hsc diploma in commerce 11 class banking and insurance 15th week assignment solution / answer 2021, ২০২১ সালের এইচএসসি ডিপ্লোমা ইন কমার্স ১১শ শ্রেণি ব্যাংকিং ও বিমা ১৫তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান 2021

শ্রেণি: ১১শ HSC ইন কমার্স -2021 বিষয়: ব্যাংকিং ও বিমা এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 10 বিষয় কোডঃ 1715
বিভাগ: ভোকেশনাল শাখা
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ বাংলাদেশের প্রক্ষাপটে অগ্নি বীমার প্রয়ােজনীয়তা ও ব্যাবসায়ের অগ্নি জনিত ঝুঁকি হ্রাস

শিখনফল/বিষয়বস্তু :

  • অগ্নি বীমা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা লাভ করবে ব্যাবসায়ের ঝুঁকি নিরসনে অগ্নি বীমার ভূমিকা ব্যাখ্যা করতে পারবে,
  • অগ্নি বীমার দাবি আদায় ও ক্ষতিপূরণের মীমাংসা পদ্ধতি গুলাে বর্ণনা করতে পারবে,
  • বাংলাদেশের পােশাক শিল্পখাতে অগ্নি বীমার অবদান ব্যাখ্যা করতে পারবে,

নির্দেশনা :  

  • অগ্নি বীমার সংজ্ঞা ও প্রয়ােজনীয়তা,
  • অগ্নি বীমার দাবি আদায় পদ্ধতি,
  • বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের ঝুঁকি হ্রাসে অগ্নি বীমার ভূমিকা,
  • অগ্নি বীমার মীমাংসা পদ্ধতি,

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

  • অগ্নি বীমার সংজ্ঞা ও প্রয়ােজনীয়তা,

নাম থেকেই প্রতীয়মান হয় যে, আগুনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই অগ্নি বিমার উদ্ভব হয়েছে।  সারাবিশ্বে এটি বহুল ব্যবহৃত বিমা। অগ্নি বিমা সম্পত্তি বিমার একটি ধরন মাত্র। এটি একটি চুক্তি। যে চুক্তির দ্বারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অগ্নিজনিত ক্ষতির জন্য বিমাগ্রহীতাকে বিমাকারী নির্দিষ্ট প্রিমিয়ামের বিনিময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে, তাকে অগ্নি বিমা বলে। 

আর. এস. শর্মার (R. S. Sharma) মতে, “অগ্নি বিমা চুক্তি একটি চুক্তি যার মাধ্যমে প্রতিদানের বিনিময়ে এক পক্ষ অপর পক্ষের বর্ণিত বিষয়বস্তু অগ্নি দ্বারা অথবা চুক্তিতে বর্ণিত অন্য কোনো বিপদে ক্ষতিগ্রস্ত হলে চুক্তিতে নির্ধাারিত পরিমাণ ক্ষতিপূরণ করার অঙ্গীকার করে।”

এম. এন. মিশ্রর (M. N. Mishra) মতে, “অগ্নিকান্ডের কারণে সৃষ্ট ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিকে অগ্নি বিমা বলে।” 

পরিশেষে বলা যায়, আগুনের ক্ষতি থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য যে বিমা করা হয়, তাকে অগ্নি বিমা বলে।  

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অন্যান্য বীমার ন্যায় অগ্নিবীমাও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। নিুে অর্থনৈতিক উন্নয়নে অগ্নিবীমার তাৎপর্য তুলে ধরা হলো ঃ

১. মূলধন গঠন ও বিনিয়োগঃ অগ্নিবীমার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং কোম্পানী প্রিমিয়াম হিসেবে প্রচুর অর্থ সংগ্রহ করে যা দেশের মূলধন গঠনে সাহায্য করে এবং উক্ত সংগৃহীত অর্থ লাভজনক উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করে। যার ফলে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায় ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইহা অবদান রাখে।

২. শিল্প ক্ষেত্রে অবদানঃ আজকাল প্রয়শঃই অগ্নি ও বৈদ্যুতিক দূর্ঘটনার মাধ্যমে ব্যবসায়ের অনেক সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে, যা ব্যবসায়ের গতিধারাকে বাধা গ্রস্থ করতে পারে। কিন্তু অগ্নিবীমা এক্ষেত্রে পরীক্ষিত বন্ধুর ন্যায় কাজ করে। অগ্নিজনিত কারণে ক্ষতি হলে অগ্নিবীমা তার ক্ষতি পূরণ করে ফলে ব্যবসায়ীগণ নিশ্চিন্তে ব্যবসা কার্য পরিচালনা করতে পারে।

৩. আর্থিক বুনিয়াদ মজবুত ও সুসংহত করেঃ ব্যবসায়িক ও অব্যবসায়িক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভবনসমূহ এবং প্রাতিষ্ঠানিক এলাকা সমনবয়ে আবয়িক অবকাঠামো অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাক্ষ্য বহন করে। অগ্নিবীমা অগ্নির ক্ষতির বিরুদ্ধে নিরাপত্তা দান করে থাকে ফলে দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামোগত ভিত্তি মজবুত হয়।

৪. সামাজিক কল্যাণ সাধন করে ঃ অগ্নিবীমা ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত ঝুঁকি বহন করে। কারো কোন অগ্নিজনিত ক্ষতি হলে তার ক্ষতি লাঘব করার জন্য উক্ত ক্ষতি অন্যান্যদের মধ্যে বন্টন করে দেয়। এভাবে কাউকে চরম অর্থনৈতিক দূর্দশা থেকে রক্ষা করে। এ ধরনের কার্য প্রকারন্তরে সামাজেরই কল্যাণ সাধন থাকে। এ ধরনের সামাজিক কল্যাণ আবার অর্থনৈতিক উন্নয়নের উপর ধনাÍক প্রভাব ফেলে।

৫. কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেঃ অগ্নিবীমা প্রতিষ্ঠান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে এতে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুতরাং বেকার সমস্যা কমাতে অগ্নিবীমা অবদান রাখচে।

৬. সচেতনতা বৃদ্ধি ঃ অগ্নিবীমা প্রতিষ্ঠানগুলো অগ্নিবীমা গ্রহণ করার সময় অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা বিবেচনা করে। যদি অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা না থাকে তবে সেদিকে নজর দেয় এবং অগ্নির ঝুঁকি কমানোর নানা পরামর্শ ও উৎসাহ দান করে থাকে। মাসে মাসে অগ্নিবীমাকারীর প্রতিনিধিরা অগ্নিবীমাকৃত সম্পদ পরিদর্শন করে ও উপদেশ দিয়ে থাকে। ফলে মানুষের মধ্যে অগ্নি ক্ষতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পায় এবং অগ্নি ঝুঁকিও কমে যায়।

৭. অন্যান্য বীমার পরিপূরক ভূমিকা পালন করেঃ অগ্নিবীমা ব্যবস্থা অন্যান্য বীমার পরিপূরক হয়ে ব্যক্তি, সমাজ এবং দেশের অর্থনৈতিক গতিকে আরও ত্বরানি¦ত করে। কারণ কোন বীমা ব্যবস্থাই একক ভাবে সার্বিক ভূমিকা পালন করতে পারে না।

পরিশেষে বলা যায় যে, অগ্নিবীমা দেশের সম্পদ রক্ষা করে, মূলধন গঠন করে ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে, ব্যবসা বাণিজ্যের চাকাকে সচল ও শক্তিশালী করে এবং দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • অগ্নি বীমার দাবি আদায় পদ্ধতি,

(ক) ক্ষতি হওয়ার সাথে সাথে বিমাগ্রহীতা বিমাকারীকে বিলম্ব না করে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানাবে;

(খ) ক্ষতি সংঘটিত হবার ৩০ দিনের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত বিবরণ লিখিতভাবে বিমাকারীকে জানাতে হবে। সেক্ষেত্রে খরচ বিমাগ্রহীতা বহন করবে।

(গ) বিমাকারী চাইলে বিমাগ্রহীতাকে দাবীর স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় প্রমাণ ও তথ্যাদিসহ একটি সংবিধিবদ্ধ ঘোষণা পেশ করতে হবে।

(ঘ) বিমাকারী বা তার প্রতিনিধি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংশপ্রাপ্ত সম্পদের দখল নিতে পারবে বা যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে প্রবেশ করতে পারবে;

(ঙ) বিমাকারী বিমাকৃত সম্পত্তির দখল নিতে পারবে এবং সম্পত্তির হস্তান্তর গ্রহণ করতে পারবে;

(চ) বিমাকারী যুক্তিসঙ্গত সময়ের জন্য ধ্বংসপ্রাপ্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত সম্পদের দখল বজায় রাখতে এবং ব্যবহার করতে পারবে। বিমাকারী ক্ষতিগ্রস্ত সম্পদের ভবিষ্যৎ ক্ষতি কমাতে তার অধিকার সংরক্ষণ ও প্রয়োগ করতে পারেন। আরও উল্লেখ্য
যে, বিমা গ্রহীতা এ ধরনের কাজে বাধা দান করলে বিমাকারী বিমাগ্রহীতার অধিকার বাজেয়াপ্ত করতে পারে।

অনেক সময় একই সম্পত্তি একাধিক বিমাকারীর নিকট বিমা করা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে ক্ষতি হলে সকল বিমাকারীকে অনুপাতিক হারে ক্ষতি প্রদানে অংশগ্রহণ করতে হয়। একাধিক বিমাকারীর সাথে বিমা করা হলে সহবিমাকারীগণ ক্ষতির
অংশ আনুপাতিক হারে পূরণ করে দিবে। বিমাকৃত সম্পত্তির মোট বিমাকৃত অর্থের সাথে সব ক’টি বিমাপত্রের বিমাকৃত অর্থের যে অনুপাত হয় সব ক্ষতিকে সে অনুপাতে ভাগ করলে প্রত্যেক বিমাকারীর ক্ষতির অংশ বের হয়ে যায়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের ঝুঁকি হ্রাসে অগ্নি বীমার ভূমিকা,

বিগত বেশ কিছু কাল যাবত রাজধানী ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নগরবাসীর মনে আতঙ্ক ও ভীতি সঞ্চার করেছে। এই সমস্ত অগ্নিকাণ্ডে সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি বহু মূল্যবান জীবনের অকাল অবসান ঘটেছে।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, এফআর টাওয়ার, গুলশানের ডিএনসিসির কিচেন মার্কেট, চকবাজারের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডে সম্পত্তির অভাবনীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এই সমস্ত ক্ষতি এক ধরনের জাতীয় সম্পদের অপচয় যা অগ্নিবীমার মাধ্যমে রোধ করা সম্ভব।

জানা মতে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্ষতিগ্রস্ত সম্পত্তির অগ্নিবীমা ছিল না। এই সমস্ক অগ্নিকাণ্ডে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির দায় দায়িত্ব পড়েছে সম্পত্তির মালিকের কাঁধে যা তাদের আর্থিকভাবে পঙ্গু বা নিঃস্ব করে দিতে পারে।

আইন করে সরকারি বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান, কল কারখানা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান-ভবন, রেসিডেন্সিয়াল হাই রাইজ টাওয়ার ইত্যাদি বাধ্যতামূলকভাবে অগ্নিবীমার আওতায় আনা প্রয়োজন। অগ্নিবীমার দৃষ্টিকোণ থেকে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করতে পারে।

আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যাপারটি গভীরভাবে বিবেচনা করে দেখবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে জাতীয় সম্পদের অপচয় রোধের পাশাপাশি অগ্নিবীমাখাতে প্রিমিয়াম প্রবৃদ্ধির পথও প্রশস্ত করা সহজ হবে।

আরেকটি বিষয় আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরই আগুন ধরার কারণ খোজা হয়ে থাকে। একইসঙ্গে কেন এই ভয়াবহ ক্ষতি। কেন উদ্ধার কাজ ব্যাহত হলো নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়। গত কয়েকদিন গণমাধ্যমে যেসব সংবাদ প্রকাশ হয়েছে তা থেকে জানা যায়, পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপন যন্ত্রের অভাব, বিল্ডিং কোড না মানা, ফায়ার এক্সিট না থাকার বিষয়গুলো সামনে আসে। অগ্নিবীমা করতে হলে বীমা কোম্পানিগুলো প্রি-ইন্সপেকশন করে থাকে প্রি ইন্সপেকশন এসব ত্রুটি সহজেই ধরা পড়ে।

এতে করে ভবন মালিকরা এসব বিষয়ে সচেতনভাবে পূর্ব প্রস্তুতি নিতে পারে। তাই অগ্নিবীমার শুধু আগুনে ক্ষয়ক্ষতির লোকসান পোষাতেই নয়, অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা আশা করছি, সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে। ভবনের অগ্নিবীমা বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • অগ্নি বীমার মীমাংসা পদ্ধতি,

অনেক সময় বিমাগ্রহীতা জানেন না বিমাকৃত কোম্পানির দাবি পরিশোধের সক্ষমতা বা গ্রাহক সেবার মান কেমন। এসব না জানার কারণে অগ্নিকান্ডের ক্ষতিগ্রস্ত হলে অধিকাংশ গ্রাহককে হয়রানির মধ্যে পড়তে হয়। এবার আসুন ক্ষতিপূরণ দাবী সম্পর্কে জেনে নিই।
কোম্পানিগুলো সাধারণত অগ্নি বিমা দাবিটি সঠিক কিনা তা যাচাই করতে জরিপকারী নিয়োগ করে।

এক্ষেত্রে অগ্নিকান্ডের ক্ষয়ক্ষতির প্রমাণ করতে গ্রাহককে সচেতন থাকতে হয়। কেননা দাবিটি নিষ্পত্তি করার জন্য বিমা কোম্পানি নানান কৌশল অবলম্বন করে। সঠিকভাবে দাবি উত্থাপন ও তা আদায় পদ্ধতি বর্ণনা করা হলো:

অগ্নি বিমা থেকে সুবিধা পেতে প্রত্যেক গ্রাহককে অগ্নি বিমা পলিসি করার সময় থেকেই সচেতন থাকা উচিত। এক্ষেত্রে প্রথমেই যে বিষয়টি খেয়াল রাখা উচিত তা হলো, বিমা চুক্তিতে প্রয়োজনীয় সব বিষয় আছে কিনা তা নিশ্চিত করা।


সেগুলো অবশ্যই দেখে-বুঝে নিতে হবে। যেমন, তার কি ধরণের কভারেজ আছে, কি কি বিষয় কভারেজের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং কি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

অগ্নিকান্ডের ক্ষতিগ্রস্ত হলে দাবি উত্থাপনের শর্তগুলো কি, কত দিনের মধ্যে দাবি উত্থাপন করতে হবে ইত্যাদি বিষয় বুঝে নেয়ার পর তাকে নিশ্চিত হতে হবে, পলিসির প্রিমিয়ামের টাকা সঠিকভাবে কোম্পানিতে জমা হলো কি না। এক্ষেত্রে পলিসি করার জন্য কোনো ব্যক্তির হাতে প্রিমিয়ামের টাকা না দিয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে প্রিমিয়াম জমা করা উচিত।

বিমা কোম্পানির অ্যাডজাস্টার বা সমন্বয়কারীর সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে রেকর্ড রাখুন। এসব রেকর্ডের পৃথক ফাইল করুন। যখন কোন তথ্য বা নথি অ্যাডজাস্টারের কাছে জমা দেবেন তখন সতর্কতা অবলম্বন করুন। প্রতিটি নথির অনুলিপি সংগ্রহ করুন। বিমাচুক্তি চূড়ান্ত বিশ্বাসের চুক্তি। তাই চুক্তিভুক্ত দুটি পক্ষের যে কেউ যদি মিথ্যার আশ্রয় নেয় তবে চুক্তি বাতিলযোগ্য।

বিমাপত্রে যে সকল তথ্য চাওয়া হয় তার মধ্যে বিমাকৃত সম্পত্তি পূর্বে বিমা করা হয়েছে কিনা, বিমা গ্রহীতার কখনও লোকসান হয়েছে কিনা, কোন বিমা কোম্পানি উক্ত সম্পত্তি বিমা করতে বা নবায়ন করতে অস্বীকার করেছে কিনা ইত্যাদি প্রশ্নের সঠিক উত্তর না দিলে বা মিথ্যা বর্ণনার আশ্রয় নিলে চূড়ান্ত বিশ্বাস ভঙ্গ হয় এবং বিমা বাতিলযোগ্য হয়। ফলে বিমাকারী বিমা দাবী অস্বীকার করতে পারে।
অগ্নিজনিত কারণে ক্ষতিসাধন হলে যে নিয়মে দাবী উত্থাপন করতে হয় তা এখানে উল্লেখ করা হলোঃ

(ক) ক্ষতি হওয়ার সাথে সাথে বিমাগ্রহীতা বিমাকারীকে বিলম্ব না করে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানাবে;

(খ) ক্ষতি সংঘটিত হবার ৩০ দিনের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত বিবরণ লিখিতভাবে বিমাকারীকে জানাতে হবে। সেক্ষেত্রে খরচ বিমাগ্রহীতা বহন করবে।

(গ) বিমাকারী চাইলে বিমাগ্রহীতাকে দাবীর স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় প্রমাণ ও তথ্যাদিসহ একটি সংবিধিবদ্ধ ঘোষণা পেশ করতে হবে।

(ঘ) বিমাকারী বা তার প্রতিনিধি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংশপ্রাপ্ত সম্পদের দখল নিতে পারবে বা যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে প্রবেশ করতে পারবে;

(ঙ) বিমাকারী বিমাকৃত সম্পত্তির দখল নিতে পারবে এবং সম্পত্তির হস্তান্তর গ্রহণ করতে পারবে;

(চ) বিমাকারী যুক্তিসঙ্গত সময়ের জন্য ধ্বংসপ্রাপ্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত সম্পদের দখল বজায় রাখতে এবং ব্যবহার করতে পারবে। বিমাকারী ক্ষতিগ্রস্ত সম্পদের ভবিষ্যৎ ক্ষতি কমাতে তার অধিকার সংরক্ষণ ও প্রয়োগ করতে পারেন। আরও উল্লেখ্য
যে, বিমা গ্রহীতা এ ধরনের কাজে বাধা দান করলে বিমাকারী বিমাগ্রহীতার অধিকার বাজেয়াপ্ত করতে পারে।

অনেক সময় একই সম্পত্তি একাধিক বিমাকারীর নিকট বিমা করা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে ক্ষতি হলে সকল বিমাকারীকে অনুপাতিক হারে ক্ষতি প্রদানে অংশগ্রহণ করতে হয়। একাধিক বিমাকারীর সাথে বিমা করা হলে সহবিমাকারীগণ ক্ষতির
অংশ আনুপাতিক হারে পূরণ করে দিবে। বিমাকৃত সম্পত্তির মোট বিমাকৃত অর্থের সাথে সব ক’টি বিমাপত্রের বিমাকৃত অর্থের যে অনুপাত হয় সব ক্ষতিকে সে অনুপাতে ভাগ করলে প্রত্যেক বিমাকারীর ক্ষতির অংশ বের হয়ে যায়।

বর্ণিত সূত্র অনুসারে তা নির্ণয় করা হয়ঃ
সহবিমাকারীর ক্ষতি পূরণের অংশ = ক্ষতি *
বীমাপত্রের অংশের পরিমাণ/ সকল বীমাপত্রের মোট অর্থের পরিমাণ যেমন- মনে করুন,

জনাব শরিফ
তার বাড়ি ও আসবাবপত্র “ক” কোম্পানির নিকট ৬০,০০০ টাকার বিমা করে এবং “খ” কোম্পানির নিকট শুধু বাড়ি ৩০,০০০ টাকা বিমা করে। অগ্নিকান্ডের ফলে জনাব শরিফের ৪০,০০০ টাকা পরিমাণ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ১০,০০০ টাকা পরিমাণ আসবাবপত্র ক্ষতি হয়। এক্ষেত্রে বাড়ির ক্ষতিপূরণ নিচে বণ্টিত হবে-

বাড়ির জন্য “ক” কোম্পানির অংশ গ্রহণ হবে

= ৪০,০০০* (৬০‚০০০/ ৯০‚০০০)
= ২৬,৬৬৬.৬৭ টাকা

বাড়ির জন্য “খ” কোম্পানির অংশ গ্রহণ হবে

= ৪০,০০০ *(৩০‚০০০/৯০‚০০০)
= ১৩,৩৩৩.৩৩ টাকা

আর আসবাবপত্রের জন্য শুধু “ক” কোম্পানি দিবে ১০,০০০ টাকা
ফলে “ক” কোম্পানির দায় প্রদেয় ২৬,৬৬৬.৬৭ + ১০,০০০= ৩৬,৬৬৬.৬৭ টাকা
এবং ”খ” কোম্পানির প্রদেয় ১৩৩৩৩.৩৩ টাকা। পক্ষান্তরে আসবাবপত্রের ক্ষতিপূরণ প্রথম ধরা হলে ক্ষতিপূরণের অংশগ্রহণ হবে নিন্ম
আসবাব পত্রের জন্য “ক” কোম্পানির প্রদেয় ১০০০০ টাকা
এখন “ক” কোম্পানির অবশিষ্ট থাকল ৬০,০০০- ১০,০০০
=৫০,০০০ টাকা

বাড়ির জন্য “ক” কোম্পানির দেয় ৪০,০০০(৫০‚০০০/৮০‚০০০) = ২৫,০০০ টাকা বাড়ির জন্য “খ” কোম্পানির দেয় ৪০,০০০ (৩০‚০০০/৮০‚০০০)
= ১৫,০০০ টাকা।

তাহলে,
বাড়ির জন্য ‘ক’ কোম্পানির দিতে হয় মোট ১,০০০০+২৫,০০০০=৩৫,০০০/-
এবং ‘খ’ কোম্পানিকে দিতে হয় মোট = ১৫,০০০ টাকা।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

Leave a Comment