্দেশ কম্পিউটারে প্রবেশ করানো হয় সেগুলিকে বলা হয় ইনপুট (Input)। বেশি ব্যবহৃত দুটি ইনপুট ইউনিট হলো কী-বোর্ড (Keyboard) এবং মাউস (Mouse)। এছাড়াও আরও কিছু ইনপুট ডিভাইস রয়েছে, যেমন- স্ক্যানার, OMR, OCR, MICR, বারকোড রিডার (Barcode Reader), লাইট পেন (Light Pen), মাইক্রোফোন (Microphone) ইত্যাদি।
২. মেমোরি ইউনিট (Memory Unit) : কম্পিউটারের একটি বিশেষ কাজ হল তথ্য সংরক্ষণ বা ডাটা ষ্টোর (Data Store) করা। কম্পিউটারের যে অংশে কোনো তথ্য বা ডাটা স্বল্পক্ষনের (Temporarily) জন্য অথবা চিরকালের (Permanently) জন্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়, তাকে মেমোরি ইউনিট বা মেমোরি ডিভাইস (Memory Device) বলে। মেমোরি ইউনিটের মধ্যে ডাটা ষ্টোর করে রাখা হয় বলে মেমোরি ইউনিটকে স্টোরেজ ইউনিট (Storage Unit) বা স্টোরেজ ডিভাইস-ও বলা হয়। যেমন – হার্ডডিস্ক (Hard Disk), CD (Compact Disk), DVD (Digital Versatile Disk)।
৩. সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (Central Processing Unit) বা CPU : কম্পিউটার সিস্টেমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল সি.পি.ইউ বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট। ইহাকে কম্পিউটারের মস্তিষ্ক বলা হয়। CPU সাধারনত দুটি অংশ নিয়ে গঠিত।
কন্ট্রোল ইউনিট (Control Unit বা CU) : ইহা কম্পিউটার সিস্টেমের সকল কাজ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
অ্যারিথমেটিক লজিক ইউনিট (Arithmetic Logic Unit বা ALU) : সি.পি.ইউ-এর এই অংশে সমস্ত প্রকার গাণিতিক কাজ এবং লজিক্যাল কাজ সম্পন্ন হয়।
৪. আউটপুট ইউনিট (Output Unit) : যে ডিভাইস বা যন্ত্রগুলির সাহায্যে কম্পিউটার থেকে আমরা সমস্ত প্রকার কাজের ফলাফল পাই, সেগুলিকে আউটপুট ইউনিট বা আউটপুট ডিভাইস বলে। আউটপুট ডিভাইস এর মাধ্যমে যে ফলাফল আমরা পাই, সেগুলিকে বলা হয় আউটপুট (Output)। কম্পিউটারের উল্লেখযোগ্য কতকগুলি আউটপুট ডিভাইস হল – মনিটর (Monitor), প্রিন্টার (Printer), স্পীকার (Speaker), প্লটার (Plotter) ইত্যাদি।
এই পোস্টে আমরা দেখলাম একটি ডিজিটাল কম্পিউটার কিভাবে গঠিত হয় অর্থাৎ একটি ডিজিটাল কম্পিউটারের গঠন। ডিজিটাল কম্পিউটারের এই গঠন কেই আমরা “ডিজিটাল কম্পিউটারের ব্লক ডায়াগ্রাম” বলতে পারি।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
ইনপুট ইউনিট, সি পি ইউ এবং আউটপুট ইউনিটের কার্যাবলি বর্ণনা করতে হবে।
সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বা সিপিইউ-
কম্পিউটার ব্যবস্থার মস্তিষ্ককে বলা হয় সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (সি পি ইউ বা কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়ণ বিভাগ)। বস্তুত, এটিই কম্পিউটারের মূল অংশ। কারন এখান থেকেই কম্পিউটারের সমস্ত কার্যক্রম নিয়ন্ত্রিত হয়।
কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরন ইউনিট (সিপিইউ) হল একটি কম্পিউটারের মধ্যাবস্থিত বৈদ্যুতিক পরিবাহি যন্ত্র যা প্রোগ্রামের দেয়া নির্দেশনা পালন করে। বিশেষভাবে দেয়া এসব নির্দেশনা পালন করতে গিয়ে এটি বিভিন্ন গাণিতিক, যৌক্তিক কার্যাবলি, নিয়ন্ত্রন ও ইনপুট আউটপুট কার্যাদি সম্পন্ন করে।
বছরের পর বছর নানাভাবে উন্নীত, পরিমার্জিত বিভিন্ন সংস্করন করার ফলে এতে নকশা, আকৃতিগত এবং বাস্তবায়নে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে কিন্তু এর মূল কাজের ধরন একই রকম রয়ে গেছে। সিপিইউ’র প্রধান উপাদানগুলোর মধ্যে আছে এএলইউ (গাণিতিক যুক্তি অংশ), সিইউ (নিয়ন্ত্রন অংশ)। এএলইউ গাণিতিক এবং যুক্তিমুলক কাজগুলো সম্পাদন করে আর সিইউ স্মৃতি থেকে নির্দেশনা নেয়, নির্দেশনাগুলোর সংকেত উদ্ধার করে সেগুলোকে সম্পাদন করে এবং প্রয়োজন মতে এএলইউ থেকে সেবা ব্যবহার করে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
বর্তমানের আধুনিক সিপিইউগুলো মাইক্রোপ্রসেসরে তৈরী মানে একটি মাত্র সমন্বিত চিপে এদের অবস্থান। কিছু কিছু কম্পিউটারে দেখা যায় একের অধিক সিপিইউ রয়েছে একটি মাত্র চিপে, যার মানে এগুলো বহুমাত্রিক প্রক্রিয়াকরন করতে সক্ষম। তাই এগুলোকে বহু-উৎস বিশিষ্ট প্রক্রিয়াকরন ইউনিট বলে। সমস্ত সমন্বিত চিপে সিপিইউ’র পাশাপাশি মেমোরি, পেরিফেরাল ডিভাইসগুলো এবং অন্যান্য কম্পিউটারের উপাদানগুলো থাকতে পারে। এরূপ যন্ত্রাংশগুলোকে বিভিন্নভাবে ডাকা হয় যেমন মাইক্রোকন্ট্রোলার বা সিস্টেম অন এ চিপ।
কম্পিউটারের আরেক অন্যতম গুরুত্বপুর্র্ন অংশ হচ্ছে এর মেমোরি, যা ছাড়া কম্পিউটারের কোন কাজই করা সম্ভব হবে না। কম্পিউটারের সিপিইউকে যদি প্রতিবারই প্রতিটি ডাটা সংগ্রহ করার জন্য হার্ড ডিস্কে অ্যাকসেস নিতে হত তাহলে সিপিইউ তথা কম্পিউটারের গতি খুবই ধীর হয়ে যেত।
এ কারণেই কম্পিউটার চলাকালীন এসব ডাটাকে রাখা হয় প্রাথমিক স্মৃতি বা প্রাইমারি মেমোরিতে, যেখান থেকে সিপিইউ খুব দ্রুত ডাটা অ্যাকসেস নিতে পারে। এসব মেমোরির কাজ হচ্ছে ডাটাকে অস্থায়ীভাবে সংরক্ষন করে রাখা। কম্পিউটারে তথ্য প্রক্রিয়াকরন শুরু হয় ইনপুট এর মাধ্যমে যা সিপিইউ প্রক্রিয়াকরন শেষ করে তা আউটপুটে প্রেরণ করে । র্যামের বাস ওয়াইড( Bus Width )ও প্রসেসরের ক্যাশ মেমোরি( Cache Memory ) কম্পিউটারের তথ্য প্রক্রিয়াকরনের গতিকে নিয়ন্ত্রন করে ।
কি বোর্ড ও মাউস এই সি পি ইউ-র সঙ্গেই তারের মাধ্যমে যুক্ত থাকে। অর্থাৎ, কি বোর্ড বা মাউসের মাধ্যমে যে কাজ করা হয়, তার ফলাফল সি পি ইউ হয়ে কম্পিউটারের পর্দায় আমরা দেখতে পাই। সি পি ইউ-র সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ যুক্ত থাকে। সি পি ইউ-এ পাওয়ার নামক একটি সুইচ আছে, যেটি টিপে কম্পিউটার চালু করতে হয়।
কন্ট্রোল ইউনিট –
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
কোনও কম্পিউটার ব্যবস্থায় এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় তথ্যের জোগানকে বজায় রাখে কন্ট্রোল ইউনিট। বস্তুত, কন্ট্রোল ইউনিট একটি কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র বা সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমের ভূমিকা পালন করে। একটি কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের মধ্যে তথ্যের আদান-প্রদানকে পরিচালনা করে কন্ট্রোল ইউনিট।
প্রাইমারি স্টোরেজ ইউনিট-
কম্পিউটারে যে তথ্য ঢোকানো হয়, তা জমা থাকে তার স্মৃতি বা মেমোরিতে। কম্পিউটারের স্মৃতিশক্তি বা স্মৃতি ভাণ্ডারে তথ্য ধারণের ক্ষমতা বিপুল। বস্তুত, কম্পিউটারের প্রযুক্তিগত উন্নয়নে তার স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। কম্পিউটার তার স্মৃতিতে নানাবিধ তথ্য শুধু জমিয়েই রাখে না, ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী তা জোগানও দেয়।
কম্পিউটারের স্মৃতিকে দু’ ভাগে ভাগ করা যায় —১)মূল স্মৃতি বা প্রাথমিক পর্যায়ে সংরক্ষিত স্মৃতি (মেইন মেমোরি বা প্রাইমারি স্টোরেজ) এবং (২) অনুবর্তী পর্যায়ে সংরক্ষিত স্মৃতি (সেকেন্ডারি স্টোরেজ)। মূল স্মৃতি আবার দু’ রকমের। (ক) শুধুমাত্র পাঠযোগ্য স্মৃতি বা রিড অনলি মেমোরি (Read Only Memory) বা সংক্ষেপে (ROM) এবং (খ) অবাধ ব্যবহারযোগ্য স্মৃতি বা র্যানডম অ্যাক্সেস মেমোরি (Random Access Memory) বা সংক্ষেপে র্যাম (RAM)।
অ্যারিথমেটিক অ্যান্ড লজিক ইউনিট (এ এল ইউ ) –
এটিকে কম্পিউটারের গণনা শাখা বলা যেতে পারে। অঙ্ক ও যুক্তি সংক্রান্ত যাবতীয় কাজকর্ম করে এ এল ইউ। শুধু সমস্ত রকম গণনার কাজই নয়, সেগুলির তুলনাও করা হয় এ এল ইউ-এর মাধ্যমে। প্রকৃতপক্ষে, কম্পিউটারের প্রসেসর (Processor) নামে একটি বৈদ্যুতিন যন্ত্রাংশ থাকে, যার আবার একটি অংশ এ এল ইউ। এর কাজের গতি মানুষের কল্পনার বাইরে। কিন্তু প্রসেসর যদি স্মৃতি থেকে তথ্য না পায়, তা হলে তার পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয়। যে হেতু প্রসেসরের গতি বেশি, তাই সে যদি একই রকম উচ্চগতিসম্পন্ন বৈদ্যুতিন স্মৃতি থেকে তথ্য আহরণ করতে পারে, তা হলেই তার পক্ষে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করা সম্ভব। কাজেই তাকে র্যামের কাছ থেকে তথ্য নিতে হয়। অপর পক্ষে র্যামের কয়েকটি অসুবিধা আছে। যদিও র্যামের পক্ষে উচ্চ গতিতে তথ্য সরবরাহ করা সম্ভব, কিন্তু র্যামের সঞ্চিত তথ্য কম্পিউটার বন্ধ করলে মুছে যায়। তা ছাড়া র্যামের তথ্যধারণ ক্ষমতাও সীমিত। এ ক্ষেত্রে হার্ড ডিস্ক অনেক তথ্য চিরন্তন ভাবে ধরে রাখতে পারলেও একটি নির্দিষ্ট সীমারেখা ছাড়িয়ে দ্রুতগতিতে তথ্য সরবরাহ করতে পারে না। প্রসেসর ও হার্ড ডিস্কের সমন্বয়ে কম্পিউটারের এমন একটি ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে হার্ড ডিস্কে সঞ্চিত তথ্য প্রয়োজন অনুযায়ী র্যামে সঞ্চিত হয় আর প্রসেসর তার দরকারমতো র্যাম থেকে তথ্য জোগাড় করতে পারে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
বিভিন্ন প্রকার সফটওয়্যার বর্ণনা করতে হবে।
Software কে বর্ণনা করাটা একটি জটিল বিষয়। কারণ, কম্পিউটারের hardware এর মতো একটি software ফিসিক্যালয় দেখা ও অনুভব করা যায়না।
তাই, আমরা যদি কম্পিউটারে একটি computer application বা program ইনস্টল করি তাহলে সেটা software install করাটাকেই বোঝায়। বা
সফটওয়্যার হলো কিছু কোডিং (coding) এর লাইন যেগুলো কিছু বিশেষ “programming language”এর দ্বারা একজন “programmer”এর দ্বারা লেখা হয়ে থাকে।
এবং এই coding এবং scripts গুলোকে একসাথে করে একটি “computer program” তৈরি করা হয়।
সেই প্রোগ্রাম গুলোকেই বলা হয় “software”.
প্রত্যেকটি software কিছু বাইনারি তথ্য হিসেবে আমাদের কম্পিউটারে storage device এ জমা করে রাখা হয়, তখন সেটা আমাদের কম্পিউটারে ইনস্টল হয়ে যায়।
Program হিসেবে থাকা এই বাইনারি তথ্য ও কোডগুলো, আমাদের প্রয়োজন ও ব্যবহার অনুসারী কম্পিউটারকে সময়ে সময়ে বিশেষ কিছু কাজ করার হুকুম বা আদেশ দিয়ে থাকে।
এবং, এই programs বা software গুলো আমাদের computer কে ব্যবহারের যোগ্য করে তোলে।
সফটওয়্যার এর প্রকারভেদ – (Types of software)
এমনিতে বিভিন্ন সফটওয়্যার গুলোকে আমাদের কাজের জন্ন্যে তৈরি করা হয়।
এবং, সহজেই যাতে আমরা বিভিন্ন কাজ হলো করতে পারি, তাই বিভিন্ন আলাদা আলাদা বিষয়ের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা সফটওয়্যার রয়েছে।
আমরা প্রত্যেকদিন ঘুম থেকে উঠেই নিজের মোবাইল বা কম্পিউটারে বিভিন্ন software ব্যবহার করে থাকি।
যেমন, whatsapp, Facebook app, Instagram, বিভিন্ন ফটো এডিটিং টুল ইত্যাদি।
আর, এখন আমার আর্টিকেলটি পড়ার ক্ষেত্রেও আপনি কিন্তু একটি software ব্যবহার করছেন।
সেটা হলো, “web browser“.
তাই, বিভিন্ন আলাদা আলাদা কাজের ক্ষেত্রে একটি আলাদা সফটওয়্যার এর প্রকার রয়েছে।
মূলত সফটওয়্যার দুই টি প্রকার।
১) System software।
২) Application software।
সিস্টেম সফটওয়্যার কাকে বলে ?
সিস্টেম সফটওয়্যার হলো কম্পিউটারের এমন একটি প্রধান প্রোগ্রাম যার দ্বারা computer hardware এবং ব্যবহারকারী এর ভিতরে একটি ইন্টারফেস গঠন করে থাকে। হয় তো আমরা বিভিন্ন ভাষা জানতে বা বলতে পারি। যেমন হিন্দী, ইংরেজি, বাংলা ইত্যাদি। তবে কম্পিউটার মেশিন ঐ সব বাংলা ইংরেজি, হিন্দী ভাষা বুঝে না। সে যে ভাষা বুঝে সেটা হলো বাইনারি কোড বা বাইনারী ভাষা।
এখন, আমি ইংরেজিতে কথা বলছি বা লিখছি কিন্তু আমার কম্পিউটার মেশিন সেই ভাষাটি বুঝতে পারছেনা, তাহলে কি করা যেতে পারে ? আমরা করতে পারি তাকে বাইনারি কোড বা ভাষা দিয়ে বুঝে দিতে হবে তাহলে কম্পিউটার মেশিন বুঝতে পারবে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
সিস্টেম সফটওয়্যার এর কাজঃ
সিস্টেম সফটওয়্যার এর দ্বারা একটি কম্পিউটারের নানা রকমের হার্ডওয়্যার পার্ট গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
কম্পিউটারের সাধারণ কার্যকর্ম প্রদান করে।
Operating system হলো সব থেকে দরকারি system software, সেটাকে সবার আগে কম্পিউটারে ইনস্টল করতে হয়। একটি operating system ছাড়া আমাদের কম্পিউটার কোনো রকমেই অন্যান্য কাজ করতে পারবে না।
Language processing এর জন্য system software এর দরকার। আমাদের সাধারণ English ভাষাতে দেওয়া নির্দেশাবলী গুলোকে, মেশিনের বুঝতে পারা ভাষাতে তৈরি করে।
User application software এবং hardware এর মধ্যে ইন্টারফেস বা মধ্যবর্তী হিসেবে কাজ করা।
আর, যদি কম্পিউটারে এই সিস্টেম software গুলো না থাকে, তাহলে আমরা অন্যান্য কোনো application গুলো চালাতে পারবে না।
যখনি আমরা একটি নতুন কম্পিউটার কিনবো, তখন সেখানে দরকারি system software যেমন, operating system (OS), language translator ইত্যাদি ইনস্টল করে দিতে হবে।
আর, এই system software গুলোর দ্বারা computer hardware এবং user application এর ভিতরে একটি সংযোগ বা স্তর সৃষ্টি করবে। এইগুলোই সিস্টেম সফটওয়্যার এর কাজ।
সিস্টেম সফটওয়্যার এর প্রকার গুলো কি ?
কাজ হিসেবে দেখতে গেলে, সিস্টেম সফটওয়্যার এর বিভিন্ন প্রকার ও ভাগ আছে।
System software কে দুটি বিশেষ ভাবে ভাগ করা যেতে পারে। যেমন
১) Computer management এর জন্য।
২) Developing software এর জন্য।
তাহলে এই দুইটি সিস্টেম সফটওয়্যার নিয়ে কিছু আলচোনা করা যাক।
১. Computer management software
কম্পিউটারের নানা রকম কার্যকারিতা গুলো ম্যানেজ optimize এবং পরিচলনা করার জন্য এই সফটওয়্যার কাজ করে। যাতে computer system এর “কার্যক্ষমতা এবং গোপনীতা অপ্টিমাইজ করা হয়ে থাকে।
Computer ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার গুলোকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা যায় যেমনঃ
১) Operating system.
২) Device drivers.
৪) System utilities.
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
এপ্লিকেশন সফটওয়্যার কাকে বলে ?
যেসব সফটওয়্যার গুলো কেবল মাত্র বিশেষ রকমের একটি নির্দিষ্ট কাজ করার জন্য তৈরি করা হয়, সেই সফটওয়্যার গুলোকেই এপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলা হয়।
বেশি পরিমানে ব্যবহার করা কিছু এপ্লিকেশন সফটওয়্যার গুলো হলো।
ক) Word processing software ( MS-word )
খ) Spreadsheet (MS-excel)
গ) Database management
ঘ) Multimedia tools ( Video & audio player )
ঙ) Internet browser (Google chrome)
কিছু উদাহরণ দেয়া যাক মনে করুণ আপনি computer এ text এর সাথে সম্পর্কে কিছু কাজ করার জন্য “MS-word” ইনস্টল করেছেন।
MS-word হবে একটি “application software”.
কেননা, MS-word software ব্যবহার করে আপনি শুধু একটি বিশেষ ধরণের কাজ যেটা হলো “text editing” করতে পারবেন।
তাই, এপ্লিকেশন সফটওয়্যার কি, এর উত্তর আমরা সোজা এবং সরল ভাবে দিতে পারি। যেমন
“যে সফটওয়্যারটিকে কম্পিউটারে শুধু একটি বিশেষ কাজ করার উদেশ্যে ব্যবহার করা হয়, সেই সফটওয়্যারটিকে বলা এপ্লিকেশন সফটওয়্যার।
সফটওয়্যার কিভাবে তৈরি করেঃ
একটি কম্পিউটারে software নানা রকম ০ এবং ১ সংখ্যা দিয়ে তৈরি করা হয়।
এই সংখ্যা গুলোকে বলা হয় (binary codes) বাইনারি কোড।
এবং, একটি কম্পিউটার সিস্টেম শুধু মাত্র এই বাইনারি (binary) কোড গুলি দিয়ে তৈরি নির্দেশ বা হুকুম বুঝতে পারে।
যারা বিভিন্ন programming language গুলোর ব্যবহার করে একটি সফটওয়্যার তৈরি করেন, তাদেরকে বলা হয় “software developers” বা “programmers প্রোগামার।
আর তাই, বর্তমান নানা রকম আধুনিক প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ যেমন, C, C++, JAVASCRIPT, PYTHON, SQL, PHP ইত্যাদি ব্যবহার করে, সফটওয়্যার তৈরি করার জন্য নানা রকম নির্দেশের কাজ করা হয়।
এবং, এই রকমের বিভিন্ন নির্দেশের scripts এবং source code গুলোকে একটি সফটওয়্যার এ পরিণত করে।
আমি আগেই আপনাদেন বলেছি, প্রতিটি কম্পিউটার সফটওয়্যার, আপনার কম্পিউটারে নির্দেশ দিয়ে কিছু নির্দিষ্ট কাজ করতে সাহায্য করে।
যেটা, একটি কম্পিউটার সফটওয়্যার এর দ্বারা photo editing করা বা কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
সফটওয়্যার তৈরি করার জন্য, আমাদের নানা ধরণের software development এর কোর্স করতে হয়।এই ভাবে সফটওয়্যার তৈরি করা হয়।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
- ২০২১ সালের SSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের ৯ম/১০ শ্রেণি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।
thanks