বিষয়: Paricel অম্লতা থেকে বাঁচর জন্য ,গ্যাস্ট্রিক আলসার সমাধান প্যারিসেল ,পাকস্থলীর ক্ষত নিরাময়ে জন্য প্যারিসেল,গ্যাসের হাত থেকে বাঁচতে প্যারিসেল
প্যারিসেল ট্যাবলেট
র্যাবিপ্রাজল সোডিয়াম
২০ মি.গ্রা.
এ সি আই লিমিটেড
Unit Price: ৳ 6.00 (100’s pack: ৳ 600.00)
Also available as:
নির্দেশনা
র্যাবিপ্রাজল গ্যাস্ট্রো-রেজিস্ট্যান্ট ট্যাবলেট নিম্নবর্ণিত চিকিৎসায় নির্দেশিত:
- সক্রিয় ডিওডেনাল আলসার।
- সক্রিয় ঝুঁকিমুক্ত পাকস্থলির আলসার।
- পাকস্থলি ও খাদ্যনালীর ক্ষয় সৃষ্টিকারী উপসর্গযুক্ত অথবা আলসারেটিভ রিফ্লাক্স রোগ।
- পাকস্থলি ও খাদ্যনালীর রিফ্লাক্স রোগ এর দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসায়।
- মাঝারি থেকে তীব্র উপসর্গযুক্ত পাকস্থলি ও খাদ্যনালীর রিফ্লাক্স রোগ (উপসর্গযুক্ত GERD) এর চিকিৎসায়।
- জলিনজার-এলিসন সিনড্রোম।
- পাকস্থলির আলসার রোগে হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি নির্মূলে উপযুক্ত এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানের সাথে সমন্বিত ভাবে।
ফার্মাকোলজি
র্যাবিপ্রাজল গ্যাস্ট্রিক প্যারাইটাল কোষের H+/K+-ATPase কে বাধা দেওয়ার মাধ্যমে এসিড নিঃসরণ বন্ধ করে। এই এনজাইমকে প্যারাইটাল কোষের প্রোটন পাম্প বলা হয় এবং এই জন্য র্যাবিপ্রাজলকে সাধারণভাবে প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর বলা হয়।
ঔষধের মাত্রা
সক্রিয় ডিওডেনাল আলসার এবং সক্রিয় ঝুঁকিমুক্ত পাকস্থলির আলসার: সক্রিয় ডিওডেনাল আলসার এবং সক্রিয় ঝুঁকিমুক্ত পাকস্থলির আলসার উভয়ের জন্য প্রস্তাবিত মুখে খাওয়ার মাত্রাটি ২০ মিলিগ্রাম, যা দিনে একবার সকালে গ্রহণ করা উচিৎ। অধিকাংশ সক্রিয় ডিওডেনাল আলসার এর রোগী ৪ সপ্তাহের মধ্যে আরোগ্য লাভ করে। যদিও কিছুসংখ্যক রোগীর সম্পুর্ণ নিরাময় হতে আরো অতিরিক্ত ৪ সপ্তাহ চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। অধিকাংশ সক্রিয় ঝুঁকিমুক্ত পাকস্থলির আলসার এর রোগী ৬ সপ্তাহের মধ্যে আরোগ্য লাভ করে। তাছাড়াও কিছুসংখ্যক রোগীর সম্পুর্ণ নিরাময় হতে আরো অতিরিক্ত ৬ সপ্তাহ চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
পাকস্থলি ও খাদ্যনালীর ক্ষয় সৃষ্টিকারী উপসর্গযুক্ত অথবা আলসারেটিভ রিফ্লাক্স রোগ (GERD): মুখে সেবনের জন্য নির্দেশিত মাত্রা দৈনিক ২০ মিগ্রা করে ৪ থেকে ৮ সপ্তাহ।
পাকস্থলি ও খাদ্যনালীর রিফ্লাক্স রোগ এর দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসায় (GERD নিয়ন্ত্রণে): রোগীর শরীরে ওষুধ এর কার্যকারিতার উপর ভিত্তি করে র্যাবিপ্রাজল সোডিয়াম এর নিয়ন্ত্রিত পরিমাণ হচ্ছে দৈনিক ২০ মিগ্রা অথবা ১০ মিগ্রা।
মাঝারি থেকে তীব্র উপসর্গযুক্ত পাকস্থলি ও খাদ্যনালীর রিফ্লাক্স রোগ (উপসর্গযুক্ত GERD) এর চিকিৎসায়: খাদ্যনালীর প্রদাহ ব্যতিত রোগীর ক্ষেত্রে দৈনিক ১০ মিগ্রা। যদি ৪ সপ্তাহের মধ্যে উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে না আসে তবে রোগীকে পুনরায় পরীক্ষা-নিরিক্ষা করা উচিৎ। একবার উপসর্গ নিয়ন্ত্রিত হলে, পরবর্তীতে উপসর্গ নিয়ন্ত্রণের জন্য রোগী প্রয়োজন অনুসারে দৈনিক ১০ মিগ্রা করে গ্রহণ করতে পারে।
১ থেকে ১১ বছর বয়সের শিশুদের গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ চিকিৎসায় (১৫ কেজির কম): ৫ মিগ্রা দৈনিক ১ বার, ১২ সপ্তাহ, উপসর্গের লক্ষণ সমূহ সম্পূর্ণরূপে দূরীভূত না হলে ১০ মিগ্রা পর্যন্ত সেবন করতে পারে।
১ থেকে ১১ বছর বয়সের শিশুদের গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ চিকিৎসায় (১৫ কেজি অথবা তার চেয়ে বেশী): ১০ মিগ্রা দৈনিক ১ বার ১২ সপ্তাহ।
জলিনজার-এলিসন সিনড্রোম: প্রাপ্তবয়স্ক রোগীর জন্য প্রারম্ভিক নির্দেশিত মাত্রা হচ্ছে দৈনিক ৬০ মিগ্রা। প্রতিটি রোগীর প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে ওষুধের পরিমাণ দৈনিক ১২০ মিগ্রা পর্যন্ত বৃদ্ধি করে সমন্বয় করা যেতে পারে। একবারে সেবনের জন্য দৈনিক ১০০ মিগ্রা পর্যন্ত দেয়া যেতে পারে। ১২০ মিগ্রা ওষুধ সেবনের ক্ষেত্রে ৬০ মিগ্রা করে দৈনিক দুইবার বিভক্ত মাত্রায় প্রয়োগ করা যেতে পারে। ক্লিনিক্যালি নির্দেশিত সময় পর্যন্ত চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।
হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি নির্মূলে: হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি আক্রান্ত রোগীদের ইরেডিকেশন থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করা উচিৎ। নিম্নে উল্লেখিত সমন্বিত চিকিৎসা ৭ দিনের জন্য নির্দেশিত। ২০ মিগ্রা র্যাবিপ্রাজল সোডিয়াম দৈনিক দুইবার, ৫০০ মিগ্রা ক্লারিথ্রোমাইসিন দৈনিক দুইবার এবং ১ গ্রাম এমোক্সিসিলিন দৈনিক দুইবার।
সেবনবিধি
দৈনিক চিকিৎসায় একটি ট্যাবলেট নির্দেশিত হলে র্যাবিপ্রাজল ট্যাবলেট সকালে খাওয়ার আগে গ্রহণ করা উচিৎ; যদিও নির্দিষ্ট সময় খাবার গ্রহণের কোনটিই র্যাবিপ্রাজল সোডিয়ামের কার্যকলাপের উপর প্রভাব ফেলতে দেখা যায়নি, এই পদ্ধতিটি চিকিৎসার অনুবর্তিতা পালনে সহায়তা করে। রোগীদের সাবধান করে দেওয়া উচিৎ যে র্যাবিপ্রাজল ট্যাবলেট চিবানো বা চূর্ণ না করে সম্পূর্ণ রূপে গিলে ফেলা উচিৎ।
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
র্যাবিপ্রাজল নিগূঢ়ভাবে এবং দীর্ঘমেয়াদে গ্যাসট্রিক এসিড নিঃসরন বন্ধ করে। যেসব উপাদানের শোষন প্রক্রিয়া pH এর উপর নির্ভরশীল তাদের সাথে র্যাবিপ্রাজল পারস্পারিক প্রতিক্রিয়া করে। একসাথে র্যাবিপ্রাজল সোডিয়াম, কিটোকোনাজল অথবা ইট্রাকোনাজল গ্রহণ করলে রক্তে ফাংগাসরোধক ওষুধের মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যেতে পারে। এজন্য কিটোকোনাজল অথবা ইট্রাকোনাজল এর সাথে যখন র্যাবিপ্রাজল গ্রহণ করা হয় তখন প্রতিটি রোগীকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে যাতে প্রয়োজন অনুযায়ী মাত্রা সমন্বয় করা যায়। এটাজানাভির এর শোষন প্রক্রিয়া pH এর উপর নির্ভরশীল। এজন্য PPI, যেমন র্যাবিপ্রাজল এটাজানাভির এর সাথে গ্রহণ করা উচিৎ না। তরল অ্যান্টাসিডের সাথে কোন পারস্পরিক ক্রিয়া দেখা যায় নাই। এটাজানাভির এর শোষন প্রক্রিয়া pH এর উপর নির্ভরশীল। এজন্য, PPI, যেমন র্যাবিপ্রাজল এটাজানাভির এর সাথে গ্রহণ করা উচিৎ না।
প্রতিনির্দেশনা
র্যাবিপ্রাজল এর প্রতি অথবা এর অন্য কোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা রয়েছে এমন ক্ষেত্রে ইহা নির্দেশিত নয়। র্যাবিপ্রাজল গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকালে নির্দেশিত নয়।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
সাধারনত র্যাবিপ্রাজল স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী গবেষণায় সুসহনীয়। কোন কোন সময় র্যাবিপ্রাজল সেবনে মাথাব্যথা, ডায়রিয়া, পেট ব্যথা, বমি, কোষ্ঠকাঠিন্য, মুখ গহবরে শুষ্কতা, ক্ষুধা বাড়ানো বা কমানো, পেশীতে ব্যথা, ঘুমঘুম ভাব, মাথা ঝিমঝিম করতে পারে।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
US FDA প্রেগন্যান্সি ক্যাটাগরি ‘সি’। গর্ভবতী প্রাণীদের উপর গবেষণায় র্যাবিপ্রাজল ব্যবহারে fetus এর উপর কোন ক্ষতিকর প্রভাব এখনো জানা যায়নি। তবে গর্ভবতী মা এর ক্ষেত্রে তেমন উল্লেখযোগ্য কোন গবেষণা করা হয়নি। র্যাবিপ্রাজল খুব বেশী দরকার হলেই গর্ভাবস্থায় ব্যবহার করা উচিত। র্যাবিপ্রাজল মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয়, সেহেতু ঔষধটি সেবনে বিরত থাকা উচিত নাকি শিশুকে মাতৃদুগ্ধপানে বিরত রাখা উচিত, সে ক্ষেত্রে ঔষধটির প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করতে হবে।
সতর্কতা
পাকস্থলি অথবা খাদ্যনালীতে ম্যালিগন্যান্সির উপস্থিতির র্যাবিপ্রাজল ২০ মিলিগ্রাম গ্যাস্ট্রো-রেজিস্ট্যান্ট ট্যাবলেট দ্বারা চিকিৎসার মাধ্যমে উল্লেখ্যযোগ্যভাবে প্রতিরোধ করা যায় না, সে কারনে ম্যালিগন্যান্সির সম্ভাবনা থাকলে র্যাবিপ্রাজল দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার ক্ষেত্রে (বিশেষ করে এক বছরের বেশী) রোগীকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
প্রোটন পাম্প ইনহিবিটরগুলো, বিশেষ করে যদি উচ্চ মাত্রায় এবং অধিক সময় ধরে এক বছরের বেশী ব্যবহার করা হয় তাহলে হিপ, কব্জি এবং মেরুদন্ডের অস্থি ভাঙ্গার ঝুঁকি খানিকটা বৃদ্ধি পেতে পারে, বিশেষ করে বয়স্ক অথবা অন্যকোন উল্লেখযোগ্য ঝুঁকিপূর্ণ কারণ থাকলে। অবজারভেসন ষ্টাডিতে দেখা গেছে যে, প্রোটন পাম্প ইনহিবিটরগুলি ফ্র্যাকচারের সামগ্রিক ঝুঁকি ১০%-৪০% বাড়িয়ে তুলতে পারে। এসকল ঝুঁকি বৃদ্ধি অন্যান্য ঝুঁকির কারণও হতে পারে। অষ্টেওপোরোসিসের ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের যত্ন নেওয়া উচিৎ এবং তাদের ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করা উচিৎ।
র্যাবিপ্রাজল ব্যবহারকারী রোগীদের ক্ষেত্রে অন্য প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর অথবা সাবসটিটিউটেড বেনজিমিডাজলের সাথে পারস্পরিক অতিসংবেদশীলতার ঝুঁকি রয়েছে।
রোগীদেরকে সতর্ক করতে হবে যেন তারা গ্যাস্ট্রো-রেজিস্ট্যান্ট র্যাবিপ্রাজল ট্যাবলেটটি চুষে অথবা চূর্ণ করে না খেয়ে সম্পুর্ন গিলে খায়।
বাজারজাত পরবর্তী প্রতিবেদন অনুযায়ী র্যাবিপ্রাজল ব্যবহারে রক্তে ডিসক্রেসিয়াস্ (রক্তে মোট অনুচক্রিকার পরিমান এবং নিউট্রোফিলের পরিমাণ কমে যাওয়া) এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। অধিকাংশ ঘটনার ক্ষেত্রেই অন্যকোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি, ঘটনাগুলো জটিল না হলেও, র্যাবিপ্রাজল ব্যবহার বন্ধ করার মাধ্যমে এর সমাধান করা গিয়েছে।
ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালগুলিতে হেপাটিক এনজাইমে অস্বাভাবিকতা দেখা গেছে এবং বাজারজাতকরণের অনুমোদনের পরেও লক্ষ করা গেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যেখানে অল্টারনেটিভ এটিওলোজি শনাক্ত করা যায় না, সেখানে ঘটনাগুলি সহজ ছিল এবং র্যাবিপ্রাজল বন্ধ করে সমাধান করা গিয়েছিল।
হালকা থেকে মাঝারি যকৃতের বৈকল্য যুক্ত রোগীদের সাথে সাধারণ বয়সের ও লিঙ্গের তুলনামুলক গবেষণায় ঔষধের সাথে সম্পর্কিত সুরক্ষাজনিত সমস্যার উল্লেখ্যযোগ্য কোন প্রমাণ দেখা যায়নি। তবে যকৃতের গুরুতর বৈকল্যের রোগীদের চিকিৎসায় র্যাবিপ্রাজল ব্যবহার সম্পর্কে কোনও ক্লিনিক্যাল তথ্য নেই বলে র্যাবিপ্রাজল ২০ মিলিগ্রাম গ্যাস্ট্রো-রেজিস্ট্যান্ট ট্যাবলেট গুলির সাথে প্রথমে এই জাতীয় রোগীদের মধ্যে চিকিৎসা শুরু করার পর প্রেসক্রাইবারকে সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেয়া হয়।
একই সাথে এটাজানাভির এবং র্যাবিপ্রাজল প্রয়োগ নির্দেশিত নয়।
র্যাবিপ্রাজল সহ প্রোটন পাম্প ইনহিবিটরগুলির সাথে চিকিৎসায় সালমোনেলা, ক্যাম্পাইলোব্যাক্টার এবং ক্লসট্রিডিয়াম ডেফিসিলের দ্বারা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
হাইপোম্যাগনেসেমিয়া (রক্তে ম্যাগনেসিয়াম এর পরিমাণ কমে যাওয়া): পিপিআই যেমন, র্যাবিপ্রাজল কমপক্ষে তিন সপ্তাহ এবং বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে এক বছর ব্যবহারে রক্তে মারাত্মকভাবে ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ কমে যাওয়ার তথ্য পাওয়া গিয়েছে। হাইপোম্যাগনেসেমিয়া এর মারাত্মক লক্ষণগুলো হচ্ছে অবসাদ, ধনুষ্টঙ্কার সদৃশ রোগ,প্রলাপ বকা, খিঁচুনি, ঝিমুনিভাব এবং ভেন্ট্রিকুলার এ্যারিদমিয়া (অস্বাভাবিক দ্রুত হৃদস্পন্দন) যা কিনা ধীরে ধীরে শুরু হয় এবং রোগীরা এসব লক্ষণসমূহকে অগ্রাহ্য করে। অধিকাংশ আক্রান্ত রোগী, ম্যাগনেসিয়াম পুনঃপ্রয়োগের মাধ্যমে এবং পিপিআই গ্রহণ থেকে বিরত থাকলে হাইপোম্যাগনেসেমিয়া থেকে উন্নতি হয়। যে সমস্ত রোগী দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা প্রত্যাশা করে অথবা পিপিআই এর সাথে ডিগক্সিন অথবা যে সমস্ত ওষুধ হাইপোম্যাগনেসেমিয়া করতে পারে (যেমন, ডাইউরেটিকস্), চিকিৎসকদের উচিৎ পিপিআই দিয়ে চিকিৎসা শুরু করার পূর্বে এবং চিকিৎসা চলাকালে ম্যাগনেসিয়ামের লেভেল নিয়মিত পরিমাপ করা।
ভিটামিন বি ১২ শোষণের উপরে প্রভাব: র্যাবিপ্রাজল সোডিয়াম সহ আ্যাসিড-ব্লকিং ঔষধসমূহ হাইপো বা এ-ক্লোরহাইড্রিয়াজনিত কারণে ভিটামিন বি ১২ (সায়ানোকোবালামিন) শোষণকে হ্রাস করতে পারে। শরীরে স্বল্প ভিটামিন বি ১২ এর মজুদ থাকলে বা শোষণ হ্রাস করতে পারে এমন ঝুঁকিপূর্ণ কারণগুলি উপস্থিত থাকলে বা ক্লিনিক্যাল লক্ষণগুলি থাকলে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসায় তা বিবেচনা করা উচিৎ।
সাব-একডিট কিউটানেয়াস লুপাস এরাইথেমাটোসাস (এসসিএলই): প্রোটন পাম্প ইনহিবিটরগুলি এসসিএলই এর খুব বিরল ঘটনাগুলির সাথে সম্পর্কিত। যদি ক্ষত দেখা দেয়, বিশেষত ত্বকের রোদ-উদ্ভাসিত অংশে এবং আর্থ্রললিগ্লিয়া দেখা দেয়, তাহলে রোগীকে সাথে সাথে চিকিৎসা সেবা নেয়া উচিৎ এবং চিকিৎসককে র্যাবিপ্রাজল বন্ধ করার বিবেচনা করা উচিৎ। প্রোটন পাম্প ইনহিবিটরের সাথে, পূর্বে, চিকিৎসার পরে এসএলই দেখা দিলে পরবর্তীতে অন্যান্য প্রোটন পাম্প ইনহিবিটরগুলির সাথে এসএলই-র ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
পরীক্ষাগারে পরীক্ষায় প্রতিবন্ধকতা: ক্রোমোগ্রেনিন এ (সিজিএ)-র মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় নিউরোএন্ডোক্রাইন টিউমারগুলির পরীক্ষায় প্রতিবন্ধকতা হতে পারে। এই প্রতিবন্ধকতা এড়াতে, র্যাবিপ্রাজল ২০ মিলিগ্রাম গ্যাস্ট্রো-রেজিস্ট্যাণ্ট ট্যাবলেট সিজিএ পরিমাপের কমপক্ষে ৫ দিন পূর্বে বন্ধ করা উচিৎ। প্রাথমিক পরিমাপের পরে যদি সিজিএ ও গ্যাষ্ট্রিনের মাত্রা রেফারেন্স মাত্রার মধ্যে ফিরে না আসে, তাহলে প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর বন্ধ করার ১৪ দিন পরে পুনরায় পরীক্ষা করা উচিৎ।
বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার
বৃক্কের এবং যকৃতের বৈকল্য: বৃক্কের এবং যকৃতের বৈকল্যর রোগীদের জন্য মাত্রার সমন্বয় প্রয়োজন নেই।
শিশুদের ক্ষেত্রে: সুরক্ষা ও কার্যকারিতা সম্পর্কিত তথ্যের অপ্রাতুলতার কারণে র্যাবিপ্রাজল শিশুদের জন্য নির্দেশিত নয়।
মাত্রাধিক্যতা
সর্বোচ্চ সুপ্রতিষ্ঠিত মাত্রা ৬০ মিগ্রা দিনে দুইবার অথবা ১৬০ মিগ্রা দিনে একবার এর বেশী দেয়া যাবে না। সাধারনত সামান্য ক্ষতিকর প্রভাব দেখা যায় যা কিনা জানা বিরুপ প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ এবং কোন প্রকার চিকিৎসা ছাড়াই তা পুনরায় ঠিক হয়ে যায়। সুনির্দিষ্ট কোন প্রতিষেধক জানা নেই। র্যাবিপ্রাজল খুব বেশী পরিমাণ প্রোটিনে আবদ্ধ হয় সেজন্য ডায়ালাইসিস করা যায় না। যেকোন মাত্রাতিরিক্ত ঘটনার ক্ষেত্রে, উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিৎ এবং সাধারণ সহায়ক উপায় ব্যবহার করা উচিত।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Proton Pump Inhibitor
সংরক্ষণ
আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ৩০ ডিগ্রী সেঃ তাপমাত্রার নীচে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও