SSC-অভাগীর স্বর্গ গল্পের জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর PDF

SSC-অভাগীর স্বর্গ গল্পের জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (PDF)

প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন । এটা জেনে আপনার খুশি হবেন যে, আপনাদের জন্য জুতা আবিষ্কার হতে গুরুপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করতে যাচ্ছি ।সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর এসএসসি- SSC এর যেকোন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সকল সাজেশন পেতে জাগোরিকের সাথে থাকুন।

SSC-অভাগীর স্বর্গ গল্পের জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (PDF)

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর:

প্রশ্ন-১. কাঙালী কীসের কাজ শিখতে আরম্ভ করেছিল?

উত্তর: কাঙালী বেতের কাজ শিখতে আরম্ভ করেছিল।

প্রশ্ন-২. মাকে বিশ্বাস করা কার অভ্যাস?

উত্তর: মাকে বিশ্বাস করা কাঙালির অভ্যাস।

প্রশ্ন-৩. কাছারির কর্তার নাম কী?

উত্তর: কাছারির কর্তার অধর রায়।

প্রশ্ন-৪. ‘ইন্দ্রজাল’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ‘ইন্দ্রজাল’ শব্দের জাদুবিদ্যা।

প্রশ্ন-৫. ‘অশন’ মানে কী?

উত্তর: ‘অশন’ মানে খাদ্যদ্রব্য।

অভাগীর স্বর্গ অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর:

প্রশ্ন-১. নীল রঙেন ধোঁয়ার মধ্যে কাঙালীর মা কেমন রথযাত্রীর দেখা পেয়েছিল।

উত্তর: নীল রঙের মধ্যে ধোয়াঁর মধ্যে কাঙালীর মা তার কাঙ্খিত রথযাত্রীর দেখা পেয়েছিল। 

প্রজ্জলিত ধোঁয়ার মধ্যে কাঙালির মা যেমন রথযাত্রীর স্বপ্ন দেখত ঠিক সেরকম যথযাত্রীই সে দেখতে পায়। গায়ে নানা ছবি আঁকা, চুড়ায় লতাপাতা জরানো রথের ভিতবে কে যেন বসে আছে, চেনা যায় না। কিন্তু সিঁথিতে সিদুর রেখা, পা দুটি আলতা রাঙানো। এমন একটি রথযাত্রার ছবি তার চোখে স্পষ্ট হয়ে উঠলে তার চোখ বেয়ে অবিরল ধারায় অশ্রæ রয়ে চলে।

প্রশ্ন-২. ঈশ্বর নাপিতের মুখ গম্ভীর দেখে অভাগী কী বুঝতে পারল?

উত্তর: ঈশ্বর নাপিতের মুখ গম্ভীর দেখে অভাগী বুঝতে পারল, তার অন্তিম সময় এসে গিয়েছে।

অভাগীর অসুস্থতার সংবাদ গ্রমে প্রচারিত হলে ঈশ^র নাপিত আসে তার নড়ি পরীক্ষা করতে। গ্রামের মধ্যে সেই একমাত্র নাড়ি দেখতে পারত। অভাগীর নাড়ি দেখে পরিস্থিতি বিবেচনায় সে মুখ গম্ভীর করে। ঈশ^র নাপিতের মুখের এ গম্ভীর ভাব দেখে অভাগী বুঝতে পারে যে তার অন্তিম সময় এসে গেছে।

প্রশ্ন-৩. ‘আমি হয়ত না খেতে পেয়ে এতদিনে কবে মরে যেতুম ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: ‘আমি হয়ত না খেতে পেয়ে এতদিনে কবে মরে যেতুম’  উক্তিটি দ্বারা কাঙালীকে বড় করার পেছনে তার মায়ের ত্যাগের দিকটিকে বোঝানো হয়েছে।

কাঙালী যখন ছোট ছিল তখন তার বাবা তাকে ও তার মা অভাগীকে ফেলে বিয়ে করে অন্য গ্রামে চলে যায়। এ সময় অনেকে অভাগীকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু কাঙালীর অবিষ্যতের কথা ভেবে সে আর বিয়ে করেনি। কাঙালী কিছুটা বড় হলে বিষয়টি বুঝতে পারে। প্রশ্নোক্ত উক্তিটিতে সে কাথাই ব্যক্ত হয়েছে।

প্রশ্ন-৪.অভাগী তার ছেলে কাঙালীকে কাজে যেতে নিষেধ করল কেন?

উত্তর: অভাগী তার ছেলে কাঙালীকে রুপকথার গল্প শোনাবে বলে কাজে যেতে নিষেধ করল।

অভাগীর ছেলে কাঙালী সারাদিন কাজ করে যে টাকা আয় করে তা দিয়ে অভাগীর কেষ্টের সংসার চলে। কাঙালী সারাদিন কাজ করে বলে অভাগী তাকে কাছে পায় না, ভালোভাবে কথা বলারও সুযোগ পায় না। একারণে অভাগী তার ছেলে কাঙালীকে রুপকথার গল্প শোনানোর কথা বলে তাকে কাজে যেতে নিষেধ করে।

প্রশ্ন-৫. নাপিত কাঙালীর মায়ের হাত দেখে মুখ গম্ভীর করল কেন?

উত্তর: কাঙালীর মায়ের বাঁচার আশা না থাকায় ঈশ^র নাপিত হাত দেখে মুখ গম্ভীর করল।

গ্রামে ঈশ^র নাপিত নাড়ী দেখদে জানত। কাঙালীর মায়ের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে খবর দেওয়া হলো। পরদিন সকালে কাঙালির মায়ের হাত দেখে মুখ গম্ভীর করলো, দীর্ঘ শ্বাস ফেলল এবং শেষে মাথা নেড়ে উঠে গেল।

জ্ঞান (ক) ও অনুধাবনমূলক (খ) প্রশ্ন:

১. ঠাকুরদাস মুখোপাধ্যায়ের কয়জন ছেলেমেয়ে?

২. ঠাকুরদাস মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রীর পায়ে আলতা লাগাল কারা?

৩. কাঙালীর মা কার মেয়ে?

৪. কাঙালীর মা ধোঁয়ার মধ্যে কিসের চেহারা দেখতে পেল?

৫. কাঙালীর মায়ের নাম কে রেখেছিল?

৬. অভাগীর বাবা কী কাজ করত?

৭. হাঁড়িতে কয়জনের ভাত ছিল?

৮. কাঙালী শিশুকাল থেকে বহুকাল যাবৎ কী ছিল?

৯. কাঙালীর মা রথের কাকে বসে থাকতে দেখল?

১০. কাঙালীর মাকে সতী-লক্ষèী বলেছিল?

১১. কাঙালীকে দুই হাতে বুকে চেপে ধরল কে?

১২. কাঙালী কাজে না গেলে কী পাবে না?

১৩. কাঙালীর মা তাকে কিসের গল্প বলে?

১৪. জ্বরের ঘোরে বাঙালীর মা কোন কাহিনি বলতে লাগল?

১৫. কাঙালীর মা কী পেলে বামুন-মায়ের মতো স্বর্গে পাবে?

১৬. কাঙালীর মা কাকে ধরে আনতে বলে?

১৭. কবিরাজ কাঙালীর মাকে কয়টি বড়ি দিলেন?

১৮. কারা কখনো ওষুধ খেয়ে বাঁচে না?

১৯. কাঙালীর মা বড়ি কোথায় ফেলে দিল?

২০. গ্রামের কে নাড়ী দেখতে জানত?

২১. কুটির-প্রাঙ্গণে কী গাছ ছিল?

২২. রসিকের গালে কে চড় দিল?

২৩. গ্রামের কাছারিটির কর্তা কে?

২৪. দারোয়ান রসিককে কোন কারণে মারল?

২৫. অধর রায় কী ছড়িয়ে দিতে বললেন?

২৬. কাঙালী কোন জাতের?

২৭. কাঙালীর মাকে ভট্টাচার্য মহাশয় কোথায় মাটি দিতে বললেন?

২৮. কাঙালীর হাতে খড়ের আঁটি জ্বেলে দিল কে?

২৯. প্রসন্ন অর্থ কী?

৩০. সন্ধ্যাহ্নিক কী?

৩১. ঠাকুরদাস মুখুয্যের বাড়িতে উৎসব বেধে গেল কেন?

৩২. ‘‘বড় বাড়ির গৃহিণী পঞ্চাশ বর্ষ পরে আর একবার নতুন করিয়া তাঁহার স্বামীগৃহে যাত্রা করিতেছে”-উক্তিটি দ্বারা লেখক কী বুঝিয়েছেন?

৩৩. অভাগী ছেলে কাঙালীর হাতের আগুন পাওয়ার প্রত্যাশা করেছিলেন কেন?

৩৪. রসিক কাঁদিয়া ফেলিল কেন?

৩৫. ‘‘ঘন্টা-দুয়েকের অভিজ্ঞতায় সংসারে সে যেন একেবারে বুড়া হইয়া গিয়াছিল”-উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?

৩৬. তোদের জাতে কে কবে আবার পোড়ায় ওে”?-উক্তিটি দ্বারা ভট্টাচার্য মহাশয় কী বুঝিয়েছেন?

৩৭. দারোয়ান রসিককে চড় মেরেছিল কেন?

৩৮. দারোয়ান কাঙালীর গায়ে হাত দিল  না কেন?

৩৯. অধর রায় তার কাছারিতে গোবর জল ছড়িয়ে দিতে বলল কেন? 

১.নং সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর:

আজ গোলাপীর জন্মদিন। আজ থেকে তিন যুগ আগে এই দিনে নিঃসন্তান মোবারক দম্পতির ঘরে সে আলো জ্বালিয়েছিল। ফুল বাগানে ঐ দিন প্রচুর গোলাপ ফুটেছিল। এইজন্য বাবা-মা শখ করে নাম রাখেন গোলাপী। স্বামী, সন্তান নিয়ে সুখেই কাটছে তার দিনকাল। 

(ক) কাঙালী কত বছরের বালক?

(খ) অভাগী ঠাকুরদাস মুখুয্যের গৃহকর্ত্রীকে সৌভাগ্যিমানী বলেছেন কেন?

(গ) উদ্দীপকের গোলাপীর প্রেক্ষাপটে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের কোন ঘটনার ইঙ্গিত দেয়? ব্যাখ্যা কর। 

(ঘ) উদ্দীপকে গোলাপী গোলাপের মতো জীবনযাপন করলেও ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের অভাগীর জীবন কেটেছে অভাগীর মতোই-উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।  

উত্তর: (ক) 

কাঙালী পনের বছরের বালক। 

উত্তর: (খ)

ঠাকুরদাস মুখুয্যের গৃহকর্ত্রীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময় হরিধ্বনি সমন্বিত পুত্রের হাতের মন্ত্রপুত্র অগ্নি পাওয়াতে অভাগী তাকে সৌভাগ্যিমানী বলেছেন। 

ঠাকুরদাস মুখুয্যের গৃহকর্ত্রীর মৃত্যুতে তার ছেলে, মেয়ে, নাতি-নাতনি, পাড়া-প্রতিবেশী, চাকর-বাকর সবাই সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করেছিলেন। পুষ্পে, পত্রে, গন্ধে, মাল্যে, কলেবরে তার অন্ত্যেক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল। এই সব আনুষ্ঠানিকতা দেখে অভাগী ঠাকুরদাস মুখুয্যের গৃহকর্ত্রীকে সৌভাগ্যিমানী বলেছেন। 

উত্তর: (গ)

উদ্দীপকের গোলাপীর প্রেক্ষাপটে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের অভাগীর নামকরণের ঘটনার ইঙ্গিত দেয়। জন্মের পর সন্তানের নাম রাখা নিয়ে বাবা-মা অত্যন্ত উৎসুক থাকেন। 

সন্তানের নাম রাখতে তারা অনেক সময় বিচার করেন জন্মমুহূর্তের বিশেষত্ব¡, ঐ বিষয়টি উপস্থিত। অভাগীর জন্মের সাথে সাথেই তার মা মারা যায়। প্রাচীনপন্থী তার বাবার চিন্তাধারা এমন যে, মেয়ের ভাগ্যের দোষেই মা মরেছে। 

তাই মেয়ের ওপর রাগ করে বাবা তার নাম দিলেন অভাগী। জন্মের এই বিমেষ মুহূর্তেই চিরকালের জন্য তার নামের সাথে যোগ হয়ে গেল। মা হারানোর অভাগী তাই বাবার রাগের শিকার হয়েই ‘অভাগী’ নামটি গ্রহণ করেই বেঁচেই রইল। 

ঐদিন তাদের বাসার বাগানে অনেক গোলাপ ফুটেছিল। তাই বাবা-মা শখ করে মেয়ের নাম রাখেন গোলাপী। গোলাপীর নামকরণের ঐ প্রেক্ষাপটি অভাগীর নামকরণের ঘটনাকেই মনে করিয়ে দেয়। কিন্তু উভয় প্রেক্ষাপটের মাঝে পার্থক্য বিস্তর। কিন্তু উভয় প্রেক্ষিতে গুরুত্ব পেয়েছে নামকরণের বিষয়টিই। তাই বলা যায়, গোলাপীর প্রেক্ষাপটে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের অভাগীর নামকরণের ঘটনারই ইঙ্গিত দেয়। 

উত্তর:(ঘ)

উদ্দীপকের গোলাপীর জীবন গোলাপের মতো বর্ণিল ও নিখুঁত হলেও ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের অভাগীর জীবন কেটেেেছ অপরিসীম ঘন্ত্রণায়। এ প্রেক্ষিতে প্রশ্নের মন্তব্যটি সার্থক। ‘জীবন পুষ্পশয্যা নয়’-এ নির্মম সত্য গল্পের অভাগী উপলদ্ধি করলেও গোলাপীকে তা করতে হয়নি। 

তাই আপাতদৃষ্টিতে দেখা যায়, তাদের নামকরণের সাথে মিলিয়েই তাদের জীবনশৈলী চিত্রিত হয়েছে। গল্পের অভাগী জন্মের পর মাকে হারিয়ে বাবার রোষানলের শিকার হলো। ফলে তার নাম রাখা হলো অভাগী জন্মের পর থেকেই শুরু হলো তার কষ্টের জীবন। 

এরপর স্বামী বিবাগী অভাগী এক ছেলের মা হয়েই পার করল বাকি জীবন। ছোট জাতের হওয়ায় জীবদ্দশায় সুখের মুখ দেখেনি সে। তাই ছেলের হাতের আগুন পেয়ে মৃত্যুর পর সদগতি সত্যিকারের অভগাীর মতোই জীবনযাপন করে নিজের নাকরণকে সার্থক করল। 

গল্পের অভাগী ও উদ্দীপকের গোলাপীর জীবনব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তাই বলা যায়, তাদের নামকরণেরই বাস্তব প্রয়োগ ঘটেছে তাদের জীবনব্যবস্থায়। তাই একজনের জীবন কাটে স্বীয় নামের মতোই হতভাগ্য হয়ে হতাশার অন্ধকারে, আর অন্যজনের কাটে গোলাপের মতো নিস্কলুষ ও সুন্দরভাবে।  সুতরাং , এ প্রেক্ষিতে উপর্যুক্ত বিচার-বিশ্লেষণের শেষে তাই বলা যায়, প্রশ্নের মন্তব্যটি অত্যন্ত যথার্থ ও সঠিক।  

২.নং সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর:

দীর্ঘদিন রোগ ভোগের পর হরিপদ বিনা চিকিৎসায় মারা যায়। হরিপদ মৃত্যুর পূর্বে ছেলেকে বলে গিয়েছিল তার মৃতদেহ দাহ করার জন্য। তাই ছেলে বাবার মৃতদেহ সৎকারের কাঠ কেনার জন্য পোষা গরুটি বাজারে বিক্রি করে টাকা বাড়ি ফিরেছিল। পথিমধ্যে ছিনতাইকারীরা তার পথ রোধ করে টাকাগুলো কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। হরিপদের ইচ্ছা পূরণ করা সম্ভব হলো না তার ছেলের পক্ষে। ঘরের পাশে গর্ত খুঁড়ে মাটি চাপা দেওয়া হলো হরিপদের মৃতদেহ। 

(ক) ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পটির লেখকের নাম কী?

(খ) ‘কি জাতের ছেলে তুই?’-অধর রায় কেন এ কথা বলেছিল?

(গ) হরিপদের মৃতদেহ ও ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের মুখুয্যে বাড়ির গৃহকর্ত্রীর মৃতদেহ সৎকারের দৃশ্যের মধ্যে পার্থক্যের কারণ ব্যাখ্যা কর। 

(ঘ) ‘হরিপদর ইচ্ছাপূরণ ও কাঙালীর মায়ের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে অন্তরায় ছিল নিষ্ঠুরতা’-উদ্দীপক ও ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্প অবলম্বনে মন্তব্যটির যথার্থতা নির্ণয় কর।

উত্তর: (ক) 

‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পটির লেখকের নাম শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। 

উত্তর: (খ)

‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পটির লেখক জাতিভেদ প্রথায় বিশ্বাসী বলে অধর রায় একথা বলেছিল। 

কাঙালী উর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ে মায়ের সৎকারের জন্য কাঠের সংস্থান করতে জমিদারের কাছারি-বাড়িতে আসে। কাছারি-কর্তা অধর রায় এতে অত্যন্ত বিরক্ত হয়। ছোঁড়াটা মরা ছুঁড়ে এসেছে, কি জানি কাছারি-বাড়ির কিছু ছুঁয়ে ফেলল নাকি। এসব ভেবে অধর রায় কাঙালীকে ধমক দিতে নিচে নেমে দাঁড়াতে বলে এবং উক্তিটি করে। 

উত্তর: (গ)

হরিপদের মৃতদেহ ও ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের মুখুয্যে বাড়ির গৃহকর্ত্রীর মৃতদেহ সৎকারের দৃশ্যের মধ্যে পার্থক্যের মূল কারণ হলো অর্থনৈতিক। 

‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে মুখুয্যে বাড়ির গৃহকর্ত্রীর শবযাত্রার আড়ম্বর ও সৎকারের ব্যাপকতা দেখতে পাই। সমস্ত গ্রামের লোক ধুমধামের সঙ্গে শবযাত্রায় ভিড় করলো। প্রবল হরিধ্বনিতে প্রভাত-আকাশ আলোড়িত করে সমস্ত গ্রাম শ্মশানের দিকে চললো। সেখানে আগেই কাঠের ভার, চন্দনের টুকরো, ঘৃত, মধু, ধূপ, ধুনা প্রভূতি উপকরণ সঞ্চিত হয়েছিল। 

বিপরীত চিত্র দেখতে পাই আমরা উদ্দীপকের হরিপদের ক্ষেত্রে। হরিপদ আর্থিক সমস্যার কারণে বিনা চিকিৎসায় মারা যায়। 

হরিপদর ছেলে আর্থিক সমস্যার কারণে পোষা গরু বিক্রি করে মৃতদেহ দাহ করার কাঠ কেনার জন্য। কিন্তু তা সত্তে¡ও ছিনতাইকারীদের কারণে মৃতদেহকে গর্ত খুঁড়ে মাটি চাপা দিতে হয়। তাই বলা যায় উভয় দৃশ্যের মধ্যে পার্থক্যের মূল কারণ হলো অর্থনৈতিক। 

উত্তর: (ঘ)

‘হরিপদর ইচ্ছাপূরণ ও কাঙালীর মায়ের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে অন্তরায় ছিল নিষ্ঠুরতা’-এ মন্তব্যটি যথার্থ। 

হরিপদর ইচ্ছা ছিল মৃত্যুর পর তার দেহ দাহ হবে। তার ছেলেকে সে তার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিল। ছেলে সেই চেষ্টাই করেছিল। কিন্তু ছিনতাইকারীদের নিষ্ঠুরতার কাছে তাকে হার মানতে হয়। কাঠের অভাবে হরিপদর মৃতদেহকে গর্ত খুঁড়ে মাটি চাপা দিতে হয়। 

আবার ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পেও আমরা দেখতে পাই সামন্তবাদের নিমর্ম ও নিষ্ঠুর রুপ। মুখুয্যের বাড়ির গৃহকর্ত্রীর মৃত্যুর পর সৎকারের দৃশ্যে দেখানো অভাগী ও নিজের মৃত্যু মুহূর্তের স্বপ্নে দেখে। ভার, চন্দনের টুকরো, ঘৃত, মধু, ধূপ, ধুনা, অগ্নি ধোঁয়ার মুখুয্যে বাড়ির গিন্নি স্বর্গে গমন করেছেন।

 দুঃখিনী অভাগীও ভাবে তার মৃত্যুর সময় স্বামীর পায়ের ধুলি নিয়ে মুত্য শেষে পুত্র মুখাগ্নি করলে সেও স্বর্গে যাবে। কিন্তু মৃত্যুর সময় কাঙালী তার বাবাকে হাজির করতে পারলেও পারেনি কাঠের অভাবে মায়ের সৎকার করতে। কাঠের জন্য কাঙালী সমাজের উঁচু শ্রেণীর মানুষদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে, কিন্তু কারোরই দয়া হয়নি। 

তাই বলা যায়, হরিপদর ইচ্ছা পূরণ ও কাঙালীর মায়ের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে অন্তরায় হয়েছিল নিষ্ঠুরতা। 

৩.নং সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর:

প্রাচীরের ছিদ্র এক নাম গোত্রÑহীন

ফুটিয়াছে ছোট ফুল অতিশয় দীন।

ধিক ধিক তারে কাননে সবাই,

সূর্য উঠি বলে তারে, ভালো আছো ভাই।

(ক) কাঙালীর মা ঠাকুরের বউয়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া দেখে তার মনে কী ইচ্ছে হয়?

(খ) কাঙালীর মাকে রসিক বাঘ পায়ের ধুলা দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলে কেন?

(গ) উদ্দীপকের বক্তব্যের সাথে “অভাগীর স্বর্গ” গল্পের সমাজ ভাবনার পার্থক্য কোথায়? ব্যাখ্যা কর।

(ঘ) উদ্দীপকের বক্তব্যের বিষয় যদি ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের সমাজÑভাবনা হতো তাহলে কী কাঙালী তার মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পারতো?

(ক) জ্ঞান : 

কাঙালীর মা ঠাকুরের বউয়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া দেখে তার মনে ইচ্ছে হয় যেন তার শেষ শয্যার ছেলের হাতের আগুন পায় এবং শেষ শয্যায় তার পরিবার পরিজন শেষ ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে।

(খ) অনুধাবন 

কাঙালীর মায়ের পতিভক্তি দেখে রসিক বাঘ পায়ের ধুলা দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলে।

বিয়ের কিছুদিন পরে রসিক বাঘ স্ত্রী ও পুত্র কাঙালীকে ফেলে রেখে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করে অন্যত্র চলে যায়। সে আর তাদের কোনো খোঁজÑখবর নেয় নি। সে জীবনে কোনদিন স্ত্রীকে ভালোবাসা দেয় নি, অশনÑবসন দেয়নি।

 তা সত্তে¡ও মৃত্যুপথযাত্রী অভাগী তার অবশ বাহুখানি শয্যার বাইরে বাড়িয়ে স্বামী রসিক বাঘের পায়ের ধূলার জন্যে। তাই মরণকালে স্ত্রীকে শুধু একটু পায়ের ধূলা দিতে গিয়ে স্ত্রীর পতিভক্তি দেখে অভিভূত হয়ে রসিক বাঘ কেঁদে ফেলে।

(গ) প্রয়োগ : 

উদ্দীপক ও ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের ধনীÑদরিদ্র্যের বৈষম্য জাতিভেদ প্রথার দিক থেকে পার্থক্য বিদ্যমান।

উদ্দীপকে বলা হচ্ছে যে, গেয়ালে একটি পরিচয়হীন গাছের জন্ম হয়। গাছটি ব্যাপক পরিচয়Ñজাতহীন। কিন্তু সেই গাছে অনেক সুন্দর ফুল ফুটলেও তাকে কোন মর্যাদাই দেয়া হয় না। তার জাত পরিচয় নেই বলে। 

বাগান বিলাসে যদি এই ফুল ফুটতো তাহলে মর্যাদা দেখা যেত কীভাবে ঘরের সবচেয়ে সুন্দর জায়গায় সাজিয়ে রাখা যায়। এভাবে ধনীÑদরিদ্র, জাত, ভেদের পার্থক্য দেখায় যা এই সমাজে।আর তার চিত্র ফুটে উঠেছে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের চরিত্র ভাবনায়। মুখূর্য্য বাড়ির লোকজন ও জমিদারের লোকজন সমাজের ধনী উঁচু শ্রেণির মানুষ। তাদের নির্মম ও নিষ্ঠুর আচরণ লক্ষ করা যায় গল্পটিতে। 

দরিদ্র্য ও নীচু ঘরের ছেলে কাঙালী ও তার মা অভাগী। নীচু ও গরিব হওয়ায় নিজেদের কুটির প্রাঙ্গণে লাগানো গাছ কাটতে গিয়ে জমিদারের লোকজন কর্তৃক নির্যাতিত হতে হয় কাঙালীর বাপকে। কাঙালী যখন কাঠ সংগ্রহের আশায় উদগ্রীব হয়ে ছুটে যায় অধর রায়ের কাছে তখন তাকে দিতে হয় জাতের পরিচয়। নীচু জাত হওয়ায় গলাধাক্কা খেয়ে তাকে ফিরতে হয়। 

তাই বলা যায়, উদ্দীপকের সঙ্গে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের সমাজভাবনার পার্থক্য হলো ধনীÑদরিদ্র বৈষম্যে এবং জাতিভেদে প্রথায়।

 (ঘ) উচ্চতর দক্ষতা : 

‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের সমাজ ভাবনা যদি উদ্দীপকের বিষয়বস্তুর সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ হতো তাহলে অবশ্যই কাঙালী তার মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পারতো।

মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির গৃহকর্ত্রীর মৃত্যুর পর শবযাত্রার আড়ম্বরতা ও সৎকারের ব্যাপকতা দেখে কাঙালীর মা অভাগীও নিজের মৃত্যু মুহূর্তের স্বপ্ন দেখে। হতভাগা অভাগী ভাবে তার মৃত্যুর সময় স্বামীর পায়ের ধূলি নিয়ে মৃত্যু শেষে পুত্র মুখাগ্নি করলে সেও মুখোপাধ্যায় বাড়ির গ্রহকর্ত্রীর মতো স্বর্গে যাবে।

 কাঙালী মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে। কিন্তু মায়ের মৃত্যুর সময় কাঙালী তার বাপকে হাজির করতে পারলেও পারেনি কাঠের অভাবে মায়ের সৎকার করতে। এর পেছনে কারণ হলো সমাজের উঁচু শ্রেণির নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতা।

যদি উদ্দীপকের বক্তব্যের বিষয়বস্তু সমাজের ধনী ও উঁচু শ্রেণির মানুষের ভাবনা হতো তাহলে সামান্য কাঠের জন্য কাঙালীকে দ্বারে দ্বারে ঘুরে অপমানিত ও ব্যর্থ হতো না। প্রতিবেশী মুখোপাধ্যায় বাড়ির লোকজন ও জমিদারের লোকজনের মধ্যে যদি উদ্দীপকের মতো সৌহার্দপূর্ণ মনোভাব থাকত।

তাহলে সকলের কাঙালীর মায়ের স্বপ্ন পূরণে কাঙালীর প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিত এবং কাঙালীও তার মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হতো। 

৪.নং সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর:

তবু আমরা জানি,

চিরকাল আর পৃথিবীর কাছে

চাপা থাকবেনা

আমাদের দেহে তোমাদের এই পদাঘাত।

দারিদ্রতার এই নিষ্ঠুর ছোবল থাকলেও একদিন অবশ্যই জয় হবে। তবুও যে এরই মধ্যে জীবন চালনা করতে হবে। তাই শশী কুমার তার ছেলেকে এই পেশাই শিক্ষা দিচ্ছিল মৃত্যুশয্যা অবস্থায় থেকেও। তার ছোট ছেলের নতুন হাতে কুমোরের কাজের শিক্ষা লাভ দেখে চোখ পানিতে ভরে উঠল।

(ক) কাঙালীর বয়স কত ছিল?

(খ) ‘ওরে কে আছিস রে, এখানে একটু গোবরজল ছড়িয়ে দে’ Ñঅধর রায় কেন এ কথা বলেছিল?

(গ) উদ্দীপকে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।

(ঘ) ‘উদ্দীপকের বিষয়বস্তু ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের মূল বক্তব্য নয়’ Ñউক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর।

(ক) জ্ঞান : 

কাঙালীর বয়স ছিল পনের বছর।

(খ) অনুধাবন : 

‘ওরে কে আছিস রে, এখানে একটু গোবরজল ছড়িয়ে দে’ Ñঅধর রায় অশৌচের ভয়ে এ কথা বলেছিল।

কাঙালী তার মায়ের মৃতদেহে দাহের কাঠ সংগ্রহের জন্যে জমিদারের কাছারি বাড়িতে যায়। শোক ও উত্তেজনায় সে একেবারে মুহ্যমান। তার কান্নাকাটিতে অধর রায় অত্যন্ত বিরক্ত হয়। ছোঁড়াটা মড়া ছুঁয়ে এসেছে, তাই এখানকার কিছু ছুঁয়ে ফেললে অশৌচ হবে ভেবে ধার রায় এ কথা বলে, এবং ধমক দিয়ে কাঙালীকে নিচে নেমে দাঁড়াতে বলে।

(গ) প্রয়োগ : 

কাঙালীর প্রতি মা অভাগীর ভালোবাসা ও তার অবর্তমানে কাঙালীর অবস্থা চিন্তা করে উদ্বিগ্ন হওয়ার ব্যাপারটি উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে।

অসুস্থ কাঙালীর মা বিছানায় মৃত্যু শয্যায় শায়িত। সে কাঙালীকে ভাত রান্না করে খেতে বলে। কাঙালী কাচা হাতে ভাত রান্নায় প্রবৃত্ত হয়। সে না পারে ফ্যান জাড়তে না পারে ভালো করে ভাত বাড়তে। 

আগুন ঠিকভাবে জ্বলে না ভিতরে ডাল পড়ে ধুঁয়া হয়; ভাত ঢালতে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এসব দেখে মা অভাগীর চোখে জল এসে যায়। নিজের উঠবার অনেক চেষ্টা করলো কিন্তু মাথা সোজা করতে পারলো না। শেষে ছেলেকে কাছে ডেকে কী করে রান্না করবে সে ব্যাপারে উপদেশ দিল।

সে একই দৃশ্যের সাদৃশ্য আমরা উদ্দীপকেও দেখতে পাই। শশী ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। তাই ছেলেকে সে একটি মাটির জিনিস তৈরি করে দেখাতে বলে। আনাড়ি ছেলেকে মাটির জিনিস তৈরি করতে বেগ পেতে হয়। এটা দেখে শশী কুমার কেঁদে ফেলে এবং ছেলেকে মাটির জিনিসপত্র তৈরির নিয়মÑকানুন বলে দেয়। 

 (ঘ) উচ্চতর দক্ষতা : 

উদ্দীপকের বিষয়বস্তু ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের মূল বক্তব্য নয় এটি আংশিক সত্য তাই বক্তব্যটি যথার্থ’। কারণ উদ্দীপকে সন্তানের প্রতি পিতার ভালোবাসা ও উদ্বিগ্ন হওয়ার ব্যাপারটি ফুটে উঠেছে Ñযা কাঙালীর প্রতি মা অভাগীর ভালোবাসা ও চিন্তিত হওয়ার দিকটি নির্দেশ করে। কিন্তু এটি ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের প্রধান আলোচ্য বিষয় নয়।

‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের মূল বক্তব্য হলো সমান্তবাদের নির্মম ও নিষ্ঠুর রূপ এবং নীচু শ্রেণির হতদরিদ্র মানুষের দু:খÑকষ্ট ও যন্ত্রণা তুলে ধরা।কাঙালী ও তার মা অভাগী গরিব দু:খী ও নীচু শ্রেণির মানুষ। প্রতিবেশি মুখুয্যে বাড়ির ঠাকুরাইনের মৃত্যুর পর শবযাত্রার আড়ম্বরতা ও সৎকারের ব্যাপকতা দেখে অভাগীও মৃত্যু মুহূর্তের স্বপ্ন দেখে।

 দু:খিনী অভাগীও ভাবে তার মৃত্যুর সময় স্বামীর পায়ের ধুলি নিয়ে মৃত্যু শেষে মুখাগ্নি করলে সেও মুখুয্যে বাড়ির গিন্নির মতো স্বর্গে যেতে পারবে। কিন্তু কাঙালি তার মায়ের শবদাহের কাঠ জোগাড় করতে উঁচু শ্রেণির মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে, কিন্তু তাদের তিল পরিমাণ দয়া হয়নি বরং নিষ্ঠুর আচরণ করে। 

এভাবে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তৎকালীন সমাজের জীবনচিত্র ঘনিষ্ঠ ও নিবিড়ভাবে তুলে ধরেছেন তার ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের মূল বক্তব্য নয় শুধুমাত্র কিছু অংশের মিল রয়েছে।

প্র্যাকটিস অংশঃ- সৃজনশীল প্রশ্নঃ

১. দিনমজুর পলাশের মা গ্রামের কেউ মারা গেলে লাশ গোসলের কাজ করেন। একদিন গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি হাসানের স্বার্থে আঘাত হানায় পলাশকে মিথ্যে অভিযোগ অভিযুক্ত করেন। এরপর দিন পলাশের মা মারা যান। কিন্তু তাকে গোসল করানোর জন্য গ্রামের কাউকে খুঁজে পাওয়া গেল না। 

(ক) অভাগীর বাপ কী করত?

(খ) জ্বরের ঘোরে কাঙালীর মা কাঙালীকে গল্পের ছলে কিসের গল্প বর্ণনা করেছিল?

(গ) গল্পের অভাগী ও উদ্দীপকের পলাশের মার পরিণতি একই সূত্রে গাঁথা-ব্যাখ্যা কর। 

(ঘ) উদ্দীপক ও গল্পে নীচ শ্রেণির হতদরিদ্র মানুষের জীবন যন্ত্রণার যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা মূল্যায়ন কর। 

২. গঙ্গারামকে পোড়াতে আনা হলো শ্মশানে। অদূরে দাঁড়িয়ে কাঁদছে একটি অল্প বয়স্কা মেয়ে। তার সারা গায়ে অলংকার। সাজ দেখে মনে হলো নববধূ। আসলে সে গঙ্গারামের তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী। সবাই মিলে জোর করে তাকে চিতায় চড়ালো। চারদিকে হরিধ্বনিতে ভরে উঠলো। 

(ক) কাঙালীর মায়ের জাত কী?

(খ) ‘রসিক হতবুদ্ধির মতো দাঁড়াইয়া রহিল’-কেন?

(গ) উদ্দীপকের আলোকে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের সমাজ ব্যবস্থার তুলনা করো। 

(ঘ) কাঙালীর মা ও উদ্দীপকের অল্পবয়স্কা মেয়েটির ইচ্ছার ভিন্নতা বিচার করো। 

৩. সিলেটের হাওর অঞ্চলের কলিম উদ্দিন প্রথম যৌবনে মধুবালাকে বিয়ে করেছিল। পরবর্তীতে উজান এলাকার এক বিদুষী মহিলাকে বিয়ে করে সংসার ত্যাগ করে সে। মধুবালা মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত স্বামীর জন্য অপেক্ষা করলেও স্বামীর হাতের মাটি তার কপালে জোটে নি। 

(ক) শ্মশান কোন নদীর তীরে অবস্থিত?

(খ) অভাগীকে পাড়ার সবাই সতীলক্ষী বলে কেন?

(গ) উদ্দীপকের কলিম উদ্দিনের সাথে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের কার সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। 

(ঘ) ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের অভাগী মৃত্যুকালে স্বামীর দেখা পেলেও উদ্দীপকের মধুবালার কপালে কিন্তু তা জোটেনি কেন? বিশ্লেষণ কর। 

৪. রহিমা বেগম এক বাসায় ঝিয়ের কাজ করে। কাজ শেষে গৃহকর্ত্রী তাকে অনেক খাবার খেতে দেয়। রহিমা খাবারগুলো নিজে না খেয়ে একমাত্র মেয়ে টুনি ও বিকলাঙ্গ স্বামীর জন্যে নিয়ে আসে। অনেক সময় টুনির খাওয়ার পর আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। স্বামী-স্ত্রী মিলে না খেয়ে থাকে। তাতেও তাদের মনে সর্বদা শান্তি বিরাজ করে। 

(ক) অভাগীর দুঃখ ঘুচবে কে বাঁচলে?

(খ) কাঙালী মায়ের সৎকার করতে পারে নি কেন?

(গ) উদ্দীপকে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের কোন বিশেষ দিকটি ফুটে ওঠেছে? ব্যাখ্যা কর। 

(ঘ) উদ্দীপকের অভাবে সংসারে সুখ থাকলেও অভাগীর স্বর্গ গল্পের অভাগী এই সুখ পুরোপুরিভাবে দেখতে পায় নি-বিশ্লেষণ কর। 

৫. নির্মাণ শ্রমিক সোহরাব ভবনের ছাদ থেকে পড়ে হাত-পায়ে মারাত্মক আঘাত পায়। অভাবের কারণে সে ভালো চিকিৎসা করতে পারে নি। তার স্ত্রী তার হাতে পায়ে কী সব লতা-পাতা বেঁধে দেয় এবং সকালে বিকেলে তেল মালিশ করে। তার বড় মেয়ে পীর বাবার কাছ থেকে পানি পড়া এনেও বাবাকে খাওয়ায়। 

(ক) ঠাকুরদাস মুখুয্যের স্ত্রী কত দিনের জ্বরে মারা গেলেন?

(খ) অধর রায় কাঙালীকে দেখে বিস্মিত ও ক্রদ্ধ হলেন কেন?

(গ) উদ্দীপকের চিকিৎসা পদ্ধতি ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের কোন ঘটনার কথা মনে করিয়ে দেয়? ব্যাখ্যা কর। 

(ঘ) উদ্দীপকের সোহরাব বিপদের সময় সবাইকে কাছে পেলেও ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের অভাগী কি পেয়েছিল? বিশ্লেষণ কর।

৬। বিলাসী সাপুড়ের মেয়ে। সে ভালোবেসে বিয়ে করে উঁচু বংশের ছেলে মৃত্যু পথযাত্রী মৃত্যুঞ্জয়কে। কিন্তু সমাজপতিরা কিছুতেই মেনে নিতে পারল না। তাই তারা বিলাসীকে গ্রামের বাইরে রেখে আসার জন্য মৃত্যুঞ্জয়ের ঘর থেকে টেনে হেচড়ে বের করে।

তারা বিলাসীর কোনো কিছু শুনতে চায় না। টানাটানি করার সময় বিলাসী বললো Ñ“বাবুরা আমাকে একটিবার ছেড়ে দাও আমি রুটিগুলো ঘরে দিয়ে আসি। বাইরে শেয়াল কুকুরে খেয়ে যাবে Ñরোগা মানুষ সমস্ত রাত খেতে পাবে না।”

(ক) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কত সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি. লিট ডিগ্রি অর্জন করেন?

(খ) ‘সতী-ল²ী’ বলতে কী বোঝায়?

(গ) উদ্দীপক ও ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে যে সমাজচিত্রের ইঙ্গিত রয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।

(ঘ) কাঙালীর সঙ্গে উদ্দীপকের বিলাসীর সাদৃশ্য থাকলেও কাঙালী সম্পূর্ণরূপে বিলাসীর প্রতিনিধিত্ব করে না। মন্তব্যটির যৌক্তিক বিশ্লেষণ কর।

৭। গফুর এক হত দরিদ্র কৃষক। অভাব তার জীবনকে ঘিরে ধরে আছে। গফুর তার একমাত্র মেয়ে আমিনাকে নিয়ে বাস করে। আমিনা তার বাবাকে বড় ভালোবাসে। দুপুরের খাবার সময় আমিনা তার বাবাকে ভাত খেতে দেয়। কিন্তু হাড়িতে তার নিজের জন্যে ভাত ছিল না। গফুর যখন তার মেয়েকে জিজ্ঞাসা করল “তুই খাবি না মা” Ñউত্তরে আমিনা বলল পরে খাবো বাবা।

(ক) ‘অন্তরীক্ষ’ শব্দের অর্থ কী?

(খ) ‘ওরে কে আছিস রে, এখানে একটু গোবরজল ছড়িয়ে দে’ Ñউক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?

(গ) উদ্দীপকের আমিনা ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের যে চরিত্রকে ধারণ করেছে তা ব্যাখ্যা কর।

(ঘ) উদ্দীপকটি ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের একটি খন্ড চিত্র মাত্র Ñমন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

৮। হালিম ও তার মা একত্রে বাস করে। তাদের আর্থিক অবস্থা তেমন সচ্ছল নয়। হালিমের মায়ের দেহ কঠিন রোগ বাসা বেঁধেছে। কিন্তু তার মা দরিদ্রতার কারণে হালিমের কাছে তা প্রকাশ করে না। কয়েক দিন গেলে হালিম বিষয়টি বুঝতে পারে। কিন্তু হালিমের নিকট খুব বেশি টাকা নেই। তাই মাকে সে কবিরাজের কাছ থেকে ওষুধ এনে দেয়। কবিরাজের এ ওষুধে তার মায়ের তেমন উন্নতি হয় না।

(ক) ঠাকুর দাসের স্ত্রী কত দিনের জ্বরে মারা যান?

(খ) দারোয়ানজী রসিককে মারে কেন?

(গ) উদ্দীপকটি ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের যে দিকটি তুলে ধরে তা ব্যাখ্যা কর।

(ঘ) উদ্দীপকটি ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের মাÑছেলের চরিত্রকে কতটুকু ধারণ করতে পেরেছে তা মূল্যায়ন কর।

একাডেমিক শিক্ষা বিষয়ক লিখিত প্রশ্ন সমাধান পেতে ক্লিক করুন।

আর্টিকেলের শেষ কথাঃ ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ পটভূমি বিশ্লেষণ কর

Leave a Comment