শ্রেণি: ১১শ / HSC ইন কমার্স -2021 বিষয়: বাণিজ্যিক ভূগোল এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021 |
---|
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 09 বিষয় কোডঃ 1717 |
বিভাগ: ভোকেশনাল শাখা |
এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ আধুনিক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় পরিবহন ব্যবস্থা হিসাবে রেলপথের ভূমিকা বিশ্লেষণ।
শিখনফল/বিষয়বস্তু :
- বাংলাদেশের বাণ্যিজ্যিক ভূগোল (বাংলাদেশের পরিবহন)
নির্দেশনা :
- আধুনিক বাংলাদেশের ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে,
- পরিবহন ব্যবস্থার ধারণা ও শ্রেণিবিন্যাস ব্যাখ্যা করতে হবে,
- পরিবহন ব্যবস্থায় রেলপথের ভূমিকা ব্যাখ্যা করতে হবে,
- বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় রেলপথের ভূমিকা সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে হবে।,
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
- আধুনিক বাংলাদেশের ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে,
বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপই হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে একটি উন্নত, বিজ্ঞানমনস্ক সমৃদ্ধি বাংলাদেশকে বোঝায়।‘ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে সেই সুখী, সমৃদ্ধ, শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর বৈষম্য, দুর্নীতি, দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ, যা প্রকৃতপক্ষেই সম্পূর্ণভাবে জনগণের রাষ্ট্র এবং যার মুখ্য চালিকাশক্তি হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তি।’এটি বাংলাদেশের জনগণের উন্নত জীবনের প্রত্যাশা, স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা। এটি বাংলাদেশের সব মানুষের ন্যূনতম মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর প্রকৃষ্ট পন্থা। এটি বাংলাদেশের জন্য স্বল্পোন্নত বা দরিদ্র দেশ থেকে সমৃদ্ধ ও ধনী দেশে রূপান্তরের জন্য মাথাপিছু আয় বা জাতীয় আয় বাড়ানোর অধিকার। এটি হচ্ছে একুশ শতকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা।
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ একটি প্রত্যয়, একটি স্বপ্ন। বিরাট এক পরিবর্তন ও ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এখন এগিয়ে চলছে। একুশ শতকে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে ৬ জানুয়ারি ২০০৯ শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো শপথ নেন। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের বছরে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণই ছিল তাদের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রধান বিষয়।
২ ডিসেম্বর, ২০০৮ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করে যে ‘২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে’ পরিণত হবে।একটি উন্নত দেশ, সমৃদ্ধ ডিজিটাল সমাজ, একটি ডিজিটাল যুগের জনগোষ্ঠী, রূপান্তরিত উৎপাদনব্যবস্থা, নতুন জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি—সব মিলিয়ে একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের স্বপ্নই দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বস্তুত জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রথম সোপান। একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য যে সমৃদ্ধি ও উন্নত জীবন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলাম, ডিজিটাল বাংলাদেশ আমাদের সেই স্বপ্ন পূরণ করবে। ‘বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি’ ১৭ থেকে ১২ নভেম্বর ২০০৯-এ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ সামিট’ নামক এ বিষয়ে প্রথম শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করে, যাতে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা এবং অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো আলোচিত হয়।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
- পরিবহন ব্যবস্থার ধারণা ও শ্রেণিবিন্যাস ব্যাখ্যা করতে হবে,
কোন দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকেই সে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। অর্থনৈতিক উন্নয়নে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা অপরিহার্য। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের বিশেষত ভারত ও পাকিস্ত ানের তুলনায় নদী মাতৃক বাংলাদেশে পরিবহণ ব্যবস্থায় পিছিয়ে থাকলেও গত এক দশকে এর উন্নয়নের চেষ্টা চলছে।
পরিবহণ বাধ্যমের ভিত্তিতে বাংলাদেশের পরিবহণ ব্যবস্থাকে প্রধানতঃ তিনভাগে বিভক্ত করা যায়; যথা- স্থল, নৌ ও আকাশ পরিবহণ। স্থল পরিবহণ আবার দুই প্রকার; যথা – রেলপথ ও সড়ক পথ।
নদী মাতৃক বাংলাদেশের উপর দিয়ে অসংখ্য নদ-নদী জালের ন্যায় ছড়িয়ে আছে। এছাড়াও এখানে অসংখ্য খাল-বিল রয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশে স্থল পরিবহণ অপেক্ষা নৌ পরিবহনের গুরুত্ব বেশী। বিশেষতঃ বর্ষাকালে বাংলাদেশের বেশ কিছু জেলায় নৌ পরিবহণই প্রধান পরিবহণ মাধ্যম হিসাবে কাজ করে।
উলে−খযোগ্য যে, বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি থানার সাথে জেলার সরাসরি কোন সড়ক সংযোগ নাই। যেনম- কিশোরগঞ্জ জেলার সাথে এর চারটি উপজেলার (ইটনা, মিঠামহন, নিকলি ও অষ্টগ্রাম) পরিবহণ যোগাযোগ স¤পূর্ণভাবে নৌপথ নির্ভর। নিুে বাংলাদেশের পরিবহণ ব্যবস্থার প্রধান ভাগ ও উপভাগগুলি দেখানো হলো ঃ
রেলপথ, সড়কপথ, নৌপথ ও আকাশ পথের সমন্বয়ে দেশে পরিবহণ নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। যদিও পরিবহণ ব্যবস্থার গতিধারার পরিবর্তনের সাথে সাথে দেশের উন্নয়ন পরিক্রমায় এসব উপ-খাতের পারস্পরিক গুরুত্ব ও পরিবর্তিত হচ্ছে, তথাপি প্রতিটি উপ-খাতই এখন পর্যন্ত অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
- পরিবহন ব্যবস্থায় রেলপথের ভূমিকা ব্যাখ্যা করতে হবে,
ভারত বিভাগের সময় পূর্ব পাকিস্তানে (১৯৪৭) মাত্র ২,৭০৬ কিঃ মিঃ রেলপথ ছিল। বর্তমানে বাংলাদেশের রেলপথের দৈর্ঘ্য ২৭০৬ কিঃ মিঃ (১৯৯৭)।
এ পরিসংখ্যান হতে প্রতীয়মান হয় যে, ১৯৪৭ সাল হতে বর্তমান পর্যন্ত দেশের রেলপথের সম্প্রসারণ ঘটে নাই। বাংলাদেশে রেলপথের পরিমান অল্প হলেও ইহা দেশের অন্যতম প্রধান স্থল পরিবহণ মাধ্যম এবং ঐতিহ্যগতভাবে স্থল পরিবহনের ক্ষেত্রে এবং সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ রেলওয়ে এখনও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ইহা দেশের প্রধান প্রধান শহর, বন্দর, বাণিজ্য ও শিল্পকেন্দ্রের সঙ্গে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সংযোগ সাধন করছে। ফলে নূতন শিল্প স্থাপন, বাণিজ্যের সম্প্রসারণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে রেলপথের প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে, বর্তমানে সড়ক পথের দ্রুত সম্প্রসারণের ফলে বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিবহনের ক্ষেত্রে তীব্র প্রতিযোগিতার স¤মুখীন।
বাংলাদেশের রেলপথের বিবরণ
বর্তমানে বাংলাদেশে যে পরিমান রেলপথ আছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম রেলপথের সূচনা হয় ১৮৬২ সালের ১৫ই নভেম্বর। দর্শনা হতে জগতী পর্যন্ত ৫৩ কি.মি.। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় অবিভক্ত ভারতে ৯টি প্রধান রেলপথ ছিল। বাংলাদেশে উহার একটি আংশিকভাবে লাভ করে। ঐ সময় বাংলাদেশ রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ছিল ২৭০৬ কি.মি. যা আসাম বেঙ্গল রেলপথের অংশ বিশেষ ছিল।
এর মধ্যে ব্রডগেজ ৮৭৫ কি.মি., মিটারগেজ ১৮০০ কি.মি. এবং ন্যারোগেজ ৩১ কি. মি. রেলপথ ছিল। ১৯৭২-৭৩ সালে দেশে মোট রেলপথের দৈর্ঘ্য ছিল ২,৮৭৪.৩ কি.মি., যা ১৯৭৯-৮০ সালে সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে ২,৮৮৩.৯ কি.মি. হলেও তা ১৯৮২-৮৩ সালে হ্রাস পেয়ে ২,৮৬৬.১ কি. মিঃ হয়।
পরবর্তীতে এই রেলপথের দৈর্ঘ্য ক্রমান্বয়ে আরও হ্রাস পেয়ে ১৯৯২-৯৩ সালে ২,৭০৬ কি.মি. হয়েছে, যা এখনও অপরিবর্তিত আছে। এর মধ্যে ব্রডগেজ ৮৮৪ কি.মি. ও মিটারগেজ ১,৮২২ কি.মি.।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
- বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় রেলপথের ভূমিকা সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে হবে।,
ভারত বিভাগের সময় পূর্ব পাকিস্তানে (১৯৪৭) মাত্র ২,৭০৬ কিঃ মিঃ রেলপথ ছিল। বর্তমানে বাংলাদেশের রেলপথের দৈর্ঘ্য ২৭০৬ কিঃ মিঃ (১৯৯৭)। এ পরিসংখ্যান হতে প্রতীয়মান হয় যে, ১৯৪৭ সাল হতে বর্তমান পর্যন্ত দেশের রেলপথের সম্প্রসারণ ঘটে নাই। বাংলাদেশে রেলপথের পরিমান অল্প হলেও ইহা দেশের অন্যতম প্রধান স্থল পরিবহণ মাধ্যম এবং ঐতিহ্যগতভাবে স্থল পরিবহনের ক্ষেত্রে এবং সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ রেলওয়ে এখনও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ইহা দেশের প্রধান প্রধান শহর, বন্দর, বাণিজ্য ও শিল্পকেন্দ্রের সঙ্গে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সংযোগ সাধন করছে। ফলে নূতন শিল্প স্থাপন, বাণিজ্যের সম্প্রসারণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে রেলপথের প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে, বর্তমানে সড়ক পথের দ্রুত সম্প্রসারণের ফলে বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিবহনের ক্ষেত্রে তীব্র প্রতিযোগিতার স¤মুখীন।
াংলাদেশের প্রধান প্রধান রেলপথ সমূহ (গধরহ জধরষধিুং ড়ভ ইধহমষধফবংয) রেলপথের উন্নয়ন কার্যক্রম অনুযায়ী বাংলাদেশের রেলপথকে তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত করা হয়। যেমন –
(ক) বৃটিশ আমলের রেলপথ,
(খ) পাকিস্তান আমলের রেলপথ ও
(গ) বাংলাদেশ আমলের রেলপথ।
বর্তমানে বাংলাদেশে ব্রডগেজ ও মিটারগেজ রেলপথ রয়েছে। ব্রডগেজ রেলপথ যুমনা নদীর পশ্চিমাংশে অর্থাৎ খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের কিছু অংশ এবং মিটারগেজ রেলপথ যমুনা নদীর পূর্বাংশে অর্থাৎ ঢাকা বিভাগ ও চট্টগ্রাম বিভাগ ও রাজশাহী বিভাগের কিছু অংশ।
ক. মিটারগেজ রেলপথ ঃ বাংলাদেশে বর্তমানে (১৯৯৬) ১৮২২ কিঃ মিঃ মিটারগেজ রেলপথ আছে এবং ইহার অধিকাংশই ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে অবস্থিত। এ প্রকার রেলপথের মধ্যে উলে−খযোগ্য রেলপথ হলোঃ
১. চট্টগ্রাম – লাকসাম – আখাউড়া – ভৈরববাজার – নরসিংদী – টঙ্গী – ঢাকা – নারায়নগঞ্জ রেলপথ বাংলাদেশের উলে−খযোগ্য রেলপথ।
২. আখাউড়া-শায়েস্তাগঞ্জ-কুলাউড়া-সিলেট-ছাতক রেলপথ।
৩. নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা-টঙ্গী-ময়মনসিংহ-জামালপুর রেলপথ।
৪. জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ – বাহাদুরাবাদ ঘাট রেলপথ।
৫. জামালপুর – সরিষাবাড়ী – জগন্নাথগঞ্জ রেলপথ।
৬. লাকসাম – চৌমুহনী – নোয়াখালী – সোনাপুর রেলপথ।
৭. ভৈরব বাজার – গৌরীপুর – ময়মনসিংহ রেলপথ।
৮. গৌরীপুর – নেত্রকোনা – মোহনগঞ্জ রেলপথ।
৯. চট্টগ্রাম – দোহাজারী এবং চট্টগ্রাম – হাটহাজারী – নাজির হাট – ফটিকছড়ি রেলপথ।
১০. শান্তাহার – ফুলছড়ি – লালমনির হাট – হাতীবান্দŸা রেলপথ।
১১. বোনারপাড়া – বগুড়া – শান্তাহার রেলপথ।
১২. ফুলছড়ি ঘাট – বোনারপাড়া – কাউনিয়া – রম্পুর – পাবর্তীপুর – দিনাজপুর রেলপথ।
খ. ব্রডগেজ রেলপথ ঃ বাংলাদেশে বর্তমানে (১৯৯৬) ৮৮৪ কি ঃ মিঃ ব্রডগেজ রেলপথ আছে। এই প্রকারের রেলপথ খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত। তবে ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলায় সামান্য ব্রডগেজ রেলপথ আছে। নিুে ব্রডগেজ রেলপথের প্রধান পথগুলি দেখানো হলো ঃ
১. খুলনা – যশোহর – দর্শনা – চুয়াডাঙ্গা – পোড়াদহ – ঈশŸরদী – শান্তাহার – পার্বতীপুর – সৈয়দপুর – চিলহাটি রেলপথ বাংলাদেশের বৃহত্তম রেলপথ।
২. ঈশŸরদী – আব্দুলপুর – রাজশাহী – আমনূরা – চাঁপাই নবাবগঞ্জ রেলপথ। ৩. পোড়াদহ – কুষ্টিয়া – রাজবাড়ী – গোয়ালন্দ রেলপথ।
৪. রাজবাড়ী – ফরিদপুর রেলপথ।
৫. যশোহর – বেনাপোল রেলপথ।
৬. পার্বতীপুর – জয়পুরহাট – শান্তাহার – নাটোর রেলপথ।
বাংলাদেশ রেলপথে বাহিত যাত্রী ও মালের পরিমাণ
১৯৭২-৭৩ সালে রেলপথে মোট যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের পরিমান ছিল যথাক্রমে ২৭৯.৯৮ কোটি প্যাসেঞ্জার কিঃ মিঃ ও ৬৬.৭৩ কোটি টন কিলোমিটার, যা ১৯৮৪-৮৫ সালে বৃদ্ধি পেয়ে যথাক্রমে ৬০৩.১৩ কোটি প্যাসেঞ্জার কিঃ মিঃ ও ৮১.২৯ কোটি টন কিঃ মিঃ হয়। পরবর্তীতে ১৯৯০-৯১ সালে রেলপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের পরিমান যথাক্রমে ৪৫৮.৬৮ কোটি প্যাসেঞ্জার কিঃ মিঃ ও ৬৫.১০ কোটি টন কিঃ মিঃ হয়। পণ্য পরিবহণ পরবর্তীতে কিছুটা বৃদ্ধি পেলে ও যাত্রী পরিবহণ ক্রমাগত হ্রাস পেতে থাকে। ১৯৯৬-৯৭ সালে যাত্রী হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় ৩৭৫.৪ কোটি প্যাসেঞ্জার কিঃ মিঃ। পণ্য পরিবহণ বৃদ্ধি পায় ৭৮.২৫ কোটি টন কিঃ মিঃ। ১৯৯৭-৯৮ সালে যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ যথাক্রমে ৩৯৮.৯ কোটি প্যাসেঞ্জার কিঃ মিঃ ও ৭৬.৫ কোটি টন কিঃ মিঃ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ১৯৯৭-৯৮ সালের রাজস্ব আয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৭০.০০ কোটি টাকা। অন্যদিকে খুচরা যন্ত্রাংশ ও তেলের মূল্য বৃদ্ধিসহ অন্যান্য ব্যয় বৃদ্ধির কারণে রাজস্ব ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০৬.২ কোটি টাকা।
বাংলাদেশের রেলপথে সাধারণতঃ কন্টেইনার, পাট, পাটজাতদ্রব, ধান, চাউল, গম, চা, চামড়া, সিমেন্ট, চিনি, লবণ, কয়লা ইত্যাদি পরিবাহিত হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের রেলপথের গুরুত বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পরিবহনের মাধ্যম হিসাবে রেল পরিবহনের গুরত্ব অপরিসীম। নিুে বাংলাদেশ রেল পরিবহনের গুরুত্ব আলোচনা করা হলো ঃ
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
১. পণ্য পরিবহণ ঃ পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলপথের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ রেলপথ দেশের প্রায় সকল গুরুত্বপূর্ণ শহর, বন্দর, শিল্প ও বাণিজ্য কেন্দ্রের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ায় কৃষি দ্রব্য ও শিল্পজাত দ্রব্য এক স্থান হতে অন্যস্থানে অতি সহজে রেলের মাধ্যমে পরিবাহিত হয়। এ ছাড়াও দেশের বৃহত্তম বন্দরের সঙ্গে রেল পথের সংযোগ থাকায় দেশের বিভিন্ন স্থান হতে রপ্তানিযোগ্য পণ্য সামগ্রী বন্দরে পৌঁছানো সুবিধা হয়। পরিসংখ্যানে দেখা যায় প্রতি বছর বাংলাদেশ রেলপথের মাধ্যমে প্রায় ২৬ লক্ষ টন পণ্যদ্রব্য পরিবাহিত হয়।
২. যাত্রী পরিবহণ ঃ যাত্রী পরিবহনে রেলপথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী রেলপথের মাধ্যমে এক জায়গা হতে অন্য জায়গায় যাতায়াত করে থাকে। অবশ্য এ পথে শ্রেণী ভিত্তিতে লোকজন যাতায়াত করে। এ পথে বাংলাদেশের রেল পথকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায়?
শ্রেণীভিত্তিতে বসবার আসন বরাদ্দ করা থাকে। শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত কামরা, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর কামরা প্রভৃতির ভাড়া নির্ধারণ করা থাকে। এ পথে প্রতি বছর প্রায় ১১ কোটি যাত্রী যাতায়াত করে।
৩. কৃষি উপকরণ ঃ কৃষি উন্নয়নের ক্ষেত্রে রেলপথের গুরুত্ব অপরিসীম। এ পথে কৃষি উপকরণ সমূহ বিশেষ করে বীজ, সার, কীটনাশক, ঔষধ, ট্রাক্টর, পানি সেচ যন্ত্রপাতি প্রভৃতি গ্রামাঞ্চলে পরিবাহিত হয়। আবার গ্রামাঞ্চল হতে কৃষিজাত পণ্য শহর ও বন্দরের বাজারে এ পথের মাধ্যমে পাঠান সম্ভব হয়। ইহাকে কৃষকগণ তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পায়। ফলে কৃষির উন্নয়ন সাধন ঘটে।
৪. শিল্পোন্নয়ন ঃ দেশের শিল্পোন্নয়নে রেলপথ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ পথের সাহায্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে শিল্পের কাঁচামাল শিল্পকেন্দ্রে আনয়ন করা যায়। আবার শিল্প কেন্দ্র হতে উৎপাদিত শিল্পজাত দ্রব্য দেশের বিভিন্ন অংশে রেলপথের মাধ্যমে পৌঁছানো হয়। ফলে দ্রুত শিল্পের উন্নয়ন ঘটে।
৫. বাজারের বিস্তৃতি ঃ বাজারের বিস্তৃতি ঘটাতে রেলপথের গুরুত্ব যথেষ্ট। কৃষি ও শিল্পজাত দ্রব্যের বাজার প্রসারে এ পথ সাহায্য করে। কারণ এপথে দেশের বড় বড় বাণিজ্য ও শিল্প কেন্দ্রের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে।
৬. শ্রমের গতিশীলতা ঃ রেলপথে দেশে শ্রমের গতি শীলতা বৃদ্ধি করে। এ পথে খুব সূলভে একস্থান হতে অন্য স্থানে শ্রমিকেরা কাজের সন্ধানে যাতায়াত করতে পারে। ফলে শিল্প প্রতিষ্ঠান ও কৃষি ক্ষেত্রে শ্রমিক পেতে অসুবিধা হয় না। আবার শ্রমিকদের ও কর্ম নিয়োগের পথ বৃদ্ধি পায়।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-
- ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,
৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :
- বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :
- মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক