অ্যাসাইনমেন্ট : ইলেকট্রিসিটি, কারেন্ট ও ভোল্টেজের পরিচিতিকরণ ।
শিখনফল/বিষয়বস্তু :
- ১। ইলেকট্রিসিটি কি তা ব্যাক্ত পারবে এবং ইলেকট্রিসিটির প্রকারভেদ উল্লেখ করতে পারবে
- ২। কারেন্ট এবং ভোল্টেজ কি তা ব্যাক্ত করতে পারবে ও এসি এবং ডিসি বলতে কি বুঝায় তা বিবৃতি করতে পারবে
- ৩। অল্টার্নেটিং কারেন্ট ও ভোল্টেজ কি তা ব্যাক্ত করতে পারবে
- ৪। সাইনোসিডল ওয়েভ, ফ্রিকুয়েন্সিতে টাইম পিরিয়ড ব্যাক্ত করতে পারবে
নির্দেশনা (সংকেত/ ধাপ/ পরিধি):
- ইলেকট্রিসিটি কি এর প্রকারভেদ এবং কারেন্ট ও ভোল্টেজ ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে
- এসি এবং ডিসি ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে
- অল্টার্নেটিং কারেন্ট ও ভোল্টেজ ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে
- সাইনোসিডল ওয়েভ, ফ্রিকুয়েন্সিতে টাইম পিরিয়ড ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে
উত্তর সমূহ:
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
- ইলেকট্রিসিটি কি এর প্রকারভেদ এবং কারেন্ট ও ভোল্টেজ ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে
ইলেকট্রিসিটি বা বিদ্যুৎ হচ্ছে এক প্রকার শক্তি, যা আমরা চোখে দেখতে পাই না কিন্তু এর প্রভাব অনুভব করতে পারি।পরিবাহির মধ্যে ইলেকট্রনের প্রবাহকে ইলেকট্রিসিটি বা বিদ্যুৎ বলে।
ইলেকট্রিসিটি বা বিদুৎ দুই প্রকার। যথা-
(১) স্থির বিদ্যুৎ
(২) চল বিদ্যুৎ
(১) স্থির বিদ্যুৎ : যে বিদ্যুৎ উৎপত্তি স্থানে অবস্থান করে কোন স্থান পরিবর্তন করে না তাকে স্থির বিদ্যুৎ বলে। যেমন – দুইটি বস্তুর মধ্যে ঘর্ষণের ফলে যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়, তাই স্থির বিদ্যুৎ।
(২) চল বিদ্যুৎ :যে বিদ্যুৎ এক স্থান হতে অন্য স্থানে প্রবাহিত হয় তাকে চল বিদ্যুৎ বলে। চল বিদ্যুৎ আবার দুই প্রকার।
যথা : (ক) এসি
(খ) ডিসি
(ক) এসি : যে কারেন্ট প্রবাহিত হওয়ার সময় নিদিষ্ট নিয়ম মতো দিক পরির্বতন করে এবং যার মান প্রতি মুহূত্তে পরিবর্তনশীল থাকে তাকে অল্টারনেটিং বা এসি কারেন্ট বলে।
(খ) ডিসি : যে কারেন্ট সব সময় একই দিকে প্রবাহিত হয় এবং যার মান নিদিষ্ট থাকে
তাকে ডাইরেক্ট বা ডিসি কারেন্ট বলে।
কারেন্ট : পরিবাহী পদার্থের মধ্যকার মুক্ত ইলেকট্রন সমূহ একটি নিদ্রিষ্ট দিকে প্রবাহিত হওয়ার হারকেই কারেন্ট বলে।
ইহাকে I বা i দ্বারা প্রকাশ করা হয়, এর একক অ্যাম্পিয়ার (A বা Amp.) অথবা কুলম্ব/সেকেন্ড ।
ভোল্টেজ: পরিবাহী পদার্থের পরমাণুগুলির মুক্ত ইলেকট্রন সমূহকে স্থানচ্যুত করতে যে বল বা চাপের প্রয়োজন সেই বল বা চাপকেই বিদ্যুৎ চালক বল বা ভোল্টেজ বলে। একে V দ্বারা প্রকাশ করা হয় এর একক Volts.
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
- এসি এবং ডিসি ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে
এসি কাকে বলে?
এসি পূর্ণ নাম হলো অল্টারনেটিং কারেন্ট যার বাংলা অর্থ পরিবর্তনশীল বিদ্যুৎ। এর মানে এটি সবসময় পর্যায়ক্রমে পরিবর্তনশীল হবে। প্রত্যেক পর্যায়ে এটি এর বিপরীত ধর্মে রূপান্তরিত হবে। অর্থাৎ এই কারেন্টের একটি দিক ধনাত্মক(পজেটিভ) ও এর কিছু সময় পরে ঋণাত্মক(নেগেটিভ) হবে। প্রথমে যেটি পজেটিভ ছিলো এরপরেই সেটি নেগেটিভ হবে।
তাহলে বলা যায়, “সময়ের সাথে যে কারেন্টের মান পরিবর্তীত হয় তাকে এসি বা অল্টারনেটিং কারেন্ট বলে।”
উপরে চিত্র দেখলে বুঝতে পারবো যে, x অক্ষ বরাবর সময় এবং y অক্ষ বরাবর কারেন্ট দিয়ে দিক নির্দেশনা করা হয়েছে। এথেকে বুঝা যাচ্ছে সময়ের সাথে কারেন্টের মান পরিবর্তন হচ্ছে।
ডিসি কাকে বলে?
ডিসি হলো ডাইরেক্ট কারেন্ট বা অপরিবর্তনশীল কারেন্ট। সুতারাং বুঝায় যাচ্ছে এই কারেন্টের মান পরিবর্তিত হবে না। ডিসি বা ডাইরেক্ট কারেন্ট এর দুটি দিক থাকে যার একটি হচ্ছে পজেটিভ ও অন্যটি হচ্ছে নেগেটিভ।
তাহলে বলা যায়, “কারেন্ট যা শুধুমাত্র একটি ডিরেকশনে প্রবাহিত হয় তাই ডিসি ‘।
উপরের চিত্রে, x অক্ষ বরাবর সময় এবং y অক্ষ বরাবর কারেন্ট এর দিক নির্দেশনা করা হয়েছে। চিত্রটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষন করলে বুঝা যায় যে, সময় পরিবর্তন হবার সাথে সাথে কারেন্টের মান পরিবর্তন হচ্ছে না। অর্থাৎ 1A কনস্ট্যান্ট আছে।
AC= Alternating Current
DC= Direct Current
AC হল পরিবর্তনশীল বিদ্যুৎ প্রবাহ।
DC হল অপরিবর্তনশীল বিদ্যুৎ প্রবাহ।
AC কারেন্ট একটি দিকবর্তী প্রবাহ । যা প্রতি সেকেন্ডে ৫০ থেকে ৬০ বার দিক পরিবর্তন করে থাকে । অপর দিকে DC হচ্ছ অপ্রত্যাবর্তী প্রবাহ । যা সময়ের সাথে দিক পরিবর্তন করে না ।
ac-vs-dc
ফ্যান আস্তে অথবা জোরে যেভাবে ছাড়া হোক বিদ্যুৎ কি একই খরচ হয়?
আমরা সাধারণত দুই প্রকারের ফ্যান রেগুলেটর ব্যবহার করে থাকি।
(ক) ইলেকট্রিক্যাল রেগুলেটর
(খ) ইলেকট্রনিক রেগুলেটর।
ইলেকট্রিক্যাল রেগুলেটর তৈরি হয় ট্যাপিং যুক্ত ইন্ডাকটরের দ্বারা। বৈদ্যুতিক ফ্যান চলার সময় এই রেগুলেটর কমিয়ে দিলে ফ্যানের রোটেশন কমে কিন্তু রেগুলেটর উত্তপ্ত হয়। এই অপ্রয়োজনীয় উত্তাপের কারনে বৈদ্যুতিক পাওয়ার খরচ হয়। ফলে ইলেকট্রিক্যাল রেগুলেটর ব্যবহার করলে ফ্যানের গতি কম-বেশির সাথে রেগুলেটর লস যথাক্রমে বেশি ও কম হয় ফলে বৈদ্যুতিক পাখার গতি যাই হোক, বিদ্যুৎ খরচ প্রায় একই হয়।
অন্যদিকে ইলেকট্রনিক রেগুলেটর তৈরি হয় থাইরিস্টর জাতীয় ইলেকট্রনিক সুইচিং ডিভাইস দিয়ে। এতে অপ্রয়োজনীয় উত্তাপের পরিমাণ অত্যন্ত নগন্য থাকায় রেগুলেটর লস হয় না বললেই চলে। ফলে বৈদ্যুতিক পাখার গতি কমালে বিদ্যুৎ খরচ কমে এবং পাখার গতি বাড়ালে বিদ্যুৎ খরচ বাড়ে। তাই ইলেকট্রনিক রেগুলেটর ব্যবহার করলে ফ্যানের গতি কম হলে বিদ্যুৎ খরচও কম হয় ।
ভোল্টামিটার এবং অ্যামমিটারকে বর্তনীতে কিভাবে যুক্ত করা হয় ?
তড়িৎ বর্তনীর যে দুটি বিন্দুর বিভব প্রভেদ মাপতে হবে সেই দুটি বিন্দুর সঙ্গে ভোল্টামিটারকে সমান্তরাল সমবায়ে যুক্ত করা হয় । আবার কোনো তড়িৎ বর্তনীর প্রবাহমাত্রা পরিমাপ করতে অ্যামমিটারকে তড়িৎবর্তনীতে শ্রেণি সমবায়ে যুক্ত করা হয় ।
আমিটারকে বর্তনীর সাথে সিরিজে এবং ভোল্টমিটারকে প্যারালালে সংযুক্ত করতে হয়।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
- অল্টার্নেটিং কারেন্ট ও ভোল্টেজ ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে
কারেন্ট কি বা কারেন্ট কাকে বলে?
কারেন্ট (Current): পরিবাহীর মধ্যকার ইলেকট্রন সমূহ নির্দিষ্ট দিকে প্রবাহিত হওয়ার হারকে কারেন্ট বলে। অর্থাৎ পরিবাহীর মধ্যে ইলেকট্রনের প্রবাহই ইলেকট্রিক কারেন্ট।
কারেন্টের প্রতীক চিহ্ন – I. একক Ampere (A)
**কারেন্ট কত প্রকার?
কারেন্ট কে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায় যথা-
1/::এসি বা অল্টারনেটিং কারেন্ট (AC – Alternating Current)
2/::ডিসি বা ডাইরেক্ট কারেন্ট (DC – Direct Current)
এডি কারেন্ট (Eddy Current)
★অল্টারনেটিং কারেন্টঃ সময়ের সাথে যে কারেন্টের মান পরিবর্তিত হয় তাকে সাধারণত অল্টারনেটিং কারেন্ট বলে।
★ডাইরেক্ট কারেন্টঃ ডিসি বা ডাইরেক্ট কারেন্ট যার মান সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় না।
নিচে অলটারনেটিং ও ডাইরেক্ট কারেন্টের চিত্র দেখানো হয়েছে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
ভোল্টেজ কাকে বলে,,,,,?
**ভোল্টেজ হল এক ধরনের বৈদ্যুতিক চাপ। পরিবাহীর অভ্যন্তরীণ থাকা ইলেকট্রন (ঋণাত্মক কনিকা) সমূহকে স্থানচ্যুত করতে যে ফোর্স বা চাপের প্রয়োজন হয় তাকে ভোল্টেজ বলে।
ভোল্টেজের প্রতীক হলো V এবং এর একক হলো ভোল্ট (Volt)
★ভোল্টেজ পরিমাপ করে কিভাবে?
:::ভোল্টেজ পরিমাপ করা হয় ভোল্টমিটার দিয়ে। ভোল্টমিটারের দুটি প্রোবকে বৈদ্যুতিক সোর্সের সাথে প্যারালালে সংযুক্ত করে ভোল্টেজ পরিমাপ করা হয়। নিচে চিত্রের ন্যায় সংযোগ করে ভোল্টেজ পরিমাপ করা যাবে।
- সাইনোসিডল ওয়েভ, ফ্রিকুয়েন্সিতে টাইম পিরিয়ড ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে
এই উত্তরের এই অংশের কাজ চলছে
এই উত্তরের এই অংশের কাজ চলছে
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
- ২০২১ সালের SSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের ৯ম/১০ শ্রেণি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।