ssc উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভূগোল ও পরিবেশ ৯ম শ্রেণি ৬ষ্ঠ অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান/ উত্তর ২০২১, টীকা লিখুন বারিমন্ডল, মহাসাগর, মহীসোপান, মহীঢাল এবং সমুদ্রস্রোত

শ্রেণি: ৯ম/ ssc/ উন্মুক্ত-2021 বিষয়: ভূগোল ও পরিবেশ এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 05 বিষয় কোডঃ 1660
বিভাগ: মানবিক শাখা
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ টীকা লিখুন বারিমন্ডল, মহাসাগর, মহীসোপান, মহীঢাল এবং সমুদ্রস্রোত

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

টীকা লিখুন বারিমন্ডল,

‘Hydrosphere’ এর বাংলা প্রতিশব্দ বারিমন্ডল। ‘Hydro’শব্দের অর্থ পানি এবং ‘sphere’ শব্দের অর্থ মন্ডল। যে বিশাল জলরাশিতে ভূত্বকের নিচের অংশ গুলো পরিপূর্ণ রয়েছে তাকে বলা হয় বারিমন্ডলপৃথিবীর মোট জলরাশির ৯৭ ভাগ পানি রয়েছে সমুদ্রে।

সাগর, মহাসাগর, হ্রদ, নদী, জলাশয় ইত্যাদি জলভাগ/বারিমন্ডল গড়ে তুলেছে। পৃথিবীর সমস্ত জলের মধ্যে ৯৭.৫% হল লবাণাক্ত জল এবং ২.৫% হল মিষ্টি জল।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

টীকা লিখুন মহাসাগর,

মহাসাগর (বা মহাসমুদ্র, মহাসিন্ধু) অতি প্রকাণ্ড ও লবণযুক্ত বিপুল জলরাশি যা পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে। এর ইংরেজি প্রতিশব্দ ওসেন শব্দটির উৎস হল প্রাচীন গ্রিক শব্দ ‘ওকিআনোজ’ (Ὠκεανός)। স্বীকৃত ৫ টি মহাসাগর : প্রশান্ত, আটলান্টিক, ভারতীয়, আর্টিক, এবং দক্ষিণ। মহাসাগরগুলি একত্রে পৃথিবীর মোট আয়তনের (৩.৬১×১০১৪ বর্গ মিটার) প্রায় ৭০.৯% স্থান দখল করে আছে। এ বিপুল জলরাশি আবার অনেকগুলো মহাসাগর ও ছোট ছোট সমুদ্রে বিভক্ত।

মহাসাগরের অর্ধেকেরও বেশি জায়গার গড় গভীরতা ৩,০০০ মিটারেরও (৯,৮০০ বর্গফুট) বেশি। মহাসাগরের জলের গড় লবণাক্ততা ৩.৫% এবং প্রায় সকল সমুদ্রের গড় লবণাক্ততা ৩% থেকে ৩.৮%৮। বৈজ্ঞানিকেরা হিসেব করে দেখেছেন যে, মহাসাগরে প্রায় ২,৩০,০০০ সামুদ্রিক ও জলজ প্রাণী রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সামুদ্রিক ও জলজ প্রাণীর সংখ্যা নির্ণিত সংখ্যার তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

টীকা লিখুন মহীসোপান

মহীসোপান (Continental shelf)  স্থলভাগ সন্নিহিত সমুদ্রতলের অংশ যেখানে পানির গভীরতা সর্বোচ্চ ২০০ মিটার। মহীসোপান বলতে মহাদেশীয় ভূভাগের স্থানীয়ভাবে নিমজ্জমান অংশকে বোঝায়। এগুলো খুবই সমতল তলাবিশিষ্ট এবং নতিমাত্রা ১:৫০০-এরও কম। অনেক বিশেষজ্ঞ মহীসোপানকে মহীচত্বর হিসেবে আখ্যায়িত করেন। মহীসোপানের গড় প্রস্থ প্রায় ৬৫ কিমি; কোথাও ২০/৩০ মিটার আবার কোথাও বা ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি। অধিকাংশ মহীসোপানই স্থলভাগের অংশ হিসেবে থাকার সময়কার অর্জিত বৈশিষ্ট্যাদি আজও ধারণ করে আছে। তাই দেখা যায় যে ১৫,০০০ বছর আগে যখন সমুদ্রপৃষ্ঠ আজকের তুলনায় প্রায় ১২০ মিটার নিচে ছিল, তখনকার হিমবাহ আবৃত স্থলভাগের কিংবা স্থলভাগের মধ্যকার নদীতলের উপাদান বা বৈশিষ্ট্যাদির চিহ্ন আজও বিরাজমান আছে।

মহীসোপানের উপরিস্থিত অগভীর পানি গভীর ও অবারিত সমুদ্রের পানি থেকে পৃথক। উপকূলীয় নদীসমূহের প্রচুর দ্রবীভূত পুষ্টি উপাদান এই অগভীর পানিতে এসে মিশে যায়। এতে পললের পরিমাণও সাধারণত উচ্চমাত্রায় থাকে বলে মাঝ সমুদ্রের পানিরাশির চেয়ে এই পানি কম পরিষ্কার। বিভিন্ন সামুদ্রিক উদ্ভিদ, শৈবাল, প্রবাল, ঝিনুক, শামুক, বিভিন্ন প্রজাতির গর্তবাসী, পোকামাকড়, খোলসবিশিষ্ট প্রাণী, উদ্ভিদ ও বিভিন্ন সিলেনটারেটা (coelenterates) মহীসোপানের অগভীর পানিতে নিবাস গড়ে তোলে। এছাড়া বিভিন্ন সামুদ্রিক ক্ষুদ্র প্রাণী, স্টার ফিস, বৃটল স্টার, সি কুকুমবার ও স্পঞ্জ ফিস এই অঞ্চলে বসবাস করে।

বাংলাদেশের উপকূলভাগের মহীসোপানের বিস্তার স্থানবিশেষে বিভিন্ন। হিরণ পয়েন্ট ও সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের মধ্যে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলভাগে এর বিস্তার ১০০ কিলোমিটারের কম। আবার কক্সবাজার উপকূলে তা ২৫০ কিলোমিটারেরও বেশি। সমুদ্রতলের শিলা বৈশিষ্ট্যাদি বিশ্লেষণে দেখা যায় বাংলাদেশের মহীসোপানে অবক্ষেপিত সূক্ষ্ম পলিকণার পরিমাণ দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিমেই বেশি। এগুলো সবচেয়ে বেশি অবক্ষেপিত হয়েছে অন্তঃসাগরীয় গিরিখাত সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ডে। বাংলাদেশের মহীসোপানের বেশিরভাগ অংশ পলি ও কর্দমে আবৃত।

চট্টগ্রাম ও টেকনাফের মহীসোপানের অগভীর অংশ (২০ মিটারের কম) বালি আবৃত এবং জোয়ারভাটার সময় সুগঠিত বালুকাবেলা দৃষ্টিগোচর হয়। এই অঞ্চলের মহীসোপানে দৃষ্ট বালু তরঙ্গের প্রকটতা খুবই উল্লেখযোগ্য (৩-৫ মিটার), যা উচ্চ শক্তিসম্পন্ন অবক্ষেপ পরিবেশের বিদ্যমানতা প্রমাণ করে। এমনকি সুন্দরবন-পটুয়াখালী-নোয়াখালী উপকূলে অবস্থিত মহীসোপানের দক্ষিণাংশের অগভীর অংশও পলি ও কর্দমে ঢাকা, যা তীর বরাবর কর্দমপূর্ণ জোয়ারভাটা গঠিত সোপান সৃষ্টি করেছে। মহীসোপানের এই অংশে অবস্থিত কিছু মগ্ন চড়া ও বালুর শৈলশিরা সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ডের দিকে সম্প্রসারিত হয়ে আছে। এ থেকে আভাস মিলছে যে, বর্তমান মহাসাগরীয় পরিবেশেও সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ডের মাধ্যমে পলল বঙ্গোপসাগরের গভীরতর অংশে প্রবেশ করছে। 

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

টীকা লিখুন মহীঢাল

সংজ্ঞাঃ মহীসোপানের প্রান্তভাগ থেকে শুরু করে সমুদ্রজলে নিমজ্জিত মোটামুটি ২০০ – ২০০০ মিটার (স্থানবিশেষে ৪৫০০ মিটার) গভীরতা পর্যন্ত খাড়া ঢালু সমুদ্রভাগকে মহীঢাল (Continental Slope) বলে ।

বৈশিষ্ট্যঃ মহীঢাল – এর বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ –

ঢালঃ এটি খাড়া ঢাল বিশিষ্ট । সাধারণত এর গড় ঢাল ৫° এর কাছাকাছি হলেও স্থান বিশেষে এর তারতম্যও হতে পারে; যেমন – পার্বত্য উপকূলে এই ঢালের পরিমাণ ২৫° পর্যন্ত হতে পারে ।

গভীরতাঃ মহীঢালের গভীরতা ২০০ – ২০০০ মিটার, তবে স্থান বিশেষে তা ৪৫০০ মিটার পর্যন্তও হতে পারে ।

বিস্তারঃ মহীঢাল অঞ্চল সমগ্র সমুদ্রতলের প্রায় ৮.৫ শতাংশ স্থান জুড়ে অবস্থান করছে ।

সঞ্চিত পদার্থসমূহঃ মহীসোপান অঞ্চলের তুলনায় এই অঞ্চলে সঞ্চিত পদার্থসমূহ অতি সূক্ষ্ম হয় । শিলাখন্ড (১০ শতাংশ), বালি (২৫ শতাংশ), শৈবাল ও সামুদ্রিক কর্দম (৫ শতাংশ) প্রভৃতি এই অঞ্চলে সঞ্চিত হলেও কর্দম (৬০শতাংশ) বেশী পরিমাণেই পরিলক্ষিত হয় ।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

টীকা লিখুন সমুদ্রস্রোত

পৃথিবীর আবর্তন গতি, বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্র জলের লবনতা ঘনত্ব ও উষ্ণতার পার্থক্যের জন্য সমুদ্রের ওপরের জলরাশি নিয়মিতভাবে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রবাহিত হয়। সমুদ্রজলের এই গতিকে সমুদ্রস্রোত বলে। উষ্ণতার তারতম্য অনুসারে সমুদ্রস্রোত কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। উষ্ণ স্রোত ও
শীতল স্রোত।

সমুদ্রস্রোত সৃষ্টির প্রধান কারণ গুলি কি কি?

নানান কারণে সমুদ্রস্রোতের সৃষ্টি হয়। উল্লেখযোগ্য কারণ গুলি হল-

1) নিয়ত বায়ুপ্রবাহ= নিয়ত বায়ুপ্রবাহ সমুদ্রস্রোত সৃষ্টির প্রধান কারণ। পশ্চিমা বায়ু, আয়ন বায়ু ও মেরু বায়ুর প্রভাব অনুযায়ী প্রধান প্রধান সমুদ্র স্রোত গুলির সৃষ্টি হয়।

2) পৃথিবীর আবর্তন গতি= পৃথিবীর আবর্তন গতির ফলে ফেরেলের সূত্রানুসারে সমুদ্রের জল উত্তর গোলার্ধের ডান দিকে বেঁকে যায়। দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিক বেঁকে যায় এর ফলে সমুদ্রস্রোত সৃষ্টি হয়।

3) সমুদ্র জলের লবনতা পার্থক্য= সমুদ্র জলের লবনতা পরিমাণ সর্বত্র সমান হয় না। অধিক লবণাক্ত জল বেশি ভারী বলে তার ঘনত্ব বেশি হয়। বেশি ঘনত্বের জল কম ঘনত্ব জলের দিকে প্রবাহিত হয় ও সমুদ্রস্রোতের সৃষ্টি হয়।

4) সমুদ্রজলের উষ্ণতার পার্থক্য= উষ্ণমন্ডলের সমুদ্রজল বেশি উষ্ণ হয়। এই জলের উপরের অংশ দিয়ে পৃষ্ঠ প্রবাহ রূপে মেরু অঞ্চল বা শীতল অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়। উষ্ণমন্ডলের এই ঘাটতি পূরণ করার জন্য মেরু অঞ্চল থেকে শীতল ও ভারী জল জলের নিচের অংশ দিয়ে আন্তঃপ্রবাহ বা অন্তস্রোত রূপে উষ্ণমন্ডল এর দিকে প্রবাহিত হয়। এইভাবে উষ্ণ ও শীতল সমুদ্রস্রোত সৃষ্টি হয়।

5) স্থলভাগের অবস্থান= সমুদ্রস্রোতের প্রবাহ পথে কোনো মহাদেশ ও দ্বীপ থাকলে সমুদ্রস্রোত তাতে বাধা পায় ও গতিপথ পরিবর্তন করে। এর প্রভাবে সমুদ্রস্রোত একাধিক শাখায় বিভক্ত হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

Leave a Comment