hsc উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিমা ২য় পত্র ১২শ শ্রেণি ৫ম অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান/ উত্তর ২০২১, বিমা চুক্তিকে কেন চূড়ান্ত বিশ্বাসের চুক্তি বলা হয়? একটি বিমা চুক্তিতে কী কী উপাদান থাকতে হয় আলােচনা করুন।

শ্রেণি: ১২শ/ hsc/ উন্মুক্ত-2021 বিষয়: ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিমা ২য় পত্র এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 05 বিষয় কোডঃ 2887
বিভাগ: ব্যবসায় শাখা
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ বিমা চুক্তিকে কেন চূড়ান্ত বিশ্বাসের চুক্তি বলা হয়? একটি বিমা চুক্তিতে কী কী উপাদান থাকতে হয় আলােচনা করুন।

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

চূড়ান্ত বিশ্বাসের নীতিঃ এ নীতি অনুযায়ী বিমাকারী এবং বিমাগ্রহীতা সরল বিশ্বাসে বিমা সংক্রান্ত সকল বিষয় একে অপরের কাছে অকপটে উপস্থাপন করবে। কোনো অবস্থাতেই গুরুত্বপুর্ণ কোন তথ্য ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন করা যাবে না। তথ্য গোপন করলে বিমা চুক্তি বাতিল হয়ে যাবে। সুতরাং বিমাচুক্তিতে সব প্রয়োজনীয় বিষয় প্রকাশ করতে হবে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

পূর্বের পাঠগুলোতে বার বার বলা হয়েছে যে, বিমা এক ধরনের চুক্তি। বিমার ক্ষেত্রে বিমাগ্রহীতা বিমাকারীকে নির্দিষ্ট প্রিমিয়ামের বিনিময়ে যে ঝুঁকি হস্তান্তর করে, মূলত সেটিই বিমা চুক্তি। অধ্যাপক টেলরের মতে, “বিমা চুক্তি হলো প্রিমিয়াম পরিশোধের প্রতিদানে এক পক্ষ কর্তৃক অপর পক্ষের সম্ভাব্য ক্ষতির ঝুঁকি গ্রহণের সম্মতি।” সুতরাং বিমা চুক্তিতে বিম গ্রহীতা প্রিমিয়াম দেয় এবং বিমা কোম্পানি ক্ষতি সাধিত হলে তা পুষিয়ে দেওয়ার সম্মতি প্রদান করে। বিমা চুক্তির বিষয়টি সংক্ষেপে জানা হলো। এবার আসুন, আমরা এটি বিশ্লেষণ করি এবং বৈশিষ্ট্যগুলো চিহ্নিত করি।

বিমা চুক্তির বৈশিষ্ট্য

বিমা চুক্তির বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে বর্ণনা করা হলো :

১. দুটি পক্ষ : অন্যান্য চুক্তির মত বিমা চুক্তিতে দুটি পক্ষ থাকেÑ একটি বিমাগ্রহীতা এবং অপরটি বিমাকারী (বিমা কোম্পানি)।

২. বৈধ চুক্তি : বিমা আইন অনুযায়ী বিমা চুক্তির সকল শর্ত বৈধ হতে হবে।

৩. লিখিত চুক্তি : বিমা চুক্তি অবশ্যই লিখিত হতে হবে। কোন মৌখিক চুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়।

৪. অনিশ্চিত চুক্তি : বিমাকারী ও বিমাগ্রহীতা উভয়েই ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত ঘটনা সামনে রেখেই চুক্তিবদ্ধ হয়। সে ঘটনা ঘটতে পারে, আবার নাও ঘটতে পারে।

৫. প্রিমিয়াম : প্রিমিয়াম ছাড়া বিমা চুক্তি হয় না। বিমাগ্রহীতা বিমাকারীকে ঝুুঁকি গ্রহণের প্রতিদান হিসেবে যে অর্থ প্রদান করে, তাকেই প্রিমিয়াম বলা হয়।

৬. বিমাযোগ্য স্বার্থ : বিমাচুক্তিতে বিমাযোগ্য স্বার্থ হলো বিমাগ্রহীতার আর্থিক স্বার্থ। বিষয়বস্তুর উপর বিমাগ্রহীতার বিমাযোগ্য স্বার্থ থাকতে হবে, অন্যথায় বিমা চুক্তি বৈধ হবে না।

৭. ক্ষতিপূরণের চুক্তি : বিমা চুক্তির উদ্দেশ্য হলো প্রিমিয়ামের বিনিময়ে বিমাকারীর ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া। সে কারণে বিমা চুক্তি হলো ক্ষতিপূরণের চুক্তি।

৮. চূড়ান্ত বিশ্বাস : বিমা চুক্তিতে কোন তথ্য গোপন করা যাবে না। কোন পক্ষ তথ্য গোপন করলে চুক্তি বাতিল হয়ে যাবে।

ইতোমধ্যে আমরা বিমাচুক্তির বৈশিষ্ট্য জেনেছি। বৈশিষ্ট্য ছাড়াও এর কতিপয় উপাদান রয়েছে। এবার আসুন, এর মূল উপাদানগুলো জেনে নিই। এগুলোকে বিমাচুক্তির সাধারণ শর্তও বলা হয়।

বিমাচুক্তির উপাদানসমূহ

বিমা চুক্তির সাধারণ শর্ত বা উপাদানসমূহ নিচে আলোচনা করা হলো :

১. একাধিক পক্ষ : যেকোন চুক্তির জন্য কমপক্ষে দু’টি পক্ষ থাকতে হয়। বিমার ক্ষেত্রে বিমাগ্রহীতা ও বিমাকারী দুটি পক্ষ থাকে।

২. প্রস্তাব : বিমা চুক্তি একটি চুক্তি, সুতরাং বিমার ক্ষেত্রেও প্রস্তাব থাকতে হবে। এক্ষেত্রে বিমাগ্রহীতা বিমাকারীর কাছে প্রস্তাব দিয়ে থাকে।

৩. স্বীকৃতি : যে পক্ষকে প্রস্তাব করা হয়, সে পক্ষ যদি বিনাশর্তে প্রস্তাব গ্রহণ করে তবে তাকে স্বীকৃতি বলা হয়। বিমার ক্ষেত্রেও অনুরূপ স্বীকৃতি থাকতে হবে।

৪. সম্মতি : চুক্তির উদ্দেশ্যে উভয় পক্ষ কোন কিছু করা বা না করার জন্য যে ঐক্যমত পোষণ করে, তাকে সম্মতি বলে। সম্মতি চুক্তির অন্যতম শর্ত। বিমার ক্ষেত্রে বিমাগ্রহীতা এবং বিমাকারীর সম্মতি থাকতে হবে।

৫. আইনগত সম্পর্ক : বিমাচুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বিমাকারী ও বিমাগ্রহীতা উভয়ের মধ্যে আইনগত সম্পর্ক স্থাপিত হয়। কোন পক্ষ শর্তভঙ্গ করলে চুক্তি বাতিল হবে।

৬. আইনানুগ উদ্দেশ্য : বিমা চুক্তির উদ্দেশ্য প্রচলিত আইন অনুযায়ী বৈধ হতে হবে। অবৈধ উদ্দেশ্য থাকলে চুক্তি বাতিল হবে।

৭. চুক্তি সম্পাদনের যোগ্যতা : নাবালক, পাগল, দেউলিয়া, মস্তিষ্কবিকৃত ব্যক্তি বা আইনগত দ্বারা নিষিদ্ধ ব্যক্তি চুক্তি করতে পারে না। বিমাচুক্তির ক্ষেত্রে এ শর্ত প্রযোজ্য।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

৮. স্বাধীন সায় : বল প্রয়োগ, অনুচিৎ প্রভাব, মিথ্যা বর্ণনা বা প্রতারণার মাধ্যমে সায় আদায় করে বিমা চুক্তি করা যাবে না। এরূপ হলে বিমাচুক্তি বাতিল হবে।

৯. নির্দিষ্টতা বা নিশ্চয়তা : বিমা চুক্তির ক্ষেত্রেও উদ্দেশ্যের বাইরে চুক্তি সম্পাদন করা যাবে না। যে উদ্দেশ্যে বিমা করা হয় তার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

১০. লিখিত : বিমা চুক্তি অবশ্যই লিখিত হতে হবে। মৌখিক চুক্তি বিমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

এগুলোর বাইরেও বিমাচুক্তির আরো কিছু উপাদান রয়েছে। এগুলোকে বিশেষ উপাদান বলে।

বিমা চুক্তির বিশেষ উপাদানসমূহ :

বিমা চুক্তির বিশেষ উপাদানগুলো নিচে বর্ণনা করা হলো :

১. বিমাযোগ্য স্বার্থ : বিমাযোগ্য স্বার্থ বলতে বিমাকারীর আর্থিক স্বার্থকে বুঝায়। বিমাগ্রহীতার বিষয়বস্তুর উপর বিমাযোগ্য স্বার্থ অবশ্যই থাকতে হবে।

২. চূড়ান্ত বিশ্বাস : বিমার ক্ষেত্রে বিমাকারী এবং বিমাগ্রহীতা কোন তথ্য গোপন করতে পারবে না। তথ্য গোপন করা হলে বিমা চুক্তি বাতিল হয়ে যাবে।

৩. ক্ষতিপূরণ : সম্ভাব্য ক্ষতিপূরণের জন্য বিমা করা হয়। তাই বিমা থেকে মুনাফা করা যাবে না। অর্থাৎ বিমাকৃত অর্থের অতিরিক্ত অর্থ ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওয়া যাবে না।

৪. স্থলাভিষিক্ততা : বিষয়বস্তুর ক্ষতি হলে বিমা কোম্পানি তাকে পূর্বের অবস্থায় এনে দিবে। এটাকেই স্থলাভিষিক্ততা বলে যা বিমা চুক্তির অপরিহার্য উপাদান।

৬. নিকটতম কারণ : বিষয়বস্তুর ক্ষতি হলে যে কারণে ক্ষতি হয় তা যদি বিমাকৃত থাকে শুধু তখনই বিমার টাকা পাওয়া যাবে। অন্য কারণে ক্ষতি হলে বিমার অর্থ পাওয়া যাবে না। ধরুন, আগুণজনিত কারণে ক্ষতির জন্য একটি দোকানের বিমা করা হলো। এক্ষেত্রে দোকানে চুরি হলে চুরিজনিত কারণে বিমার টাকা পাওয়া যাবে না।

সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

Leave a Comment