প্রশ্ন সমাধান: TIN সনদ সংগ্রহের প্রক্রিয়া তুলে ধর, tin সনদ সংগ্রহের পদ্ধতি, কিভাবে একটি TIN সার্টিফিকেট পাবেন?,জেনে নিন কীভাবে e-TIN করতে হয় , ই-টিন কী? টিন সার্টিফিকেট করার নিয়ম
অর্থ আইন ১৯৯৩-এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের ১৮ নতুন ধারা সংযোজন পূর্বক করদাতার জন্য জাতীয় ভাবে শনাক্তকরণ নম্বর প্রবর্তন করা হয় এবং তা ১লা জুলাই, ১৯৯৪ হতে কার্যকরি হয়। এই শনাক্তকরণ নম্বরকে সংক্ষেপে। জুলাই ১৯৯৪ সালের পূর্বে প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী করদাতাকে। TIN নম্বর বা Tax Payers identification number বলে।
১লা সংশ্লিষ্ট কর অফিস হতে জি.আই.আর (GIR) নম্বর প্রদান করা হতো এই নম্বর করদাতার জাতীয় ভিত্তিক কোনো শনাক্তকরণ নম্বর নয়। করদাতাকে জাতীয় ভিত্তিক কোনো (Identify) দেয়া । এবং কর প্রশাসনের দক্ষতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এই ধরনের TIN নম্বর প্রদানের বিধান প্রবর্তন করা হয়। নতুন করদাতার TIN প্রাপ্তির পদ্ধতি কি হবে সে সম্পর্কে আয়কর অধ্যাদেশ এর ১৮৪(বি) ধারায় নিম্নোক্ত বিধান প্রবর্তিত হয়েছে।
১. TIN এর জন্য নির্ধারিত ফরম সংগ্রহ করে তা পূরণ করতঃ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সংশ্লিষ্ট সার্কেলের উপকর কমিশনার (DCT)-এর নিকট আবেদন করবেন ।
২. পূরণকৃত কাগজপত্রের সাথে জাতীয় পরিচয়পত্রের সাথে পরিচয়পত্র নম্বর এবং অগ্রিম আয়কর হিসেবে ১০০০ টাকার চালান/পে-অর্ডার জমা দিতে হবে উল্লেখ্য যে, চালান বা পে-অর্ডারের নম্বর, তারিখ ব্যাংকের নাম ও শাখা অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে ।
৩. উপকর কমিশনার Assessment location এবং Status ক্রমিক দুটি পূরণ করবেন তিনি TIN form-এ দাখিলকৃত তথ্যাদি যাচাই ও প্রত্যয়ন করত TIN form টি তার অঞ্চলের কমিশনার-এর নিকট প্রেরণ করবেন। .
আরো ও সাজেশন:-
৪. কর কমিশনার সার্বিকভাবে বিবেচনা করে আবেদনকারী TIN পাওয়ার উপযুক্ত মনে করলে Acceptable লেখা BOX এর টিক চিহ্ন (√) দিয়ে স্বাক্ষর করবেন এবং ফরমটি কেন্দ্রের প্রথম সচিক (কর-৪) এর নিকট প্রেরণ করবেন।
৫. সচিব এ TIN আবেদনের সব বিষয়টি দেখে উপযুক্ত মনে করলেই একটি জাতীয় ভিত্তিক ক্রমিক নম্বর বা Tax payers, identification number প্রদান করবেন। অর্থ আইন- ২০১১ টি আইএন গ্রহণ ও পুনঃ নিবন্ধন বিষয়ক বিধান নিম্নরূপভাবে সংশোধন করা হয়েছে :
(ক) কেউ নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করলে এটিআইএন দেওয়া হবে ।
(খ) আয়কর কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে আবেদনপত্র ছাড়াও টিআইএন প্রদান করতে পারবেন। তবে শর্ত হচ্ছে করদাতার করযোগ্য আয় থাকতে হবে এবং টিআইএন সংক্রান্ত আবেদন করার পূর্বে ইস্যু করতে হবে। এ বিধানের ফলে জরীপ কার্যক্রম সহ এরূপ ক্ষেত্রে করদাতার আবেদন ছাড়াই টিআইএন সি্যু করা যাবে। এ লক্ষ্যে বিধি সংশোধন করা হয়েছে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
(গ) এটিআইএন গ্রহণের জন্য এক হাজার টাকা আয়কর নেওয়ার বিধান প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে আয়কর ছাড়াই টিআইএন ইস্যু করা যাবে ।
(ঘ) আদেশের মাধ্যমে রাজস্ব বোর্ড পরাতন করদাতাকে পুনঃনিবন্ধনের জন্য বলতে পারবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য ও প্রমাণাদি চাওয়া যাবে; এবং
(ঙ) অনলাইনের মাধ্যমে টিআইএন আবেদন গ্রহণ ও প্রদান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক নির্দিষ্ট কোনা কর্তৃপক্ষ এটিআইএন ইস্যু করতে পারবে। তবে উপকর কমিশনারের টিআইএন ইস্যু করার বিদ্যমান ক্ষমতা বহাল থাকবে। এ আলোকে বিধি 64B সংশোধন করা হয়েছে।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও
- সোয়াপ (SWAP) কাকে বলে? , সোয়াপ (SWAP) কতো প্রকার বিস্তারিত আলোচনা করো
- ব্যবসায়িক ঝুকি বলতে কি বুঝায় উদাহরণ সহ আলোচনা করো
- বিনিয়োগ ব্যাংকের ট্রেডিং ব্যবস্থা আলোচনা করো
- খিলাফত রাষ্ট্র ও আধুনিক মুসলিম রাষ্ট্র পার্থক্য । খিলাফত রাষ্ট্র vs আধুনিক মুসলিম রাষ্ট্র পার্থক্য
- What do you near by Business communication?, Explain the concept of business communication
- Describe the barriers to effective communication in business organization