শ্রেণি: ১১শ/hsc/ উন্মুক্ত-2021 বিষয়: সমাজবিজ্ঞান (প্রথম পত্র) এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021 |
---|
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 03 বিষয় কোডঃ 1859 |
বিভাগ: মানবিক শাখা |
এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ পরিবার বলতে আপনি কী বোঝেন? সংক্ষিপ্ত আলোচনাসহ সমাজে পরিবারের ভূমিকা ও কার্যাবলির একটি তালিকা প্রস্তুত করুন।
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
পরিবার হলো একটি মৌলিক সামাজিক প্রতিষ্ঠান। মানুষ হিসেবে আমরা প্রত্যেকেই কোনো না কোনো পরিবারের সদস্য। পরিবারের মধ্যেই আমরা জন্মগ্রহণ করি, বড় হই, নিজেই পরিবার গঠন করি, কর্মজীবনে অবসরে পরিবারের মাঝে ফিরে আসি এবং পরিবারেই একজন সদস্যের মৃত্যু ঘটে।
যেখানে আপনি যখন যেতে চাইবেন তখন পরিবার আপনাকে গ্রহণ করবে। পরিবর্তনশীল আধুনিক সমাজে স্বামী-স্ত্রী উভয়েই নানারকম অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত হওয়ার ফলে পরিবারের গড়ন, বৈশিষ্ট্য এবং এর ভূমিকা ও কার্যাবলীতে এসেছে পরিবর্তন। পরিবারের গড়ন, বৈশিষ্ট্য এবং এর ভূমিকা ও কার্যাবলীতে পরিবর্তন এলেও পরিবার তার নিজস্ব গুরুত্ব বজায় রেখেছে এবং সময়ের সঙ্গে খাপ-খাইয়ে পরিবার অদ্যাবধি তার ভূমিকা পালন করে চলছে। পরিবার আমাদের নানাবিধ প্রয়োজন মিটিয়েই টিকে আছে এবং হয়ত টিকে থাকবে।
অন্যদিকে আরনল্ড গ্রীণ বলেন, “পরিবার হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিকতার ভিত্তিতে গড়ে উঠা একটি সামাজিক গোষ্ঠী, যার উপর জনসংখ্যার প্রতিস্থাপনের দায়িত্ব ন্যস্ত থাকে”।
পরিবার হচ্ছে একটি সামাজিক গোষ্ঠী যেখানে বিবাহ, রক্তের সম্পর্ক অথবা দত্তক প্রথার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি সংঘবদ্ধ হয় এবং এর সকল সদস্য একই বসতবাড়িতে বসবাস করে। এই সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া ও যোগাযোগ বিদ্যমান থাকে। তারা অভিন্ন সংস্কৃতি সৃষ্টির মাধ্যমে যথাযথ সামাজিক দায়-দায়িত্ব ও ভূমিকা পালন করে। তারা স্বামী-স্ত্রী, মাতা-পিতা, ছেলে- মেয়ে, ভাই- বোন হিসেবে পরস্পর মিলে মিশে অন্তরঙ্গ সম্পর্কে আবদ্ধ হয়ে বসবাস করে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
পরিবারের প্রকারভেদ সমাজবিজ্ঞানীগণ বিভিন্ন নির্ণায়কের সাহায্যে পরিবারকে শ্রেণীবদ্ধ করেছেন, যথা: কর্তৃত্ব , কাঠামো , বাসস্থান , বিবাহ , বংশানুক্রম , আন্তঃগোষ্ঠী ও বহির্গোষ্ঠী সম্পর্ক এবং রক্তের সম্পর্ক ।
১) কর্তৃত্ব: কর্তৃত্বের দিক থেকে পরিবারকে পিতৃতান্ত্রিক এবং মাতৃতান্ত্রিক এই দুভাগে ভাগ করা হয়। পরিবারের কর্তৃত্ব পিতা, স্বামী বা প্রধান পুরুষের ওপর ন্যস্ত থাকলে তাকে পিতৃতান্ত্রিক পরিবার বলা হয়। আর কর্তৃত্ব যদি মাতা, স্ত্রী বা প্রধান মেয়েদের উপর বর্তায় তাহলে তাকে মাতৃতান্ত্রিক পরিবার বলে। আদিম সমাজে পারিবারিক জীবনে মাতা, নাকি পিতার প্রাধান্য বিদ্যমান ছিল এ বিষয়ে বিতর্ক রয়েছে। অর্থাৎ আদিম পরিবারগুলো কি মাতৃতান্ত্রিক, নাকি পিতৃতান্ত্রিক সে বিষয়ে সামাজিক নৃবিজ্ঞানীদের ভেতর মত বিরোধ রয়েছে। তবে কোনো পরিবারেই স্ত্রীর সর্বময় কর্তৃত্ব এবং পুরুষের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা ছিল না।
২) বাসস্থান: বিবাহের পরবর্তী স্বামী-স্ত্রীর বসবাসের ভিত্তিতে পরিবারকে পিতৃবাস , মাতৃবাস এবং নয়াবাস এই তিন ভাগে ভাগ করা যায়। পিতৃবাস পরিবারের ক্ষেত্রে বিবাহিত নব দম্পতি স্বামীর পিতার বাড়িতে বসবাস করে। অপরপক্ষে, মাতৃবাস পরিবারের ক্ষেত্রে বিবাহিত নব দম্পতি স্ত্রীর পিতার বাড়িতে বসবাস করে। আর নয়াবাস পরিবারের ক্ষেত্রে বিবাহিত নব দম্পতি সম্পূর্ণভাবে তাদের নতুন বাড়িতে বসবাস করে। বাংলাদেশের সমাজে পিতৃবাস প্রথা চালু রয়েছে। তবে বাংলাদেশের গারো পাহাড়ে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে মাতৃবাস প্রথা চালু রয়েছে। অবশ্য কিছু আদিবাসী সমাজে দ্বিবাস প্রথা নরষড়পধষ ৎঁষবং রয়েছে। এই নিয়মানুযায়ী বিবাহিত নব দম্পত্তির ইচ্ছার উপর বসবাসের বিষয়টি ছেড়ে দেয়া হয়।
৩) বংশ এবং সম্পত্তির উত্তরাধিকার: বংশ পরম্পরা এবং সম্পত্তিতে অধিকারের উপর ভিত্তি করে পরিবারকে দুভাগে ভাগ করা যায়। যথা-পিতৃসূত্রীয় পরিবার এবং মাতৃসূত্রীয় পরিবার। পিতৃসূত্রীয় পরিবার ব্যবস্থায় সন্তানগণ পিতার সম্পত্তি, বংশানুক্রম এবং পারিবারিক নাম ব্যবহার করে। অন্যদিকে, মাতৃসূত্রীয় পরিবার ব্যবস্থায় সন্তানগণ মায়ের সম্পত্তি, বংশানুক্রম এবং পারিবারিক নাম ব্যবহার করে। পিতৃবাস পরিবারের ক্ষেত্রে পিতৃসূত্রীয় ব্যবস্থা আর মাতৃবাস পরিবারের ক্ষেত্রে মাতৃসূত্রীয় ব্যবস্থা দেখা যায়।
৪) পরিবারের আকার বা কাঠামো: পরিবারের আকার (ঝরুব) বা কাঠামো (ঝঃৎঁপঃঁৎব) এর দিক থেকে পরিবারকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথা ঃ অণু পরিবার, যৌথ পরিবার এবং বর্ধিত পরিবার । অণুপরিবার হলো একজন স্বামী, একজন স্ত্রী এবং তাদের অবিবাহিত সন্তান নিয়ে গঠিত। শিল্পোন্নত শহুরে সমাজে এ ধরনের পরিবার ব্যবস্থা বেশি দেখা যায়। আর যৌথ পরিবার হচ্ছে পিতা-মাতা, ভাই বোন, সন্তানসন্ততি, ভ্রাতৃবধূ কিংবা পুত্রবধূর সমষ্টিতে গঠিত পরিবার। ঐতিহ্যবাহী কৃষি সমাজের মূল ভিত্তি হচ্ছে যৌথ পরিবার। অন্যদিকে বর্ধিত পরিবার হচ্ছে তিন পুরুষের পরিবার। এটি একক পরিবারের বর্ধিত রূপ বলেই একে বর্ধিত পরিবার বলে। এ পরিবারে দাদা-দাদি, পিতা-মাতা, ভাই-বোন, ছেলে-মেয়েসহ তিন প্রজন্মের সদস্য বাস করে।
৫) স্বামী-স্ত্রীর সংখ্যা বা বিবাহের ভিত্তি: স্বামী-স্ত্রীর সংখ্যা বা বিবাহের ভিত্তিতে পরিবারকে চার ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। যথা: একক বিবাহভিত্তিক পরিবার (গড়হড়মধসরধহ ভধসরষু) বহু-স্ত্রী-বিবাহভিত্তিক পরিবার (চড়ষুমুহড়ঁং ভধসরষু), বহু-স্বামী-বিবাহভিত্তিক পরিবার এবং দলগত বিবাহভিত্তিক পরিবার । একজন পুরুষ এবং একজন মহিলার বিবাহের মাধ্যমে যে পরিবার গড়ে তুলে তাকে একক বিবাহভিত্তিক পরিবার বলে।
এটি পরিবারের আদর্শ রূপ, আধুনিক বিশ্বে এ ধরনের পরিবারের সর্বাধিক জনপ্রিয়তা রয়েছে। একজন পুরুষ একাধিক মহিলার সাথে বিবাহের ভিত্তিতে যে পরিবার গড়ে তুলে তাকে বহু স্ত্রী বিবাহভিত্তিক পরিবার বলে। অনেক সভ্য জাতি বা সমাজের মধ্যে এ ধরনের পরিবার ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে। একজন মহিলার সঙ্গে একাধিক পুরুষের বিবাহের ভিত্তিতে পরিবার গঠিত হলে তাকে বহু স্বামী/বহু পতি বিবাহভিত্তিক পরিবার বলে। আধুনিক সভ্য সমাজে এ ধরনের পরিবার ব্যবস্থা খুঁজে বের করা দুস্কর। তবে ভারতের টোডা আদিবাসীদের মধ্যে এধরনের পরিবার ব্যবস্থার প্রচলন আছে।
একাধিক মহিলার সঙ্গে একাধিক পুরুষের বিবাহের মাধ্যমে যে পরিবার গড়ে ওঠে তাকে বলা হয় দলগত বিবাহভিত্তিক পরিবার। সামজিক নৃবিজ্ঞানী মর্গান তাঁর ‘আদিম সমাজ’ গ্রন্থে এ ধরনের পরিবারের কথা উল্লেখ করেছেন।
৬) বহির্গোষ্ঠী ও অন্তর্গোষ্ঠী বিবাহ: বহির্গোষ্ঠী ও অন্তর্গোষ্ঠী বিবাহের ভিত্তিতে পরিবারকে আবার দুভাগে ভাগ করা যায়। যথা: বর্হিগোষ্ঠী বিবাহভিত্তিক পরিবার এবং অন্তর্গোষ্ঠী বিবাহভিত্তিক পরিবার । বর্হিগোষ্ঠী বিবাহভিত্তিক পরিবারের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তিকে আপন গোত্রের বাইরে বিবাহের জন্য পাত্রী নির্বাচন করতে হয়। অন্যদিকে, অন্তর্গোষ্ঠী বিবাহভিত্তিক পরিবারের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তিকে অবশ্যই আপন জাতিবর্ণের মধ্যে বিবাহের জন্য পাত্রী নির্বাচন করতে হয়।
বহির্গোষ্ঠী বিবাহকে দুভাগে ভাগ করা হয়। যেমন: অনুলোম বিবাহ এবং প্রতিলোম বিবাহ। এ দুটি ব্যবস্থা হিন্দু সমাজে বেশি লক্ষণীয়। প্রথমটিতে উঁচু বর্ণের হিন্দু পাত্রের সঙ্গে নিচু বর্ণের পাত্রীর বিবাহকে বোঝায়। আর দ্বিতীয়টিতে নিচু বর্ণের হিন্দু পাত্রের সঙ্গে উঁচু বর্ণের পাত্রীর বিবাহকে বোঝায়। গুজরাট, কেরালা, রাজপুতনায় এ ধরনের বিবাহ ব্যবস্থা লক্ষ্য করা যায়।
পরিবারের কার্যাবলি
সমাজবিজ্ঞানী জি. পি. মারডক মানব সমাজে পরিবারের চারটি কার্যাবলির কথা উল্লেখ করেছেন। যেমন- যৌনসূচক , অর্থনৈতিক , প্রজননমূলক ও শিক্ষামূলক । অগবার্ণ ও নিমকফ এর মতে, পরিবারের ছয়টি কাজ রয়েছে।
যথা: স্নেহসম্পর্কিত, অর্থনৈতিক, বিনোদনমূলক, নিরাপত্তামূলক, ধর্মীয় ও শিক্ষামূলক। আবার সমাজবিজ্ঞানী ল্যাণ্ডবার্গ মৌলিক কাজের চারটি ভাগ দেখিয়েছেন। যথা-যৌন আচরণের নিয়ন্ত্রণ ও প্রজনন, শিশুদের যত্ন ও প্রশিক্ষণ, সহযোগিতা ও শ্রমবিভাগ এবং মুখ্য গোষ্ঠীর সন্তুষ্টি। অন্যদিকে, সমাজবিজ্ঞানী রিড পরিবারের কাজকে চারটি ভাগে বিভক্ত করেছেন। যথা-বংশের স্থায়িত্ব, সামাজিকীকরণ, যৌন চাহিদার নিয়ন্ত্রণ ও সন্তুষ্টি এবং অর্থনৈতিক।
১) জৈবিক কাজ: মানুষ যে সব মৌলিক প্রয়োজনে পরিবার গড়ে তুলে তার অন্যতম হচ্ছে জৈবিক কাজ। পরিবারের জৈবিক কাজ প্রধানত দুটি : যথা (ক) স্বামী-স্ত্রীর জৈবিক সম্পর্ক এবং (খ) সন্তান জন্মদান। পরিবারের এ দুটি কাজের মধ্যে প্রথমটি অপরিবর্তিত থাকলেও সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে এমন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে যাতে কম সন্তান জন্ম লাভ করে। আধুনিক শিল্পায়নের যুগে পিতা-মাতাসহ পরিবারের সক্ষম সদস্যদেরকে ঘরের বাইরে অর্থ উপার্জনের জন্য ব্যস্ত থাকায় প্রায়শ শিশুকে নার্সারী অথবা দিবাযত্ন কেন্দ্রে রেখে লালনপালন করা হয়।
২) সন্তান প্রতিপপালনমূলক: নবজাত শিশুর লালন পালন থেকে শুরু করে ভরণ পোষণের দায়িত্ব পরিবারকে পালন করতে হয়। জন্ম লাভের পর সকল মানব শিশু থাকে অসহায়। এসময় শিশুর সেবা যত্ন ও লালন পালনের দায়িত্ব কেবল পরিবারের মধ্যেই সুষ্ঠুভাবে সম্পাদিত হতে পারে।
৩) মনস্তাত্ত্বিক: শিশুর প্রতি মমত্ববোধ থেকেই শিশুর লালন-পালনের দায়-দায়িত্বের ভিত্তি রচিত হয়। শিশুর গোসল, খাবার প্রদান, যত্ন, বিনোদনের আয়োজন, ব্যায়াম, আদর ইত্যাদি সকল কাজই পরিবার করে থাকে। শৈশব থেকে শুরু করে যৌবন এমনকি বৃদ্ধ বয়সেও মানুষের মনের অস্থিরতা প্রকাশ পেয়ে থাকে। জগতের নানা রহস্য নিয়ে শিশু-কিশোরদের মনে অনেক প্রশ্ন দানা বাঁধে। কখনো কখনো তারা স্পর্শকাতর হয়ে উঠে। তাই তাদের মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতে পরিবার গুরুত্বপূর্ণ মনস্তাত্ত্বিক কাজটি পালন করে থাকে। এছাড়া, পরিবারের বয়স্ক ব্যক্তিরা শিশুর সুষ্ঠু মানসিক বিকাশ তথা ভারসাম্যপূর্ণ ব্যক্তিত্ব গঠনে যে যত্নবান থাকেন সেটাও পরিবারের মনস্তাত্ত্বিক কাজের অন্তর্ভুক্ত।
৪) দৈহিক ও মানসিক নিরাপত্তামূলক: পরিবারের সকল সদস্য দৈহিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ ও সবল থাকে না। এক্ষেত্রে পরিবারের সুস্থ সদস্যরা অন্যান্য সদস্যদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে থাকেন। মানুষের মানসিক নিরাপত্তা বিধানে পরিবার অনেক বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। মানসিক নিরাপত্তাবোধ না থাকলে মানুষের মাঝে হতাশা, হীনমন্যতা ও আশঙ্কা সৃষ্টি হতে পারে যা জীবন ধারণে কষ্টকর। এর ফলে তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে এবং এরূপ বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে তারা অসামাজিক কাজে লিপ্ত হতে পারে।
৫) অর্থনৈতিক: আদিম সমাজে পরিবার গড়ে উঠার পেছনে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড অন্যতম ভূমিকা পালন করতো। সে সময় সমাজে মানুষের জৈবিক চাহিদার পাশাপাশি আর্থিক প্রয়োজনটাও জরুরি ছিল। বিবাহিত নব দম্পতি যে পরিবার গঠন করতো তার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল দলবদ্ধভাবে খাদ্য সংগ্রহ, পশু পালন এবং কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করা। খাদ্যের নিরাপত্তা তাদেরকে সর্বদা ব্যস্ত রাখতো। বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজের পরিবারগুলো এখনও উৎপাদন (চৎড়ফঁপঃরড়হ), বন্টন (উরংঃরনঁঃরড়হ) এবং ভোগের (ঈড়হংঁসঢ়ঃরড়হ) একক হিসেবে কাজ করে থাকে।
৬) শিক্ষাদানমূলক: আদিম ও মধ্যযুগে গৃহে বসেই মানুষ শিক্ষা লাভ করতো। পরিবারের দায়িত্ব ছিল সন্তান-সন্ততির লেখাপড়ার জন্য গৃহশিক্ষক নিযুক্ত করা এবং অনানুষ্ঠানিক বিদ্যালয় গড়ে তোলা। আধুনিক যুগে রাষ্ট্র ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান শিক্ষাদানের কাজটি গ্রহণ করলেও শিক্ষাদানের হাতে খড়ির কাজটি আজও মূলত পরিবারই করে থাকে। পরিবারই সন্তানদের ধর্মীয় ও সামাজিক নীতিবোধ শিক্ষা, বিদ্যালয়ে ভর্তি, বাড়িতে নিয়মিত পড়ালেখার উপর নজর, প্রয়োজনে গৃহশিক্ষকের ব্যবস্থা ইত্যাদি দায়িত্ব পালন করে।
৭) ধর্মীয় কাজ: মানব শিশু কোনো ধর্ম পালন করবে তা নির্ভর করে পারিবারিক ধর্মীয় শিক্ষার উপর। যেমন: মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণকারী পারিবারিক ধর্মীয় শিক্ষার কারণে ইসলাম ধর্মের রীতিনীতি মনে চলে, তেমনি হিন্দু পরিবারে জন্ম গ্রহণকারী শিশু হিন্দু ধর্মের রীতিনীতি মেনে চলে। সুতরাং ধর্মীয় শিক্ষার সূতিকাগার হচ্ছে পরিবার। যদিও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ধর্মের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।
৮) সামজিক মর্যাদা অর্পণমূলক: সামাজিক মর্যাদা অর্পণের ক্ষেত্রে পরিবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সমাজে ব্যক্তির মর্যাদা ও প্রতিষ্ঠা মূলত পারিবারিক পরিচিতির দিক থেকে অর্জিত হয় থাকে। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও রয়েছে। মাঝে মাঝে ব্যক্তি তার নিজের পরিচয়েও পরিচিতি লাভ করে।
৯) রাজনৈতিক: পরিবারই সন্তান-সন্ততিকে নেতৃত্ব, দায়িত্ববোধ-কর্তব্য, নিয়ম-শৃঙ্খলা ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষা দিয়ে থাকে। সন্তান-সন্ততিদেরকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা পরিবারের অন্যতম কাজ । পরিবার অধিকার ও কর্তব্যবোধের পাশাপাশি শিশুদের শৃঙ্খলাবোধও শিক্ষা দেয় যা সুনাগরিক হওয়ার জন্য এক অতীব প্রয়োজনীয় গুণ।
১০) সামাজিক নিয়ন্ত্রণমূলক: সামাজিক নিয়ন্ত্রণে পরিবারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। পরিবারের নিয়ন্ত্রণমূলক ভূমিকা তার সদস্যদেরকে অসামাজিক কাজ থেকে বিরত রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
১১) সামাজিকীকরণ: পরিবার হলো সামাজিকীকরণের সবচেয়ে বড় বাহন। পরিবার তার শিশু-কিশোরদের সামাজিক মূল্যবোধ, আচার-প্রথা, রীতি-নীতি তথা সংস্কৃতির ধ্যান-ধারণা সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান দান করে সামাজিক জীব হিসেবে গড়ে তুলে। আর পরিবারের এরূপ কার্যাবলিকে সমাজবিজ্ঞানের ভাষায় সামাজিকীকরণ বলে।
১২) বিনোদনমূলক: মানুষের বিনোদনের অন্যতম জায়গা হলো পরিবার। সারা দিনের কাজ শেষে ক্লান্তি দূর করার জন্য মানুষকে পরিবারের কাছে ছুটে আসতে হয়। পূর্বে গ্রামের পরিবারগুলো কবিগান, পালা গান, যাত্রা, কেচ্ছা-কাহিনী ইত্যাদির আয়োজন করলেও আধুনিক যুগে প্রযুক্তির উন্নয়নে মানুষের বিনোদেনর ক্ষেত্রও বদলে গেছে। বস্তুত, গ্রামীণ সংস্কৃতির উপর নগর সংস্কৃতির প্রভাব এখন খুবই প্রবল।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-
- ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,
৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :
- বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :
- মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- degree 3rd year philosophy 6th paper super suggestion, ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ১০০% কমন দর্শন ৬ষ্ঠ পত্র সাজেশন, ডিগ্রি ৩য় বর্ষ দর্শন ৬ষ্ঠ পত্র স্পেশাল সাজেশন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী ৩য় বর্ষ দর্শন ৬ষ্ঠ পত্র পরিক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান
- degree 3rd year psychology 6th paper super suggestion, ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ১০০% কমন মনোবিজ্ঞান ৬ষ্ঠ পত্র সাজেশন, ডিগ্রি ৩য় বর্ষ মনোবিজ্ঞান ৬ষ্ঠ পত্র স্পেশাল সাজেশন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী ৩য় বর্ষ মনোবিজ্ঞান ৬ষ্ঠ পত্র পরিক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান
- ডিগ্রি ১ম বর্ষের রেজাল্ট NU Degree 1st Year Result
- ডিগ্রী ২য় বর্ষের সাজেশন pdf
- Degree 2nd year suggestion
- Degree 2nd Year Math 4th paper Suggestion