OECD এর নীতিমালা শেয়ার হোল্ডারদের অসুবিধা সমূহ বর্ণনা কর
OECD এর নীতিমালা শেয়ারহোল্ডারদের অধিকার এবং সুবিধা সুরক্ষার জন্য গঠন করা হয়েছে, তবে এর কিছু সীমাবদ্ধতা বা অসুবিধাও রয়েছে। এই নীতিমালা বাস্তবায়নে বিভিন্ন পর্যায়ে জটিলতা এবং চ্যালেঞ্জ দেখা দিতে পারে, যা শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কিছু অসুবিধা তৈরি করতে পারে। নিচে এসব অসুবিধা বর্ণনা করা হলো:
1. ন্যায্য আচরণ বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ
- কিছু ক্ষেত্রে সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারদের অধিকার ঠিকমতো রক্ষা করা সম্ভব হয় না।
- বড় শেয়ারহোল্ডাররা তাদের শক্তি ব্যবহার করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের উপেক্ষা করতে পারে।
2. স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ব্যর্থতা
- অনেক কোম্পানি আর্থিক তথ্য বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশে অনিচ্ছুক বা অস্বচ্ছ থাকে।
- তথ্যের অভাব শেয়ারহোল্ডারদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
3. জটিল সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়া
- জেনারেল মিটিং-এ অংশগ্রহণ বা ভোটদানের সুযোগ থাকলেও, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া প্রায়শই দীর্ঘ এবং জটিল হয়।
- সব শেয়ারহোল্ডারদের মতামত গ্রহণ করা বা কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা কঠিন।
4. নৈতিক ঝুঁকি
- কিছু পরিচালনা পর্ষদ বা কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের চাহিদা উপেক্ষা করে ব্যক্তিগত স্বার্থে কাজ করতে পারে।
- শেয়ারহোল্ডারদের সাথে অসততা বা প্রতারণা করার ঝুঁকি থাকতে পারে।
5. আইনি কাঠামোর সীমাবদ্ধতা
- OECD নীতিমালা আন্তর্জাতিকভাবে প্রণীত হলেও, অনেক দেশে স্থানীয় আইন এবং নিয়মাবলির সাথে এর অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয়।
- উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নীতিমালার কার্যকর বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জপূর্ণ হতে পারে।
6. পরিচালনার উপর অতিরিক্ত চাপ
- কোম্পানিগুলোর উপর শেয়ারহোল্ডারদের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখার চাপ বৃদ্ধি পায়, যা কার্যক্রমের গতিকে ধীর করে দিতে পারে।
- পরিচালকদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত জটিলতা তৈরি হয়।
7. সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারদের সীমিত ক্ষমতা
- বড় শেয়ারহোল্ডারদের প্রভাবের কারণে সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারদের ভোট ও মতামত কার্যকর হয় না।
- বড় বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির নীতি প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়, যা সংখ্যালঘুদের অধিকার হ্রাস করে।
8. খরচ বৃদ্ধি
- নীতিমালা অনুসরণ করতে গিয়ে কোম্পানিগুলোর প্রশাসনিক ব্যয় বেড়ে যেতে পারে।
- এই ব্যয় পরোক্ষভাবে শেয়ারহোল্ডারদের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, যেমন কম লভ্যাংশ।
উপসংহার : OECD নীতিমালা শেয়ারহোল্ডারদের জন্য অনেক সুবিধা নিয়ে এলেও এর কিছু সীমাবদ্ধতা এবং বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সঠিকভাবে বাস্তবায়ন না হলে, এটি শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থের পরিপন্থী হয়ে দাঁড়াতে পারে। এই সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য আরও শক্তিশালী এবং প্রাসঙ্গিক ব্যবস্থা প্রয়োজন।
একাডেমিক শিক্ষা বিষয়ক লিখিত প্রশ্ন সমাধান পেতে ক্লিক করুন।
আর্টিকেলের শেষ কথাঃ OECD এর নীতিমালা শেয়ার হোল্ডারদের অসুবিধা সমূহ বর্ণনা কর
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস সর্বশেষ আপডেট পেতে Google News অনুসরণ করুন
আরো পড়ুন:
- মুদ্রা বাজার ও মূলধন বাজার মধ্যে পার্থক্য কি?
- মার্চেন্ট ফাইন্যান্স ও কর্পোরেট ফাইন্যান্স মধ্যে পার্থক্য কি?
- বার্ষিক বৃত্তি বলতে কি বুঝায় উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর
- বাট্টাকরণ ও চক্রবৃদ্ধিকরণ পার্থক্য
- কর্পোরেট অর্থের কৌশল সমূহ সংক্ষেপে বর্ণনা করো